সাংসারিক রাজনীতি পর্ব-০২

0
3108

#সাংসারিক_রাজনীতি
#পর্ব_২
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

সুভা ভয়েই হোক আর প্রাকৃতিকভাবেই হোক, একসময় কাঁদতে কাঁদতে বুঝতে পারে, তার হয়তোবা পেইন উঠেছে। এছাড়া ডেলিভারি ডেট ও সামনেই ছিল। সে নিজের আর সন্তানদের জীবন বাঁচাতে সামনের দিকে ছুটে যেতে চাইলো রাস্তার দিকে। কিন্তু তার আগেই একটি বাইক এসে দাঁড়ায় সুভার সামনে। বাইকের আরোহীদের মধ্যে একজন ছিল তার স্বামীর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আরেকজন কে সে চিনে না। সেই ঝড় বৃষ্টির রাতে এক টুকরো আশার আলো হয়ে এসেছিল যেন তারা। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই সুভার চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। জানালার পাশে থেকে অসহায় রাজিব শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছিল সবকিছু। তার জানালা ধরে দাপাদাপি আর দরজার কাছে গিয়ে বাবাকে কাকুতিমিনতি করে খুলে দিতে বলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। রাজিবের বন্ধুরা হাসপাতালে ফোন দিয়ে তাদের গাড়ি পাঠাতে বললেও সুভার অবস্থা ছিল খারাপ। বাধ্য হয়েই রাজিবের বন্ধু কাছের একটা বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে সাহায্যের জন্য আকুতি করেছিল। ভাগ্যক্রমে সেই বাড়ির বয়স্ক মহিলা, যে ছিল একসময় দাই, সেই সুভাকে নরমালি ডেলিভারি করিয়েছিল। প্রথম বাচ্চাটা ঠিক থাকলেও দ্বিতীয় বাচ্চা আর সুভার অবস্থা ছিল খারাপ। ততক্ষণে হাসপাতালের গাড়িও পৌঁছে গিয়েছিল তাদের কাছে। সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করানোর ফলে সে যাত্রায় হয়তো সুভা আর সন্তানরা রক্ষা পেয়েছিল। না হলে হয়তো সেদিনই তাদের শেষ দিন ছিল।
সেই রাতে সমস্ত রাত বয়স্ক খান সাহেব বসে ছিল ডাইনিং টেবিল এ। তার যেমন একদিকে অনুশোচনা হচ্ছিল, তেমনি শান্তিও লাগছিল। অনেক দিনের প্রতিশোধ যে সে নিয়েছিল সুভার বংশের লোকেদের থেকে। কিন্তু সে কি আর বুঝেছিল, সেই রাতেই সুভার বাচ্চারা অর্থাৎ তার বংশের বাচ্চারাও তার থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। খান সাহেব সদর দরজা তখন খুলেছিল, যখন তাদের ছুটা বুয়া এসে দরজায় বারবার করাঘাত করছিল। বুয়া ভয়ে ভয়েই ডাইনিং রুম পেরিয়ে ড্রয়িং রুমের দরজা খুলেছিল। কারণ বাইরের কানাঘুষায় সে জেনেই এসেছিল, খান সাহেব তার ছেলের বউকে রাতের আঁধারে বের করে দিয়েছে। আর তার ছেলের দুটো বাচ্চাও হয়েছে। ড্রয়িং রুমের দরজা খুলেই সে বলছিল, “তোমাদের ছেলের বউয়ের অবস্থা বেশি ভালো না গো। তার ছোট মেয়েটার অবস্থাও ভালো না। তোমরা যাবে না দেখতে?”
বাড়ির সব লোক সহ তখন খান সাহেব জানলো, তাদের বাড়ির বউ অন্যের বাড়িতে বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। তখন খান সাহেব বুঝতে পারে, সে কি ভুলই না করেছে। অন্যের বাড়ির মেয়ে সহ নিজের রক্তকেও সে তাড়িয়েছে। কিন্তু সে যে নিরুপায় ছিল। তার যে কথা পালন করতেই হতো। সবশেষে কাজের মেয়েটি রাজিব এর ঘরের দরজা যখন খুললো, সারা রাতের নিদ্রাহীন ছেলেটা, যে একজন স্বামী, একজন বাবাও বটে রক্তচক্ষু নিয়ে এক পলক তার বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপরই সে বেড়িয়ে পড়েছিল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। বৃদ্ধ খান সাহেব বুঝেছিল, এই ছেলে আর ফিরবে না তার কাছে। জীবনেও না। কারণ সেও যে এখন বাবা হয়েছে। তবে, এতো কিছুর মধ্যেও যে মানুষ টা এর কিছুই জানতো না, সে ছিল বৃদ্ধ খান সাহেবের বর্ষীয়সী মা। সে তখনো জীবিত। সুভা তাকে সে রাতে সবার আগেই খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই, সে এসবের কিছুই জানতো না।
রাজিব যখন হাসপাতালে পৌঁছোলো, অবাক চোখে নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু মেয়ে আর সুভাকে পেল না। মেয়েটা কাচের ঘরে আর সুভার তখন ও ব্লিডিং হচ্ছিল অতিরিক্ত। তাই তাকে ডাক্তার এর অবজারভেশনেই রেখে ছিল। রাজিব ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিল অঝোর ধারায়। নিজেকে একজন ব্যর্থ বাবা, একজন ব্যর্থ স্বামী মনে হচ্ছিল। সেই প্রথমবার সুভার মায়ের রুদ্রমূর্তি দেখেছিল সে। তবে, তার পরিবারের উপর না। নিজের উপরই। বারবার বিলাপ করে বলেছিল, কেন সে এই পরিবারে মেয়ে বিয়ে দিয়েছিল। তবে, রাগারাগি করেছিল সুভার কাকিমা। অর্থাৎ, রাজিবের ফুপি। তবে, খান সাহেব কারো কথার কোনো জবাবই দেয় নি। আশেপাশের মানুষ আর তাদের পরিবারকে আগের সেই সম্মানের চোখে দেখে নি। দেখার কথাও না। সামনে থেকে কিছু না বললেও আড়ালে অনেকেই অনেক কিছু বলে। খান সাহেব এর পর থেকে বেশ চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। প্র‍য়োজন ছাড়া কারো সাথে বিশেষ কথা বলতো না। অবশ্য কেউ উনার সাথে কথা বলতেও চাইতেন না। নিজের স্ত্রীই বলতেন না, বাকি রা তো বলতেনই না। আর সেই মানুষ টাও না, যার জন্য সে এইসব করেছে।

রাজিব আর সুভার মা মিলে দুই কামরার একটা বাসা দেখে সেখানেই থাকতে শুরু করেছিল সুভা আর বাচ্চাদের নিয়ে। নিজেদের এলাকায়ও নেয়নি। কারণ, তাদের ও তো সমাজ আছে। সমাজের মানুষ এটা ওটা বলতো। সবচাইতে বেশি কষ্ট বোধহয় পেয়েছিল, সুভার কাকিমা। সে না পারছিল বাবার বাড়ির সামনে দাঁড়াতে। না পারছিল শ্বশুরবাড়িতে শান্তিতে থাকতে। সুভাকে সে যতো সম্ভব নিজের বাবার বাড়ির থেকে দূরে রেখেছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগের দিন গিয়েছিল সে খান বাড়িতে। নিজের আর সুভার যাবতীয় দরকারি জিনিসপত্র আনতে। তবে সে অবিবেচক না। বাবা ছাড়া আর সবার সাথেই কথা বলেছিল। খান সাহেব ছাড়া বাড়ির সবাই হাসপাতালে এসেই সুভা আর বাচ্চাদের দেখে গিয়েছিল এমনকি খান সাহেবের বর্ষীয়সী মা ও। কিন্তু যখন রাজিব এসে তাদের সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিল, সে বুঝতে পেরেছিল, তার সোনার সংসার ধ্বংসের পথে। নিজের বড় ছেলেকে বকেছিল, শাসিয়েছিল যাতে সে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু খান সাহেব ছিল নিরুত্তাপ। না কাউকে কিছু বলেছে, আর না কারো কথা শুনেছে।
রাজিবের সাথে দুই কামরার ফ্ল্যাট এ থাকতে সুভা চায়নি। সে সারাজীবন ঐ বাড়িতেই থাকতে চেয়েছিল কিন্তু তার মা আএ রাজিবের বিরোধিতায় পারেনি। তবে, রাজিবও যে সুখী ছিল, এমনটা নয়। সে নিজেও নিজের পরিবারকে মিস করতো। মাঝে মাঝেই বাড়ির অনেকেই আসতো। কিন্তু, সেটা তো বেড়াতে আসা। দুই মাস আগেই তার বাবা তাকে ফোন করে বাড়িতে ফিরতে বলেছিল। কিন্তু সে সরাসরি মানা করে দিয়েছিল। বারবার ফোন করে বিরক্ত করায় একবার সে বাড়িতেই ফোন রেখে দোকানে গিয়েছিল আর সেটাই ছিল তার ভুল। বাবার ফোন রিসিভ করেছিল সুভা। সুভার কাছে সরাসরি ক্ষমা চেয়েছিলেন খান সাহেব। উল্টো সুভাই তার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। সুভার ধারণা ছিল,হয়তো সুভা আরো বড় কোনো অপরাধ করেছিল যার কারণে খান সাহেব এমন করেছে। সে তাকে জানিয়েছিল তারা অবশ্যই ফিরবে। এরপর রাজিবের সাথে অনেক ঝগড়াঝাটি করে, কান্নাকাটি করে, বাচ্চাদের সুস্থ পরিবেশে বড় করার দোহাই দিয়ে সে রাজি করিয়েছিল সে এইখানে ফিরার। এই দুই মাসে সবার মুখে দাদা দাদা শুনতে শুনতে তাদের দুই সন্তান হুমায়রা আর হুজাইফা বুঝেই নিয়েছে দাদা হচ্ছে, অন্য কোনো জিনিস। দিনরাত
দাদা দাদা করে পাগল করে দিয়েছে সুভাকে।

“ভাবি, বাচ্চারা কই? বাচ্চাদের দাও।” ছোট কাকা শ্বশুরের ছোট মেয়ের কথায় বাস্তবে ফিরে আসে সে।
মুচকি হেসে তার কোলে থাকা হুমায়রা কে তুলে দেয় ননদের কোলে। একদল বাচ্চা কাচ্চা এসে ঘিরে ধরে সুভাকে। কাকি কাকি করে অস্থির করে ফেলে তাকে। ভাসুরদের ছেলেমেয়েরা একসময়ে সুভার সর্বক্ষণের খেলার সাথী ছিল যে। এর মাঝেই খান সাহেবের ছোট ভাই এসে বাচ্চাদের ধমক দিয়ে সুভাদের ঘরে নিয়ে যায়। নাহ! কোনো বউরা আসে নি তাদের নিতে। কারণ, খান বাড়ির নিয়মই যে তাই। হুটহাট বাইরের মানুষদের সামনে বের হতে পারবে না বাড়ির বউরা। বাড়ির সদর দরজা দিয়ে ঢুকার সময় সুভার মনে পড়ে সেই রাত্রির কথা যে রাত্রিতে তার বাবার সমতুল্য শ্বশুর তাকে বের করে দিয়েছিল। সেই দরজা দিয়েই আজ সে স্বসম্মানে প্রবেশ করছে। রাজিবের কোলে থাকা হুজায়ফা কেও কেউ নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেছে। রাজিবের দিকে তাকিয়ে দেখলো, সেও অস্বস্তিতে পড়ছে। সবাই তাদের ড্রয়িং রুমে নিয়ে গেলে দেখে, ইতোমধ্যেই তাদের ছেলে মেয়ে দাদার কোল দখল করে আছে। আর বলছে,” ওহহহ! তুমি তাহলে মানুছ? মা যে বললো দাদা!”
হুমায়রার বলা কথায় আর ভঙ্গিতে সবাই হেসে উঠলো। হুজায়ফা বললো,” আমলা তো বুচছিলাম, তুমি মিনিল মতো। আদুলে। মিনিল গায়ে লোম আচে। তোমাল ও তো দালি আচে। আত্তা, আমাল দালি নাই কেন?”
“তুমি বড় হও আগে। তোমার ও হবে দাদাভাই। ” খান সাহেব ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন। বাচ্চা দুটো অনেক বঞ্চিত হয়েছে। নিজের জিদকে প্রাধান্য দিয়ে সে অনেক বড় ভুল করেছে। সুভার দিকে তাকিয়ে তাকে কাছে আসতে বললো। আগের মতোই তার মাথায় হাত রেখে সবার অগোচরে দুটো ললিপপ হাতে গুজে দিয়ে জোরে জোরেই বললো,” আমাকে মাফ করিস মা। বুড়ো বাপ টা না বুঝেই অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে রে।” তারপর সব ছেলেদের উদ্দেশ্য করে বললো,” আযান দিয়ে দিয়েছে। নামাজ এ চলো সবাই। রান্না কতদূরে? সবাই নামাজ পড়ে এসেই কিন্তু খেতে বসবে। ” এর পর যেন অনেকটা পালিয়েই গেল সেখান থেকে। সুভা হাতে ললিপপ দুটো নিয়ে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে রইলো। এই লোকটার কাছেই যে একসময় এইসবের আবদার করতো সে। এখন ও মনে রেখেছে। তাহলে সেদিন কি এমন হয়েছিল, যে তাকে এইভাবে বের করে দিয়েছিল?

সুভার সারা দুপুর কাটলো নিজের ফেলে যাওয়া সংসার টা দেখতে দেখতেই। অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। ভাসুর এর বউরাও অনেকেই আর আগের মতো নেই। একসময় কেউ একজন তার কাছে হুজায়ফা কে দিয়ে যায়। সুভা বুঝে, ওর ক্ষুধা লেগেছে। সুজি খাওয়ানোর সময়ে ওর সেই ননদ হুমায়রা কে নিয়ে দরজার সামনে এসে বলে,”আসবো ভাবি?”
“রায় বাঘিনী ননদিনী যে, এসো। তা বলো কেমন যাচ্ছে দিনকাল?”
মোহনা হাত চুলকে বললো,” আমি ভালোই আছি ভাবি। তবে, এই বাড়িটা ভালো নেই।”
“কেন? কি হয়েছে এই বাড়ির?”
” বেশিরভাগ ভাবিরাই আলাদা থাকতে চায়। ওদের কথা, তোমরা আলাদা থাকো। ওরাও থাকবে। বড় কাকাও হয়তো সবাইকে নিজেদের প্রাপ্য সম্পদ দিয়ে দিবে। দাদি অনেক কাঁদে জানো তো?”
“আমি আন্দাজ করেছিলাম অনেকটাই। যাই হোক, দেখা যাক কি হয়। সামনে কি হবে, আমরা কেই বা বলতে পারি।”
“হুমম। ”

“তোমরা কেউ আমাকে প্রশ্ন করলে না, আমি কেন আমার ছেলে আর ছেলের বউয়ের সাথে এই রকম করলাম?”
” মিয়া ভাই, আজকের দিনটা না হয় থাক। আজকে সবাই আছি। সুভার বাড়ির মানুষ আছে। আমাদের বাড়ির মেয়ে জামাই রা আছে। আজকে না হয় থাকুক। সারাদিন সবাই অনেক আনন্দ করেছে। অন্য একদিন না হয় এই নিয়ে কথা বলবো।”
“নাহ! আজকেই হবে।” একটু জোর দিয়েই যেন বললেন খান সাহেব।
সারা ঘরে পিনপতন নীরবতা। খান সাহেব গলা খাঁকারি দিয়ে তার ছোট ভাইকে বললো,” যাও, মাকে এইখানে নিয়ে এসো।”
ছোট ভাই বড় ভাইয়ের নির্দেশ মতো মা কে হুইলচেয়ার করে নিয়ে আসে তাদের মা কে।
খান সাহেব আবার বলতে শুরু করে, “তোমরা জানতে চাও সুভার কি দোষ? ”
কেউ কোনো উত্তর না দিলে তিনি আবার বলেন,” আসলে আমার সুভা মায়ের কোনো দোষ ই নেই। ও কোনো অন্যায় করে নি। তবে, ওর একটাই দোষ, ও হক বাড়ির মেয়ে। ”
“তাতে কি বেয়াই সাহেব? তাতে আমাদের মেয়ের কি দোষ? ” সুভার বড় চাচা অর্থাৎ রাজিবের ফুপা বলে।
“কারণ অনেকই আছে। তবে, সবচেয়ে বড় কারণ কি জানো?”
সুভার বড় চাচা এবার একটু রেগেই উত্তর দেয়,”কি?”
“তোমার স্ত্রী।”
এইবার যেন বিনা মেঘেই বজ্রপাত হয় ঘরে। সুভার চাচা তার স্ত্রীর দিকে একবার তাকিয়ে দেখে, সে ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে কাচুমাচু হয়ে রীতিমতো ঘামছে।
“আমার স্ত্রী?”
“হ্যাঁ, তোমার স্ত্রী, আমার আদরের বোন, সুভার ভরসার হাত তার কাকিমা, আর আমার ছেলের সবচেয়ে প্রিয় ফুপি। ”
“সে কি করেছে? আমার স্ত্রী কি করেছে? আপনি আমাদের মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। আমার স্ত্রী তো কিছু করে নি। সে তো এখানে ছিলই না।”
” কিন্তু সেই এই সবকিছুর জন্য দায়ী। সুভা আর রাজিবের বিয়ে থেকে শুরু করে, সুভাকে বের করে দেওয়ার কারণও তোমার স্ত্রী। আমি তো শুধু একটা বোকা গুটি মাত্র। যে না বুঝেই এইসব করেছি। আমাকেই সবাই দূরে ঠেলে দিয়েছে। আসল অপরাধীর তো এখন ও কিছুই হলো না।” বলেই বোনের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো সে।
সুভা আর কিছু ভাবতে পারছে না। তার মাথা ঘুরছে। তার কাকিমা? তার কাকিমা এইসবের পিছনে দায়ী? কিন্তু কাকিমা তো তাকে ভালোবাসে। রাজিবকেও ভালোবাসে। তাহলে সে এইরকম কেন করেছে? কি তার উদ্দেশ্য? সুভা একবার তার কাকিমার দিকে তাকিয়ে দেখলো, তার চোখ মুখে আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। সুভা ভালোভাবেই বুঝতে পারে, তার শ্বশুরের কথাই সত্য। কিন্তু এতে কাকিমার কি লাভ হলো। সে কিছু বলতেই যাবে, কিন্তু তার আগেই খান সাহেব বলে…..

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে