শত্রু শত্রু খেলা পর্ব-৪০ এবং শেষ পর্ব

0
817

#শত্রু_শত্রু_খেলা
#পর্ব_৪০ (অন্তিম পর্ব)
#মেঘা_সুবাশ্রী (লেখিকা)

মৃত্যু পদযাত্রী আনোয়ারের বাবা ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার দিয়ে উঠে। অস্পষ্ট সুরে আওড়াই তার তো বয়স হয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে চোখে দেখলো না। তার নাতীটা অকালে চলে গেলো। এতটুকু হায়াত নিয়ে আসলো সে। চোখের জলে তার মাথার নিচের বালিশ ভিজে চিপচিপে হয়ে গেছে। কিন্তু তার বাঁধ ভাঙা আঁখিজল যেনো থামার নামই নিচ্ছে না।

শোকের মাতম চলছে পুরো বাড়ি জুড়ে। আদ্রের মায়ের আহাজারিতে সবাই স্তব্ধ, নির্বাক হয়ে বসে আছে। আনোয়ার, মাসুদসহ বাকিরাও মাত্রই আদ্রের নিথর দেহ সমাধিস্থ করে বাড়ি ফিরে এসেছে। সৌরভ ভাঙা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আদ্রের জানাজা পড়েছে। গৌরব ভাইকে ধরে রেখেছে যাতে পড়ে না যায়। প্রিয়া সামান্তাকে ধরে রেখেছে। আদ্রের মায়ের পাশে বসে আছে তারা দু’জন। তার সাথে আদ্রের মায়ের কাঁধে হাত রেখে বসে আছে মারিয়া। মুখে কাপড় গুজে নিভৃতে দু’চোখের জল ছেড়ে দিয়েছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। সবাই কেমন বিমূর্ত বিরসবদনে একে অপরকে ঝাঁপটে ধরে আছে।

আদ্রর বাবার নিস্প্রভ ছাউনি প্রিয়ার দিকে। নিভৃতে বেদানার্ত সুরে আহাজারি করে উঠলো তার তনুমন। খুব কি অন্যায় কিছু চেয়েছিল তার ছেলে। প্রিয়া তো তার ভাতিজি হয়। ছোট থেকেই তার সামনেই বড়ো হয়েছে। এই মেয়েটাকে তার ছেলের বউ করলে খুব বেশি কি তার ক্ষতি হয়ে যেতো। নাহ! হতো না। দীর্ঘশ্বাস টেনে আওড়ালো সে, অন্তত তার ছেলেটা তো বেঁচে থাকতো আজ। মানুষ কখনোই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে পারে না। সে যে এক ব্যর্থ পিতা। নিজের ছেলেটাকেই বুঝতে পারলো না। এর থেকে বড় অধম আর কি হতে পারে?

আনোয়ার সব তিক্ততা ভুলে নিজের বড়ো ভাইকে জড়িয়ে ধরলো। আদ্রের বাবার দীর্ঘক্ষণ জমিয়ে রাখা শোকার্ত সুর যেনো ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো। অস্পষ্ট সুরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল সে। নিজের কৃতকর্মের জন্য ভাইয়ের শিয়রে মাথা রাখলেন। বড্ড ভুল করেছি’রে ভাই। আমাকে কোনোদিন ক্ষমা করিস না। আমার মত পাপীকে ক্ষমা করবি না। কোনোদিন না।

আনোয়ার বড় ভাইকে আরো শক্ত করে ধরলেন। পিঠে আলতো হাতে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা স্বরূপ বলে উঠল,

ভাইজান, জন্ম-মৃত্যু সব আল্লাহর হাতে। আমরা নিজেরাও জানি না আমাদের আজ কি হবে। কালকের কথা তো বাদই দিলাম। ভাইজান ধৈর্য্য ধরেন। আদ্রের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চান। এছাড়া তো আর কিছু করার নাই আমাদের। আদ্রের বাবার মুখে কোনো রা’ নেই। দু’চোখে তার অথৈজল। কিছু হারানোর শোকে নয় বরং তার করা কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য।

মসজিদের মাইকে প্রতিধ্বনি হচ্ছে। ফজরের নামাজ পড়তে আসার জন্য মুয়াজ্জিন সবাইকে আহবান করছে। গ্রামের আট-দশটা বাড়িতে এখন ঘুমের অতলে ডুবে থাকলেও প্রিয়াদের বাড়িতে সবাই নির্ঘুম বসে আছে। সারারাত সবাই বসে কোরআন খতম দিয়েছে,দোয়া-দরুদ পড়েছে আদ্রের রুহের মাগফেরাতের জন্য।
________________________

সময় আপন গতিতে বহমান।

আদ্রের মৃত্যুর প্রায় একমাস পেরিয়েছে। কিন্তু শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি সৌরভ। সেদিনের কথা ভাবতেই দু’চোখ ভরে উঠে তার। সেদিন দ্রুত গতিতে বাইক চলায় সে চারপাশে খেয়ালই করেনি। আচমকাই একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিবে সে মূহুর্তেই দৈবাৎ আদ্র এসে ঐ ট্রাকের সামনে গিয়ে পড়ে। সৌরভ তা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়। দিগবিদিক শূন্য হয়ে সে আঁচড়ে পড়ে রাস্তার পাশে। শেষ মূহুর্তে আদ্রের চোখে সে একটা আকুতিই দেখেছে। হয়তো তাকে বার বার সেই কথায় বলছে,

তোমার বেঁচে থাকা জরুরি, কারণ তোমার ঘরে কেউ একজন অপেক্ষা করছে অধীর আগ্রহে। তার জন্য হলেও তুমি বেঁচে থাকো। ভালো রেখো তাকে। আল্লাহ হাফেজ।

আজকাল কথাগুলো মনে পড়লে বড্ড চুপচাপ থাকে সে। নিজমনে কথা বলে। আকাশ পানে চেয়ে নিরবে বিড়বিড় করে। নিজেই নিজের কাজে বিরক্তি প্রকাশ করে। খাবারেও তার প্রচন্ড অনীহা চলে এসেছে। আনোয়ার সেসব দেখে মাঝে মাঝে আৎকে উঠে। আদ্রের শোক কেনো সবাইকে এভাবে ঝেঁকে বসেছে। এর সুরাহা হওয়া দরকার।

প্রিয়া কলেজে এসেছে অনেকদিন পর। আজকাল ক্লাস করা হয় না তার। রাঢ়ী, নীল, শ্রাবণ সবাই প্রিয়াকে অনুরোধ করলো তাকে দীঘির পাড়ে যাওয়ার জন্য। প্রিয়াও রাজি হলো। অনেকদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয় না। ফুচকার দোকানে বসতে লুবনা কোত্থেকে হুঁট করে হাঁফাতে হাঁফাতে দৌড়ে আসে। এসেই প্রথমেই প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে। লাজুক ভঙ্গিতে মুচকি মুচকি হাসছে। প্রিয়া তো যারপরনাই অবাক। বিস্মিত নয়নে তাকালো লুবনার দিকে। এই মেয়ের আচমকা হয়েছে’টা কি? সে জিজ্ঞেস করার জন্য উদ্বত হতেই লুবনায় বললো,

জানিস, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

রাঢ়ী মুখ ভেংচি দিলো। বিয়ে ঠিক হয়েছে এটার জন্য এত খুশি হওয়ার কি আছে। লুবনা আবারও লাজুক ভঙ্গিতে হাসলো। তারপর রাঢ়ী আর প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,

কারণ, এখন থেকে আমিও তোদের জা’ হই।

প্রিয়া অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে। চোখ পিটপিট করে বলল,

মানে?

লুবনা লজ্জায় মাথা নত করে ফেলেছে। তারপর ধীরকন্ঠে বলল আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে সৌরভ ভাইয়ের বন্ধু রকির সাথে। তাই আজ থেকে আমিও তোদের জা’ বুঝলি।

নীল,রাঢ়ী, শ্রাবণ, প্রিয়া একসাথে বলে উঠল,

“এ্যা”

লুবনা আবারও লাজুক ভঙ্গিতে হেসে বললো,

এ্যা নয় হ্যাঁ।

সবগুলোই এবার একসাথে হেসে উঠল। লুবনা সবাইকে থামিয়ে বললো আজকে ফুচকার বিল আমি দেব। সবাই খুশিতে গদগদ হয়ে গেলো। ফুচকা আর চটপটি নিতে কাড়াকাড়ি অবস্থা। নীল, শ্রাবণ ইচ্ছেমতো অর্ডার দিছে। মনের সুখে খাবে তারা আজকে। এরকম বান্ধুবী সবার দু’একটা থাকা উচিৎ। তাইলে ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে। সবাই যখন মনের সুখে ফুচকা চটপটি খাচ্ছিলো। আচমকাই প্রিয়ার গা গুলাতে লাগলো। তার নাসিকায় কেমন আশঁটে গন্ধ ভেসে আসল। সে আর বেশি কিছু ভাবতে পারলো না। দৈবাৎ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না। মুখ ভরে বমি করে ভাসিয়ে দেয় আশপাশ। সবাই হা’ হয়ে আছে মেয়েটার আচমকা হয়েছে’টা কি? নীল তো মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যায় ফুচকাওয়ালার কাছে। নির্ঘাত এই লোকের খাবারে ভেজাল আছে। রাঢ়ী শত বলেও নীলকে থামাতে পারলো না। অবশেষে ঠিক করলো প্রিয়াকে নিয়ে প্রথমে ডাক্তারের কাছে যাবে। প্রিয়া বমি করে অস্থির হয়ে আছে। তার মাথা ভন ভন করে ঘুরছে। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছে না।

লুবনা আর রাঢ়ী ধরাধরি করে তাকে রিকশা করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। নীল সৌরভকে ফোনকল করলো প্রিয়ার অসুস্থতার কথা বলে। সৌরভ প্রিয়ার অসুস্থতার কথা শুনেই নির্বাক হয়ে গেলো। তার প্রিয়ারানীর আচমকা কি হয়ে গেলো। দ্রুত বাইক চালিয়ে আসলো হাসপাতালে।

সৌরভ হাঁফাতে হাঁফাতে আসলো। এসেই দেখলো প্রিয়া শুয়ে আছে বেডের মাঝে। কেমন উদ্বিগ্ন মুখশ্রী। চোখমুখে বড়ই বিষন্নতার ছাপ। মেয়েটা রাতারাতি এতটা শুকিয়ে গেলো কিভাবে? তার মাথায় আসলো না। সে এগিয়ে গিয়ে প্রিয়ার মাথায় হাত রাখলো। আলতো স্পর্শে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,

কি হয়েছে আমার প্রিয়ারানীর? এভাবে অসুস্থ হয়ে গেলে কেনো?

প্রিয়া নিষ্পলক সৌরভের দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিছু একটা বলতে গিয়েও আর বললো না। ডাক্তার সৌরভকে ডাকলেন। আপনি রোগীর হাসবেন্ড? সৌরভ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল। ডাক্তার তাকে ডাকলেন প্রিয়ার ব্যাপারে কথা বলার জন্য।

ডাক্তারের সাথে আলাপ শেষে দু’জন বেরিয়ে পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্য। রাঢ়ী, লুবনা, নীল আর শ্রাবণকে ধন্যবাদ দিয়ে আসলো সৌরভ। আসার আগে বাসার জন্য সন্দেশ নিলো সে। প্রিয়া দেখেও না দেখার ভান করলো। সৌরভ মুচকি মুচকি হাসছে প্রিয়ার কান্ড দেখে।

বাসায় প্রবেশ করতেই দেখা হলো মোহনা আর হাসিবের সাথে। প্রিয়া সালাম দিলো তার আঙ্কেলকে। কিন্তু অবাক হলো আচমকাই তাদের বাসায় আসার কারণে। কোনো সমস্যা হয়েছে হয়তো। তাই সেও অকপটে জিজ্ঞেস করলো খালামণি প্রীতি কেমন আছে? কোনো সমস্যা হয়েছে কি?

মোহনা মিট মিট করে হেসে উঠল। হাসিবও তার সাথে তাল মিলালো। তারপর মারিয়াই নিজ থেকে বললো,

সমস্যা না শুধু মহা সমস্যা হয়েছে প্রীতির। তোকে জলদি বলেছে তৈরি হয়ে চলে যেতে। প্রিয়ার অবাক ছাউনি। সে কেনো জলদি তৈরি হবে? মোহনা এবার জোরেই হেসে দিলেন। তারপর বললেন,

প্রীতির বিয়ে ঠিক হয়েছে। এক সপ্তাহ পরেই বিয়ে। তাই তোকে এক সপ্তাহ আগেই নিয়ে যেতে বলেছে। মোহনার কথা শেষ হওয়ার আগেই নাজমা দরজার অভিমুখে দাঁড়িয়ে বললেন,

কিন্তু আপনি যে নানু হয়ে গেছেন সে খবর আছে বেয়াইন সাহেবা।

সহসাই এমন একটা কথা শুনে উপস্থিত সবাই চমকে উঠলো। প্রিয়া ভীষণ লজ্জা পেলো একথা শুনে। সে দৈবাৎ নিজরুমে চলে গেলো। নাজমার হাতে সন্দেশের প্যাকেট। সে নিজ হাতে মারিয়া আর মোহনাকে খাওয়ালো। সবার মুখে খুশির ঝিলিক হলেও আনোয়ারের চোখে মুখে অন্ধকার। তার মেয়েটা মা’ হয়ে যাবে। সে কিন্তু এজন্য এত তাড়াহুড়ো বিয়ে দিতে চাইনি। এখনো কলেজটাই শেষ হলো না। কিভাবে বাকী পড়াশোনা শেষ করবে। সৌরভের উপর তার প্রচন্ড রাগ জমলো। এই ছেলেটার কান্ডজ্ঞান কিছুই নাই।

বিকেলে সৌরভকে ডাক দিলো আনোয়ার। ভণিতা ছাড়াই বললো,

তোমার সাথে আমার একটা ডিল ছিল। সেটা এভাবে ভুলে গেলে।

সৌরভ মিট মিট হাসলো। তবে শ্বশুরকে বুঝতে দিলো না। তার কি দোষ, বাচ্চারা দুনিয়ায় আসার জন্য অস্থির হয়ে গেছে। সে বাবা হয়ে তো আর তাদের নিষেধ করতে পারে না। সে ধীরে সুস্থে আনোয়ারের জবাব দিলো,

দেখুন বাবা আমি নিরপরাধী। আমার কি দোষ? আপনার নাতি-নাতনীরাই দুনিয়াই আসতে চাই। এখন ওদের কিভাবে নিষেধ করবেন আপনি দুনিয়ায় না আসতে?

আনোয়ার সৌরভের কথায় তাজ্জব বনে গেলো। এই ছেলে তো আগে ঠোঁট কাটা ছিল না। সে তপ্ত নিশ্বাস ছেড়ে বললো ঠিক আছে যাও। তোমার সাথে কথা বলে কোনো লাভ নাই দেখছি। আমার মেয়েটার খেয়াল রেখো।

সৌরভ বক্র হেসে বলল,

সেটা আপনি না বললেও রাখবো। আফটার অল আমার অনাগত বাচ্চার মা সে।

শোভা আলিশবা এসে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরলো। দু’জন তার মুখে সন্দেশ তুলে দিলো। প্রিয়া একটু আধটু খেলো। সবার সামনে বেচারি লজ্জায় শেষ। গৌরব এসে নিজের ভাইকে ঝাপ্টে ধরলো। চোখ টিপ্পনী মেরে ভাইকে ফিসফিস করে বললো

তাহলে চাচু বানিয়ে দিলি আমাকে। বাহ! আমার ভাই কত ফাষ্ট।
____________________

প্রিয়া লজ্জায় কাচুমাচু করছিল। সৌরভ প্রিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। তারপর ফিসফিস করে বলল,

আমার প্রিয়ারানী তো আমাকে সত্যিই বাপ বানিয়ে দিলো। ভাবতেই কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে আমার। তোমার অনুভূতি কেমন বলো তো?

প্রিয়া আচমকাই বলে উঠল,

আচ্ছা, আপনারা কি প্রি-প্ল্যান করেই সব বন্ধুরা মিলে আমার বান্ধুবীদের বিয়ে করছেন। লুবনার সাথে রকি ভাইয়া, প্রীতির সাথে সানি ভাইয়া। কি অদ্ভুত না? সৌরভ আচমকাই সানি আর রকির বিয়ের কথা শুনে আৎকে উঠলো। তার বন্ধুর বিয়ে সেই জানে না। সে অদ্ভুত ভাবে তাকালো প্রিয়ার দিকে। সে সত্যিই কিছুই জানে না এ ব্যাপারে। সে তো শুধু পরশের কথায় জানে। বাকিরা তো তাকে কিছুই জানায় নি।

প্রিয়া নিজেও অবাক। দু’জন দুজনের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠল। সৌরভ তপ্ত নিশ্বাস ছেড়ে বললো সবগুলাই হারামী দোস্ত তার। একটাকেও তার মেয়ে হলে দাওয়াত দিবে না। প্রিয়া ত্বরিত বলল ‘মেয়ে’ হবে আপনার? সৌরভ গা দুলিয়ে হেসে বললো অবশ্যই আমার মেয়ে হবে। আর মেয়ে জামাইও রেডি আছে আমার। প্রিয়া অবাক হয়ে বলল মেয়ে জামাই সেটা আবার কে? সৌরভ ফিসফিস করে বললো কে আবার? আমার ভাই আমার বেয়াই হবে। তার একমাত্র ছেলে আমার মেয়ে জামাই হবে। প্রিয়া চুপচাপ সৌরভের কথা শুনল। এই লোক সত্যিই পাগল হয়ে গেছে।

___________সমাপ্তি _________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে