রুপালি মেঘের খামে পর্ব-৩১

0
633

#রুপালি_মেঘের_খামে
লিখা- Sidratul Muntaz

৩১.
তন্বি বেশ কিছুদিন ধরে ভার্সিটি আসছে না। তবে আজ এসেছে তাও লেইট করে। সে ঘড়ির দিকে তাকাল। বিশ মিনিট পার হয়েছে৷ এখনও স্যার আসেননি। এই একটি ক্লাস করার জন্য বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী এক্সাইটেড হয়ে থাকে। বিশেষ করে মেয়েরা। তন্বিও তাদের মধ্যে একজন।

অদ্রি বলল,” ক্যান্টিনে যাই, চল। প্রিন্স চার্মিং মনে হয় আজ আসবে না। তুই শুধু উনার ক্লাস করার জন্যই এসেছিলি তাই না?”

তন্বি মাথা নিচু করে উদাস গলায় বলল,” আমি কি করব বলতো? কিছুতেই ভুলতে পারছি না ব্যাপারটা।”

” কোন ব্যাপার? ফাইজান স্যার বিবাহিত?”

তন্বি মাথা নাড়ল। চোখে জল চিকচিক করে উঠল। অদ্রি বলল,” আহা, এই সামান্য একটা ব্যাপার তুই এতো সিরিয়াসলি কেন নিচ্ছিস?”

” এটা সামান্য ব্যাপার কিভাবে হয় অদ্রি? এই একটা ফ্যাক্ট আমার পুরো জীবন বদলে দিয়েছে। আর তোর কাছে এটা সামান্য!”

তন্বি খুব রেগে যায়। নাকের পাটা ফুলে লাল দেখায়। অদ্রি তার কাঁধে হাত রেখে বলল,” বি পজিটিভ। আমি কি বলছি মন দিয়ে শোন, এমনও তো হতে পারে যে স্যার তোর সাথে মিথ্যা বলেছে?”

” মিথ্যা মানে? কোনটা মিথ্যা?”

” উনি বিবাহিত এই ব্যাপারটা তো মিথ্যাও হতে পারে। তুই উনার বাড়িতে কতবার গিয়েছিস?একবারও কি উনার বউকে দেখেছিস? আর ভার্সিটির কেউ তো এই ব্যাপারটা এখনও জানেই না। আমার মনে হয় স্যার তোকে ইচ্ছে করেই মিথ্যা বলেছে। আফটার অল উনি একজন টিচার। স্টুডেন্টের সাথে প্রেম করার মতো চীপ কাজ উনার পারসোনালিটির সাথে যায় না৷ সেজন্য তোকে নিজের থেকে দূরে রাখার জন্য জাস্ট একটা ট্রিক্স খাটিয়েছেন।”

অদ্রির কথা শুনে শীতল একটা বাতাস অনুভব করল তন্বি তার হৃদয়ে৷ এতো সহজভাবে সে আগে কেন চিন্তা করেনি? আসলেই তো, যেই বিয়ের কথা ভার্সিটির কেউ জানে না সেই বিয়ের কথা শুধু সে জানে। ব্যাপারটা কি একটু বেশি অদ্ভুত না!

তন্বি উত্তেজিত কণ্ঠে বলল,” আজকে কি হলো বলতো? স্যার এখনও আসছে না যে? অসুস্থ নাকি? আমি কি একবার ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখে আসব?”

” তোর ইচ্ছা।”

তন্বি দ্রুতগতিতে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল। ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট দুইতলায়।

” স্যার, আসব।”

সামির মাথা তুলে তাকাল। পুরো অফিসরুমে একা বসে আছে সে। চোখে অজস্র ঘুম, ক্লান্ত শরীর। সারারাত একফোঁটা ঘুম হয়নি। সেজন্য অল্প সময়ের একটা ন্যাপ নিয়ে ফেলেছিল। তন্বির ডাকে তার ঘুম ভেঙেছে। সে চোখ-মুখ কুঁচকে গম্ভীর স্বরে বলল,” কি ব্যাপার?”

তন্বি উদগ্রীব হয়ে বলল,” আপনার কি হয়েছে স্যার? শরীর খারাপ? ”

” আ’ম অলরাইট। কিন্তু তুমি এখানে কি করছো? ক্লাস নেই?”

তন্বি ভেতরে প্রবেশ করে বলল,” আমাদের এখন কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের ক্লাস স্যার, আপনার সাথে।”

সামির ঘড়ির দিকে তাকাল। তার ক্লাসের সময় প্রায় শেষ। অথচ সে বসে ঘুমাচ্ছে। হালকা অপ্রস্তুত গলায় বলল,” স্যরি, আমি ভুলে গেছিলাম।”

” সমস্যা নেই। আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ইজ এনিথিং রং?”

” কিছু না। সবাইকে বলো আমার টেবিলে এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে যেতে। নেক্সট ক্লাস মঙ্গলবার হবে। ”

” ওকে স্যার।”

এই কথা বলেও তন্বি দাঁড়িয়ে রইল। সামির প্রশ্ন করল,” আর কিছু বলবে?”

তন্বি বলল,” না।” তারপর আলগোছে ব্যাগ থেকে একটা চিরকুট বের করে সামিরের বইয়ের ফাঁকে ঢুকিয়ে দিল। এই চিরকুট সে অনেক দিন আগে লিখে রেখেছিল। ভেবেছিল কোনোদিন দেওয়ার সুযোগ হবে না। কিন্তু আজ হলো।

প্রতিদিন সামির বাড়ি ফেরার আগে অরা ছাদে অপেক্ষা করে। সামির তাকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে যায়। তারপর কোলে করে ঘরে নিয়ে আসে। ব্যাপারটা অরার খুব ভালো লাগে বলেই রোজ সে ছাদে বসে থাকে। অরার ধারণা সামিরও ব্যাপারটা ইঞ্জয় করে।

কিন্তু আজ অরা বেডরুমেই শুয়ে আছে৷ এখন রাত নয়টা বাজে। সামির এই রাতের বেলা কেন ফিরল? প্রতিদিন তো বিকালের মধ্যেই চলে আসে। ব্যাপারটা কি সন্দেহজনক নাকি অরাই বেশি সন্দেহবাতিক হয়ে উঠছে?

অরাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে সামির কাছে এসে কপালে হাত রাখল। মৃদু গলায় প্রশ্ন করল,” কি হয়েছে? তুমি অসুস্থ নাকি?”

অরা মিষ্টি হেসে বলল,” না। আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। এতো দেরি কেন লাগল?”

” ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। আড্ডা দিতে দিতে লেইট হয়ে গেল।”

অরা অভিমানী গলায় বলল,” ফোনও তো ধরছিলেন না। বাড়িতে যে একটা বউ আছে সেটাও নিশ্চয়ই ভুলে গেছিলেন।”

সামির হেসে ফেলল। ড্রেসিংটেবিলের কাছে গিয়ে শার্টের টাই খুলতে খুলতে বলল,” এটা ভুলি কিভাবে?”

অরা উঠে বসতে বসতে জিজ্ঞেস করল,” ওদের মধ্যে কি মেয়ে ফ্রেন্ডও ছিল?”

” না।”

” তাহলে ঠিকাছে।”

সামির আবার হাসল। অরা বলল,” আপনার সাথে আমার কথা আছে। বসুন একটু এখানে।”

” এখন না। ফ্রেশ হয়ে আসি আগে।”

অরার চেহারা মলিন হলো। সামির হয়তো সেটা লক্ষ্য করেনি। স্টাডি টেবিলে সে ব্যাগ রেখে বাথরুমে চলে যায়। অরা মনে মনে তার আপুর কথাটা চিন্তা করছে। আপু বলেছিল,ছেলেরা বিয়ের কিছুদিন পরেই বদলে যায়। আচ্ছা, সামিরও কি বদলে যাবে?

অরা উঠে সামিরের স্টাডি টেবিলের জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখতে নিলেই একটা ভারী বই নিচে পড়ে যায়। বইটি হাতে নিয়ে সালাম করে রাখার সময় অরা দেখে একটা চিরকুট। সাদা কাগজের উপর মেয়েলী ঠোঁটের ছাপ।

অরা দ্রুততার সাথে চিরকুটটি হাতে নিয়ে দেখল এর মধ্যে লেখা-” হাহে বাঁক।”

পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু একটা বাক্যই বার-বার করে লেখা। আশ্চর্য! এর অর্থ কি? গুগল সার্চ করতেই জানা গেল এটি একটি ফ্রান্স ভাষা। এর অর্থ, ” আই লভ ইউ।”

মোবাইল হাতে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় অরা। বাতাসটাও বিষাক্ত লাগছে। তাকে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সামির পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল। চুলে মুখ ডুবিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিল। অরা অস্পষ্ট স্বরে বলল,” ছাড়ুন।”

তার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়া অভিমান সামিরকে স্পর্শ করল না। সে অরাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঘোরমাখা গলায় বলল,” আমার প্রজাপতি।”

সামিরের স্নিগ্ধ মুখশ্রী দেখেও অরার মন ভালো হলো না। তার মাথায় একটা কথাই বাজতে লাগল। কার চিরকুট ছিল ওটা? তন্বি? পরদিন সকালে অরা একটা দুঃসাহসিক কাজ করে ফেলল। তন্বিকে ফোন দিয়ে বলল, দেখা করবে সে।

নীলিমা সকাল সকাল সামিরকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠালেন। সুমন সাহেবও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সায়ান আর রূপার ব্যাপার নিয়ে গভীর চিন্তায় আছেন৷ বিয়ের ব্যাপার নিয়ে সুমন সাহেব অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বলে মনে হলো না। বিশেষ করে সামির বিয়েতে মত দেওয়ায় তিনিও ব্যাপারটা নিয়ে পজিটিভলি চিন্তা করছেন।

নীলিমা বললেন,” তাই বলে ওদের এখন বিয়ে দিতে হবে?”

সুমন সাহেব বললেন,” বদনাম হওয়ার চেয়ে বিয়ে হওয়া ভালো। রূপা তো মেয়ে হিসেবে খারাপ না। দেখতেও সুন্দরী।”

নীলিমা দ্বিধাজড়িত কণ্ঠে বললেন,” শুধু সুন্দরী হলেই কি হয়? গুণও তো থাকতে হবে। আমার তাকে একেবারেই সংসারী মেয়ে মনে হয় না। কেমন একটা উড়নচণ্ডী ভাব৷ দেখো না, ছেলেদের মতো জামা-কাপড় পরে?”

ঠিক এমন সময় দরজায় শব্দ হলো। রূপা বড় একটা ডিশে করে চা নিয়ে ঢুকল। তার গায়ে সেলোয়ার কামিজ। ঠোঁটে নরম হাসি। মাথা নিচু করে ভেতরে আসতে আসতে বলল,” আন্টি, আঙ্কেল, অরার শরীর ভালো নেই তো…তাই আজকে সবার জন্য চা আমিই বানালাম।”

নীলিমা এবং সুমন সাহেব অবাক হয়ে চোখাচোখি করলেন। নীলিমা বিস্ময় সামলে বললেন,” তুমি কেন কষ্ট করতে গেলে? আমাকে বললেই হতো!”

রূপা মিষ্টি করে হেসে বলল,” না আন্টি, কষ্ট কিসের? আপনারা আমাকে এতো যত্ন করছেন। একদিন না হয় আমিও আপনাদের যত্ন করলাম। আজকে দুপুরের রান্নাটাও আমি করব। প্লিজ আন্টি, নিষেধ করবেন না।”

চা মুখে নিয়ে সুমন সাহেব কাশতে লাগললেন। নীলিমা বললেন,” আচ্ছা, তোমার ইচ্ছে হলে রেঁধো।”

তখনি সুমন সাহেব তাড়াহুড়ো করে বললেন,” দরকার নেই। আগে ঠিকভাবে চা বানানো শেখো। তারপর রান্না।”

সামির বলল,” কেন বাবা? চা ভালো হয়নি?”

সুমন সাহেব মুখ গোঁজ করে বললেন,” দুধ- চিনি কিছুই তো হয়নি ঠিকমতো। মা, তুমি কিছু মনে কোরো না। কিন্তু আমি মিথ্যা কমপ্লিমেন্ট দিতে পারি না। যা সত্যি তাই বললাম।”

রূপা অসহায় দৃষ্টিতে সামিরের দিকে চাইল। সে সামিরের কথামতোই সব করেছে আজ। কিন্তু চা বানানো সে জানতো না। তাদের বাড়িতে চা কেউ খায় না।

সামির চা মুখে নিয়ে নির্বাক হয়ে গেল। অতিরিক্ত চা পাতা দিয়ে তেঁতো করে ফেলা হয়েছে। সে বহু কষ্টে ঢোক গিলে বলল,” এমন চা তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাবা তোমার না ডায়াবেটিস? বেশি চিনি খেলে তো অকালে স্ট্রোক করবা। ঠিকই আছে। এখন থেকে রূপাই তোমার জন্য চা বানাবে।”

সুমন সাহেব আহত চোখে তাকালেন। তিনি কি এমন অপরাধ করেছেন যে রোজ এমন চা খেতে হবে?নীলিমা জহুরি নজরে সামিরকে পরখ করছেন। আজ-কাল সামির মনে হয় রূপার পক্ষ নিয়ে বেশি কথা বলছে। ঘটনা কি? সে কি এমন কিছু জানে যেটা তিনি জানেন না?

ফুলবানু রূপার বানানো চা মুখে দিয়ে বললেন,” এটা চা হইছে নাকি কাউয়ার গু?”

নীলিমা বললেন,” আম্মা, চা না খেলে ফেলে দিন। কিন্তু এভাবে বলবেন না। মেয়েটা যে মেহমান হয়েও কষ্ট করে সবার জন্য চা বানিয়েছে এইতো অনেক!”

সামির ঘরে এসে অরাকে বলল তৈরী হয়ে নিতে। তারা স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যাবে। এই কথা শুনে অরা খুশি হয়ে বলল,” ওকে। আমি এখনি রেডি হচ্ছি। কিন্তু কি পরব?”

” তোমার ইচ্ছা। কিন্তু শাড়ি নিষেধ।”

” শাড়ি নিষেধ কেন?”

” তুমি শাড়ি সামলাতে পারো না অরা। আর আমিও সামলাতে পারি না নিজেকে।”

অরা লজ্জিত স্বরে বলল,” ঠিকাছে। পরব না শাড়ি।”

সে আলমারি খুলল ড্রেস চুজ করতে। শাড়ি না পরলে কোনটা পরবে আজ? সামিরের কিনে আনা কামিজগুলোর মধ্যে একটা পরলে কেমন হয়? গোলাপি আর হলুদের মিশেলে তৈরী একটা কামিজ পরে নিল সে। সামির মোহাচ্ছন্ন হয়ে তাকিয়ে রইল। ঘোর মাখা ভারী কণ্ঠে বলল,” আমার রঙিন প্রজাপতি।”

অরা কাছে এসে সামিরের ঘাড়ের ওপর হাত বাঁধল। মুগ্ধ কণ্ঠে বলল,” আমার সুদর্শন ভ্রমর।”

দু’জনেই হেসে উঠল। অনলাইন থেকে আগেই থ্রিডি মুভির জন্য টিকিট কেটে রেখেছিল সামির। টিকিট পিক আপ কাউন্টারে দাঁড়াতেই দেখা হয়ে যায় তন্বির সাথে। অরা বলল,” হাই তন্বি আপু, কেমন আছো?”

সামির বিস্মিত হলো। তন্বির দিকে চেয়ে ভ্রু কুঁচকে বলল,”হোয়াট আ কো-ইন্সিডেন্স!”

অরা মুচকি হেসে বলল,” কো-ইন্সিডেন্স না। আমিই তন্বি আপুকে ডেকেছি। তাই না?”

তন্বি হেসে অপ্রস্তুতভাবে মাথা নাড়ল। সে ভেবেছিল অরা একা আসবে। ফাইজান স্যারকেও যে নিয়ে আসবে এটা চিন্তা করেনি। আগে জানলে একটু ফিটফাট হয়ে আসতো। এমন সাধারণভাবে চলে আসতো না৷ সে একটু নর্ভাস হয়ে পড়ল। হেসে বলল,” হ্যাঁ। অরার সাথে আমার কথা হয়েছিল। ও আমাকে আসতে বলেছে এখানে।”

সামির সন্দেহী চোখে তন্বি আর অরার দিকে চাইল একবার। কৌতুহলী গলায় প্রশ্ন করল,” ব্যাপার কি?”

অরা বলল,” তেমন কিছু না। আমার তন্বি আপুর সাথে একটু জরুরী দরকার আছে। এডমিশনের ব্যাপারে। জানেন তো, আর কয়েকদিন পরই ভর্তি পরীক্ষা।”

” আমাকে বললেই পারতে।”

” না। আমাদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল যে আমি আপনার কোনো হেল্প নিবো না। ভুলে গেছেন?”

সামির ঠোঁট উল্টে বলল,” ওকে।”

সে টিকিট কালেক্ট করতে কাউন্টারে গেল। তখন তন্বি ফিসফিসিয়ে বলল,” স্যার যে আসবে এটা আমাকে আগে বলোনি কেন?”

” বললে কি হতো?”

” আমি উনাকে এক্সপেক্ট করিনি। ”

তারপর একটু হেসে বলল,” যাইহোক, ভালোই করেছো উনাকে এনে। এবার একটা ফেবার করো প্লিজ।”

” কিরকম ফেবার?”

” আমি উনার সাথে বসতে চাই। তুমি আমার টিকিট রেখে নিজেরটা আমাকে দিয়ে দাও। প্লিজ, প্লিজ, আমি বের হয়ে তোমাকে আইসক্রিম খাওয়াবো।”

অরা বহু কষ্টে নিজের মেজাজ সংবরণ করল। তারপর অমায়িক হেসে বলল,” এটা সম্ভব না।”

” কেন? তুমি চাইলেই পারো। মিষ্টি মেয়ে!” আদর করে অরার গাল টিপে দিল সে। চোখ টিপে হালকা উত্তেজিত গলায় বলল,” তুমি না স্যারের কাজিন? তাহলে তো আমি তোমার ভাবি হবো। ভবিষ্যতে তুমি আমার ননদ হতে যাচ্ছো। ফিউচার ভাবির জন্য এইটুকু করতে পারবে না?”

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে