#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_আগস্ট _২০২০
ছোটগল্প – রাতের গহীনে
লেখনীতে – তাসমিয়া আলম খান
ক্যাটাগরি – ভৌতিক গল্প
জীবনের একটি রহস্যময় প্রহর হচ্ছে রাত। রাতের প্রহরে এমন কিছু ঘটনা মানুষের জীবনে ঘটে যায় যেটা কিছু ক্ষেত্রে অমিমাংসিত থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভয়ানক হয়ে থাকে।এমনি কিছু ভয়ানক ব্যাপার ঘটে গেছে গল্পের নায়িকা রোদেলার সাথে।
রোদেলা বাবা মায়ের ছোট মেয়ে।
রোদেলা যখন ১০ ম শ্রেনীতে পরে তখন থেকে তার সাথে অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছিলো।
রোদেলা জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ছিল নুপুর এর শব্দ। হঠাৎ করে সে প্রায় রাতে নুপুরের শব্দ শুনতে পেতো।
রোদেলা যখন তাদের নতুন বাসায় আসে, তখন থেকেই তার সাথে এ ঘটনা গুলো ঘটা শুরু করে। প্রায় রাতে রোদেলার ঘুম ভেঙে যেতো। তখন সে ফিল করতো তার আশেপাশে কেউ আছে। আর নুপুরের শব্দ তো রয়েছে। আর তাছাড়া রোদেলার মনে হতো রান্নাঘরে কেউ থালা বাসোন ধুইতেছে। আবার মঝে মাঝে শিলপাটা দিয়ে মসলা বাটার শব্দ সে শুনতে পেতো। এইসব ঘটনা সে প্রায় রাতেই শুনতে পায়।
রোদেলাদের নতুন বাসাটা খুব সুন্দর। বাসাটা প্রায় অনেক বড় জায়গা নিয়ে ছিল।
ডুপ্লেক্স বাসার সামনে ফুলের সুন্দর একটা বাগান। বাড়ির পিছনে রয়েছে আম ও কাঁঠালের ছোট একটা বাগান। আর তাছাড়া বাসার আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। আর বাসার সামনের গেইটের এক কোনে একটা শিউলি ফুলের গাছ রয়েছে।
একদিন রাত ২.০০ টা বাজে রোদেলা বসে পড়ছিল। কারন তখন তার এস.এস.সি পরীক্ষা চলছিল। তখন হঠাৎ করে তার কানে ঘন্টার শব্দ ভেসে আসলো। ঘন্টার শব্দ পেয়ে সে বেলকনিতে গেল দেখার জন্য শব্দটা কোন দিক থেকে আসছে। বারান্দায় গিয়ে সে বুঝতে পারলো শব্দটা ঠিক তাদের বাসার পছন দিক থেকে আসছে। সে এটাও বুঝতে পারলো শব্দটা প্রখর হয়ে তার কাছেই আসছে। সে খেয়াল করলো সাদা একটা ঘোড়া ওর বারান্দার কাছে এসে কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে ছিলো।ঘোড়াটাকে দেখে মনে হলো সেটা ওর দিকে রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে আছে। ঘোড়াটা তার দিকে কিছুসময় তাকিয়ে থেকে আবার হাটা দিলো এবং ওদের বাসার কোনায় থাকা শিউলি ফুলের গাছটার কাছে গিয়ে গায়েব হয়ে গেল। এই ঘটনাটা দেখে রোদেলা খুব ভয় পেয়ে গেল এবং সে এক দৌড়ে রুমে চলে গেল। রুমে গিয়ে দোয়া দূরুদ পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পরলো।
পরদিন সকালে নাশতার টেবিলে সবাই নাশতা করছিল। তখন রোদেলা গত কাল রাতে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সবার কাছে খুলে বলে।কিন্তুু সবাই সেটাকে তার হ্যালোসিনেশন বলে ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দেয়। কিন্তুু রোদেলার দাদু ওর কথাটা শুনে বেশ চিন্তায় পরে যায়।
আপনাদের তো একটা কথা বলা হয়নি। রোদেলার দাদু ওদের বাসায় কিছুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। তিনি তার বড় ছেলের সাথে নিজেদের বাড়ি সিলেট থাকেন।
রোদেলার দাদু খুব পরহেজগার একজন মানুষ। তিনি কিছুদিনের জন্য ওদের এখানে বেড়াতে এসেছে।
রোদেলার ব্যাপার উনার চিন্তিতো হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তিনি এখানে আসার পর থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু ফিল করতেন। তিনি এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন রোদেলা কোন মিথ্যা কথা বলছে না।
তাই তিনি ওর রোদেলার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরের দিন উনার পরিচিত একজন হুজুরের সাথে কথা বলে উনাকে তাদের বাসায় আসতে বলে।ভাগ্যক্রমে তিনি তখন চট্টগ্রামে ছিলেন।
হুজুর যখন রোদেলাদের বাসায় এলেন, তখন থেকে তার কেমন যেন লাগছিলো। ওদের বাসায় এসে তিনি রোদেলার সাথে কথা বলে সব শুনে নিলেন।
তারপর হুজুর সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “রোদেলার উপর কোন খারাপ একটা কিছুর দৃষ্টি রয়েছে। যাকে বলা হয় দৃষ্টিদোষ। সেই খারাপ জীনটা প্রায় সময় তার কাছে আসার চেষ্টা করে। রোদেলার সাথে দেখা করার চেষ্টা করে। কিন্তুু কোন একটা কারনে সে রোদেলার কাছে আসতে পারে না।তাই সে দূর থেকে ওর উপর সবসময় নজর রাখে।আবার মাঝে মাঝে রোদেলা কে দেখা দেয়। বিশেষ করে ও যখন একা থাকে বা রাত জেগে কোন কাজ করে। তখন সে বিভিন্ন বাহানায় তার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করে”। সবাই হুজুরের এই কথা শুনে একটু ভয় পেয়ে যায়। হুজুর সেটা বুঝতে পেরে সবাইকে অভয় দিয়ে বলে।” ভয় পাবার কিছু নেই। আমি রোদেলাকে কিছু আমল দিয়ে যাবো। সেগুলো যদি সে নিয়মিত ভাবে করে যায় তাহলে তার কোন সমস্যা হবেনা ইনশা আল্লাহ”। এই বলে হুজুর ওকে আমল করার নিয়ম গুলো বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
এই ঘটনার আজ প্রায় চার বছর হয়ে গেছে এর মাঝে রোদেলার আর কোন সমস্যা হয় নাই।
রোদেলা এবার অনার্স ২য় বর্ষে পরে। কয়দিন বাদে রোদেলার বিয়ে। বাড়ির সবাই তার বিয়ের আয়োজন নিয়ে ব্যাস্ত। এর মাঝে একদিন মাঝ রাতে হঠাৎ করেই রোদেলার ঘুম ভেঙে যায়। সে পানি খাওয়ার জন্য উঠে। তখন সে তার মাথার কাছে রাখা পানির বোতলটা হাতে নিয়ে দেখে বোতলে পানি নেই। তাই সে বোতলটা হাতে নিয়ে পানি নেয়ার জন্য নিচে ডাইনিং রুমে চলে আসে। যখন সে পানি নিয়ে উপরে তার রুমে আসতে যাবে তখন সে অনুভব করলো তার পেছনে কেউ দারিয়ে আছে। তখন রোদেলার মনে হলো তার ঘাড়ের উপরে কারো নিঃশ্বাস পড়ছে। সে এটাতে কিছুটা ঘাব্রে গেল। আর পরক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়ে সে পিছনে ঘুরে তাকালো। কিন্তুু সে সেখানে কাউকে দেখতে পেলোনা।শুধু একটা ছায়া কে তার কাছ থেকে সরে যেতে দেখলো। সেই ছায়ামূর্তিটাকে সে তার দাদুর রুমের দিকে চলে যেতে দেখলো। সে এই বিষয়টা বুঝার জন্য এক পা, দুই পা করে রুমটার দিকে এগোতে লাগলো। ঘরের দরজার সামনে গিয়ে সে দেখলো তার দাদুর মত কেউ বিছানায় বসে আছে। সে এই দৃশ্যটা দেখে খুব ভয় পেয়ে গেল। সাথে অনেক অবাক হলো। সে তার চোখকে মোটেও বিলিভ করতে পারছে না। বার বার তার এটাই মনে হতে লাগলো এটা কেমন করে হতে পারে। দাদু তো ছয় মাস হলো মারা গিয়েছেন। তাহলে এটা কে? এই বলে সে সিওর হওয়ার জন্য ঐ ছায়ামূর্তিটার দিকে আরো এগিয়ে গেল। এগিয়ে সে যেটা দেখলো তাতে তার চোখে ছানাবরা হয়ে গেল। আর ভয়ের ছাপ তার মুখে স্পষ্ট ভেসে উঠলো। আর ভয়ে তার শরীর কাঁপছে। সে দেখলো ছায়ামূর্তিটা আর কেউ নয় তার দাদু। তখনেই সেই ছায়ামূর্তিটা বিছানায় বসা অবস্থায় তার ঘারটাকে এমনভাবেই ঘোড়ালো যে, তার পিঠের সাইডে মুখটা আর বুকের সাইডে তার মাথার পিছনের অংশটা ছিলো। আর রোদেলা সেইটা দেখার সাথে সাথেই সেখানেই সেন্সলেস হয়ে গেলো।
পরদিন সকালে যখন রোদেলার সেন্স ফিরলো তখন সে নিজেকে তার রুমে বিছানায় আবিষ্কার করলো। তখন সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে দূপুর একটার কাঁটা ছুঁই ছুঁই। আর তার পাশে ওর মা বসে আছে। রোদেলার সেন্স ফিরতে দেখে ওর মা তাকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু খেল।
রোদেলার মা তাকে জিজ্ঞেস করলো তোর কি হয়েছিল মা। আমি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখি তুই তোর দাদুর ঘরের মেঝেতে পরেছিলি। কি হয়েছিলো মা আমাকে বল।
রোদেলা মা এর কথা শুনে গতরাতের সব ঘটনা খুলে বললো।
মা রোদেলার কথা শুনে সাথে সাথেই হুজুরকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা খুলে বললো। হুজুর সব ঘটনা শুনে বললেন, “আমি ওকে যে আমল গুলো করতে দিয়েছিলাম হয়তো কোন কারনে সেই আমলে কোন ত্রুটি হয়েছিলো।তাই সেই জীনটা তাকে দেখা দিয়েছিল।”
“তাছাড়া কিছুদিন পর আপনার মেয়ের বিয়ে। সেজন্য সে চাইবে আপনার মেয়ের ক্ষতি করতে।গত রাতে সে সেই চেষ্টা করেছিলো।”
রোদেলার মা, তাহলে এখন আমরা কি করবো।
হুজুর, “আপনারা কোন চিন্তা করবেন না, আমি এর একটা ব্যাবস্থা করছি।”
রোদেলার মা, জি ঠিক আছে হুজুর। এই বলে সালাম দিয়ে ফোনটা কেটে দিলো।
পরদিন সকালে হুজুর রোদেলার আম্মুকে ফোন দিয়ে বললো,
“আপনার মেয়ে যেই রুমে থাকে, সেই রুমের বিছানার বালিশের নিচে হাত দিয়ে দেখেন একটা কাপড়ের ছোট থলে রয়েছে। সেই থলেটার ভেতরে একটা তাবিজ ও সুতা রয়েছে। সেটা আপনার মেয়ের বাম হাতে পরিয়ে দিবেন।”
এই কথা শুনে রোদেলার মা বালিশের নিচে হাত দিয়ে দেখে যে আসলেই একটা থলে আছে। তিনি সেটা দেখে কিছুটা অবাক হলো আবার ভয় পেলো।
হুজুর, ওপাশ থেকে বললো “এই বিষয়ে আপনার অবাক বা ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই। এই থলেটা এখানে কিভাবে আসলো, কখন আসলো সেটা আপনার না জানলেও চলবে। আমি আপনাকে যেটা বললাম আপনি এখন সেটা করুন।” “আর একটা কথা, এই তাবিজটা আপনার মেয়ে যেন বিয়ের এক বছর পর্যন্ত সামলে রাখে। তা না হলে ওর অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।”এই বলে হুজুর রোদেলার মা’কে সালাম দিয়ে ফোনটা রেখে দিলো।
ওর মা কোন কথা চিন্তা না করে রোদেলাকে তাবিজটা পরিয়ে দিয়ে হুজুরের বলা কথাগুলো তাকে বুঝিয়ে বললেন।
এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর রোদেলার বিয়ে হয়ে গেল। কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই ওর বিয়ে হয়ে গেল। রোদেলার হাজবেন্ড এর নাম ডাঃ রায়হান চৌধুরী। সে পেশায় একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
আজ রোদেলা আর রায়হানের বিয়ের ৩ বছর হলো। রোদেলা আজ জানতে পারলো সে প্রেগন্যান্ট। এই খবরটা শুনে তাদের দুই পরিবার তো খুশিতে গদগদ। কিন্তুু এই খবর শুনে রোদেলার মা যতটানা খুশি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চিন্তিতো হয়ে পরলেন। কিন্তুু ঠিক কি কারনে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পরলো সেটা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না।
দেখতে দেখতে তিনটা মাস কেটে গেলো। আর ঠিক তখন থেকেই অনুভব করতে লাগলো তাকে যেন কেউ দেখছে। তার তখন থেকেই অসস্থি হতে লাগলো। প্রায় সময় তার সাথে টুকটাক ছোট ছোট অনেক ঘটনা ঘটতে লাগলো। সে এই সব ঘটনা ওর হাজবেন্ড রায়হানকে বললো। কিন্তুু রায়হান সেগুলোকে সিরিয়াসলি না নিয়ে হেসে উড়িয়ে দিতো। তারপর থেকেই কোন ঘটনা ঘটলেও সে রায়হানকে বলতো না।
এভাবেই তার দিনগুলো যেতে থাকলো। দেখতে দেখতে সাত মাস হয়ে গেল। আর তখন তার সাথে এ যাবত অব্দি যত গুলে ঘটনা ঘটেছিলো তার থেকে সবচেয়ে ভয়ানক ঘটনাটি ঘটে গেলো।
একদিন রাতের বেলা অযথাই তার ঘুমটা ভেঙে গেল। ঘুম ভেঙে দেখে রায়হান তার পায়ের কাছে থ হয়ে বসে আছে। সে রায়হানকে এমন ভাবে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলে, “এই তুমি এতরাতে এভাবে বসে আছো কেন? কোন সমস্যা হয়েছে কি? কিছু লাগবে তোমার?” কিন্তুু সে সেভাবেই বসে আছে। তার কোন হ্যাল দোল নেই। বরং সে তার কথার কোন উওর না দিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে রোদলার দিকে তাকিয়ে আছে। রোদেলা তার তাকানো দেখে কিছুটা ভয় মিশ্রিত কন্ঠে বলে,
” এই তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? কি হলো আমার কথার কোন উওর দিচ্ছো না কেন?”
তখনি পাশে শুয়ে থাকা রায়হানের হাতটা রোদেলার শরীররের উপর পরলো। তখন সে চমকে উঠে পাশ ফিরে দেখে রায়হান তার পাশেই শুয়ে আছে। রোদেলা এই দৃশ্য দেখে প্রচন্ড রকম ভয় পেয়ে যায়। তখন সে একবার পাশে শুয়ে থাকা রায়হানের দিকে তাকায় আবার পায়ের কাছে বসে থাকা রায়হানের দিকে তাকায়।ভয়ে তার গা শিউরে ওঠে আর তার গলা শুকিয়ে কাঁঠ হয়ে আসলো। এমন অবস্থায় সে কি করবে, তার মাথা কাজ করছিলো না। হঠাৎ তার একটা কথা মনে পরলো। তাই সে মনে সাহস সঞ্চয় করে সাথে সাথেই সেই কাজটা করে বসলো। সে পায়ের কাছে বসে থাকা রায়হানকে বা পা দিয়ে সজোড়ে এক লাথি দিল এবং তাৎক্ষনিক সে আর কিছুই দেখতে পেলো না। তখন সে অনুভব করতে পারলো তার গা বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। সে তখন রায়হানকে ডাক দিলো। রোদেলার ডাক শুনে রায়হান চমকে ঘুম থেকে উঠে পরলো। সে জিজ্ঞেস করলো, কী হয়েছে? এসি থাকা সত্তেও তুমি এভাবে ঘামছো কেন? ভয় পেয়েছো নাকি।
রোদেলা বললো,”শরীরটা খারাপ লাগছে। আমাকে একটু পানি খাওয়াতে পারবা?” রায়হান কোন কথা না বলে পানি আনতে চলে গেলো। রোদেলা ইচ্ছে করেই তার সাথে একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি রায়হানকে বলে নি। কারন তার কথা রায়হান কোন ভাবেই বিলিভ করবে না। এসব ভাবতে ভাবতেই রায়হান পানি নিয়ে চলে আসে। সে পানিটা খেয়ে কোন কথা না বলে শুয়ে পরলো। রায়হান পানির গ্লাসটা রেখে রোদেলার পাশে এসে শুয়ে পরলো।
পরদিন সকালে রোদেলা নিজেই হুজুরের কাছে ফোন দিল। আর এই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বললো। তারপর হুজুর সব রিচুয়েল মেনে রোদেলার শরীর বন্ধ করে দিলো। আর সেই সাথে তার বাসাও বন্ধ করে দিলো। এরপরে আর কখনোই তার সাথে আর কোন ধরনের অপ্রিতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
৷৷৷ সমাপ্ত ৷৷৷
এটা কে শুধু মাত্র একটা গল্প মনে করে উরিয়ে দিবেন না। এই গল্পের কিছু ঘটনা বাস্তব থেকে নেয়া।
প্রিয় পাঠকগন আশা করি গল্প টা আপনাদের ভালো লাগবে।