রোমান্টিক_অত্যাচার (২)
পর্ব-২১
লেখিকাঃ #Israt_Jahan
ধারনাঃ #Kashnir_Mahi
আশফি মাহির কোনো বাঁধা নিষেধ না শুনে মাহির কাছে এগিয়ে গেলো।ও জোড় করে হলেও মাহির মুখ আর গাল থেকে খাবারগুলো চেটে খাবেই।কিন্তু মাহি আশফিকে ওর কাছে আসতে দিবেনা।তাই ও ওর কাছ থেকে আশফিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।আর আশফি তখন মাহির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে রইলো।মাহি বলল,
-“এগুলো তুমি আমার সাথে কেনো করছো? তোমার সাথে আমার কি সম্পর্ক এখন? কিসের জোড়ে তুমি আমার কাছে আসতে চাও বলো?আমি এখন মি.আশফি চৌধুরীর খাই ও না পড়িও না এখন আমি তার কাছেই থাকিনা। গত ১৬ টা দিন সে আমার সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।এমনকি আমার নিজের মেয়েকে ও সে আমার থেকে দূরে রেখেছে।একরকম ভাঙ্গা সম্পর্কই বলা চলে এটাকে।তাহলে সেখানে তুমি কোন অধিকারবোধ নিয়ে আমার কাছে আসতে চাও?
আশফি মাহির কথা গুলো শুনে একদম থমকে গেলো।বলার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছেনা ও।শুধু তাকিয়ে আছে মাহির চোখের দিকে।আর কানে বাজছে মাহির ঝাঝালো কন্ঠ সুর,মাহির জটিল বাক্য গুলো।মাহি প্রশ্নের উত্তরগুলো আশফি দিতে পারছেনা এ কারণেই, মাহির বলা কথাগুলো পুরোপুরি যুক্তিসংগত আর তা সত্য।মাহি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে ছিল আশফির উত্তরের আশায়।উত্তরগুলো না পেয়ে মাহি চলে গেল আশফির চেম্বার থেকে।আশফি ও আর মাহিকে আটকালো না।চুপচাপ বসে কিছু ভাবতে থাকলো আশফি।কি ভাবছে তা শুধু ও নিজেই জানে।অফিস টাইম ওভার হওয়ার পর আশফি আর এক সেকেন্ড টাইম ও দেরী করলোনা বাসায় ফিরতে।মাহির কোল থেকে আশনূহাকে নিয়ে চলে গেল বাসার উদ্দেশ্যে। মাহি তাকিয়ে রইলো আশফির চলে যাওয়ার দিকে।আর ভাবতে থাকলো,
-“আমার আশফিটার মাঝে কতোটা পরিবর্তন এসেছে।আগে যে আশফি মাহিকে ছেড়ে একা থাকার কথা শুনলে নিজের মৃত্যু হয়ে যাওয়ার কথা ভাবতো।আর এখন সেই আশফি কতো দিব্বি আছে একা একা।এখন আর মাহির কথা মনে পড়েনা হয়তো।সন্তানটা নিজের রক্তের পরিচয় বহন করে বলে সন্তানের উপর অনেক টান।কিন্তু আমি তো তা নই।একটা পাতানো সম্পর্ক আমাদের।পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা এভাবে সৃষ্টি হয় বলে একজন পুরুষ পারে দ্বিতীয় কোনো নারীকে গ্রহণ করতে আর একজন নারী পারে দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে গ্রহণ করতে।যাই হোক,ও ভালো থাকতে পারলে আমার সমস্যাটা কোথায়?আমি কোনো ওর ভালো থাকার মাঝে বাঁধা দিব? কোনো প্রয়োজন নেই ওর কাছে নিজের দাবি চাওয়ার।
-“রাত ৯ টা বাজে।আধা ঘণ্টা আগে সেক্রেটারিকে ফোন করেছি।তখন ও মাহি অফিসে।এতো সময় ও কিভাবে দিতে পারে অফিসে?বোরিং হয়না নাকি?তবে ভালোই আমার আর অফিসের দায়িত্ব না নিলেও চলে। ওর হাতে অফিসের দায়িত্ব তুলে দিয়ে আমি আমাদের মেয়েকে সামলাবো সারাদিন আর ও অফিস সামলাবে সারাদিন।কিন্তু নাহ্…… অফিসটা ছেড়ে দিলে ওর সাথে অফিসিয়াল রোমান্সটা হবে কিভাবে?যা রাগ পুষে রেখেছে মনের ভেতর,তাতে কতদিন সময় লাগবে সেই রাগ ভাঙ্গাতে তা শুধু উপরওয়ালা জানে। রাগটা তো আর তার বরের থেকে কম না।
আধা ঘণ্টা পর মাহি অফিস থেকে বেরিয়ে গেল।বাসায় যাবে কিন্তু কোনো ট্যাক্সি খালি পাচ্ছেনা।বাইপাসের রোড ধরে হাঁটতে শুরু করলো মাহি।হঠাৎ করে ওর মনে হল কেউ ওর পিছু পিছু হাঁটছে।পিছু ঘুরে তাকাতে দেখতে পেল কয়েকটা ছেলেকে।কিন্তু দেখে মনে হলোনা এরা ওকে ফলো করছে।মাহি এটা ওর ভুল ধারণা ভেবে আবার হাঁটতে শুরু করলো। অনেকক্ষণ হাঁটার পর একটা ফাঁকার রাস্তাতে চলে এলো।হঠাৎ সামনে আশফি এসে মাহির পথ আটকে দাড়ালো।মাহি আশফিকে দেখে কিছু না বলে ওকে সাইড করে চলে আসছিল। আশফি মাহির হাত টেনে ধরলো তারপর ওকে বলল,
-“বাসায় চলো।
মাহি কোনো কথার উত্তর দিল না।আশফির হাত ছাড়িয়ে মাহি আবার হাঁটতে শুরু করলো। আশফি ওকে আটকিয়ে আবার বলল,
-“মাহি,প্লিজ বাসায় ফিরে চলো।অনেক হয়েছে।এবার এই নোংরা কাহিনীগুলো শেষ করতে হবে আমাদের দুজনের।তুমি তো জানো আমরা কেউই কাউকে ছাড়া বেশিদিন দূরে থাকতে পারবোনা।মাঝখানে মান অভিমানের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
-“তুমি এই মিথ্যা নাটক গুলো না করলেও পারো।তুমি বেশ পারবে আমাকে ছাড়া থাকতে অলমোস্ট থাকছো ও।
-“আচ্ছা তোমার যা বলার বাসায় ফিরে বলো আমাকে।এখন এখানে সিনক্রিয়েট না করাই ভালো।
-“একদম তাই।সিনক্রিয়েট করাটা আমার ও অপছন্দ।তাই আমাকে আমার বাসায় যেতে দাও আর তুমিও তোমার বাসায় ফিরে যাও। শুধু শুধু এই অসম্ভব বিষয়গুলো নিয়ে সিনক্রিয়েট টা না করাই ভালো।
-“অসম্ভব?কোনটা অসম্ভব বিষয়?ওকে ফাইন, আমি তো বলছি আমাদের মাঝে যা হয়েছে তার মধ্যে আমার যা যা ভুল আছে সেগুলো তুমি আমাকে বলো এন্ড তার জন্য আমাকে শাস্তি দিও কিন্তু সেটা বাসায় ফিরে।চলো,
অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে।এখানে থাকাটা সেফলি হবেনা।
-“এই তুমি যাওনা।তোমাকে কি আমি ধরে রেখেছি? আমাকে আমার গন্তব্যে যেতে দাও দয়া করে।আর আমার পিছু নেওয়াটা বন্ধ করো।এভাবে রাস্তা ঘাটে অন্য কোনো মেয়েকে ডিসট্রাব করাটা তোমার শোভা পায়না।সো প্লিজ লিভ মাই ওয়ে এন্ড লেট মি গো।
কথাগুলো শেষ করে মাহি উল্টো পথে চলে আসছিল।তখন আশফি দ্রুত মাহির কাছে গিয়ে মাহিকে ধরে ওর কাঁধে তুলে নিল।আর তখন মাহি আশফিকে বিভিন্নরকম বকাবকি করছিল কাঁধ থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। আশফি সেইসব কথার কোনো গুরুত্ব না দিয়ে মাহিকে সোজা গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিয়ে সিটবেল্টটা লাগিয়ে দিল।তারপর আশফি ও ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে ড্রাইভ শুরু করলো।আর সারা রাস্তা মাহি আশফিকে রাগারাগি,বকাছকা করতে করতে বাসায় আসলো।বাসার সামনে এসে আশফি গাড়ি থামালো।
-“ওহ্ আজ আমার বাড়িটা ধন্য হয়ে গেল। নেমে আসুন মহারাণী।আপনাকে অভিনন্দন করার জন্য রাজমহলের দাসীগণ ফুল আর বরণডালা হাতে দাড়িয়ে আছে।
মাহি গাড়ির ভেতর বসেই দেখতে পাচ্ছে পুরো বাড়ি সাদা রঙের আলোকসজ্জায় সজ্জিত আর বাসার সামনে সার্ভেন্ট গুলো হাতে বরণডালা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।মাহি মনে মনে বলছে,
-“এতোগুলো দিন যে বউ এর খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি সেই বউকে ঘরে তোলার জন্য কত্ত রং ঢং….হুহ।
-“কি হলো মহারাণী?আপনি আজকে গাড়ি থেকে নামবেন না ঠিক করেছেন?আচ্ছা আচ্ছা থাক আপনাকে কষ্ট করে নামতে হচ্ছেনা। আমিই আপনাকে কোলে তুলে নামিয়ে আনছি।
-“এই আমার ধারের কাছেও আসবেনা বলে দিলাম।আমি ঢুকবোনা তোমার বাসায়।
কিন্তু আশফি মাহির কোনো কথাই কানে নিল না।গাড়ির ভেতর থেকে মাহিকে নামিয়ে কোলে তুলে নিল।তখন মাহি আশফিকে বলল,
-“এতো নির্লজ্জ কেনো তুমি?
মাহির কথা শুনে আশফি জাস্ট কয়েক সেকেন্ডের জন্য ওর দিকে তাকিয়ে থাকলো কিন্তু কিছু বললোনা।মাহি আবার বলল,
-“এতো ভাব কোথা থেকে শিখ তুমি?এভাবে সবার সামনে কোলে করে নিয়ে দাড়িয়ে আছো লজ্জা লাগছেনা তোমার?
-“একটু ওয়েট করো।বাসার ভেতর ঢুকি তারপর তোমার সব কথার উত্তর মুখে নয় প্র্যাকটিক্যালে দিব।
-“কি?
আশফি আর মাহির সাথে কোনো কথা বললোনা।সার্ভেন্টগুলোকে আগে থেকে আশফি শিখিয়ে দিয়েছিল কি করতে হবে ওদের।আশফির শিখানো মোতাবেক ওরা আশফি আর মাহিকে বরণ করলে।তখনও মাহি আশফির কোলেই ছিল।আশফি বাসার ভেতর ঢুকে মাহিকে কোলে করেই বেডরুমে নিয়ে গেল।
-“উহ্…… কি ভারী হয়ে গেছো তুমি জাস্ট এ কয়দিনেই।আমার কাছে না থাকলে তুমি একদম কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাও।
আশফি মাহিকে বিছানায় বসিয়ে দিল।আর মাহির আশফির কথাগুলো শুনে রাগে ফুলকে থাকলো।এই কয়দিনে মাহির ওয়েট বাড়ার কথা তো দূরে থাক এই ১৬ দিনে হয়তো ১৬ কেজি ওয়েট লস হয়ে গেছে ওর।মাহি আশফির কথার উত্তর না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে গেল।আশফি মাহিকে ধরে ফেলল তারপর ওকে বলল,
-“আরে কোথায় যাচ্ছো? আগে আমার সাথে তোমার হিসাব নিকাশ মিটিয়ে নাও।বাইরে থাকতে কি কি যেন বললে?আমি এতো নির্লজ্জ কেনো,তাইনা?আর তুমি অন্য কোনো মেয়ে? অফিসে থাকতেও কি যেন বলেছিলে?তোমার সাথে আমার কি সম্পর্ক, কিসের জোড়ে আমি তোমার কাছে আসতে চাই ইটিসি ইটিসি….তো এগুলোর উত্তর তোমার চাইনা?
-“তোমার থেকে আমার কোনো উত্তর চাওয়ার নেই।কোনো কিছু শোনারও নেই।আমি জাস্ট এখানে থাকতে চাইনা।
-“আমার থেকে তোমার কোনোকিছু শোনার নাই থাকতে পারে কিন্তু তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো তোমাকে শুনতেই হবে।আর এখান থেকে তুমি কোথায় যাবে আর কিভাবে যাবে? যদি আমি না ছাড়ি তোমাকে?যেতে পারবে তুমি?হুম?
হঠাৎ করে আশফি ড্রেস চেঞ্জ করতে শুরু করলো।শার্ট খুলে ফেললো আশফি মাহির সামনে।আর সেটা দেখে মাহি বলল,
-“কি হয়েছে তুমি এভাবে জামা প্যান্ট খুলছো কেনো?
-“আরে এতো ভয় পাচ্ছো কেনো?এতো জলদি কিছু করছিনা।পুরো ঘেমে গেছি ওতোগুলো সিড়ি ভেঙ্গে তোমাকে নিয়ে আসতে গিয়ে।
এখন তোমাকে নিয়ে অনেক সুন্দর করে একটা গোসল দিব। তারপর এসে তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো দিব।
-“আমি তোমার সাথে গোসল দিবনা।
-“একা একা করবে?
-“না।আমি গোসল ই করবোনা।
-“না না….গোসল তো করতেই হবে। সারাদিন অফিস করেছো।গোসল না করলে হয়? চলো আমিই তোমাকে করিয়ে দিচ্ছি।
-“থাক….কোনো প্রয়োজন নেই।আমি নিজেই করতে পারবো।
-“ঠিকআছে।তাহলে তুমি আগে করো গিয়ে। যাও।
-“না।তুমি চেঞ্জ করে ফেলেছো তুমি করো আগে। আমি পরে করছি।
-“আর সেই সুযোগে তুমি অন্য রুমে গিয়ে দরজা আটকে বসে থাকবে।কি সুন্দর… না? যদি এমন কিছু করো ও তাহলে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকবো।গতকাল রাতের মত ফিরে চলে আসবোনা।নেহাৎ অন্যের বাড়ি ছিল ওটা।না হলে কাল তোমাকে যে কি করতাম!বউ বলে স্যাক্রিফাইজ করতাম না।যাই হোক এগুলো খুলে চেঞ্জ করে নাও।পাঁচ মিনিট সময় দিলাম।ওদিকে(বাথরুম) কোথায় যাচ্ছ?আমার সামনেই চেঞ্জ করবে।
-“ধুরর….।
মাহি আশফির সামনে চেঞ্জ করে মুখটা ব্যাঙের মত করে ফুলিয়ে বসে আছে।আর আশফি ওর দিকে কিছুটা হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে।হাসিটা অবশ্য সরাসরি দেখা যাচ্ছেনা।তবে ওর মুখের মাঝে হাসিটা লুকিয়ে আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে মাহি বলল,
-“ওভাবে লম্পটদের মত করে তাকিয়ে আছো কেনো?জীবনে কোনোদিন এভাবে দেখোনি আমাকে?
-“অনেকদিন পর দেখছি তো তাই।
-“একটা কথা শুনো।তুমি এই ব্যাপারগুলোকে যতটা ইজিলি দেখছোনা?ওতোটা ইজি হবেনা।কারণ ইজি হওয়ার মত ব্যাপার আমার সাথে ঘটেনি।
মাহি আশফির উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা না করে কথাগুলো শেষ করে বাথরুমে ঢুকে গেল। তখন আশফি মনে মনে বলল,
-“আমি জানি,আমাদের মাঝে যা ঘটেছে আর আমি তোমার সাথে যা ব্যবহার করেছি তারপর তোমাকে ইজি করা খুব সহজ ব্যাপার নয়।কিন্তু যে মাহিকে আমি একবার নিজের করে ফেলেছি তাকে কখনো কোনো উপায়ে দূরে সরে যেতে দিবনা।এবং খুব জলদি তোমাকে আমার আগের মাহি করে নিব।
১৫ মিনিট পর মাহি বাথরুমের দরজা খুললো কিন্তু পুরোটা না।ও এটা দেখার চেষ্টা করছে আশফি ঘরে আছে কিনা।কারণ মাহি টাওয়ালটা নিতে ভুলে গেছে। এখন ও ভেজা অবস্থাতে কিভাবে বাথরুম থেকে রুমে আসবে সেটা ভাবছে।আশফিকে না পেয়ে মাহি রুমে চলে আসলো টাওয়াল নিতে।তখন আশফি ও রুমে চলে এসেছে।ওকে এভাবে দেখে আশফি বলল,
-“ডিয়ার তুমি ভেজা শরীরে রুমে ঢুকেছো কেনো?ফ্লোর তো ভিজে যাচ্ছে।
-“আরে ভাই ইচ্ছা করে ঢুকেছি নাকি? টাওয়ালটা নিতে ভুলে গেছি।ওটা নিতে…….
-“কি বললে তুমি?
-“কি বললাম?
-“আমি তোমার কোন জন্মমের ভাই হই? হ্যা?
-“ও….এখন তো আপনার আর আমার মাঝে এমন ধরনের সম্বোধন থাকা উচিত।
-“হোয়াট?এটা কোন ধরনের ফাজলামি?
-“ফাজলামি না রে ভাই আমি সত্যিই বলেছি।
-“আবারও ভাই?পাঁজি মেয়ে….. দাড়াও।
আশফির হাতে ফোন ছিল ওটা বিছানার উপর চেলে রেখে মাহিকে ধরার জন্য ওর দিকে ছুটে গেল।মাহি বাথরুমের দরজার সামনেই ছিল ও খুব দ্রুত বাথরুমে ঢুকে গেল।আশফি দরজার সামনে দাড়িয়ে বলল,
-“বাথরুম থেকে বের হবেনা না আপুমণি? শুধু বের হোন তারপর আমার আর আপনার ভাইবোন হওয়ার সম্পর্কটা সেলিব্রেট করবো। ফাজিল মেয়ে!
কিছুক্ষণ পর মাহি শরীরে টাওয়াল পেঁচিয়ে বের হলো।তখন আশফি রুমে ছিলনা কিন্তু রুমের দরজা খোলা ছিল।মাহি ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য রুমের দরজাটা যেইনা আটকাতে গেল তখনই আশফি রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লো।মাহিকে টাওয়াল পেঁচানো অবস্থা দেখে আশফি সেখানেই থেমে গেল।মাহির দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে থেকেই আশফি পিছনে হাত দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিল।মাহিকে এমন রূপে দেখে আশফির শরীরে যেনো শিহরণ জেগে উঠলো।কোনো কিছু না বলেই মাহিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় চলে গেল।
চলবে…….