সিক্রেট এজেন্ট
– আবির খান
পর্বঃ ০২
আফরান ওদের মিটিং প্লেসে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের মিটিং প্লেস হলো একটা পুরনো বাড়ির পিছনে। আফরান সেখানে অনেকক্ষন যাবত অপেক্ষা করছে। হঠাৎই কেউ ওর কাঁধে হাত রাখলো। আফরান চমকে গেলো। আফরান তাড়াতাড়ি পিছনে তাকিয়ে দেখে ওর সাথীরা।
— তোরা এসে ছিস?? (আফরান)
— হ্যাঁ দোস্ত। সবাই বলল।
— তোরা এখানে বস।
সবাই একসাথে বসলো। এবার আফরান বলতে শুরু করলো।
— শোন, জাফর খানকে এবার শেষ করতে হবে। জাফর খানের অধীনে আরো দুজন মাফিয়া আছে।
— সোয়েল আর কিবরিয়া। (সালমান)
— বাহ!!! ঠিক বলেছিস সালমান। হ্যাঁ এই দুটোকে আগে শেষ করতে হবে। তাহলেই জাফর খান অটো দূর্বল হয়ে যাবে।
— কিন্তু দোস্ত আমরা ডিরেক্ট জাফর খানকেই শেষ করে দি তাহলেইতো হয়। (রাফি)
— হ্যাঁ হয় কিন্তু এতে করে ওর বিস্তার করা খারাপ ব্যবসা গুলো বন্ধ হবেনা। ওর আন্ডারে যারা কাজ করে আগে তাদের শেষ করতে হবে তাহলে ও অটো দূর্বল হয়ে যাবে। আর ঠিক সে সময় ওকে শেষ করবো। তাই জাফর খানের অধীনে যে দুজন মাফিয়া আছে মানে সোয়েল আর কিবরিয়ার সব সিক্রেট আস্তানায় আমরা অ্যাটাক করবো। দেখি ওরা এবার কিভাবে শান্তিতে থাকে। জোর দিয়ে বলল।
— দোস্ত তুই অনেক সিরিয়াস হয়ে আছিস এই মিশন নিয়া। ব্যাপারটা কি বলতো?? (শামিম)
— কারণ জাফর খান সবচেয়ে জঘন্যতম দুইটা কাজ করে। এক মাদক, দুই নারী পাঁচার। ওরে ধরতে পারলে হয় খালি।
— তাহলে দোস্ত কালকে প্রথম কোথায় আমরা অ্যাটাক করছি?? (মামুন)
— সোয়েলের আস্তানায়।
— ওকে। সবাই বলল।
— সবাই ২৫ টা করে ম্যাগাজিন আনবি। আর আমি যে আমেরিকার হাইটেক আর্মসটা দিসি সবাই ওইটা আনবি। কাল ধামাকা হবে।
— ওকে বস। সবাই বলল।
— আচ্ছা এখন বাসায় যা তোরা। আমি রাতে ফুল প্লান আমাদের সিক্রেট বেইসে আলোচনা করবো।
— আচ্ছা দোস্ত। সবাই বলল।
এরপর সবাই মুহূর্তেই নাই হয়ে গেলো। মানে চলে গেলো। আফরানও বাসায় চলে যায় বাইক নিয়ে।।
— স্যার একটা কথা ছিলো। আস্তে করে।
— কি কথা তাড়াতাড়ি বল। গম্ভীর কণ্ঠে। (জাফর খান)
— আপনারে মারা জন্য সিক্রেট এজেন্ট হায়ার করছে তুহিন আহমেদ। ভয়ে ভয়ে বলল।
— কিহহহ। হাহাহাহা। সিক্রেট এজেন্ট!!! আমার চুলডাও বাকা করতে পারবো না ওর সিক্রেট মিক্রেট এজেন্ট। আমি জাফর খান মাফিয়ার সেরা। আমি ওগো এডিরে ভয় পাইনা।
— স্যার এজেন্টটা নাকি অনেক পাওয়ারফুল। ইনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট। আস্তে করে বলল।
— ভুখায়ায়ায়া।
জাফর খানের ডাকে পাশ থেকে বেরিয়ে এলো পশুর মতো দেখতে একজন ব্যক্তি।
— ও এহন পর্যন্ত কয়জনরে মারছে জানোছ??
— না স্যার। আস্তে করে।
— ২৫০ এর উপরে। এইতো হেদিনও একলগে ২০ টারে মারছে। আর তুই আছ এই ইনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট লইয়া। হোন, আমার লইগা কাম করস। বুইঝা হুইনা চলবি। নাই তোর বউ আর বাচ্চারে কিন্তু…
— না না স্যার কিচ্ছু হবে না। কেউ কিছু জানবে না।
— ওহানের সব খবর জেনো আগের মতো পাই।
— জ্বি স্যার পাবেন। তা স্যার একটু যদি চা পানি খাওয়ার জন্য…মিনমিনিয়ে বলল।
— তোরা আসলেই নিজের ডিপার্টমেন্ট এ এতো বড় পদে থাইকা আমার থেকে টাকা খাস। ওই সালাম ওরে দুইডা বান্ডিল দে। এহন যা।
টাকা নিয়ে চলে যায় লোকটা।
পরদিন সকালে,
— হ্যালো, তোরা সবাই রেডি থাক আমি গাড়ি নিয়ে তোদের বাসার সামনে আসছি।
— আচ্ছা দোস্ত। সবাই বলল।
আফরান সবাইকে গাড়িতে করে নিয়ে আস্তানার উল্টো পাশে একটা গলিতে গিয়ে গাড়ি রাখে। ওরা সবাই নেমে আড়ালে লুকিয়ে পরে।
— সবার আর্মসে সাইলেন্সার লাগানো আছেতো??
— হ্যাঁ বস। সবাই বলল। কাজের সময় আফরানকে ওরা বস বলে।
— গ্রেট। শোন, আমরা সবসময়ের মতো ৩ জন একপাশে ৩ জন্য অন্য পাশে। আমি , সালমান আর মামুন সামনে থেকে আর তোরা বাকিরা পিছনে থেকে যাবি। মনে রাখবি আমি ব্লুটুথে যাকে যেভাবে আদেশ করবো সে সেভাবে কাজ করবি। আগে উপরে থাকা শয়তান গুলোরে মারবি। আর আমি নিচের। সবাই সবার নিরাপদ পজিশনে থেকে কাজ করবি। আর আমি সংকেত দেওয়া মাত্রই সরে যাবি।
— ওকে বস। সবাই বলল।
আফরান আর্মস হাতে নিয়ে সালমান আর মামুনকে ওদের পজিশনে বসিয়ে ও লুকিয়ে পরে।
— সবাই সবার পজিশন পেয়েছিস??
— ইয়েস বস। সবাই বলল
— সবাই আল্লাহর নাম নে। আমি ফায়ার বলার সাথে সাথেই সবাই হেড সট করবি।
— ওকে। সবাই বলল।
— লেট দ্যা গেইম বিগেন। ফায়ার…..।
এরপর শুরু হয় গোলাগুলি। আস্তানায় যাদের হাতে বন্দুক ছিলো তাদের সবগুলো নিমিষেই পরে যায়। ৬ জন কয়েক মুহূর্তেই ২০ জনকে নামিয়ে দেয়। বাকিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই।
— এবার নিচের গুলোকে একসাথে। ফায়ার…
এরপর নিচের গুলোর সব হেড সট। ঠাস ঠাস করে আরো ২০ টা পরে গেলো। আর আছে ১০/১৫ জন।
— ব্যাক….১০.৯.৮.৭.৬.৫.৪.৩.২.১.০(অাফরান)
বুমমমমমমম…..
আফরান গ্রেনেড মেরে সোয়েলের আস্তানা উড়িয়ে দিলো।
— ডান। প্রথম মিশন কম্পলিট। (আফরান)
— আরে এটাতো একটা গেইম খেললাম। সেই মজা লাগলো কি বলিস। (নিলয়)
— আসলেই। হাহাহা। সবাই বলল।
— শোন সবাই, আমাদের এখন রিলেক্স হলে হবে না। কাল সোয়েবের আরো দুইটা আস্তানা আছে ওগুলোও ধ্বংস করতে হবে।
— ওকে বস। সবাই বলল।
— আচ্ছা চল এখন। একটু পরই প্রেস আসবে এখানে।
এরপর আফরানরা সবাই গাড়ি নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেলো।
তুহিন আহমেদ তার রুমে বসে কাজ করছিলেন। তার রুমের টিভি অন ছিলো। হঠাৎই টিভিতে খবরে বলে উঠলো,
“ব্রেকিং নিউজঃ মাফিয়া সোয়েল খানের আস্তানা একটু আগে তার কোনো শত্রু পক্ষ বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে গেছে। তবে কারা এ কাজ করেছে এখনো জানে জায়নি।”
তুহিন আহমেদ নিউজ দেখেতো অবাক মানে সেকি অবাক। পুরো আস্তানাই আফরান এভাবে উড়িয়ে দিবে তিনি কল্পনাও করেন নি। তুহিন আহমেদ খুশি হয়ে বলছেন,” সাব্বাশ মাই ইয়াং ম্যান সাব্বাশ। শয়তানগুলোকে এভাবেই শেষ করতে হবে। সাব্বাশ।”
তুহিন আহমেদ খুশিতে যখন আটখানা তখন অন্যদিকে জাফর খান রাগে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
— কিভাবে এমনডা হলো সোয়েল??? কিভাবে???
