সন্দেহ
সৌরভে_সুবাসিনী(moon)
পর্বঃ ১৯
.
.
সাম্যদের বাড়িটা শহর থেকে একটু দূরে।আগের শহরের বাড়িটা ভাড়া দিয়েছে। মামা গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে থাকতে চায় তাই কেউ আপত্তি করেনি।
সাম্য, অনুর গাড়ির জন্য সাম্যর বাবা বাড়ির সামনে এসে দাড়ায়। অনু এ বাড়িতে আগে আসেনি ।
নিলয় নিয়ে আসেনি কিংবা সময় হয়নি।
সাম্যরা এবাড়িতে এসেছে এক বছর।
আসতে আসতে অনু রাস্তায় ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। সাম্য খুব ধীরে দক্ষ হাতে নিয়ে এসেছে। ওদের আসতে বেশ দেরি হচ্ছিলো বলে অনুর মামা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে ।
সে জানে সাম্য অনুকে কতটা চায়। ছেলে মানুষের জেদ যে খুব খারাপ।
আগে মনে ছিলো না, যখন অনুর বারবার তাদের সাথে আসার জন্য জেদ করার কারণ পরে মনে পড়েছে।
সেই থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে।
.
.
ঘুমন্ত অনুকে দেখে যখন সাম্য নদীর পাড়ে গাড়ি থামিয়েছিলো, বাহিরে গিয়ে সিগারেট ধরিয়ে নেয়। অনুকে ইগ্নোর করার ক্ষমতা সাম্য কে বিধাতা দেয় নি।
অনুর মুখের দিকে তাকিয়ে সে বুঝতে পারে কি হারিয়েছে৷
মা মরা মেয়ে বাবার কাছে থেকে যখন তার বাড়ি আসে তখন সে সাম্য কে আগলে ধরেই বাঁচতে চেয়েছিলো।
তখন বারবার সে বুঝিয়েছিলো সাম্য কে।
সে আবেগের বশে কোন সম্পর্কে জড়ায় নি।
অনু নিজেকে পবিত্র রেখেছিলো সাম্যর শত আবেগের মাঝেও।
যাওয়ার দিনের কথা মনে পড়ে সাম্যর
যখন অনু তাকে জড়িয়ে কান্না করছিলো৷
সাম্য বারবার অনুকে কষ্ট দিয়েছে। তাই সে আজ তাকে হারিয়েছে।
সে তো অনুকে দেখতে পাচ্ছে, অনুভব করতে পারছে কিন্তু অনু তাকে সাধারণ ভাবে নেয়।
নিলয়ের সাথে তার সম্পর্ক সাম্য কে পোড়ায়।
অনু কি বুঝে না?
.
.
-সিগারেটের গন্ধে বমি আসে আমার।
.
অনুর কথায় সাম্য সিগারেট ফেলে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।
অনু আবার বলা শুরু করে
– তুমি বলেছিলে তুমি আর সিগারেট স্পর্শ করবে না।
এখনো কেনো?
.
সাম্য কিছু বলে না৷ শুধু দাম্ভিকের হাসি দেয়৷
– হাসার মতো কিছু বলিনি আমি! কেনো আবার এসব?
.
অনুর কন্ঠে দৃঢ়তা। চোখে রাগ।
– কি বলছি কানে যাচ্ছে না? মেজাজ খারাপ হচ্ছে কিন্তু৷
.
সাম্য এবারো হাসে। অনেকদিন না অনেক বছর পর অনুর শাসন পাচ্ছে সে।
সাম্য মনে প্রাণে চাইছে এ সময় টা থেমে যাক।
এই রাস্তা টা যে খুব কিছু পাইয়ে দিচ্ছে৷
সময় টা অধিকারের থেকে ভালোবাসায় রুপ নিক।
কিন্তু সে জানে অনু কখনো নিলয় কে চুল পরিমাণ ঠকাবে না।
সাম্যকে সে কখনো মেনে নিবে না। তবে কেনো অধিকার দেখাচ্ছে সে?
– সাম্যদা!!!
– কি?
– সিগারেট কেনো?
– ভালোলাগে তাই!
– তুমি বলেছিলে….
– অনু আমি ড্রাইভ করছি। প্লিজ।।
– আমার রাগ উঠতেছে কিন্তু কেনো? যেদিন চলে গেলে সেদিন কিন্তু প্রমিস করেছিলে তুমি আর….
– আমার ঠোঁট পুড়লে তোর কি? হ্যাঁ সেদিন বলেছিলাম আমি আর খাবো না কারণ সেদিন তুই আমার ঠোটে প্রথম ঠোঁট রেখেছিলি।
সেদিন তুই আমাকে নিজে থেকে প্রথম ভালোবেসেছিলি। তুই যদি নিলয় কে বিয়ে করে ওর বাচ্চার মা হতে পারিস তবে আমার সিগারেট খাওয়া কি স্বাভাবিক না?
.
.
খুব শান্ত ভাবেই সাম্য কথা গুলো বললো। এই কথা গুলো বলার পর অনু শুধু উত্তর দিলো আমি অপেক্ষা করেছিলাম সাম্য দা। তোমার সময় ছিলো না। আমার কোন উপায় ছিলো না। আমি তো ভাসাপানার মতো। শুধু ভাসছিলাম।
.
অনু চুপ হয়ে গেলো। সাম্য ড্রাইভ করছিলো। অনুর চোখ বন্ধ।
হঠাৎ অনুর ফোন বেজে উঠলো সাম্য দেখলো
স্ক্রিনে লিখা
– Niloy is calling
.
.
চলবে।
এই গল্পটা আমার পড়া। সিজন 2 আসার কথা ছিল। এখনো আসেনি। এবার দিবেন কিন্তু লেখিকা আপি।