#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১০
রাত দশটা ছুঁইছুঁই স্তব্ধ এখনও বাড়ি ফেরেনি,স্নিগ্ধতা খেয়ে শুয়ে আছে ঘুমানোর জন্য। এ ক’দিনে স্তব্ধের চলাফেরা সম্পর্কে অবগত হয়ে গেছে স্নিগ্ধতা। স্তব্ধ প্রতিদিন রাতে দেরি করে ফেরে বাইরেই খেয়ে আসে।
স্নিগ্ধতার সাইলেন্ট করা মোবাইলে আলো জ্বলে উঠেছে স্ক্রীনে শাহিলী ওয়াজেদের নাম্বার দেখেই স্নিগ্ধতার ভেতরে ভয় কাজ করছে ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরতেই শুভর গলা ভেসে এলো,
– হ্যালো আপু..
– শুভ তুই!এতদিন পর আমাকে মনে পড়লো?
– মা তোর সঙ্গে কথা বলতে না দিলে আমি কি করবো।
– মায়ের নাম্বার থেকে কল দিলি যে মা এখন কিছু বলবে না?
– বাবা হাসপাতালে ভর্তি অফিসে থাকাকালীন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে অফিসের লোকেরাই হাসপাতালে ভর্তি করেছে মা অনেক কান্না করছে তুই আসতে পারবি?
এমন একটা খবর শুনে স্নিগ্ধতা আতকে উঠেছে ভেতরে তিব্র ভয় হানা দিয়েছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল,
– তুই লোকেশন পাঠা আমি আসছি।
কল কেটে বোরকা আর হিজাব পড়ে রেডি হয়ে নিলো স্নিগ্ধতা। খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার যার ঘরে চলে গেছে হল ঘর ফাঁকা কাউকে বলে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই স্নিগ্ধতা।হল ঘর পেরিয়ে সদর দরজার কাছে যেতেই পেছন থেকে অরিত্রি শিকদার হাঁক ছেড়ে বললেন,
– এই রাত বিরেতে কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
স্নিগ্ধতা ভয়ে ভয়ে উওর দিল,
– আমার বাবা অসুস্থ তাই হাসপাতালে যাচ্ছি।
– এত রাতে একা একা যাওয়া ঠিক হবে না স্তব্ধকে নিয়ে যাও।
– উনি এখনও ফেরেননি।
অরিত্রি শিকদার একটু ভেবে বললেন,
– যতই হোক তুমি এখনও আমার ছেলের বউ একা যেতে দিতে পারি না চলো আমিও তোমার সঙ্গে যাব।
স্নিগ্ধতা অবাক হলো তবে কিছু বলল না এখন বাবার কাছে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।অরিত্রি শিকদার ঘর থেকে পার্স নিয়ে এসে স্নিগ্ধতাকে নিয়ে গাড়িতে বসলো।স্নিগ্ধতার উদ্দেশ্যে বললেন,
– ড্রাইভারকে লোকেশন বলো।
স্নিগ্ধতা লোকেশন বলতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিল। সানজিদ ওয়াজেদ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন কিছুক্ষণ আগে জ্ঞান ফিরেছে,শাহিলী ওয়াজেদ পাশে বসে কান্না করছেন সাথে অনেক বিলাপ বকছেন। সানজিদ ওয়াজেদ বিরক্ত হয়ে বললেন,
– একটু থামবে ম’রা কান্না জুড়ে দিয়েছ কেন?
– আমি ম’রা কান্না করছি? শুভরে দেখ তোর বাবা আমায় কি বলে।
শুভও বিরক্ত হয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
– মা এবার থামো তো শুনলে না ডাক্তার বলে গেল বাবার বিশ্রামের প্রয়োজন কথা বলতেও তো নিষেধ করেছে।
– আমি কথা বললে তোর বাবা অসুস্থ হয়ে যাবে নাকি? ঠিক আছে আমি বাইরে গিয়ে বসলাম।
শাহিলী ওয়াজেদ বাইরে গিয়ে বসে রইলেন।স্নিগ্ধতা এবং অরিত্রি শিকদার হাসপাতালে পৌঁছে গেল, রিসিপশন থেকে বিস্তারিত জেনে স্নিগ্ধতা সানজিদ ওয়াজেদের কেবিনে ঢুকে গেল। স্নিগ্ধতাকে দেখে সানজিদ ওয়াজেদ-শাহিলী ওয়াজেদ দু’জনেই বেশ অবাক হয়েছেন। বাবাকে চোখের সামনে এমন অবস্থায় দেখে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে স্নিগ্ধতার। সানজিদ ওয়াজেদ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে,
– কাদিস না মা আমি এখন সুস্থ আছি।
– আমি ডাক্তারের কাছ থেকে সব শুনেছি তোমার এবার থেকে বেড রেস্ট নিতে হবে আর ছোটাছুটি করতে পারবে না।
– ডাক্তাররা এসব একটু বলেই তবে তুই এত রাতে কিভাবে এলি? সঙ্গে কে এসেছে?
– শাশুড়ি মা নিয়ে এসেছে।
– ওহ
স্তব্ধ বাড়িতে ফিরেছে পুরো ঘর খুঁজেও স্নিগ্ধতাকে না পেয়ে কপালের রেখা কুঁচকে এসেছে।স্নিগ্ধতার মোবাইলটাও বিছানায় রাখা,স্তব্ধ দিদানের ঘরে যাওয়ার জন্য বের হলো যদি স্নিগ্ধতা ওখানে থাকে এই আশায়। রাহেলা বেগম গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ডাক্তারের দেওয়া ঘুমের ওষুধের কারণেই উনার এত ঘুম আশেপাশে কি হচ্ছে তারও খোঁজখবর থাকে না।
স্নিগ্ধতাকে দিদানের ঘরেও না পেয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গেছে স্তব্ধ। সালেহাকে কিছুক্ষণ ডাকলো স্তব্ধের ডাক শুনে সালেহা দ্রুত হল ঘরে আসতেই স্তব্ধ জিজ্ঞেস করল,
– আন্টি স্নিগ্ধকে দেখেছ? স্নিগ্ধ কোথায়?
– তারে তো তোমার মায়ের সঙ্গে বাইরে যাইতে দেখলাম।
– হুয়াট! স্নিগ্ধ মমের সঙ্গে গেছে এত রাতে, কোথায় গেছে জানো কিছু?
– না বাবা তা জানি না, তবে তোমার বউ কানতাছিল।
– কাঁদছিল!
– হয়।
স্তব্ধ ঘেমে গেছে সাথে ভয়ও হচ্ছে বিড়বিড় করে বলল,’মমের সঙ্গে বের হয়েছে, কে জানে মমের ভেতরে কি চলছে যদি স্নিগ্ধের কিছু করে দেয়? না না মমকে কল দেই।’
স্তব্ধ অরিত্রি শিকদারকে কল দেওয়া শুরু করল কয়েকবার রিং হওয়ার পর অরিত্রি শিকদার কল ধরে বললেন,
– কল করছিস কেন?
– স্নিগ্ধ কোথায় মম? কোথায় নিয়ে গেছ ওকে? ঠিক আছে তো ও?
– বউয়ের জন্য অনেক চিন্তা হচ্ছে নাকি?
– মম প্লিজ বলো স্নিগ্ধকে কোথায় নিয়ে গেছ?
– ওর বাবা অসুস্থ তুই বাড়িতে ছিলি না তাই আমাকেই নিয়ে আসতে হলো হাসপাতালে।
– ওকে ফোনটা দাও।
– ওর বাবার কাছে আছে।
– হাসপাতালের নাম বলো আমি আসছি।
– এখন আর আসার দরকার নেই আমরাই চলে আসব।
অরিত্রি শিকদার কল কেটে দিলেন,স্তব্ধ আবারো কল দেওয়া শুরু করল কিন্তু রিসিভ হলো না। মায়ের কথা কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না স্নিগ্ধতার জন্য চিন্তা হচ্ছে।
স্নিগ্ধতা অরিত্রি শিকদারের কাছে গিয়ে বলল,
– মা আমি বাবার কাছে থাকি?
মা ডাকটা শুনে অরিত্রি শিকদার কিছুক্ষণ স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে রইল, এমন চাহনি দেখে স্নিগ্ধতার ভয় পেয়ে গেছে।স্তব্ধ-আরিয়া সবসময় মম বলেই ডাকে কখনও মা ডাকটা শোনা হয়নি আজ প্রথম কারো থেকে মা ডাক শোনায় অরিত্রি শিকদারের মনটা যেন ভরে গেছে।স্নিগ্ধতার মাথায় হাত রেখে বললেন,
– আজ থাকার দরকার নেই এখন বাড়িতে যাব কাল সকালে না হয় স্তব্ধের সঙ্গে এসে আবার দেখে যাবে।
স্নিগ্ধতা মাথা নাড়িয়ে সানজিদ ওয়াজেদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অরিত্রি শিকদারের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হলো। শাহিলী ওয়াজেদ শুভর কাছে গিয়ে,
– স্নিগ্ধা জানলো কিভাবে তোর বাবা যে অসুস্থ হাসপাতালের ঠিকানা পেল কোথায়?
– আমি ফোন করে জানিয়েছি।
– নাম্বার পেলি কোথায়?
– তোমার মোবাইল থেকে।
– আমার অনুমতি ছাড়া কেন তুই স্নিগ্ধাকে জানালি? নিষেধ করেছিলাম না কোনো কথা নেই ওই মেয়ের সঙ্গে।
– তুমি আপুকে নিজের মেয়ে না মানলেও ও আমার বড় বোন আমি তাকে ত্যাগ করতে পারবো না বাবার এমন অবস্থার কথা ওর জানার অধিকার আছে অনেক করেছ আর নয়।
– নিজের মায়ের থেকে সৎ বোন আপন হয়ে গেছে তোর কাছে?
– তোমরা দু’জনেই আমার কাছে আপন তোমার সঙ্গে আপুকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
বলেই শুভ দেরি না করে শাহিলী ওয়াজেদের সামনে থেকে চলে গেল।শাহিলী ওয়াজেদ দাঁত কিড়মিড় করে বললেন,
– বিয়ে হয়ে গেছে বলে পাখনা গজিয়ে গেছে তাই না এখন আমার ছেলেটাকে আমার অবাধ্য করছিস।
কলিং বেল বাজতেই স্তব্ধ গিয়ে দরজা খুলে দিল।অরিত্রি শিকদার ভেতরে ঢুকে গেল পেছনে স্নিগ্ধতাও ছিল।স্নিগ্ধতাকে দেখে স্তব্ধের ভেতর থেকে ভার কমলো আলতো করে স্নিগ্ধতাকে জড়িয়ে ধরলো আচমকা এমন ঘটায় স্নিগ্ধতা কেঁপে উঠলো অরিত্রি শিকদার ছেলের কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেছে।স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে ছেড়ে বলল,
– কত টেনশন হচ্ছিল জানো একটাবার আমায় কল করে বলতে পারতে।
– মনে ছিল না।
অরিত্রি শিকদার ঘরে চলে গেলেন।স্তব্ধ স্নিগ্ধতার হাত ধরে,
– ঘরে চলো।
স্নিগ্ধতা বাধ্য মেয়ের মতো স্তব্ধের সঙ্গে ঘরে গেল। দু’জনে ফ্রেশ হয়ে বসলো,স্তব্ধ জিজ্ঞেস করল,
– তোমার বাবা এখন কেমন আছেন?
– মোটামুটি ভালো।
– আর কখনও আমায় না বলে এভাবে কোথাও যাবে না আমি না থাকলে একটা কল কিংবা টেক্সট দিবে বুঝলে।
স্নিগ্ধতা মাথা নাড়িয়ে বলল,
– কাল আমায় একবার বাড়িতে নিয়ে যাবেন?
– আচ্ছা এবার ঘুমাও।
দু’জনেই শুয়ে পড়লো কিন্তু স্নিগ্ধতার চোখে ঘুম নেই বাবার মুখ বারবার ভেসে উঠছে।আজ পর্যন্ত বাবাকে এইভাবে অসুস্থ হতে কখনও দেখেনি সে প্রিয়জন হারানোর ভয় কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে ভেতরটা।
______________
রাতে দেরি করে ঘুমালেও আজ স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়েছে নামাজের জন্য দু’জন একসঙ্গে নামাজ পড়েছে। খাবার টেবিলে যাওয়ার পর রাতুল শিকদার প্রশ্ন করলেন,
– স্নিগ্ধা মা শুনলাম তোমার বাবা নাকি অসুস্থ?
– হুম।
– গতকাল রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ভাগ্যিস তোমার শাশুড়ি জেগে ছিল, স্তব্ধ স্নিগ্ধা মাকে নিয়ে ওর বাড়িতে যাস আজকে।
– হুম (স্তব্ধ)
.
.
.
দুইটা দিন কেটে গেল, সানজিদ ওয়াজেদ এখন সুস্থ তবে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন শুভর চাকরি হয়ে গেছে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছে।স্তব্ধ এবং স্নিগ্ধতা দু’জনেই সানজিদ ওয়াজেদকে বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছে।
বাড়িতে অনেক রান্নাবান্না হচ্ছে অরিত্রি শিকদার নিজে সবকিছু তদারকি করছেন। রুশি এবং তার মেয়েরা কিছুদিন বেড়ানোর জন্য চলে এসেছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে অরিত্রি শিকদার এবং রুশি নিজেদের ঘরে গেলেন দুই বোন গল্প করার জন্য। স্তব্ধ অফিসে গিয়েছে বাবার সঙ্গে, স্নিগ্ধতা ঘরে বসে একটা বই পড়ছিল তখনি ঘরে নাতাশা আর নিতু এলো।স্নিগ্ধতা তাদের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,
– বসো।
নাতাশা আর নিতু সোফায় বসলো নাতাশা চারিদিকে চোখ বুলিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
– এই ঘরটা আমার হওয়ার কথা ছিল তোমার জায়গায় আমার থাকার কথা ছিল কিন্তু নিয়তি সবকিছু বদলে দিল।
স্নিগ্ধতার হাসি মিলিয়ে গেল নাতাশার কথাগুলোতে কষ্ট লুকিয়ে আছে বুঝা যাচ্ছে এতে স্নিগ্ধতার বেশ খারাপ লাগছে কিন্তু কি করার এতে তো তার কোনো হাত ছিল না। নাতাশা আবারো বলতে লাগল,
– আমরা এসেছি বলে কি তোমার বিরক্ত লাগছে?
স্নিগ্ধতা তৎক্ষণাৎ মুখে আবারো হাসি ফুটিয়ে জবাব দিল,
– না না তা হবে কেন আমার তো ভালোই লাগছে এতক্ষণ একা বসে ছিলাম এখন তোমরা এলে একাকীত্ব দূর হলো।
– স্তব্ধের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কি স্বাভাবিক?
– হুম।
– আমার কেন জানি মনে হচ্ছে না আমি থাকতে স্তব্ধ তোমায় মেনে নিবে ভাবা যায় না।
স্নিগ্ধতা এবারো চুপ করে রইল,স্নিগ্ধতার মুখের এমন অবয়ব দেখে নাতাশার আনন্দ হচ্ছে। মোবাইল বেজে উঠতেই নাতাশা চলে গেল এখন শুধু ঘরে স্নিগ্ধতা আর নিতু আছে।
নিতু স্নিগ্ধতার গা ঘেষে বসলো স্নিগ্ধতা হেসে জিজ্ঞেস করল,
– তুমি কোন ক্লাসে পড়?
– ক্লাস টেন।
– ভালো তো।
– তুমি কোন ক্লাসে পড় ভাবী?
স্নিগ্ধতা নিতুর গাল টেনে দিয়ে,
– আমার পড়াশোনা শেষ।
– তুমি তো তাহলে অনেক বড়!
– হুহ।
– চলো না ভাবী লুডু খেলি।
– এখন লুডু খেলবে?
– হুম চলো না।
নিতু মোবাইলে লুডু বের করল তারপর দু’জনে মিলে খেলা শুরু করল।
‘উকিলের সঙ্গে কথা শেষ ডিভোর্স পেপার তৈরি হয়ে গেছে আজ বিকেলে হাতে পেয়ে যাব।’
– যাক শুভ কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই ভালো।
– আজ রাতেই দু’জনের কাছ থেকে সাইন করিয়ে কাল স্নিগ্ধতাকে বের করে দিব কিন্তু রাতুলকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে যদি বেঁকে বসে।
– আপা দুলাভাইয়ের কথা তোর চিন্তা করতে হবে না স্তব্ধের বিয়ে দেওয়ার সময় একবারও কি তোর কথা ভেবেছিল তাহলে তুই কেন ভাববি?
– তাও ঠিক আমার ছেলের ভালো আমিই বুঝবো শোন রুশি নাতাশার সঙ্গে বিয়েটাও খুব দ্রুত দিয়ে দিব।
– তা আর বলতে সব ব্যবস্থা আমি করে রেখেছি।
রাতুল শিকদার স্তব্ধকে সবটা বুঝিয়ে একটা কাজে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন।স্তব্ধ ল্যাপটপে মনোযোগ সহকারে কাজ করছে একজন দরজার বাইরে থেকে বলল,
– আসতে পারি?
স্তব্ধ সেদিকে তাকালো আদ্রিককে দেখে অনেকটা অবাক হয়েছে হেসে বলল,
– আরে আদ্রিক যে ভেতরে এসো।
আদ্রিক ভেতরে আসলো একটা চেয়ার টেনে স্তব্ধের সামনে বসে পড়লো।স্তব্ধ জিজ্ঞেস করল,
– হঠাৎ কি মনে করে এখানে এলে?
– তোমার সঙ্গে একটা ডিল করতে এসেছিলাম।
স্তব্ধ ব্রু কুঁচকে,
– আমার সঙ্গে ডিল? ড্যড তো এখন অফিসে নেই।
– আঙ্কেল থাকলেই কি না থাকলেই কি আমার তো তোমাকে দরকার।
– কি ডিল শুনি।
– তোমাদের একটা বড় টেন্ডার আটকে আছে আমি চাইলে আমার বাবার পাওয়ার দিয়ে সহজেই টেন্ডারটা ছাড়িয়ে আনতে পারি তার জন্য তোমাকে আমার ছোট একটা আবদার পূরণ করতে হবে, তুমি আমার কাজ করে দিবে আর আমি তোমার কাজ করে দিব।
– আমি তোমার আবদার পূরণ করতে পারবো! কি আবদার?
চলবে……..