মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৫
লেখক/ ছোট ছেলে
********
নীলা/ কি যতবড় মুখ নয় ততবড়
রিমির চুলের মুঠি ধরে বললো
যা ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে আমাদের জন্য নাস্তা বানা
রিমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে
হয়তো ভাবছে আমি হয়তো তার হয়ে নীলাকে কিছু বলবো
আমি/ এই কি ভাবছিস মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থেকে
নীলা কি বলছে শুনতে পাসনি
রিমি নীরউপায় তাই কিছু না বলে ঘর ঝাড়ু দিতে লাগলো
ঘর ঝাড়ু দেয়া শেষ
নীলা/ কি হলো এখনও দাড়িয়ে আছিস কেন যা এখান থেকে
রিমি বের হয়ে যাচ্ছে
এমন সময় নীলা
নীলা/ এই শোন আমার অনুমতি ছাড়া যখন তখন হুট করে এ ঘরে ঢুকবিনা
মনে থাকে যেন
মাথা নিচু করে সবকিছু সহ্য করে রিমি চলে গেলো
নীলা দরজাটা বন্ধ করে দিলো
আমি আর নীলা আবারও দুজনে শুয়ে রইলাম
একটু পরে রিমির দরজা পাশে এসে আওয়াজ দিলো
নীলা/ কে
রিমি/ আমি আপনাদের কাজের মেয়ে
নাস্তা বানানো শেষ সাহেবকে নিয়ে খেতে আসেন
রিমির মুখে কাজের মেয়ে আর সাহেব ডাকটা শুনে কেমন জানি লাগলো
নীলা/ তুই যা আমরা আসতেছি
চলো সোনা নাস্তা হয়ে গেছে খেয়ে আসি
আমি/ হুমমমম চলো
নীলা আর আমি দুজনে খেতে বসলাম
নীলা/ কি ব্যপার তুমি এখনও এখানে কি কর নাকি হিংসে হচ্ছে আমাদের এমন সম্পর্ক দেখে
রিমি/ হিংসে কাকে করবো আর কেন করবো
আমার আদর্শবান স্বামীতো আর আমায় রেখে দুটাকা
একটা মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছেনা
নীলা কেঁদে কেঁদে আমাকে বলতে লাগলো
নীলা/ দেখ জানু তোমার সামনে এই কাজের মেয়েটা আমাকে কি বলছে
আমাকে এখানে এনে এভাবে বউকে দিয়ে অপমান না করলেও পারতে
নীলার কান্না দেখে আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়
তাই রিমিকে একটা চড় মেরে বললাম
আমি/ ক্ষমা চাও ওর থেকে
রিমি/ কখনওই না ওর মত দুটাকার দামের একটা নষ্টা মেয়ের কাছে আমি কখনওই মাথা নত করবনা
আমি/ কাকে তুই নষ্টা বলছিস নীলাকে হা হা হা
আরে নষ্টা তো তুই বিয়ের আগে নিজের শরীর অন্যদের বিলিয়ে দিয়েছিস
সরি বল নয়তো তোকে এই বাড়ি থেকে বের করে দিবো
বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয়া রিমি নীলাকে সরি বলতে বাধ্য হলো
খাওয়া শেষ করে আমি আর নীলা উঠে গেলাম
আর রিমি বুক ভাসায় চোখের জলে
কিন্তু তা হয়তো আমার চোখে পড়েনা
আমি/ তুমি কি এখন চলে যাবে
নীলা/ হুমমমম কেন
আমি/ না এমনি চলো তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি
বেরিয়ে যাবো এমন নীলা রিমিকে বলে
নীলা/ এই শোন আমার জানুকে তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি
খুব ভালো করে খেয়াল যত্ন নিবে
আর হ্যাঁ যখন তখন ওর কাছে গিয়ে ওকে বিরক্ত করবেনা
চলো জানু
নীলাকে একটু এগিয়ে দিয়ে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দিলাম
সাথে কিছু টাকাও দিলাম
আর বললাম সময় হলে যেন রাতে আসে
নীলা চলে যাচ্ছে
আমি আবার বাসায় ফিরলাম একটা সিগারেট টানতে টানতে
এসে দেখি রিমি কাঁদছে
আমি/ এত কাজ পড়ে আছে আর তুই এখনও বসে বসে কাঁদতেছিস
বলি এসব কাজ করার জন্য কি বিয়ে আমাকে আরেকটা করতে হবে নাকি
রিমি/ খবরদার আপনার ঐ নোংরা হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবেন না
আপনি নষ্টা বাজে একটা মুখোশধারী একটা অমানুষ
আমি চাইনা আপনার ছোঁয়ায়
আমি অসত্বী হতে
আমি/ কি বললি আমি নষ্টা অমানুষ
তোকে আজ আমি
রিমি/ কি মারবেন মারুন
রিমি তার দেহে জড়িয়ে থাকা শাড়িটা ফেলে দিয়ে বললো
রিমির কাপড় সরাতে তার সারা শরীরে ক্ষত বিক্ষত দাগ গুলো আমার চোখে পড়লো
ইসসসসস…. কি বাজে ভাবে তাকে মারলাম
কিছুই বলিনি মাথা নিচু করে চলে আসলাম
রুমে ঢুকে ডাঃ চাচাকে ফোন দিবো ভাবছি
কিন্তু ডাঃ চাচাতো আমার পরিচিত তাই তাকে আনা যাবেনা
তাই রিমিকে সাথে করে অন্যকোন হাসপাতালে নিয়ে যাবো ভাবছি
আমি/ এই শোন কাপড়টা বদলে নাও
রিমি/ কেন
আমি/ এতকিছু বলার আর জানার তোমার দরকার নেই যা বলছি তাই করো
বাসার সামনে একটা সি এন জি ডেকে আনলাম
আমি/ কি তোমার হলো
রিমি বেরিয়ে আসলো
রিমি/ আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন
আমি/ জমের বাড়ি কথা না বলে চুপ করে থাকো
রিমিকে উঠিয়ে দিয়ে আমিও উঠলাম
রিমি বড্ড দুর্বল তাই আমাকে ধরে বসলো
উফফফফ….. জ্বরে রিমির শরীর পুঁড়ে যাচ্ছে
দেখতে দেখতে হাসপাতাল চলে এলাম
একজন মহিলা ডাঃ কাছে নিয়ে গেলাম
ম্যাম/ কি হয়েছে আপনার
আমি/ কিছু না বলে রিমির শাড়িটা সরিয়ে দেখালাম
ম্যাম/ ইসসসসস….. কি করে হলো এমন অবস্থা
নিশ্চয় যৌতুকের টাকার জন্য এমন করে পিটিয়েছে অমানুষটা
রিমি কিছু বলার সাহস পাইনি তাই চুপ করে রইলো
ম্যাম/ আপনি ওনার কি হন
আমি/ এতকিছু জেনে আপনি কি করবেন
চিকিৎসা করার আছে চিকিৎসা করুন
ম্যাম হয়তো বুঝতে পারছে
এখন আমি রিমির কি হয়
রিমিকে দেখে শুনে কিছু ঔষধ আর একটা মলম দিলো
তারপর ওখান থেকে ফিরে এলাম
বাসায় এসে বললাম
ঔষধ খেয়ে একটু বিশ্রাম নিতে
চলবে….???