রোমান্টিক_অত্যাচার (২) পর্ব-২৩

0
3131

রোমান্টিক_অত্যাচার (২)
পর্ব-২৩
লেখিকাঃ #Israt_Jahan
ধারনাঃ #Kashnir_Mahi

কথাটা বলেই চাচ্চু কান্না করে দিল।আশফি বলল,
-“চাচ্চু কান্না বন্ধ করো প্লিজ।আমাকে পুরো ঘটনাটা বলো?আর তার আগে বলো ও এখন ঠিক আছে তো?
-“হুম।অবজারভেশনে আছে এখনো। আজ রাতে আমি ইংল্যান্ড এসেছি।
-“ওর মত মেয়ে এটা কিভাবে করতে পারলো?
-“এখানে আসার পর অনেক কিছু জানতে পারলাম। ও একটা ছেলেকে ভালোবাসে খুব। কিন্তু ছেলেটা ওর সাথে কোনো সম্পর্কে আসতে চাইছেনা।ও তার কাছে বার বার গিয়েছে তাকে বোঝানোর জন্য।কিন্তু ঐ ছেলে ওকে বার বার ফিরিয়ে দিয়েছে।শেষবারের মত যেদিন ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ঠিক সেদিন রাতেই ও রাস্তার মাঝখানে গিয়ে গাড়ির সামনে ঝাপিয়ে পড়েছিল।আর এইসব কথাগুলো সেই ছেলেটা নিজেই আমাকে সব বলেছে।এমনকি আমি আসার আগে পর্যন্ত ঐ ছেলেটিই হসপিটালে ওর পাশে ছিল। ছেলেটাকে গালমন্দ করবো কি তার বদলে আরো ঋণী হয়ে গেলাম।
-“না না চাচ্চু।ছেলেটা এই বিষয়ে একদমই নির্দোষ।ভুলটা আমাদের আলিশাই করেছে। ওর বন্ধুত্বটাকে ও তার বেশি কিছু ভেবে বসেছিল।
-“তুই জানতি এই ব্যাপারগুলো?
-“হ্যা।আমি মাহি দুজনেই জানতাম।কিন্তু আমরা ওর থেকে কিছু সময় চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আশনূহা একটু বড় হলে আমরা সবাই মিলে দেশে যাব।তারপর ওর এই ব্যাপারটা নিয়ে দুপুরের সাথে সামনাসামনি বসে কথা বলবো।এর মাঝে এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে যার জন্য আমার আর মাহির দুজনেরই ওর সাথে কথা বলা দরকার ছিল।তাহলে ব্যাপরটা হয়তো পুরোটা ক্লিয়ার হয়ে যেতো।আর ওদের সম্পর্কটা ও তৈরি করা যেতো।
-“বুঝতে পারলাম না। তুই ঠিক কি বোঝাতে চাইছিস?
-“ফোনে এতোকিছু ক্লিয়ার করতে পারবোনা চাচ্চু।আমি কিছুদিন পরই ইংল্যান্ড আসছি।
-“আরে না তার কোনো দরকার নেই।আমি তো আছিই।আমি সব দেখে শুনে নিব।তুই এতো টেনশন নিস না।মাহি আর দাদীবু এর খেয়াল রাখিস।
-“না চাচ্চু আসাটা খুব ইম্পর্টেন্ট আলিশা আর দুপুরের জন্য।দেখি,মাহিকে নিয়েই আমি আসছি।আসার পর সব জানতে পারবে।
-“আচ্ছা কবে আসতে পারছিস আমাকে জানাস।
-“ঠিক আছে চাচ্চু।
-“হুম।রাখছি।
আশফির কথা বলা শেষ হলে মাহি আশফির সাথে কথা বলল,
-“কি হয়েছে আলিশার?কি হয়েছে ওর?
-“সুইসাইড করার চেষ্টা করেছিল।এখন একটু ভালো আছে।হসপিটালে ড: দের অভজারভেশনে আছে।
-“আলিশা কি আমাদের উপর একটু ভরসা করতে পারলো না?
-“সেই ধৈর্য টুকু নেই ওর।আমাদের কিছুদিনের ভেতর ওখানে যেতে হবে এই সমস্যার একটা সমাধান করতে।
-“হুম।
হঠাৎ করে আশফি মাহির মুখের দিকে তাকালো।আশফি মাহির দিকে তাকিয়ে আছে সেটা মাহি বুঝতে পেরে আশফিকে বলল,
-“কি হয়েছে?কি দেখছো এভাবে?
আশফি একটু হেসে দিয়ে বলল,
-“কিছুনা।মনে হচ্ছে তুমি…..
-“কি?আমি যেমন ছিলাম তেমনই আছি। এখন এখান থেকে উঠো নইলে উঠে রুমের বাইরে চলে যাবো।
-“ধুর উঠেই গেলাম।থাকলাম না তোমার কাছে।খালি সরো সরো সরো…..অসহ্য। সরেই থাকবো সারাজীবন।হুহ।
আশফি উঠে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। কিছুসময় পরই চান্দুর ঘুম ভেঙ্গে গেল।মাহি উঠে ওকে খাইয়ে আবার ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু চান্দুর তো অভ্যাস হয়ে গেছে ওর বাবার কোলে চড়ে ঘুমানোর।মাহি আশফিকে ডাকল,
-“এই?একটু উঠো।
-“কেনো?
-“কেনো আবার? দেখতে পাচ্ছো না ও ঘুমাচ্ছেনা।ওকে ঘুম পাড়িয়ে দাও।
-“আমার ঘুম আসছে।তুমি ঘুম পাড়াও।
-“আরে ভাই আমার কাছে তো ঘুমাচ্ছেনা।শুধু কাঁদছে।
আশফি মাহির কথা শুনে ঠাস করে উঠে বসে পড়লো।তারপর মাহির দিকে রেগে তাকিয়ে ওকে বলল,
-“ঐ মেয়ে তুমি আমাকে কি বললে,আবার বলো?থাপ্পর মেড়ে গাল লাল করে দিব। ভাই বলা ছুটিয়ে দিব একদম।কিছু বলছিনা শুধু তোমাকে।যখন ধরবো না,একদম ছাই দিয়ে ধরবো।
তারপর আশফি উঠে মাহির কাছে গেল।আর মাহিকে ঝাড়ি মেরে বলল,
-“দাও আমার কাছে।ফাজিল মেয়ে একটা।
মাহি চান্দুকে আশফির কোলে তুলে দিল। তারপর মনে মনে বলল,
-“ভালো একটা জিনিস তো ওকে রাগানোর! ভাই বললে মেজাজ ৪৪০ ভোল্টে নেমে আসে। যাক কাজে তো দিয়েছে।পায়ে ধরেও এখন ওকে উঠানো যেতোনা।
মাহি গিয়ে নিচে ওর বিছানায় শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পর আশফি ওর মেয়েকে এসে শুইয়ে দিল,ঘুমিয়ে পড়েছে।আশফি দেখলো মাহি এইটুকু সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে।মাহির সামনে বসে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ও ভাবছে,
-“কতগুলো দিন পর মেয়েটা শান্তির ঘুম দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও যাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হতো।এই ক’দিনেই সে নিজে নিজে ঘুমানোর অভ্যাস করে ফেলেছে।হয়তো এতোগুলো রাত ও ঘুমাতেও পারেনি ঠিক আমার মতই।সারা রাত আমাদের কথা ভেবে শুধু কেঁদেছে। আর এখন ও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে কারণ আমরা এখন ওর কাছে আছি। থাক আজকের রাতটা একটু শান্তিতেই ঘুমাক। কাল থেকে না হয় প্রেমটা শুরু করবো।
আশফি মাহির কাছে গিয়ে ওকে খুব আস্তে করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।মাহিও বুঝতে পারলোনা যে ও কারো বুকের মধ্যে আছে। আরো গুটিসুটি মেড়ে আশফির বুকের মাঝে এগিয়ে এলো।আশফি মাহির দিকে তাকিয়ে একটু হেসে দিল।তারপর ওর কপালে একটা চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।সকালে মাহির যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন আশফিকে এভাবে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে কিছু না ভেবেই আশফিকে খুব বড় সড় একটা চিমটি কাটলো। আশফি তখন ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করে উঠলো।
-“উহহহহহ…..মাহি?এভাবে ঘুমের মধ্যে চিমটি কাটার মানে কি?
-“তুমি আমার কাছে এসে ঘুমিয়েছো কেনো?
-“তাতে কার বাপের কি?হ্যা?তার জন্য কি চিমটি কাটতে হবে।দেখেছো,কিভাবে চিমটি কেটেছো?পুরো জায়গাটাতে রক্ত জমে লাল হয়ে গেছে।
-“একদম ঠিক হয়েছে।এরপর থেকে আমার ধারের কাছে আসার চেষ্টা করলে এমন করেই চিমটি কাটবো।
-“তোমাকে আর সেই সুযোগ দিলে তো। দাড়াও তোমাকে একটা শিক্ষা না দিলেই হচ্ছেনা।
আশফি উঠে গিয়ে চারপাশে তারপর আলমারীতে কি যেনো খুঁজছে।মাহি এভাবে ওর খোঁজা দেখে ভাবছে,
-“কি খুঁজছে ও। কি করতে চাইছে?
তারপর আশফি কাপড়-চোপড়ের আলমারী থেকে ওর কিছু টাই বের করে নিয়েলো। টাইগুলো দেখে মাহি খুব ভালোভাবে বুঝেছে আশফি এখন ওর সাথে কি করবে।আশফি ওর কাছে আসার আগে মাহি উঠে দৌড়ে পালাতে গেল।মাহি পালিয়ে যাওয়ার আগে আশফি গিয়ে ওকে ধরে ফেলল।তারপর ওকে বলল,
-“এখন পালানো হচ্ছে কেনো?সকাল সকাল আমার ঘুমকে তেজপাতা করেছো।রাতেও আমাকে ঠিকমত কাছে আসতে দাওনি।এখন সবগুলোর হিসবা সুদে আসলে মিটিয়ে নিব।
-“এই আমাকে ছাড়ো বলছি।অসভ্য,লুচ্চা ছেলে একটা।দিন নেই রাত নেই খালি……
-“কি হলো থেমে গেলে কেনো?তুমি এসেছো পর্যন্ত আমি তোমার সাথে কি লুচ্চামি করেছি? তারপরেও আমাকে লুচ্চা নামে অভিহিত করলে।তাহলে সেই নামের মান মর্যাদাটা আমার রাখা উচিত।চলো আজকে তোমাকে লুচ্চামির চেহারাটা দেখাই।ভালো ছিলাম তো পছন্দ হলো না।
তারপর আশফি মাহিকে বিছানার উপর ফেলে দিয়ে ওর হাত পা টাই দিয়ে বাঁধতে শুরু করলো।আর মাহি বোয়ালমাছ এর মত ছাটাছাটি করছিল।আশফির বাঁধা শেষ হলে মাহিকে বলল,
-“এভাবে মেয়েদের হাত পা বাঁধে কারা জানো?
হুম,বুঝতে পেরেছো নিশ্চই।কিন্তু আমি ভাবছি তুমি তো আমার বউ,তোমার সাথে কি আমার এমর করা উচিত?হ্যা,উচিত।যর বউ সবসময় তার স্বামীকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাই তার সাথে এমনই করা উচিত।
-“এটা কিন্তু বেশি বারাবারি করে ফেলছো তুমি।
-“বউ এর সাথে সবই করা যায়।ওটা ব্যাপার না।
আশফি মাহির খুব কাছে এসে ওকে বলল,
-“আজ ১৭ টা দিন চলে আমি আমার বউ এর ভালোবাসা পাইনা,বউকে ভালোবাসতে পারিনি।আর এখন এতোগুলো দিন পর তোমাকে কাছে পেয়ে তোমার থেকে কিভাবে আর কতখন দূরে সরে থাকতে পারি?
মাহি আশফির কথার কোনো জবাব দিলনা। শুধু দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।আশফি মাহির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,
-“প্লিজ ফরগিভ মি,ডিয়ার।আমার শরীরের প্রতিটা জায়গায় শুধু তোমার ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।সেই তুমি আমার থেকে দূরে দূরে থাকলে আমার শরীরের প্রতিটা অংশ যে ভালোবাসাহীনতায় ভুগে অকেজো হয়ে যাবে।
মাহি চোখটা বন্ধ করে শুধু কথাগুলো শুনছিল। আশফি চুপ করে গেলো।তারপর আশফি মাহির কানে আলতো করে চুমু খেতে লাগলো। আর মাহি আশফির এমন ছোঁয়া পেয়ে যেন ওর পুরো শরীরের লোমগুলো দাড়িয়ে গেলো।ওর পুরো শরীরে কম্পনের সৃষ্টি হলো মনে হচ্ছে।আর এদিকে আশফিও বেঘোরে মাহিকে ভালোবেসে যাচ্ছে।এর মাঝে হঠাৎ করেই চান্দুর ঘুম ভেঙ্গে গেল।কেঁদে উঠেছে ও।কান্নার শব্দটা শুনে মাহি ও ঘোর থেকে বেরিয়ে এলো। কিন্তু আশফি এতোটাই মাহিকে ভালোবাসতে ব্যস্ত ছিল যে ও বুঝতে পারেনি চান্দু কাঁদছে। মাহি চান্দুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে আশফিকে বলল,
-“আশফি ছাড়ো আমাকে,আশনূহা উঠে পড়েছে।
কিন্তু আশফির তো মাহির কোনো কথায় কানে আসছেনা।আশফি তখনও মাহির সারা গলাতে চুমু খেয়ে যাচ্ছিল।এবার মাহি একটু জোড়েই বলল,
-“আশফি প্লিজ ছাড়ো। আশনূহা কাঁদছে তো।
আশফি এখন মাহির কথা শুনতে পেয়ে মাহির মুখের দিকে তাকালো।মাহি আবার আস্তে করে বলল,
-“আশনূহার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। ও কাঁদছে।
আশফি পিছু ফিরে তাকালো চান্দুর দোলনার দিকে। তারপর মাহির দিকে আবার ফিরে তাকালো।মাহিকে কিছু না বলে আশফি মাহির কপালে আর ওর ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেলো।তারপর মাহির হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে মাহিকে বলল,
-“এই যাত্রায় তো মেয়েটার জন্য রেহায় পেলে। সবসময় তো আর আমার চান্দু কেঁদে উঠবেনা। তখন আর আটকানোর মত কেউ থাকবেনা।
মাহি আশফির কথার প্রতিউত্তরে শুধু ওর রাগী মুখের চেহারাটা দেখালো। দুজনের ছোট বড় খুনসুটি,কথাবার্তা কিছু কাজকর্মের মাঝে সকালটা কেটে গেল।অফিসের সময় হয়ে গেছে।আশফি ভাবছে,
-“মাহি কি অফিস যাবে?নাকি বাড়ি ফিরে এসেছে বলে অফিস ছেড়ে দিবে?রেডি হতেও তো দেখছিনা।যাই হোক,দেখতে থাকি কি করে ও।ও অফিস গেলে তো আমি অফিস যাবোই আর না গেলে আজকের মত অফিসটা বন্ধ দিব।
১০ মিনিট পরই মাহি অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিল।আশফি মাহিকে রেডি হতে দেখে ওউ রেডি হতে শুরু করলো।মাহি তখন আশফির দিকে তাকিয়ে ছিল।আশফি মাহিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওকে বলল,
-“কি দেখছো?চুমু টুমু দিবে নাকি?
-“ধুরর।
-“কি হলো?ধুর করলে কেনো?
-“গোসল না করেই অফিস যাওয়া হচ্ছে?
-“ওহ্ শিট……আমি তো গোসল করতেই ভুলে গেছি।আচ্ছা তুমি আর দশটা মিনিট ওয়েট করো আমি ঝটপট গোসল সেড়ে আসছি।
-“মানে কি?আমি কারো জন্য কোনো ওয়েট করতে পারবোনা।যার যার পানচুয়ালিটি তার তার কাছে।
আশফি মাহির দিকে এমনভাবে তেড়ে আসলো যে ভয় পেয়ে দেওয়ালের সাথে মিশে গেলো।তখন আশফি মাহি একরকম শাসিয়ে বলল,
-“আমি যদি বাথরুম থেকে বেরিয়ে তোমাকে না দেখি তো আশফি আজকে ইতিহাস গড়ে তুলবে।হুম….
কথা শেষ করে আশফি বাথরুমে চলে গেল। আর মাহি তখন রাগে গজগজ করতে থাকলো।আস্তে আস্তে বলল,
-“হুহ।ইতিহাস মনে হচ্ছে শুধু আশফি চৌধুরী গড়তে পারে?মাহি চৌধুরী পারেনা বুঝি? সবসময় খালি আমাকে হুকুমের উপর রাখা, তাইনা?মানবোনা তোমার হুকুম,যাও।
মাহি যেতে গিয়ে আবার থেমে গেলো।আবার ভাবছে,
-“নাহ্।কাজটা ঠিক হবেনা। আমি ওর সাথে যতই রাগারাগি করি কিন্তু কখনো ওর কথার অবাধ্য হইনি।আর হওয়াটা ও ঠিক না। কিন্তু ওকে তো এতো সহজেই কাছে আসতে দেওয়া যাবেনা।কষ্ট করেই আমার কাছে আসার চেষ্টা করুক।ও বুঝুক কাছে আসতে না পারাটা কতখানি কষ্টের, আমি কতোটা কষ্টে ছিলাম।
মাহি চান্দু আর সাথে গভরনেস কে নিয়ে আশফিকে রেখেই অফিসে চলে গেলো। আর আশফি বাথরুম থেকে বেরিয়ে মাহিকে সারা বাড়িতে চিৎকার করে ডাকতে থাকলো।যখন জানতে পারলো মাহি বেরিয়ে গেছে তখন আশফি রেগে পুরো আগুন।একা একাই বলতে থাকলো,
-“চান্দুর মা!আজকে আমি তোমাকে পুরো মাংসের কিমা বানিয়ে খাবো।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে