শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর পর্ব-১৬

0
1887

#শুভ্র_নীলের_প্রেমপ্রহর
লেখক- এ রহমান
পর্ব ১৬

মৃদু আওয়াজ কানে আসতেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো ঈশার। চোখ খুলতে পারছে না। অনেক রাতে ঘুমানর ফলে মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে। কষ্ট করে চোখ খুলে ফেলল। অন্ধকার ঘর। কিন্তু সকাল হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। ফ্যানের বাতাসে জানালার পর্দাটা উড়ছে। সেটার ফাক দিয়ে মৃদু আলো আসছে। ঈশা উঠে বসলো। ফ্যানের শব্দটা কম মনে হচ্ছে। ফ্যানের স্পীড কমানো আছে। কিন্তু ঘুমানর আগে তো সে কমায়নি। তার মানে ঘুমানোর পরে ইভান এসেছিলো ঘরে। ঈশা বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো। রুনু ঝুনু আওয়াজ কানে আসতেই পায়ের দিকে খেয়াল করলো। সেই পায়েল। তার মানে ইভান এসে তাকে পরিয়ে দিয়ে গেছে। মনে মনে খুব খুশি হল। জানালার পর্দা সরিয়ে বারান্দার দরজা খুলে দিলো। সকালের স্নিগ্ধ বাতাসটা এসে লাগতেই মনটা ভরে গেলো। এবার ঘরের দরজা খুলতেই দেখল ইলু আর ইরিনা বাইরে দাড়িয়ে আছে। তারা যেন দরজা খোলার অপেক্ষাতেই ছিল। ঈশাকে দেখে দাত কেলিয়ে বলল
–গুড মর্নিং!

ঈশা হেসে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল
–গুড মর্নিং!

ঈশা পুরো দরজাটা খুলতেই ইলু আর ইরিনা দুজনেই ঘরে উকি ঝুকি দিলো। কাউকে দেখতে না পেয়ে ইরিনা ফিস ফিস করে বলল
–ভাইয়া কোথায়? ওয়াশ রুমে?

ঈশা ক্লান্ত সরে বলল
–ইফতির ঘরে।

কথাটা শুনে ইলু আর ইরিনা চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর একে অপরের দিকে তাকিয়ে ঈশাকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকল। ঈশা তাদের এরকম আচরনে বেশ অবাক হল। সেও ধির পায়ে গিয়ে বিছানার উপরে বসলো। ইরিনা ভ্রু কুচকে ঈশার দিকে তাকিয়ে বলল
–ভাইয়া ইফতির ঘরে এতো সকাল সকাল কি করছে?

ঈশা ক্লান্ত সরে বলল
–ঘুমাচ্ছে।

দুজনি একসাথে চিৎকার করে বলল
–ঘুমাচ্ছে মানে?

ঈশা চমকে তাকাল তাদের দিকে। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
–এভাবে চিৎকার করার কি আছে? ইফতির ঘরে থাকা নিষেধ আছে নাকি?

ইলু একটু ঝাঝাল কণ্ঠে বলল
–নিষেধ মানে কি! মহাপাপ!

ঈশা বিরক্ত হল। কোন কথা বলল না। ইরিনা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
–ভাইয়া কি রাতে ওখানেই ঘুমিয়েছিল?

ঈশা ক্লান্ত ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল। ইরিনা আবারো সরু চোখে তাকিয়ে বলল
–তোরা কি ঝগড়া করেছিস নাকি?

ঈশা বিরক্তিকর শব্দ করে বলল
–কি আশ্চর্য! ঝগড়া কেন করতে যাব?

–তাহলে ইফতির ঘরে কেন ভাইয়া ঘুমিয়েছে?

ইলু প্রশ্ন শেষ করতেই ঈশা এবার তেতে উঠে বলল
–কি তখন থেকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে একি কথা বলছ। সমস্যা কি? কেন ঘুমিয়েছে আমি কিভাবে জানব? তার মন চেয়েছে ঘুমিয়েছে। এটা নিয়ে এতো সিন ক্রিয়েট করার কি আছে?

থেমে আবার ক্লান্ত সরে বলল
–তাছাড়া ইফতির ঘরে ঘুমালে সমস্যা টা কি সেটাই আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

ইলু ঝাঝাল কণ্ঠে বলল
–অনেক সমস্যা। নতুন বউকে একা ঘরে রেখে রাতে অন্য ঘরে ঘুমানো অনেক সমস্যা। নতুন বর বউ আলাদা ঘুমায় সেটা বাইরে কেউ জানতে পারলে মান সম্মান থাকবে না।

এবার ঈশা ওদের কথা বুঝতে পারল। তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল। আবার কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইভানের গলা শুনে থেমে গেলো।
–এতো সকাল সকাল আড্ডা দিতে চলে এসেছিস। তোরা ঘুমাস না বলে কি আমার বউটাকেও ঘুমাতে দিবিনা।

ইরিনা গম্ভির গলায় বলল
–তোমার বউ নিজে নিজেই উঠে গেছে। আমরা বিরক্ত করিনি।

ইভান ঘরে ঢুকার আগেই ওদের কথা শুনেছে। ঈশা যে তাদের এসব কথার উত্তর দিতে পারবে না সেটাও বুঝে গেছে। তাই পরিস্থিতি সামলাতে ঈশার পাশে গিয়ে বসলো। নরম সরে জিজ্ঞেস করলো
–ঘুম হয়েছে রাতে?

ঈশা চোখ নামিয়েই মাথা নাড়াল। ইরিনা সন্দিহান কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো
–তুমি বউকে একা রেখে ইফতির ঘরে কেন ঘুমিয়েছিলে?

ইভান ভ্রু কুচকে তাকাল দুজনের দিকে। এতক্ষন ঈশাকে প্রশ্ন করে মেরে ফেলছিল সেটা পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু তারা যে ইভান কেও এভাবে প্রশ্ন করবে সেটা সে ভাবেনি। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে উত্তর দিলো
–আমার একটু কাজ ছিল। ঈশা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর আমার কাজ শেষ করতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। তাই আর বিরক্ত করিনি। ওর ঘুম ভেঙ্গে যাবে বলে ইফতির ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম।

ইভানের কথা যে তাদের বিশ্বাস হয়নি সেটা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু ইভান সেটাকে পাত্তা না দিয়ে ঈশাকে বলল
–ব্রেক ফাস্ট করতে হবে না? ঔষধ খেতে হবে তো।

ঈশা মাথা নাড়িয়ে উঠে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। ইভান সস্তির নিশ্বাস ছেড়ে উঠে বাইরে গিয়ে সোফায় বসলো।

————-
ভর সন্ধ্যা বেলা। বারান্দায় দাড়িয়ে রাস্তার দিকে নিচে তাকিয়ে আছে ঈশা। দূরে কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয়। সেটারই ঠাণ্ডা হাওয়াটা গায়ে এসে লাগছে মাঝে মাঝে। খোলা চুল গুলো মুখে এসে পড়ছে। বেশ বিরক্ত লাগছে। হাত খোপা করে আবার নিচে তাকাতেই চোখে পড়ল ইফতি হেটে যাচ্ছে। ঈশা উপর থেকেই চেচিয়ে বলল
–ঐ ইফতি। কই যাস?

ইফতি ঈশার গলা শুনে উপরে তাকাল। সেও একটু গলা তুলে বলল
–এমনি হাটি। কোথাও যাই না।

ঈশা একটু ভাবল। তারও এখন হাটতে ইচ্ছে করছে। তাই আর কিছু না ভেবেই বলল
–আমিও যাব। দাড়া।

ইফতি ভালো করে দাড়িয়ে বলল
–আসো।

ইফতির কথা শেষ হতেই পাশের বারান্দা থেকে ইভান ধমক দিয়ে বলল
–এতো চেচামেচি করছিস কেন? কি হয়েছে?

ঈশা আচমকাই এরকম ধমক খেয়ে চমকে উঠল। ইফতি নিচ থেকে বলল
–ভাবি আপুকে নিয়ে হাটতে যাব।

ইভান ইফতির দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে ঈশার দিকে তীক্ষ্ণ ভাবে তাকাল। ঈশা ওড়নাটা মাথায় টেনে দিয়ে নিচে তাকিয়ে আছে। ইভান কিছু বলার আগে ইফতি আবার বলল
–নিচে আসো।

ইভান এবার গলা তুলে ইফিতকে ধমক দিলো। বলল
–আবার যদি চিৎকার করেছিস তো তোর খবর আছে। ঈশা কোথাও যাবে না। তুই যা।

ইফতি গেলো না। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলো। ইভান গম্ভির ভাবে বলল
–তুই যাবি না আমি আসব।

ইফতি বুঝতে পারল আর দাড়িয়ে থাকা সম্ভব না। তাই চলে গেলো একা একা। ঈশা অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে ইফতির দিকে। সেদিক থেকে চোখ ফিরিয়ে মুখ ভার করে ইভানের দিকে তাকাতেই ইভান বলল
–আসতে কথা বলতে বলেছিলাম। মনে নেই?

ঈশা মুখ ভার করেই বলল
–এখান থেকে আসতে কথা বললে কি নিচে শোনা যায়?

ইভান এবার রেগে গেলো। ধমক দিয়ে বলল
–এখান থেকে নিচে কথা বলার দরকার কি ছিল? না বললে কি দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যেত?

ঈশা কিছু বলতে গেলো কিন্তু আবার ইভান ধমক দিয়ে বলল
–চুপ। একদম চুপ। আর একটা কথাও যেন মুখ দিয়ে না বের হয়।

ঈশা কিছু বলল না। তার খুব মন খারাপ হল। মাথা নামিয়ে নিলো। এর মাঝেই ঈশান নিচে থেকে গলা তুলে বলল
–ইভান ভাইয়া।

ইভান নিচে তাকাল। ঈশানকে দেখে বলল
–কই যাস?

ঈশান দুষ্টুমির সুরে বলল
–তোমাদের কাছেই যাচ্ছিলাম। আম্মু নতুন বর বউকে বাসায় ডাকে। তাড়াতাড়ি আসো।

ইভান হাসল। ঈশা কিছু বলতে গিয়েও ইভানের দিকে তাকিয়ে থেমে গেলো। ইভান গম্ভির গলায় বলল
–আর একটা কথাও যদি আমার কানে আসে তাহলে ধরে মাইর লাগাবো।

ঈশা চোখ নামিয়ে নিলো। ইভান ঈশানের দিকে তাকিয়ে বলল
–তুই যা আমরা আসছি।

ঈশান হেসে চলে গেলো। ইভান ঈশার দিকে তাকাল। মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে। ইভান আদুরে কণ্ঠে বলল
–এখানে দাড়িয়ে থাকলে কিভাবে যাব? নিচে নামতে হবে তো।

ইভানের কথা শুনে ঈশার মন গলে গেলো। কিন্তু সে কিছুতেই ইভান কে বুঝতে দিবে না। তাই কোন কথা না বলে ভাব নিয়ে ঘরে চলে গেলো। ইভান মুচকি হেসে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো। সে ঈশাদের বাড়ির নিচে অপেক্ষা করছে। এতক্ষন মেয়েটা কি করছে কে জানে। কিছুক্ষন পর ঈশাকে নামতে দেখল। সিঁড়ি বেয়ে নামছে কিন্তু চোখ ফোনের মাঝে। এতো মনোযোগ দিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে যে ইভান কেও সে দেখেনি। ইভান একটু বিরক্ত হল। কিন্তু মাথায় দুষ্টুমি খেলে গেলো। দুটো সিঁড়ি উপরে উঠল। একদম ঈশার বরাবর দাড়িয়ে গেলো। ঈশা খেয়াল করেনি। সে আনমনে ইভানের সামনে চলে আসলো। ইভান মুখে হাসি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ঈশা আর একটা সিঁড়ি পা বাড়াতেই ইভানের সাথে ধাক্কা খেলো। পড়ে যেতে নিলে ইভান তাকে দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আচমকা এসব হওয়াতে ঈশা কিছুই বুঝতে পারল না। কিছুক্ষন পর সব মাথায় ঢুকতেই নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো। কিন্তু ইভান অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। কিছুতেই ছাড়াতে পারল না। মাথা তুলতেই ইভানের অনেক কাছাকাছি এলো। ঈশা চোখ নামিয়ে নিলো। ইভান ঈশার মুখটা ভালো করে দেখে নিয়ে বলল
–যাকে দেখার দরকার তাকে ছেড়ে অন্য দিকে তাকালে এমনি হবে।

ঈশা ভ্রু কুচকে তাকাতেই ইভান তাকে ছেড়ে দিলো। ঈশা দুই টা সিঁড়ি উপরে উঠে দাঁড়ালো। ইভান কে দেখে নিয়ে বলল
–আমার ভুল না। তুমি ভুল জায়গায় দাড়িয়ে আছ। তুমি সামনে না দাঁড়ালে আমি ঠিক ঠাক নেমে যেতাম।

ইভান গম্ভির সরে বলল
–আমি যদি ভুল জায়গায় দাড়িয়ে থাকি আর সেটার জন্য যদি তোর কোন বিপদ আসে তাহলে আমিই সেটা সামলাবো।

ঈশা কঠিন কণ্ঠে বলল
–কিভাবে সামলাবে? লুকিয়ে? সামনে তো এরকম কিছুই করোনা। যা করো সব লুকিয়ে।

ঈশার কথা ইভান প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারল। আর কথাটা শুনে খুব রেগে গেলো। একটা সিঁড়ি উপরে উঠে শক্ত করে হাত ধরে ফেলল। দাতে দাত চেপে বলল
–সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি আমার কোন কাজের জন্য কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে রাজি না।

হাত ছেড়ে দিয়ে সামনে পা বাড়াল ইভান। ঈশার মুখে হাসি ফুটে উঠল। কারন ইভান তার সাথে আবার আগের মতো ব্যবহার করছে। তার মানে অভিমানটা অনেকটা কমে গেছে। ঈশা মুচকি হেসে ইভানের পিছে পিছে পা বাড়াল। ঈশানদের বাড়ির সামনে এসে বলল
–পায়েলটা কখন পরিয়ে দিয়েছ?

ইভান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল। সেই দৃষ্টির মানে স্পষ্ট যে সে কিছুই বলবে না। ঈশাও নাছোড়বান্দা। আবার বলল
–আমি যখন ঘুমাইছিলাম তখন তুমি ঘরে এসেছিলে?

ইভান থেমে গেলো। বিরক্ত হয়ে বলল
–বলেছি না সব বিষয়ে এতো কৌতূহল ভালো না।

ঈশা ভ্রু কুচকে বলল
–কেন? আমার জানার অধিকার আছে। আমি জানতে চাই। তোমাকে বলতেই হবে।

ইভান ঈশার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। অভিমানী সুরে বলল
–জানার অধিকার থাকলেই কি সব কিছু জানা যায়? আমি কি জানতে পেরেছিলাম?

ইভানের তীব্র অভিমানী কণ্ঠটা ঈশার বুকে ধারালো ফলার মতো আঘাত করলো। মুহূর্তেই চোখে পানি জমে গেলো। কণ্ঠের অসহায়ত্ব সাথে এক রাশ অভিমান। সবটা যেন উছলে পড়ছে। চোখ নামিয়ে নিলো। চোখের পাতা পিট পিট করে পানি লুকাবার চেষ্টা করলো ঈশা। ইভান সবটা বুঝতে পারলো। কিন্তু তারই বা কি করার। যখনি মনে পড়ে যায় এতো বড় একটা ঘটনা ঈশা তার কাছ থেকে লুকিয়ে তাকে দিনের পর দিন অবহেলা করে গেছে তখনি মনের কষ্টটা বেড়ে যায়। সব কিছু না জেনেও সে তাকে সামলে নিতে পেরেছিল। তাহলে জানালে কি সামালতে পারত না? কেন ঈশা তাকে বিশ্বাস করতে পারলো না। শুধু তাই নয় সে ইভানের কথা একবারও ভাবল না। তার কিছু হয়ে গেলে ইভান কিভাবে বাঁচবে সেটাও ভাবল না।

ঈশা নিজের চোখের পানি আটকাতে ব্যর্থ হল। না চাইতেও গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। ইভান দাড়িয়ে সবটা দেখছে। ঈশার চোখে পানি দেখে আন্দাজ করতে পারলো ভিতরের কষ্টটা। তার অভিমান এক জায়গায় আর ঈশার কষ্ট আরেক জায়গায়। ঈশা যে এতো বেশী কষ্ট পাচ্ছে সেটা ইভানের ধারনাও ছিল না। সে বুঝতে পারেনি খুব বেশী কষ্ট দিয়ে ফেলেছে। নিজের মধ্যে অপরাধবধ তৈরি হল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই পিছন থেকে ইফতি দৌড়ে এসে বলল
–তোমরা এসে গেছ? ইলু আপু ফোন করেছিল। সেজো মা নাকি ডাকছে।

ঈশা আড়ালে চোখের পানি মুছে ফেলল। ইভান কোন কথা বলল না। দ্রুত পায়ে হেটে ভিতরে চলে গেলো। ইফতি ঈশার কাছে এসে বলল
–ভাবি আপু কি হয়েছে? কোন সমস্যা? ভাইয়া মনে হল রাগ করেছে।

ঈশা সামনে তাকিয়েই বলল
–কত আর রাগ করে থাকবে? আমি ঠিক সামলে নিবো। তুই ভাবিস না। চল।

চলবে………

(রিচেক করার সময় হয়নি। একটু কষ্ট করে পড়ে নিবেন। ধন্যবাদ।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে