শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর পর্ব-২৩

0
1805

#শুভ্র_নীলের_প্রেমপ্রহর
লেখক- এ রহমান
পর্ব ২৩

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে। অসময়ের বৃষ্টিতে প্যাচ প্যচে কাদাময় বাইরে। বেশ বিরক্তিকর একটা পরিবেশ। বাইরে বের হওয়ার কোন উপায় নেই। মনে হচ্ছে সারাদিন আজ বৃষ্টি থামবে না। ইভানও আজ সারাদিন বাসায়। এই বৃষ্টির দিনে ঘুম থেকে উঠেছে দেরি করে। কোন কাজ নেই তাই সামনে টিভি চালিয়ে দিয়ে গল্পের বই পড়ছে। আর এইদিকে বউ শাশুড়ি মিলে রান্না ঘরে ব্যস্ত। আজ খিচুড়ি আর ভাজি রান্না হবে। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি ভাজি বেশ মজাদার একটা খাবার। দুজনে মিলে রান্নায় মেতে উঠেছে। এমন সময় ইভানের মায়ের ফোন বেজে উঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে তিনি ঈশাকে বললেন
–ভাজিটা একটু দেখ তো মা। আমি একটু কথা বলি।

ঈশা মাথা নেড়ে ভাজি নাড়তে শুরু করলো। ইভানের মা ফোনে কথা বলছেন। কার সাথে কথা বলছে ঈশা ঠিক বুঝতে পারছে না। আর বুঝতেও চাইছে না। সে তার কাজে ব্যস্ত। বেশ কিছুদিন পার হয়েছে বিয়ের। ঈশা নিজের মতো সংসারের দায়িত্ব গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটা। আনমনে রান্না করছিল ঈশা। কিন্তু এর মাঝেই অস্পষ্ট কথা তার কানে আসলো। ইভানের মা বেশ উতফুল্যের সাথে ফোনের অপর পাশের ব্যক্তিটাকে বলছেন
–সবে তো বিয়ে হল। কিছুদিন যাক। নিজেদেরকে একটু গুছিয়ে নিক। তারপর না হয় বাচ্চা নিয়ে ভাববে।

কথাটা কানে আসতেই ঈশার চাপা কষ্টটা আচমকাই নড়েচড়ে উঠলো। থমকে গেলো কেমন সব কিছু। চোখ ভরে এলো। ইভানের মা কথা শেষ করে রান্না ঘরে আসতেই ঈশা নিজের চোখের পানি লুকিয়ে ফেলল। ইভানের মা ঈশার দিকে না তাকিয়েই বলল
–যা মা গোসল করে নে। আমি এটা শেষ করে যাচ্ছি।

ঈশা কোন কথা বলল না। মাথা নেড়ে চলে গেলো উপরে। ছলছল চোখে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো। ঘরের দরজার সামনে এসে নিজের চোখের পানিটা লুকিয়ে ফেলল। দ্রুত ঘরে ঢুকে ব্যস্ত ভঙ্গিতে কাপড় নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। ওয়াশ রুমে গিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো কাদল। এতদিনে ইভানের কাছে থাকতে থাকতে সে এই বিষয়টা ভুলেই গিয়েছিলো। ইভানের মায়ের কথা শুনে আবার কষ্টটা নতুন করে গাড় হয়ে উঠলো। এলোমেলো লাগছে সব কিছু। সবাই যখন জানতে পারবে তখন কি হবে। কিভাবে নিবে এসব ভাবতেই আবারো চোখের পানি ছেড়ে দিলো ঈশা। অনেকটা সময় পর ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে এলো। বের হয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতেই ইভান কে বলল
–যাও তাড়াতাড়ি গোসল করে এসো।

ইভান বই থেকে চোখ তুলে তাকাল ঈশার দিকে। মুখটা দেখা যাচ্ছে না। পিছন ফিরে আছে। ইভান সন্দিহান কণ্ঠে বলল
–কি হয়েছে?

ঈশা থেমে গেলো। নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে পিছন ফিরে তাকাল। ভ্রু কুচকে বলল
–কি হবে?

ইভান কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বইটা বন্ধ করে বলল
–সেটাই তো জানতে চাচ্ছি।

ঈশা হেসে বলল
–কিছু হয়নি তো।

কাছে এসে ইভানের হাত ধরে ওয়াশ রুমের ভিতরে ঢুকে দিয়ে বলল
–তাড়াতাড়ি বের হবে কিন্তু। খুদা পাইছে।

ইভান কোন কথা বলল না। কিন্তু সবই বুঝল। ওয়াশ রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো। ঈশা সস্তির নিশ্বাস ফেলল।

—————
পশ্চিম আকাশে এলোমেলো ভাবে মেঘের বিচরণ। সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পরে গোধূলি বেলায় একটু ছাড় দিয়েছে। বৃষ্টির ঠাণ্ডা হাওয়াটা গায়ে এসে লাগছে। বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতি কেমন প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। স্নিগ্ধ লাগছে দেখতে। ঈশা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে শেষ বেলার সেই প্রকৃতির দর্শন করতে উঠেছে ছাদে। দৃষ্টি তার আকাশের দিকে স্থির। কিন্তু এসব কিছুই তার মন ছুঁতে পারছে না। এতদিনে বেমালুম ভুলে যাওয়া কষ্টটা আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তার সাথেই কেন এমন হল। বছর ঘুরতে না ঘুরতে যখন সবাই এসব নিয়ে কথা বলবে তখন ঠিক কি হবে? সবার মনে একটা অপ্রাপ্তি থেকে যাবে। সমাজে কতজন কত কথা বলবে। এসব ভাবতেই আবারো চোখ ভরে উঠলো।
–মন খারাপ?

রেলিঙ্গের উপরে পা তুলে বসতে বসতে বলল ইভান। গভির ভাবনায় ডুবে থাকলেও তার গলা শুনে ঈশা একটুও চমকাল না। যেন সে জানতো ইভান এখন আসবে। পিট পিট করে চোখের পানি লুকিয়ে সামনে তাকিয়েই বলল
–না তো। মন খারাপ হওয়ার কোন কারন আছে কি?

ইভান মুখে হাসির রেশ টেনে বলল
–আছে না কত কারন। হয়তো আমাকে মিস করছ।

ঈশা পাশ ফিরে সরু চোখে তাকাল। পুরোটা ঘুরে ইভানের দিকে মুখ করে দাঁড়ালো। মৃদু হেসে বলল
–তুমি আজ সারাদিন বাসায় আছ। মিস করবো কেন? সামনে থাকলে কি কেউ মিস করে।

ইভান হাসল। নিচের দিকে তাকিয়ে বলল
–তার মানে আমি জখন থাকিনা তখন মিস করো।

ঈশা কথা বলল না। আবার ঘুরে দাঁড়ালো। সামনে আকাশের দিকে দৃষ্টি স্থির করলো। ইভান আবারো বলল
–কই বল না তো।

ঈশা সামনে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো
–বললে কি হতো?

ইভান ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–বললে ছুটে চলে আসতাম তোমার কাছে।

ঈশা মৃদু হেসে কণ্ঠে হালকা অভিমান রেখে বলল
–তোমার তো কত কাজ। সেসব ফেলে কি আসতে?

রেলিঙ্গের উপরে রাখা ঈশার হাতটা ধরে সেটাকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরল। ঈশা ফিরে তাকাল ইভানের দিকে। ইভান আবেগি কণ্ঠে বলল
–কিছু অনুভব করতে পারো?

ঈশা অবুঝের মতো চেয়ে থাকলো। ইভান আবারো বলল
–আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন এই তুমিটাকে ছাড়া আমি যে অপূর্ণ। বেচে থাকার জন্য আমার এই তুমিটাকে দরকার। তোমার মাঝেই আমার সব পূর্ণতা। তুমি থাকলে আমার আর কিছুই লাগবে না। আমার জীবনে যত কিছুই থাক তোমার থেকে কোনটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখনি মিস করবে আমাকে ডাকবে আমি চলে আসব। প্রমিস।

ঈশা হেসে ফেলল। এতো মন খারাপের মাঝেও এভাবে তৃপ্তি নিয়ে হাসার কারণটা নিজের কাছেই বোধগম্য হলনা তার। হঠাৎ করেই মনের কাল মেঘটা সরে গিয়ে এক ফালি রোদ্দুর উকি দিলো মনে হচ্ছে। হাতটা আরও গভির ভাবে ইভানের বুকে স্পর্শ করে বলল
–মিস করি কিনা জানিনা। তবে আমি খুব বেশী বিরক্ত করতে পারি। যখন তখন ফোন করে আসতে বলবো। তখন কিন্তু বিরক্ত হওয়া যাবে না।

ইভান ঠোট চেপে হেসে বলল
–আমাকে আবার যে যত কিছু দেয় আমি তাকে তার অনেক গুন ফেরত দেই। আমাকে যত বিরক্ত করবে আমি তার কয়েক গুন ফেরত দিবো।
ঈশা বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে নিজের হাত সরিয়ে নিলো। ইভান হেসে ফেলল।

—————
কয়দিন যাবত ইভান খুব ব্যস্ত। প্রতিদিন প্রায় সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয় একদম রাতের বেলা আসে। ঈশাকেও ঠিক মতো সময় দিতে পারছে না। আজও কিছু জরুরী কাজ ছিল তার। সেগুলো সম্পন্ন করে সোজা হসপিটালে গেলো ইলহামের কাছে। ইলহাম নিজের কাজে ব্যস্ত তাই ইভান বসে অপেক্ষা করছে তার রুমে। কিছুক্ষনের মধ্যে হন্তদন্ত করে রুমে ঢুকেই ইভান কে বলল
–সরি রে। কাজ শেষ করতে একটু দেরি হয়ে গেলো। অনেক্ষন অপেক্ষা করেছিস।

ইভান একটু হেসে বলল
–অজথা কেন ফর্মালিটি করছ? আমি বেশিক্ষন অপেক্ষা করিনি।

ইলহাম চেয়ারে বসতে বসতে বলল
–বস। বল কি খাবি?

ইভান সামনের চেয়ারটা টেনে নিয়ে বলল
–চা খাবো।

–শুধু চা?

ইভান হেসে বলল
–আপাতত শুধুই চা।

–তারপর বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে?

ইলহামের প্রশ্ন শুনে ইভান হাসল। হাসি মুখে রেখেই বলল
–যেমন কাটার কথা ছিল। ঈশার মধ্যে এখনও বাচ্চামি ভাবটা আছেই। ম্যাচিউর হতে একটু সময় লাগবে।

ইভানের কথা শেষ হতেই ইলহাম বলল
–ইভান আমি ঈশার রিপোর্ট গুলো সবটা দেখেছি। ঈশার মেইন প্রবলেম হল ওর ইউট্রাসে অসংখ্য সিস্ট আছে। যার কারনেই ওর ইউট্রাস অনেক উইক। আর এই অবস্থায় কোন ভাবেই কন্সিভ করা পসিবল না।

ইভান মনোযোগ দিয়ে শুনল ইলহামের কথা। তারপর শান্ত গলায় বলল
–এর কি কোন ট্রিটমেন্ট নেই ভাইয়া?

ইলহাম একটু হতাশ গলায় বলল
–আছে। কিন্তু এটা বলা যায়না যে একদম সুস্থ হয়ে যাবে। সিস্ট গুলো এখনি তেমন কোন ক্ষতি না করলেও ছোট ছোট কিছু শারীরিক সমস্যা হবে। আর যত দিন যাবে ওগুলো তত বাড়তে থাকবে। তাই ট্রিটমেন্ট তো অবশ্যই শুরু করতে হবে। কিন্তু এই ট্রিটমেন্ট অনেক লম্বা সময় ধরে চলবে। সব থেকে বড় কথা হল ট্রিটমেন্ট করার পরে আমরা সিস্ট গুলো নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলেও কন্সিভ করার ক্ষমতাটা ঈশার মধ্যে তৈরি হবে কিনা সেটা বলা সম্ভব না। চান্সও খুবই কম। বলতে গেলে নেই।

ইভান শান্ত ভাবে বলল
–আমার এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। আসলে প্রবলেমটা ঈশার। কে কি ভাবল। কি বলল। এসবের কারনে ইদানিং খুব বেশী মেন্টালি স্ট্রেচড থাকে। ওর মেন্টাল স্ট্রেস কমানোর জন্যই আমি আসলে খুব তাড়াতাড়ি ট্রিটমেন্ট শুরু করতে চাই। পরে কি হবে সেটা পরের কথা। কিন্তু আপাতত মনের মধ্যে একটা শান্তি থাকবে যে ট্রিটমেন্ট চলছে। কিছু একটা রেজাল্ট আসবে তো।

ইলহাম সম্মতি জানালো। ইভান একটু ভেবে বলল
–আমি এখনি ঈশাকে কিছু বলতে চাচ্ছিনা ভাইয়া। তুমি সব কিছু ব্যবস্থা করো। তারপর জানাবো। আর হ্যা তুমি শুধু একটা বিষয় খেয়াল রেখো ঈশা এই ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে যা জানবে সবটাই যেন পজিটিভ হয়। আমি ঈশাকে কোন রকম ডিপ্রেশনের মধ্যে দেখতে চাই না।

ইলহাম মাথা নাড়ল। ইভান কথা শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে বের হল। সারা রাস্তা একটা বিষয় নিয়ে ভাবছে। নিজের কাজের কারনে মাঝে মাঝেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে। ঠিক মতো সময় দিতে পারেনা ঈশাকে। আর ঈশাও একা একা শুধু এসব নিয়েই ভাবে। এরকম চলতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে যাবে। ঈশাকে এই ডিপ্রেশন থেকে বের করতেই হবে। ভাবতে ভাবতে বাসায় পৌঁছে গেলো।

ইভান বাইরে থেকে এসে সোজা ঘরে গেলো। সারা বাড়ি নিস্তব্ধ। সে আজ আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছে। ঈশা শুয়েছে কিনা সেটা ভেবেই ঘরের দরজাটা আসতে করে খুলল। কিন্তু ঈশাকে ঘরে কোথাও দেখতে পেলো না। একটু ভিতরে ঢুকে দেখল বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। ঈশার এরকম আচরন ইভানের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না। ঈশার কারনে সেও ডিপ্রেসড হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিলো। শব্দ শুনে ঈশা ঘরে এসে ইভান কে দেখে জিজ্ঞেস করলো
–এতো দেরি করলে যে?

ইভান পকেট থেকে ফোনটা বের করে সেটার দিকে তাকিয়ে মৃদু সরে বলল
–কাজ ছিল।

ঈশা একটু অভিমানী সুরে বলল
–এখন তো তুমি অনেক ব্যস্ত। সব সময় কাজে ব্যস্ত থাক। রাতেও দেরি করে আসো। এভাবে চলতে থাকলে দুইদিন পর তোমার সাথে কথা বলতেও এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখতে হবে।

ঈশার এমন কথা শুনে ইভানের মেজাজ আচমকাই খারাপ হয়ে গেলো। খুব কষ্টে নিজের রাগটা সংবরন করে হাতের ঘড়িটা খুলতে খুলতে বলল
–ব্যস্ত মানুষের বউদের ধৈর্যটা একটু বেশী থাকতে হয়। এতো অল্পতেই অধৈর্য হয়ে পড়লে চলে না।

ঈশা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল
–বউ আছে সেটা মনে আছে তাহলে।

ইভান এবার ঘুরে তাকাল। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে স্বাভাবিক ভাবেই বলল
–ভুলে যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। সকালে বাইরে যাওয়ার সময় দেখি। রাতে বাইরে থেকে এসে দেখি। যখন বাসায় থাকি তখনও দেখি। নিজের মতো ভাই বোনদের সাথে হাসি ঠাট্টায় মত্ত। বাড়ির সবার খেয়াল রাখায় ব্যস্ত। এতো বড় একটা সংসার সামলায়। সারা বাড়ির কাজে এদিক সেদিক ছুটে বেড়ায়। কখনও নিজের জন্য ব্যস্ত। কখনও সংসারের কাজে ব্যস্ত। এই তো। এতো কিছু চোখে পড়লে কি আর ভুলে যাওয়া সম্ভব।

ঈশা মনোযোগ দিয়ে শুনল কথা গুলো। কথার ধরনটা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। ঈশার কোথাও চরম ভাবে আঘাত করলো। ইভান কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ঘুরে ওয়াশ রুমের দিকে পা বাড়াতেই ঈশা অসহায়ের মতো বলল
–এসব কথা বলার মানেটা কি জানতে পারি?

ইভান ওয়াশ রুমের দরজা ঠেলে খুলে বলল
–আমি এতো কঠিন কথা বলি জানতাম না তো। আমার তো এতদিন মনে হতো আমি খুব সহজ স্বাভাবিক একটা মানুষ। কিন্তু এখন দেখছি আমার মধ্যে অনেক জটিলতা আছে।

চলবে…………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে