মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

0
2448

মেয়েটা অসত্বী পর্ব/ ৪

লেখক/ ছোট ছেলে

********

একটু আড়ালে গিয়ে বন্ধুটাকে একটা কল দিলাম

আমি/ কিরে দোস্ত যে মেয়েটাকে পাঠাইলি তার নাম কি নীলা

বন্ধু/ হ্যাঁ। কি হয়েছে কোন সমস্যা

আমি/ না সবকিছু ঠিক আছে এইমাত্র আসলো

বন্ধু/ তাহলে আর দেরি করিসনা যা দারুন ভাবে উপভোগ কর আজকের রাতটা

আমি/ হুমমমম….. এখন রাখিরে দোস্ত

ফোনটা রেখে নিচে নেমে আসলাম

আমি/ এ কি তুমি এখনও দাঁড়িয়ে কেন

বসো

নীলা/ আমি তোমার অপেক্ষায় করছি জানু

আসো দুজন একসাথে বসে গল্প করি যদি তোমার কোন সমস্যা না থাকে

আমি/ সমস্যা কিসের সমস্যা আসো বসো

চা খাবে চা করে নিয়ে আসি

নীলা/ হলে ভালোই হয়

দুকাপ চা বানিয়ে এনে খেতে খেতে দুজন পরিচিত হলাম

চা খাওয়া শেষ

নীলা/ চলো এবার উঠি অনেক তো গল্প হলো

আমি/ হুমমমম….. চলো

আমি না চাইলেও নীলা আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলো

রুমে গিয়ে নীলা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো

নীলা একে একে তার সবকিছু…………..

নীলার শরীরে আর তেমন কিছু নেই

দুজনে শুয়ে রইলাম এক চাদরের তলে

নীলা আমাকে একটু আদর করতে যাবে

ঠিক তখন-ই কানে এলো রিমির গুনগুন শব্দ

আর তখন-ই আমার মনে পড়লো রিমির কথা

নীলা/ এই শব্দটা কার কোথেকে আসতেছে

নীলাকে সরিয়ে দিয়ে কোনকিছু না বলে

রিমির কাছে গেলাম

দরজাটা খুলে ভিতরে গেলাম

আমার পিছু পিঁছু নীলাও আসলো

রিমির সারা শরীর কালো দাগ হয়ে আছে

নীলা/ জানু এই মেয়েটা কে

আমি/ একটা অসত্বী মেয়ে বউ নামে চাকরানী

আমি রিমির চুল ধরে

আমি/ এই তোর জন্য কি একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারবনা

এমন করছিস কেনরে এই রাত দুপুরে

রিমি করুন সুরে বলতে লাগলো

রিমি/ আমাকে একটু পানি দিবেন খুব তৃষ্ণা পেয়েছে

কি আর করা নীলাকে বললাম একটু পানি আনতে

নীলা/ এই নাও পানি

রিমিকে পানি দিয়ে বললাম

আমি/ শোন একটুও চিৎকার চেঁচামেছি করবিনা

আমি ঘুমাতে গেলাম তোর জন্য যেন আমাদের ঘুম নষ্ট না হয় মনে থাকে যেন

নীলা/ উফফফ….. জানু ওর সাথে এত কথা বলার কি দরকার চলতো

মজটা মাটি হয়ে গেলো

রিমি অনেক চেষ্টা করছে চোখ দুটো মেলতে কিন্তু পারছেনা

শেষমেশ চলে এলাম

যখন দরজা লাগাতে যাবো তখন-ই নীলা বলে উঠলো

নীলা/ কি কর জানু তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে

ওকে এ ঘরে বন্ধী করে রাখলে আমাদের খাবারদাবার কে রান্না করবে আমাদের যদি কোনকিছু প্রয়োজন হয় কে দিবে

তুমি বরং ওকে বাড়ির চাকরানির জায়গাটা দিয়ে দাও

আমি/ ওয়াও ….. এটাতো খুব ভালো বুদ্ধি আমিতো এমনটা ভেবে দেখিনি উম্মাাাাাা…..

এত ভালো একটা বুদ্ধি দেবার জন্য

আবার ভিতরে ঢুকে রিমিকে বললাম

আমি/ এই শোন এভাবে শুয়ে থাকলে হবেনা এ বাড়িতে থাকতে হলে কাজ করে থাকতে হবে কাজ করে খেতে হবে

আমাদের যখন যা লাগবে তাই দিবি আর ও যা বলবে তাই করবি শুনেছিস

রিমি হয়তো ভাবতে পারেনি তার স্বামীর সংসারটা এমন হবে

তার জীবনে নেমে আসবে কালো আঁধার

দরজাটা খোলা রাখলাম

নীলাকে নিয়ে ঘরে গেলাম

নীলা/ চলো জানু শুয়ে পড়ি

আমি/ না তুমি ঘুমাও আমি আসতেছি

নীলা/ কোথায় যাবে এত রাতে

আমি/ না কোথাওনা

নীলা যতটা আমাকে কাছে নিতে চায় ঠিক ততটা তার থেকে বেশি অন্যকিছু যেন আমাকে পিছে নিয়ে যায়

নীলা একটু জোর করে আমাকে…

নীলা/ এই শোন একরাতে তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবোনা

আসো শুয়ে পড়ো

নীলা এমনভাবে বলছে মনে হয় আমি তার স্বামী

তবে মেয়েটা খুব গুনবতী

কিভাবে একটা মানুষের যত্ন নিতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানে

আমি/ বললাম না ঘুম আসছেনা
তুমি ঘুমাও

নীলা/ জানু তুমি এমন করছো কেন

ঐ নষ্টা মেয়েকে নিয়ে এত চিন্তা কিসের তোমার

তুমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখ ঐ মেয়েকে আমি কি করি

এখন আসো সোনা তোমাকে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিবো তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে

একটা মেয়ের আদর সোহাগের কাছে সবকিছু হার মানে

আমাকেও হার মানতে হলো

বালিশে মাথাটা লাগালাম

নীলা হাত বুলাতে লাগলো

ভালোই আরাম পাচ্ছি

ইসসসসস….. নীলার মত যদি একটা মেয়েকে বউ করে পেতাম

কখন যে নীলার আঁলতো ছোঁয়ায় ঘুমিয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি

সকাল হয়ে এলো রিমিকে ডাকতে লাগলাম শুয়ে থেকে

আমি/ রিমি এই রিমি

জবাব দেওয়ার মত শক্তি রিমির কাছে নেই

রিমি ঘরে ঢুকে আঁচল দিয়ে নিজের মুখ লুকিয়ে চলে যেতে লাগলো

আমি/ এই কোথায় যাচ্ছিস
আর এভাবে নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখছিস কেন

রিমি খুব আস্তে আস্তে বলতে লাগলো

রিমি/ আমার চরিত্রবান স্বামীর চরিত্র দেখে লজ্জা আর থাকতে না পেরে নিজের চেহারা নিজেই নিজের শাড়ির আঁচলে লুকালাম

বাহ্ এই বুঝি আমার চরিত্রবান স্বামী

চলবে…???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে