রোমান্টিক_অত্যাচার_১৬
লেখিকাঃ #Israt_Jahan
ধারনাঃ #Kashnir_Mahi—————–-আমি বাইরে যতটুকু সময় থাকবো ততটুকু সময় তুমি অনেক সাবধানে থাকবে। যতই সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকুক নিজের সাবধনতা নিজের কাছে। আর আমি খুব তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার চেষ্টা করবো। হুম?
-ঠিক আছে। কিন্তু আমার সময় কাটবে কি করে আমি শুধু সেটা ভাবছি। তুমি চলে গেলে এই এত বড় বাড়িটা আমার কাছে শুধু কারাগার মনে হয়। আর থাকলো শুধু সার্ভেন্টস ওদের একজনের ভাষা ও তো আমার বোধগম্য হয়না। তাই ওরা থাকা ও যা না থাকা তাই। মা আসলে কি এমন ক্ষতি হতো?
-এই একদম মন খারাপ করবেনা। আর মামনি কে ও আমি খুব শিঘ্রই এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি। একটু কষ্ট করো। আর আমি তো প্রতি সেকেন্ডে আমার বৌ এর মুখ দেখবোই। এখন আমার কাছে এসো একটু। ওকে আমার কাছে এনে কপালে ছোট্ট করে একটু খানি ভালোবাসা দিয়ে বেরিয়ে এলাম।
-আশফি গান টা এখানে রেখে গেছে কেনো? নিশ্চই আমার জন্য। কিন্তু আমার কাছে এটা থাকা ও যা না থাকা ও তো তাই। আমি তো এটা ব্যবহার ই করতে পারবোনা। পাগল একটা। লাস্ট ফোন করেছিল ১২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড আগে। আমাকে বলা হলো খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো। এতক্ষণে ও কোনো খবর নেই। ধুর এরকম ভাবে কখনও সময় কাটে। বেলকোনি তে দাড়িয়ে আছি। মনে হচ্ছে রুমের মাঝে কেউ হাটাচলা করছে। বেলকোনি থেকে রুমে এলাম। আশফি? ও কখন আসলো? আর এসে এভাবে দাড়িয়ে আছে কেনো গম্ভীরভাবে? এই তুমি কখন এলে আর দেখলে যে আমি বেলকোনিতে দাড়িয়ে আছি তাহলে আমাকে ডাকলেনা কেনো? আর ফ্রেশ না হয়ে এভাবে রোবটের মত দাড়িয়ে আছো কেনো? যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি যখন কথাগুলো বলছিলাম ও তখন নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল।আর আমার কথার উত্তরে ও শুধু মাথাটাই নাড়ালো। কোনো কথা বলছেনা। মুখের ভাব দেখে মনে হলো এই প্রথম বাংলা কথা শুনলো। আমি শুধু ওর হাটাচলা লক্ষ করছি। কেমন অদ্ভুত লাগছে। ওয়াশরুমে গেছে। কিন্তু এত সময় নিচ্ছে কেনো? আশফি? এই আশফি? কি করছো বলো তো এতক্ষণ? মেয়েদের মত এত সময় কবে থেকে নেওয়া শুরু করলে? ওহ্ বের হয়েছো তাহলে! আশফি তুমি কি সত্যিই ফ্রেশ হয়েছো তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছেনা। কি হল? কথা না বলে এভাবে আমার দিকে আগাচ্ছো কেনো? এতক্ষণে ওর চোখের দিকে আমার নজর গেলো। এই চোখ তো আমার আশফির নয়। ওর চোখে আমি কখনোই এতো হিংস্রতা দেখিনি। এ আমার আশফি হতেই পারেনা। কিন্তু কে এ? ও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে। আমি ভয়ে চোখ টা যখনই বন্ধ করলাম ঠিক তখনই আমার কানে গুলির শব্দ এলো। চোখ খুলে দেখলাম আশফির হাতে গান আর নিচে ঐ নকল আশফি সেজে আসা ছেলেটা পড়ে আছে। মাথার পেছন থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
– সিকিউরিটি? (আশফি)
-ইয়েস স্যার।
-এটাকে নিয়ে আমার ডগি দের ডিনার এর ব্যবস্থা করো।
-ওকে স্যার। মাফ করবেন স্যার ওকে আমাদের একদম চোখে পড়েনি। বাসার ভেতর ক্ষুদ্র কোনো প্রাণী ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ও কিভাবে ঢুকলো বুঝতে পারছিনা স্যার।
– ঠিক আছে। সেটা দেখার ব্যবস্থা কাল সকালে করছি। এখন এটা কে নিয়ে যাও।
-এটা কি করে সম্ভব বলো তো। কত বড় ভুল করে ফেলছিলাম আমি। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম এটা তুমি। ও একদম দেখতে তোমার মত কি করে হতে পারে?
-এটা কোনো ব্যাপার না এখানে। ওদের মত বড় ধরনের মাফিয়ারা যে কোনো রাস্তা অবলম্বন করতে পারে। False Face ব্যবহার করেছে ও । সেক্ষত্রে চেনার উপায় ও আছে। সেটা হল চোখ। একমাত্র চোখ দেখেই বোঝা যায় তার ফেস টা আদৌ রিয়েল কিনা। আর তুমি তোমার আশফির চোখ টা ও চেনোনা?
-কেনো চিনবোনা। যখন চিনেছি তখন তো ও আমার একদম কাছে চলে এসেছিল। আর তারপরেই তো তুমি চলে এলে।
-আর তোমার কাছে না আমি একটা গান রেখে গেছিলাম। সেটা কোথায়?
-ঐ তো ওখানেই আছে। ওটা থেকেই বা কি হতো? আমি তো ওটা ব্যবহার করতে পারিনা।
-ব্যবহার করতে পারোনা তাই বলে কি কারো সামনে ও সেটা ধরতে পারবেনা? আচ্ছা যাই হোক ও তোমাকে টাচ্ করেনি তো?
-হ্যা শুধু টাচ্ কেনো? সাথে চুম্মা ও ফ্রি পেয়েছি। ওভাবে তাকিয়ে হাসছো কেনো?
-আমি ওর কাছে গেলাম। শোনো এটা আমার জিনিস। এটা কেউ চাইলেও ছুতে পারবেনা। এইটুকু ভরসা আমি উপরওয়ালার ওপর রাখি।
-জিনিস?? ঐ আমি কি বস্তু? বুঝে শুনে কথা বলতে পারোনা?
-তুমি তো বস্তুই। নিজেকে প্রটেক্ট করার মত ক্ষমতা রাখেনা সে তো বস্তই।
-তুমি ওয়াশরুম থেকে বের হও তারপর দেখছি।রাতের খাবার শেষ করে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। তুমি সারাদিন থাকো বাইরে। বাসায় আসার পর আবার পিসির সামনে বসলে। আমাকে কি তোমার চোখে বাঁধেনা?
-আচ্ছা আমি কাজ অফ করছি। আমার কাছে এসে বসো আজকে আমরা কিছু রোমান্টিক জাপানিজ মুভি দেখি। আরে এসো না এত রাগ করো কেনো? ওকে কাছে টেনে এনে এক সাথে বসে মুভি দেখছি। মাহি? ঘুমিয়ে পড়েছো? আমার কাঁধের ওপর মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে শুইয়ে দিতে গেলাম তখন ও চোখ খুললো। তুমি না ঘুমিয়ে পড়েছিলে?
-হুম। তোমার কাঁধের ওপর থেকে মাথা নামিয়ে দিলে কেনো?
-তোমার ঘুমাতে কষ্ট হতো তাই।
-আমি এভাবেই ঘুমাবো। না থাক। তুমি শুয়ে পড়ো আমি তোমার বুকের ওপর মাথা রেখে ঘুমাবো। তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।আর ও আমার মাথায় চুলের মাঝে চুমু দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো।
★সকালবেলা★
-হায় আল্লাহ্ সকাল সকাল গুলির আওয়াজ কেনো? ভয়ে একদম লাফিয়ে উঠেছি। আশফি কোথায়? ও আমাকে না বলে কোথায় চলে গেলো। আজকে ওর খবর আছে ও ওর রুলস ব্রেক করেছে। উঠে সামনে বাগানের দিকে গেলাম। ওখান থেকেই গুলির শব্দ টা আসছে। ঐ তো আশফি ওখানে দাড়িয়ে আছে। এই ছেলে তুমি এখানে কি করছো? সকালে আমাকে তোমার…………
-Relax dear তুমি একটু ওয়েট করো। আমি এদের ব্যবস্থা করে তারপর তোমার সাথে Romance করছি।
-মানে কি???? এই তুমি এভাবে এই ছেলেটাকে শুইয়ে রেখেছো কেনো? আর ওদেরকে এভাবে এই রোদের ভেতর দাড় করিয়ে রেখেছো কেনো?
– ও কে শুইয়ে রাখিনি। shoot করে দিয়েছি। এরপর আরও ক’টা কে shoot করবো?
-তুমি কি মানুষ? এভাবে ঐ নিরীহ ছেলে গুলোকে মারছো কেনো?
-ওহ্, তুমি না একদম বুঝোনা। এখানে দাড়িয়ে দেখো তাহলে বুঝতে পারবে।
-ও সব গুলো গার্ড, সার্ভেন্টস দের এই সিরিয়ালে দাড় করিয়ে রেখেছে। তারপর সবার পেছনে গিয়ে ওদের ঘাড়ের পেছনে কি যেনো দেখে তারপর হঠাৎ কাউকে পেছন থেকেই shoot করে দিচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছিনা। আর ওদের এভাবে মারা দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল তাই রুমে চলে আসলাম। কিছুক্ষনের ভেতরেই ও রুমে আসলো। এসে আমার কোলের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। কি? অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছেন Shoot করতে করতে??
– না গো। shoot করতে আমার খুব ভালোই লাগে এখন। এনজয় করি।
-তুমি ওদের কে কেনো মারলে শুনি?
-ওরা ঐ মাফিয়ার লোক ছিল।
-কি? তুমি কিভাবে বুঝলে?
-সেদিন যে ছেলেটা তোমাকে মারতে এসেছিল ও আমার গার্ড হয়ে মিশে ছিল আমার গার্ডদের সাথে। আর ও এখানে আমরা আসার আগেই ঢুকে পড়েছিল। আমার ই ভুল ছিল। আসার পর সবকিছু একবার ভালো করে চেক করে দেখা দরকার ছিল। আর আমি ওদের চিনলাম কি করে এখন সেটা শুনো। আমার সবগুলো গার্ডের ঘাড়ের পেছনে একটি নির্দিষ্ট ট্যাটু আঁকা রয়েছে। তবে সেটা সাধারণ কোনো ট্যাটু নয়। ঐ ট্যাটু টা আঁকার সময় এমন একটা শুকনা পদার্থ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে যেটা শুধু মাত্র রোদে পড়লেই গোল্ড এর মত গ্লেস দেই। এই গ্লেসটা খালি চোখে দেখা যায়না এই চশমা টা পড়তে হয়। তাহলেই দেখা সম্ভব। আর ওরা শুধু আমার ট্যাটু টাই নকল করেছে। তার ভেতরের কোনো রহস্যই ওরা জানেনা। বোঝাতে পেরেছি?
-Genius. বুঝলাম। আচ্ছা আশফি তোমার কি এই মানুষ গুলো খুন করার সময় একটু ও হাত কাঁপেনা?
-না কাঁপেনা। বাবা মা কে নিজের চোখের সামনে মরে যেতে দেখেছি। তোমাকে ওরা আঘাত করেছিল তোমার সেই আঘাত পাওয়ার কষ্ট দেখেছি। তাই আর হাত কাঁপেনা। এখন শুধুমাত্র তুমিই আছো আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে। তাই তোমার কোনো ক্ষতি আমি হতে দেবোনা। যদি এর থেকেও কঠোর হতে হয় আমাকে তাহলে তাই হবো।
-কথাগুলো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে এক নিঃশ্বাসে বলছিল। এখন নিশ্চুপ হয়ে আমার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। এখন এই চোখে রাগ নেই। ভালোবাসা পাওয়ার আকুলতা কাছের মানুষকে হারানোর ভয় ওর চোখে ফুটে উঠেছে। ও আমার কাছে এগিয়ে এলো।
-আমি জানি মাহি তুমি এগুলো সহ্য করতে পারোনা।কিন্তু তোমাকে safe রাখার জন্য আমাকে আরও কঠোর হতে হবে। বুঝেছো? তারপর ওর গালে হাত রেখে ওর ঠোঁটে অনেক্ষন ভালাবাসা পরশ দিলাম।
-আশফি আজকে চলোনা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
-না মাহি। আজকে সব থেকে important একটা কাজ আছে তোমাকে ও সাথে যেতে হবে।
-কোথায়?
-কোর্টে। বিকালে ওকে নিয়ে কোর্টে গেলাম। তারপর ওর সমস্ত প্রপাটির উইল শো করে আইনী ব্যবস্থায় ওকে ফিরিয়ে দিলাম। এরপর থেকে ঐ মহিলা চাইলেও আর কোনো দাবি করতে পারবেনা। এমন কি কোনো পাওয়ার অফ এটোনির উইল ও কাজে আসবেনা।
-আশফি, এর কিছুই আমার প্রয়োজনে আসবেনা। আমি চাই ওদের শাস্তি হোক।
-তার জন্য যোগ্য প্রমাণ দরকার। আমার কাছে সেরকম কোনো প্রমাণ নেই।আমাকে আরও অনেক যুক্তিযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। আমি পুলিশ অফিসার এর সাথে যোগাযোগ রেখেছি। উনি আমাকে সহযোগিতা করবেন।
-ঠিক আছে বুঝলাম। কিন্তু আমি এতসব দায়িত্ব নিতে পারবোনা। এগুলো তুমি ই দেখাশোনা করবে। আর একটা কথা আমাদের বাবা বেঁচে থাকতে যখন এই কোম্পানি দুটো একসাথে ছিল ঠিক তেমনভাবেই আবার ও তুমি এই কোম্পানি দুটোকে একসাথে করবে। ঠিক আছে?
-হুম। আর হ্যা কাল তোমাকে নিশ্চই ঘুরতে নিয়ে যাবো। এটা নিয়ে আর মন খারাপ করবেনা। যদি চাও বাইরের কান্ট্রিতে ও নিয়ে যেতে পারি। বলো কোথায় যাবে?
-তাহলে চলো Anaconda দেখে আসি।
-কি? এত কিছু রেখে তোমার এনাকন্ডা দেখার শখ হলো?
-হ্যা। তো এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে? Anaconda মুভি দেখে আসলে ওর ওপর ক্রাশ খেয়েছি তো তাই ওকে সামনাসামনি দেখার শখ হয়েছে।
-আমি পারবোনা। অন্য কোথাও বলো নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ওর সামনে আমি যেতে পারবোনা।
-কেনো? এতো বীরপুরুষ আর এনাকন্ডার সামনে যেতে চাইছোনা? আর ও কি আমাদের খেয়ে ফেলবে নাকি? ও তো ওর জায়গায় থাকবে। আর যদি কিছু করতে ও আসে তোমার গান টা তো আছেই।??
-হিহিহি। কি সুন্দর কথা!! এই শোনো ওসব দেখতে আমি যেতে পারবোনা। পৃথিবী তে এই সাপ জিনিসটাকেই আমি বেশি ভয় পাই। আর ওর সামনে গিয়ে শুধু শুধু নিজেন বিপদ ডেকে আনবো কেনো? আর ঐ বেচারাকেই বা shoot করতে যাবো কেনো? এর থেকে চলো তোমাকে সমুদ্রে নিয়ে যায় ship এ ঘুরবো। অনেক ভালো লাগবে।
-না।?
-তাহলে আকাশে? প্লেনে ঘুরবো?
-না।
-গাড়িতে? লং ড্রাইভে যাবো?
-না বললাম তো।
-তাহলে কোথায়? প্লিজ একটা তো বলো?
-ঘোড়ায়। ঘোড়ার পিঠে চড়বো।
-ঘোড়া? কি অদ্ভুত তোমার চয়েস। না ঠিক আছে। তাহলে কাল নিয়ে যাবো। এখন ঘুমাতে আসো অনেক রাত হয়ে গেছে।
-হুম আসছি।
আজ দুপুরের পর আশফি আমাকে নিয়ে বের হলো। একটা জায়গায় এসেছি যেখানে একটা লোক অনেক গুলো ঘোড়া দেখাশোনা করে। ওনার থেকে আশফি একটা সাদা ঘোড়া নিয়ে এলো। এই তুমি একটা ঘোড়া নিয়ে এসেছো কেনো? আর একটা কৈ?
-আর একটা কৈ মানে? তুমি একা ঘোড়ার পিঠে চড়তে পারবে? কোনোদিন চড়েছো? চড়োনি তো। তাহলে বেশি কথা না বলে এসো আমার পেছোনে উঠে বসো।
-পেছনে মানে? আমি তোমার সামনে বসবো।
-আরে সামনে বসে যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারো?
-আমি আর কোনো কথা শুনতে চাইনা।
-ওকে। তারপর মাহি কে উঠিয়ে ঘোড়ায় চড়াচ্ছি।
-আশফি আমি বোধহয় ঘুমিয়েই পড়বো। ঘোড়াটা যেভাবে দৌড়াচ্ছে।
-ও আচ্ছা। ও আস্তে দৌড়াচ্ছে? তোমার তাই মনে হলো? ঠিক আছে অনেক শক্ত করে চেপে বসো।
-অনেক্ষন ঘোড়ায় চড়ে দুজনেই অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি। একটা গাছের নিচে গিয়ে ও বসে পড়লো। আমি ওর কোলে আমি মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।
-কি আরাম!! ঘোড়া দাবড়িয়ে আমি ঘেমে গোসল করে ফেললাম আর উনি এসে আরাম করে শুয়ে পড়লো।
-আমি উঠে ওর মুখের দিকে তাকালাম। আসলেই ঘেমে গেছে অনেক। ঠিক আছে আমরা দুজনেই শুই। তুমি শুয়ে পরো আমি তোমার হাতের ওপর মাথা রেখে শুবো।
-হুম।
-ও চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আমি ওর মুখটা দেখছি। মুখের চার পাশ দিয়ে ঘাম ঝড়ছে। আমি মাথা উচুঁ করে ওর মুখের সামনে গিয়ে ফুঁ দিতে থাকলাম। ও চোখ খুলে তাকিয়ে আছে। জানো আমি এখন কিছুটা রোমান্টিক মুডে আছি। এই রোমান্টিক পরিবেশ টা আমার মন টা কে আরও অনেক বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলছে। খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু….
-কিন্তু আমি অনেক ঘেমে আছি তাই পারছোনা। তাই তো?
-আমি ওর মুখটা মুছে দিয়ে ওর কপালে, দু চোখের পাতায়, নাকে, গালে, থুতনি তে, ঠোঁটে ভালোবাসার ছোঁয়া দিলাম।
চলবে………..
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.