রংধনুতে প্রেমের বাড়ি পর্ব-০৯

0
2861

#রংধনুতে_প্রেমের_বাড়ি
#পর্ব_৯
#ফারজানা_মুমু

অক্ষরের হাতে একগুচ্ছ টকটকে লাল গোলাপ। শুভ্র পরীকে বসে থাকতে দেখে বক্ষস্থলে হাতুড়ি পেটার শব্দ হচ্ছে। দু-লাইন কবিতা আবৃত্তি করে প্রেয়সীর হাতে একগুচ্ছ গোলাপ ধরিয়ে শীতল কণ্ঠে প্রশ্ন করল, কোথায় যাচ্ছি?
-” বৃষ্টিময় পৃথিবীতে বৃষ্টিবিলাস করতে যাচ্ছি।
-” শুধুই কী বৃষ্টিবিলাস? কাদাবিলাস হবে না?

হেসে উঠল চৈতি। গোলাপ হাতে কপাল কুঁচকে প্রশ্ন করল, ভাইয়া যদি চলে আসে?
-” আসবে না।

বাইকের পিছনে বসল চৈতি। মাথা অক্ষরের পিঠে ঠেকিয়ে চোখ বুজে রইল। লুকিং গ্লাসে চৈতিকে চোখ বন্ধ রাখতে দেখে কেশে উঠল। মুহূর্তেই চৈতি সজাক কণ্ঠে শুধাল, জেগে আছি। গাড়িতে বসে ঘুমানোর অভ্যাস নেই।
-” তাই বলে আমার পিঠে মাথা রাখবেন আমার বুঝি লজ্জা নেই?

অবাক হওয়ার ভান করে চৈতি জিজ্ঞাসা করল, আপনি আর লজ্জা? দুটোই ভিন গ্রহের শব্দ।
-” অপমান করার চেষ্টা করছেন?
-” চেষ্টা নয় বরং অপমান করেই ফেললাম।

অক্ষরের মুখের ভাব-ভঙ্গি পরিবর্তন হলো। বাচ্চাদের মত মুখ ফুলিয়ে বসে রইল। মুখ চেপে হাসল চৈতি। এই প্রথম লোকটাকে সে বাচ্চাদের মত আচরণ করতে দেখল।

বাইকের সাথে তাল মিলিয়ে বাতাসের গতি দ্রুত বেড়ে চলেছে। আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে কালো মেঘের দল। সূর্য মামা রাগ করে মেঘেদের বাড়ি চলে গেছে। রাগ কমলে ফিরে আসবে উত্তাপ তেজে। তখন আকাশে থাকবে সাদা তুলোর পেঁজা। চৈতি গান ধরল,মেঘের পালক চাঁদের নোলক
কাগজের খেয়া ভাসছে,
বুক ধুক-পুক চাঁদপানা মুখ
চিলেকোঠা থেকে হাসছে,
মেঘের বাড়িতে ভেজা ভেজা পায়ে
তা-থই তা-থই বরষা,

বাইক থামালো অক্ষর। চৈতি গান থামিয়ে বলল, বাইক থামালেন কেন?
-” নামেন, বলছি।

চৈতি নামল, অক্ষর বাইক রাস্তার সাইডে রেখে চৈতির সামনে দাঁড়াল। কালো মেঘের দলেরা বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শুরু করল। অক্ষরের কৃষ্ণ কালো চুল টপকে মুখে এসে পড়ল বাদল ধারা। বাম হাত পিছনে রেখে ডান হাতে চৈতির হাত শক্ত করে ধরে চারদিকে ঘুরিয়ে বাকি গানটুকু ধরল, কাক ভেজা মন জল থইথই
রাত্তির হোল ফরসা,
আমি তুমি আজ একাকার হয়ে
মিশেছি আলোর বৃত্তে,
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে ..
মেঘের পালক চাঁদের নোলক
কাগজের খেয়া ভাসছে।। ……..

আজ মেঘেরা বুঝেছে তাই তো ঝড় হাওয়া না বয়ে নূপুরের ছন্দের মতন তাল মিলিয়ে রিনঝিনিয়ে ঝড়ছে। আকাশের গুড়ুম-গুড়ুম শব্দরা আজ হারিয়েছে বহু দূরে। চৈতির হৃদয়ে ভয়েরা প্রবেশ করতে যেন না পারে তাইতো টুপটুপ পায়ে জল ছুঁয়ে দিচ্ছে। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে চৈতি বলল, বাসায় যাওয়া যাক?
-” উহু। আপনি এসেছেন নিজ ইচ্ছায় কিন্তু যাবেন আমার ইচ্ছায়।
-” ভিজে যাচ্ছি তাছাড়া আকাশের অবস্থা খারাপ বজ্রপাত হতে পারে। আপনি জানেন তো আমি ভয় পাই।

চৈতিকে থামিয়ে বলল অক্ষর,পুরো শহর আজ ভিজেছে,নতুনের ছোঁয়ায় মজেছে। ধুলোবালি জমানো বৃক্ষপাতা সজীবের রঙে সেজেছে। তাহলে আপনি না হয় আজ রংধনুর প্রেমের বাড়িতে নিজেকে সাজান । ফর্সা দুটো চরণে আজ মিশে যাক বাদল ধারা। আজ ছুঁয়ে দিয়ে যাক আমার হৃদয়াক্ষীর কঠিন চিত্ত। হারিয়ে যাক পুরনো জমা ভয়গুলো। বৃষ্টির ধারার সাথে মিশে যাক ভয়ভীতি। একটা দিন নাহয় ভয়কে জয় করার চেষ্টা করুন।

গলা ভিজিয়ে ঢোক গিলল চৈতি। একবার অন্ধকার হওয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে অক্ষরকে দেখল। লোকটি এখনও তার উত্তরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। শান্ত গভীর নেশালো চোখে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা দায়। তারপর নরম কণ্ঠে বলল, আমি পারব ভয়কে জয় করতে?
-” আমাকে বিশ্বাস করে থাকলে পারবেন। এখন বলুন আমাকে বিশ্বাস করেন তো?
-” হুম।
-” তাহলে আজ বৃষ্টিকে ভয় না পেয়ে আনন্দে সময় ব্যায় করুন। চলুন আমরা আজ কাগজের নৌকা বানিয়ে প্রতিযোগিতা করি।
-” কাগজ পাব কোথায়?
-” হাসালেন। দোকান থেকে আনবো।
-” কাগজের দাম তো আকাশ-চুম্বী।
-” কিনে আনবো। কথা না বাড়িয়ে চলুন তো……!

অক্ষর চৈতির হাত ধরে হেঁটে চলেছে। দুটো মানব-মানবী আজ শিশুসুলভ আচরণ করছে। মজেছে ছোট্ট বেলায় খেয়া পাতার নৌকা প্রতিযোগিতায়।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। কাক ভেজা হয়ে বাসায় এসে জমা বদলিয়ে চৈতি তখন নিজ রুমে চুল শুকাতে ব্যাস্ত। অক্ষরের সাথে থাকা মুহুর্ত অনুভূতির সাগরে কল্পনায় আবারও স্মরণ করল। লোকটার সাথে থাকলে মনে হয় সময় থেমে যাক, ঘড়ির কাঁটা স্থির থাকুক। অক্ষরের সাথে থাকা সময়গুলো মনে হয় অতি দ্রুত চলে যায়। হৃদদেশ হতে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ল সে। তারপর ফোনটা হাতে নিল। কান্তার নাম্বার হতে পনেরোটি মিসডকল, শান্তার নাম্বার হতে সাতাশটি মিসডকল, দশটা ম্যাসেজ। কপালে ফুটল চিন্তার রেখা। শান্তার মিসডকল দেখে চিন্তা না হলেও কান্তার নাম্বার হতে এতগুলো মিসডকল দেখে অবাক হলো। কান্তার নাম্বারে ডায়াল করতেই সাথে সাথে রিসিভ করে উত্তেজিত কণ্ঠে ধমকে উঠল, এই মেয়ে সমস্যা কী? কতগুলো ফোন দিয়েছি দেখেছিস?

কান্তার উত্তেজিত কন্ঠ কানে বাজলো। আবারও অবাক হলো। শান্ত-শিষ্ট মেয়েটা আজ ছটপট করছে কেন। বলল, হয়েছি কী? আমার হাত পা কাঁপছে কিন্তু!
-” জয়-বিজয় আসবে ওদের বাবা মাকে নিয়ে। দোস্ত আমি ভীষন নার্ভাস ফিল করছি। যদি ওদের বাবা-মা আমাদের পছন্দ না করে তখন কী হবে?

অজান্তেই হেসে দিল চৈতি। সোনায়-সোহাগা দুটো মেয়েকে রিজেক্ট করার প্রশ্নই যেখানে আসেনা, সেখানে এরা ভয় পাচ্ছে। বুঝিয়ে বলল, জয়-বিজয় আছে চিন্তা করিস না।

কান্তার হাত থেকে ফোন নিলো শান্তা। উৎসাহিত কণ্ঠে বলল, দোস্ত চিন্তা করব না মানে জানিস আমি তো কাঁপছি রীতিমত। স্বপ্ন নাকি বাস্তব মিলাতে পারছি না।
-” বিয়ের জন্য পাগলী হয়ে গেছিস বুঝতে পেরেছি। এখন বল এইটুকু বলার জন্য এত‌গুলো মিসডকল দিয়েছিস?

দুজন একসাথে বলল, না রে দোস্ত। তোকে আগামীকাল আসার জন্য ফোন দিয়েছি। জানিস তো আমরা দুবোন। বাবা মা ছাড়া কেউ নেই। এখন যদি আসিস তাহলে একটু ভরসা পেতাম।
-” কিন্তু ভাইয়া!
-” চয়ন ভাইয়াকে নিয়ে ভাবতে হবে না। আমরা ফোন দিয়ে ভাইয়াকে বলব। চাঁদ মামুনিকে আনতে ভুলবি না কিন্তু!

ফোন কাটল চৈতি। শান্তা-কান্তা তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা পাচ্ছে কিন্তু তার ভালোবাসা? পূর্ণতা পাবে কী?

****
কালো শাড়িতে গোল্ডেন পাড়ের কাজ। আঁচলে লাল কালো মিক্সড। কানে ঝুমকো, কপালে ছোট্ট টিপ, ডানহাতে গোল্ডেন – কালো ব্রেসলেট । বিছানার উপর থেকে পার্স নিয়ে চাঁদকে বলল, চাঁদ মামুনি দেখো তো আমায় কেমন লাগছে?
-” তোমায় পলি পলি লাকছে তুপ্পি।
-” তাই!
-” হুম। আমায় তেমন লাতছে?
-” আমার চাঁদকে তো প্রিন্সেস লাগছে।

চৈতির প্রশংসায় দাঁত বের করে হাসল চাঁদ। ননদ-মেয়েকে দেখে ঝুমুর ভ্রু কুচকালো। তাদের কথা-বার্তায় চোখ ছোট করে বলল, তোরা যেভাবে সেজেছিস মনে হচ্ছে তোদেরকেই দেখতে আসবে।
-” কেমন দেখাচ্ছে আমায় ভাবি?
-” অনেক সুন্দর। বলি ননদিনী আপনার হাব-ভাব দেখে মনে হচ্ছে ব্যাক্তিগত মানুষের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। আমি কিন্তু ধরে ফেলেছি প্রেম রোগে আক্রান্ত আপনি। কারণ, আমিও তো একসময় প্রেম রোগের রোগী ছিলাম। চোখ মুখ দেখলেই বুঝতে পারি। এখন শুধু নামটি জানার অপেক্ষা!

চোখে মুখে ফুটে উঠল লজ্জা। ঝুমুর ধরে ফেলবে সে বুঝেনি। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল, কী যে বলনা ভাবি, আমি কেন প্রেম করব?
-” আমায় বুঝাতে এসো না ননদিনী। আজকাল দেখছি ছাদে ঘুরাঘুরি একটু বেশিই কর, ফোনে টাইপিং কর, বৃষ্টিতে ভিজে সন্ধ্যায় বাসায় আসো। তোমার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে তুমি প্রেম করছ। আমায় বলবে না?

শেষটুকু অভিমানী কণ্ঠে বলল ঝুমুর। চৈতি মুচকি হেসে ঝুমুরের গলা জড়িয়ে বলল, তোমায় না বললে আর কাকে বলব বলো তো! তুমিই তো আমার একমাত্র ভরসা। হুম তুমি ঠিকই ধরেছো। আমি একজনের ভালোবাসায় খুব ভালোভাবেই ফেসেছি কিন্তু তাহার নাম এখন বলব না। সিক্রেট। সুযোগ হলে তোমায় আগে জানাবো ।
-” সত্যিই তো?
-” পাক্কা প্রমিজ।

ঝুমুরকে বিদায় জানিয়ে বাসা থেকে বের হলো চাঁদ-চৈতি। বেশকিছুক্ষণ হাঁটার পর চাঁদ মুখ ফুলিয়ে বলল, রিক্কা নিবে না তুপ্পি? পাপা গাড়ি নিয়ে তলে গেছে। আমাল পা ব্যাথা কলে।
-” নিবো তো মামুনি। সামনেই আমরা বাইকে উঠব।
-” আত্তা।

দুই মিনিট হাঁটার পর অক্ষরকে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল চৈতি। গায়ে ব্ল্যাক পাঞ্জাবি,মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, চোখে ব্ল্যাক সানগ্লাস। বয়স চৌত্রিশের উপরে কিন্তু লোকটাকে দেখে কেউ বিশ্বাস করবে না। বলবে চব্বিশ/পঁচিশ হয়তো। অক্ষর চাঁদ-চৈতিকে দেখে এগিয়ে আসলো। চাঁদ তো মামাকে দেখে গলা জড়িয়ে বলল, তোমায় অনেক তুন্দর লাতছে মামা।
-” আমার চাঁদ মাকেও তো ভীষন সুন্দর লাগছে একদম প্রিন্সেস।

দু-হাত মুখে ধরে হাসলো চাঁদ তারপর ভাঙ্গা ভাঙ্গা কণ্ঠে বলল, তুপ্পিও আমায় প্রিন্সেস বলেছে মামা। তমলা একই লকম জামা কেন পলেছ?

এখনকার বাচ্চারা একটু বেশিই পাকা। অক্ষর ঠোঁট চেপে হেসে চৈতিকে চোখ মে’রে বলল, আমরা কেন সেজেছি ম্যাম?

চোখ গরম করল চৈতি তারপর চাঁদকে মিষ্টি হেসে বলল, বাসায় কাউকে বলবে না তোমার মামা আমাদের সাথে যাচ্ছে কিংবা ম্যাচিং ড্রেস পড়েছি বুঝেছ মামুনি?

চাঁদ মাথা দুদিকে দুলিয়ে বলল, আত্তা বলব না।

অক্ষর চাঁদকে বাইকের সামনে বসিয়ে একবার চৈতিকে দেখল । ফ্লাই কিস দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল, ভয়ংকর সুন্দরীদের প্রেমে পড়তে নেই। কারণ তাদের নেশালো চোখ প্রেমিকের হৃদয় র’ক্তা’ক্ত করতে সক্ষম। আপনি একজন ভয়ংকর রমণী আপনার উত্তাপে আমি জ্ব’লে পুড়ে দ’গ্ধ হচ্ছি। প্রতি নিয়ত আপনাকে নতুন-নতুন রূপে আবিষ্কার করছি। আচ্ছা আমি একা না দ’গ্ধ হয়ে যদি দুজনে একসাথে দ’গ্ধ হ‌ই তাহলে খুব বেশি কী অন্যায় হবে?

নেশাময় কণ্ঠের বাক্যগুলো মধুর মত লাগল চৈতির। শরীরে বয়ে গেল লজ্জার শীতল পরশ। আরো একবার অক্ষর দেখল চৈতির লজ্জামুখ। দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে অক্ষর বলল, চলুন না বিয়ে করে ফেলি। প্রেম সংগ্রাম বাতিল করা যায় না? বিজয়ী ঘোষণা করে আমায় আপনাতে সীমাবদ্ধ থাকতে আদেশ দেওয়া যায় না?
-” উহু! প্রেম সংগ্রাম চলছে, চলবে। আমি যেদিন বলব সংগ্রাম শেষ, আপনার মুক্তি দিয়েছি সেদিন না হয় বিজয়ী ঘোষণা করব। জানেন তো অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়।
-” আমার কাছে আপনি সব সময় মিষ্টি চৈতি।

বেশ কিছু সময় চুপ থেকে চৈতি প্রশ্ন করল, জয়-বিজয়কে আপনি কবে থেকে চিনেন? ওরাই আপনাকে যেতে বলেছে তাই তো!
-” হুম। জয়-বিজয়ের সাথে আমার ইন্টার প্রথম বর্ষে পরিচয়। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সবে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। আমি ছোট দেখেই শান্ত-শিষ্ট ছেলে । পড়াশোনা, বই পড়া, ক্রিকেট খেলা এবং গান চারটা জিনিসে পারদর্শী ছিলাম। সাইন্স নিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার দুমাস পরে আরেকটি কলেজের সাথে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জয়-বিজয় ছিল কমার্সের ভালো স্টুডেন্ট। কলেজ কর্তপক্ষ কয়েকজন ভালো স্টুডেন্ট নিয়ে টিম তৈরি করে সেই টিমে আমি ছিলাম লিডার, জয়-বিজয় সদস্য। সেই থেকে ওদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো। ক্লাস শেষ হলেই তিন বন্ধু দেখা করা, ঘুরাঘুরি করা, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করা। আমরা তিনজন বিতর্ক প্রতিযোগিতা কিংবা কুইজ খেলার অংশগ্রহন করলে বিপক্ষ দল এগিয়ে আসত না।
-” বাহ তাহলে তো বেশ দাপটে চলতেন।
-” হুম। তা বলা যায়।
-” জয়-বিজয় তো ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনার্স করেছে কিন্তু আপনি? আচ্ছা আপনি করেন কী? আই মীন জব কী আপনার। আমি তো সারাদিন দেখি ল্যাপটপ নিয়ে পরে থাকেন।

শান্ত হেসে উত্তর দিল অক্ষর, ডিআইজি।

##চলবে,
®ফারজানা মুমু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে