#শেষ_বিকেলের_আলো(ভ্যাম্পায়ার)
#পর্ব_৩(ধামাকাদার পর্ব)
#লেখক_দিগন্ত
রেইন স্বেচ্ছায় বৈশাখীকে মুক্তি দেয়। বৈশাখীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলে,
-“এবারের মতো তোকে ছেড়ে দিলাম কোন কিছু করলাম না। এরপর আর আমার সাথে লাগতে আসিস না। এর পরিণাম হবে চরম ভয়াবহ।”
বৈশাখী দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। তার হাত পা অবশ হয়ে আসছিল। রেইনের উপর তার ঘৃণা রাগ সবই বেড়ে যাচ্ছে।
বৈশাখী সেখান থেকে আলিসার ঘরে চলে যায়। আলিসা বৈশাখীকে দেখে দ্রুত তাকে নিজের বিছানায় বসায়। তারপর ফাস্ট এইড বক্স দিয়ে বৈশাখীর মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেয়। বৈশাখী অনবরত অশ্রুপাত করছে। আলিশা বলে,
-“শান্ত হও বৈশাখী। আমাদের এতটুকুতেই ভেঙে পড়লে চলবে না। এই পৃথিবী এখন খুব খারাপ সময়ের মুখোমুখি।”
বৈশাখী অবাক হয় আলিসার কথা শুনে। তাকে জিজ্ঞাসা করে,
-“কোন বিপদের কথা বলছ তুমি?”
বৈশাখীকে শান্ত হয়ে বসতে বলে আলিসা তার বইয়ের তাক থেকে একটি বই বের করে। বইটি বৈশাখীর হাতে তুলে দেয়। বৈশাখী বইটির প্রথম পৃষ্ঠা পড়েই তাজ্জব বনে যায়। সেখানে লেখা,
-“শয়তান আসবে আবার এই পৃথিবীতে। তার নিজের রাজত্ব কায়েম করার জন্য। যখন আসবে তখন পৃথিবীতে একটার পর একটা বিপদ এসে উপস্থিত হবে। পৃথিবীর সব যায়গায় দেখা যাবে শয়তানের প্রভাব।”
-“এসবের মানে কি আলিসা?”
-“এই বইটি আমার আব্বুর। তিনিও আমার আর ভাইয়ার মতো এসব বিষয়ে ইন্টারেস্টেড ছিলেন। তিনি অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। যেখান থেকে তুমি অনেক কিছু জানতে পারবে। পড়ে দেখো বইটা। আমি আগে এসব ততোটা বিশ্বাস না করলেও এখন আমি উপলব্ধি করতে পারছি এই বইয়ে লেখা প্রতিটা শব্দ সত্য। ভাইয়ার শরীরে ভ্যাম্পায়ারের আগমন তারই প্রমাণ।”
গোটা বইটা পড়ে বৈশাখীর পুরো শরীর কেপে ওঠে। আলিসাকে বলে,
-“তারমানে শুধু ভ্যাম্পায়ার না পৃথিবীতে এখন আরো অনেক খারাপ কিছু আসতে চলেছে।”
-“হুম। আমারও তাই মনে হয়। তবে একটা স্বস্তির ব্যাপার হলো যেরকম শয়তানদের আগমন ঘটবে তেমনই কিছু ভালো শক্তিও আসবে। কিন্তু এখন যেরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে তাতে কে ভালো আর কে খারাপ সেটা বোঝা দায়।”
-“আমাদের এরকম হাত পা গুটিয়ে থাকলে চলবে না আলিসা। কিন্তু আমরা কিই বা করতে পারি। এখানে তো সমাধানের কথা কিছু লেখা নেই।”
-“সেই পথ আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে বৈশাখী।”
___________
সকালে উঠে এমন দুঃসংবাদ শুনতে হবে বৈশাখী ভাবেনি। পৃথিবীতে কালো ছায়া পড়ে গেছে। চীনে দেখা মিলেছে অদ্ভুত এক ধরনের বাদুড় যাদের কামড়ে মানুষ অস্বাভাবিক রক্তপিপাসু হয়ে উঠছে। বৈশাখীর ভয় এগুলো ভ্যাম্পায়ার যারা খুব শীঘ্রই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। তাদের উদ্দ্যেশ্য পৃথিবীর সব মানুষকে ভ্যাম্পায়ার তৈরি করা।
আলিসা হাফাতে হাফাতে বৈশাখীর রুমে আসে। আলিসাকে খুব ভীত দেখাচ্ছিল। সে বলে,
-“নারায়ণগঞ্জে অদ্ভুত এক ধরনের রোগ ছড়িয়ে গেছে। যেসব মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে, তারা যেসব মানুষকে কা*মড়াচ্ছে তারাও ঐরকম হয়ে যাচ্ছে।”
-“এসব তো..জোম্বি!”
-“ঠিক ধরেছ। এখন কি হবে? এত তাড়াতাড়ি যে পৃথিবীতে শয়তানের প্রভাব পড়তে শুরু করবে ভাবিনি।”
বৈশাখীর চিন্তা হচ্ছিল তার বাবা মায়ের জন্য। তারাও তো নারায়ণগঞ্জে থাকে। বৈশাখী আলিসাকে বলে,
-“আমায় এক্ষুনি যেতে হবে আমার বাবার বাড়ি। তাদেরকে এখানে নিয়ে আসতে হবে।”
-“কি বলছ? এইরকম বিপদে তুমি কিভাবে সেখানে যাবে? যে কোন মুহুর্তে সেখানে লকডাউন দিয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন সেখানে যাওয়া মানে বিপদকে আলিঙ্গন করা।”
-“আমি কিছু জানি না। আমার মা-বাবাকে বাঁচাতে হবে। আমার মনটা বড্ড কু ডাকছে।”
বৈশাখী আর কোন কথা না শুনে বেরিয়ে পড়ে। আলিসা তাকে আটকানোর বৃথা চেষ্টা করে।
_____
বৈশাখী তার বাবার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়। পথ যেন শেষই হতে চায়না। বৈশাখী চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিল সেখানে পৌছানোর জন্য। হঠাৎ মাঝরাস্তায় ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দেয়। বৈশাখি গাড়ি থামানোর কারণ জানতে চাইলে বলে,
-“আমার ঘরে বউ বাচ্চা আছে। আমি এভাবে যেচে বিপদের মুখে যেতে পারব না। আপনার যদি যাওয়ার ইচ্ছে থাকে একা চলে যান।”
বৈশাখী বুঝতে পারে পুরো ব্যাপারটা। এইরকম সময়ে সবাই তো ভয় পাবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই বৈশাখী আর বেশি কথা বাড়ায় না। চুপচাপ নেমে যায় গাড়ি থেকে। নারায়নগঞ্জের সীমানায় প্রায় চলেই এসেছে।
পুরো শহরের পরিস্থিতি একদিনেই যেন পুরোপুরি বদলে গেছে। কর্মব্যস্ত শহরটা হঠাৎ যেন চুপ হয়ে গেছে। আশেপাশে কোন জনমানবের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে সবাই হয় শহর ছেড়ে চলে গেছে নাহয় ঘরের মধ্যে বন্দি আছে।
রাস্তা ধরে হাটা ধরলে আধা ঘণ্টার মধ্যেই বৈশাখী তার বাড়িতে পৌঁছে যাবে৷ তাই আর বেশি কিছু না ভেবে হাটা শুরু করে দেয়। চারিদিকে গা ছমছমে পরিস্থিতি। যত সামনে এগোচ্ছে ভয় আরো ততো ঘিরে ধরছে বৈশাখীকে। কিছুদুর এগোনোর পর একটা বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ তার কানে আসে। ভয়ে বৈশাখীর অত্মরাত্না কেপে ওঠে।
বাড়িটায় অনেকে বাঁচার আকুতি করছে। বোঝাই যাচ্ছে বড় কোন বিপদ হয়েছে। বৈশাখী তো চাইছিল কোন ঝামেলায় জড়াতে কিন্তু এভাবে চলে যেতেও তার বিবেক বাধা দিচ্ছিল। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল যাবে এই বাড়ির ভিতরে।
যেই ভাবা সেই কাজ বৈশাখী দৌড়ে যায় বাড়ির ভিতরে। চিৎকারের আওয়াজ আরো প্রশস্ত হয়। বৈশাখী শুনতে পায় বাড়ির দোতলা থেকে চিৎকারের আওয়াজ। বৈশাখী ছুটে যেতে নেয় তখনই কেউ তার হাত টেনে ধরে।
এক বৃদ্ধা মহিলা, না ইনি আর মানুষ নন জোম্বিতে পরিণত হয়েছেন। তাকে দেখে ভয়ে বৈশাখী চিৎকার করে দেয়। মহিলাটি তার হাতে কামড় দিতে যাবে তার আগেই হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে পালায়। মহিলাটিও আসে তার পেছন পেছন।
দোতালায় আসতেই সাক্ষাত হয় একজন যুবতী মহিলার সাথে। বয়স বেশি ২৫-২৬ হবে। মহিলাটি যেন বৈশাখীকে দেখে স্বস্তি পায়। মহিলাটি বুকে আগলে ধরে ছিল তার তিন বছরের সন্তানকে।
বৈশাখী জিজ্ঞাসা করে,
-“কি হয়েছে এখানে?”
মহিলাটি ভীত গলায় উত্তর দেয়,
-“আমার স্বামী, শাশুড়ী সবাই বিকৃত মানব(জোম্বি) পরিণত হয়েছে। আমার মনে হয় আমারও একই দশা হবে কারণ আমার স্বামী একটু আগে আমাকে কামড়েছেন। আমি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নই। আমি আমার মেয়েটাকে নিয়ে চিন্তিত। ওকে আমি আগলে রেখেছি। আমার মেয়েটাকে বাঁচান প্লিজ। এটা এক অসহায় মায়ের অনুরোধ।”
কথাটা বলে কাঁদতে কাঁদতে নিজের মেয়েকে বৈশাখীর কোলে তুলে দেন তিনি। মেয়েটির মাথায় শেষবারের মতো হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন,
-“না জানি আবার সবকিছু ঠিক হবে কিনা।”
মেয়েটা খুব কাঁদছিল তার মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য। বৈশাখীর খুব খারাপ লাগছিল এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হতে।
হঠাৎ করে মহিলার পুরো শরীর কেপে ওঠে। তিনি ইশারা করেন চলে যাওয়ার জন্য। মুহুর্তের মধ্যে মহিলাটি জোম্বিতে পরিণত হয়ে বৈশাখীদের দিকে এগিয়ে যায়। পেছন থেকে তার স্বামীও আসছিল, আর সিঁড়ির দিকে দাঁড়িয়ে তার শাশুড়ী। সকলেই জোম্বিতে পরিণত হয়েছে। বৈশাখী এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
যেই মেয়েটা রাতে ভূতের গল্প শুনলে বাতরুমে যেতে ভয় পেত এইরকম পরিস্থিতি তার জন্য যে কতটা ভয়ানক সেটা আন্দাজ করা কঠিন নয়।
বৈশাখী একবার তাকালো বাচ্চা মেয়েটার দিকে। কিরকম অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। মেয়েটার দিকে তাকাতেই বৈশাখী সাহস পেয়ে যায়। তার মনের ভেতর থেকে বলে ওঠে,
-“পালা বৈশাখী পালা। তোকে বাঁচাতে হবে এই ফুটফুটে মেয়েটিকে।”
বৈশাখীর নজর যায় পাশে পড়ে থাকা একটি লোহার রডের দিকে। রডটি হাতে তুলে নেয় বৈশাখী। এগিয়ে যায় সামনে। বৃদ্ধা জোম্বিটি সামনে এগিয়ে আসতেই জোরে আঘাত করে তার হাতে। জোম্বিটি একটু সরে যায়। এই সুযোগে বৈশাখী ছুটতে থাকে। তার পেছন পেছন ছোটে জোম্বিরাও।
বৈশাখী প্রাণপণে ছুটছে। পরিস্থিতি যে মানুষকে কতটা বদলে দেয় তার জলজ্যান্ত সাক্ষী সে। এই প্রথম কাউকে আঘাত করল সে। আগে যেখানে মশা মা*রতেও হাত কাপতো সেখানে এখন কিভাবে এভাবে আঘাত করল সেটা বৈশাখী বুঝতে পারছে না। হঠাৎ তার মধ্যে অন্যরকম কোন শক্তি যেন চলে এসেছিল।
বৈশাখী ছুটে চলে। একসময় ক্লান্ত হয়ে যায় কিন্তু থামে না। পেছনে ফিরে তাকায় এখনো জোম্বিরা তার পিছনেই আছে। বৈশাখী সামনে আগাচ্ছিল আর বলছিল,
-“আর বেশি না। একটু এগোলেই আমার বাড়ি…”
ভাগ্যে কখন কি হয় বলা যায়। বৈশাখী নিজের বাড়ির রাস্তায় গিয়ে বুঝতে পারে ভাগ্য তার সাথে কত বড় খেলা খেলেছে। সামনের সবগুলো বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছে মানুষ। বৈশাখীকে ভেতরে যেতে দেখে একজন বলল,
-“এইদিকে যাবেন না। গোটা এলাকা জোম্বিদের দখলে। আমার অনেক কষ্টে সেখান থেকে আসতে পেরেছি। ওখানে গিয়ে বোকামি করবেন না।”
বৈশাখী শোনে না সেই কথা। তার মনে হয় তার মা-বাবা হয়তো এখনো ভালো আছে, আটকে আছে ভেতরে। ক্ষীণ আশা বুকে জমিয়ে সে পা বাড়ায় নিজের বাড়ির দিকে। সুন্দর সুসজ্জিত আবাসিক এলাকাটা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। চারিদিক থেকে আসছে মানুষের চিৎকারের আওয়াজ। বৈশাখীর দুশ্চিন্তা বাড়ে। নিজের বাড়ির গেইটের সামনে এসে দেখে দাড়োয়ান গেট আগলে দাঁড়িয়ে আছে।
বৈশাখীর মনে আশার সঞ্চার হয়। ডেকে ওঠে,
-“করিম চাচা….”
পিছন ফিরে তাকায় করিম। তাকে দেখে বৈশাখী আঁতকে ওঠে। করিম চাচাও জোম্বিতে পরিণত হয়েছে। এই লোকটা দীর্ঘ ২০ বছর থেকে বৈশাখীর বাড়িতে দাড়োয়ানের কাজ করছেন। কত স্নেহ করতেন বৈশাখীকে। তার এই অবস্থা দেখে বৈশাখীর স্বাভাবিক ভাবেই অনেক খারাপ লাগে।
জোম্বিতে পরিণত হওয়া করিম এগিয়ে আসে বৈশাখীর দিকে। বৈশাখী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে করিমের মাথায়। করিম একটু অসচেতন হতেই বৈশাখী বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায়।
বাড়িতে ঢুকে যেন প্রাণ ফিরে পায় বৈশাখী। তার মনে হয় সব বিপদ চলে গেছে।
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখে বিশাল হোসেনকে। আব্বু বলে দৌড়ে তার কাছে যেতে ধরে তখনই সবথেকে বড় আঘাত পায়।
-“আব্বু তুমি জোম্বি হয়ে গেছ!”
বৈশাখীর চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে। বাচ্চা মেয়েটিকে কোলে আরো শক্ত করে আগলে ধরে। বৈশাখীর মাও এগিয়ে আসে। তিনিও জোম্বিতে পরিণত হয়েছেন। নিজের মা-বাবার এই অবস্থা দেখে বৈশাখীর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছিল। যাদেরকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলো এতদূর তাদের এই অবস্থা দেখে স্বাভাবিক থাকা সম্ভব নয়।
বৈশাখী ডুকরে কেঁদে ওঠে। বিশাল হোসেন এবং তার স্ত্রী এখন জোম্বি, শয়তানের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা নিজেদের মানব জীবনের সব কথা ভুলে গেছেন। তাদের উদ্দ্যেশ্য একটাই নতুন নতুন মানুষকে জোম্বিতে পরিণত করা।
বৈশাখীর দিকেও এগিয়ে যেতে থাকে তারা। বৈশাখীর হুশ ফেরে। তাকে নিজেকে শক্ত করতে হবে। বাঁচতে হবে তাকে, নিজের জন্য না হলেও এই বাচ্চা মেয়েটির জন্য। মেয়েটির মা যে অনেক ভরসা করে তার কোলে তুলে দিয়েছিল।
বৈশাখী এক ছুটে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যায়। তার বাবা মাও যায় পেছনে। নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় বৈশাখী। তার মা-বাবা এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে। বৈশাখী জানালা দিয়ে দেখে বাইরে থেকে অনেকে এই বাড়ির দিকেই আসছে। জোম্বিরা মানুষের গন্ধ পায়। আর খুব সম্ভবত এই আবাসিক এলাকায় বৈশাখী আর এই বাচ্চাটিই একমাত্র জীবিত মানুষ। তাই সবাই এদিকেই আসছে তাদের মা*রতে। অনেক মানুষের ধাক্কায় দরজা আলগা হতে থাকে। বৈশাখী বাচ্চাটিকে বিছানায় বসিয়ে অনেক কষ্টে একটি টেবিল টেনে নিয়ে গিয়ে দরজার সামনে রাখে। সে জানে না আজ বাঁচবে কিনা কিন্তু সে চেষ্টা করে যাবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। হঠাৎ একঝাঁক বাদুড় উড়ে আসে ঘরের ভেতর। ভয়ানক তাদের চাহনি। এদিকে জোম্বিরাও দরজা ভেঙে ঢুকে আসছে প্রায়। বৈশাখী ভেবে নেয় এখানেই সব শেষ!
(চলবে)