গল্প: যোগ্যতা
লেখক: অতিথি পাখি
পর্ব: ০৬
আমরা ভালো ভাবে গান শেষ করলাম
সাথে সাথে আমার গালে কেউ থাপ্পড় দিল
ঠাসস ঠাসস,,,,,,,,
আমি ঘুরে যাকে দেখলাম তাকে দেখে আমি একদম অবাক হয়ে গেলাম। সে আর কেউ না সে হলো আমার বান্ধবী প্রিয়া সাথে সুমনও আছে।
প্রিয়া :কেমন করে পারলে আমাদের ছেড়ে থাকতে
আমি:,,,,,,,,,
সুমন : ও কি আমাদের বন্ধু ভাবে যদি ভাবতো আমাদের জন্য হলেও শত কষ্ট সহ্য করে থেকে যেত।
আমি: আমি আসলে তোদের ছেড়ে আসতে,,,
এর মাঝে সবাই আমাদের কান্ড দেখে অবাক। জনগণের মধ্যে আমরা আর কোনরকম কিছু করতে চাচ্ছিলাম না তাই আমি সেখান থেকে চলে আসলাম আর প্রিয়া সুমনেরা নিজেদের পারফরম্যান্স শুরু করল।
আমি সুমন প্রিয়া তিনজন মুখোমুখি বসে আছি সাথে আছে নীড় । সেখানে আমরা কিছু কথা বললাম এবং তারা আমাকে জোর করে আমার বাসায় আমার নিজের শহরে নিয়ে আসলো ।
*** গল্পটা খুব বেশি বড় করবো না আর এক দুই পর্বের মধ্যে শেষ করে দেব। আমি নিজেও একজন পাঠক আর জানি গল্প বেশি বড় হলে পড়ার আনন্দ থাকে না তাই খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দেব***তাই ঘটনা গুলো খুব শর্ট করে দিলাম।।।
আমি নিজের বাসায় আসলাম এসে নীলাকে দেখে খুব অবাক হলাম আমি তো ভেবেছিলাম সে হয়তো নতুন কাউকে জীবনসঙ্গী করে নিয়েছে। আমাকে দেখে আমার মা-বাবা দৌড়ে আসলো আমার কাছে
বাবা: এতদিন কোথায় ছিলে বাবা আমাদেরকে একটুও মনে পড়েনি ।
মা: বল বাবা আর কোনদিন কোথাও যাবে না।
আমি :সেসব কথা পরে হবে আগে বল ওই মেয়ে এখানে কি করছে(( নীলার উদ্দেশ্যে ।))
নীড়:আব্বু এরা কারা কে হয় ?
হঠাৎ পিছন থেকে নেটের আওয়াজ শুনে সবাই নীড়ের দিকে তাকালো।
মা :বাবা এটা কে??
আমি : মা এটা তোমাদের নাতি নীড় ।
মা নীড়কে কে আদর করতে থাকলো । এমন সময় নীলা নীড়ের কাছে যেতে চাইলো কিন্তু আমি নিলাকে তার আগে আটকে দিলাম
আমি : এই যে আপনি ওর কাছে কেন যাচ্ছেন আপনি খবরদার আমার সন্তানের কাছে যাবেন না
নীলা :কি বলছেন আপনি? নীড় তো আমারও সন্তান আমি ওর মা ।
আমি :হাসালেন আপনিও কখনো এর মা হতে পারেন না।
নীড় :আব্বু এটা কে??
আমি আব্বু এটা তোমার একটা আন্টি হয়
নীড় :আব্বু আমি আন্টির কাছে যাব??
আমি : না বাবা তুমি এ আন্টির কাছে যেও না এই আন্টি খুব পচা তোমাকে মারবে।।
নীড় : তাই বাবা খুব পাচা তাহলে আমি যাব না।
নীলা আমার দিকে খুব করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল কিন্তু আমি কিছু না বলে সেখান থেকে নীড়কে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। আমি চাইনা নীড়ের উপর নীলার ছায়া পড়ুক । নিলা নীড় কে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আমি এত সহজে কি করে ভুলে। আমি নিজের ঘরে এসে দেখি আমার সব কিছু আগের মতই আছে। হয়তো নীলা রেখেছে।
আমি আর নীড় ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি এমন সময় মা আমার রুমে আসে।
মা : বাবা তুই রাগ না করলে আমি কিছু কথা বলতে চাই ।
আমি: হ্যাঁ মা বল।
মা : দেখ বাবা নিলা না হয় একটাও ভুল করে ফেলেছে সেই ভুলের জন্য চারটি বছর শাস্তি পাচ্ছে। ওর বাবা-মা ওকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। তুই দয়া করে ওকে ক্ষমা করে দে।
আমি : দেখো মা তুমি এ নিয়ে কোন কথা বলোনা। আমি নীলাকে ক্ষমা করে দেবো। কিন্তু তাকে বোঝাতে হবে যে সে কত বড় ভুল করেছে। তাকে কিছুদিন শাস্তি দিয়ে নেই তারপরে ক্ষমা করে দেব।
মা : আচ্ছা বাবা দেখ যা ভালো হয় তুই তাই কর তবে বেশি বাড়াবাড়ি করিস না।
এই কথা বলে মা সেখান থেকে চলে গেল আর আমি শুয়ে নীলার আর কথা ভাবতে থাকি।
এমন সময় দেখে নীলা আমার ঘরের দরজায় উঁকি দিচ্ছে ।
নীলা :আমি কি ভেতরে আসতে পারি??
আমি :কোন প্রয়োজন না থাকলে আসার কোন দরকার নেই ।
নীলা কোন কথা না বলে ঘরের ভিতরে আসলো। এসে
নীলা: আমার আপনাকে একটা অনুরোধ করার
ছিল।
আমি :বলুন কি বলবেন??
নীলা :আমি নীড় কে একবার আদর করতে চাই। দয়া করে আমাকে মানা করবেন না আমি তোর মা মা হয়ে সন্তানের থেকে আমি আর দূরে থাকতে পারছি না ।
আমি :কিসের মা?? আপনি কি আদও মা হন?? আপনার কি মনে নেই ও গর্ভে থাকতে ওকে কি বলে গাল দিয়েছেন ।ওকে আপনি মেরে ফেলতে চেয়েছেন তার পরেও।
নীলা :দেখুন আমার ভুল হয়ে গেছে, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দে আমার সন্তানের কাছে যেতে দিন ।
আমি :ঠিক আছে, তবে শুধুমাত্র একবারের জন্য বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। এতগুলি বছর আমি যেমনই নীলকে একা মানুষ করেছি ভবিষ্যতেও তাই করব আপনার ছায়া আমি ওর উপরে পড়তে দেব না।
আমি এই কথা বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। দরজার আড়াল থেকে ওকে দিয়ে দেখলাম নিলা নীড়কে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করছে আর গালে মুখে চুমু খাচ্ছে। আরে নীড় সেগুলো উপভোগ করছে । আমি তাকে দুপুরে নীলার কাছে যেতে মানা করেছিলাম কিন্তু তাও সে কোন বাধা মানছে না হয়তো এটাই মা সন্তানের ভালোবাসা।
আমি রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে নীড়কে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি হঠাৎ মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় আর ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,