— স্যার হঠাৎ করেই অ্যাটাক করছে। কিচ্ছু বুঝিনাই। ভাগ্য ভালো আমি ছিলাম না।
— কত টাকার মাল ছিলো ওখানে?? গম্ভীর কণ্ঠে।
— স্যার ১০ কোটি।
— শাল***** তুই মরলি না কেন ওইখানে!!! আমার কাছে কোন মুখ নিয়া আইছোছ। অনেক রাগী কণ্ঠে।
পাশ থেকে কিবরিয়া বলে উঠলো,
— সব ওই তুহিন আহমেদের সিক্রেট এজেন্টের কাজ।
— আমিও দেখি ওরা আর কি কি করতে পারে। পলাশ আমগো সব আস্তানায় জোরদার পাহারা লাগাও। মেশিন যা আছে সব নিয়া নামতে কও। আহুক এবার ওরা। বাইচা যেন না যায়। আমার মতো মাফিয়া ওগো কাছে ভয় পাইবো। অসম্ভব।
সোয়েল জোর দিয়ে বলে উঠলো,
— এই সিক্রেট এজেন্টরা কারা!!!!
— সব বাইরাইবো নে। তুই দেখ খালি। আমার এত্তো বড় ক্ষতি। ওগোর খবর আছে এবার৷ খেলা শুরু। (জাফর খান)
রাত ১০.০৭ মিনিট,
আফরানের মা হঠাৎ ওর রুমে এসে আফরানের পাশে বসে। আফরান তখন লেপটপে নেক্সট মিশনের আস্তানার ম্যাপ দেখছিলো আর ছক করছিলো। আফরান ওর মাকে দেখে বলল,”মা কিছু বলবা??” আফরানের মা আফরানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,”আফরান একটা সত্যি কথা বলবি বাবা??” আফরান কিছুটা ভয় পেয়ে বলল,”হ্যাঁ মা বলো।” আফরানের মা বলল,”খোকা, তুই আমার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছিস নাতো??” আফরানের মনে গিয়ে আঘাত করে মায়ের প্রশ্নটা। মাকে কোনোভাবেই আমার আসল পরিচয় বলা যাবে না। এতে করে মা আমার টেনশনে অনেক অসুস্থ হয়ে পরবেন। আফরান এসব ভেবে ঠিক করে মাকে সুস্থ রাখার জন্য ওকে মিথ্যা বলতেই হবে। আফরান জড়তা কাটিয়ে হাসি দিয়ে মাকে বলে,”কই নাতো। আমি কি লুকাবো। আমার মাতো সব এমনিতেই জেনে যায়।”আফরানের মা চিন্তিত হয়ে বলে,”বাবা কেন জানি তোকে নিয়ে আমার খুব ভয় হয়। মনে হয় কেউ তোকে নিয়ে যাবে আমার কাছ থেকে। আর ফিরিয়ে দিবে না। আমার মন কেন জানি বলে তুই আমার কাছ থেকে অনেক কিছু লুকিয়েছিস।” আফরান মায়ের কথা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই মায়ের মতো আর কিছু হয়না। ওর প্রতিটি মিশন থেকে সুস্থভাবে ফিরে আসার পিছনে এক আল্লাহ তায়ালার রহমত আর মায়ের দোয়াই কাজ করে। আসলেই মা ছাড়া সন্তানকে কেউ বুঝতে পারেনা। আফরান মাকে অভয় দিয়ে বলল,”মা, আমি কিচ্ছু লুকাচ্ছি না। তুমি টেনশন করো নাতো। শুধু আমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করো। তাহলেই হবে।” মা বলল,”আচ্ছা। তুই তাহলে ঘুমা আমি যাই।” আফরান বলল,”আচ্ছা যাও। কোনো টেনশন করোনা। তোমার দোয়া আমার সাথে থাকলে আমার কিচ্ছু হবে না। ইনশাআল্লাহ।” মা বলল,”আমার দোয়া সমসময়ই তোর সাথে আছে। এখন ঘুমা। আর জাগিস না।” আফরান বলল,”আচ্ছা।” আফরানের মা চলে গেলো।
রাত ১২.৪৮ মিনিট,
আফরান ওর সিক্রেট বেইসে কালকের মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎই হাসান সাহেবের ভিডিও কল।
— হ্যালো আঙ্কেল। (অাফরান)
— আফরান তুমি এটা করছো কি?? তুহিন স্যারতো খুশিতে আটখানা হয়ে আছেন। তোমার অনেক প্রশংসা করছেন। গুড জব মাই বয়। (হাসান সাহেব)
— আরে এটা আমাদের বাহাতের খেলা। জাফর খানের খারাপ দিন শুরু। অনেক মানুষের জীবন শেষ করেছে। এবার ওর পালা। ওরতো পাওয়ার অনেক বেশি না। ওর পাওয়ারই আগে ধ্বংস করবো। তারপর ওকে।
— সাব্বাশ। হ্যাঁ এটাই চাই। আচ্ছা রাখছি তাহলে আমি।
— জ্বি আঙ্কেল।
হাসান সাহেব ফোন রেখে দিলে আফরান ওর সাথীদের ফোন দেয়। সবাই একসাথে ভিডিও কলে আছে।
— শামিম এমন চারটা বোমা বানা যা আমার স্মার্ট ওয়াচের সাথে কানেক্টেড থাকবে। অর্থ্যাৎ আমার কমান্ড অনুযায়ী বোমা গুলো ব্লাস্ট হবে।
— ওকে দোস্ত হয়ে যাবে। আমি অ্যাপ পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই শুধু ইন্সটল করে ওয়াচের সাথে কানেক্টেড করলেই হবে।
— ওকে। শোন কালকের মিশনটা একটু রিস্কের। কারণ কাল ব্লাক মানি লোড করতে হবে। কাল যে দুই জায়গায় অ্যাটাক করবো সেখানে অনেক ব্লাক মানি আছে। তাই নিলয় তুই ১০ টা স্লিপিং স্মোক বোমা বানা। যা ব্লাস্টের পর অন্তত ৩ ঘন্টা কেউ যাতে না জাগে।
— ওকে দোস্ত হয়ে যাবে। (নিলয়)
— কালকে সালমান আর আমি অ্যাকশনে থাকবো। মামুন আর রাফি তোরা মাইক্রোতে থাকবি। আর শামিম আর নিলয় টাকা গুলো সব মাইক্রোতে ভরবি তাড়াতাড়ি।
— ঠিক আছে দোস্ত। সবাই বলল।
— তাহলে তোরা তোদের কাজ কর। সকাল ১০ সবাই রেডি থাকিস।
— ওকে। সবাই বলল।
পরদিন সকালে আফরান রেডি হয়ে গাড়িতে সব লোড করে বেরিয়ে পরে। সবাইকে সবার বাসা থেকে পিক করে। সবাই স্পটে পৌঁছে যায়। গাড়িতে বসে আছে।
— যা বলেছি সব মনে আছেতো। শামিম আর নিলয় তোরা এখানে ১০ টা স্লিপিং স্মোক বোমা ফাটাবি। আমি আর সালমান তোদের প্রোটেকশনে থাকবো। আর রাফি আর মামুন মাইক্রোতে নিরাপত্তা দিবি।
— ওকে বস। সবাই বলল।
— দ্যান লেটস গো। সবাই মনে মনে আল্লাহ তায়ালার নাম নিয়ে নে। দেশের জন্য যদি আজ মরেও যেতে হয় তাও যাবো।
এরপর সবাই আল্লাহর নাম নিয়ে নেমে পরে মিশনে। আফরান আর সালমান গ্রেট পজিশনে চলে যায়। শামিম আর নিলয় কিবরিয়ার আস্তানার আশেপাশে ১০ টা স্লিপিং স্মোক বোমা ফাটায়। এই ধোঁয়া সবার নাকে যেতেই সবাই মুহূর্তেই একপ্রকার অজ্ঞান হয়ে যায়। আফরানরা যেন এই স্লিপিং স্মোক নাকে গিয়ে অজ্ঞান না হয়ে যায় তার জন্য সবাই আগেই এন্টিডোড নিয়ে রেখেছে। ফলে ওদের কাছে এটা একটা সামান্য ধোঁয়া। এরপর শামিম আর নিলয় মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকা পায়। সব গাড়িতে লোড হওয়া মাত্রই শামিম আর নিলয় চলে যায়। আফরান আর সালমান শামিমের বানানো সে বোমার ৪ টা বোমা ৪ দিকে লাগিয়ে গাড়িতে চলে যায়। আফরান গাড়ি নিয়ে কিছু দূর এসেই ওর ওয়াচের ১.২.৩.৪ বাটন ক্লিক করা মাত্রই কিবরিয়ার গুন্ডারা সহ আস্তানা ব্লাস্ট হয়ে উড়ে যায়। এর পর ওরা চলে যায় আবার সোয়েলের আস্তানায়। সেখানেও একই ভাবে মিশন চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই মাফিয়াদের আস্তানা সব জনবহুল এলাকা থেকে দূরে আর সিক্রেট হওয়ায় সাধারণ মানুষদের কোনো ক্ষতি হয়না এই মিশন চালাতে।
— তাহলে আজকের মিশন কম্পলিট। এখন যে যার বাসায় চলে যা তাড়াতাড়ি। আমি রাতে ভিডিও কল দিবো।
— ওকে বস। সবাই বলল।
— স্যার কিবরিয়া আর সোয়েলের আস্তানা শেষ সাথে টাকাও। (লোক)
জাফর খান চিৎকার করে উঠলো।
— সামান্য এই সিক্রেট এজেন্ট আমার এত্তো বড় ক্ষতি করতাছে। নাহ এবার আর বইসা থাকা যাইবো না। দেখ এবার আমি কি করি। ফোন লাগা ওরে। রাগী কণ্ঠে।
ভুখা একজনকে ফোন দেয়। ফোনদিয়ে জাফর খানের কাছে দেয়।
— এই সিক্রেট এজেন্টের সব ডিটেইলস আমি চাই। যদি না দিতে পারস তাহলে তোর কি হবে বুঝতেই পারছস। রাগী ভাবে।
— স্যার আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু একে কেউ চিনে না। আর এর তেমন একটা ডিটেইলস ও নাই ডিপার্টমেন্টে। তবে একটা সুযোগ আছে। আমি সেটাই দেখবো নে স্যার৷
— আমি এত্তো কিচ্ছু শুনতে চাইনা। আমি এর শেষ চাই। এবার আমি প্লান করবো সব। তুই খালি ওর ডিটেইলসটা আমারে তাড়াতাড়ি পাঠা। রাগী ভাবে।
— জ্বি স্যার আমি চেষ্টা করছি।
জাফর খান ফোন রেখে দেয়। ভুখা শোন….জাফর খান ভুখাকে কিছু কথা বলে।
— স্যার এতো বড় রিস্ক নিবেন??? যদি কোনো সমস্যা হয়??
— আমার ট্রেনিং দেওয়া। তোরেওতো দিসি। এবার এই কাজ করতে হবে। নাহলে ওকে শেষ করা যাবে না। এবার খালি দেখ ভুখা, ওকে কিভাবে মারি। আর এই সোয়েল আর কিবরিয়া কই??ওরা আমার*** কাজ করতাছে!!! রাগী কণ্ঠে।
— স্যার আপনি হুকুম করেন দুইটারে শেষ করে দি।
— না। শয়তানগুলা থাক পরে কাজে দিবো। শোন তুই ওরে খবর দে। তাড়াতাড়ি আইতে ক। ২ টা দিনে আমার সব ধান্দা বন্ধ হয়ে গেছে। লগে কতো গুলা টাকার ক্ষতি। না আমি ওরে ছাড়মুনা। ও আমারে প্লান কইরা শেষ করতে আইছে না। এবার আমিওওওও।
মধ্যে রাতে,
— শোন কাল সবাই সবার প্রয়োজনীয় আর্মস আর যা যা লাগে সব নিয়ে যে যার মতো করে কক্সবাজারে চলে যাবি। সেখানে যে আমাদের সিক্রেট বেইসটা আছে সেখানেই আমরা সবাই আমাদের আর্মস রাখবো। তবে আমরা থাকবো হোটেলে। আমি ৬ জনার নামে অালাদা রুম বুক করে রাখছি। আমি সবার ফোনে সব ডিটেইলস ম্যাসেজ করে দিচ্ছি। আমার স্পাই বলেছে এখানে কিছু দিনের মধ্যেই সোয়েল আর কিবরিয়া একসাথে একটা ইন্টারন্যাশনাল মাফিয়ার সাথে ডিল করবে। তখন ওদের আমি ইনকাউন্টার করবো নিজ হাতে। সবার সাথে কাল বিকেলে বিচে দেখা হচ্ছে।
— ওকে দোস্ত। সবাই বলল।।
— স্যার একটা ইনফরমেশন পাইছি। (লোক)
— কি?? (জাফর খান)
চলবে…..
আপনাদের কি এই গল্পটি ভালো লাগছে নাকি খারাপ?? জানাবেন কিন্তু। গল্পটিতে সামনে অনেক রোমাঞ্চকর মোড় আছে সাথে থাকবেন।