#রুপালি_মেঘের_খামে
লিখা- Sidratul Muntaz
৫.
টেবিল থেকে টিস্যুপেপার নিয়ে অরা তার ঠোঁট মুছছে। রূপা হালকা ঝুঁকে ফিসফিসিয়ে বলল,” টিস্যুতে একটু স্যানিটাইজার লাগিয়ে দিব?”
অরা ক্রুর দৃষ্টিতে চেয়ে দুইহাতে ধাক্কা মারল তাকে। রূপা হাসতে হাসতে পড়ে গিয়ে আবার উঠে বসল।
” প্রথমবার বরের চুমু খেয়ে বউ বিস্ময়ে অজ্ঞান৷ জাস্ট চিন্তা কর, ইতিহাসে এমন বিরল ঘটনা আর একটাও কি ঘটেছে? তোর নাম তো গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অবশ্যই থাকা উচিৎ। ”
সামিয়া ঘরে প্রবেশ করল এমন সময়। হাসি-খুশি কণ্ঠে বলল,” কি করেছে ভাবি? যে গিনেজ রেকর্ডে নাম লিখাতে হবে?”
রূপা অতি উৎসাহে বলতে নিল,” আরে তুমি জানো…”
তাকে কথা শেষ করতে দিল না অরা। দুইহাতে তার মুখ চেপে ধরে বিড়বিড় করে বলল,” একটা কথা বললেও মেরে ফেলব তোকে।”
রূপা হকচকিয়ে গেল। অরা এমনি খুব শান্ত। কিন্তু একবার রেগে গেলে ভয়ংকর ব্যাপার হয়। ক্লাস টেনে থাকতে একটা ছেলে প্রপোজ করায় তাকে সম্পূর্ণ স্কুলের মাঠে জুতা নিয়ে ধাওয়া করেছিল। রূপা বলল,” আচ্ছা বলব না কিছু,ছাড় এবার।”
অরা ছেড়ে দিতেই রূপা দৌড়ে সামিয়ার কাছে গিয়ে তার পেছনে লুকিয়ে বলল,” একটা মজার কথা শুনবে সামিয়া? কাউকে বলতে না পারলে আমার পেট গুড়গুড় করছে।”
অরা চোখ বড় করে তাকাল। আঙুল উঁচু করে বলল,” তুই খালি বলে দ্যাখ, তোর খবর আছে।”
সামিয়া উত্তেজিত গলায় বলল,” প্লিজ আমি শুনতে চাই। আমাকে বলো না, কি এমন ব্যাপার? অনেক ইন্টারেস্টিং কিছু মনে হচ্ছে?”
“শুধু ইন্টারেস্টিং না, সুপার ইন্টারেস্টিং। বাইরে এসো বলছি।”
রূপা সামিয়াকে টেনে বাইরে নিয়ে গেল। অরা চেঁচিয়ে বলল,” তুমি ওর ফালতু কথা শুনবে না সামিয়া। ও একটা মিথ্যুক।”
রাগ নিয়ে আয়নায় তাকাল অরা। নিজের মুখটা দেখে আরেকবার ঠোঁট মুছল। তারপর টিস্যুটা ডাস্টবিনে ফেলে দিল। তার মাথা ব্যথা করছে। বড় করে একটা শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করল। সে শান্ত হতে পারছে না কোনোভাবেই। ভুলতে পারছে না ওই মুহূর্তটা।
জীবনের প্রথম চু-মু। তাও এমন একজনের থেকে যাকে সে কখনও কল্পনাও করেনি৷ জানালার কাছে এসে দাঁড়াতেই বাইরে সামিরকে দেখা গেল। হাসি মুখে কারো সাথে কথা বলছে সে। অরা সাথে সাথে জানালা থেকে সরে বিছানায় বসল৷ তার হৃৎস্পন্দন খুব বেড়ে গেছে। সে জানালা আটকে দিল।
সামিয়া সব কিছু শুনে মুখে হাত দিয়ে কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে রইল। তারপর অবাক বিস্ময়ে বলল,” ভাইয়া এরকম করেছে? সত্যি? আমার একটুও বিশ্বাস হচ্ছে না৷ তুমি ভিডিও করলে না কেন?”
রূপা ভারী আফসোস নিয়ে বলল,” ইশরে, মাথায় ছিল না একদম। অবশ্য কাজটা এতো দ্রুত হয়েছে যে মোবাইল বের করার সময়ই পাইনি। আমি তো রেডি ছিলাম না।”
” ভাবির কি অবস্থা হয়েছে সেটাই আমি ভাবছি।”
রূপা শব্দ করে হেসে উঠে বলল,”একদম ফেইন্ট হয়ে গেছিল।”
ফুলবানু তার ঘর থেকে নিনাদ ছাড়লেন,” এমনে মহিষের মতো আওয়াজ কইরা কেডা হাসে? কার গলা এতোবড়? ওই মাইয়া এদিকে আসো।”
রূপা নিশ্চুপ হয়ে আশেপাশে তাকাল। সামিয়া ভয়ে তটস্থ হয়ে বলল,” বাপরে, দাদী ক্ষেপেছে। দ্রুত চলো এখান থেকে।”
রূপা বলল,” মনে হয় আমাকে ডাকছে।”
” ডাকুক। যাওয়ার দরকার নেই। গেলেই বিপদে পড়বে। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে ডেঞ্জারাস সদস্য। সে ডাকলে আমরা কেউ যাই না বরং লুকাই।”
রাত আটটায় অরার বাবা-মা এসে উপস্থিত হলেন। তাদের কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ল অরা। যেন কতদিন পর দেখছে। একবার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে, আরেকবার মাকে জড়িয়ে ধরে হাসে। একদম বাচ্চাদের মতো বাড়ি ফেরার জন্য বায়না শুরু করল সে। সাবিরা বললেন,” অবশ্যই যাবি মা। আমরা তোকে আর জামাইকে নেওয়ার জন্যই তো এসেছি।”
এই কথা শুনে অরার মুখ দপ করে নিভে গেল। অবুঝের মতো বলল,” উনাকে সাথে নেওয়ার কি দরকার? আমি একাই যাব, প্লিজ।”
অরার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকালেন নীলিমা। অরা শাশুড়ীকে দেখে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেল। তিনি যে পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তা সে আগে খেয়াল করেনি।
সাবিরা প্রসঙ্গ কা-টাতে অন্য কথা বলতে লাগলেন৷ রূপাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটা গেল কই? অরা তাকে অনেকক্ষণ ধরে খুঁজছে। পরে সামিয়ার থেকে জানা গেল রূপা নাকি শপিং-এ গেছে অরার জন্য গিফট কিনতে।
এই কথা শুনে অরা রাগ করবে নাকি দুশ্চিন্তা করবে বুঝতে পারল না৷ ফোনটাও ধরছে না সে। কোনো বিপদ হলো নাকি? সে বাইরে গেছে প্রায় দুইঘণ্টা আগে। এখনও ফিরছে না৷ এই শহরের কোনোকিছুই তো সে চেনে না। একা কেন গেল?
সামিয়া বলল,” তুমি চাইলে আমি কাউকে পাঠাতে পারি ওকে খুঁজে আনার জন্য।”
” কাকে পাঠাবে?”
” ছোটভাইয়া? সে তো ফ্রী আছে। অবশ্য সে সবসময়ই বেকার থাকে। অলসটাকে আমি বললে শুনবে না। তুমি গিয়ে বলো তাহলে শুনবে। তুমি ভাবি হও না?”
অরার ইতস্তত লাগছে৷ এই বাড়িতে আসার পর থেকে সায়ানের সাথে তার তেমন ভালো আলাপ হয়নি। সে এমনিতেই মানুষের সাথে কথা বলতে অস্বচ্ছন্দবোধ করে।
সায়ানের ঘরে তাকে পাওয়া গেল না। সে বাড়ির হলরুম ডেকোরেশনের কাজে ব্যস্ত৷ কাল এখানেই অনুষ্ঠান হবে। ছবি, ভিডিও করা হবে৷ দেয়ালের কিছু অংশ রঙ করানোর জন্য লোক এসেছে। সায়ান তাদের সাথে হাত লাগিয়েছে৷ তাই তার গায়ে পুরনো গেঞ্জি, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট৷ মাথায় একটা গামছা বাঁধা৷ মুখের মধ্যে কলম। অরা গিয়ে বলল,” সায়ান ভাইয়া, একটু দরকার ছিল।”
” বলো ভাবি, কি দরকার?”
সায়ান সুন্দর করে হাসল৷ তার হাসি দেখে অরা একটু সহজ হয়ে বলল,” আমার ফ্রেন্ডকে খুঁজে পাচ্ছি না। ও নাকি ইস্টার্ন প্লাজায় গিয়েছিল৷ এখনও ফিরেনি। তুমি একটু খুঁজে নিয়ে আসবে? এখানকার কিছু তো চেনে না ভালো করে। ফোনটাও ধরছে না।”
” আচ্ছা ভাবি। নো টেনশন৷ আমি এখনি যাচ্ছি। ইস্টার্ন প্লাজা, তাই না?”
” হুম। এই অবস্থায় যাবে?”
সায়ান কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল,” সমস্যা নেই। এসে তো আবার কাজেই লেগে পড়তে হবে৷ বাই দ্যা ওয়ে, আমি তোমার ফ্রেন্ডকে চিনব কিভাবে?”
” আচ্ছা, আমি তোমাকে ওর একটা ছবি দেখিয়ে দিচ্ছি।”
” ঠিকাছে দাও।”
অরা রূপার একটা ছবি বের করে সায়ানকে দেখাতেই সে চোখ বড় করে বলল,” মারাত্মক ব্যাপার, চট্টগ্রামের সব মেয়েই কি সুন্দরী হয় ভাবি? মাশআল্লাহ, তুমি মারাত্মক সুন্দরী। তোমার বান্ধবী তো দ্বিগুণ সুন্দরী!”
অরা হেসে ফেলল। সায়ান খুব চমৎকার একটা ছেলে। কত সুন্দর কথা বলে হাসাতে পারে। আর অন্যদিকে তার ভাই, যেন আস্তো একটা আতঙ্ক। চিন্তা করেও অরার শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এলো।
সাবিরা এক ফাঁকে অরাকে নির্জনে এনে বকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বললেন,” তোর কি সমস্যা অরা বলতো? তুই নাকি এখনও জামাইয়ের সাথে স্বাভাবিক হতে পারছিস না? এসব আমি কি শুনছি?”
মায়ের কথা শুনে অরা হতভম্ব। বিস্ময়ের স্বরে জানতে চাইল,” তোমাকে এসব কে বলেছে মা? ওই মহিলা?”
” একটা চড় দিবো। ওই মহিলা আবার কি? তোর শাশুড়ী হয়।”
অরা মাথা নিচু করে ধমক হজম করল। সাবিরা শক্ত করে মেয়ের বাহু চেপে ধরে বললেন,” আর কে বলেছে সেটা কোনো বিষয় না। কথাটা তো সত্যি! বাসর রাতে তুই কি কান্ড করেছিস সব শুনেছি আমি। আচ্ছা সেটা না হয় বাদ দিলাম। সুস্থতা-অসুস্থতার ব্যাপারে আমাদের হাতে নেই। কিন্তু এরপর থেকে তুই নাকি প্রতিদিন সামিয়ার সাথেই ঘুমাচ্ছিস? এসব কি ধরণের কথা?
অরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিচে তাকিয়ে বলল ” আমাকে বলা হয়েছে বৌভাত পর্যন্ত সামিয়ার ঘরে থাকতে। সেটাই করেছি আমি। এখন এটাও কি আমার দোষ? ”
” হ্যাঁ তোরই দোষ। তোর হাব-ভাব দেখেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সাবিরা অরার চিবুক উপরে তুলে বললেন,” তুই কি চাইছিস বলতো? পনেরো বছরের খুঁকির মতো আচরণ করছিস কেন? তারাকে তো তোর চেয়েও ছোট বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে তো এমন আচরণ করেনি!”
অরা ছলছল কণ্ঠে অভিযোগ করল,” তারা আপু তার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করেছে। তার জন্য সব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আমার জন্য সবকিছু অস্বাভাবিক, অস্বস্তিকর। ”
” কেন অস্বস্তিকর তোর জন্য?”
” তুমি তো জানতে মা, উনাকে আমি ছোটবেলা থেকেই অপছন্দ করি। তবুও কেন এই বিয়েটা দিলে? যাকে শৈশব থেকে এক দৃষ্টিতে দেখে এসেছি যৌবনে এসে তাকে অন্য রূপে কল্পনা করা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়ছে।”
” তাই বলে বিয়ের এক সপ্তাহ পরেও তুই নরমাল হতে পারবি না?”
” আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারছি না তো। আমি উনাকে প্রচন্ড ভয় পেতাম। এখন ভয় না পেলেও খুব অস্বস্তি লাগে। উনি সামনে এলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। মাথায় ব্যথা শুরু হয়। শিরা দপদপ করে।আর আজকে উনি…”
অরা থেমে গেল। মায়ের কাছে এই কথা কিভাবে বলবে? এদিকে অরার অভিযোগ শুনে সাবিরা হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে পারলেন না। কড়া গলায় বললেন,”বাচ্চামির একটা সীমা থাকা উচিৎ। এমনভাবে চললে তুই সংসার করবি কি করে?”
অরা মিনমিনিয়ে বলল,” জোর করে হলেও কি সংসার করতেই হবে?”
সাবিরা ধমক দিয়ে বললেন,”কেন হবে না?”
অরা নিশ্চুপ রইল। সাবিরা অরার কাছে এলেন। শান্ত হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,” সামিরকে তোর বাবা কেন পছন্দ করেছে জানিস? ছেলেটা ভীষণ ভালো। সেই ছোটবেলা থেকে তাকে আমরা চিনি। সে যখন তোকে বিয়ে করতে চেয়েছে তোর বাবা যে কত খুশি হয়েছেন! তুই যদি খুশিটা দেখতি তাহলে কখনোই এভাবে বলতে পারতি না। মানছি তুই সামিরকে ছোটবেলায় অন্য দৃষ্টিতে দেখে এসেছিস বলে বড় হয়ে এইভাবে মানতে পারছিস না। কিন্তু একবার চেষ্টা তো করতে হবে। আমি নিশ্চিত তুই চেষ্টাও করিসনি। মানুষ চেষ্টা করলে বিশ্বজয় করতে পারে আর তুই সামান্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারবি না?”
অরা অসহায় স্বরে বলল,” আমি সত্যিই পারবো না মা। পারলে এতোদিনে পেরে ফেলতাম। কিন্তু আসলেই এটা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷ তোমরা কেউ আমাকে বুঝতে চাইছো না কেন? বিয়ের আগে যদি আমি জানতাম উনার সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে, তাহলে কখনও এই বিয়ে করতাম না আমি। কিন্তু তোমরা তো আমাকে জানতেই দাওনি। আমি ঠিক করেছি বাবার সাথে কথা বলবো। বাবা ঠিকই আমাকে বুঝবে।”
“কি বিষয়ে কথা বলবি তুই বাবার সাথে?”
” ডিভোর্সের বিষয়ে।”
” তুই জামাইকে ডিভোর্স দিবি?” সাবিরা বিহ্বল হয়ে গেলেন।
অরা নির্দ্বিধায় বলল,” হ্যাঁ। ”
” কেন?”
অরা জেদ নিয়ে জবাব দিল,” উনি একটা অভদ্র মানুষ, আমি..”
কথা শেষ করার আগেই অরার গালে কষিয়ে চড় মা-রলেন সাবিরা। গালে চ-ড় নিয়ে ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ল অরা। চোখ টলমল হয়ে গেল অভিমানে। সে ভাবতেও পারেনি মা তাকে এই কথার জন্য মা-রবেন। সাবিরার তখন মেজাজ চড়ে গেছে। অরা এক মুহূর্ত বসে না থেকে দ্রুত পায়ে সরে এলো জায়গাটি থেকে।
কিছুদূর যেতেই সামিরকে চোখে পড়ল। মাথা আরও গরম হয়ে গেল। এই মানুষটার জন্যই তার জীবনে এতো সমস্যা! এর জন্য শৈশবটা আতঙ্কে কেটেছে। এখন মনে হচ্ছে সারা জীবনটাই আতঙ্কে কাটবে।
অরা সামিরকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিল। আচমকা সামির তার পথ আটকে দাঁড়ালো। মেঘমেদুর কণ্ঠে বলল,”অরা, একটু এদিকে আসবে? তোমার সাথে কথা ছিল।”
অরা কণ্ঠে ক্ষোভ নিয়ে বলল,” আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই। সামনে থেকে সরে যান।”
সামির সরল না। অরাকে বিস্ময়ের সীমান্তে পৌঁছে দিয়ে আচমকা তার হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো রুমে। অতঃপর দরজা আটকে দিল। অরার হৃৎস্পন্দন তখন সেকেন্ডে হাজার মাইল গতিতে ছুটছে। কণ্ঠনালী কাঁপছে অস্বাভাবিক হারে। সামীর একটা চেয়ার টেনে দিয়ে বলল,” বসো।”
” বসব না আমি।”
সামির জোর করে তার বাহু টেনে তাকে বসাল। অরা ব্যথায় কঁকিয়ে উঠল। করুণ স্বরে বলল,” কি করছেন এসব আপনি?”
সামির চেয়ারের হাতলের উপর দুই হাত ঠেঁকাল। অরার দিকে ঝুঁকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বলল,” একজন অভদ্র মানুষের থেকে আর কি এক্সপেক্ট করো তুমি?”
সামিরের চোখ দু’টো টকটকে লাল। অরার বুক ধ্বক করে উঠল। এর মানে একটু আগের সব কথা সে বাইরে দাঁড়িয়ে শুনে ফেলেছে। প্রচন্ড অস্বস্তিতে অরার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে উঠল।
চলবে