“শপথ”(শেষ পর্ব)

0
2847

“শপথ”(শেষ পর্ব)

আজ অবন্তিকার মৃত্যুর তিনবছর পূর্ণ হলো। স্যামস্ গাড়িতে বসে আছে। গাড়ি ছুটে চলেছে অবন্তিকাদের দেশের বাড়ির দিকে। এই দিনটাতে সারাদিন সে অবন্তিকার কবরের পাশে বসে কাটায়। ফিসফিস করে সে অবন্তিকার সাথে কথা বলে। আজকের দিনটাও সে একই ভাবে কাটাবে। স্যামস্ এর জীবনটা তো সেই থেকেই ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। সবকিছু থেকেও যেন কিচ্ছু নেই তার। হাসি নেই, আনন্দ নেই, অনুভূতি নেই, স্বপ্ন নেই, প্রত্যাশা নেই। তার মন যেদিকে চায় শুধু যেন ধূসরেই মিশে যায়। কতশত স্মৃতি আজ তার মনে অবিরাম হানা দিয়ে চলেছে। আজ সেই স্মৃতি সে এড়িয়ে যেতে চায় না। আজ সে চায় তার অব্-র স্মৃতির মাঝে ডুব দিয়ে ডুবন্ত থাকতে।
পকেট থেকে সে অবন্তিকার সেই চিঠিটা বের করলো

মনের ডাক্তার,
“কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না” টুনির সাথে করা এই শপথটা ভেঙে যোজন যোজন দূরে চলে যাচ্ছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। জানো ডাকাত, আমার কিছুতেই যেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে তোমাকে আঁকড়ে ধরে হাজার বছর বাঁচি। মনে হচ্ছে সহস্র বছর তোমার গন্ধ মেখে থাকি। ইচ্ছে করছে তোমার বুকে মাথা রেখে প্রাণ ভরে শ্বাস নিই। কবে কখন কীভাবে তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম তা বলতে পারি না। একদিন টুনি মন বললো, তুমি নাকি আমাকে ভালোবাসো। আমি ভীষণ অবাক হয়ে ছিলাম। কি করে যেন তোমার মনের খবর আমি পেয়ে যেতাম। তোমার মন পড়তে পড়তেই দিনের সব সময় কেটে যেত। যখন টুনি বলতো, তুমি আমাকে ভীষণ মিস করছো, তখন আমিও অস্থির হয়ে যেতাম। যখন টুনি বলতো, তোমার টুনা মন অপারেশন থিয়েটারে উদাসীন হয়ে আছে তখন আমিও উদাসীন হয়ে যেতাম। আমার মরণ চিঠি পাবার পর থেকে তোমার মনের বেহাল অবস্থাও টুনি উপলব্ধি করেছে। একটা মানুষকে ঠিক কতটা ভালোবাসলে এমন করে মন পড়তে পারা যায় তা আমি জানি না। আমি শুধু জানতাম আমি তোমাকে চাই, খুব করে চাই। পৃথিবী ত্যাগের কষ্ট তুচ্ছ হয়ে গেছে তোমাকে ত্যাগের কাছে। পৃথিবী ছাড়তে এতটা কষ্ট হয়ত হতো না, যদি তোমাকে এমন উজাড় করে ভালো না বাসতাম।

আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা তো কখনো বলতেই পারলাম না গো মনের ডাক্তার। মনে মনে যে, স্বপ্নগুলো এঁকেছিলাম সেগুলোও বলা হলো না। আমাদের টুনা টুনি মন এইসব বলার কোনোই অবকাশ রাখেনিও। বড্ড ভুল সময়ে ভালোবাসা জীবনে এলো। আমি বিফল প্রেমের বীজ বপন করে পালিয়ে যাচ্ছি। তুমি যে আমাকে কতটা ভালোবাসো, আমাকে কতটা নিবিড় ভাবে নিজের অস্তিত্বে গেঁথে রেখেছো তা আমি জানি সাহেব।
তোমার কষ্টে ভরা মলিন মুখ দেখে পৃথিবী ছাড়তে হচ্ছে এটাই আমার দুঃখ। এই সাহেব তুমি আমাকে চিরকাল মনে রাখবে তো? নাকি ভুলে যাবে? জানি ভুলবে না, অবন্তিকা যে তোমার মন পড়তে পারে সাহেব। মন পড়েই জেনেছি যে, এ জীবনে তুমি কখনোই আমাকে ভুলতে পারবে না। অথচ দেখো আমি তোমাকে এই পৃথবীর বুকেই ভুলতে চলেছি। আজকাল আমি অনেক কিছুই ভুলে যাই। প্রচন্ড মাথাব্যাথায় আমার পাগল পাগল লাগে। হয়ত আর কিছুদিন পর এই চিঠিটাও লিখতে পারতাম না। তাই আগেই লিখে রাখলাম।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


কে বলেছে আমি তোমাকে এ জীবনে পাইনি? তোমার অস্তিত্ব জুড়ে আমি যে বিলিন হয়ে আছি গো। তোমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা যখন টুনির চোখে দেখেছি তখন আমি তোমার ভালোবাসার নির্যাসে সিক্ত হয়ে মাতাল হয়েছি। আমি সেই সিক্ততার অনুভূতি নিয়েই চলে যাচ্ছি সাহেব। টুনির সাথে করা শপথটা রাখতে পারলাম না। তাই আমার টুনি মনটাকে একজনকে দিয়ে যাচ্ছি। সে একদিন তোমার সামনে এসে দাঁড়াবে। মনের ডাক্তার আমি আবার আসবো তোমার জীবনে, অন্য কারো মাঝে তুমি আমার জলছবি দেখতে পাবে। শপথ করো তাকে তুমি ফিরিয়ে দেবে না। এই জীবনে একসাথে থাকা হলো না গো। মরণের পরে যদি আরেকটা জীবন থাকে তবে সেই জীবনের প্রতিটা সেকেন্ডেই আমি তোমাকে চাই। শপথ করছি সেই জীবনের প্রতিটা সেকেন্ড আমি তোমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখবো। একটা সেকেন্ড এর জন্যও তোমার চোখের আড়াল হবো না, শপথ করলাম।

তোমার অব্

অবন্তিকার মৃত্যুর কিছু দিন পর অবন্তিকার মা চিঠিটা স্যামস্ এর হাতে তুলে দেয়। চিঠি পড়ে সে দৌড়ে অবন্তিকার ঘরে গিয়েছিল। ওর বিছানা, পড়ার টেবিল, বই সব কিছু সে ছুয়ে দেখলো। তারপর বিছানাতে উল্টে পড়ে থাকা ডলি পুতুলটাকে জড়িয়ে ধরে আর্তনাদ করে কাঁদলো। অবন্তিকার বাবা মা নিজেরাই সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না, সেখানে স্যামস্ এর কাঁন্না দেখে হতবাক হলেন। নির্মম এই নিয়তির কাছে পরাজিত সৈনিকের ভালোবাসা কারও কাছেই আর অপ্রকাশিত নেই।

তারপর তিন বছর কেটে গেছে। স্যামস্ নিজেকে সামলে নিয়েছে। রোগী আর হাসপাতালের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে নিজেকে। তবুও মাঝে মাঝে ওটিতে দাঁড়িয়ে হুট করেই অবন্তিকার ভাবনা তাকে থমকে দেয়। তার জীবনের প্রথম প্রেম বকুলের মত ঝরে গেছে, ছিদ্র হয়ে যাওয়া একটা হৃদয় নিয়ে সে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতই বেঁচে আছে। তাকে দেখে হয়ত কেউ জানতে পারবে না যে, তার বুকের ভেতরে ব্যাথা বেদনা দুঃখ যন্ত্রণার একটা হিমালয় লুকিয়ে আছে। সারাদিন হাসপাতাল আর রোগী নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে। নিজেকে একটুও অবসর দিতে চায় না। এত ব্যস্ততার আড়ালে সে যে কত বড় একটা কষ্টের মহাসাগর লুকিয়ে রেখেছে তা কেউ কখনো বুঝতেও পারবে না। পৃথিবীতে তার দুইটা দূর্বল স্থান হলো, একটা তার মা আর আরেকটা হলো অবন্তিকা। অবন্তিকাকে সে চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলেছে কিন্তু মামনিকে হারালে এই পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার আর কোনো মানেই থাকবে না। তাই মামনির জন্য তাকে হাসিমুখে থাকতে হয়। তার মুখে হাসি আছে কিন্তু মনের বিদ্যুৎ প্রেমের উচ্ছ্বাস চোখের স্বপ্ন হারিয়ে গেছে চিরকালের জন্য। তার হাসি দেখে কেউ অনুমান পর্যন্ত করতে পারবে না যে, এত বড় একটা বিয়োগান্ত নাটকের সে-ই প্রধান নায়ক।

গড়ী কবরস্থানে পৌঁছালো। স্যামস্ ফুল হাতে কবরস্থানে প্রবেশ করলো। তার বুকের হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে গেছে। কি করে এমন একটা যায়গায় তার অব্ একাকী শুয়ে আছে, এই ভাবনাতেই তার বুক পাজর ভেঙে এলো। একগুচ্ছ হলুদ গোলাপ আর একটা বেলি ফুলের মালা কবরের উপরে রেখে সে দাঁড়িয়ে রইল। আকাশ পাতাল এক করে ভেঙে তার কাঁন্না আসছে। সে হাটু গেড়ে বসে পড়লো কবরের পাশে।
–“এই অব্, এই মেয়ে তুমি কেমন আছো? কি করে আমাকে ছেড়ে আছো? এই পাগলি কি করে আমাকে ভুলে গেছো? আমাকে একটু শিখিয়ে দেবে মেয়ে? কথা কেন বলো না? আর কত নিশ্চুপ থাকবে তুমি? তুমি না বলতে তোমার টুনি মনটা নাকি আমার মন পড়তে পারে! সে কি দেখতে পাচ্ছে না আমার কলিজা পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে? কথা বলো অব্, কথা বলো। আমি আর পারছি না। আমি আর তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না, কিছুতেই না।”

হঠাৎ কাঁধে কারো হাতের স্পর্শে স্যামস্ চমকে উঠে পেছনে ফিরে তাকালো। ভেজা নয়নে অবনি দাঁড়িয়ে আছে। স্যামস্ অবাক হলো। অবনি কেন এখানে? তাহলে কি সে অবন্তিকাকে চেনে? প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে রইল স্যামস্।
–“আপনি এখানে?”
–“আমি অবন্তিকার বড় বোন।”
–“এটা কিভাবে পসিবল? আপনি তার বোন হলে আমি আপনাকে দেখতাম। দেখা না হলেও আপনার কথা একবার হলেও অব্ বলতো।”
–“সেই কথাগুলোই তো আজ বলতে এসেছি।”

স্যামস্ অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। অবনি বলতে শুরু করলো।
–“আমি সবার থেকে দূরে থাকতাম। কারও সাথেই আমার যোগাযোগ ছিল না। অবন্তিকার সাথে মাঝে মাঝে কথা হতো। তাকে শপথ করিয়ে ছিলাম, যেন সে আমার সাথে যোগাযোগের কথা কাউকে না বলে। কিন্তু আব্বু আম্মু তাকে শপথ করিয়েছিল, যেন সে কাউকে না বলে তার একটা বোন আছে।”
–“কিন্তু কেন?”
–“আমার জীবনের একটা ছোট্ট ইতিহাস আছে।”
–“কি সেই ইতিহাস?”
–“সাধারণ মেয়েদের মত আমিও একজনকে ভালোবেসে ছিলাম। আর সব সাধারণ বাবা মায়ের মত আমার বাবা মাও প্রেমের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল। আমার ভালোবাসা তারা মেনে নেয়নি। প্রেমিককে বললাম, চলো নিজেরাই বিয়ে করি। সে রাজী হলো না। তার একটাই কথা, ‘তোমার বাবা মায়ের বুক থেকে তোমাকে ছিনিয়ে এনে তোমাকে সুখী করতে পারবো না তাই তোমার ফ্যামিলির ইচ্ছের বাহিরে আমি তোমাকে নিতে পারি না।’
বাবা মা নিজেদের পছন্দের ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করলো। আমি কোনো দিশা পেলাম না। দুই দিক থেকে দুই রকমের কষ্ট বুকে নিয়ে একদিন বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হলাম। সবাই হয়ত ভেবেছে আমি আমার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছি। কিন্তু আমি তো অভিমান আর কষ্টে নিজেকে একলা করে রেখে ছিলাম। এরপর থেকে বাবা মায়ের সামনে এসে দাঁড়াইনি। তবে অবন্তিকার সাথে মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলেছি। এত বড় অসুখটা সে নিখুঁত ভাবে আমার কাছে লুকিয়ে গেছে। একদিন বললো, ‘দি তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।’ দেখা করার জন্য ছুটি পাইনি তাই শেষ দেখাটাও আর হয়নি। টানা দেড় মাস তার ফোন বন্ধ পেয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। ওর সাথে যোগাযোগ করেই তো বাবা মায়ের খবর নিয়েছি। সেই পথটাও বন্ধ হয়ে গেল। হঠাৎ আমার অভিমানের পাহাড় ঢসে গেল। জানি বাবা ক্ষমা করবে না তবুও ঈদের দিন গিয়ে বাবার সামনে দাঁড়ালাম। বাবা আমাকে দেখে কেঁদে ফেললেন। জানতে পারলাম আমার আদরের ছোট বোনটি আমার চেয়েও বড় অভিমান করে চলে গেছে। তারপর যখন আম্মু অবন্তিকার লেখা চিঠিটা আমার হাতে দিলো, আমি চিঠিটা পড়ে স্বাভাবিক থাকতে পারলাম না। আমার ঐ টুকু বোন যেভাবে কাছের মানুষগুলোকে নিয়ে ভেবেছে তার এক অংশও আমি ভাবতে পারিনি। শেষ প্যারাটুকুতে শুধু আপনার কথাই লিখেছে। আমাকে শপথ করিয়েছে আমি যেন আপনাকে আগলে রাখি চিরকাল। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না। কিন্তু অবন্তিকার শেষ ইচ্ছেটা আমাকে যাতনা দেয়।”

–“আমাকেও একটা চিঠিতে সে শপথ করিয়েছে। আমি সেই শপথ রাখতে পারবো না অবনি। কোনো কালেও সেই শপথ রাখা সম্ভব হবে না। অব্’র স্থান নেয়ার রাইট এই পৃথিবীতে কারোর নেই। বাহিরের পৃথিবীতে আপনি থাকবেন অথচ আমার ভেতরটা জুড়ে থাকবে অব্, এমন জীবন আপনি চাইলেও আমি চাই না। মাঝে মাঝে মানুষের জীবন এমন একটা যায়গায় এসে থমকে যায় যে, সেখান থেকে পৃথিবীর বাকী সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। অব্ এমন ভাবে আমার ভেতরটা দখল করে আছে যে, অন্য কাউকে দেবার মত কিঞ্চিত জায়গাটুকুও খালি নেই। ভালো থাকবেন।”
–“কিন্তু আপনার সাথে তো আমার আরও কিছু কথা আছে।”
–“আমার আর কিচ্ছু শোনার নেই।”

অবনি দাড়িয়ে রইল, স্যামস্ কবরস্থানের বাহিরে চলে গেল। গাড়িতে বসে সে নিজের জীবনের হিসেব করলো। ফলাফল এলো অবন্তিকা। অবন্তিকার শেষ ইচ্ছেটা সে রাখতে পারলো না। ভালোবাসা বদলে ফেলা যায় না, বদলে ফেলা যায় না ভালোবাসার মানুষটিকেও। সে মনে মনে বললো, “আমার টুনা মন জুড়ে তোমার অস্তিত্ব আমি উপলব্ধি করতে পারি। তাই অন্য কারও মাঝে আমি তোমাকে খুঁজে পেতে চাই না। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও অব্, আমি শপথ রাখতে পারলাম না।”

গাড়ি ছুটে চলেছে, স্যামস্ মনে মনে অবিরাম কথা বলেছে অবন্তিকার সাথে। এই মনে মনে কথা বলাটার শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। কিছু কিছু মানুষের জীবনটা এমন বিষাদময়ই হয়। না পাওয়া কষ্ট এতটাই বেশি পায় যে, চাওয়া সুখের আর কোনো দামই থাকে না।
অবন্তিকাকে হারিয়ে ফেলাটাই হলো স্যামস্ এর জীবনের প্রথম এবং সেরা ব্যর্থতা। ছোট্ট একটা জীবনে সবচাইতে নির্দয় নির্মম বাস্তবতা হলো অবন্তিকা স্যামস্ এর জীবন থেকে যোজন যোজন দূরে চলে গেছে। আর এই নির্দয় নির্মম বাস্তবতা অবিরাম স্যামস্ এর হৃদয়টাকে ছিদ্র করে চলেছে। পৃথিবীতে কেউ কখনো জানবে না যে পৃথিবীর হাজারো বাস্তবতার আড়ালে একটি মাত্র বাস্তবতা তার জীবনটাকে ছিদ্র করে দিচ্ছে। কেউ কখনো বুঝবে না যে, তার অনেক সফলতার আড়ালে শুধুমাত্র একটা ব্যর্থতা তাকে তিলে তিলে গ্রাস করছে।
#সমাপ্ত

#সপ্তম_তথা_শেষ_পর্ব
Written by- Sazia Afrin Sapna

পর্ব-৬
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/permalink/931219397308780/?app=fbl

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে