রোমান্টিক_অত্যাচার_১৩
লেখিকাঃ #Isrst_Jahan
ধারণাঃ #Kashnir_Mahi
মাহিঃ আর একটু দেরি হলে এই পাগলটার ভালোবাসা, পাগলামী রোমান্স গুলো হারিয়ে ফেলতাম। তারপর আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ওর ডাকেই আমার ঘুম ভাঙ্গলো।
আশফিঃ এই তুমি এখনও এতো ঘুমাচ্ছো কি করে। যাও উঠো। আমার সেবাযত্ন করা শুরু করো। নার্স দুটোকে বিদায় করে দিয়েছি।
মাহিঃ কি??
আশফিঃ কি মানে?
মাহিঃ না না কিছুনা। অনেক ভালো করেছো। আমি থাকতে অন্য কেউ কেনো তোমার সেবা করবে? তুমি বসো আমি এক্ষণি কফি নিয়াসছি।
আশফিঃ এতো তাড়াহুড়ো করতে হবেনা। আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন,যান।
মাহিঃ হুম। ফ্রেশ হয়ে ওকে কফি দিয়ে রান্না করতে চলে গেলাম। দেখলাম মা রান্না করছে।
-মা তুমি আমাকে দাও আমি রান্না করছি।
মাঃ না তার কোনো প্রয়োজন নেই। রান্না অলরেডি শেষ। তুই ওর কাছে যা গিয়ে দেখ ওর কি লাগবে না লাগবে। ওকে গিয়ে দেখাশোনা কর।
মাহিঃ হুম যাচ্ছি। মাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে।
এখন তো আমার সবসময় শুধু ওর কাছেই থাকতে ইচ্ছা করে। আগে যার থেকে শুধু পালিয়ে বেড়াতাম। এখন তার মুখটা দেখার জন্য মনটা খালি খালি উড়ু উড়ু করে। এভাবেই সবসময় ওর কাছাকাছি থাকি। এখন আমিই ওকে দেখাশোনা করি ওর খেয়াল রাখি। আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছে ও কিন্তু মাঝে মাঝে শরীরে জ্বর আসে। আর ওর ঐ দুষ্টু মিষ্টি আদর নেওয়ার জন্য নানা রকম বাহানায় ওর কাছে যাই। একদিন সকালবেলা………..
আশফিঃ এই মেয়ে মানুষ গুলো এত পরিমাণ স্বার্থপর হয় এদের সাথে না থাকলে সেটা জানা সম্ভব হতোনা।
(নিউজপেপাড় পড়ছিল আর কথাগুলো বলছিল)
মাহিঃ তার মানে কি? তুমি কতগুলো মেয়ের সাথে থেকেছো। আর স্বার্থপরের কি দেখলে?
আশফিঃ না আমি একজন মেয়ের কথায় বলছি আর কি যে আমার সাথে থাকে।
মাহিঃ মানে কি আমি স্বার্থপর? স্বার্থপর হওয়ার মত কি করলাম আমি তোমার সাথে?
আশফিঃ স্বার্থপর ই তো। সবসময় শুধু এক এক রকম বাহানায় আমার কাছে আসো আমার আদর নেওয়ার জন্য। নিজে তো কখনও করোনা।
মাহিঃ যাহ্ ও বুঝতে পেরে গেলো!
-এই শোনো আমি যদি দুষ্টুমি শুরু করিনা তাহলে তুমি একদম অতিষ্ট হয়ে যাবে।
আশফিঃ তার জন্য আমি সর্বদাই প্রস্তুত।
মাহিঃ ঠিক বলছো তো? তাহলে ঠিক আছে, এখন থেকে আমি তাই তাই করবো যা যা তুমি আমার সাথে করতে বরং তার থেকে আরও বেশি কিছু করবো। মানে এখন থেকে তুমি অত্যাচারীত হবে।
আশফিঃ আহ্। (বুকের বাম পাশে হাত রেখে) এত বড় একটা কথা আমার heart টা নিতে পারেনি। খুব জোড়ে ধাক্কা খেলো।
মাহিঃ ইয়ারকি হচ্ছে। আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা তাইনা?
আশফিঃ মাথা নাড়িয়ে না বোধক উত্তর বোঝালো।
মাহিঃ ঠিক আছে বিশ্বাস করাচ্ছি। ওর গাল দুটো ধরে ওর ঠোঁটে কিস করে বসলাম। ও যতুটুকু সময় নিত তার থেকে বেশি সময় আমি নিলাম।
আশফিঃ ও এভাবে আমাকে চুমু দিয়ে বসবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার চোখ দুটো পুরো রসোগোল্লার মত হয়ে গেলো। ও যেভাবে কিস করছে তাতে আমার নাক টাও আটকে গেছে। এদিকে আমার শ্বাষ বন্ধ হয়ে আসছে তাও ওর ছাড়ার কোনো খবর নেই।
মাহিঃ অনেক্ষন ওকে কিস করে তারপর ছাড়লাম।
– কি? হয়েছে বিশ্বাস। ও পুরো হাপিয়ে শুথু মাথা ঝাকালো। তোমার রেকর্ড আমি ভেঙ্গে দিয়েছি।
আশফিঃ হুম। কতক্ষন করেছো?
মাহিঃ উমমমম ৭/৮ মিনিট তো হবেই।
আশফিঃ হা । my god!!
মাহিঃ হুম। এখন থেকে এগুলোর জন্য always ready থাকবে। গট ইট? তারপর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম
আশফিঃ Thank god. তাহলে পেরেছি আমি এই নিরামিষ টাকে আমিষে পরিণত করতে।
মাহিঃ আজকে বিকালে ও বাগানে দাড়িয়ে গার্ডদের কি যেনো বোঝাচ্ছিল। আমি ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। ওর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি। কথা বলার মাঝে ও আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইলো কি বলতে এসেছি আমি। আমি ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁটটা কিস এর স্টাইল করে কিস দেখালাম। এটা দেখে ও তো লজ্জা পেয়েছেই সামনের গার্ডগুলো ও লজ্জা পেয়ে মুখ চিপে হাসছিল। তারপর ও চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ওদের সাথে কথা বলা শুরু করলো। কিন্তু কথা বলতে পারছিলনা কথা বলার মাঝে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর কথা থেমে যাচ্ছিল। এটার কারণ হলো আমি তখন ওর দিকে এক নজরে তাকিয়েই আছি।at last কথা বলতে না পেরে গার্ডগুলোকে চলে যেতে বললো পরে কথা বলবে বলে।
আশফিঃ মাহি তুমি কি করছিলে ওদের সামনে?
মাহিঃ কৈ কি করছিলাম আমি তো তোমার সাথে romance করবো বলে আসলাম। তাই বলে এখানে ওদের সামনে?
মাহি তুমি ঠিক আছো তো? ওর কপালে হাত দিয়ে বললাম
মাহিঃ ধ্যাত।
আশফিঃ ও রেগে চলে গেলো।
মাহিঃ কিছুটা দূরে গিয়ে পেছনে তাকালাম,দেখলাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছে। দেখে আরো রাগ হয়ে গেলো তাই তাই হনহন করে হেঁটে বাসার ভেতর চলে আসলাম। রাতে সবাই একসাথে ডিনার করে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে এলাম। ও তখন শুয়ে পড়েছে। ও যেদিকে মুখ ঘুরে শুয়ে আছে সেদিকে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। তারপর ওর হাতটা টেনে আমার পেটের ওপর রাখলাম। ও তখন চোখ খুলে অবাক হয়ে মাথা উঁচু করে তাকালো। আমি পেছন ফেরা অবস্থাই বললাম। এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই। তারপর ও আবার মাথা বালিশে রেখে শুয়ে পড়লো। কিন্তু এটা কি হলো? ওর ভেতর একটুও রোমান্স কাজ করলোনা?
ব্যাপারটা কেমন কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে। ok. দেখছি কতক্ষন নিজেকে কনট্রোল করতে পারো। আমি বেশি ভালোবাসছি বলে তুমি আনরোমান্টিক হয়ে যাবে এটা তো হতে দেওয়া যায়না। রাত ২:০০ টা বাজে,
-আশফি? এই আশফি? একটু উঠে দেখোনা পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে মনে হচ্ছে। ঘুমাতে পারছিনা। কি হলো?? দেখোনা।
আশফিঃ হুমম (ঘুম চোখে। কি হলো এতো রাতে তোমার? কি হয়েছে পিঠে।ওভাবে পিঠ চুলকাচ্ছো কেনো?
মাহিঃ চুলকাতে পারছি কৈ? পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে একটু দেখো।
আশফিঃ হুম। দেখছি। কিন্তু কিভাবে দেখবো নাইটির ওপরে। তাহলে তো নাইটি টা খুলতে হবে।
মাহিঃ খুলতে হবে তো খোলো।
আশফিঃ কি ব্যাপার? ও এতো ইজিলি নিলো নাইটি খোলার বিষয় টা?? একটু বেশিই অদ্ভুত লাগছে ব্যাপারটা। তার মানে ও কি ইচ্ছে করে করছে শুধু আমাকে exited করার জন্য?? হ্যা, তাই হবে।
মাহিঃ কি হলো? কি ভাবছো বসে। খুলে দেখো কি ঢুকলো?
আশফিঃ হুম দেখছি। তারপর আমি একদম সোজা ওর নাইটির পেছন দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলাম ওর পিঠের মাঝে।
মাহিঃ এটা কি করলো ও? নাইটি না খুলে পেছন দিক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিল?
আশফিঃ তারপর একটা চেইন বের করে ওর সামনে ধরলাম।
– গলা থেকে চেইন টা ছিড়ে পিঠের মাঝে ঢুকেছিল। তাই বাঁধছিল।
ও আমার ওপর রাগে কটমট করছে। তারপর চেইন টা আমার হাত থেকে থাবা দিয়ে নিয়ে ঠাস করে শুয়ে পড়লো। আমার তখন প্রচুর হাসি পাচ্ছিল।হাহাহা এখন দেখো কেমন লাগে?(মনে মনে)
তারপর আমিও শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলতেই যা দেখলাম। আর একটু হলেই মাহি বলে চিৎকার দিতে যাচ্ছিলাম। তাড়াতাড়ি আমি ওর গায়ে কম্বলটা দিয়ে দিলাম। না হলে যে কেউ ঘরে ঢুকে ওর এই অবস্থা দেখে ফেলতো। কারণ কাল রাতে ও দরজা লক করে ঘুমাইনি।তারপর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে ফোনে গেম খেলছিলাম।
মাহিঃ এই? একটু দেখোনা আমার নাইটি টা কোথায়? একটু খুঁজে দাও। (চোখ বন্ধ করেই)
আশফিঃ আমি ওর ডাক শুনে ওর কাছে গিয়ে বললাম,
-এই তুমি কাল রাতে এভাবে নাইটি খুলে ঘুমিয়েছো কেনো? (অবশ্য নিচে একটা ছোটো আস্তর পরা ছিল) যদি কেউ রুমে ঢুকে দেখে ফেলতো?
মাহিঃ আরে কাল রাতে এসিটা অফ ছিল আর অন করিনি তোমার শরীরে জ্বর ছিল বলে। এদিকে গরমে পুরো অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। তাই খুলে ঘুমিয়েছিলাম।
আশফিঃ গরমে? নাকি আমাকে exited করার জন্য? কথাটা শুনে ও এবার পুরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।
মাহিঃ যে জন্যই করি তাতে তোমার কি? তুমি কি exited হয়েছো? হউনি তো? তাহলে এতো কথা বলছো কেনো? যাও আমার নাইটি টা খুঁজে দাও।
আশফিঃ আমি বিছানায় চারপাশ খুঁজলাম পেলামনা। তারপর ওর গা থেকে কম্বল টা ফেলে দিলাম। কম্বলের নিচে পরে ছিল। ওকে ধরিয়ে দিলাম। ও সেটা পরে আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে উঠে চলে গেলো। এবারও নিজের হাসিটাকে কন্ট্রোল করলাম।
মাহিঃ রুমে এসে দেখলাম ও নিচে থেকে কিছু একটা তুলতে যাচ্ছে কিন্তু ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে তুলে দিলাম।রেজার ছিল।
– তুমি কি shave করবে? দাও আমি করে দিচ্ছি।
আশফিঃ কাউকে কোনোদিন করে দিয়েছো?
মাহিঃ না। আজকেই 1st time করবো।
আশফিঃ তাহলে আর দরকার নেই। 1st time যেহেতু তাই করতে পারবেনা।
মাহিঃ 1st time তো কি হয়েছে? ট্রাই তো করেই দেখতে পারি।
আশফিঃ থাক। কোনো দরকার নেই। না হলে আমার ফেস এর ১২টা বেজে যাবে। তুমি দেখো আজকে কিভাবে করতে হয় তারপর পরে ট্রাই করো। আর আমাকে অফিস যেতে হবে। তাই দ্রুত করতে হবে।
মাহিঃ অফিস??? হ্যা অফিস তো যেতে হবে। ঠিক আছে আমিও যাবো।
আশফিঃ তুমি গিয়ে আর কি করবে। যেতে হবে না।
মাহিঃ না। আমি যাবো। তবে তোমার পি.এ. হয়ে না। তোমার এম.ডি. হয়ে যাবো। আর তুমি আমার পি.এ. হবে।
আশফিঃ আর ইউ ক্রেজি?
মাহিঃ I’m not crazy. যেটা বলছি সেটাই করবে।
আশফিঃ ok…
মাহিঃ তারপর আমরা রেডি হয়ে অফিসে চলে এলাম। সবাই আমাদের মর্নিং জানালো। কেউ কেউ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল। আমি সরাসরি ওর চেম্বারে গেলাম আশফি ও ঢুকলো।
আশফিঃ কি ম্যাডাম আপনি কি আমার চেয়ারেই বসবেন?
মাহিঃ Of course dear.
আশফিঃ ঠিক আছে বসো। আর ওখানে কিছু প্রজেক্টের ফাইল আছে ওগুলো আমাকে দাও।
মাহিঃ কেনো? ওগুলো আমি দেখবো। এখন যেহেতু আমি এম.ডি. তাই সেগুলো দেখার দায়িত্ব ও আমার। তুমি যাও আমার চেম্বারে গিয়ে আমার কাজ গুলো দেখো।
আশফিঃ আরে………..আচ্ছা ঠিক আছে। যদি আমার ল্যাপটপ টা দিতেন তাহলে একটু ভালো হতো।
মাহিঃ ওকে। নাও। তারপর ও ল্যাপটপ টা নিয়ে আমার চেম্বারে চলে গেলো। বসে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ওর চোখ যখন আমার দিকে পরলো তখন আমি ওকে চোখ মেরে দিলাম। ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে কাজ শুরু করলো। এর মধ্যে ম্যানেজার সাহেব চেম্বারে আসলো। আমাকে স্যার ভেবে কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলো আমাকে দেখে। (অবাক হয়ে)
– মাহি তুমি? না মানে ম্যাম স্যার কোথায়?
মাহিঃ আপনি মাহি বলেই ডাকবেন সমস্যা নেই। এখন বলুন কি প্রয়োজন।
– আসলে নতুন যে প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হয়েছে সেগুলো নিয়ে কিছু কথা বলার ছিল।
মাহিঃ আমাকে দেখান।
– এই যে এগুলো।
মাহিঃ ও মাই গড এই প্রজেক্টের বিষয়ে তো আমি কিছুই জানিনা। আমি তখন ছিলাম না। ওকে এখানে আসতে বলি। ফোন করে ওকে আসতে বললাম। ও চেম্বারে আসলো। ওরা দুজন সামনের চেয়ারে বসে কথা বলছিল। আর আমি শুধু ওকেই দেখছি। কথা বলা শেষ করে ম্যানেজার চলে গেলো। আশফি ও বেরিয়ে যাচ্ছিল।
মাহিঃ এই কোথায় যাও। আমি তোমাকে যেতে বলেছি?
আশফিঃ ow…sorry mam. বলুন কি প্রয়োজন?
মাহিঃ হুম। আমার কাছে এসো।তারপর ও কাছে এসে দাড়ালো।
-এই হট কফিটা খাও। এটা তোমাকে ভেবে দিয়ে গেছে।
আশফিঃ ওকে। তারপর কফিটা খেলাম।
মাহিঃ এখন তোমার হট লিপে আমাকে একটা হট কিস করো। ও নিচু হয়ে আমাকে কিস করার জন্য এগিয়ে এলো।
-উহুম এভাবে নয়। ওয়েট।
আমি চেয়ার থেকে উঠে টেবিলের ওপর পা নামিয়ে দিয়ে বসলাম। তারপর ওর স্যুট টেনে ধরে ওকে কাছে নিয়েলাম। হুম এখন করো।
আশফিঃ ওর এসব দেখে আমি সত্যিই exited হয়ে যাচ্ছিলাম।ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে কিস করছিলাম।এমন সময় মনে হলো দরজায় নক পরলো। তাড়াতাড়ি ওকে ছেড়ে দিয়ে ওকে নিচে নামালাম। কিন্তু দুজনেই অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় দাড়িয়ে ছিলাম। আমি ভেতরে আসতে বললাম তাকে। নীলা এসেছে। কিন্তু নীলা ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?
আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর ঠোঁটের চারপাশে ভিজে হয়ে আছে। আমি যে ওকে কিস করেছি সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর সে জন্যই নীলা ওভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহিঃ আরে নীলা কেমন আছো? এসো বসো।
নীলাঃ হ্যা ভালো। তুমি কেমন আছো? স্যার আপনি কেমন আছেন?
আশফিঃ হুম। খুবই ভালো। ও গড এই মেয়েটা কি বুঝতে পারছেনা ওর ঠোঁটটা ভিজে হয়ে আছে। ঠোঁটটা না মুছেই ওর সাথে বকবক করছে। কিভাবে বলি? আমি ওর একটু কাছে গিয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে ওকে আস্তে করে বললাম,
-মাহি ঠোঁটটা মুছো।
মাহিঃ কি মুছবো?(জোড়ে বলে উঠলো)
আশফিঃ তারপর ওর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে ইশারায় বোঝালাম। ও তাড়াতাড়ি করে ঠোঁট মুছলো। মেয়েটা আসলেই একটা গাধা।
নীলাঃ স্যার এই ফাইল গুলো আপনাকে দেওয়ার ছিল।
আশফিঃ হুম রেখে যাও। নীলা চলে গেলো। তারপর ওর সাথে কথা শুরু করলাম।
-তুমি কি একটুও বুঝতে পারছিলেনা? ও কি ভাবলো বলো তো?
মাহিঃ ভাবুক। হাজবেন্ড ওয়াইফ হতেই পারে। এ্যাহ নিজে যেনো কতো ভাবতো। কি হয়েছে? ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?
আশফিঃ দেখছি আমার নতুন মাহি কে।
মাহিঃ হুম দেখো ভালো করে দেখো। সামনে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবে।
আশফিঃ হুম??? তাই?
মাহিঃ হুম তাই।
আশফিঃ ওর সাথে দুষ্টুমি ফাজলামি করেই সময় কাটছিল। কখনও আমার কোলে বসে নিজেই কিস করছে আদর করে দিচ্ছে, আবার কখনো বিভিন্নরকম কথা বার্তা বলে হাসি ঠাট্টা করছে। আর আমি শুধু আমার মাহিকেই দেখছিলাম। এখন ওর হাসিটাই যেনো আমাকে সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলছে। এই হাসিটা না থাকলে আশফির জীবন টা থেমে যাবে।
-মাহি lunch এর টাইম হয়ে গেছে চলো বাইরে থেকে lunch করে আসি। আজকে তো আর lunch নিয়ে আসিনি।
মাহিঃ হ্যা ঠিক আছে চলো। আমরা lunch করার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। lunch শেষে আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ ও গাড়িতে ঘুরলো।
আশফিঃ মাহি চলো অনেক সময় হয়ে গেছে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে হবে।
মাহিঃ ওকে। চলো। তারপর অফিসে গিয়ে সব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলাম।
★সন্ধ্যার পর★
আশফিঃ আচ্ছা মামনি তুমি দেখতে এতো সুন্দর কিন্তু তোমার মেয়েটা এমন দেখতে হয়েছে কেনো?
মামনিঃ কেমন দেখতে? ও তো দেখতে আমার থেকেও সুন্দর হয়েছে একদম ওর বাবার মত। ওর বাবা তো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।
মাহিঃ মা!!! তুমি আবার ঐ লোকটার কথা বলছো? আর আমি কোনোদিও ওনার মত দেখতে না। ওনার মত নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথে আমার কোনো মিল থাকতে পারেনা।
আশফিঃ মাহি!! তুমি কার সম্পর্কে কি বলছো? উনি তোমার বাবা হন। আর তুমি এমন ধরনের ব্যবহার কবে থেকে শিখলে?
মাহিঃ আশফি তুমি জানো না ঐ লোক টার জন্য আজও আমার মা চোখের পানি ফেলছে। পুরো জীবন টা শেষ করে দিয়েছে মায়ের।
আশফিঃ চুপ করো তুমি। তুমি কতটুকু জানো তার সম্পর্কে? আমি যা জানি তুমি তার ১ ভাগ ও জানোনা।
চলবে…………
লেখিকাঃ #Isrst_Jahan
ধারণাঃ #Kashnir_Mahi
মাহিঃ আর একটু দেরি হলে এই পাগলটার ভালোবাসা, পাগলামী রোমান্স গুলো হারিয়ে ফেলতাম। তারপর আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ওর ডাকেই আমার ঘুম ভাঙ্গলো।
আশফিঃ এই তুমি এখনও এতো ঘুমাচ্ছো কি করে। যাও উঠো। আমার সেবাযত্ন করা শুরু করো। নার্স দুটোকে বিদায় করে দিয়েছি।
মাহিঃ কি??
আশফিঃ কি মানে?
মাহিঃ না না কিছুনা। অনেক ভালো করেছো। আমি থাকতে অন্য কেউ কেনো তোমার সেবা করবে? তুমি বসো আমি এক্ষণি কফি নিয়াসছি।
আশফিঃ এতো তাড়াহুড়ো করতে হবেনা। আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন,যান।
মাহিঃ হুম। ফ্রেশ হয়ে ওকে কফি দিয়ে রান্না করতে চলে গেলাম। দেখলাম মা রান্না করছে।
-মা তুমি আমাকে দাও আমি রান্না করছি।
মাঃ না তার কোনো প্রয়োজন নেই। রান্না অলরেডি শেষ। তুই ওর কাছে যা গিয়ে দেখ ওর কি লাগবে না লাগবে। ওকে গিয়ে দেখাশোনা কর।
মাহিঃ হুম যাচ্ছি। মাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে।
এখন তো আমার সবসময় শুধু ওর কাছেই থাকতে ইচ্ছা করে। আগে যার থেকে শুধু পালিয়ে বেড়াতাম। এখন তার মুখটা দেখার জন্য মনটা খালি খালি উড়ু উড়ু করে। এভাবেই সবসময় ওর কাছাকাছি থাকি। এখন আমিই ওকে দেখাশোনা করি ওর খেয়াল রাখি। আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছে ও কিন্তু মাঝে মাঝে শরীরে জ্বর আসে। আর ওর ঐ দুষ্টু মিষ্টি আদর নেওয়ার জন্য নানা রকম বাহানায় ওর কাছে যাই। একদিন সকালবেলা………..
আশফিঃ এই মেয়ে মানুষ গুলো এত পরিমাণ স্বার্থপর হয় এদের সাথে না থাকলে সেটা জানা সম্ভব হতোনা।
(নিউজপেপাড় পড়ছিল আর কথাগুলো বলছিল)
মাহিঃ তার মানে কি? তুমি কতগুলো মেয়ের সাথে থেকেছো। আর স্বার্থপরের কি দেখলে?
আশফিঃ না আমি একজন মেয়ের কথায় বলছি আর কি যে আমার সাথে থাকে।
মাহিঃ মানে কি আমি স্বার্থপর? স্বার্থপর হওয়ার মত কি করলাম আমি তোমার সাথে?
আশফিঃ স্বার্থপর ই তো। সবসময় শুধু এক এক রকম বাহানায় আমার কাছে আসো আমার আদর নেওয়ার জন্য। নিজে তো কখনও করোনা।
মাহিঃ যাহ্ ও বুঝতে পেরে গেলো!
-এই শোনো আমি যদি দুষ্টুমি শুরু করিনা তাহলে তুমি একদম অতিষ্ট হয়ে যাবে।
আশফিঃ তার জন্য আমি সর্বদাই প্রস্তুত।
মাহিঃ ঠিক বলছো তো? তাহলে ঠিক আছে, এখন থেকে আমি তাই তাই করবো যা যা তুমি আমার সাথে করতে বরং তার থেকে আরও বেশি কিছু করবো। মানে এখন থেকে তুমি অত্যাচারীত হবে।
আশফিঃ আহ্। (বুকের বাম পাশে হাত রেখে) এত বড় একটা কথা আমার heart টা নিতে পারেনি। খুব জোড়ে ধাক্কা খেলো।
মাহিঃ ইয়ারকি হচ্ছে। আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা তাইনা?
আশফিঃ মাথা নাড়িয়ে না বোধক উত্তর বোঝালো।
মাহিঃ ঠিক আছে বিশ্বাস করাচ্ছি। ওর গাল দুটো ধরে ওর ঠোঁটে কিস করে বসলাম। ও যতুটুকু সময় নিত তার থেকে বেশি সময় আমি নিলাম।
আশফিঃ ও এভাবে আমাকে চুমু দিয়ে বসবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার চোখ দুটো পুরো রসোগোল্লার মত হয়ে গেলো। ও যেভাবে কিস করছে তাতে আমার নাক টাও আটকে গেছে। এদিকে আমার শ্বাষ বন্ধ হয়ে আসছে তাও ওর ছাড়ার কোনো খবর নেই।
মাহিঃ অনেক্ষন ওকে কিস করে তারপর ছাড়লাম।
– কি? হয়েছে বিশ্বাস। ও পুরো হাপিয়ে শুথু মাথা ঝাকালো। তোমার রেকর্ড আমি ভেঙ্গে দিয়েছি।
আশফিঃ হুম। কতক্ষন করেছো?
মাহিঃ উমমমম ৭/৮ মিনিট তো হবেই।
আশফিঃ হা । my god!!
মাহিঃ হুম। এখন থেকে এগুলোর জন্য always ready থাকবে। গট ইট? তারপর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম
আশফিঃ Thank god. তাহলে পেরেছি আমি এই নিরামিষ টাকে আমিষে পরিণত করতে।
মাহিঃ আজকে বিকালে ও বাগানে দাড়িয়ে গার্ডদের কি যেনো বোঝাচ্ছিল। আমি ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। ওর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি। কথা বলার মাঝে ও আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জানতে চাইলো কি বলতে এসেছি আমি। আমি ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁটটা কিস এর স্টাইল করে কিস দেখালাম। এটা দেখে ও তো লজ্জা পেয়েছেই সামনের গার্ডগুলো ও লজ্জা পেয়ে মুখ চিপে হাসছিল। তারপর ও চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ওদের সাথে কথা বলা শুরু করলো। কিন্তু কথা বলতে পারছিলনা কথা বলার মাঝে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর কথা থেমে যাচ্ছিল। এটার কারণ হলো আমি তখন ওর দিকে এক নজরে তাকিয়েই আছি।at last কথা বলতে না পেরে গার্ডগুলোকে চলে যেতে বললো পরে কথা বলবে বলে।
আশফিঃ মাহি তুমি কি করছিলে ওদের সামনে?
মাহিঃ কৈ কি করছিলাম আমি তো তোমার সাথে romance করবো বলে আসলাম। তাই বলে এখানে ওদের সামনে?
মাহি তুমি ঠিক আছো তো? ওর কপালে হাত দিয়ে বললাম
মাহিঃ ধ্যাত।
আশফিঃ ও রেগে চলে গেলো।
মাহিঃ কিছুটা দূরে গিয়ে পেছনে তাকালাম,দেখলাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছে। দেখে আরো রাগ হয়ে গেলো তাই তাই হনহন করে হেঁটে বাসার ভেতর চলে আসলাম। রাতে সবাই একসাথে ডিনার করে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে এলাম। ও তখন শুয়ে পড়েছে। ও যেদিকে মুখ ঘুরে শুয়ে আছে সেদিকে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। তারপর ওর হাতটা টেনে আমার পেটের ওপর রাখলাম। ও তখন চোখ খুলে অবাক হয়ে মাথা উঁচু করে তাকালো। আমি পেছন ফেরা অবস্থাই বললাম। এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই। তারপর ও আবার মাথা বালিশে রেখে শুয়ে পড়লো। কিন্তু এটা কি হলো? ওর ভেতর একটুও রোমান্স কাজ করলোনা?
ব্যাপারটা কেমন কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে। ok. দেখছি কতক্ষন নিজেকে কনট্রোল করতে পারো। আমি বেশি ভালোবাসছি বলে তুমি আনরোমান্টিক হয়ে যাবে এটা তো হতে দেওয়া যায়না। রাত ২:০০ টা বাজে,
-আশফি? এই আশফি? একটু উঠে দেখোনা পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে মনে হচ্ছে। ঘুমাতে পারছিনা। কি হলো?? দেখোনা।
আশফিঃ হুমম (ঘুম চোখে। কি হলো এতো রাতে তোমার? কি হয়েছে পিঠে।ওভাবে পিঠ চুলকাচ্ছো কেনো?
মাহিঃ চুলকাতে পারছি কৈ? পিঠের মাঝে কিছু একটা বাঁধছে একটু দেখো।
আশফিঃ হুম। দেখছি। কিন্তু কিভাবে দেখবো নাইটির ওপরে। তাহলে তো নাইটি টা খুলতে হবে।
মাহিঃ খুলতে হবে তো খোলো।
আশফিঃ কি ব্যাপার? ও এতো ইজিলি নিলো নাইটি খোলার বিষয় টা?? একটু বেশিই অদ্ভুত লাগছে ব্যাপারটা। তার মানে ও কি ইচ্ছে করে করছে শুধু আমাকে exited করার জন্য?? হ্যা, তাই হবে।
মাহিঃ কি হলো? কি ভাবছো বসে। খুলে দেখো কি ঢুকলো?
আশফিঃ হুম দেখছি। তারপর আমি একদম সোজা ওর নাইটির পেছন দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলাম ওর পিঠের মাঝে।
মাহিঃ এটা কি করলো ও? নাইটি না খুলে পেছন দিক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিল?
আশফিঃ তারপর একটা চেইন বের করে ওর সামনে ধরলাম।
– গলা থেকে চেইন টা ছিড়ে পিঠের মাঝে ঢুকেছিল। তাই বাঁধছিল।
ও আমার ওপর রাগে কটমট করছে। তারপর চেইন টা আমার হাত থেকে থাবা দিয়ে নিয়ে ঠাস করে শুয়ে পড়লো। আমার তখন প্রচুর হাসি পাচ্ছিল।হাহাহা এখন দেখো কেমন লাগে?(মনে মনে)
তারপর আমিও শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলতেই যা দেখলাম। আর একটু হলেই মাহি বলে চিৎকার দিতে যাচ্ছিলাম। তাড়াতাড়ি আমি ওর গায়ে কম্বলটা দিয়ে দিলাম। না হলে যে কেউ ঘরে ঢুকে ওর এই অবস্থা দেখে ফেলতো। কারণ কাল রাতে ও দরজা লক করে ঘুমাইনি।তারপর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে ফোনে গেম খেলছিলাম।
মাহিঃ এই? একটু দেখোনা আমার নাইটি টা কোথায়? একটু খুঁজে দাও। (চোখ বন্ধ করেই)
আশফিঃ আমি ওর ডাক শুনে ওর কাছে গিয়ে বললাম,
-এই তুমি কাল রাতে এভাবে নাইটি খুলে ঘুমিয়েছো কেনো? (অবশ্য নিচে একটা ছোটো আস্তর পরা ছিল) যদি কেউ রুমে ঢুকে দেখে ফেলতো?
মাহিঃ আরে কাল রাতে এসিটা অফ ছিল আর অন করিনি তোমার শরীরে জ্বর ছিল বলে। এদিকে গরমে পুরো অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। তাই খুলে ঘুমিয়েছিলাম।
আশফিঃ গরমে? নাকি আমাকে exited করার জন্য? কথাটা শুনে ও এবার পুরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।
মাহিঃ যে জন্যই করি তাতে তোমার কি? তুমি কি exited হয়েছো? হউনি তো? তাহলে এতো কথা বলছো কেনো? যাও আমার নাইটি টা খুঁজে দাও।
আশফিঃ আমি বিছানায় চারপাশ খুঁজলাম পেলামনা। তারপর ওর গা থেকে কম্বল টা ফেলে দিলাম। কম্বলের নিচে পরে ছিল। ওকে ধরিয়ে দিলাম। ও সেটা পরে আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে উঠে চলে গেলো। এবারও নিজের হাসিটাকে কন্ট্রোল করলাম।
মাহিঃ রুমে এসে দেখলাম ও নিচে থেকে কিছু একটা তুলতে যাচ্ছে কিন্তু ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে তুলে দিলাম।রেজার ছিল।
– তুমি কি shave করবে? দাও আমি করে দিচ্ছি।
আশফিঃ কাউকে কোনোদিন করে দিয়েছো?
মাহিঃ না। আজকেই 1st time করবো।
আশফিঃ তাহলে আর দরকার নেই। 1st time যেহেতু তাই করতে পারবেনা।
মাহিঃ 1st time তো কি হয়েছে? ট্রাই তো করেই দেখতে পারি।
আশফিঃ থাক। কোনো দরকার নেই। না হলে আমার ফেস এর ১২টা বেজে যাবে। তুমি দেখো আজকে কিভাবে করতে হয় তারপর পরে ট্রাই করো। আর আমাকে অফিস যেতে হবে। তাই দ্রুত করতে হবে।
মাহিঃ অফিস??? হ্যা অফিস তো যেতে হবে। ঠিক আছে আমিও যাবো।
আশফিঃ তুমি গিয়ে আর কি করবে। যেতে হবে না।
মাহিঃ না। আমি যাবো। তবে তোমার পি.এ. হয়ে না। তোমার এম.ডি. হয়ে যাবো। আর তুমি আমার পি.এ. হবে।
আশফিঃ আর ইউ ক্রেজি?
মাহিঃ I’m not crazy. যেটা বলছি সেটাই করবে।
আশফিঃ ok…
মাহিঃ তারপর আমরা রেডি হয়ে অফিসে চলে এলাম। সবাই আমাদের মর্নিং জানালো। কেউ কেউ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল। আমি সরাসরি ওর চেম্বারে গেলাম আশফি ও ঢুকলো।
আশফিঃ কি ম্যাডাম আপনি কি আমার চেয়ারেই বসবেন?
মাহিঃ Of course dear.
আশফিঃ ঠিক আছে বসো। আর ওখানে কিছু প্রজেক্টের ফাইল আছে ওগুলো আমাকে দাও।
মাহিঃ কেনো? ওগুলো আমি দেখবো। এখন যেহেতু আমি এম.ডি. তাই সেগুলো দেখার দায়িত্ব ও আমার। তুমি যাও আমার চেম্বারে গিয়ে আমার কাজ গুলো দেখো।
আশফিঃ আরে………..আচ্ছা ঠিক আছে। যদি আমার ল্যাপটপ টা দিতেন তাহলে একটু ভালো হতো।
মাহিঃ ওকে। নাও। তারপর ও ল্যাপটপ টা নিয়ে আমার চেম্বারে চলে গেলো। বসে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ওর চোখ যখন আমার দিকে পরলো তখন আমি ওকে চোখ মেরে দিলাম। ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে কাজ শুরু করলো। এর মধ্যে ম্যানেজার সাহেব চেম্বারে আসলো। আমাকে স্যার ভেবে কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলো আমাকে দেখে। (অবাক হয়ে)
– মাহি তুমি? না মানে ম্যাম স্যার কোথায়?
মাহিঃ আপনি মাহি বলেই ডাকবেন সমস্যা নেই। এখন বলুন কি প্রয়োজন।
– আসলে নতুন যে প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হয়েছে সেগুলো নিয়ে কিছু কথা বলার ছিল।
মাহিঃ আমাকে দেখান।
– এই যে এগুলো।
মাহিঃ ও মাই গড এই প্রজেক্টের বিষয়ে তো আমি কিছুই জানিনা। আমি তখন ছিলাম না। ওকে এখানে আসতে বলি। ফোন করে ওকে আসতে বললাম। ও চেম্বারে আসলো। ওরা দুজন সামনের চেয়ারে বসে কথা বলছিল। আর আমি শুধু ওকেই দেখছি। কথা বলা শেষ করে ম্যানেজার চলে গেলো। আশফি ও বেরিয়ে যাচ্ছিল।
মাহিঃ এই কোথায় যাও। আমি তোমাকে যেতে বলেছি?
আশফিঃ ow…sorry mam. বলুন কি প্রয়োজন?
মাহিঃ হুম। আমার কাছে এসো।তারপর ও কাছে এসে দাড়ালো।
-এই হট কফিটা খাও। এটা তোমাকে ভেবে দিয়ে গেছে।
আশফিঃ ওকে। তারপর কফিটা খেলাম।
মাহিঃ এখন তোমার হট লিপে আমাকে একটা হট কিস করো। ও নিচু হয়ে আমাকে কিস করার জন্য এগিয়ে এলো।
-উহুম এভাবে নয়। ওয়েট।
আমি চেয়ার থেকে উঠে টেবিলের ওপর পা নামিয়ে দিয়ে বসলাম। তারপর ওর স্যুট টেনে ধরে ওকে কাছে নিয়েলাম। হুম এখন করো।
আশফিঃ ওর এসব দেখে আমি সত্যিই exited হয়ে যাচ্ছিলাম।ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে কিস করছিলাম।এমন সময় মনে হলো দরজায় নক পরলো। তাড়াতাড়ি ওকে ছেড়ে দিয়ে ওকে নিচে নামালাম। কিন্তু দুজনেই অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় দাড়িয়ে ছিলাম। আমি ভেতরে আসতে বললাম তাকে। নীলা এসেছে। কিন্তু নীলা ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?
আমি ওর মুখের দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর ঠোঁটের চারপাশে ভিজে হয়ে আছে। আমি যে ওকে কিস করেছি সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর সে জন্যই নীলা ওভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
মাহিঃ আরে নীলা কেমন আছো? এসো বসো।
নীলাঃ হ্যা ভালো। তুমি কেমন আছো? স্যার আপনি কেমন আছেন?
আশফিঃ হুম। খুবই ভালো। ও গড এই মেয়েটা কি বুঝতে পারছেনা ওর ঠোঁটটা ভিজে হয়ে আছে। ঠোঁটটা না মুছেই ওর সাথে বকবক করছে। কিভাবে বলি? আমি ওর একটু কাছে গিয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে ওকে আস্তে করে বললাম,
-মাহি ঠোঁটটা মুছো।
মাহিঃ কি মুছবো?(জোড়ে বলে উঠলো)
আশফিঃ তারপর ওর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে ইশারায় বোঝালাম। ও তাড়াতাড়ি করে ঠোঁট মুছলো। মেয়েটা আসলেই একটা গাধা।
নীলাঃ স্যার এই ফাইল গুলো আপনাকে দেওয়ার ছিল।
আশফিঃ হুম রেখে যাও। নীলা চলে গেলো। তারপর ওর সাথে কথা শুরু করলাম।
-তুমি কি একটুও বুঝতে পারছিলেনা? ও কি ভাবলো বলো তো?
মাহিঃ ভাবুক। হাজবেন্ড ওয়াইফ হতেই পারে। এ্যাহ নিজে যেনো কতো ভাবতো। কি হয়েছে? ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?
আশফিঃ দেখছি আমার নতুন মাহি কে।
মাহিঃ হুম দেখো ভালো করে দেখো। সামনে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবে।
আশফিঃ হুম??? তাই?
মাহিঃ হুম তাই।
আশফিঃ ওর সাথে দুষ্টুমি ফাজলামি করেই সময় কাটছিল। কখনও আমার কোলে বসে নিজেই কিস করছে আদর করে দিচ্ছে, আবার কখনো বিভিন্নরকম কথা বার্তা বলে হাসি ঠাট্টা করছে। আর আমি শুধু আমার মাহিকেই দেখছিলাম। এখন ওর হাসিটাই যেনো আমাকে সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলছে। এই হাসিটা না থাকলে আশফির জীবন টা থেমে যাবে।
-মাহি lunch এর টাইম হয়ে গেছে চলো বাইরে থেকে lunch করে আসি। আজকে তো আর lunch নিয়ে আসিনি।
মাহিঃ হ্যা ঠিক আছে চলো। আমরা lunch করার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। lunch শেষে আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ ও গাড়িতে ঘুরলো।
আশফিঃ মাহি চলো অনেক সময় হয়ে গেছে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে হবে।
মাহিঃ ওকে। চলো। তারপর অফিসে গিয়ে সব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলাম।
★সন্ধ্যার পর★
আশফিঃ আচ্ছা মামনি তুমি দেখতে এতো সুন্দর কিন্তু তোমার মেয়েটা এমন দেখতে হয়েছে কেনো?
মামনিঃ কেমন দেখতে? ও তো দেখতে আমার থেকেও সুন্দর হয়েছে একদম ওর বাবার মত। ওর বাবা তো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।
মাহিঃ মা!!! তুমি আবার ঐ লোকটার কথা বলছো? আর আমি কোনোদিও ওনার মত দেখতে না। ওনার মত নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথে আমার কোনো মিল থাকতে পারেনা।
আশফিঃ মাহি!! তুমি কার সম্পর্কে কি বলছো? উনি তোমার বাবা হন। আর তুমি এমন ধরনের ব্যবহার কবে থেকে শিখলে?
মাহিঃ আশফি তুমি জানো না ঐ লোক টার জন্য আজও আমার মা চোখের পানি ফেলছে। পুরো জীবন টা শেষ করে দিয়েছে মায়ের।
আশফিঃ চুপ করো তুমি। তুমি কতটুকু জানো তার সম্পর্কে? আমি যা জানি তুমি তার ১ ভাগ ও জানোনা।
চলবে…………