#শীতল অনুভবে তুমি
#লেখনীতে মারিয়া
#পর্ব ৩
ঘরে প্রবেশ করতেই হামলা হলো কুহু আর তাসনির উপর।নিরব আর শুভ তাদের কাপড় টেনে টেনে বলল,
” তাসনি আপুকে নিয়ে গিয়েছো আমাদের নিয়ে যাও নি কেন?”
কুহু আর তাসনি পড়ল আরেক বিপাকে।কুহু আমতা আমতা করে বলল,
” ওই আসলে…তোরা…”
” নো এক্সকিউজ!বলো কেন নাও নি?” নিরব বলল।
” আরে শোন!আমি কেন গিয়েছি জানিস?” তাসনি মাঝে চিল্লিয়ে বলে উঠল।
” কেন কেন?” নিরব আর শুভ একসাথে বলল।
তাসনি রোদেলা আহমেদ আর আশা ওয়াহিদের দিকে একবার তাকাল।তারা তাদের কাজে ব্যস্ত।তারপর সে গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল,
” ওই ইশাইন্নার পিয়ানু বাজাতে বুঝেছিস?ওকে অনেক জ্বালিয়েছি ওখানে।তাই গিয়েছি।”
” কিন্তু আমাদের কেন নিলে না?” শুভ বলল।
” আরে ভাই!দাওয়াত তো শুধু কুহু আপুকে করেছে।আমাদের করেছে?”
দুজন মাথা দোলায়।তাসনি আবার বলল,
” তাহলে এত জন গেলে কি হবে ভাবতে পারছিস?আমি গিয়েছি তাতে কেউ কিছু মনে করবে না ভাববে যে আমি তাকে সঙ্গ দিতে গিয়েছি।এতজন নিয়ে গেলে রহমান বংশের মান ইজ্জত থাকবে বল?”
দুজন মাথা দোলায় আবার।
” তাই আমি গিয়েছি ওই ইশানকে কথা শুনাতে।শুনবি কি বলেছি?”
” হ্যাঁ হ্যাঁ!”
” চল তাহলে!”
________________
” শুনলাম তুই নাকি ওই ইশানের চব্বিশ টা বাজিয়েছিস?” রুবিনা প্রশ্ন ছুড়ে দিল।
কুহু হেসে ফেলল।
” হ্যাঁ রে আপু!তাসনির কথা নাই বা বললাম।ও ওকে এমন কথা বলেছে না,যদি চিল্লিয়ে বলতো তাহলে তার প্রেস্টিজের হাল পঁচা টমেটোর চেয়েও জঘন্য হতো।হাহা!”
” তুই পেরেছিস ওকে দেখাতে যে তুই ভালো আছিস?” রুবিনা শান্ত গলায় বলল।
” হুম..!অবশ্যই পেরেছি!আর তার ভুলগুলোও ধরিয়ে দিয়ে এসেছি।তার আর কিছুই বলার নেই।” কুহু স্লান হেসে বলল।
” ইশ…আমি থাকলে সব দেখতাম আর ওর প্রেস্টিজ পাঞ্চার করেই ছাড়তাম ব্যাটা শয়তান।আমার বোনকে ধোকা দেয়।” রুবিনা গজগজ করে বলে।
কুহু আবারো হেসে ফেলল।
_______________
সকালে উঠে নামাজ পড়ে একটু ছাদে হাটাহাটি করে এলো কুহু।এই পরিবেশটাই সবচেয়ে সুন্দর।স্নিগ্ধ কুহু মনে মনে বলল,
” একটা সময় এই ভোর সকালে তোমাকে নিয়ে স্নিগ্ধ বাতাস গুলো নিজের গায়ে মাখতে চেয়েছিলাম ইশান।কিন্তু তুমি তা চাও নি।তোমাকে ভালোবেসেছিলাম।কিন্তু তুমি বাসো নি।আমার প্রতিটা স্নিগ্ধতায় তুমি ছিলে ইশান।কিন্তু আমি ছিলাম না।আমার প্রতিটা #শীতল_অনুভবে_তুমি ছিলে ইশান।কিন্তু এখন আর নেই।তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি আমি ইশান।খুব ঘৃণা করি তোমাকে।”
একটু হাটাহাটি করে ডাইনিং রুমে এল কুহু।সকাল ৭.৪০ মিনিট এখন।বরাবর টাইমেই ব্রেকফাস্ট ৮ টায়।ডাইনিং রুমে এসে দেখে প্রতিদিনের মতোই আতাউর রহমান পত্রিকা পড়ছেন।পাশে জাওয়াত রহমান টিভিতে খবর দেখছেন।রুবিনা গেমিং এ আর তাদের পাশেই সোফাতে তাসনি বইয়ে ডুবে আছে।কুহু ভেবে পায় না একটা মানুষ এত পড়াকু কিভাবে হয়।সারাদিন বইয়ে ডুবে থাকে।কুহু তাসনির পাশে বসে তার মাথায় টোকা দিয়ে বলল,
” কিরে!এখানেও পড়বি?ওমা!এটাতো ইন্টারের বায়োল…..লাইক সিরিয়াসলি?কোন প্যারালাল ইউনিভার্সে এলাম?এই তুই এসব বুঝছিস?”
তাসনি বইয়ে চোখ রেখে বলল,
” বুঝছি তো!”
” কি বুঝছিস আমাকে বলতো?আর এত যেখানে সেখানে পড়া পড়া করিস কেন।আর ক্লাস এইটের মেয়ে ইন্টারের বই…..হোয়াট এ মাল্টিভার্স অব দ্যা ম্যাডনেস ইয়ার! হাউ ওমেন হাউ?পারে কেমনে এসব?”
বলেই মোবাইলে চোখ দিল কুহু।তাসনি আবারো বলল,
” না পড়লে সায়েন্সের জগতে ঢুকব কি করে?এত পড়ছি তোমাকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য।যে কিভাবে এত কথা বলতে পারো।”
কুহু বলল,
” চুপ বাঁদরনি!নিজে কি বলে তার আত্তাপাত্তা নেই।পড় পড় ভালো ভাবে পড়।পরে চোখে ৬০০ পাওয়ার এর চশমা পড়বি তুই।এত পড়া দিয়ে কি হবে?শেষে তো শশুড়বাড়িতেই যেতে হবে।”
আতাউর রহমান বিষম খেলেন।বললেন,
” আব…কুহু আম্মু!তাহলে তুমি কি বিয়ে করবে?”
কুহু মোবাইল দেখছিল।এতক্ষণে বুঝতে পারল কি বলছে।স্ক্রলিং অফ করে আতাউর রহমানের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলল,
” আ…ন,না বড় আব্বু!আমি এখন বিয়ে করব না।আমার তো এখনো অনার্সই শেষ হয়নি।”
আতাউর রহমান হেসে বললেন,
” তাহলে তাসনিকে বলছিলে কেন যে,এত পড়া দিয়ে কি হবে?শেষে তো শশুড়বাড়িতেই যেতে হবে??তাহলে?”
কুহু কি বলবে বুঝতে পারছেনা।নিজের জালে নিজেই ধরা পড়ল।আবারো হেসে বলল,
” ও..বড় আব্বু!আমি তো তাসনির ক্ষেত্রে বলছি।যে পড়াশোনা করছে।”
” এটা ওর প্রতিভা!শেখো ওর থেকে।তোমাদের ওর মতোই হওয়া উচিত।”
কুহু বিরক্ত হয়ে সামনে তাকাল।তারপর হুরাদ্রি জাবিন,আশা ওয়াহিদ আর রোদেলা আহমেদ এলেন টেবিলে নাস্তা নিয়ে।শুরু হয়ে গেল কে কার আগে বসবে তা নিয়ে থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার।
________________
আনমনে রাস্তার ধারে হাটছে কুহু।গন্তব্য ভার্সিটি।আজ যাওয়ার কোন ইচ্ছেই নেই কুহুর।কিন্তু ঘরের রুলস অনুযায়ী ভার্সিটি যাওয়ারও রুটিন আছে।তার বার বার ইশানের সাথে রুইয়ার সেই মুহুর্তের কথা মনে পড়ছে।মুখে বললেও ভেতরে ভেতরে সে অনেক কষ্ট পেয়েছে।কিন্তু তাকে শক্ত হতে হবে।আর কষ্ট পেলে হবে না।ঘৃণা করে সে ইশান নামটাকে।ঘৃণা করে সে ইশান নামের সেই ব্যক্তিটাকে।
ক্লাস করতেও মন চাইছে না।আজ একটা বাদরও ক্লাস করতে আসেনি।সমস্যা কি এদের?কুহু রেগে যাচ্ছে বার বার।২ টা করেই বেরিয়ে গেল।ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে।ঢুকতেই সাহেব সাহেবার দেখা।কুহু গিয়ে ইকরার পাশে বসে দিল এক থাপ্পড় তার পিঠে।ইকরা ” আহ্!” করে উঠে।কুহু রেগে বলল,
” হারামীর ঘরের হারামী!পড়াশোনা বাদ দিয়ে খানা আর আড্ডা তাই না?”
পাশ থেকে নাবিলা বলল,
” বাপরে বইন!তুমি নিজেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে যাচ্ছো তা কিছু না?”
শোনা মাত্রই কুহুর মুখে আবারো আঁধার নেমে এল।সে কিছু না বলে মোবাইলে চোখ দিল।বাকিরা বিষয়টা বুঝতে পারল যে কিছু হয়েছে।আবির বলল,
” কিরে কুহু?কিছু হয়েছে?”
কুহু মাথা নাড়িয়ে বলে,
” নাহ্!”
” উহু!লুকাবিনা।কিছু তো হয়েছে।বল কি হয়েছে?আমাদের শেয়ার না করলে কাকে করবি?”
কুহু আবারো মাথা নাড়ায়,
” কিছুই হয়নি।”
” এই বল কি হয়েছে?ইশানের সাথে কিছু হয়েছে?” ইদ্রান বলল।
কুহু বুঝে গেল এদের না বলে থাকা যাবে না।তারপর নিজেকে শক্ত করে তাদের দিকে তাকিয়ে বলল,
” সে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।আর বিয়ে করে নিয়েছে।”
সবাই চিল্লিয়ে বলে,
” কিহ্!”
” কবে?” ইকরা বলল।
” কালকে।”
” আচ্ছা কাল যে কার কথা শুনে আমার কল কেটে দিয়েছিলি..”
” ওটা ইশান ছিল।”
তারপর কুহু তার বলা প্রতিটা কথা প্রতিটা ঘটনা তাদের সামনে তুলে ধরল।
” তোকে বলিনি।আমি জানতাম ওর মাঝে দোষ আছে।কারণ কি জানিস?” ইকরা বলল।
” কি?” সবাই একসাথে বলে।
” যখন কুহু ওর সাথে আমাকে ফার্স্ট মিট করায়,তখন তার দৃষ্টি ঠিক ছিল না।সে আমাদের কথা না শুনে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।ব্যাপারটা আমার মোটেও সুবিধার লাগেনি।না জানি আমার মতো আরো কার কার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিল।”
” ওই লম্পটটার কথা আগে বলতে পারলি না?তাহলে আগেই ছেড়ে দিতাম শয়তানটাকে।” কুহু রেগে বলে।
” ইয়ার আমি চাইনি তুই আমাকে ভুল বুঝিস।এখন তো বয়ফ্রেন্ডের নামে কিছু বললেই ফ্রেন্ডসদের রিলেশন ভেঙে যায়।তাই বলিনি।” ইকরা বলল।
” থাক দোস্ত!এসব ভেবে মন খারাপ করিস না।তার এমন চরিত্রের ফল সে পাবে।” ইদ্রান বলল।
হঠাৎ কয়েকজন সিনিয়র কয়েকজন ছেলে আর মেয়ে প্রবেশ করল।আর তাদের দেখে বাকিরা ভয়ে চুপসে গেলেও কুহু হা করে তাকিয়ে থাকে।কেন?কারণ তার মাঝে সেই যুবকটাও ছিল যার সাথে ইশানের বিয়েতে কথা কাটাকাটি হয়েছে।তারা গিয়ে কুহুদের সামনের টেবিলে বসে পড়ে আর নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকে।কুহু এখনো চেয়ে আছে তাদের পানে।নাবিলা ব্যাপারটা লক্ষ করে বলল,
” কিরে কুহু?এভাবে চেয়ে আছিস কেন ওদের দিকে?”
কুহু যেন তার কথা শুনতেই পায় নি।ইকরা বলল,
” আব্বে ওই!কি দেখছিস ওখানে?”
কুহু হুশে ফেরে।চোখ ফিরিয়ে আমতা আমতা করে বলল,
” আব…না কিছুনা।”
” তো ওদিকে এভাবে চেয়ে ছিলি কেন?” নাবিলা বলল।
” ওই না আসলে..ওদের কখনো দেখিনি।তাই চিনার চেষ্টা করছিলাম।”
” ওরা সিনিয়র আপু,ভাই!এতদিন আসেনি।ওরা ছিল তবে তেমন দেখা যায় নি।ওই যে নতুন ভাইয়াটা!ওটা এল কিছুদিন হচ্ছে।” আবির বলল।
” কি বলিস?আমি দেখিনি কেন?”
” এহ্!মহারাণী তিন দিন ভার্সিটিতেই আসেনি সে আবার দেখবে।” বুশরা বলল।
কুহু ভাবনায় ডুব দিল।ইশানের সঙ্গে দেখা করার জন্যই ভার্সিটি যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত সে।ভাবতেই তাচ্ছিল্য হাসল কুহু।তারপর কিছুক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে গেল কুহু,ইকরা,বুশরা,নাবিলা,ইদ্রান,আবির আর নিহান।এরা ৮ জনই ভালো বন্ধু।তবে ইকরা আর কুহু একদম ক্লোজ ফ্রেন্ড।
সবাই চলে গেলেও কুহু যায় না।সে মাঠে গিয়ে ঘাসের উপর বসে ভাবনায় বিভোর হয়ে থাকে।তার না যাওয়া দেখে ইকরাও যায় না।সেও তার পাশে গিয়ে বসে।
” মন খারাপ এখনো?” ইকরা সামনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
” হুম..?” চমকে যায় কুহু।ইকরার দিকে তাকিয়ে বলল,
” তুই যাস নি?”
” তোকে ফেলে কি করে যাই?”
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কুহু সামনে তাকায়।ইকরা আবারো প্রশ্ন করে,
” ইশানকে নিয়ে এখনো মন খারাপ করে আছিস?”
” উহু!তার মতো লম্পট কে নিয়ে কেন মন খারাপ করব?”
” তাহলে এমন চুপচাপ হয়ে গেছিস যে?আগের মতো কথা বলছিস না,আগের মতো বকছিস না আমাদের,আগের মতো মারছিস না।আজ একদমই শান্ত লাগছে তোকে।একদিনের ব্যবধানে আমাদের কুহু এত পাল্টে কি করে গেল?”
কুহু স্লান হাসল।
” কিছু কিছু ধাক্কা চাঞ্চল্যতাকে পরিপূর্ণ ভাবে পাল্টে দেয়।”
” তাই বলে সেই ধাক্কায় দূর্বল হওয়া চলে না।তোকে শক্ত হতে হবে।”
” হুম…!”
” কুহু!কাল থেকে তোকে যাতে এমন শান্তশিষ্ট না দেখি।যদি দেখি তো ইউরেনাস থেকে আনা পানিতে চোবাবো মনে রাখিস।”
হেসে ফেলল কুহু।
” ইউরেনাসের পানি কোথায় পেলি?”
” তাসনির শশুড়বাড়ি নাসায়।”
কুহু আরো জোড়ে হেসে ফেলল।তাসনির পড়াকুর ব্যাপারে এরাও জানে।এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলেই ইকরা বিদায় নিল।কুহু আবারো ভাবনায় বিভোর হয়।সে কেন ভাবছে ইশানের কথা?নাহ্!ইকরার কথা মতে তাকে আবার আগের মতো হতে হবে।একদিন আগে যেমন চঞ্চল দুষ্ট ছিল তেমনই হতে হবে।মনে মনে পণ করে কুহু।উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাগটা নিয়ে পিছনে ঘুরতেই কানে এক টা সুমিষ্ট মোহনীয় কণ্ঠস্বর ভেসে এল কুহুর কর্ণকুহরে।
~♪ ” চাইলে তুমি হারিয়ে যাও
রাজাহীন কোন রাজ্যে,
জনশূণ্য কোন প্রাচ্যে,
যদি চাও রাঙিয়ে দাও
এই স্বচ্ছ জল।
গড় বর্ণহীন রংধনু
চাইলে তুমি বুনতে পারো,
স্বপ্নের রঙিন জাল।
যদি নাও বা থাকে স্বপ্ন অপুর্ণ💖” ♪~
এক ধ্যানে সেই সুমিষ্ট কন্ঠের গানে বিভোর কুহু।শেষ হতেই হুশে ফেরে সে।ভাবল কে হতে পারে এই মোহনীয় কন্ঠের মালিক।ভাবতে ভাবতেই সামনে এগিয়ে গেল।গিয়ে যা দেখল তাতে তার মাথায় যতগুলো নিউরণ ছিল সব এক এক করে ব্লাস্ট হতে লাগল।কারণ এ আর কেউ নয় সেই যুবকই।হাতে গিটার নিয়ে হাসতে হাসতে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা জুড়ে দিয়েছে।কুহু অবাক হয়ে ভাবতে থাকে এর গলা এত সমুধূর?তাহলে কথাগুলো এমন তেঁতো কেন?হঠাৎ তাদের কথা শুনতে পেল,
” ভাই!তুই গান টা কোন কনসার্টে গা।নিশ্চিত তুই কোটিপতি।” রাহিন নামের এক ছেলে বলল।
যুবক হেসে বলল,
” তো কি আমি ফকির নাকি?”
” আরে না।তবে তোর যে গলা!ভাই রে!তুই এমনিতে ফেমাস আর কি বলব?আজ অনেক করেই গেয়েছিস।ভাই!প্লিজ কালকে একটা গাস প্লিজ!” নিশি নামের মেয়েটি বলে।
যুবক ভ্রু কিঞ্চিত কুঁচকিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে।নিশি আবার বলে,
” আদ্র প্লিজ!”
কুহু মনে মনে ভাবল,এর নাম তাহলে আদ্র?
আদ্র এবার বিরক্ত হয়ে বলল,
” আচ্ছা ঠিক আছে।হয়েছে?”
” ইয়েস!”
তারপর আদ্র সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
” ওকে গায়েজ!গুড বাই!কাল দেখা হবে।আজ এটুকুই।”
সবাই একসাথেই বলল,
” গুড বাই!”
তারপর আদ্র গিটার টা ইহান নামের একটা ছেলের কাছে দিয়ে মোবাইল স্ক্রল করতে করতে এগিয়ে আসতে লাগল।সামনে যে কুহু আছে সেটা খেয়াল করেনি।আর কুহুও খেয়াল করেনি কারণ সে তার ভাবনার গ্রহে ছিল।হঠাৎ দুজনেরই হালকা ধাক্কা লাগে।তবে বেশি জোড়ে না হওয়ায় বেঁচে যায় দুজন।তারপর চোখ তুলে একে অপরের দিকে তাকায় দুজন।
চলবে,,,,,