সম্পর্ক পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব

0
1748

#সম্পর্ক
#Tasfiya Nur
#পর্বঃ শেষ পর্ব

মির্জা বাড়িতে হইচই চলছে আজ তিথিয়ার ষোলোতম জন্মদিন।সবাই ব্যস্ত বাড়ির একমাত্র বড় মেয়ের জন্মদিন সেলিব্রেশন করবে বলে।মহুয়া নিজেও কোমড়ে শাড়ি গুজে বাড়ির এমাথা ওমাথা দৌড়াদৌড়ি করে সব দেখছে। বয়সের ভারে নুইয়ে পরেছেন মিঃ এন্ড মিসেস মির্জা মানে রাহাতের বাবা মা।সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে গেছে হয়েছে রাহাত আর মহুয়ার বিয়েও আর তাদের ঘর আলো করে এসেছে তিতাস। নামটা তিথিয়া রেখেছে নিজের নামের সাথে মিলিয়ে। তিতাসটার বয়স সাতবছর চলছে।বোনের জন্মদিন সব দায়িত্ব যেন তার সারাবারি টইটই করে ঘুরছে আর ডেকোরেশন এর লোকদেন ঝাড়ছে।আর দূর থেকে তা দাড়িয়ে দেখছে রাহাত আর মহুয়া।
রাহাতের সাথে বিয়ে হওয়ায় সমাজের অনেক মানুষের চুলকানি মার্কা কথা শুনতে হয়েছে তাদের মুখের উপর জবাব দিয়ে চুপ করাতেও মহুয়ার সমস্যা হয়নি কারণ রাহাত পাশে ছিলো যে।যার জীবন তার কাছে আর সে কার সাথে পুরো জীবন কাটাবে এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার, অন্তত সেই জীবনে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।রাহাতের পুরো পরিবারও মহুয়াকে ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে খুশিই হয়েছেন, কিন্তু কিছু আত্মীয় স্বজনের সমস্যা ছিলো কিন্তু রাহাতের বাবা মা ততটা পাত্তা দেননি কারণ তিনি মনে করেন অন্যের কথায় যত পাত্তা দিবেন তত মাথায় চড়ে বসবে অন্যরা।বিয়ের পর মহুয়া গানটা ছেড়ে দেয় কিন্তু ফ্যাশন হাউজটা আজও আছে মাঝেমধ্যে মিঃ শাহিদের অনুরোধে গানে সুর দেয় মহুয়া রাহাতের সাথে জুটি ।রাহাতের সাথে মহুয়ার বিয়ের তিন বছর পর সব ঠিক হয় যার স্মৃতি হয়ে দুনিয়ার আলো দেখে তিতাস।তিথিয়া গেছে নিজের নানাভাইয়ের বাসায়। মূলত মহুয়াই পাঠিয়ে দিয়েছে সারপ্রাইজ দিতে।ছোট্ট তিথিয়াটা অনেক ঝড় সামলেছে নিজের ডিভোর্সি মায়ের সাথে আস্তে আস্তে যখন বড় হওয়ার সাথে সব সত্যি জেনেছে নিজের বাবার প্রতি অনেকটা ঘৃণা জন্ম নেয় যার দরুণ আজও সে সাগরকে আঙ্কেল ডাকে আর যতটা পারে এড়িয়ে যায়।একজন বাবার কাছে এরথেকে বড় আর কি শাস্তি হতে পারে,এর থেকে বড় শাস্তি হতে পারে বলে আমার মনে হয়না।
কি হলো মহুয়া কি ভাবছো তিতাসের দিকে তাকিয়ে ?
মহুয়াকে চুপ করে একনাগাড়ে তিতাসের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রশ্নটা করে রাহাত।
কিছুনা রাহাত শুধু ভাবছি সময়টা বড্ড অদ্ভুত দেখোই না কোথা থেকে কোথায় নিয়ে আসলো।
হুম অদ্ভুত কিন্তু বাদ দাও ওসব এখন মেয়ের জন্মদিনটা স্পেশাল ভাবে সাজাও।
হুম দেখছি সব তুমি একটু বাবার কাছে ফোন দিয়ে শুনোতো তিথিয়া সবাইকে নিয়ে বেরিয়েছে কিনা সব তো প্রায় হয়ে গেছে শুধু মেহমান আসা বাকি মেয়েটার জন্ম এমন সব ক্রাইসের মাঝে হয়েছিলো কোনোদিন জন্মদিন সেলিব্রেশন করিনি আজ করছি মেয়েটা চমকে যাবে এসব দেখে দেখো।
উল্লাসিত মুখে কথাটা বলে মহুয়া। রাহাত একনজরে তাকিয়ে মহুয়ার খুশি দেখছে অবশেষে সে সফল হয়েছে মহুয়াকে সুখি রাখতে অতীত তো মুছে ফেলা যায়না কিন্তু অতীত হাতরে ভালো থালার উপায়টা পাওয়া যায়।মহুয়া রাহাতকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জিগাসা করে,
কি হলো যাও আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখো?
প্রেয়সীর উল্লাস দেখছি।
মৃদু স্বরে কথাটা বলে রাহাত ফোন করতে চলে যায় মহুয়া সেখানেই হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ তারপর সেও মুচকি হেসে চলে যায় শ্বশুর শ্বাশুড়ির রুমে তাদের রেডি করিয়ে সেও যাবে রেডি হতে। দুপুর দুটো বেজে আসলো তবে তিনটা থেকে মেহমান আসা শুরু হবে।

কি হলো নানুভাই নানিমনি তোমরা আর কখন বেরুবে পাপাই অলরেডি কল করেছে জানোয় তো যেতে আধা ঘন্টার মতো সময় লাগবে।
কপট রাগ দেখিয়ে তিথিয়া তার নানা নানিকে বলে।সে কখন বলেছে রেডি হতে অথচ ওনারা বিছানায় হাত পা গুটিয়ে বসে আছে রেডি হয়ে। দুজনেরই বয়স পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে।
আরে আমাদের নানুভাই আমরা রেডি শুধু তোমার মামী আর আমার আরেক দাদুভাই বেরুলেই আমরা বেরুবো।
নানার কথায় তিথিয়া চিল্লিয়ে নিজের মামীকে ডাকে।সাথে সাথেই তিথিয়ার মামী কোলে করে এক পুচকু আর সাথেই দশবছরের দুজন ছেলেকে নিয়ে হাজির হয় সে। হুম এরা হচ্ছে মহুয়ার ভাই রিয়াদের স্ত্রী সন্তান।
আচ্ছা চলো বেরুই আমরা।কথাটা বলেই তিথিয়া বাইরে এসে গাড়িতে বসে ড্রাইভারকে বলে গাড়ি ছাড়তে। তার মামা অফিস থেকে চলে যাবে বাসায়, মহুয়া তিথিয়াকে বলে পাঠিয়েছিলো আজ বাসায় একটা গেট টুগেদার হবে তাই নানাভাই আর নানুমনিকে নিয়ে আসতে তাই তিথিয়া আসে কিন্তু সে তো জানেনা মহুয়া জন্মদিনের উপহার সাজাচ্ছে।
মহুয়া চলে যাওয়ার ছয়বছর পরে বিয়ে করেছিলো সে। ঢাকায় ভালো একটা জব হওয়ায় মা বাবাকে নিয়ে শিফট হয় ঢাকায় সেখান থেকে বোনের খোজ রাখতো সে রাহাতের সাথেও ভালো সম্পর্ক ছিলো তার যখন দেখে রাহাতের সাথে তার বোনের গান প্রকাশ হচ্ছে তখন গোপনে রাহাতের সাথে যোগাযোগ করে। রাহাতের থেকে ওয়াদা নিয়েছিলো মহুয়াকে কিছু বলবেনা সেই সুত্র ধরেই রিতুশার বিয়ের দিন রাহাত স্বপরিবার ধরে নিয়ে যায় তাদের বাসায় যা দেখে মহুয়া সারপ্রাইজড হয়ে যায়। পরে সব ভুল বুঝাবুঝি মিটে যায় যতহোক বাবা মা ভুল করলেই সন্তান ও কি ভুল করবে আর যা হয়েছিলো সব সাগরের ভুল বুঝানোর ফল তার শাস্তি বাবা মা কেন পাবে তাই সবাইকে আপন করে নেয় মহুয়া, ভুলে যায় সব।যখন সবাই সব সত্যি জানতে পারে খুব করে চাইতো মেয়েকে ফিরে পেতে কিন্তু রিয়াদ অপেক্ষায় ছিলো কবে মহুয়া নিজ থেকে সবার সামনে আসে আর সেই অপেক্ষার ফল হিসেবে রাহাত মিলিয়ে দেয় সবাইকে।সেদিন মহুয়া আরও একটা সারপ্রাইজ পায় সাগরের পাশে রুমাইশাকে দেখে। যে মেয়েটার জন্য তার সংসার ভাঙলো তাকেই আবার নিজের প্রাক্তন স্বামীর পাশে দেখা ব্যাপারটা যে কতটা কষ্টদায়ক একমাত্র সেই নারীই বুঝে যে নারী এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছে। তবুও নিজেকে শক্ত করে নেয় সে সবার সাথে হাসিমুখে বিয়েটা পার করে।পরে সাগরের বাবা একদিন মহুয়ার সাথে দেখা করে কথা বলে বুঝায় মহুয়াকে রুমাইশার জন্য যেহেতু সাগর বিপথে গেছে সেহেতু রুমাইশাই সাগরের পাপের সঙ্গী হয়ে থাকুক বুঝুক জীবনে ভালোবাসার মানুষকে পেয়েও হারানোর কষ্টটা। রুমাইশাকে নিয়ে যে সে সুখে থাকবেনা এটাই তার শাস্তি।সাগরের বাবা সব খোজ নিয়ে রুমাইশাকে ধরে নিয়ে আসেন রুমাইশার গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে।অনেক সময় নষ্ট করে রুমাইশাকে বুঝিয়ে রাজী করায় বিয়েতে তারপরই সবার সামনে আনেন তিনি সাদিফ আর রিতুশার বিয়ের দিন।সাগরের অবশ্য এতে মত ছিলোনা কিন্তু এতকিছুর পরও বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস তার ছিলোনা তারপরও সাহস করে মানা করলে তিনি বলে দেন ত্যায্য পুত্র করে দিবেন তাই বিয়েতে রাজী হয় সাগর।সাদিফ আর রিতুশার বিয়ের দুমাস পর চৌধুরী বাড়িতে হয়েছিলো সাগর আর রুমাইশার বিয়ে আর মির্জা বাড়িতে মহুয়া রাহাতের বিয়ে ঘরোয়া ভাবে।মহুয়াও তিথিয়ার কথা আর সবার কথা বুঝে বিশেষ করে মিসেস শিরিনের কথা রাজী হয় বিয়েতে সে।কিন্তু সবার জীবনে তো এমন রাহাত কিংবা মিসেস শিরিন থাকেন না নিজের জীবন নিয়ে লড়াই করতে হয় সব নারীকে।মিসেস শিরিন মহুয়ার বিয়ের পরই তার হাসব্যান্ড অসুস্থ হওয়ায় চলে যান তার কাছে যার দরুণ তার সাথে এখন ফোনে কথা হয় মহুয়ার।

চৌধুরী ভিলার ড্রয়িং রুমে দাড়িয়ে চিল্লিয়ে সবাইকে ডাকছে সিফাত আর ফারিহা আর বর্ষা,ফারিহা হচ্ছে রিতুশা আর সাদিফের মেয়ে বর্ষা সাদিদ আর তানিয়ার মেয়ে। বিয়ে করেছে সোহেল আর সুমিতিও তারা আর কাতার ব্যাক করেনি সাগরের বাবার কথায় রয়ে গেছে।সুমিতি স্বামীর সাথে কাজের সুত্রে চট্টগ্রাম থাকে তাই আসতে পারলোনা আজ।সাগর আর রুমাইশার বিয়ের এতদিন পেরুলোও সম্পর্ক টা স্বাভাবিক হয়নি না হয়েছে কোনো সন্তান মূলত রুমাইশার সমস্যা মা হতে তবুও সবাই চুপচাপ মেনে নেয় একটা মেয়ের মন আর জীবন দুটোয় নষ্ট করেছে এরা তারই শাস্তি এটা সবাই এটা ভেবেই নিজেদের শান্তনা দেয়।তিথিয়ার জন্মদিনে এরাও স্বপরিবারের নিমন্ত্রিত। সাগর আর রুমাইশা যেতে চাইছিলো না কিন্তু বাবার ঝাড়ি খেয়ে রেডি হয়ে নিচে নামে
বিয়ের এতগুলো বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু সাগর ভুলেও আর মহুয়ার সামনে যায়নি কিন্তু আজ আবার মুখোমুখি হতে হবে এটা ভাবতেই সাগরের মন খারাপ হচ্ছে। দুই গাড়িতে করে ভাগ হয়ে সবাই বের হয় তিথিয়াদের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

তিথিয়া সবাইকে নিয়ে বাসায় পা দিতে সারপ্রাইজড হয়ে পায়। পরে খুশিতে কেদেই দিয়েছিলো মহুয়া মেয়ের খুশিতে জড়িয়ে কেদে দেয়।সবাইকে ফ্রেশ হতে বলে মেয়েকে নিয়ে যায় রেডি করাতে মেয়েকে সাজিয়ে নিজেও সেজে নেয় একটু। আকাশী রং এর শাড়ি সাথে হালকা জুয়েলারি চুলগুলো খোপা করে নেয়।রেডি হয়ে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে সব ঠিক আছে কিনা চেক করছে মহুয়া।তখনই রাহাত পেছন থেকে এসে খোপায় দুটো তাজা গোলাপ গুজে দিয়ে পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে।
মহুয়া একটু লজ্জা পেয়ে বলে,
কি করছো দরজা খোলা যেকোনো সময় যেকেউ এসে পরবে বুড়ো হতে চললে তবু ফাজলামি কমলো না।
কে বললো আমরা বুড়ো হচ্ছি সবে সাইত্রিশ বছর তোমার কিন্তু এই মায়াবীলতার মায়া কমলো না চোখের কাজলে বারবার ডুবে যাই।
নিচে মেহমান আসার কলরব উঠতেই মহুয়া নিজেকে রাহাতের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে একপলক দেখে নিচে চলে যায়। মহুয়ার সাথে ম্যাচ করে জিন্স আর পান্জাবী পরেছে রাহাত ফর্সা মানুষটাকে যেন কালারটা মানিয়েছে বেশ। সেও মুচকি হেসে নিচে নেমে যায়।চোখ পরে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে থাকা পরিটার উপর তিতাস আর রিয়াদের ছেলে দুটোকে নিয়ে গল্পে মেতে আছে ষোলো বছর বয়সী তিথিয়াকে শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছে মহুয়া।মূলত তিথিয়া জীদ করে পড়েছে।গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায় মেয়ের সামনে তারপর হাত ধরে দাড় করিয়ে জড়িয়ে ধরে মেয়েকে তারপর ছাড়িয়ে চুমু খায় কপালে।তারপর বলে,
মেয়েটা কত্ত বড় হয়ে গেলো এই তো চোখের সামনে বড় করলাম হাত ধরে স্কুলে নিয়ে গেলাম কিছু দিন পর বিয়েও দিবো ভাবা যায় এতগুলো সময় কিভাবে জানি চলে গেলো।
তিথিয়াও ইমোশনাল হয়ে কেদে দেয় যারা মেহমান আসছিলো আর যারা আসছে এখনও সবাই বাবা মেয়ের আদর দেখে মুচকি হাসে। রান্নাঘরের দরজায় দাড়িয়ে এ দৃশ্য দেখছে মহুয়াও।মুচকি হেসে চোখের কোনায় জমা পানিটুকু মুছে ভাবে তাহলে রাহাতকে ভালোবেসে সম্পর্কের মর্যাদা ভুল সে করেনি।

ঠিক এই সময়টাতে উপস্থিত হয় চৌধুরী পরিবার। ব্যাপারটা চোখে পরে সাগরেরও দম আটকে আসছে তার আজ রাহাতের জায়গায় তার থাকার কথা ছিলো অথচ তার মেয়ে না তার সাথে কথা বলে না বাবা বলে ডাকে।মাঝে মাঝে ডাকে ঠিকই ডাকে তবে বাবা নয় আঙ্কেল বলে।সাগর চোখ পাকিয়ে তাকায় রুমাইশার দিকে এই মেয়েটার জন্যেই আজ এমন হলো তবুও কি অন্যায় তো সে নিজেও করেছিলো।
রাহাতের নজর ওদের দিকে গেলে মেয়েকে ছেড়ে। সবাইকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বসতে বলে।এসেছে রাহাতের ফুফুরাও রাত্রিও বিয়ে করে নিয়েছে যখন বুঝেছে রাহাত তার হবার নয় আজ তার কোলে চারবছরের মেয়ে।একটু পর রিয়াদও চলে আসে। পরিবারের সবাই উপস্থিত হয় ড্রয়িং রুমে ।সন্ধ্যার মাঝে সব মেহমান এসে পড়লে মহুয়া কেক কাটতে বলে তিথিয়াকে।কেক কাটা শেষে তিথিয়া জীদ করে বাবা মায়ের গান শুনবে বলে। পরিবারের সবাইও বলে গান ধরতে রাহাতও আর দেরি না করে
Jeene laga hoon pehle zyada গানটা শুরু করে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে সময় মতে মহুয়াও গানটার সাথে সুর ধরে।গান শেষে করতালিতে মুখরিত হয় পুরো ড্রয়িং রুমটা।খাবার দেওয়া হয় মেহমানদের সেই ফাকে সাগরকে একটা কথা বলে মহুয়া, সময় থাকতে সম্পর্কের মর্মটা বুঝতে শিখুন তাকে সময় এখনও আছে রুমাইশার সাথে সম্পর্ক টা উন্নতি করার আমিও যেমন মুভ করেছি লাইফে স্বামী সংসার নিয় ভালো আছি তেমন আপনিও থাকুন। আমি চাইনা কোনো সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে কোনো মেয়ের কষ্ট হতে এটা একটা জঘন্য ব্যাপার। এরপর চলে যায় সে অন্যদের খাবারের খোজ নিতে।

রাত এগারোটা সব মেহমান চলে গেছে রয়ে গেছে শুধু মহুয়ার বাবা মা আর রিতুশা সাদিফ আর তাদের মেয়ে।সাগরদেরও থাকতে বলে কিন্তু থাকেনা তারা। মহুয়াও সবেমাত্র ফ্রেশ হয়ে ব্যালকনির গ্রিলে হাত রেখে দাড়িয়ে রাতের আধার দেখছে।তখনই রাহাত গিয়ে মহুয়ার হাতের উপর হাত রাখে।তারপর জিগাসা করে,
কি ভাবছো?
মহুয়াও পিছন ফিরে রাহাতের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে উত্তর দেয়
ভাবছি ভালো থাকুক স্বাভাবিক থাকুক পৃথিনীর প্রতিটা সম্পর্ক। সম্মান দিতে শিখুক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা প্রতিটা মানুষ।

রাহাতও নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে পরম যত্নে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে যাচ্ছে সময় এভাবেই যাক না ভালোবাসা ময় হয়ে।

সমাপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে