#সব_সম্পর্কের_নাম_হয়_না💗
পর্বঃ০৬
#লেখাঃ #বাশরুন_বর্ষা
আমজাদ খানের কঠোর ধমকেও কোন কাজ হলো না একটা সময় এক হাত দিয়ে গলায় ছুড়ি বসিয়ে আর এক হাতে কথাকে ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগে।সবার এটা দেখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।কারণ সেই পথ উচ্ছ্বাস রাখে নি।
এমন সময় বৃষ্টি এসে সামনে দাঁড়ায় ওদের।পথ আটকে দাঁড়ায় দুজনেরই। বৃষ্টিকে এভাবে সামনে দাড়াতে দেখে সরে যেতে বলে উচ্ছ্বাস। কিন্তু ওর কথাটা হয়তো বৃষ্টির কানে গেলো না।
“নিন গলায় ছুড়িটা বসান। তাড়াতাড়ি বসান।শুধু শুধুই দেরি করছেন।
“প্লিজ বৃষ্টি তুমি সরো সামনে থেকে।
“মাফ করবেন মিঃ উচ্ছ্বাস। জানি আমি বাইরের লোক এখানে আমার কিছু করা সাজে না। তবুও করছি।আর আমার খুব ইচ্ছে সুসাইড করা দেখবো।প্লিজ ছুড়িটা গলায় বসিয়ে দিন।আচ্ছা এটাতে যদি কম্ফোর্ট ফিল না করেন আরও একটা উপায় আছে। আপনাদের বাইরের মেইনগেট পার হলেই একটা ১৬ তলা বিল্ডিং আছে সেখানে যেতে পারেন। ডোন্ট ওয়ারি সেখানে যাওয়া নিয়ে কোন ঝামেলা নেই।ওই এপার্টমেন্টে আমার চেনা কয়েকজন থাকে আমি নিজে নিয়ে যাবো আপনাকে। চলুন।
বৃষ্টি কথাগুলো বলতে বলতেই সুযোগ বুঝে উচ্ছ্বাসের হাত থেকে ছুড়িটা কেড়ে নেয়।
“লজ্জা করে না এইরকম ফালতু পাগলামো করতে? আপনি না একজন পুরুষ মানুষ।একে তো নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে ভুল বুঝেছেন তাকে অবিশ্বাস করে দিনের পর দিন মেন্টালি টর্চার করেছেন।এখন আবার এইরকম নাটক করছেন? সত্যিই আপনাকে প্রথম।যেদিন দেখেছিলাম এমনটা কখনোই ভাবি নি।
বৃষ্টির কথা শেষ হতেই আমজাদ খান এগিয়ে আসেন,
“অনেকের অনেক ড্রামা হয়েছে। উচ্ছ্বাস যাও নিজের ঘরে যাও।কথা যাও মায়ের সাথেই যাবে তুমি?
আমজাদ খান ছেলের সামনে এসে দাঁড়ায়,
“কথা তো আজকে এখান থেকে যাবেই বাবা।তবে তুমি সুযোগ চাইছিলে না? হ্যাঁ একটা সুযোগ তুমি পাবে।যদি তুমি নিজেকে প্রমান করে কথাকে মানিয়ে এ বাড়িতে আনতে পারো তাহলেই কথা এই বাড়িতে আসবে। না হয় কোনদিনও কথা এ বাড়িতে পা রাখবে না।
কথা কিছু বলতে যাবে আমজাদ খান চোখের ইশারায় তার উপর ভরসা রাখতে বলে।আর কথার মাথায় হাত রেখে আবারও মায়ের সাথে যেতে বলে।
কথা আর মা এক পা এক পা করে বাড়ির বাইরে পা বাড়ায়। সদর দড়জায় যাওয়ার পর একবার শুধু ঘুরে তাকায় কথা।উচ্ছ্বাস এখনো মুর্তির মতোই দাঁড়িয়ে আছে।শেষমেশ বাড়ি থেকে বিদায় নিলোই কথা।ওরা যাওয়ার পরপরই আমজাদ খান বৃষ্টির কাছে আসে।
“তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো কোন ভাষা আমার জানা নেই মা। কিন্তু তুমি আমার পরিবারের জন্য যা যা করলে। ইনফ্যাক্ট এই মুহুর্তেও যা করলে আমি কখনো তোমার এই ঋণ শোধ করতে পারবো না মা। আজকে তুমি আমাদের পরিবারের সম্মান তো বাচালেই আমার বাড়ির আলোকেও মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্ত করলে।আল্লাহ তোমার অনেক অনেক ভালো করুক মা অনেক।
“আমি আপনার পরিবারের জন্য কিছুই করি নি। যা করার আপনার বাড়ির ওই এক টুকরো আলোই করেছে।মেয়েটা বড্ড ভালো।এই বাড়ির প্রতিটা মানুষের জন্য ভাবে ও। খুব ভালোবাসে সবাইকে।পারলে ওর এই ভালোবাসার মূল্য টা আপনারা সবাই দিবেন।এই শহরে হয়তো কোনকিছুর অভাব নেই।কিন্তু ভালোবাসার খুব অভাব জানেন তো।খুব বেশিই অভাব।কারো দিকে কারো তাকানোর সময় নেই।নিজ নিজ স্বার্থেই ব্যস্ত সবাই। সেখানে কথা সবথেকে আলাদা সবথেকে ভিন্ন।ওর এই ভিন্নতাকে একটু সম্মান জানাবেন সবাই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।এখন আমি আসি।আজকে হোস্টেলে যাওয়ার যথেষ্ট সময় আছে।
কথাটা বলে আর কারো উত্তরের অপেক্ষা করে না বৃষ্টি। দ্রুত পায়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে।কারণ এই দুইদিনে এই বাড়ির মানুষ সম্পর্কে এতোটুকু ধারণা বৃষ্টির হয়ে গেছে।এদের উত্তরের আশা করলেই আজকে রাতটাও এখানেই থাকতে হতো তার। যতো দ্রুত পারছে বাগানের সরু রাস্তাটা পার হচ্ছে বৃষ্টি। গেট পেরিয়ে রাস্তায় পা রাখতেই পেছন থেকে গাড়ির হর্ন বেজে ওঠে।ঘুরে তাকায় বৃষ্টি। গাড়িটা ওর পাশে এসেই থামে।উজ্জ্বল গাড়ি থেকে নেমে এসে এদিক থেকে গাড়ির দরজা খুলে বৃষ্টিকে গাড়িতে বসতে বলে ,,,
“একটু সামনে গেলেই রিক্সা পেয়ে যাবো শুধু শুধু তোমার কষ্ট করতে হবে না এতোটা পথ।
বৃষ্টির কোন কথাই উজ্জ্বল কানে নিলো না হাতটা ধরে জোর করেই গাড়িতে বসিয়ে দিলো।কারণ উজ্জ্বল খুব ভালো করেই জানে বৃষ্টিকে অনুরোধ করা আর কলাগাছের সাথে কথা বলা একই কথা।উজ্জ্বল এসে ড্রাইভ করতে লাগে।কিছুসময় নীরবতায় কাটার পর শুরু করে উজ্জ্বল,
“আজকে রাতটা এখানে থাকলে কি খুব বেশিই সমস্যা হয়ে যেতো?
“কি দরকার শুধু শুধু ঝামেলা বাড়ানোর।আর তাছাড়া একই জায়গায় বেশিদিন থাকলে বা গেলে গুরুত্ব কমে যায়। উম এই রাস্তায় যেও না বামে যাও।
বৃষ্টির এমন কথায় হঠাৎই গাড়ির ব্রেক চাপে উজ্জ্বল। খুব কঠিন চোখে প্রশ্ন করে বৃষ্টিকে,
“কোথায় যেতে চাইছো তুমি?
“তুমি যেখানটা ভাবছো সেখানেই।
আর এক সেকেন্ডও দেরি করে না উজ্জ্বল সাথে সাথে গাড়িটা আবার নিজের বাড়ির দিকে ঘুরায়।
“আরে কি করছো কি এটা? গাড়ি ঘুরাচ্ছো কেন। উজ্জ্বল ওখানে আমার কিছু কাজ আছে।প্লিজ বোঝার চেষ্টা তো করো।
উজ্জ্বল কোন কথাই শুনে না বরং বৃষ্টির কথা শুনে আরও জোরে ড্রাইভ করতে লাগে,
“পাগল হয়ে গেছো তুমি? এরকম ভাবে ড্রাইভ কেন করছো।মরার ইচ্ছে জেগেছে তোমার??
বৃষ্টির এতোটা চিৎকারে ওল্টো সুরে ধমকে উঠে উজ্জ্বল।ড্রাইভ করতে করতেই রক্ত চক্ষু নিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে,
“হ্যাঁ পাগলই হয়ে গেছি।তোমার এই কথা টা শুনলেই আমি পাগল হয়ে যাই। বুঝেছো তুমি? আমি পাগল হয়ে যাই।
“উজ্জ্বল ব্রেক ঠিক.
বৃষ্টির কথা অর্ধেক শেষ হতে না হতেই উজ্জ্বল সামনের দিকে তাকায় আর অনেক কষ্টেই গাড়িটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। আর একটু হলেই সামনে থাকা রিক্সাটায় লেগে যেতো।গাড়িটা একটা পাশে সাইড করেই নেমে যায় উজ্জ্বল। ফাঁকা রাস্তার কিনারায় গিয়ে পিচের ওপর বসে পরে।পাশেই এসে বসে বৃষ্টি আকাশে উঠা একটা দুটো তারার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে বৃষ্টি ,
“এই সামান্য একটা বিষয়ে তুমি এতোটা রিয়েক্ট কেন করছো বলবে?
খানিকটা চিৎকার করেই বলে উজ্জ্বল,
“রাত ১০ টা বাজে ওই পতিতালয়ে গিয়ে তুমি কি প্রমাণ করতে চাইছো বৃষ্টি? ওইসব নষ্ট.
মুখের কথাটা মুখেই রয়ে গেলো উজ্জ্বলের,
“আন্নাকে নষ্টা বলবে না তুমি উজ্জ্বল। বলবে না তুমি।আর রাত ১০ টা কেন আমার ইচ্ছে হলে আমি রাত দুটো বাজেও যাবো সেখানে।ইচ্ছে হলে সারা রাত থাকবো সেখানে।হ্যাঁ যাবো আমি যাবোই। কথাগুলো বলেই বৃষ্টি উঠে যায়।আর একটা রিক্সা ডেকে সেটায় উঠে যায়।
উজ্জ্বল উঠে এসে বৃষ্টিকে অনেক আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু বৃষ্টি উজ্জ্বলের কথাগুলোর একটা জবাবও দেয় না। উজ্জ্বল এবার ওর হাতটা ধরতেই রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকায় বৃষ্টি,
“বড্ড বেশি করছো কিন্তু উজ্জ্বল। তুমি খুব ভালোই জানো আমার এসব পছন্দ না। খুব বেশি কাছে আসার চেষ্টা করছো তুমি।
বৃষ্টি উজ্জ্বলের থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে রিক্সায় উঠে যায়। আর উজ্জ্বল সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে রিক্সা টা আড়াল না হওয়া পর্যন্ত।
নিজের কাছে নিজেকেই এখন কেমন একটা অসহ্যকর লাগছে উজ্জ্বলের।বৃষ্টির সাথে কখনোই আলাদা করে পরিচয় হয় নি উজ্জ্বলের। অদ্ভুত এই মেয়েটা একেবারেই অদ্ভুদ।ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আজ অব্দি কারো সাথে দুই মিনিট বসে আড্ডা দেয় নি।কেউ ভালোভাবে বলতেও পারবে না বৃষ্টির সম্পর্কে। উজ্জ্বল অনেকবার চেষ্টা করেছে ওর সাথে কথা বলার কিন্তু কখনো খুব বেশি সময় নিয়ে কথা বলা হয় নি।ইনফেক্ট যেদিন প্রথম কথা বলেছিলো সেদিন উজ্জ্বল আন ইজি ফিল করলেও বৃষ্টি এমন ভাবে কথা বলেছিলো যেনো আগেও উজ্জ্বলের সাথে বৃষ্টির অনেকবার কথা হয়েছে।কাকতালীয় ভাবে ওদের বাড়িতে দেখা হওয়ার পরেই একটু সময় নিয়ে বৃষ্টির সাথে কথা হয়েছিলো উজ্জ্বলের। আর এই অল্প সময়ের আলাপে উজ্জ্বলের মোটেও ঠিক হয় নি বৃষ্টিকে এভাবে বলার।বরং উচিৎ ছিলো বৃষ্টির সম্পর্কে একটু জানার।ওকে একটু বোঝার।উচ্ছ্বাসের মতো একই ভুল করতে যাচ্ছে না তো উজ্জ্বল? দৃষ্টির অগোচরে কিছু নেই তো?
মুহুর্তেই ২ বছর আগের দেখা একটা ঘটনার কথা মনে পরে উজ্জ্বলের,
দিন টা ছিলো ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ।রাত তখন সাড়ে দশটা উজ্জ্বল সেদিন ক্যাম্পাস থেকে বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলো কিন্তু রাস্তায় হঠাৎ একটা এক্সিডেন্টের কারনে কোন এক লোকের কথামতো ভীতরের একটা রাস্তা দিয়ে ড্রাইভ করে আসতে লাগে।রাস্তাটা ছিলো ভীষন সরু আর ভাঙা।হঠাৎই গাড়ির কোন একটা প্রবলেম হয় আর স্টার্ট নেয় না দেখে উজ্জ্বল গাড়ি থেকে নেমে যায় কি সমস্যা দেখার জন্য। গাড়ি থেকে নামতেই উজ্জ্বলের চোখে পরে সামনে একটা হোটেল।আর নিচের বারান্দায় অনেক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে খুব বাজে ভাবেই।উজ্জ্বলের আর বুঝতে বাকি রইলো না সে কোথায় এসে পরেছে।যাই হোক রাস্তা থেকে হোটেলের দূরত্ব টা বেশ খানিকটা দূরেই।তাই আর কিছু না ভেবে গাড়ির সামনে গিয়ে ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে দেখতে লাগে কোথায় প্রবলেম টা হয়েছে।সবকিছু দেখার পর গাড়িতে উঠতে যাবে এমন সময় দেখে কোন একটা মেয়ে সেখান থেকে বের হয়ে হোটেলের মেইন গেটের দিকে আসছে।খুব চেনা চেনা লাগছে মেয়েটাকে।মেয়েটা সামনাসামনি হতেই চোখকে যেনো বিশ্বাস করাতে পারছে না উজ্জ্বল। অস্পষ্ট ভাবেই বলে ওঠে,
“বৃশু।
উজ্জ্বল অস্বাভাবিক হলেও বৃষ্টি খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করে উজ্জ্বলকে,
“মেইন রোড এখনো ক্লিয়ার হয় নি?
বৃষ্টির এরকম একটা প্রশ্নে উজ্জ্বলের ঠিক কি রকম রিয়েক্ট করা উচিত সেটাই বুঝতে পারছে না উজ্জ্বল। মেয়েটা স্বয়ং পতিতালয় থেকে বেরিয়ে এলো তাও আবার এতো রাতে।আর সামনাসামনি হতে একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করছে,,,,
“এখানে কি করছো বৃশু?
“সেরকম কিছু না। একটু কাজ ছিলো। শুধু শুধু এই রোডে ঢুকেছো।মেইন রোডে আর একটু অপেক্ষা করলেই পারতে।এই রোড দিয়ে অনেক গাড়ি ঢুকেছে।সামনে হয়তো বিশাল জ্যাম লেগে গেছে। তুমি বরং গাড়িটা ঘুরিয়ে নিলেই ভালো হবে।
কথাগুলো বলেই বৃষ্টি চলে যায়।উজ্জ্বলের মাথাটা কেমন জানি করছে।মনের ভীতর শুধু একটাই প্রশ্ন বৃষ্টি কেন এখানে আসবে? এখানেই কেন আসবে।এখানে তো কোন ভালো মেয়ের কাজ থাকতে পারে না। তাহলে কি বৃষ্টি।নিজের কাজের জন্য খুব রাগ হচ্ছে উজ্জ্বলের।কেন সে এই রাস্তা দিয়ে আসলো?আর কেনই বা দূরে দেখা মেয়েটিকে চেনার জন্য দাড়ালো?
আচ্ছা উজ্জ্বলের এতোটা খারাপ কেন লাগছে?মানুষটা বৃষ্টি বলে? এই পরিচিত টা যদি অন্য কোন মেয়ে হতো উজ্জ্বলের কি একই রকম খারাপ লাগতো? আচ্ছা যদি এখানে বৃষ্টি না হয়ে উজ্জ্বলের খুব ক্লোস ফ্রেন্ড সুজানা থাকতো তাহএল কি একই রকম খারাপ লাগতো? নাহ সেরকম কিছু তো লাগে নি কখনো। কারণ ওই মেয়েটা তো এমনিতেই প্লে গার্ল।তবে বৃষ্টিকে দেখে এমন হওয়ার মানে কি? ওকে এরকম একটা জায়গায় দেখে তো উজ্জ্বলের ঘৃণা হওয়ার কথা।কিন্তু উজ্জ্বলের কষ্ট কেন হচ্ছে? মনে হচ্ছে শ্বাস টা যেনো কোথাও আটকে যাচ্ছে।প্রশ্নগুলো ভাবতে ভাবতেই কখন যেনো উজ্জ্বলের ঠোঁটের কোন থেকে বেরিয়ে আসে একটা কথা,
“তাহলে কি আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি বৃশু? আমার এই অনুভূতি টা কি শুধু তোমায় ভালোবাসি বলেই।
সেদনই উজ্জ্বল বুঝেছিলো বৃষ্টিকে সে ভালোবাসে।অনেক বার বলবো বলবো করেও বলতে পারে নি।সে সুযোগ দেয় নি কখনো বৃষ্টি। কোথাও একটা গিয়ে আটকে দিয়েছে সবটা সময়।বাকি ৫ টা মানুষের সাথে যেরকম সম্পর্ক ঠিক সেরকমই সম্পর্ক ছিলো বৃষ্টির সাথে উজ্জলের।
হঠাৎ ফোনের ভাইব্রেটের শব্দে ঘোর কাটে উজ্জ্বলের। তাকিয়ে দেখে বাবার ফোন। ফোনটা রিসিভ করে বাবাকে আসছি বলেই গাড়িতে এসে বসে উজ্জ্বল। ড্রাইভ করছে আর ভাবছে উচ্ছ্বাসের মতো ভুলটা তার করা চলবে না।ভালোবাসার মানুষ টাকে অকারনেই ভুল বোঝা যাবে না।কেন জানি উজ্জ্বলের মনে একটা গভীর বিশ্বাস বৃষ্টির ওপর।মেয়েটা এমন হতেই পারে না।জানতে হবে সবটা বুঝতে হবে মেয়েটাকে।কেন এতো লুকোচুরি। এক এতো আড়াল হতে চাওয়া সবটা জানতে হবে সবটা। কারণ ভালোবাসা টা যে শুধু মানুষটার ভালো কিছুতে না। তার ভালো খারাপ সবটাই তাকে মানতে হবে।বুঝতে হবে।বুঝাতে হবে। তবেই না স্বার্থক ভালোবেসে।
#সব_সম্পর্কের_নাম_হয়_না💗
পর্বঃ০৭
#লেখাঃ #বাশরুন_বর্ষা
একাকিত্ব কখনোই বলে কইয়ে আসে না।মানুষ কখন কিভাবে একা হবে এটাও নিশ্চিত কেউ বলতে পারে না।কাল যার পাশে কতো কতো মানুষের সমাগম ছিলো আজকে সে একা। সকালে যে মানুষটার সাথে ভালোবাসার কথা বলেছিলো বিকেলে সেই মানুষটার সাথেই বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সঙ্গী হয় একাকিত্ব। কথার ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই। এইতো কাল রাতেই তো সে ছিলো কতো শত মানুষের মাঝে।অথচ এক রাতের ব্যবধানেই আজ সে অন্য প্রান্তে।শেষ বিকেলে খোলা জানালার গ্রিল ধরে এক পলকে চেয়ে আছে নীল সাদা আকাশটার দিকে। মুহুর্তেই চোখ যায় পাশের বাসার ছাদটার দিকে।দুটো শালিক পাখি এসে বসেছে ছাদের রেলিংয়ে।
বিয়ের আগেও এই জোড়া শালিক নিয়ে কতো কাহিনিই না করতো কথা। জোড়া শালিক দেখলে নাকি প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা হয়।দিনটাও নাকি দিন ভালো যায়।কিন্তু কোন কোন দিন যদি একটা শালিক চোখে পরে যেতো হন্যি হয়ে আসেপাশে খুঁজতে লাগতো আরেকটা শালিক। জোড়া শালিকগুলোকে চোখে পরলেই একটা ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিতো পাখি গুলোর দিকে।মাঝে মাঝেই শালিকগুলোকে কিস ছুড়তে গিয়ে কোন কোন মানুষ সামনে পরে যেতো। সে কি লজ্জাই না ছিলো।তবুও বাদ যেতো না এই পাগলামো গুলো। আজ কেনো জানি শালিকগুলোকে দেখেই মনে চাইছে একটা কিস ছুড়ে দিতে। বিয়ের আগে তো কথার কোন প্রিয় মানুষ ছিলো না। তাই হয়তো দেখা হয় নি তার সাথে।কিন্তু এখন তো একটা মানুষ আছে তার।প্রিয় থেকেও প্রিয়তম। যার প্রতি অভিমান টুকুই ঢেড় বেশি। ঘৃণা টা যে আসে না। ভুল করেই কি দেখা টা হবে তার সাথে।মাত্র কয়েকটা ঘন্টা দেখা হয় নি।কিন্তু মনে হচ্ছে না জানি কতোবছর ধরে দূরত্ব টা।অথচ এর চেয়েও বেশি সময় দূরে থেকেছে মানুষটা।তবে কি বিচ্ছেদ টা সত্যিই হয়ে গেলো? সে কি আসবে না একটাবার? নাকি উল্টো অভিমান করেই দূরে থেকে যাবে বাকি দিনগুলো? কথাগুলো ভাবতেই গলাটা ধরে আসে কথার।চোখ দুটো বন্ধ করতেই না চাইতেও দুফোঁটা জল গরিয়ে পরে চোখ দিয়ে। হঠাৎই কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে কথা।কিন্তু পুরোটাই যে তার মনের ভ্রম।পেছন ঘুরে কাউকেই দেখতে পায় না কথা।উচ্ছ্বাসকে তো একদমই না। ফোনের ভাইব্রেট শব্দে হাত কেপে ওঠে কথার।ফোনের স্ক্রিনে চেয়ে দেখে অনুর ভিডিও কল।ফোনটা রিসিভ করতেই চমকে যায় কথা।অনুর ফোনে উচ্ছ্বাস কি করছে? উচ্ছ্বাসের মুখটা দেখা মাত্রই ফোন কেটে দেয় কথা। ফোন কাটার পরেই বার কয়েক ফোন আসে।কিন্তু ফোনটা রিসিভ করার মতো শক্তিটা কেন জানি কথা পাচ্ছে না। তার সাথে স্বল্প অভিমানটা আরেকটু গাঢ়ও হয়ে বসে মনের এক কোণে। মাত্র তো সন্ধ্যা সে তো চাইলেই সামনে আসতে পারতো।এভাবে ফোন না করে কি একটু দেখা করতে আসা যেতো না? তবে যে কাল সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো?
৫ মিনিট যেতেই ফোনে আবার ভাইব্রেট শব্দ।এবার শব্দটা ম্যাসেজের।নাম্বারটা উচ্ছ্বাসের।
“তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো।আমি জানি এই ইচ্ছাটা খুব বেশিই বেমানান আমার জন্য।কিন্তু কি করবো বলো। আমার মনটা যে বড্ড বেশিই নির্লজ্জ। কখন কি ভেবে বসে কিছুই বুঝে ওঠতে পারি না।আমি ফোন দিলে ধরবে না জেনেই অনুর ফোনটা নিয়েছিলাম। জানো?কাল প্রথম আমি তোমার শুণ্যতা টা বুঝতে পেরেছি।আমার না রাতে ঘুম হয় নি।এতোদিন তুমি আমার থেকে অনেকটা দূরেই ঘুমিয়েছো। তবুও না আমার ঘুম হয়েছে। কেনো হয়েছে বলো তো? সকাল টা না আজকে কেমন ছন্নছাড়া লেগেছে।কারণ টা কি তুমি জানো? আমি জানি তুমি উত্তর দিবে না। কিন্তু তবুও আমি প্রশ্ন করবো। হ্যাঁ করবো। রোজ করবো। আর থাকবো তোমার উত্তরের প্রতিক্ষায়।
ম্যাসেজটা দেখে আবারও কয়েক ফোটা পানি গরিয়ে পরে কথার।এই পানিটা ঠিক কিসের পানি হতে পারে? খুশির নাকি কষ্টের? মানুষটা কি বুঝবে তাহলে কথাকে? নাকি কাছে গেলেই হারিয়ে যাবে সব অনুভূতি? মিলিয়ে যাবে এই ছন্দছাড়া লাইনগুলো।যদি তাই হয় তাহলে দূরত্বই বেশ ভালো।ভাবনার মাঝেই হঠাৎ পেছনে ঘুরে তাকায় কথা।মা এসে বুঝিয়ে যায় আজান দিচ্ছে মাগরিবের। হাতে থাকা ফোনটা রেখেই অজু করতে চলে যায় কথা। আল্লাহর কাছে মাথাটা নত করতে হবে তো।
”
সকাল গড়িয়ে মধ্যদুপুর প্রায়।ক্লাস শেষ করে মাত্রই ক্যাম্পাসের অর্ধেক মাঠ পেরিয়েছে বৃষ্টি। হঠাৎ পিছু ডাকে ফিরে তাকায়। আধ দৌড়ে ছুটে আসে উজ্জ্বল। স্বভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করে বৃষ্টি,
“কিছু বলবে??
ভ্রু কুচকে তাকায় উজ্জ্বল। একটা মানুষ এতোটা অস্বাভাবিক কি করে হতে পারে।এরই মধ্যে ভুলে গেলো পরশু রাতের ঘটনা টা। বৃষ্টির তো উচিৎ ছিলো এখন উজ্জ্বলের উপর রাগ করা।তার সাথে উজ্জ্বলের মুখ থেকে সরি শোনার আশা করা। কিন্তু মেয়েটা এমন ভাব করছে যেনো উজ্জ্বলের সাথে দিনটা বাকি ৫ টা দিনের মতোই।আচ্ছা এই মেয়েটার কি রাগ নেই? না রাগ তো আছেই তবে তা ক্ষনস্থায়ী।পরশু রাতে যখন উজ্জ্বল রাগের মাথায় ওই কথাগুলো বলেছিলো তখন তো বৃষ্টি রেগে গেছিলো।আর সেটা খুব বাজে ভাবেই।কিন্তু সেই রাগটা এরকম ঠুনকো কেন? উজ্জ্বলের ভাবনার মধ্যেই তুড়ি বাজায় বৃষ্টি,
“কি হলো কোন কিছু বলছো না কেন?
“না মানে সরি?
“ফর হোয়াট??
“সে তুমি ভালোই জানো।
ফিক হেসে দেয় বৃষ্টি। আঙুল ইশারা করে পেছনে তাকাতে বলে,
“ওরা হয়তো অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।যাও গিয়ে ইনজয় করো।আসছি আমি।
বৃষ্টি নিজের মতো করে যাচ্ছিলো ঠিকই কিন্তু একটু বাদেই খেয়াল করে উজ্জ্বলও ওর সাথে সাথেই আসছে।হাটতে হাটতেই জিজ্ঞেস করে বৃষ্টি,
“আবার কি হলো?
“তুমি আমার উপর রাগ করে নেই কেন?
উজ্জ্বলের এমন কথায় থেমে দাঁড়ায় বৃষ্টি,
“এটা কেমন কথা? রাগ কেন করবো?
“রাগ করার জন্য যথেষ্ট কারণ আছে বৃশু।স্বাভাবিক ভাবেই কেউ যদি কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার অপছন্দের কাজগুলো করে আমাদের রাগ হয়।সেই হিসেবে তোমারও হওয়া উচিৎ। কিন্তু তুমি রেগে নেই।
উজ্জ্বলের কথাগুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শোনার মতো লাগলো না বৃষ্টির তাই হাটতে হাটতে ক্যাম্পাসের মেইন গেট টা পার হয়। উজ্জ্বল এখনো সাথেই আছে।
“কথা বলছো না কেন তুমি?
“তুমি কি কি জানি বলছিলে সব গুলিয়ে গেছি।আবার কিছু একটা শুরু করো দেখি কিছু বলা যায় নাকি।
উজ্জ্বল আর এক সেকেন্ডও দেরি করে না বৃষ্টির বাম হাত টা ধরেই নিজের মতো করে টেনে নিয়ে যেতে লাগে।একপাশ হেলে উজ্জ্বলের সাথে অনেকটা দৌড়াতেই লাগে বৃষ্টি,
“আরে কি করছো কি।আশেপাশের লোকজনতো ভাববে তুমি আমায় কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছো।
বৃষ্টির কোন কথা শোনার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা এখন উজ্জ্বলের নেই।সামনে থাকা ছোট্ট একটা রোড পার হয়েই খোলা পার্কের একটা কোনায় এসে জোর করে বসিয়ে দেয় বৃষ্টিকে।পাশেই বসে পরে উজ্জ্বল। পাশে পরে থাকা কতোগুলো মাটির শুকনো ঢিল হাতে নিয়ে সামনে থাকা ছোট লেকের পানিতে ছুড়তে লাগে বৃষ্টি।ওদিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করে,
“তুমি হঠাৎ হঠাৎ এমন পাগল হয়ে যাও কেন বলো তো? তাও শুধু আমার সাথেই।এই বায় এনি চান্স তুমি পাবনা থেকে পালিয়ে আসো নি তো?
কথাটা বলেই অট্ট হাসিতে মেতে উঠে বৃষ্টি। আশ্চর্য মেয়েটার মুখে কোন সাজ নেই।চোখে কোন কাজল নেই,ঠোঁটে নেই কোন লিপস্টিকের ছিটেফোঁটা। সবসময় কেমন একটা খালি খালি ভাব।তবুও কেমন অদ্ভুত মায়ার ভরা মুখটা।হাসলে যেনো মায়াটা আরও হাজার গুন বেড়ে যায়।
“আরে কি হলো কি দেখছো এভাবে? আমি মোটেও কারো নজরে পরার মতো মেয়ে নই।বৃথাই কিছু খোজার চেষ্টা করছো হয়তো।
নড়েচড়ে বসে উজ্জ্বল সামনে থাকা পানির দিকে চেয়েই বলতে লাগে,
“এমন কেন তুমি বৃশু? এতোটা অদ্ভুত আর রহস্যময়ী কি না হলেই নয়?
“আমায় দেখে তোমায় অদ্ভুত কেন মনে হচ্ছে? আমি তো আর ৫ টা মানুষের মতোই চলাফেরা করছি।তাহলে আমায় অদ্ভুত আর রহস্যময়ী কেন মনে হচ্ছে তোমার?
“তোমার এই অতিরিক্ত স্বাভাবিক থাকাটাই অস্বাভাবিক বৃশু।যেখানে একটা মানুষের হাজার টা বন্ধু থাকা স্বাভাবিক সেখানে তুমি সবসময় নিজেকে আড়াল করে রাখো।যেখানে একটা মানুষের কারো না কারো সাথে একটা বিশাল রাগ অভিমান ঝগড়া খুনশুটিতে থাকা উচিত সেখানে তোমার মধ্যে রাগতো অনেক দূরের কথা ক্ষনিকের অভিমান টুকুও নেই।সেদিন রাতে যখন তুমি জিদ করে চলে গেলে না। আমার ভীষণ অপরাধ বোধ কাজ করছিলো।কিন্তু মুহুর্তেই কি মনে পরলো জানো? আমি সেদনই তোমায় এতোটা রিয়েক্ট করতে দেখেছি।আমি ভাবতাম তুমি হয়তো মানুষ নামের এলিয়েন। তোমার হয়তো কোন ফিলিংস নেই।কিন্তু না তোমার অনুভূতি আছে বৃশু।আছে ভালোবাসাও।তাহলে কেন এতোটা জড়তা তোমার।কেনোই বা নিজেকে এতোটা আড়ালে রাখার আপ্রান চেষ্টা? বলবে আমায়?
এবারেও বৃষ্টির সেই স্বাভাবিক উত্তর,
“আমি হাজারটা বন্ধু থেকে আড়ালে থাকি কারণ আমার তো ওই একটা বন্ধুই নেই যাকে দেখলে বাকি ৯৯৯ টা বন্ধু হিংসে করবে।আমি কারো সাথেই গভীর রাগ করে থাকি না কারন আমার যে ওই একটা মানুষই নেই যার কাছে ঢেলে দিবো সবটুকু অভিমান,অভিযোগ আর কিছু না বলা কথার ফুলঝুরি। আমি আড়ালে থাকি কারণ আমার প্রকাশ করার মতো কিছুই নেই।আমি রহস্যময়ী কারণ আমায় যে বিশ্লেষণ করার মতো কেউ নেই।
বৃষ্টির সাথে কথা বলার জন্য নিজেকে যতোবারই প্রস্তুত করেছে উজ্জ্বল ততোবারই ব্যর্থ হয়েছে।এইবারও নতুন কিছু না। কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কিছুই বুঝার উপায় নেই।ভেবে পায় না উজ্জ্বল কি দিয়ে শুরু করবে আবার।নাহ এই মানুষটার সাথে গুছিয়ে কথা বলা মোটেই সম্ভব নয়।জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবার অগোছালো ভাবেই শুরু করে উজ্জ্বল,
“আমার বন্ধু হবে বৃশু?আমার না একটা বন্ধু চাই আমার একটা অজানা মানুষ চাই।এক্কেবারে অচেনা একটা মানুষ।যাকে জানার চেষ্টায়, বোঝার চেষ্টায়,চেনার চেষ্টায় কেটে যাবে আমার অনেকটা প্রহর।যার পাশে গিয়ে হাতটা না ধরেই জিজ্ঞেস করবো আমি একটু বলো না তোমার গল্পটা? সত্যি বলছি বৃশু আমি তোমায় জানতে চাই।একটু হলেও বুঝতে চাই।অল্প একটু চিনতে চাই।দেবে সেই সুযোগ টা আমায়?
এই প্রথম বৃষ্টির চোখে চোখ রেখে কিছু বলতে পারলো উজ্জ্বল। আর সেটা এক পলকে চেয়ে চেয়ে শুনলোও বৃষ্টি। কিন্তু কোন উত্তর এলো না মুখে।বসা থেকে এবার ওঠে দাঁড়ায়,
“আমি একটা আগন্তুক উজ্জ্বল। মরুভূমির ধু ধু প্রান্তরের মরিচীকা মাত্র। কাঠফাটা রোদের গরম বালু পেরিয়ে এগিয়ে চলবে তুমি।ভাববে এইতো সামনে পানির সন্ধান।তুমি এগোতেই থাকবে এগোতেই থাকবে কিন্তু না পানি আর পাবে না। আমি সেই মরিচিকা উজ্জ্বল। এই মায়ায় জড়িও না। পুরে ছাই হয়ে যাবে হয়তো।
হাতে থাকা শুকনো ধুলো গুলো ঝারতে ঝারতে ওঠে দাঁড়ায় উজ্জ্বল,
“পুরা ছাইয়ের মধ্যেও কিন্তু সবুজ দুর্বাঘাস জন্মায় বৃশু।আমি না হয় সেই অপেক্ষায় করবো। ছোট্ট একটা সবুজ ঘাসের।পুরা ছাই থেকে আমি ঘাস হয়েই জন্মাবো।তুমি না হয় সেই ঘাসের ছোট্ট একটা ফুল হইও।শিশির ভেজা ঘাসের ওপর একটা মাত্র ঘাসফুল।
চলবে.