সম্পর্কের বন্ধন পর্ব-১২

0
1061

#সম্পর্কের_বন্ধন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_১২

রঙিন কাপড়ে নিজেকে মুড়িয়ে ঘাড় অব্দি ছোট চুল উন্মুক্ত রেখে এক অপ্সরা নিজেকে আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে। তার সৌন্দর্য প্রকাশের কোনো কমতি না থেকে যায়। লেহেঙ্গার ওড়নাটা পেছন দিক দিয়ে দুহাতের উপর দু’প্রান্ত ঝুলিয়ে পার্স হাতে নিলো। অস্পষ্ট স্বরে তৃষা উচ্চারণ করলো,’পারফেক্ট।’

গাঢ় মিষ্টি কালার কাতান হাতে নিতেই ইভান ভ্রু কুঁচকালো। তুহার হাতে থাকা শাড়ির দিকে ইশারা করে বলল,’এই শাড়িটা পড়ে সামাল দিতে পারবে?
সেখানে কিন্তু অনেকক্ষণ থাকা লাগবে।

তুহা কানের পাশে এক গাছি চুল গুঁজে নিয়ে বলল,’পারবো। তাছাড়া হুটহাট শাড়ি পড়তে আমার বেশ লাগে।’

ইভান নির্বিকার কন্ঠে বলল,’ হুটহাট শাড়ি পড়া দেখতে আমার ও বেশ লাগে।’

তুহা চকিতে তাকালো ইভানের দিকে। তার কথার অর্থ উদ্ধার করতে পেরে লাজুক হাসলো। দৃষ্টি লুকাতে অন্যদিকে ফিরে তাকালো।
তুহার মুখের হাসি দেখে ইভানের ও ঠোঁট প্রসারিত হয়ে এলো।
মেয়েটাকে বোধহয় আর বিব্রত করা ঠিক হবেনা। নয়তো বিয়ের অনুষ্ঠানে আর যাওয়া লাগবেনা। লজ্জায় নিজেকে মুড়িয়ে এখানেই বসে থাকবে।

ইভান নিজের জামাকাপড় নিয়ে গেস্ট রুমে চলে গেলো।

তুহা অঙ্গে শাড়ি জড়িয়ে প্রসাধনীতে মুখের কৃত্রিম সাজ সম্পন্ন করলো।ঘাড়ের উপর আঁচল টেনে পিঠ জুড়ে কৃষ্ণ কেশর ছড়িয়ে দিলো। ঠোঁটে প্রাণবন্ত হাসি।

ইভান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে তিন আঙ্গুলে দরজায় ঠকঠক আওয়াজ তুললো।

তুহা সেদিকে না তাকিয়েই বলল,’আসুন।’

ইভান ঘরে ঢুকেই একদফা তুহার দিকে তাকালো। পা থেকে মাথা পর্যন্ত এক নজর তাকিয়ে বলল,’রেডি?’

তুহা সায় জানালো।

ইভান আরো কয়েকবার তুহাকে অন্তর্ভেদী চোখে পরোখ করে নিলো। তুহা দরজা ঠেলে বের হতে নিলেই ইভানের চোখ পড়ে তুহার কাঁধের দিকে শাড়িটা কেমন এলোমেলো হয়ে আছে।

ইভান ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে একটা পিন হাতে নিলো। তুহাকে দাঁড়াতে বলে তার ঘাড় স্পর্শ করলো।
তুহা চমকিত দৃষ্টিতে তাকালো। ইভান কি করতে চাইছে? আঁচল টেনে তুহার ঘাড়ের দিকে শাড়িটা পিন দিয়ে আটকে দিলো ইভান।
বলল,’এবার ঠিক আছে। চল!

তুহা নিজের ভাবনায় নিজেই লজ্জা পেলো। ইভান তুহার ভাবনা বুঝতে পারলেও কিছু বললোনা। মিটিমিটি হাসলো। আপাতত যাওয়া উচিত।

জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে চারদিক সাজানো হয়েছে পুরো ভেনু। এতবড় কোম্পানির মালিকের মেয়ের বিয়ে বলে কথা। কোনো কমতি তিনি চাননা।

সব মেহমান পৌঁছে গেছেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।

তৃষা ঘুরে ঘুরে সবার সাথে কথা বলছে। অন্যদের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে ফুলে উঠছে।

অফিসের অন্যান্যরা ইভান তুহার বেশ প্রশংসা করলো। দুজনকেই ভালো মানিয়েছে।
বসের সাথেও কথা হলো দুজনের।

তুহার দুচোখ তৃষাকে খুঁজছে। তবে কি তৃষা আসে নি?

তুহা দেখার আগেই তৃষা ইভানের পাশে তুহাকে দেখে ভ্রু কুঞ্চিত করলো। ইভানের সাথে তুহাকে আশা করেনি। দুজনকে একসাথে পাশাপাশি এই প্রথম দেখছে তৃষা। গা জ্বলুনি দিয়ে উঠছে বারংবার।

দেখতে দেখতে তুহার চোখ পড়লো তৃষার উপর। তৃষা ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে। চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে আ’গু’ন ঝরছে। এই বুঝি তুহা আর ইভান কে ভষ্ম করে দেবে। তুহা,তৃষা দুজনের চোখাচোখি হতেই তুহা ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো।

তৃষা এগিয়ে আসলো তুহা ইভানের দিকে। সেখানে আরো অনেকেই ছিলো।

তৃষা মিথ্যে হাসি ঠোঁটের কোনে রেখে বলল,’হায় মিস্টার ইভান।’ পাশে তুহাকে ইশারা করে বলল,’কে? আপনার ওয়াইফ?’
যেন সে তুহাকে চেনেই না।

ইভান দুর্বোধ্য হাসলো। তৃষার উদ্দেশ্য বলল,’নিশ্চয়ই অন্যের ওয়াইফ নিয়ে হাঁটবো না। বলেই পুরো দস্তুর হাসলো।

ইভানের টিপ্পনী কেটে কথা বলাতে তৃষা রাগলো। তাই সেও পিঞ্চ করে বলল,’মনে হচ্ছে এবার বিয়েটা সেরে ফেলা উচিত। হাসবেন্ডের সাথে ফ্রিতে দাওয়াত পাওয়া যায়।

তুহাকে অপমান করার জন্যই যে তৃষা এমন কথা বলছে সেটা ভেবেই ইভান আর তুহা ঠোঁট টিপে হাসলো।

তুহা রগড় করে বলল,’দাওয়াত খেতে যদি খুব মন চায় তবে যখন তখন আমাদের বাসায় আসতে পারেন আপু। আমরা আবার মেহমানের আপ্যায়নে ত্রুটি রাখিনা। ও হ্যাঁ বিয়ে করে বর নিয়েও যেতে পারেন।

ইভান ফোঁড়ন কেটে বলল,’চাইলে বাচ্চা কাচ্চা ও নিতে পারেন। আমরা কিছুই মনে করবোনা।

অন্যরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। একজন বলল,’মনে হচ্ছে আপনারা এখানে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।

ইভান কথা কাটানোর জন্য বলল,’মিস তৃষা কিছুদিন পর বিয়ে করবেন। সেজন্যই বাসায় নিমন্ত্রণ করছিলামম আমরা।

সবাই তৃষাকে কংগ্রেস জানিয়ে বলল,’আপনি বিয়ে করছেন? সে কথা মিস্টার ইভানের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে?

তৃষা কটমট চোখে ইভানের দিকে তাকালো। সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে ইভান মজা করছে। কিন্তু কেউ সরলোনা তৃষাকে ঝেঁকে ধরলো।

এই সুযোগে ইভান তুহাকে নিয়ে সেখান থেকে সরে আসে।

খাওয়াদাওয়ার পর্ব চুকিয়ে যেতেই ইভান তুহাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে একটা কল এটেন্ড করতে বাইরে গেলো। বলল,’ফোন হাতে রাখতে আর যাতে কোনো দিকে না যায়।
তুহা সায় জানিয়ে বসে রইলো।

তৃষা ধপ করে তুহার পাশে বসে পড়লো। তুহা পাশে তাকাতেই তৃষাকে দেখলো।

তৃষা রাগ নিয়ে বলল,’খুব সুখে আছিস না?’
আমার সব কেড়ে নিয়ে মজা পাচ্ছিস?

তুহা আফসোসের শব্দ করলো। পরক্ষণেই সুর টেনে বলল,

‘লোগ হামছে জ্বালতে হে
জ্বালতে হে ইস বাত পে
কিউ ইতনি জিয়াদা খুব সুরাত
লাগতেহে হাম সাথমে।’

তৃষা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,’খেলাটা ঠিক জমছেনা। পাবলিক প্লেসে খুব ফায়দা লুটছিস। চল অন্যদিকে যাই তবেইনা খেলা জমে যাবে। তৃষা তুহাকে ওয়াশরুমের দিকে ইশারা করে উঠে চলে গেলো।

তুহা নাকের ডগা এক আঙ্গুলে ঘষে নিয়ে তৃষার পিছু ছুটলো।

কোনোভাবে শামিম বরপক্ষের সাথে রিলেটেড থাকায় সে ও বিয়েতে উপস্থিত হয়েছে। তৃষাকে একা ওয়াশরুমের দিকে যেতে দেখে সেদিকে পা বাড়ালো।
মাঝখানে বাঁধা হয়ে শামিমের বন্ধু তাকে অন্যদিকে নিয়ে গেলো। শামিমের আর যাওয়া হলোনা। সে সুযোগ পেলেই যাবে।

তুহা গিয়ে দেখলো তৃষা দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে তার অপেক্ষায় তাকিয়ে রইলো। তুহা যেতেই একটি হাসি উপহার দিয়ে ওয়াশরুমের দরজা খুলে হাতে ইশারা করলো। দুজনেই ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো।

তৃষা তাচ্ছিল্য হেসে বলল,’কি যেনো বললি?

আমি জ্বলছি তোদের দেখে? এই তৃষাকে দেখ,তার পেছনে ছেলেরা লম্বা লাইন লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তুহা ব্যঙ্গ করে বলল,’তাই বুঝি অন্যের বরের পেছনে লেগে আছো? রুচি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে তোমার। তোমার পেছনে যারা লাইন লাগিয়েছে তাদের একজনকে হ্যাঁ বলে দেখতে। এতোদিনে বাচ্চার মা হয়ে যেতে। শুধু শুধু বে’হা’য়া’পনা করতে হতোনা এখন।

কথাগুলো আ’গু’নে ঘি ঢালার মতো কাজ করলো। তৃষা তুহার হাত মুচড়ে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,’আমি বে’হা’য়া? নাকি তুই?
সবটা বিয়ের আগে জেনে ও তুই ইভানকে কেড়ে নিলি? সর্বপরি আমার পরিবারকে কেড়ে নিলি। এতেও ক্ষান্ত হসনি।

তুহা ব্যথা পেয়ে হিল দিয়ে তৃষার পায়ে আ’ঘা’ত করতেই তৃষা ব্যথায় কুকড়ে গেলো।
চোখমুখ খিঁচিয়ে পায়ে হাত রেখে বসে পড়লো।

তুহা ক্রুদ্ধ হয়ে বলল,’কথায় কথায় গায়ে হাত তোলার মতো ছ্যাচড়ামি কোথা থেকে শিখলে? ওহ তুমিতো এমনিতেও ছ্যাচড়া। অন্যের জিনিসে হাত বাড়াও। তোমার পরিবারকে আমি কেড়ে নিয়েছি? নাকি নিজের নিচু কাজের জন্য নিজেই তাদের হারিয়েছো।
এর পরের বার যাতে তোমাকে আমার বরের আশেপাশে না দেখি।

তুহা পা বাড়ালো দরজার দিকে। তৃষা ফুঁসে উঠে পা বাড়িয়ে দিলো যাতে তুহা পড়ে যায়। বরং তার উল্টো হলো। তুহা হোঁচট খেয়ে দরজা দরে ফেললো ঠিক কিন্তু তৃষার পায়ে আবারও তুহার হিলের আ’ঘা’ত লাগে। এবার তৃষা আর্ত’নাদ করে ওঠে।

তুহা রেগে দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। শামিম সুযোগ পেয়ে ওয়াশরুমের দিকে আসে।
দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে শামিম না তাকিয়েই তুহার দুবাহু দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।

আচমকা তুহা ভয় পেয়ে গেলো। একটা অচেনা পুরুষ এভাবে কেনো ওকে ধরলো? বুকে দুরুদুরু আওয়াজ হচ্ছে। মুখ খুললো কিছু বলতে। শামিম মুখের দিকে তাকিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। তুহার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,’আপনি কে?

তুহা রেগে গিয়ে শামিমকে ঝাড়া মারলো।

তখনই ইভান আসলো। একজন অপরিচিত ছেলে তার স্ত্রীকে এভাবে ঝাপটে ধরাতে তার মেজাজ ভীষণ চটে গেলো।
শামিমের কলার চেপে ধরে নাক বরাবর ঘু’ষি মারলো। আরো কয়েকটা চড় থাপ্পাড় মেরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,’ আমার স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কি করে হয়?’
মেয়েদের দেখলেই তাদের সাথে ফ্লার্ট করতে মন চায়?

ধস্তা’ধস্তির আওয়াজ শুনে তৃষা পা খুড়িয়ে বেরিয়ে আসলো। ইভান আর শামিমকে হাতা’হাতি করতে দেখে খুঁড়িয়ে খুঁরিয়ে কেটে পড়লো।

তুহা একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। সে ইভানকে থামাতে গিয়ে আতকে উঠলো। শামিম ইভানকে পাল্টা আ’ঘা’ত করে। দুজনের মধ্যে যখন হাতাহাতি বেড়ে যায় তখন তুহা পেছন থেকে ইভানকে দুহাতে আকড়ে ধরে সরানোর চেষ্টা করছে। না পেরে করুণ গলায় বলল,’ছেড়ে দিননা। আমার মাথা ঘুরছে। বাসায় যাবো।

ইভান ছেড়ে দিলো শামিমকে। শাসিয়ে বলল,’দেখে নেবো।

শামিম শার্টের কলার ঝাঁকিয়ে ঘাড় কাত করে বলল,’সেটা সময়ই বলে দেবে।

তুহা ইভানের হাত ধরে বেরিয়ে গেলো।
শামিম তৃষাকে খুঁজতে সেও ছুটলো।

ইভানের চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। টকটকে লাল হয়ে আছে। শরীর বেয়ে ঘাম ছুইয়ে পড়ছে। গাম্ভীর্যপূর্ণ চেহারা নিয়ে গাড়ি দেখছে।

তুহা কথা বলতে গেলেই ইভান চোখ রাঙালো। ইভানের রাঙানো দৃষ্টি দেখে তুহা ঢোক গিললো।
চোখের দৃষ্টি অগোছালো। ভয়ে তটস্থ। চোখ তুলবার জো নেই।

গাড়ি পেয়ে উঠে পড়লো তুহাকে নিয়ে। পুরো রাস্তা আর কথা বললোনা। বাসায় এসেই ধপ করে শুয়ে পড়লো।

তুহার চোখে পানি চিকচিক করছে। ইভান কথা বলছেনা কেনো? তবে কি ইভান তাকে ভুল বুঝলো?
মনে সন্দেহ থাকলে অন্তত তাকে জিজ্ঞেস করতে পারতো।
তুহা নেত্রপল্লব বন্ধ করতেই দু’ফোঁটা জল গড়ালো কপল বেয়ে।

ইভান চোখ বন্ধ করে ছিলো। এতক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও তুহাকে রুমে আসতে না দেখে চোখ খুলে তাকালো। ধীর পায়ে রুমের বাইরে আসতেই নজরে পড়লো তুহার অশ্রুসিক্ত চোখ জোড়া।

ইভান ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে এসে বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,’ তুহা কি হয়েছে? কাঁদছো কেনো তুমি?

তুহা চোখ তুলে তাকালো ইভানের দিকে। কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,’ আপনি আমাকে অবিশ্বাস করলেন? আমি কি জানি ছেলেটা কে? ওয়াশরুম থেকে বের হতেই হুট করে ঝাপটে ধরলো।

ইভান এতক্ষণে তুহার কান্নার কারণ বুঝতে পেরে বলল,’আমি একবারও বলেছি তোমাকে আমি অবিশ্বাস করেছি? নাকি কিছু জিজ্ঞেস করেছি?

তুহা মাথা নেড়ে না জানালো।

ইভান বলল,’তাহলে তুমি কেনো ধরে নিলে আমি তোমায় অবিশ্বাস করলাম?

তুহা ভাঙা গলায় বলল,’তাহলে আপনি আমার সাথে কথা বলেননি কেনো তখন?’

ইভান শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে মুখ গোল করে শ্বাস ফেলে বলল,’তোমার উপর রাগ করি নি আমি। আর না অবিশ্বাস করেছি। তখন মেজাজ খিঁচড়ে ছিলো। তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে এরকম অবস্থা দেখে রাগ উঠেছিলো আমার। দু চারটে চড় মারতে পারলেনা ছেলেটার গালে?
যাও চেঞ্জ করে নাও।

তুহা মাথা নেড়ে রুমে পা বাড়ালো।
#চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে