গল্প: যোগ্যতা
লেখক: অতিথি পাখি
পর্ব: ০৩
এমন সময় নিলা যা বলল তা শুনে আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারছি না
নীলা : আমি এই বাচ্চা চাই না আমি এবরশন করাতে চাই।
আমি :কিন্তু কেন নীলা ??তুমি এমন কথা বলছ কেন??
নীলা : কারণ আমি কোন ধর্ষকের সন্তান আমার গর্ভে রাখতে চাই না। ধর্ষণের ফলে আমার গর্ভে এসেছে।।
আমি :নীলা এগুলো তুমি কি বলছো?? ধর্ষণ মানে? আমি কি তোমাকে ধর্ষণ করেছি? আমি তোমার স্বামী আমার অধিকার আছে।
নীলা :আমি কোন কথা শুনতে চাই না। ধর্ষণ মানে ধর্ষণ ।আমি এই নোংরা কিটকে, নর্দমার কিটকে আমার গর্ভে রাখতে চাইনা।
আমি : নর্দমার কীট মানে কি নীলা??সন্তান টা কি শুধু আমার তোমার কি নয়??
নীলা: না,, এ সন্তান আমার না এটা শুধু আপনার ধর্ষণের ফসল আর আমি আমার গর্ভে রাখতে চাই না।
ঠাসস ঠাসস,,,,,
আমি নীলাকে রাগের মাথায় দুটো থাপ্পড় মেরে দিলাম । বারবার নর্দমার কীট নর্দমার কীট শুনতে শুনতে আমার রাগ উঠে যায় ।আমার হয়তো দোষ ছিল কিন্তু আমার সন্তান সে তো নিষ্পাপ তাকে এমন ভাবে বলার কি দরকার ছিল।
সেখানে আর কোন কথা না বলে বাসায় চলে আসলাম ।বাসায় আসার পরে নীলা রুমে চলে গেল।
বাবা :কিরে কি খবর ডাক্তার কি বলল।
মা :কোন সমস্যা হয়নি তো??
আমি: না মা কোন সমস্যা হয়নি আর তোমাদের জন্য একটি খুশির খবর আছে
মা :কি খুশির খবর??
আমি: বাড়িতে নতুন অতিথি আসতে চলেছে তোমরা দাদা দাদী হতে চলেছ।
মা : তা নীলা এমন ভাবে চলে গেলে কেন??
বাবা: আরে বোঝনা কেন সে হয়তো লজ্জা পেয়েছে।।
বাবা-মা অনেক খুশি হল। আমি সেখান থেকে নিজের রুমে চলে আসলাম এসে দেখে নিলা বিছানায় মুখ খুঁজে কান্না করছে।
আমি: নীলা কান্না করো না।
নীলা: ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমি :নীলা কি হলো কোন কথা বলছো না কেন?? আর কান্না করছো কেন??
নীলা :কান্না করব না তো কি করবো বলুন। আপনার সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমার জীবন নষ্ট হয়ে গেছে ।আপনি আমার জীবনটা কেন নষ্ট করেছেন। আপনার জন্য আমি আমার কোন বান্ধবীর সামনে দাঁড়াতে পারি না লজ্জা কারণ আপনি একজন অশিক্ষিত??
আমি: ,,,,,,,,,,,,,,,
নীলা : তারা সবাই আমাকে দেখে হাসাহাসি করে শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আমি: আমি,, কি তোমাকে ইচ্ছে করে বিয়ে করেছিলাম । তোমার বাবার সম্মান বাঁচাতে তোমাকে বিয়ে করেছিলাম। তার প্রতিদান এইভাবে পেতে হচ্ছে ।
নীলা: ,,,,,,,,,
আমি : আসলে কথায় আছে না উপকারীর কপালে জুতার বাড়ি আমার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
নীলা: ,,,,,,
আমি :আচ্ছা তুমি আমার সন্তানকে জন্ম দিয়ে আমায় দিয়ে দাও আমি তোমাকে চিরতরে মুক্ত করে দেবো দয়া করে আমার সন্তানকে কিছু করোনা। আমি আমার শহর সবকিছু ছেড়ে চিরতরে চলে যাব।
আমি এ কথা বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। নীলা আমার কথায় রাজি হয়েছে । সে আমার সন্তানকে দেবে দিয়ে চলে যাবে। এভাবে আমাদের দিন চলছে আমি এখন খুব একটা বাইরে থাকি না। নিলার অনেক যত্ন নি ই। কিন্তু সে আগের মতই আছে। সুযোগ পেলে আমাকে অপমান করে কিন্তু আমি আমার সন্তানের কথা চিন্তা করে থাকি কিছুই বলি না।
একদিন রাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,,,,
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে দেখে সে একদম বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে। তাকে দেখলেই বোঝা যায় আমি আমার সন্তান তার গর্ভে বেড়ে উঠছে । আমার একটু ইচ্ছা হয় তার পেটে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিতে ।যে আমার সেই কাজ। আমি গিয়ে তার পেটে হাত তুলে দিলাম আমার সন্তানকে অনুভব করলাম ।এরপর আমার মনে হলো নীলাকে তো আমি আর কিছুদিন পর হারিয়ে ফেলবো তাই তার কপালে একটা চুমু দেই। যে আমি তার মুখের কাছে গেলাম সে চোখ খুলে ফেলল আর,,,,,,
ঠাসস ঠাসস,,,,,,,,,
নীলা :তোর ভিতরে কি একটুও মানবতা নেই।
আমি নীলা আমার কথা শোনো
নীলা তোর কি কথা শুনবো রে আমি ৬ মাসের গর্ভবতী তুই আমার দিকেও শারীর িক সম্পর্কের জন্য এগিয়ে আসিস। তুই তো মানুষ না রে তুই তো জানোয়ার। তুই তো অনেক সন্তান সন্তান করছিলি তোর এই কাজের জন্য এত তার ক্ষতি হতো।
আমি:,,,,,,,,,,
নীলা: তুই এই ঘর থেকে বেরিয়ে যাবে না হলে কিন্তু আমি কোন একটা ক্ষতি করে ফেলব।
আমি আর কোন কথা না বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম। শীতের রাতে সারারাত বাহিরে থাকলাম।
যাইহোক এভাবেই আমাদের দিন চলতে থাকে। নীলা আমার সাথে সব সময় বাজে ব্যবহার করে। নীলার নয় মাস চলছে। আর ডাক্তাররা কিছুদিন পরে ডেলিভারি ডেট দিয়েছে।
একদিন বাহিরে ছিলাম মা ফোন দিল আর বলল নীলাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে পৌঁছালাম। আমার বাবা মা নীলার বাবা-মা সবাই এসেছে। নীলাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর কিছু সময় পর নার্স বেড়িয়ে এসে,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,
ধন্যবাদ,,,