রোমান্টিক_অত্যাচার_২

0
10878
রোমান্টিক_অত্যাচার_২ Writer:#Israt_Jahan ধারনা:#Kashnir_Mahi আমি: স্যার আর আমার চেম্বার টা একদম সামনা সামনি। মানে স্যার আমাকে দেখতে পান আর আমিও স্যার কে দেখতে পাই। কিন্তু এই দুই দিনেই আমার কাজের মুড টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র ওনার বিহেভিয়ার এর জন্য।এতো খিটখিটে মেজাজের মানুষ কিভাবে হতে পারে? যাই হোক আমাকে আমার কাজে যেভাবেই হোক মনোযোগী হতে হবে। না হলে আমার চাকরি টা যাবে। আর এই বাজারে ভালো সেলারির চাকরি পাওয়া so tough. তাই আমাকে খুব ধৈর্য রাখতে হবে। আশফি : ও কি কোনোভাবে বুঝতে পারলো নাকি কিছু? নাহ্ কিছুই বুঝতে পারেনি। বুঝলে Reaction টা অন্যরকম হতো।যাইহোক এতো তাড়াতাড়ি বুঝতে দিলে চলবেনা। মহারাণীর ঠোঁটের নিচের তিলটা আগের থেকে আরও বেশি কালো হয়ে গেছে। যার জন্য ওর সৌন্দর্য টা আরও বেশি বেড়ে গেছে। আর ফেসটা সেই আগের মতো পিচ্চি পিচ্চিই আছে। হুম, মহারাণী এখন পুরোপুরি কাজে ধ্যান দিয়েছেন এরজন্য কোনোদিকে তাকাতাকি নেই। তাই তিনি দেখতেও পাচ্ছেননা কেউ তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভালো…… যত পারো কাজে মনোযোগী হও। কিন্তু এরপর থেকে যে এর থেকে বেশি মনোযোগ আমাকে দিতে হবে বাবু….?। আসিফ: কি মাহি!!! আজকের খবর কি?? এরকম একজন হিরো স্যার এর পি.এ হয়ে সময় কেমন যাচ্ছে???? আমি: তোমার কি গল্প শোনার ইচ্ছে হয়েছে? আসিফ: হুম Dear খুব।? আমি: তাহলে গল্পের শিরোনাম টাই শুনো। পার্সোনাল এসিসট্যান্ট থেকে পার্সোনাল চাকরানি। ??। কি সুন্দর না???? আসিফ: ????? হাহাহাহাহা। উফফ তুমিওনা…… যাই হোক শিরোনাম টা xoss ছিল। আমি: হ্যা খুব। ভাবছি আজকেই এফবি তে পোস্ট দিব। -হাহাহাহাহাহা??? দুজনের হাসাহাসি তে মাহি একবার ও খেয়াল করলোনা কেউ তার দিকে আগুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সেটা আর কেউ না মি. আশফি চৌধুরী।
আশফি: আমার চেম্বারে আসুন।?? ( রাগী মুডে পি.এ কে ফোন)। এতো হাসি?? এতো হাসি আসে কোথা থেকে তোমার আজকে আমি সেটাই দেখবো। আমার সামনে ছাড়া যাতে তুমি অন্য কোনো ছেলের সামনে না হাসতে পারো তার ব্যবস্থাই করবো।? আমি: দেখেছো কতটুকু সময় হয়েছে ওনার চেম্বার থেকে আসলাম সাথে সাথে আবার ফোন।?? আসিফ: ?? যাও যাও দেখো এবার কি করতে বলে। আমি: এই লোকটার সামনে গেলে আমার Heartbeat ১৪ গুণ বেড়ে যায়। এতো ভয় পেলে কিভাবে কাজ করবো ওনার সাথে বুঝতে পারছিনা। ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম ওনার চেম্বারে। জি স্যার বলুন।
আশফি: হ্যা বসুন। এই ফাইল গুলো ধরুন। এগুলোতে কিছু Fault আছে যে গুলো এক্ষনি correction করে দিতে হবে আমাকে। আমি: স্যার এক্ষনি এতোগুলো ফাইল কিভাবে correction করে দিবো?? আশফি: কিভাবে করে দিবেন সেটা তো আমার জানার কথা না!! করে দিতে বলেছি করে দিবেন। ব্যাস…… আমি: ঠিক আছে স্যার। আসি?? আশফি: আসি মানে? আমি এখানে বসে করতে বলেছি। আমি: কিন্তু স্যার আমি আমার চেম্বার ছেড়ে এখানে বসে করবো কেনো? আর তা ছাড়া আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আশফি: তাইতো। এটা তো একটু অন্যরকম দেখায়। দেখাক তাতে কি? (মনে মনে)। সেটা আপনাকে ভাবতে হবেনা।আর যত কাজ ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা তাইনা? আমার সামনে বসে তো আর ফাঁকি দিতে পারবেননা। আমি: স্যার আমি মোটেও…….( বলতে গিয়ে চুপ হয়ে গেলাম ওনার আগুন দৃষ্টি দেখে, মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই গিলে ফেলবে) আমি চুপচাপ কাজ করা শুরু করলাম। আশফি: আমি জানি তুমি ফাঁকিবাজ না। শুধুমাত্র আমার চোখের সামনে তোমাকে রাখার জন্য এই ব্যবস্থা।( মনে মনে)। Already 30 minutes পার হয়ে গেছে মেয়েটা কাজ করেই চলেছে। একটা বার ও চোখটা তুলছেনা। উফফ এতোটা বোরিং কবে থেকে হলো মেয়েটা।?। কথা বলার মতো কোনোকিছু খুঁজেও পাচ্ছিনা।(মনে মনে)।……………….. Oh God??? এতোটা careless কি করে হতে পারে ও? কাজ করতে করতে গলার কাছ থেকে ওরনাটা বেশ কিছুটা নিচে পড়ে গেছে। আর তাতে ওর গলার বেশ খানিকটা নিচে আর বুকের বেশ খানিকটা ওপরে মানে মাঝ বরাবর লাল তিলটা দেখা যাচ্ছে। এভাবেই কি মেয়েটা কাজ করে নাকি সবার সামনে? আশ্চর্য!! শুধু ফেসটাই পিচ্চি না ও পুরো মানুষটাই এখনও পিচ্চি হয়ে আছে। এখন ওকে আমি কিভাবে বলবো? হঠাৎ হাতের কাছে পেপারওয়েট টা পেলাম। ওটাই টেবিলের ওপর ঠাস করে ফেললাম। তাতেই ও চমকে গিয়ে কলমটা হাত থেকে পড়ে গেলো। তখন ও আমার দিকে তাকালো আর আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম একবার আর ওর ওরনার দিকে তাকালাম। ও আমার তাকানোর ভাবেই বুঝতে পারলো আমি কি বোঝাতে চেয়েছি। ও খুব দ্রুত ওরনা ঠিক করলো। আর খুব লজ্জা পেয়েছে সেটাও বোঝা গেলো। কাজ করতে করতে lunch এর সময় হয়ে গেছে। তখন ওকে কাজ থামাতে বললাম। মিস মাহি আমার খাবারটা বেড়ে দিন। আমি: ??? ওনার কথাই আমি শুধু অবাক ই হচ্ছি। কিছু করার নেই, করতেই হবে। কিন্তু আমি এই প্রথম কাউকে খাবার বেড়ে দিব। খুব ভয় করছে যে dangerous man তাতে একটু ভুল হলেই তো কতো বকা দিবে। ভাবতে ভাবতে খাবার বাড়া শুরু করে দিলাম। আশফি: যেভাবে খাবার বাড়ছেন মহারাণী তাতে মনে হচ্ছে জীবনের প্রথম কাউকে খাবার বেড়ে খাওয়াচ্ছেন। গ্লাসে পানি ঢালতে গিয়ে মনে হচ্ছে পানি টুকু আমার গায়েই ফেলবে। বলতে বলতেই………ohh shitt???.এটা কি করলে……..( বলতে গিয়ে চুপ হয়ে হেলাম ওর মুখটা দেখে, ভয়ে একদম চোখ বন্ধ করে আছে। কিছুটা হাসিই পেয়ে গেলো।) তাও রাগী মুডেই বললাম পরিষ্কার করে দাও।
আমি: জ.. জি স্যার( তোতলা ভাবে) শার্টটা পরিষ্কার করার সময় স্যার এর অনেক কাছে চলে আসলাম। আর স্যার আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই লোকটা এভাবে তাকিয়ে কি দেখে কে জানে? কাজ করার সময়ও বুঝতে পারছিলাম উনি আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছেন। আশফি : ও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে। অনেক কাছ থেকে দেখছি ওকে। ইচ্ছে করছে……… ??? না থাক এখন ইচ্ছে করলেও কিছু করা যাবেনা।তারপর দুজনে একসাথে lunch শেষ করলমা। ওকে করতে কাধ্য করেছিলাম???। কাজ করতে করতে ছুটির সময় হয়ে গেছে। ওকে বললাম আমার স্যুটটা পড়িয়ে দিতে। ও আরও একবার অবাক হলো।?? আমি: শেষ পর্যন্ত এটাও????। এখন তো মনে হচ্ছে আমি ওনার Private asistant না private bou…??। চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে