রোমান্টিক_অত্যাচার_১১লেখিকাঃ #Israt_Jahanধারনাঃ #Kashnir_Mahiমাহিঃ তারপর উনি আমাকে বললেন,আশফিঃ তুমি যদি আমাকে ভালো নাও বাসো তাও আমি তোমাকে ছাড়বোনা আর যদি আমার সাথে থাকতে না চাও তাও তোমাকে যেতে দেবোনা। ক্লিয়ার??
এখন যাও আমাকে খেতে দাও।
মাহিঃ হুম।
তার মানে উনি নিজে থেকে কখনোই আমাকে ছাড়বেনা। বুঝেছি।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি বাগানে গিয়ে হেডফোনে গান শুনছিলাম। কিন্তু বাগানে আসার আসল উদ্দেশ্য হলো ঠিক কতগুলো গার্ড আছে সেটা দেখার।
আশফিঃ ও বসে হেডফোনে গান শুনছিল আমি গিয়ে ওর এক কান থেকে একটা হেডফোন নিয়ে আমার কানে দিলাম
মাহিঃ এটা কি হলো? আমি কখনো আমার হেডফোন কারো সাথে শেয়ার করিনা।
আশফিঃ পুরো লাইফ টাই আমার সাথে শেয়ার করতে হচ্ছে। আর তো হেডফোন। আচ্ছা ঘরে চলো।
মাহিঃ কেনো?
আশফিঃ দরকার আছে।তারপর আমি ওর হাত ধরে ঘরে নিয়েলাম।
-তুমি বসো আমি তোমার কোলে মাথা রাখবো। আর বাড়তি কোনো কথা বলবেনা। তারপর ও বাদ্ধ্য মেয়ের মত সেটাই করলো।
( পরেরদিন সকালবেলা )
আশফিঃ মাহি আমার জন্য এক কাপ কফি আনো। আর তুমি খেয়ে নিও আমি পরে খেয়ে নিব অফিসে গিয়ে। অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তুমি lunch টা রেডি করে আনো।
মাহিঃ হুম। আমি রান্নাঘরে গিয়ে ওদের ( সার্ভেন্টস)ভেতর
ে একজনকে বললাম কফি দিয়ে আসতে আর আমি একটা সার্ভন্টেসের সাথে কথা বলছিলাম আর ওনার lunch গোছাচ্ছিলাম।
আশফিঃ কফি তুমি নিয়েসেছো কেনো? ম্যাম কোথায়?
-ম্যাম তো রান্নাঘরে আছে।
আমি কফির মগটা নিচে ফেলে দিলাম।
মাহিঃ মনে হলো ঘর থেকে কিছু ভাঙ্গার আওয়াজ পেলাম। আমি তাড়াতাড়ি দৌঁড়ে গেলাম। দেখলাম নিচে কফির মগ টা পড়ে আছে ভাঙ্গা অবস্থায়। আমি কিছু না বলে ওনার দিকে তাকালাম। উনি খুব রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বুঝতে পারলামনা কিছুই।সার্ভেন্টটা ভয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলো।
কিন্তু উনি এভাবে রেগে আছে কেনো?
আশফিঃ কফিটা আমি তোমাকে দিয়ে যেতে বলেছিলাম। তুমি কোন সাহসে সার্ভেন্টের হাত দিয়ে কফিটা পাঠিয়েছো??? বলো?? (চিৎকার করে)
মাহিঃ আমি তো আপনার lunch………
আশফিঃ একদম চুপ। কফিটা আনতে খুব বেশি সময় অতিবাহিত হতোনা। আমি এত বার বলার পরও তুমি আমার কথা অগ্রাহ্য করো? তুমি জানোনা এগুলো করে তুমি কতোটা ভুল করছো।
মাহিঃ বেরিয়ে গেলো lunch টা নিয়ে। বুঝতে পারিনা এইটুকু বিষয়ে এতোটা রিয়েক্ট করার কি আছে? এগুলো উনি একটু বেশিই করছে, আমি আর এসব নিতে পারছিনা। আজকে দুপুরেই যা করার করতে হবে।
দুপুরে সাভের্ন্টস গুলো একটু রেস্ট নেই।At first আমি আসিফকে ফোন দিলাম। ওর সাথে কথা বললাম নতুন কোনো চাকরির খোঁজ দেওয়ার জন্য। ও আমার সাথে দুপুরে দেখা করতে চেয়েছে। lunch এ ও ছুটি নিয়ে বের হবে। চাকরিটা হয়ে গেলেই আমি এখান থেকে অন্য কোথাও চলে যাবো। আমি আসিফকে একটা রেস্টুরেন্ট এ আসতে বললাম। এখন কথা হচ্ছে আমি বেরোতে পারবো তো? আমার তো একা বাইরে যাওয়া নিষেধ। তাও আমাকে চেষ্টা করতে হবে। দুপুরবেলা স্বাভাবিক ভাবেই বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। তখন, পেছন থেকে দুজন গার্ড ডাক দিল
– ম্যাডাম?(গার্ড)
-কে? (চমকে গিয়ে)(মাহি)
-আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আপনাকে তো একা যেতে দেওয়া নিষেধ।আমাদের বলুন আমরা আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি।
– হ্যা তেমাদের স্যার lunch নিয়ে যাইনি তো তাই আমি যাচ্ছি এক সাথে lunch করো বলে। তোমাদের যেতে হবেনা আমি একাই যেতে পারবো।
– sorry mam. আপনার একা কোথাও যাওয়ার পারমিশন নেই। আর যেতে দিলে আমাদের চাকরি থাকবেনা।
-আমি তোমাতের বলছি তাও তোমরা শুনবেনা?
-ইয়েস ম্যাম, স্যারের অর্ডার।
-আচ্ছা তোমাদের স্যারকে আমি বলবো যে তোমরা আমাকে পৌঁছে দিয়েছো।তারপর আমি তোমাদের চলে যেতে বলেছি। ঠিক আছে?? এখন হবে তো? এখন আমাকে যেতে দাও।
-কিন্তু ম্যাম
মাহিঃকোনো কিন্তু নয়। যাও তোমরা। আর আমাকে বাঁধা দিওনা।
উহহ অনেক কষ্টে ম্যানেজ করলাম। তারপর রেস্টুরেন্টে গেলাম। গিয়ে দেখলাম আসিফ আমার আগেই চলে এসেছে।তারপর ওর সাথে অনেক্ষন কথাবার্তা বলে বাসায় ফিরলাম। ফিরতে ফিরতে বিকাল হয়ে গেছে। অফিস hour শেষ কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত বাসায় আসেনি। সন্ধ্যা ৭ টা। হঠাৎ মনে হলো বাইরে ওনার গলার আওয়াজ পেলাম। কিন্তু উনি এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছে কেনো? আমি বাইরে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ঐ ২ টা গার্ডকে উনি বকাঝকা করে চাকরি থেকে বের করে দিল। আশ্চর্য!! উনি কি কিছু জানতে পেরেছে?? কিন্তু সেটা কিভাবে? উনি বাসার দিকেই আসছে আমি তাড়াতাড়ি রুমে চলে আসলাম। তারপর উনিও রুমে আসলেন। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সাংঘাতিক আকারে রেগে আছে। উনি কি কোনোভাবে আমার বিষয়টা জানতে পারলো? নাকি অন্য কোনো বিষয়ে? কিছুই তো বুঝতে পারছিনা। কিন্তু আমার বিষয়টা জানতে পারলে তো এতক্ষণে আমার অবস্থা খারাপ করে ফেলতো। ফ্রেশ হয়ে উনি রুমে সোফায় বসে আছে অনেক গম্ভীর হয়ে। ৮ টা বেজে গেছে আমি ওনাকে খেতে আসার জন্য ডাকতে এলাম। বার বার ডাকছি কিন্তু কোনো কথা বলছেনা তাই চলে আসতে গেলাম। তখন উনি আমার হাতটা ধরে টেনে এনে উঠে দাড়িয়ে আমাকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে ধরলো।
আশফিঃ তুমি আমার অনেক ধৈর্য্যরে পরীক্ষা নিয়েছো আমার। আর আজকে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ একেবারে ভেঙ্গে গেছে। তুমি ভাঙ্গতে বাদ্ধ্য করেছো।তুমি এখন কল্পনাও করতে পারবেনা আজকে আমি তোমার সাথে কি করবো। কথাগুলো বলেই ওকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। তারপর ওর কাছে এগিয়ে আসলাম আর ও পিছু সরছে।
মাহিঃ কি করতে চাইছেন আপনি? এভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন কেনো? দেখুন আমি কিন্তু এগুলোর জন্য একদম প্রস্তুত না। তারপর উনি আমার অনেক কাছে আসার চেষ্টা করছে আমি ওনাকে বাঁধা দিচ্ছি কিন্তু পারছিনা।
-প্লিজ আমার সাথে এরকম করবেন না, আমাকে ছাড়ুন। এরপর আমি শুধু কান্নাই করছি ওনাকে কোনোভাবেই আটকাতে পারিনি তাই আর বাঁধা দেওয়ার চেষ্টাও করছিনা।
আশফিঃ রাত ১:৩০ টা বাজে। ও বসে কাঁদছে। আমি কোনো কথা বলছিনা ওর সাথে। রাতে ডিনার ও করা হয়নি আমাদের। আমার খেতেও ইচ্ছে করছেনা। আর ওকে ও বলছিনা খেতে। কিন্তু ওর শারীরিক condition চিন্তা করে ওর জন্য খাবার আনতে গেলাম। ওকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য সামনে বসলাম।
-মাহি, হা করো। কি হলো? আমি তোমাকে হা করতে বলছি তো। বার বার বলছি শুনছেনা। কেঁদেই চলেছে। খাবারের প্লেট রেখে আমি উঠে গিয়ে ঘরের ভেতর ভাঙচুর শুরু করলাম।
মাহিঃ কি করছেন কি আপনি? এভাবে ভাঙচুর করছেন কেনো? থামুন। থামুন বলছি। উনি আমার কোনো কথায় শুনছেনা।
-আশফি প্লিজ থামুন।কেঁদে বললাম। তারপর উনি থামলেন।
আশফিঃ তুমি তো এটাই চাও আমি সবসময় অশান্তি করি। আমাকে শাস্তি দিতে চাও তাইনা? আর কতো? আর কতো শাস্তি পাবো আমি বলো?
কথাগুলো শুনে ও একদম চুপ করে রইলো। তারপর আমি নিজেকে কনট্রোল করে ওর কাছে গেলাম। ওর সামনে বসে চোখটা মুছে দিলাম। খাবারের প্লেট টা আবার হাতে নিয়ে ওকে খাওয়ানো শুরু করলাম। এখন ও চুপচাপ খাচ্ছে কোনো কথা বলছেনা। খাওয়ানো শেষ করে ওকে শুইয়ে দিলাম। এরপর আমি ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ও দূরে সরে ছিলো ওকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলাম তারপর ওর কপালে একটা চুমু দিলাম। কিছুক্ষণ পর ওকে কিছু কথা বললাম,
-মাহি?? তুমি কি আমাকে বোকা ভেবেছিলে?
কথাটা শুনে ও আমার মুখের দিকে তাকালো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলা শুরু করলাম।
– কি ভেবেছিলে তুমি কিছু করলে সেগুলো আমি জানতে পারবোনা? তোমার এতদিনে বোঝা উচিত ছিল আমার পাওয়ার কতটুকু। তুমি এই বাড়িতে কখন কোথায় কি করো তা আমি সবসময় দেখতে পাই। এমনকি বাইরে কোথাও গেলে সেই ইনফরমেশন ও আমি পাই। কি অবাক হচ্ছো? তাহলে শোনো বিয়ের পর দিন থেকেই তোমার বেশ কিছু বিহেভিয়ারে আমার খুব রাগ হচ্ছিল তাও নিজেকে অনেক কন্ট্রোল করে রেখেছি। সেদিন আমি সকালে অফিসে যাওয়ার আগে তোমার ঠোঁটে চুমু দিয়ে গেছিলাম। গাড়িতে বসে যখন ফোনটা হাতে নিলাম তুমি কি করছো সেটা দেখার জন্য। তখন দেখলাম তুমি ওয়াশরুমে গিয়ে ঠোঁটটা ধুয়ে ফেলছো। আর এটা তুমি একবার না বারবার করেছো যতবার আমি তোমাকে কিস করেছি। এতক্ষনে নিশ্চই বুঝতে পেরেছো এগুলো কিভাবে দেখতে পাই। হ্যা পুরো বাড়িতে সিসি ক্যামেরা ফিট করা। 2nd time রাগ হয়েছিল সেদিন পার্টিতে, কারণ তুমি আমার বারণ করা সত্তেও আসিফের সাথে কথা বলছিলে হাসাহাসি করছিলে।সেখানেও চুপ ছিলাম। 3rd time রাগ হয়েছে সকালে যখন তুমি কফিটা আনোনি। তখন নিজেকে কন্ট্রোল করার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর আজ দুপুরে যে কাজটা করেছো সেটার পর আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি যখন দেখলাম তুমি আসিফের সাথে ফোনে কথা বলছো তাও আবার আমার কাছ থেকে পালানোর জন্য তখন আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো। আর তার ওপর তোমার বাইরে একা বের হওয়া বারণ, সেগুলো জেনেও তুমি গার্ড গুলোকে সাথে নাওনি। তখন আমি অন্য দুজন বডিগার্ড পাঠালাম তোমার সিকিউরিটির জন্য তবে ওদেরকে আমি তোমার সামনে যেতে নিষেধ করেছিলাম। তারপর সন্ধ্যায় বাসায় এসে ঐ অপদার্থ দুটো গার্ডকে চাকরি থেকে বের করে দিলাম। এখন এটা বুঝতে পেরেছো তো তুমি চাইলেও আমার থেকে পালাতে পারবেনা। আর কেনো তুমি পালাতে চাও বলোতো, আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি? আচ্ছা থাক এখন আর কোনো কথা বলতে হবেনা। ঘুমোও তুমি। আর হ্যা শোনো তোমার ফোনটাও কিন্তু ট্র্যাপ করা। এটা শুনে ও আর একটু অবাক হলো।
ঘুম থেকে খুব সকাল সকাল উঠলো মাহি, উঠে গোসল করে আমার সবকিছু বলার আগেই করে দিচ্ছে কিন্তু কোনো কথা বলছেনা আমার সাথে। ও আমাকে কফি দিয়ে যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি ওকে পেছর থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর ওকে বললাম,
-মাহি I’m sorry. কালকে তোমাকে ঐভাবে টর্চার করা উচিত হয়নি আমার। আমি সত্যিই তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা। বিশ্বাস করো। আর শোনো(ওকে সামনে ঘুরিয়ে বললাম)আজকে থেকে তুমি অফিসে জয়েন করছো তবে আমার পি.এ. হয়েই। এবার এই কথা শুনে ও মুখ খুললো।
মাহিঃ কি? আপনি কি পাগল? আমি আপনার বৌ হয়ে আপনার অফিসেই আপনার পি.এ. হয়ে কাজ করবো? সবাই ভাববে কি আপনার লজ্জা লাগবেনা? আমার তো এখন ভেবেই লজ্জা লাগছে।
আশফিঃ কি আর করবো বলো এটা তুমি করতেই বাদ্ধ্য করেছো।কারণ যে কোনো সময় তুমি পালানোর চেষ্টা করতে পারো। তাই তোমাকে সবসময় আমার সাথে রাখার জন্য এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এখন যাও জলদি রেডি হয়ে নাও।
মাহিঃ এই দিনও দেখার বাকি ছিল? রেডি হয়ে ওনার সাথে অফিসে গেলাম। সবাই তো আমাকে এভাবে দেখে অবাক। সবাই কানাকানি করছে। করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসিফকে চোখে পড়লোনা। তার মানে বেচারার চাকরি গেছে। আহরে আমার জন্য ওর চাকরিটা ও গেলো। ওনার P.A. হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ সময় আমাকে ওনার চেম্বারেই কাটাতে হয়। আমার চেম্বার খালিই পড়ে থাকে। আর যখন তখন কি সব আবদার করে। যে কোনো সময় কিস করে বসে, জড়িয়ে ধরেই দুষ্টুমি শুরু করে দেই।এরকমই একদিন দুপুরে lunch এর সময় আমি ওনার খাবার রেডি করছি,
আশফিঃ মাহি? বাটম গুলো খুলো।( ফোনের দিকে তাকিয়ে)
মাহিঃ কি?
আশফিঃ তোমার শার্টের বাটম গুলো খুলো।
মাহিঃ এই আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন নাকি। এখানে আপনি কি করতে চাচ্ছেন?
আশফিঃ উফফ তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হয়না। ( উঠে দাড়িয়ে) সবসময় খালি বেশি কথা বলো। আমি ওর দিকে যত এগোচ্ছি ও ততো পিছিয়ে যাচ্ছে।
মাহিঃ আশফি প্লিজ থামুন কি করছেন কি? যে কোনো সময় কেউ চলে আসতে পারে।
আশফিঃ এখন কেউ আসবেনা। ও পিছিয়ে যাওয়ার সময় ওকে টেনে জড়িয়ে ধরে ওর শার্টের দুটো বাটম খুললাম। তারপর ওর লাল তিলটাই একটা কিস করে দিলাম। ও তখন চোখ বন্ধ করে ছিল। আমি ওর ঠোঁট জোড়াতে ও অনেক্ষন কিস করলাম। কিস করে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও তারপর চোখ খুললো। আমি তখন ওর দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম। ও খুব লজ্জা পেয়েছে। লজ্জা পেলে নাকি মেয়েদের খুব সুন্দর দেখায় আর আজকে তার প্রমাণ পেলাম।
– হয়েছে অনেক লজ্জা পেয়েছেন। এবার আসুন lunch করতে হবে। এভাবেই সময় গুলো কাটছিল ওর সাথে।
( Friday)
আশফিঃ মাহি আজকে বিকেলে চলো তোমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসি। ও তখন কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে।
– আরে তুমি এই গরম কালে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছো যে।
মাহিঃ শীত করছে খুব। তাই।
আশফিঃ তার মানে? জ্বর লেগেছে নাকি? আমি ওর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম সত্যি গা গরম জ্বর লেগে গেছে। আমি ওকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে রেস্ট নিতে বললাম।
মাহিঃ এখন একটু সুস্থ লাগছে। মাথা যন্ত্রণা টাও কমেছে। বিছানা থেকে উঠে জানালার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে বাগানটা দেখছিলাম। তারপর যা দেখলাম সেটা দেখে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো। সেদিন আমাকে যে ৩ জন তুলে নিয়ে গেছিল সেই ৩ টা ছেলে বাগানের ভেতর দিয়ে বাসার ভেতর ঢুকছে। আমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে রুমের বাইরে গেলাম। ওপরে দাড়িয়ে দেখলাম আশফি ওদের সাথে কথা বলছে।
আশফিঃ কেমন আছো তোমরা? আসলে ওকে নিয়ে এই তিন মাস খুব বিজি ছিলাম তাই তোমাদের সাথে যোগাযোগ করিনি আর তোমরা ও আমার সাথে কোনো যোগাোযোগ করোনি।
– আমরা বুঝতে পেরেছি ভাইয়া তাই আমরা কেউ আপনার সাথে যোগাোযোগ করিনি।
আশফিঃ হুম। আমি জানি তোমরা কেউ এগুলো পেশাগত ভাবে করোনা। তাও আমার জন্য কাজটা করেছিলে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
– হ্যা ভাইয়া আমরা জানি যে আপনি ওনাকে কিছু করতেন না তাই কাজটা করেছিলাম।
আশফিঃ আর তার জন্য আমি তোমাদেরকে টাকা দিয়ে ছোটো করবোনা। তোমরা তো পড়ালেখা শেষ করেছো। তাই তোমাদের জন্য আমি চাকরি ঠিক করেছি আমার কোম্পানিতে। কাল থেকেই তোমরা জয়েন করবে।
-অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক বড় উপকার করলেন আমাদের। এখন তাহলে আমরা আসি।
আশফিঃ হ্যা যাও। কথা বলা শেষ করেই পেছনে ঘুরলাম রুমে যাবো বলে। ঘুরেই দেখলাম মাহি ড্রয়িং রুমে দাড়িয়ে আমাদের সব কথা শুনেছে।
চলবে……………
(আপুরা আজকে খুব অসুস্থ জ্বর মাথা ব্যাথা তাই ধামাকা পর্বটুকু দিতে পারলামনা। আর ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.