সম্পর্ক পর্ব-০৬

0
900

#সম্পর্ক
#Tasfiya Nur
#পর্বঃ৬

কনসার্টে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে মহুয়া।এরমাঝে রাহাতের কয়েকবার কল করে তাকে জানান দেওয়া শেষ সেই নিয়ে যেত কিন্তু রিতুশা কনসার্টে যাবে বলে মহুয়াকে ওয়েট করতে মানা করে চলে যেতে বলেছে। মহুয়ার সাথে যাওয়ার জন্য তিথিয়াও জিদ করছে শেষ পর্যন্ত মেয়ের জিদের সাথে না পেরে তিথিয়াকে রেডি করে দিয়ে নিজে রেডি হচ্ছে। তিথিয়াকে দেখে রাখতে মিসেস শিরিনকেও সাথে নিচ্ছে মহুয়া। তাকে স্টেজে গান করতে হবে তিথিয়াকে কিভাবে দেখবে এটা ভেবেই তাকে নিয়ে যাচ্ছে মহুয়া।কাল অত রাতে মহুয়াকে ফিরতে দেখে মিসেস শিরিন একটু অবাক হয়েছিলেন বটে কিন্তু কিছু বললেননি তিনি বিশ্বাস করেন মহুয়া যা করবে নিজের আর তিথিয়ার ভালো কথা ভেবেই করবে। এত বিশ্বাস আছে বলেই হয়তো মিসেস শিরিন আর মহুয়ার সম্পর্ক টা এত মজবুত।
লেডিস জিন্স আর ফুলহাতা টপস আর স্কার্ফ গলায় পেচিয়ে পড়ে চুল গুলো উচুতে ঝুটি করে মাথার ক্যাপ আর মুখের মাস্ক সানগ্লাস হাতে নিয়ে ড্রয়িং রুমে বেরিয়ে আসে মহুয়া,যতগুলো কনসার্ট হয়েছে এই অব্দি কারো সামনে সে মুখ পুরোটা দেখায়নি আর সবাই তাকে মৌমিতা নামে বেশি চিনে।সেখানে তার মেয়ে আর ফুফুমা বসে আছে তার জন্য। মিসেস শিরিনকে মহুয়া ফুফু আর মা দুটো মিলিয়ে আন্টি থেকে ফুফুমা বলে ডাকে এখন। বেরুনোর জন্য পা বাড়াতেই ফোনটা আবার বেজে উঠে মহুয়ার।মিসেস শিরিনকে দরজা লাগিয়ে তিথিয়াকে নিয়ে পার্কিং লটে আসতে বলে সে নিজে গাড়ির চাবি নিয়ে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে বলতে চলে যায় নিচে।রাহাতের সাথে কথা বলা শেষ হলে গাড়িতে উঠে ওয়েট করে মেয়ে আর মিসেস শিরিনের জন্য। কিছুক্ষণের মাঝেই তার মেয়ে মিসেস শিরিনের হাত ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে তার দিকে।মেয়ের কান্ড দেখে হেসে ফেলে মহুয়া মেয়ের খুশিতে সে নিজেও অনেকটা খুশি বোধ করে।
আমার জীবনের শুরু আর শেষ তোকে ঘিরেই হোক তিথিয়া তোর জন্য এই সমাজে শক্ত হয়ে নানান জনের কথা উপেক্ষা করে তোকে দুনিয়াতে এনেছি এখন শুধু তোকে মানুষের মতো মানুষ করা তুই তো ছোট্ট মা আমার তুই জানিসও না মা তোর মাকে এই সমাজ কি চোখে দেখে এজ এ ডিভোর্সি উমেন এই সমাজ তোর মাকেই দোষ দিবে কারণ এই সমাজ তো এটাই বুঝে ডিভোর্সি মানে মেয়েটারই সব দোষ নয়তো স্বামী তাকে ছাড়বে কেন।গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে মনে মনে এসব ভাবছিলো মহুয়া এই সময় তিথিয়া এসে তাকে ডাক দেয় যার ফলে ভাবনা রেখে সে মেয়েকে গাড়িতে তুলে দিয়ে মিসেস শিরিনকে উঠতে বলে নিজে ড্রাইভিং সীটে বসে গাড়ি স্টার্ট করে।

ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে রেডি হয়ে সাগর পিছন ঘুরতেই দেখে সাদিফ দাড়িয়ে আছে। এমনিতেই তার যেতে ইচ্ছে করছেনা শুধু বাবার কথা রাখতে যেতে চায় সে কিন্তু সাদিফ তার সাথে যাওয়ার জন্য লাফাচ্ছে রিতুশা নাকি আসবে ফোন করে জানতে পেরেছে। এজন্য বিরক্তিতে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে সাদিফের দিকে। বাইরে ওয়েট করছি যার যাওয়ার সে আসতে পারো বলে হনহনিয়ে বাইরে চলে যায় সাগর।সাদিফ ড্রয়িং রুমে পা দিতেই দেখে বড় ভাইয়ার ছেলে সিফাত দাড়িয়ে আছে রেডি হয়ে।
দেখোনা সাদিফ সিফাতটা যাওয়ার জন্য জিদ করেছে আমি এত মানা করলাম শুনেনি। মুখটা কাচুমাচু করে বলে তানিয়া।
সমস্যা নেই ভাবি চল সিফাত আজ চাচা ভাতিজা মিলে তোর গোমড়ামুখো বড় চাচ্চুকে ধরে জ্বালাবো অনেক।কথাটা বলে দাত বের করে হাসে সাদিফ। সাদিফের সাথে তাল মিলিয়ে মাকে বাই বলে চলে যায় দুজন।সাগর গাড়ি নিয়ে বাসার গেটে বসে ছিলো ওরা যেতেই গাড়ি হাই স্পিড এ ছেড়ে দেয় বাসা থেকে কলেজটা বেশি দূরে নয় বিশ মিনিটের রাস্তা।

কলেজের গেটে দাড়িয়ে আছে রাহাত আর রিতুশা সাথে কনসার্ট এ শো করার পুরো টিম অথচ মহুয়ার খোজ নেই।
এই মেয়েটা সবখানে লেট সবটা সময় আল্লাহ মালুম এত কিসের কাজ তার বাসায় এদিকে চিফ গেস্টও এসে গেছে শুনলাম কিছুক্ষণের মাঝে শুরু হয়ে যাবে কনসার্ট।বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো বলে মিঃ শাহেদ।
তার কথা শুনে মহুয়াকে ফোন দেয় রাহাত। সে আর মহুয়া মেইন সিংগার তারা না যাওয়া অব্দি তো শো শুরু হবেনা।
ফোন রিং হতেই মহুয়ার গাড়ি এসে থেমে যায় রাহাতদের সামনে।গাড়ি থেকে নেমে আসে মহুয়া তিথিয়া আর মিসেস শিরিন। ওদের দেখে সবাই একটু খুশি হয়।সবার সামনে এসে মহুয়া এককানে হাত দিয়ে বলে উঠে,
সরি সরি, সরি ফর লেট আর এমন হবেনা।
আর কতবার এটা বলবে মহুয়া এটা নতুন কিছুনা এর আগেও বলেছো।তবুও সবজায়গায় সবসময় লেট লতিফা তুমি।তোমার নাম এত সুন্দর না হয়ে লতিফা হওয়া লাগতো।
মহুয়ার কথার উত্তরে বলেন মিঃ শাহেদ।সবাই একদফা হেসে ভিতর দিকে পা বাড়ায় তিথিয়া রাহাতের কোলে উঠে গেছে গলা দুইহাতে জড়িয়ে নানান গল্প জুড়ে দিয়েছে সে রাহাতও কথার সাথে হু হা করে যাচ্ছে তার পাশেই মহুয়া হাটছে মুখে মাস্ক আর চোখে সানগ্লাস মাথায় ক্যাপ দিয়ে যে কেউ ভেবে নিবে একটা হ্যাপি ফ্যামিলি।এই ভর সন্ধ্যায় চোখে সানগ্লাস দেওয়ায় রাহাত ইয়ার্কি করে বলে,
ভরসন্ধ্যায় তোমার চোখের পাওয়ার কি বেড়ে গেলো মহুয়া যে সানগ্লাস পরলে।রাহাতের ইয়ার্কি মহুয়া বুঝতে পেরে বললো,এটা নতুন নয় রাহাত সো স্টপ ইট নাউ ফানের মুডে নেই আমি ভয় লাগছে যাদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি তাদের সামনে গান করা ব্যাপারটা খুব টাফ।
রাহাতও মুখটা গোমড়া করে আর কিছু বললো না বিরবিরিয়ে মহুয়ার কথা ব্যঙ্গ করলো ফান করার মুডে নেই।
শো স্টেজের সামনে মিসেস শিরিন রিতুশা আর তিথিয়াকে সাদিফের পাশে বসে দিয়ে যায় রাহাত।মহুয়া সবার সাথে গানের লিরিজ নিয়ে ডিসকাস করছে তাই আসেনি। মূলত কলেজে ঢুকে কল করে তারা একত্রিত হয়েছে। সাগর চিফ গেস্টের সীটে বসে মোবাইলের ভিতর চোখ গেড়ে বসে আছে চারদিকে তার খেয়াল নেই সে আপনমনে ব্যস্ত।
কনসার্ট শুরু হয়ে গেছে প্রথমে রাহাত একা পারফম করবে তারপর মহুয়া এরপর দুজনে ডুয়েট ভাবে পারফম করে শো শেষ করবে।

স্টেজের সামনে সারিবদ্ধ চেয়ারগুলো বসে তিথিয়া আনন্দ সহিত সব দেখছে মহুয়া স্টেজের এক কোর্ণারে দারিয়ে রাহাতের গান শুনছে। তোমায় যে পাবে সে খুব ভাগ্যবতী হবে রাহাত জানিনা তুমি আমায় ভালোবাসো কিনা কিন্তু এটুকু জানি আমার উপর তুমি দূর্বল শুধু মেয়েটার কথা ভেবে তোমার সাথে কাজ করি নয়তো এখান থেকে পালাতাম কিন্তু আর কত পালানো যায় বলোতো চোখের আড়াল হলে তো মনের আড়াল হয়ে যায় মানুষ তাই তো শুনেছি এই তো দেখোনা ভাইয়া আমায় সাপোর্ট করেছিলো কিন্তু যোগাযোগ থাকলে আমি দুর্বল হয়ে থাকবো বলে ভাইয়াও যোগাযোগ করেনা কিন্তু জানিনা কিভাবে খোজখবর রাখে। আমার কি করার রাহাত তোমাকে খুব ভালো বন্ধু ভাবি আমি কখনো ভালোবাসতে পারবোনা কারণ সাগর নামের মানুষটার সাথে জড়ানো সম্পর্কটা আজও আমায় কাদিয়ে ছাড়ে ভুলবো কিভাবো ভালোবাসি তো তাকে ভালোবাসার তো কোনো পাস্ট টেনস হয়না যে বলবো ভালোবাসতাম তাকে আগেও ভালোবেসেছি আজও বাসি ভবিষ্যতেও বেসে যাবো পাশাপাশি ঘৃণাও করবো মাফ কখনো করবোনা পারবনা করতে,এখন আমার অবস্থা না পারছি তাকে ভুলতে না পারছি তোমায় জীবন থেকে সরাতে কারণ তুমি যে আমায় আগলে রেখেছো আমার মেয়েটাকে আদরের পরশ দিচ্ছো কিন্তু এটা কেন বোঝোনা রাহাত একটা ডিভোর্সি মেয়েকে তোমার মতো অবিবাহিত ভালো পরিবারের ছেলের বউ হিসেবে আমায় কেন মানবে এজন্য হলেও তোমার থেকে দূরে সরে যেতে হয়তো আমায় হবে এতে জীবনে তুমি হয়তো উন্নতি করতে পারবে।কাজের সূত্র ধরে হলেও যে তোমার সামনে আমায় আসতে হয়, ও আল্লাহ বলোনা আমায় আমি কি করবো পথ দেখাও আল্লাহ এ কেমন দোটানায় রাখলে আমায়। আনমনে কথাগুলো ভেবে যাচ্ছে মহুয়া।
এতক্ষণ পারফম করছিলো মিঃ রাহাত এবার স্টেজে আসবে তারই ডুয়েট পাটনার মিস মৌমিতা।স্টেজে হঠাৎই স্পিকার এ উপস্থাপিকার মুখে তার নাম এনাউন্স হলে ভাবনা রেখে স্টেজে উঠে মহুয়া,মহুয়ার নাম শুনে চমকে তাকায় সাগর। স্টেজে উঠে আসছে একটা জিন্স টপস মাথায় ক্যাপ মুখে মাস্ক লাগানো মেয়ে। সে আনমনে ভেবে যাচ্ছে এটা তার মহুপাখি নয়তো।স্টেজের সামনে সাদিফ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে সেও চিন্তিত হয়ে আছে এটা ভেবে এই মেয়েটা তার ভাবী নয়তো।এতদিন শুধু নাম আর গান শুনতো সুরটা লাগতো তার ভাবীর মতোয় কিন্তু কখনো সামনাসামনি দেখেনি বলে এত মাথা ঘামায়নি কিন্তু আজ তার কাছে মৌমিতা নামের সিংগারটিকে তার ভাবীর মতোয় লাগছে।

মহুয়া সবার সামনে স্পিকারে টুকটাক দুএকটা কথা বলে গান শুরু করে। সাগর শুধু ধান্দা লেগে গান শুনে যাচ্ছে এটা যে তার মহুপাখির গানই এই গলার স্বর তার চেনা গানের সুরটাও তার চেনা।যাকে এত হন্তদন্ত হয়ে খুজছি সে একি শহরে নামকরা সিংগার মৌমিতা হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে তারমানে রাহাতদের বাড়িতে ঐদিন মহুয়াই ছিলো তাকে দেখে সামনে আসেনি আচ্ছা ওর সাথে রাহাতের বিয়ে হয়নি তো। কথাগুলো ভাবতেই সাগরের মনের মাঝে একটা চাপা যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে। স্টেজের সামনে চিন্তিত হয়ে বসে আছে সাদিফ তাকে চিন্তিত দেখে রিতুশা প্রশ্ন করে, এনিথিং রং সাদিফ এমন লাগছে কেন তোমায়।সাদিফ প্রতিউত্তরে বলে, নাথিং রিতু আ’ম ফাইন।

একে একে অনেকগুলো গান করে স্টেজ কাপিয়ে থামে মহুয়া একটু ব্রেক নেয় এরপর রাহাত ও একসাথে উঠে কয়েকটা ডুয়েট গান করে রাত সাড়ে এগারোটায় শেষ হয় কনসার্ট মূলত সাগরই স্টপ করতে বলে কলেজ প্রিন্সিপালকে তার ধৈর্য সহ্য হচ্ছে না মহুয়ার সাথে কথা বলতে মন আকুপাকু করছে।
স্টেজ থেকে সব শেষ করে এক কর্ণার এ দাড়িয়ে রাহাত আর ও কথা বলছে ঐ সময় মিসেস শিরিন তিথিয়াকে নিয়ে আসে কোলে করে তিথিয়া ঘুমে কাদা রিতুশা পাশে দাড়ায় উনার তিথিয়াকে কোলে রাখতে হেল্প করছে সে। সাদিফ শো শেষ হলে তার ভাইয়ের কাছে সিফাতকে নিয়ে।কথা বলার এক পর্যায়ে মহুয়া মুখ থেকে মাস্ক খুলে মাথা থেকে ক্যাপটা নামায়। তিথিয়াকে রাহাত নিজের কোলে নিয়ে নিয়েছে। মিসেস শিরিন আর রিতুশাকে মহুয়া গাড়ির কাছে জোড় করে পাঠিয়ে দেয়।রাহাত কোলে করে তিথিয়াকে দিয়ে আসতে গেছে।মহুয়া মিঃ শাহেদ আর পুরো ব্যান্ড টিম যেখানে সেখানে যেতে পা বাড়াতেই পিছন থেকে একটা পরিচিত গলার স্বর ডেকে উঠে মহুপাখি।
সাগরের গলার স্বর শুনে মহুয়া জমে বরফ বনে গেছে মনে পা দুটো স্থির হয়ে গেছে মন বলছে দারাস না পা তোলার শক্তিটা যেন পাচ্ছে না, মনে মনে ভাবছে একদিন তো মুখোমুখি হতেই হতো তাহলে আজ কেন পালাবো অনেক হলো লুকোচুরি আজ তবে হওয়া হোক সামনাসামনি।
পিছন ফিরে তাকায় সে দেখতে পায় সাগর আর সাদিফ দাড়িয়ে আছে।সাদিফের কোলে সিফাত ঘুমিয়ে আছে বুঝায় যাচ্ছে অতবড় বাচ্চাকে কোলে নিয়ে থাকতে তার হিমশিম অবস্থা। সাগর এজন্য সাদিফকে বললো,
তুই সিফাতকে গাড়িতে নিয়ে যা আমি মহুয়ার সাথে কথা বলে আসছি আমি।
সাদিফ নিঃশব্দে চলে যায়। সাগর মহুয়ার সামনে গিয়ে জিগাসা করে,
কেমন আছো মহুপাখি।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনি কেমন আছেন?
আমি কেমন থাকবো জানোনা যন্ত্রণায় ছটফট করে গুমরে যাচ্ছি তবে তুমি কেন এত কষ্ট দিলে।
সাগরের কথায় জোড়ে হেসে উঠে মহুয়া সাগর ঘাবরে যায় তার হাসিতে জিগাসা করে,
হাসছো কেন মহুয়া হাসার মতো কি বললাম।
হাসবোনা কি করবো বলুন তো কষ্ট দিয়েছি তাও আমি আচ্ছা বউ রেখে অন্যের কাছে গিয়েছে কে আমার উপর চরিত্রহীনার অপবাদ দিয়ে পুরো গ্রামে অপমান করেছে কে আমার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেছে কে আমার পুরো পরিবারকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে কে মিঃ সাগর চৌধুরী এরপরও বলবেন আমি যন্ত্রণা দিয়েছি।মানছি ভুল করেছিলাম কিন্তু যেনতেন ভুলও কিন্তু আমি করিনি যে এতবড় শাস্তি আমার যোগ্য ছিলো নিজের কাজিনের সাথে ফ্রি হওয়া যদি ভুল হয় করেছি আমি সেই ভুল আপনি যদি আমায় সময় না দেন এতে আমি যদি তাদের সাথে আড্ডা দিই এটাও আমার দোষ আপনার সমস্যা ছিলো আরাফাত ভাইকে নিয়ে তো বলতেন আমায় সেদিন ভাইয়ার সাথে কোথায় গিয়েছিলাম শুনতেন না আপনি কিছু শুনেননি বরঞ্চ না আপনি আমার জীবনটাই এলেমেলো করে দিলেন। কথা গুলো একনাগারে বলে তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো মহুয়া।
মহুয়ার কথায় মাথানিচু করে ফেলে সাগর, তারপর অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে,
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি মহুয়া আমাকে কি দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া যায়না?
তাদের কথার মাঝেই রাহাত হাসি হাসি মুখ নিয়ে মহুয়ার পাশে দাড়িেয় ডাক দেয় মহুয়াকে। মহুয়ার পাশে রাহাতকে দেখে অপ্রতিভ চোখে তাকিয়ে আছে সাগর,মহুয়া একবার রাহাতের দিকে তাকিয়ে সাগরের দিকে তাকায়।রাহাত মহুয়ার তাকানো অনুসরণ করে সামনে তাকিয়ে সাগরকে দেখতে পায়। মহুয়ার সাথে সাগরকে দেখে রাহাতের আত্মা কেপে উঠে মনের ভিতর প্রশ্ন জাগে সাগর এখানে কি করে মহুয়াকে নিয়ে যাবে তারসাথে?

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে