“শপথ”(পর্ব-৫)
আজ অবন্তিকার ভীষণ ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে। তার মনে হচ্ছে, আজ অনেক পথ সে স্যামস্ এর হাত ধরে হাটবে। কোনো এক সবুজ মাঠের দূর দিগন্তে সে স্যামস্ এর সাথে হারিয়ে যাবে। অথবা পাশাপাশি বসে রিকশায় চড়ে অনেক দূর যাবে। বৃষ্টি আসি আসি করা এই মেঘলা বিকেলে নদীর ধারে বসে বৃষ্টির জলে নদীর ভিজে যাওয়া দেখবে। জল কিভাবে জলকে ভিজিয়ে শিক্ত করে সেটা সে তার সাথে দেখবে। কখনও সে স্যামস্ এর সাথে ঘুরতে যায়নি, অবশ্য এর আগে যদি তার ইচ্ছে করতো তবে তাকে আটকানোর সাধ্য কার ছিল? সে সুন্দর করে সাজলো। হলুদ রঙের একটা শাড়ী পরলো। খোঁপায় বেলি ফুলের মালা পেঁচিয়ে খোঁপার বাম পাশে একটা হলুদ গোলাপ আটকালো। তারপর বাড়ির কাউকে কিছু না বলে সে বেরিয়ে গেল। রিকশায় চড়তেই তার মনটা হঠাৎ করে আরও ভালো হয়ে গেল। হুট করে সে দেখলো, স্যামস্ তার পাশে বসে আছে। সে চমকে উঠল! স্যামস্ তার কানের কানে ফিসফিস করে বললো-
–“রানী সাহেবা আমার টুনা মন বললো, তুমি নাকি আজ আমার সাথে রিকশায় ঘুরবে তাই চলে এলাম।”
–“কিন্তু আপনি তো হাসপাতালে ছিলেন, এখানে কখন এলেন?”
–“ডাকুরানী আজ আমার সাথে ঘুরতে যাবে তাই রোগীদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।”
স্যামস্ এর কথা শুনে অবন্তিকা অবাক হলো কিন্তু খুশিও হলো। আজ শরীরটা ভালো আছে বলে তার মনটাও প্রফুল্ল আছে তাই কথা বলতেও ভালো লাগছে। সে নিজের মনেই নানান রকমের কথা বলতে থাকে। হঠাৎ রিকশাওয়ালা বললো-
–“আফা কার লগে কথা কন?”
অবন্তিকার চেতনা ফিরে, পাশে তাকিয়ে দেখলো স্যামস্ নেই। বিষাদের ছায়া পড়লো তার মুখে। আকাশটা আজ কালচে মেঘে ঢেকে আছে, সেখান থেকে এক টুকরো মেঘ যেন অবন্তিকার মুখে এসে পড়েছে। সে রিকশা ওয়ালাকে কোনো জবাব দিলো না।
রিকশা থেকে নেমে সে হাসপাতালে স্যামস্ এর রুমের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো। স্যামস্’সহ বেশ কয়েকজন রুমে বসে আছে। স্যামস্ রোগী দেখা নিয়ে ব্যাস্ত। অবন্তিকা চুপচাপ সেখানে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। স্যামস্ এর দৃষ্টি কিছুতেই দরজার দিকে আসছে না। অবন্তিকা অধৈর্য হয়ে বললো-
–“এই যে ডাকাত।”
“ডাকাত” শব্দটা শুনে স্যামস্ চমকে উঠলো। দরজার দিকে তাকাতেই দেখলো অবন্তিকা দাঁড়িয়ে আছে। তার পরনে জড়িয়ে আছে একটা হলুদ শাড়ি। শাড়িটা কতটা ভাগ্যবান সেটা ভেবে অবাক হলো সে। এই প্রথম সে অবন্তিকাকে শাড়ীতে দেখছে। চোখের পলক পড়ছে না তার।
–“এই ডাকাত কি দেখো?”
অবন্তিকার কথাতে চেতনায় ফিরলো স্যামস্। চেতনায় ফিরে ভীষণ লজ্জা পেলো সে। নিজেকে সামলে নিয়ে সে বললো-
–“এই তুমি এখানে কার সাথে এসেছো? আর অসুস্থ শরীর নিয়ে কেনই বা এসেছো? তোমার শরীর ঠিক আছে তো অব্?”
অবন্তিকা স্যামস্ এর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে ম্লান হেসে বললো-
–“দেখুন আজকের বিকেলটা কি দারুণ মেঘলা! চলুন আমরা রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে শহরের বাহিরে গিয়ে একটা নদীর ধারে বসবো। তারপর যখন বৃষ্টি আসবে তখন আমরা পাশাপাশি বসে নদীর ভিজে যাওয়া দেখবো। পানির উপর বৃষ্টি পড়ার দৃশ্যটা ভয়ানক সুন্দর। আমার ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে। প্লিজ প্লিজ চলুন।”
রুমের লোকজন হা করে অবন্তিকার দিকে তাকিয়ে তার কথা শুনছে। কি সুন্দর করে সে সাধারণের মধ্যে থেকে অসাধারণ খুঁজে বের করছে। স্যামস্ নিজেও অবাক হয়ে গেল। রুমে সবার সামনে কথা বলতে তার ইতস্তত লাগছে, এদিকে না বলেও উপায় নেই। সে বললো-
–“ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে, এই শরীর নিয়ে না এসে ফোন করলেই তো পারতে। তাছাড়াও কিছুক্ষণ পর এমনিতেই তো আমি তোমার কাছে যেতাম।”
–“কিন্তু আমি তো আপনাকে না দেখে কিছুক্ষণ থাকতে পারছিলাম না ডাকাত।”
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
সবার সামনে অবন্তিকার এমন ধরনের কথা শুনে স্যামস্ আবার লজ্জাতে পড়ে গেল। সে জানে অবন্তিকাকে বুঝিয়ে কোনো লাভ নেই। আর কিছুক্ষণ সে এখানে থাকলে মান সম্মান সব ডুবাবে তাই সে আর দেরী না করে অবন্তিকাকে নিয়ে ঘুরতে বের হলো।
পাশাপাশি দু’জন রিকশায় বসে আছে। অবন্তিকা আজ ভীষণ খুশি। সে স্যামস্ এর হাতের উপর তার হাত রাখতেই স্যামস্ চমকে উঠলো। অবন্তিকা অন্য দিকে তাকিয়ে বললো-
–“ডাকাত ডাক্তার নার্ভাস হয়ে যেন রিকশা থেকে পড়ে যেয়েন না।”
অবন্তিকার কথা শুনে স্যামস্ হেসে ফেললো। সে গভীর ভাবে তাকিয়ে দেখলো, এই মেয়েটা তার হাসির কারণ, এই মেয়েটাই তার খুশির কারণ। আজ সে তার কাঁন্নার কারণও হয়ে গেছে। এই মেয়েটার জন্য সে পুরুষ হয়েও মাঝরাতে মুখ লুকিয়ে কাঁদে। এই একটা মেয়ে তার গোটা জীবনটাকে দখল করে রেখেছে। ভালোবাসা বুঝি এমনটাই হয়, একটা মানুষকে চাইতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হয়! এই মেয়েটাকে ছাড়াই হয়ত সে বেঁচে থাকতে পারবে তবে সেই বেঁচে থাকাটা কি আদৌ বেঁচে থাকা হবে?
হঠাৎ অবন্তিকা কেঁদে ফেললো। ওর চোখে জল দেখে স্যামস্ থমকে গেল। বুঝে উঠতে পারল না যে, কেন সে কাঁদছে। সে প্রথম তাকে কাঁদতে দেখেছিল, যে রাতে সে তাকে ইনজেকশন করেছিল। সেদিনের কাঁন্না ছিল শিশুদের মত হাত পা ছুড়ে। মাঝখানের এই কয় মাসে কখনোই সে অবন্তিকাকে কাঁদতে দেখেনি। আজকে সে কাঁদছে তবে সে কাঁন্না শিশুদের মত নয়। এই কাঁন্নার ভাষা অনেক কিছুই বলে দিচ্ছে।
–“এই অব্ তোমার কি হয়েছে? তুমি কাঁদছো কেন? শরীর খারাপ লাগছে কি?”
–“এমন একটা সুন্দর দিন আমার ভাগ্যে লেখা ছিল সেটা ভেবেই কাঁন্না পাচ্ছে ডাকাত।”
–“ধুর পাগলি, এই সব ভেবে কেউ কাঁদে নাকি?”
–“জানেন ডাকাত ডাক্তার, আমার সেই রাজকুমার জন্য অনেক বছর বাঁচতে ইচ্ছে করে। অনেক বছর বেঁচে থেকে তাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।”
অবন্তিকার কথা শুনে স্যামস্ ভাষা হারিয়ে ফেললো। কি শান্তনা দেবে তাকে সে? নিজেকে শান্তনা দেবার ভাষাই তো নেই। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিলো সে।
–“হ্যাঁ তুমি তোমার সেই রাজকুমারকে নিয়ে অনেক অনেক বছর বেঁচে থাকবে রানী সাহেবা।”
–“সত্যিই কি আমি অনেক বছর বাঁচবো ডাকাত?”
অবন্তিকার কথা শুনে শ্বাসরোধ হয়ে আসে স্যামস্ এর। অবুঝ মেয়েটার এমন প্রশ্নের জবাব কি করে দেবে সে?
–“কেন বাঁচবে না? তোমার তো কিচ্ছু হয়নি। রিপোর্ট নিয়ে টেনশন করো না। আমার বিশ্বাস রিপোর্ট ভালো আসবে। এখন বলো তো তোমার টুনি মন আমাকে নিয়ে কি কি বলে?”
–“টুনি মনটা তো অনেক কিছুই বলে সাহেব।”
–“তো কি কি বলে সে?”
–“সে কি কি বলে তা আপনার টুনা মন খুব ভালো করেই জানে।”
–“আমার টুনা মন কিচ্ছু জানে না।”
–“মিথ্যা কেন বলছেন?”
–“তুমি তো জানোই যে, আমার টুনা মন ভীষণ ব্যাক্কল বজ্জাত তাই তো সে আমাকে কিছুই বলে না।”
–“আপনার টুনা মন আমার কথা ভেবে বিষণ্ন থাকে। আমার জন্য তার ভীষণ দুশ্চিন্তা। টুনাকে বলে দিয়েন আমি ভালো আছি।”
অবন্তিকার কথা শুনে হতবাক হয় স্যামস্। এমন করে মন পড়তে পারা মানুষটার কাছে কখনোই কিছু লুকিয়ে রাখা যায় না। সত্যিই স্যামস্ এর মন কাজে বসে না। দিনরাত অবন্তিকাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করেই পার হয়। যদি অবন্তিকার ভালো মন্দ কিছু হয়ে যায় তবে যে, তার পৃথিবীটা উলটপালট হয়ে যাবে। মনের ইচ্ছের বাহিরেই তাকে হাসপাতালে আসতে হয় কিন্তু তার মন উদাসীন হয়ে অবন্তিকার কাছেই পড়ে থাকে। রিকশা নদীর ধারে থামলো। তারা দুজন রিকশা থেকে নেমে নদীর ধারে পাশাপাশি বসলো। রিকশাওয়ালাকে স্যামস্ অপেক্ষা করতে বললো।
স্যামস্ প্রসঙ্গ চেঞ্জ করে বললো-
–“এই ডাকুরানী তুমি আজ এত সেজেছো কেন? আজকে কিন্তু তোমাকে ডাকুরানী ডাকুরানী লাগছে না। আজকে তোমাকে রানী সাহেবার মতই লাগছে।”
–“দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেজেছি।”
–“আজকে কি কোনো স্পেশাল ডে?”
–“কোনো দিনই স্পেশাল নয়, আমাদের কার্যকলাপে দিন স্পেশাল হয়। আজকে প্রথম আপনার সাথে ঘুরতে বেরিয়েছি তাই দিনটা ভীষণ স্পেশাল।”
–“তোমার রাজকুমারটা কেমন আছে?”
–“ভালো নেই।”
–“কেন?”
–“আমার জন্য তার ঘুম হয় না, সে খেতে পারে না, মন দিয়ে কাজ করতেও পারে না। আমাকে ভালোবাসার দায়ে যে তার ফাঁসি হয়ে গেছে।”
স্যামস্ কিছু বলার আগেই ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হলো। স্যামস্ অবন্তিকাকে বললো-
–“চলো রিকশাতে গিয়ে বসি, ভিজলে তোমার ঠান্ডা লাগবে।”
–“একটা দিন ভিজি না ডাকাত! এমন দিন জীবনে তো আর নাও আসতে পারে। বৃষ্টির জলে ভিজে যাওয়া নদীটাকে দেখুন কি চমৎকার দেখাছে?”
–“হ্যাঁ”
বৃষ্টি হচ্ছে, নদীর ধারে বসে আছে ওরা দু’জন। ভিজছে নদী, ভিজছে দুই জন প্রেমিকা প্রেমিকা ভালোবাসার বৃষ্টিতে।
সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে স্যামস্ এর পৃথিবীটা উলটপালট হয়ে গেল। ভেঙে চুরমার হয়ে গেল তার ভেতরটা। রিপোর্ট দেখে অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকার পর সে রিপোর্ট হাতে নিয়ে বাড়ি চলে এলো। ছেলের মুখের হাল দেখে তার মা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
–“কি হয়েছে বাবুসোনা?”
কিছু না বলেই সে তার মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।
–“মামনি আমি অব্’কে ছাড়া বাঁচবো কি করে?”
–“কি হয়েছে অবন্তিকার?”
–“আমার অব্ মরে যাবে, আমাকে একা ফেলে সে না ফেরার দেশে চলে যাবে। কি করে সে এত স্বার্থপর হতে পারে? সে তো আমার মন পড়তে পারে তাহলে কেন আমার বুকের রক্তক্ষরণ দেখতে পাচ্ছে না? আমি অবিরাম ক্ষতবিক্ষত হচ্ছি, রক্তাক্ত হচ্ছি। আর সে এই সব কিছুই অবলীলায় ইগনোর করছে। আমার তিল তিল করে গড়া সব স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে অথচ আমি কিচ্ছু করতে পারছি না।”
–“বাবুসোনা অবন্তিকার কি হয়েছে?”
–“মামনি আমার অব্’র ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে।”
–“কি?”
–“আমি তো এখনো তাকে আমার মনের কথা বলতেই পারলাম না। তার জন্য যে, মনের ভেতরে একটা ভালোবাসার প্রাসাদ গড়েছি তা তো দেখাতেই পারলাম না। তাকে ছাড়া আমি যে, কতটা অসহায় তা তো বুঝাতেই পারলাম না। অথচ সে নাকি চলে যাবে। তুমিই বলো মামনি এটা কি অন্যায় নয়? এটা কি অপরাধ নয়? কি করে সে এটা করতে পারলো?”
–“শান্ত হ বাবু।”
–“আমি কি করে শান্ত হবো মামনি? এই রুমে আমি থাকবো কি করে? ঐ বারান্দাতে আমি দাঁড়াবো কি করে? যে ঘরে আমার অব্ ঢুকবে না সে ঘরটা কি করে ঘর হবে মামনি? এই বাড়িতে অব্ আর কখনও আসবে না। এই ঘরে বিনা অনুমতিতে আর কেউ ঢুকবে না। কেউ আমার দরজায় ঢিল ছুড়ে আমাকে আর বারান্দাতে ডাকবে না। কেউ আর অবিরাম আমার সাথে কথা বলবে না। কেউ আর পাগলামি করে আমাকে মাতিয়ে রাখবে না। কেউ আর আমাকে ডাকাত ডাক্তার বলে ডাকবে না। তারপরেও আমি শান্ত থাকবো কি করে মামনি? কি করে?”
কথাগুলো বলতে বলতে সে মেঝেতেই বসে পড়লো। ছেলের এমন কাঁন্না দেখে তার মাও আর নিজেকে সামলে নিতে পারলেন না। স্যামস্ যে ভেতর ভেতর এতটা গভীর ভাবে অবন্তিকাকে ভালোবেসে ফেলেছে তা দেখে তার মা হতবাক হলেন। তিনি ছেলেকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পেলেন না।
–“বাবু তুই একজন ডাক্তার। আর কেউ না বুঝলেও তুই তো সব বুঝিস। অবন্তিকাকে ট্রিটমেন্ট করিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। তুই নিজেকে সামলে নে বাবুসোনা।”
–“আমি ডাক্তার নই, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার পছন্দের মেয়েটি, আমার কাঙ্ক্ষিত মানুষটি মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তার সামনে ডাক্তার রূপে দাঁড়াতে পারবো না মামনি। এটা পসিবল নয়। আমার মনকে আমি কি বলে সান্ত্বনা দেবো? আমি পেশায় ডাক্তার কিন্তু আমার মনটা তো ডাক্তার নয়, আমার হৃদয়টা তো ডাক্তার নয়।”
–“এমন অস্থির হয় না বাবা! আগে ওর ট্রিটমেন্ট করানো হোক।”
–“ট্রিটমেন্ট করিয়ে সুস্থ হবার সম্ভাবনা খুব কম মামনি। আমি রিপোর্ট দেখেছি।”
–“তবুও একটা শেষ চেষ্টা করতেই হবে।”
–“অব্’কে ছাড়া আমার যে আর একটাও সকাল শুভ্র হবে না, একটাও বিকেল গোধূলি হবে না, আমার জীবনে আর একটাও যে শুভ রাত আসবে না মামনি।”
গোটা পৃথিবীটা তার আজ ভেঙে চুরমার করতে ইচ্ছে করছে। যে পৃথিবীতে অবন্তিকা থাকবে না সেই পৃথিবীটা কেন অবিকল থাকবে।? এই পৃথিবীর অবিকল থাকার কোনো রাইট নেই।
বিঃদ্রঃ গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে গল্প কখনোই মিলবে না। জীবন কখনও গল্পের মতো সাজানো গোছানো হয় না। গল্পটা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য লেখা হয়েছে তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।
(পরের পর্ব আসছে…..)
Written by- Sazia Afrin Sapna
পর্ব-৪
https://m.facebook.com/groups/884724498624937?view=permalink&id=929669620797091