মেঘ বিয়োগের মৌসুম পর্ব-০৫

0
679

#মেঘ_বিয়োগের_মৌসুম
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_০৫

” ভুল করছিস জাওয়াদ। আমাকে আমার দ্বিতীয় রূপে আসতে বাধ্য করিস না৷ আমি যদি শা*স্তি দেয়া শুরু করি তাহলে সবকিছু ধ্বং*স করে দেব বলে দিলাম।”

জাওয়াদ বেলার কথায় পাত্তা না দিয়ে উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে বেলার দিকে এগুতে থাকে৷ বেলার হাতে স্পর্শ করতেই বেলা তড়িৎ গতিতে জাওয়াদের হাতে ছু*ড়ি বসিয়ে দেয়। জাওয়াদের অ*ন্ড*কো*ষ বরাবর লা*ত্থি দিতেই সে একটা জোরে চিৎকার দিয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। বেলা গিয়ে দরজা খুলে জাওয়াদের শার্টের কলার ধরে টেনে হিচড়ে বাহিরে নিয়ে এসে এক নাগাড়ে পেটে, বুকে, হাটুতে, পায়ের পাতায় আ*ঘাত করতে থাকে আর চিৎকার করে করে ধ্রুবকে ডাকতে থাকে।

চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে,” আমাকে সহজভাবে নিয়ে খুব বড় ভুল করে ফেললি তোরা, এবার দেখতে থাক এই ওয়াজিহা কী কী করতে পারে।”

বেলার মাঝে যেন নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয় আর সেটা হলো ওয়াজিহা। এতদিন বেলাকে সবাই যেমন ঠান্ডা চরিত্রের, ঠান্ডা মেজাজের দেখেছিল আজ যেন সেটার বিপরীত ঘটছে সবকিছু।

বেলা তখনও জাওয়াদকে লা*ত্থি দিয়েই যাচ্ছে আর চিৎকার করছে। জাওয়াদ ব্যথায় আর উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পাচ্ছে না। বারবার মাফ চাচ্ছে আর ব্যথায় চিৎকার করছে। বেলার সেদিকে খেয়াল নেই।

কয়েকজন মহিলা নতুন বউয়ের ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। দৌঁড়ে এসে বেলাকে তাড়াতাড়ি করে সরিয়ে নেয়। হাত থেকে ছু*রিটাও কেড়ে নেয়। বেলা তখনো ছুটোছুটি করছে জাওয়াদের কাছে যাওয়ার জন্য। দুজন মিলে বেলাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। জাওয়াদের অবস্থা খারাপ দেখে কয়েকজন মিলে মাথায় পানি দিতে কলপাড় নিয়ে যায়।

বেলা তখনো ছুটোছুটি করছে আর বলছে,” আমাকে ছাড়ুন, কে আমাকে কত দূর্বল ভাবছে সেটা আমি দেখব, দেখতে চাই। আমাকে খারাপ প্রমাণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য এতো নোংরা চাল কে চেলেছে আমি জানতে চাই। ”

পাশে থেকে একজন বলে ওঠে,” কী হচ্ছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না। জাওয়াদকে এভাবে মা*রলে কেন? কী করেছে সে?”

বেলার শাশুড়ী জাহিদা বেগম চুপচাপ দেখছিলেন এতক্ষণ। জাওয়াদের মাথায় পানি দেয়া শেষ করে একটা চেয়ারে বসিয়ে দেন তিনি। জাওয়াদের মাথা মুছে দিতে দিতে বলেন,” কী হইছে কও তো? ওকে এরকম করে মা*রলে কেন? ইশ কী অবস্থা হয়ে গেছে ছেলেটার!”

বেলা চেঁচিয়ে বলে ওঠে,” এই কু**ত্তারবাচ্চাকে আমার ঘরে কে পাঠিয়েছে? আপনাদের মধ্যে কেউ না কেউ তো নিশ্চয়ই পাঠিয়েছে। কী ভেবেছিলেন টাকা না দিয়েই বাড়িছাড়া করবেন? সবকিছু এত সহজ? আমি প্রতিটা পয়সা ফেরত নেব। সাহস দেখে অবাক হচ্ছি আমি, আমার রুমে পুরুষ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে!”

এতক্ষণে ধ্রুব বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে এত মানুষ দেখে বুঝতে পারছিল কিছু না কিছু হয়েছে। হাতের টাকাগুলো ঘরে ভালো করে রেখে এসে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। পাশেই লিলি আর রিমি একসাথে দাঁড়িয়ে ছিল।

ধ্রুব রিমিকে জিজ্ঞেস করে,” এখানে কী হয়েছে রে? এত ভিড় কেন এখানে?”

রিমি কিছু বলবে তার আগেই বেলা তড়িৎগতিতে ধ্রুবর সামনে এসে দাঁড়ায়। শার্টের কলার ধরে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে,” কী ভেবেছ তুমি? আমার সাথে যা ইচ্ছে করবে আর আমি সেটা মেনে নেব? আর কত নিচে নামবে তুমি? ”

ধ্রুব বেলার কাছে থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,” টাকা চেয়েছিলে, টাকার ব্যবস্থা করতে বেরিয়েছিলাম। আবার কী করলাম আমি?”

” বাহ! এখন আপনি কিছুই জানেন না? নিজের বউয়ের ঘরে অন্য পুরুষকে ঢুকিয়ে দিতে বুক কাঁপলো না একবারও? এখনো আমাদের তালাক হয়নি সে হিসেবে এখনও আমি আপনার বউ। টাকা দিতে বুকে ব্যথা করছে জন্য টাকা যেন না দিতে হয় সেই ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন তাই না?”

ধ্রুব এদিক সেদিক তাকিয়ে আবার বেলার দিকে তাকিয়ে বলে,” আমি আসলেই বুঝতে পারছি না। আমি মাত্র বাসায় আসছি।”

বেলা কপাল প্রসারিত করে বলে,” আপনি জাওয়াদকে আমার ঘরে পাঠাননি?”
” আমি আসার পর তো ওর সাথে দেখাই হয়নি। আমি কেন তোমার রুমে ওকে পাঠাবো! ”

বেলা ধ্রুবর কথা শুনে আবার জাওয়াদের দিকে ছুটে যায়। জাওয়াদের কাছে গিয়ে সোজা চুলগুলো শক্ত করে মুঠোবন্দি করে ফেলে। জাওয়াদ সাথে সাথে ব্যথায় চোখ বন্ধ করে ফেলে।

বেলা তেজি গলায় বলে ওঠে,” কে তোকে আমার ঘরে পাঠিয়েছে বল? এখন যদি উল্টাপাল্টা কথা বলিস এখানেই আমি তোর র**ক্তের বন্যা বইয়ে দেব বলে দিলাম।”

জাহিদা বেগম এতক্ষণে সরে গিয়েছেন। আজ তিনি বেলার অন্যরকম একটা দিকের সাথে পরিচিত হচ্ছেন। এর আগে বেলার এই দিকটা কখনো দেখেননি তিনি। এই রূপটা কখনো দেখতে হবে সেই চিন্তাটাও যেন ছিল না তার।

চুল জোরে শক্ত করে চেপে ধরায় চোখ দিয়ে পানি গড়ে গাল বেয়ে পড়তে থাকে। জাওয়াদ তখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।

বেলা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার থেকে ছু**ড়িটা ছিনিয়ে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলে,” এদিকে যে আসার চেষ্টা করবে, যে ওকে আমার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে সে-ও নিজের ক্ষ*তি করবে। আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না। আপনারা সহজ সরল বেলাকে চিনলেও বি*ধ্বংসী,বিনা*শকারী, প্রল*য়ংকারী ওয়াজিহাকে চিনেন না। আমার ভেতরের ওয়াজিহা জেগে উঠলে ধ্বং*স ছাড়া সৃষ্টি কিছু হবে না। আমি বেলা সংসারে ভালোকিছুর সৃষ্টিকারী, আমি ওয়াজিহা সমাজে সৃষ্টি হওয়া মন্দের বি*নাশকারী, আমি বিনা*শিনী।”

জাওয়াদ নরমস্বরে হাত দুটি একসাথে করে মিনতির স্বরে বলে,” ভাবি, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দিন। আমি বলছি, সব বলছি। ”

রিমি এবার বেলার দিকে এগিয়ে এসে বলে ওঠে,” কাউকে মারধ*র করে জোরজবরদস্তি করে মিথ্যে বলাবে নাকি? নিজেই কখন তাকে নিজের ঘরে নিয়েছ, মতে হয়তো বিরোধ হওয়ায় এখন তাকে এক্সপোজ করছ। তোমার মতো মেয়েদের জানা আছে।”

জাহিদা বেগম জাওয়াদের দিকে একবার দেখে আবার রিমির দিকে তাকিয়ে বলে,” রিমি, তুই এসবের মাঝে একদম কথা বলবি না। দেখি কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।”

লিলি দূর থেকে জাহিদা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে,” আম্মা পুলিশকে খবর দেন জলদি। এভাবে এত মানুষের মধ্যে উনি কীভাবে একজনের গলায় ছু*রি ঠেকিয়ে জোরজবরদস্তি করতে পারেন? এটা অপরা*ধ।”

ধ্রুব এক ধমকে লিলিকে চুপ করিয়ে দেয়। নিজের এবার জাওয়াদের দিকে এগিয়ে আসে। সামনে দাঁড়িয়ে বলে,” তুই নিজে থেকে বেলার ঘরে গিয়েছিস নাকি কেউ পাঠিয়েছে?”

বেলার দিকে তাকিয়ে আবার জাওয়াদের দিকে তাকায় ধ্রুব। আবার বলে,” বেলা তোকে নিজের ডাকেনি তো কোনভাবে?”

ধ্রুবর শেষের প্রশ্নটা যেন বেলার বুকের মধ্যে ঝড় তুলে দেয়। একটা মানুষের মন থেকে বের হয়ে গেলে কি এভাবেই বের হয়ে যায়! ধ্রুবর প্রশ্নটা যেন কষ্টের চেয়ে ভেতরের নিভে যাওয়া আ*গুনটা আয়োজন করে জা*ল্বিয়ে দিচ্ছে।

বেলা ধ্রুবর দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকে আর বলে,” কথায় আছে না, নারীকে অর্ধেক কষ্ট দেয় তার প্রিয় মানুষগুলো আর বাকি অর্ধেক কষ্ট দেয় শখের পুরুষ। আমার প্রিয় মানুষগুলো আমাকে একা করে গেলেও আমার শখের পুরুষ আমাকে নিঃস্ব করেছে, প্রায় মৃ*ত্যুসম কষ্ট দিয়েছে। একই ক্ষ*ততে বারবার আঘা*ত করে আহত করেছে। ম*রতে ম*রতে মানুষ বেঁচে গেলে পাথর হয়ে যায়। পাথরে আঘা*ত করলে পাথর নয় আঘা*তকারী আহ*ত হয়। আমাকে আঘা*ত করতে যে আসবে সে নিজেই ভ*ষ্ম হয়ে যাবে, ধ্ব*ংস করে দেব আমি তাকে।”

বেলা থেমে ধ্রুবকে উদ্দেশ্য করে আবার বলে,” যে কথাগুলো আপনি বলছেন, আমি ডেকেছি কি না এই কথায় আমার একটুও খারাপ লাগছে না। কারো সামনে সঠিক সাজার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই। আমি জানি আমি সঠিক, আমার সৃষ্টিকর্তা জানে আমি কোন অন্যায় করিনি৷ আমার শুধু সেই মানুষকে দেখার ইচ্ছে , কার এত সাহস হলো যে আমার চরিত্রে দাগ লাগানোর মতো কাজ করতে পিছপা হলো না! যে খেলাটা আমাকে ঘিরে শুরু হয়েছে সেই খেলাটা আমি নিজের হাতে শেষ করব আর সেটা আজই শেষ করব।”

বেলা নিজের চেহারায় কঠোরতা প্রকাশ করে। গম্ভীরমুখে জাওয়াদকে জিজ্ঞেস করে, ” কে আপনাকে আমার ঘরে পাঠিয়েছে সেটা আমাকে না বলা পর্যন্ত আমার হাত থেকে আপনার নিস্তার নেই। নিজের ক্ষ*তি না চাইলে প্রমাণসহ তাকে সামনে নিয়ে আসুন আর এখান থেকে চলে যান নাহলে আমি পুলিশকে কল দেব আর বলব আপনি আমার ঘরে এসেছিলেন বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে।”

জাওয়াদ বুঝতে পারে পরিস্থিতি আর স্বাভাবিক নেই। তাকে আর কেউ এখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। সে একজনের দিকে তাকাতেই ব্যক্তিটি ইশারায় কিছু বললে জাওয়াদ মাথা নিচু করে নেয়। ভাঙা ভাঙা গলায় বলে,” আ আমাকে রিমি পাঠিয়েছে আপনার ঘরে। ”

বেলার রাগ যেন মাথায় উঠে যায়। টানাপায়ে রিমির কাছে গিয়ে হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে কোণা থেকে টেনে মাঝে নিয়ে আসে।

রিমি এদিক ওদিক বার-বার তাকাচ্ছে। বাড়িতে ছোটোখাটো একটা ভিড় জমে গেছে। নতুন বউ দেখতে এসে সবাই তার সম্মান নিয়ে টানাটানি দেখবে এটা তার কল্পনাতেও ছিল না।

রিমি কিছু বলার আগেই তাকে সজোরে চড় বসিয়ে দেয় বেলা। সাথে সাথে বলে,” এটা আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টার জন্য।”

আরেকটা চড় দিয়ে বলে,” এটা মেয়ে হয়ে কারসাজি করে আরেকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে একজন পুরুষকে আমার ঘরে পাঠানোর জন্য।”

জাহিদা বেগম আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। কেউ তার মেয়েকে মা*রছে সেটা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। দৌঁড়ে এসে বেলার হাত থেকে রিমিকে ছাড়িয়ে নেন। চিৎকার করে ধ্রুবকে বলে ওঠেন,” ওকে এ বাড়ি থেকে জলদি বিদেয় কর। আমি আর ওর এসব ব্যবহার মেনে নিতে পারছি না।”

বেলাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,” তোমার মুখের কথা অনেক সহ্য করছিলাম। বিকেলে তোমার পক্ষ নিয়ে আমার ছেলেকে মে*রেছিলাম, নতুন বউকে অস্বীকার করেছিলাম এখন মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছিলাম। তোমার মতো মেয়ে কারো ঘরে আর না জন্মাক। তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে, আমি তোমার মুখও দেখতে চাই না।”

বেলা সাথে সাথে বলে ওঠে,” এই নোংরা পরিবেশে আমি থাকতেও চাই না। এখানকার সবাই একেকটা নর্দমার কীট। সবার গায়ে পঁচা দূর্গন্ধ। সবার মন আর বিবেক ম*রে পঁচে গেছে। কে কী করছে সব আমি বুঝতে পারছি, বোকা যেহেতু নই সবার কাজের ফল আমি নিজেই দিয়ে যাব৷ সবার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়ে যাব এক এক করে। ”

জাহিদা বেগম আর কিছু না বলে রিমিকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। আশেপাশের মানুষ দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। কেউ বেলার দোষ ধরছে আবার কেউ তার পক্ষে কথা বলছে। আস্তে আস্তে ভিড় কমতে শুরু করেছে। জাওয়াদও আস্তে আস্তে বাড়ির বাহিরে চলে যায়।

ধ্রুব তখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। বেলা নিজের ঘরে যাওয়ার সময় ধ্রুবকে উদ্দেশ্য করে বলে,” টাকার ব্যবস্থা করেছেন? আমাদের বিচ্ছেদ হতে কতক্ষণ বাকি? মনের বিচ্ছেদ তো সেই অনেক আগেই আপনার পক্ষ থেকে হয়েছে আর আমার হলো আজ। শুধু শুধু সামাজিক স্বীকৃতি মুছে ফেলতে এত দেরি করবেন না। আমার এখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে হবে।”

ধ্রুব একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। ঊনিশ লাখ টাকা হাতছাড়া হবে ভেবে মনটা খারাপ ছিল। বাড়িতে এসে আবার আরেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হলো। সব মিলিয়ে সবকিছু অসহ্য লাগছে তার।

” রাত দশটার মধ্যে সব ঝামেলা শেষ হবে।”

ধ্রুব কথাটা বলামাত্র বেলা নিজের ঘরে চলে যায়। বেলার প্রস্থান ঘটলে ধ্রুব নিজেও জায়গা ত্যাগ করে।
**

সুমু ধ্রুবর নতুন বউকে দেখতে তাদের বাড়ি আসছিল। বাড়ির বাহিরে একলোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সেদিকে এগিয়ে যায় সে।

বেশ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করে,” কোথাও এসেছেন আপনি? বাড়ি খুঁজে পাচ্ছেন না?”

লোকটা চকিতে বলে ওঠে,” বাজার পার করে তিন নম্বর গোলির আজহার সাহেবের বাড়ি এটা?”
” জি।”
” বেলাকে ডেকে দিবেন একটু?”
” আপনি ভাবিকে চাইছেন? দাঁড়ান আমি ডেকে দিচ্ছি।”

সুমু তাড়াতাড়ি করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে বেলার ঘরে চলে যায়। বেলা নিজের জামাকাপড় ভালোভাবে গুছিয়ে নিচ্ছিল।

সুমু বেলার পিছনে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,” ভাবি, লম্বাচওড়া, সুঠাম দেহের এক লোক বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে৷ তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে।”

#চলবে…….
গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে