গল্প: যোগ্যতা
লেখক: অতিথি পাখি
পর্ব: ০৮/ শেষ
৩ বছর পরে,,,,,,,,,,,,,
রাইসা: আব্বু আর তত দুমাবে আলমু দাকে।
আমি: হ্যাঁ আম্মু উঠবো তো একটু দাড়াও।
রাইসা: তা আমি তা আলাপনা এক্ষুনি উঠ।
রাইসা জাহান নীলন্তী আমার মেয়ের নাম।
সকালবেলা তার মা আমাকে ডাকতে পাঠিয়েছে। আমি আবার খুব ঘুম পাগল তো।
নীলা: রাইসা তোমার আব্বুকে এখনো ডেকে ওঠাও নি??
রাইসা : আলম্মু আব্বুকে ডাকতি তো আলব্বু তো উতেই না,,,,,
নীলা: আচ্ছা ঠিক আছে মা তুমি গিয়ে ভাইয়ার সাথে খেলা করো আমি তোমার আব্বুকে উঠাচ্ছি ।
রাইসা: আত্মা মাম্মা।
নীলা: সাহেব এখন উঠে পড়ু
নীলাকে আর কোন কথা বলতে না দিয়ে নিজের বুকের মাঝে টান মেরে দুই ঠোঁট এক করে দিলাম।
কিছু সময় পরনি তাকে ছেড়ে দিলাম আর নীলা আমার বুকে, কিল ঘুষি মারতে মারতে বলতে লাগলো,,,,
নীলা: কি মানুষের আপনি সব সময় কি শুধু দুষ্টুমি করতে মন চায় । যখন তখন শুরু হয়ে যায় বাচ্চারা দেখে ফেললে তা কি হত।
আমি: কিছুই হতো না। বাচ্চারা দেখতো তার বাবা তার মাকে কত আদর করে।
নীলা :হয়েছে আর ঢং করতে হবে না । উঠোন উঠে নাস্তা করতে আসুন ।
এই কথা বলে নীলা চলে গেল আর আমি বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম কি হয়েছিল
৩ বছর আগে,,,,,
ডাক্তার: দেখুন রায়হান সাহেব আমরা আপনার স্ত্রী কে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাঁকে বাঁচাতে পারিনি।
ডাক্তারের কথা শুনে আমার পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আমি কোনো কথা বলতে পারছি না । নীলার এই অবস্থায় জন্য আমি দায়ী। আমি আমার ছেলের মাকে মেরে ফেলাছি ।
তারপর আমি হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠলাম। দেখলাম আমি হসপিটালের বেঞ্চে বসে আছি।
আমি :তার মানে আমি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম। আমি এতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম ।
(কি পাঠক পাঠিকারা আপনারা কি নীলাকে মেরে ফেলে ছিলেন নাকি??)
আমার চিৎকার শুনে বাবা-মা আমার কাছে আসলো জিজ্ঞাসা করল কেন আমি চিৎকার দিলাম। আমি তাদের বললাম যে শুধু একটি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি।
এরই মাঝে ডাক্তার অপরেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে আসলো। আমি ডাক্তারের কাছে এগিয়ে গেলাম,,,,,
আমি: ডাক্তার আমার নিলা কেমন আছে? ওর কিছু হয়নি তো??
ডাক্তার :চিন্তার কোন বিষয় নেই উনি এখন সম্পূর্ণ ঠিক আছেন তবে ওনার সুস্থ হতে কিছু দিন সময় লাগবে।
আমি: ডাক্তার আমি কি নীলার সাথে দেখা করতে পারি??
ডাক্তার: হ্যাঁ অবশ্যই দেখা করতে পারেন??
তারপর আমি নীলার আর কাছে গেলাম গিয়ে দেখলাম নীলা শুয়ে আছে ।
আমি :নীলা কেমন আছো?
নীলা:,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি: নীলা প্লিজ কথা বলো আমার খুব কষ্ট হচ্ছে । (বলেই আমি কেঁদে দিলাম)
নীলা :এই একদম কাঁদবেন না আপনার চোখের পানি যে আমার একদম সহ্য হয় না আপনাকে বড্ড ভালোবাসি।
বলে নীলা আমাকে জড়িয়ে ধরল আমিও নিলা কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম ।
নীড় : আব্বু তুমি আম্মুকে জড়িয়ে ধরেছ আমাকে ধরলে না??
নীড়ের কথা শুনে আমরা একে অপরকে ছেড়ে দিয়ে পিছনে তাকালাম দেখি নীড় গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তারপর কি তাকে কাছে নিয়ে দুজনে জড়িয়ে ধরলাম ।
তারপর আর কি নীলা কে বাসায় নিয়ে আসলাম নিয়ে এসে বেশ কিছুদিন সেবা-যত্ন করলাম। তারপর সে সুস্থ হয়ে গেল।
হঠাৎ একদিন রাতে দেখে নিলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাজেছে।
আর কি পিছন থেকে জড়ায়ে ধরলাম। নিলা একটু কেঁপে উঠলো। নীলার কানে ফিসফিসে বললাম,,,,
আমি: আজকে অনেক ভালোবাসবো,,,,,,,,,,,
বলে নীলার ঠোঁট জোড়া নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলাম। আস্তে আস্তে বিভোর হয়ে গেলাম একে অপরের নেশায়। নীলা আমার বুকে খামচে ধরলো আমিও নীলার কোমর জড়িয়ে ধরলাম। তার বুক থেকে শাড়ির আঁচল টা ফেলে দিলাম। তারপর তারপর তারপর
(তারপর আসলে কি হলো আমি ঠিক জানিনা। আমি এ সিঙ্গেল মানুষ তো। কেউ যদি জেনে থাকেন দয়া করে বলবেন)
এভাবেই আমাদের জীবন চলতে থাকলো। হঠাৎ একদিন নীলা জানালো আমাদের ঘরে নতুন অতিথি আসতে চলেছে।
তারপর কি একদিন আমাদের ঘর আলো করে আমার মেয়ের রাইসা জাহান নীলান্তী আসলো ।
বর্তমান,,,,,,
নীড়:আব্বু চলো আম্মু ডাকছে খেতে নইলে আবার আম্মু তোমাকে বকবে ।
আর কি ছেলের সাথে চলে গেলাম খেতে। টেবিলে আমার আব্বু আম্মু আমি নিলা নীড় নীলন্তী সবাই একসাথে খেতে বসে গেলাম। খাওয়া-দাওয়ার মাঝে হঠাৎ করে নীড় বলে উঠলো,,,,,,
নীড়: আব্বু আজকে ছুটির দিন বেড়াতে যাবে না??
আমি: হ্যাঁ বাবা বেড়াতে যাব তো ।
তারপর আর কি খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই বেড়াতে গেলাম। তারপর রাতে বাসায় আসলাম।
বিছানায় শুয়ে আমি নীলাকে বলতে লাগলাম ,,,,,,,,,,,,,,
আমি : নীলা আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলার আরেক টা সাথী প্রয়োজন ।
আমার কথা শুনে নীলা কিছু বলল না শুধু লজ্জায় হাত দিয়ে মুখটা ঢেকে ফেললো ।
তারপর বাকিটা ইতিহাস,,,,,,,,
সমাপ্ত,,,,,,