সুবাসিত মল্লিকা পর্ব-০৩

0
213

#সুবাসিত_মল্লিকা
কলমে: মম সাহা

৩.
বিয়ের রাত পেরুতেই রান্নাঘরে বেলির তলব পড়ল। ভুঁইয়া বাড়ির প্রচলিত নিয়মানুসারে আজ রান্না করবে নতুন বউ। বেলি ভোরে উঠে গোসল সেরেছে। সুন্দর, সুতির একটি শাড়ি পরেছে। ঘোমটাও দিয়েছে পটু হাতে। মুনিব গিয়েছে বাজারে। যেহেতু আজও অতিথি বাড়িতে বিদ্যমান সেহেতু মাছ, মাংসের তো দরকার। সেইজন্যই বাবার সাথে বাজারে যাওয়া তার।
বেলি সবে কাজল চোখ ভরে দিয়ে বসেছে খাটে তখনই তার জা চামেলি উপস্থিত হয় ঘরে। ঢুকতে ঢুকতে বলল,
‘তৈরি হইছো? আম্মা ডাকে পাকের ঘরে। আহো।’

বেলি পা দুলাচ্ছিল। বড়ো বৌয়ের দিকে তাকিয়ে চিকন ঠোঁট জোড়া প্রসারিত করে বলল,
‘পাকের ঘরে? কেন? আজকা কি রাঁধতে হইবো আমারে?’

‘হ। বিয়ার পরেরদিন এ বাড়িতে রানতে হয়।’

‘আপনে রাঁধছিলেন?’

বেলির আচমকা এই প্রশ্নে চামেলি তৎক্ষণাৎ জবাব দিল না। কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে বলল, ‘না। আমি তো রান্ধা পারতাম না তহন।’

বেলি জবাবে কেবল বলল, ‘ওহ্।’

চামেলি কতক্ষণ চুপ করে বেলির দিকে তাকিয়ে রইল। বেগুনি রঙের শাড়িতে কালো বেলিকে তার কাছে মনে হলো কালাবেগুন। রূপের ছিটেফোঁটা সেই সারা শরীরের কোনো কোণাতে।
চামেলির এমন অদ্ভুত তাকানোতে বেলি বিব্রতভাব করল। কপাল কুঁচকে বলল, ‘কী দেহেন এমনে?’
বেলির কথায় চামেলির ধ্যানচ্যুত হলো। নাকটাকে পাঁচ হাত উঁচুতে তুলে ফেলল সে। যেন কোনো পচা সবজি দেখে ফেলেছে। মুখ-চোখে মারাত্মক রকমের বিরক্তি এনে বলল
‘দেহার মতন কিছু আছে না-কি তোমার ভেতরে?’

হয়তো এমন একটা প্রশ্নের পর যে-কোনো অসুন্দর মানুষ মুখ কালো করে ফেলতো। অস্বস্তিতে এটুকুন হয়ে যেত। অথচ বেলির মাঝে তার এক ভাগও দেখা গেল না। বরং মে দ্বিগুণ সম্মতি প্রদান করে বলল,
‘আমিও তো তা-ই কই। যেইহানে দেখার মতন কিছু নাই সেইহানে এমন কাঙ্গালিনীর মতন তাকায় আছেন ক্যান?’

বেলির কথায় তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল চামেলি। ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে উঠল তার মেজাজ,
‘তোমার তো ভারি চোপা! কাইল থেইকা দেখতাছি কারণে-অকারণে আমারে কথা শুনাইতে ভুল করো না। তোমার কোন পাঁকা ধানে আমি মই দিছি কও তো?’

বেলি চামেলির এমন রাগকে মোটেও তোয়াক্কা না করে হেলতে-দুলতে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। মাথার ঘোমটাটা আরেকটু আঁটসাঁট করতে করতে বলল,
‘এই বাড়িতে যহন প্রথম পা-ডা দিলাম তখন শুনি কে যেন আমারে শুনাইয়া শুনাইয়া কইতাছিল—”মুনিবের সবসময় একটা টান আছিল আমার প্রতি। ভাবছিলাম আমার রূপ দেইখা দেওর মনেহয় সামলাইতে পারে না নিজেরে। বউ আনলে মনেহয় আসমানের চান্দের চাইয়াও সুন্দর বউ আনব। কিন্তু শেষমেশ কি-না তালগাছের পেত্নী আনল!” এমন একটা কথা শুইন্যা আমি যখন মানুষটারে দেহনের লাইগ্যা তাকাই তহন আপনার মুখটাই দেখছি। লগে লগে এক দলা ছেফ ফালাইছি পিছনে ঘুইরা। দেওররে যে প্রেমিকের মতন ভাবে তারে কি বেডি কওয়া যায়? দেওরের বউরে যে সতীনের মতন কথা শোনায় তার লাইগ্যা এর চাইয়া বেশি ভালা আচরণ আমার আহে না। জামাই থাকতেও জামাইয়ের ভাইয়ের লাইগ্যা মন কান্দে যে বেডির, তারে কী কয় গেরামের মানুষ জানেন তো?’

সরাসরি এমন অপমান চামেলি আশা করেনি বোধহয়। কখনো কারো থেকে এমন আচরণ পেলে তারপরই না আশা করবে! দেখতে সে যেমন সুন্দরী, তার বাবার টাকাও আছে তেমন অঢেল। শ্বশুর বাড়ি হোক কিংবা বাপের বাড়ি, কোথাও তাকে তেমন কথা শুনতে হয় নাই। মাঝে মাঝে শাশুড়ি চোখ রাঙানো দেয় এতটুকুতেই তার শাসন সীমাবদ্ধ কিন্তু তাই বলে এমন বাজে ইঙ্গিত আর অপমান করবে নতুন বউ!
চামেলি আর টু শব্দটুকু করার আগেই বেলি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। তার ভেতরে কোনো অনুশোচনা নেই, আফসোস নেই। যে যেমন তাকে তেমন বলে কীসের আফসোস করবে সে? আফসোস করে বোকারা। কিন্তু সে বোকা নয়।

রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুক্তা ভূঁইয়া। ছোটো বৌয়ের আসার অপেক্ষাতেই যে ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার দাঁড়ানোর অঙ্গভঙ্গিই বলে দিচ্ছে সেটা। বেলি হেলে-দুলে রান্নাঘরে ঢুকতেই মুক্তা ভূঁইয়া স্বস্তির শ্বাস ফেললেন যেন। ছেলের বৌ যেমন চোপা নাড়ে, তিনি তো ভেবে ছিলেন হয়তো বেলি আসবেই না রান্না করতে। হয়তো এই রান্না নিয়ে আরেকটা কাহিনি করতে হতো বাড়িতে। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে বেলি আসলো। তা-ও খুব সুন্দর ভাবে ঘোমটা এঁটে। বেলিকে দেখেই মুক্তা ভূঁইয়া মুখ গম্ভীর করে বললেন,
‘কখন পাঠাইছি বড়োবৌরে ডাকতে? তুমি আইলা এখন৷ কী করছিলা এতক্ষণ লাগাইয়া?’

বেলি রান্নাঘরের পিঁড়িতে বসতে বসতে বলল, ‘আপার সাথে একটু কথা কইতে ছিলাম। আপা কইতেছিল আইজ নাকি আমারে সব রাঁধতে হইবো?’

‘হ। বিয়ার পরেরদিন আমরা বউগো হাতের রান্ধা খাই। এডা নিয়ম।’

‘কী রাঁধতে হইবো? কন।’

মুক্তা ভূঁইয়া জবাব দেওয়ার আগেই বাহিরে দাঁড়ানো বেলির ফুপু শাশুড়ি বললেন,
‘এখন ফ্রিজে চিংড়ি আছে ওডি নামাইয়া রান্ধন শুরু করো। এরপর বাজার থেইক্যা গুড়া মাছ, বড়ো মাছ, মুরগি আনবো। গুড়া মাছ বাইচ্ছা, কাইট্টা টমেটো, ধইন্যাপাতা দিয়া শুকনা কইরো আমার পছন্দ। বড়ো মাছের একপদ ভাইজো আরেকপদ ঝোল কইরো তোমার ফুপা আবার ঝোল ছাড়া খায় না। আর মুরগিটা রাইন্ধো। আর শেষে পোলাও আর ভাত রাইন্ধো। মুনিব আর তোমার শ্বশুর আবার বেশি পোলাও খাইতে পারে না।’

বেলি কতক্ষণ ফুপু শাশুড়ির দিকে চোখ ছোটো ছোটো করে তাকিয়ে থেকে মুখ ভেংচিয়ে বলল, ’এতডি রান্ধা আইজই রাঁধতে হইবো? জন্মের খানা খাইবো না-কি সকলে!’
বেলির মুখের লাগাম নেই। আর এখনের লাগামহীন কথাটাও বাহিরে থাকা ফুপু শাশুড়ি শুনে ফেললেন স্পষ্টই। হৈহল্লা করতে করতে ঢুকলেন রান্নাঘরে। বেলিকে মুখ ঝামটি দিয়ে বললেন,
‘ছি ছি ছি! এসব কেমন ধরণের কথা কয় এ বউ? বিয়া বাড়িতে একটু ভালো-মন্দ রানবো সেইডাই তো স্বাভাবিক। তোমরা আবার এডি বুঝবা কেমনে! আছিলা তো ফকিন্নির ঘরে।’

বেলিও ফুপু শাশুড়ির অঙ্গভঙ্গি নকল করে, শরীর নাচানোর মতন করে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল,
‘হ, ঠিকই কইছেন। আপনাগো মতন রাক্ষসী খানা খাইলে আমার শ্বশুর বাড়িও ফকিন্নি হইতে বেশিদিন লাগব না। কত জনমেরডা এক লগে খাইতে চান হুনি? ভাইয়ের টেকা দেইখা মজাই লাগে তাই না খাইতে?’

অবস্থা বেগতিক দেখে মুক্তা ভূঁইয়া ছোটো বৌকে ধমক লাগিয়ে দিলেন। বেলি না জানলেও তিনি জানেন তার ননদ-ননসেরা কেমন ধরণের। তাই নতুন বউকে আর কথা বাড়ানোর সুযোগ দিলেন না তিনি। ননদকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে বাহির করে দিলেন রান্নাঘর থেকে।
বেলি মুখ ভেঙিয়ে ফ্রিজ খুলল, চিংড়ি মাছ বের করল। তার শাশুড়ি তাকে সব দেখিয়ে দিল। সব দেখিয়ে-শুনিয়ে মুক্তা ভূঁইয়া বাহিরে যেতে নিলেই পিছু ডাকল বেলি,
‘আম্মা, শুনেন..’

মুক্তা ভূঁইয়াও পা থামালেন। বেলির মুখের আম্মা ডাকটা তার অন্তরের গভীরে গিয়ে একটা স্নেহের টান তৈরি করল যেন। তিনি প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে বেলির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কও?’

‘আপনেরা কি নতুন বউরে খাইতে দিতে চান না নতুন বৌ না কওয়া পর্যন্ত?’

মুক্তা ভূঁইয়া বুঝলেন না বেলির কথা। কপাল কুঁচকে বললেন, ‘কী?’

বেলি মাছ গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে রাখতে বলল, ‘কাইল আসার পর আপনেরা আমারে কোনো খাওন দেন নাই। পরে আমি সন্ধ্যার দিকে আর টিকতে না পাইরা লাজ ভাইঙা খাওন চাইলাম। রাইতেও কেউ আর খাইতে ডাকলেন না। হেই কাইল সন্ধ্যায় খাইছি আর আইজ বেলা বাজে নয়টা। আমি তো মানুষ আম্মা, আমারও তো খিদা লাগে হেইডা আপনেরা বুঝেন না? না-কি কালা আর গরিব দেইখ্যা ভাবেন আল্লাহ্ আমাগোরে খিদা-তিষ্ণা দেন নাই? আমারে একটু খাওন দিতে এত গায়ে লাগে আপনাগো, আম্মা? অথচ কত পদ রানতে দিলেন নিজোগো লাইগ্যা। গরিবগো কি খাইতে মন চায় না? নাকি কালাগো পেট নাই?’

এতগুলো কথা বেলি এক মনে নিচের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে করতেই বলল। একটা বারও হিংস্রতা দেখায়নি, রাগ দেখিয়েও বলেনি। মুক্তা ভূঁইয়া চুপ করেই রইলেন। এই কথার পরিবর্তে কী বলবেন তা খুঁজে পেলেন না যেন।
বেলি ততক্ষণে সবজি কাটতে শুরু করেছে। সবজি কাটাতে কাটতে বলল, ‘নতুন বউ কিছু কইলে কইবেন বেলাজা। অথচ এমন এমন কাজ কিংবা কথাই আপনারা বলছেন যে নতুন বউডার লাজ ভাঙতে হইছে বাইধ্য হইয়া। কিন্তু আপনাগো দোষ কেউ দেখব না। দেখব নতুন বউয়ের দোষ। ক্যান সে এমন করল? নতুন বউ হইয়া কেন এত চোপা করল। একটা বার ভাবেন না, চোপা করার লাইগ্যা আপনেরা কতখানি বাইধ্য করছেন।’

বেলির একের পর এক অভিযোগ মাখা বাক্যে মুক্তা ভূঁইয়া চুপ করেই থাকলেন। এরপর স্তব্ধ পায়ে নিঃশব্দে প্লেটে রুটি, মাংস সাজিয়ে পানির গ্লাস সমেত বেলির সামনে রেখেই অতি ব্যস্ততা দেখিয়ে বেরিয়ে গেলেন। যেন কী রাজকার্য তিনি রেখে এসেছেন! অথবা নিজেরও প্রথম বউ হওয়া জীবনের কথা মনে পড়ে গিয়েছে! কেই-বা বলতে পারে? কে কখন কার ভেতরে নিজের গল্প খুঁজে পায়! আজকের শাশুড়ি একসময় এতটা অবহেলার বউ ছিলেন নিশ্চয়। যুগ বদলেছে, অবস্থান বদলেছে। তাই হয়তো তিনি যা পাননি তা আরেক জনকে দিতে এত কৃপণতা!

বেলি রান্নায় বেশ পটু বের হলো। এক হাতে সামলে নিচ্ছে বিরাট রান্নাবান্না। কাজের খালা টুকটাক আগপাছ করে দিতে এলেও বেলি সাহায্য লাগবে না বলে তাকে বিশ্রাম করতে পাঠিয়েছে। এতে কাজের খালা এত বেশিই খুশি হলেন যে পুরো বাড়িতে ঘুরে ঘুরে নতুন বউয়ের গুণগান শুরু করে দিলেন।
মুনিব বাজার করা সামগ্রী ভ্যানে করে পাঠিয়ে নিজে গিয়েছিল আরেকটা কাজে। ফিরতে ফিরতে বাজল দুপুর একটা। বাড়ির মোটামুটি সকলে তখন বাহিরের জায়গাটায় বসে হাসি-ঠাট্টায় ব্যস্ত। মুনিব সেই ফাঁকে বাড়ির ভেতরে চলে গেল। ভেতরে ঢুকতেই রান্নাঘরের খুটখাট শব্দ শুনে উঁকি মারতেই ঘর্মাক্ত বেলিকে দেখল। ঘামে ভিজে একাকার মেয়েটার শরীর। এক মনে কাজই করে যাচ্ছে। মুনিব কোনো রকমের বিরক্ত না করে নিজের ঘরে চলে গেল।

বেলির রান্না প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। পোলাও রান্না বাকি আছে কেবল। তন্মধ্যেই সে পিঠে অনুভব করল শীতল বাতাস। কিছুটা চমকেই গেল। এমন ভ্যাপাসা গরমে বাতাসটা এতই আচমকা ছিল যে সে থমকে গিয়েছিল। তৎক্ষণাৎ পেছনে তাকাতে দেখল রান্নাঘরের দরজায় একটা ছোটো টেবিল ফ্যান রাখা। যা চলছে ঝড়ের গতিতে। ভ্যাপসা গরমটা নিমিষেই হাওয়ায় উড়ে গেল যেন। বেলি বুঝে উঠতে পারল না এ বাড়িতে তার এমন কোন শুভাকাঙ্খী আছে যে এতটা উপকার করল!
বেলিকে অবাক করে দিয়ে হাসতে হাসতে রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়াল মুনিব। চোখে-মুখে উপচে পড়ছে স্নিগ্ধতা। ভ্রু নাচিয়ে বলল,
‘কী আমার, মল্লিকা, রান্না করছো বুঝি?’

মুনিবের সম্বোধনে বেলির অবাক ভাব লজ্জায় পরিণত হলো। মৃদু স্বরে বলল, ‘হ। রান্ধি।’

‘কী রাঁধো?’

‘ম্যালা কিছু। আপনের যে-ই রাক্ষুসির গোষ্ঠী, ম্যালা না রাঁধলে নাকি মুখে দিতে পারে না।’

মুনিব হো হো করে হেসে দিল বেলির কথার ভঙ্গিতে। এগিয়ে এসে বেলির মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে বলল, ‘তাই বুঝি? আমার গোষ্ঠী একটু একটু কষ্ট দিয়েছে উড়নচণ্ডীকে তাই না? সেজন্যই কি এত রাগ?’

বেলি নিচু মাথা খানিক উঁচুতে তুলে তাকাল মুনিবের দিকে। চোখ ছলছল জল নিয়ে বলল,
‘একটু একটু?’

মুনিব আরেকটু এগিয়ে এসে বেলির গালে ছোটো ছোটো স্নেহের আলতো চ ড় দিয়ে বলল, ‘না তো, বেশি বেশি। তার জন্যই তো আমি একটু বেশি ভালোবাসা দিয়ে দিচ্ছি। পর মানুষের দুঃখ নাকি আপন মানুষের ভালোবাসা ভুলিয়ে দিতে পারে? তবে কি আমার ভালোবাসা এতটাই কম পড়েছে যে আমার মল্লিকার দুঃখই ঘুচছে না?’

মুনিবের শক্ত কথা বুঝল না বেলি। অবুঝ চোখে তাকিয়ে রইল। আবার হয়তো বুঝল কিন্তু কিছু বলল না। কিছু জিনিস না বুঝতে পারাই ভালো। বেশি বুঝে ফেললে সমস্যা আছে। তখন স্বার্থপর হওয়া যায় না। নিজের জন্য নিজেকে একমাত্র মানুষ ভাবা যায় না। তখন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে আমরা ভাবি আমাদের তো অমুক আছে। সে-ই আমাদের বাঁচাবে। কিন্তু দিনশেষে তো অমুকরা সবসময় থেকে যায় না।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে