#মেঘের_ভেলায়_চড়ে
#Part_16
#Ariyana_Nur
মুনিয়া বেগম কিচেনে দাড়িয়ে রান্না করছে।সাথে রাই আর ফাইজা হাতে হাতে তাকে কাজে সাহায্য করছে।ফাইজার নাম ধরে তিহান এর গলা ফাটানো আওয়াজে ডাক শুনতেই রাই মিটমিট করে হাসতে লাগলো।ফাইজা, মুনিয়া বেগম এর দিকে কাদো কাদো ফেস করে তাকাতেই মুনিয়া বেগম নিজের কাজ করতে করতে বলল,
—যা মা দেখে আয় কি লাগবে।
রাইও চেহারায় হাসির রেখা ঝুলিয়ে রেখে শুর টেনে বলল,
—যা ফাইজু তাড়াতাড়ি যা দেখে আয় ভাইয়া কেন ডাকছে।
ফাইজা রাই এর দিকে রাগি চোখে তাকাতেই রাই ফাইজাকে দাত কেলিয়ে একটা হাসি উপহার দিল।ফাইজা রাই কে চোখ রাঙিয়ে দরজার দিকে পা বাড়াতেই তীব্রর কন্ঠে ভেসে এল,
—ছোট মা!তোমার বউ মাকে তাড়াতাড়ি রুমে পাঠাও।জরুরি কাজ আছে।
তীব্রর গলা ফাটানো আওয়াজের কথা শুনে রাই এর হাতের কাজ থেমে গেলো।ফাইজা সামনে পা না বাড়িয়ে ঘাড় ঘুড়িয়ে রাই এর দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হেসে বলল,
—রাইজু!খাম্বার মত দাড়িয়ে আছিস কেন?ভাইয়া ডাকছে তাড়াতাড়ি যা।
রাই ফাইজার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই ফাইজা একটা শয়তানি হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
রাই কে চুপ করে থাকতে দেখে মুনিয়া বেগম বলল,
—যাও মা দেখে এসো কেন ডাকছে।
রাই কথা না বাড়িয়ে বিনা বাক্যে সেখান থেকে চলে গেলো।
_________
তীব্র বেডের উপর বসে পায়ের উপর পা রেখে মনের সুখে ফোন স্ক্রল করছে।তীব্রর কাজে মুনিয়া বেগম এর সামনে বিব্রত অবস্থায় পরাতে রাই এমনিতেই একটু রেগে রয়েছে তার উপরে রুমে ঢুকে তীব্রকে এভাবে চিল মুডে বসে থাকতে দেখেই রাই এর রাগটা আরো বেড়ে গেলো।তারপরেও রাগটাকে দমিয়ে রেখে তীব্রর সামনে এসে গম্ভীর গলায় বলল,
—কেন ডেকেছেন?
তীব্র পাশের থেকে টাইটা হাতে নিয়ে রাই এর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
—এটা বেধে দাও।
রাই,তীব্রর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,
—এটাই আপনার জরুরি কাজ?
তীব্র উঠে দাড়িয়ে শার্ট ঠিক করতে করতে বলল,
—হুম।এটাই আমার জরুরি কাজ।
রাই রাগ দেখিয়ে বলল,
—এটা তো আপনিই করতে পারেন।এর জন্য আমায় ডাকলেন কেন?
—আগে পারতাম তোমায় পেয়ে এখন ভূলে গেছি।
তীব্রর সোজাসাপ্টা কথা শুনে রাই দাতে দাত চেপে বলল,
—তাহলে আপনি টাই না বেধেই অফিসে যান।কেননা আমি টাই বাধতে পারি না।
রাই এর কথাটা যেন তীব্রর বিশ্বাস হল না।তীব্র কিছুক্ষন রাই এর দিকে সন্দেহর চোখে তাকিয়ে থেকে বলল,
—সত্যি তুমি টাই বাধতে পারো না?
রাই গম্ভীর কন্ঠে বলল,
—না পারি না।
তীব্র কিছু একটা ভেবে বলল,
—ওকে সমস্যা নেই।আমি তোমায় শিখিয়ে দিচ্ছি।ভালো করে আমার হাতের দিকে লক্ষ কর।টাই বাধা একদম সহজ।
তীব্র নিজের গলায় টাই বাধতে লাগলো রাই,তীব্রর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইল।তীব্রর টাই বাধা শেষ হতেই বলল,
—দেখেছো কিভাবে বাধতে হয়?
রাই কপালে ভাজ ফেলে বলল,
—আপনি নাকি টাই বাধতে পারেন না তাহলে বাধলেন কিভাবে?
তীব্র মাথা চুলকে বোকা হেসে বলল,
—ঐ তোমাকে শিখাতে গিয়ে মনে পরে গিয়েছিলো।
—ভালোই হয়েছে।আমার শিখাও হয়েছে আপনার টাই ও বাধা হয়ে গেছে।এবার ভাগেন।
কথাটা বলেই রাই চলে যেতে নিলেই তীব্র রাই এর হাত ধরে গম্ভীর গলায় বলল,
—কোথায় যাচ্ছ?
রাই এতোক্ষন যতটুকু সাহস দেখিয়ে তীব্রর সাথে কথা বলতে পেরেছিলো তীব্রর গম্ভীর গলার কথা শুনে না ফুস হয়ে গেলো।রাই কাচুমাচু করে বলল,
—আপনার টাই বাধা তো শেষ।
রাই এর কথা শুনে তীব্র অপর হাত দিয়ে টাইটা খুলে রাই এর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
—এবার বেধে দাও।
রাই কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
—ফাজলামো পেয়েছেন বাধা টাই খুলে ন্যাকা সেজে এখন আমায় বলছেন টাই বেধে দিতে।আমি পারবো না।
তীব্র,রাই এর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই রাই শুকনো ঢোক গিলে তুতলিয়ে বলল,
—দিচ্ছি তো এভাবে তাকানোর কি আছে।
রাই এর কাজে তীব্র মনে মনে হাসতে লাগলো।রাই কাপাকাপা হাতে সুন্দর করে তীব্রর গলায় টাই বেধে দিতে লাগলো।রাই এর টাই বাধা শেষ হতেই তীব্র রাই এর কপালে আদর দিয়ে আয়নায় একবার নিজেকে দেখে নিয়ে অফিস ব্যাগটা হাতে নিয়ে বলল,
—প্রতিদিন এ কাজের কথা যেন আমার বলতে না হয়।ভালো বউ এর মত নিজের কাজ করে বকশিস নিয়ে নিবে।মনে থাকে যেন।
কথাটা বলেই তীব্র একটা বাকা হাসি দিয়ে চলে গেলো।রাই,তীব্রর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তীব্রকে বকে উদ্ধার করতে লাগল।
_________
—বাহ্ অন্যের অধিকার ভাগ বসিয়ে বেশ ভালোই তো সুখে আছো দেখছি?
রাই সোফার উপর পা তুলে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে গল্পের বই পড়ছিলো।হঠাৎ কারো কথা কানে যেতেই বই থেকে চোখ তুলে দরজার দিকে তাকাতেই দেখে রুমা দরজায় দাড়িয়ে আছে।রুমাকে এই সময় এখানে দেখে রাই কিছুটা অবাক হল।তারপরে মুখের মাঝে হাসির রেখা টেনে বইটা বন্ধ করে সোফার রেখে উঠে দাড়িয়ে মিষ্টি শুরে বলল,
—আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপু?
রুমা,রাই এর কথার উওর না দিয়ে রুমে ঢুকে পুরোরুমে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলো।বেডের সাথে হেলান দিয়ে পা ঝুলিয়ে কুশন কোলে নিয়ে আরাম করে বসে বলল,
—তুমি তো খুব চালাক একটা মেয়ে।হুট করে আমার তীব্রর জীবনে ঊড়ে এসে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছো? লোভী মেয়ে,লজ্জা শরম বলতে কি তোমার কিছু নেই নাকি?আমার আর তীব্রর ব্যাপারে সব তো জানো তার পরেও কেন এখানে পরে রয়েছো?বিয়ের দিন তো খুব বড় গলায় বলেছিলে আমাদের জীবন থেকে চলে যাবে।তাহলে এখনো এখানে পরে রয়েছো কেন?বড় লোক দেখে ইচ্ছা পাল্টে গেছে নাকি?
রুমার কথা শুনে রাই এর মাথা গরম হয়ে গেলে।তারপরেও মুখের মধ্যে লম্বা হাসির রেখা ঝুলিয়ে বলল,
—কি নিবেন আপু চা না কফি?
রাই এর কথা শুনে রুমা তাস্যিল্য হেসে বলল,
—কথা এড়িয়ে যাচ্ছ?আসলে তোমার মত লোভী মেয়ে বলবেই বা কি।কথা বলার মুখ আছে নাকি?
রাই মুচকি হেসে বলল,
—কি যে বলেন না আপু।আপনার মত মহান ব্যাক্তির কথা এড়িয়ে যাওয়ার মত সাহস আমার আছে বলুন।আচ্ছা একটা কথা না আমার ছোট মাথায় ঢুকছে না।আমি না হয় বড় লোক দেখে ছলচাতুড়ি করে এখানে পরে রয়েছি।তাহলে আপনি কেন তার জীবনে আসতে চাচ্ছেন?না মানে বুঝতেই পারছেন যেভাবেই হোক বিয়ে তো হয়ে গেছে। সেকেন্ড হেন্ড হয়ে গেছে।দুনিয়াতে এতো ছেলে থাকতে কেনই বা সেকেন্ড হেন্ড ছেলের দিকে নজর দিচ্ছেন?
রাই এর কথা শুনে রুমা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল।রাগি গলায় বলল,
—তুমি জানো আমি কে?আমাকে এসব বলার সাহস হল কিভাবে?ছোট লোক কোথাকার যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা।
রুমার কথাগুলো রাই এর শরীরে তীর এর মত বিধছে।ইচ্ছে করছে রুমাকে ইচ্ছেমত ঝেড়ে দিতে।কিন্তু রাই নিজের রাগটাকে কন্টোল করে অবাক হওয়ার ভান করে বলল,
—কি যে বলেন না আপু।আপনাকে চিনবো না কেন। আপনি হলের আমার উনির প্যাচের প্যাচ বোন।মানে আমার ননদ।তাই তো আপনাকে এতো সম্মান দিয়ে কথা বলছি।আমার চাচি কি বলে জানেন আপু?শশুর বাড়ির কুত্তাটাকেও নাকি আসতে যেতে সম্মান দিতে হয়।সেখানে তো আপনি একটা জলয্যান্ত মানুষ।(শেষের কথাটা রাই দাতে দাত চেপে বলল)আর কি যে বলছিলে🤔ওহ মনে পরেছে।আমার মুখ বড় দেখেই তো এমন বড় এক শোল মাছ গিলেছি।মুখ ছোট হলে তো কোন চুনোপুটি বেছে নিতাম বলুন।
রাই এর হাসি মুখের অপমানে রুমা রাগে রি রি করতে লাগলো।হাতের কুশনটা রাই এর দিকে ছুড়ে মেরে বলল,
—তোমাকে আমি দেখে নিব।
রাই লজ্জা পাওয়ার ভান করে বলল,
—সত্যি আপু আমি আপনার এতোই পছন্দ হয়ে গেছি আমায় আবার দেখতে আসবেন।কোন ব্যাপার না যখন দেখতে ইচ্ছে হবে তখন আবার চলে আসবেন কেমন।আমি আমার এই সুন্দর চেহারাটা নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হয়ে যাব।
রুমা কিছু বলার মত কথা খুজে না পেয়ে রেগে মেগে ধুপধাপ পা ফেলে সেখান থেকে চলে গেলো।রাই,রুমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভেঙচি কেটে বলল,
—হুহ আসছে আমার সাথে লাগতে।আমি ভালোর ভালো খারাপের জম।এমন ভাবে ডিটারজেন ছাড়া ধুয়ে দিমু জীবনে দ্বিতীয় বার লাগতে আসার সাহসও পাবে না।
__________
ফরিদ খান নিজের কেবিনে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে অফিসের কাজ করছে।একটু পর পর বাম হাতের সাহায্যে চশমাটা ঠিক করে নিচ্ছে।তীব্র দরজায় নক করে ভিতরে প্রবেশ করে বলল,
—বাবা আমায় ডেকেছেন?
ফরিদ খান ফাইল থেকে চোখ উঠিয়ে তীব্রর দিকে তাকালো।ইশারায় তীব্রকে বসতে বলে চোখের থেকে চশমাটা খুলে টেবিলের উপর রাখলো।তীব্র বিনা বাক্যে চেয়ার টেনে টেবিলে বসে পরল।তীব্র বসতেই ফরিদ খান তীব্রর দিকে প্রশ্ন ছুড়লো,
—তুমি নাকি বউ মায়ের ভার্সিটি চেঞ্জ করতে চাচ্ছো?
ফরিদ খানের প্রশ্নে তীব্র ছোট করে উওর দিল,
—হুম চাচ্ছি।
—কারন জানতে পারি?
—কারনটা তোমার অজানা নয় বাবা।
তীব্রর সোজাসাপ্টা জবাবে ফরিদ খান একটু চুপ করে থেকে গম্ভীর হয়ে বলল,
—বউ মা এই ব্যাপারে কিছু জানে?
—না।ওকে কিছু জিগ্যেস করিনি।
—তাকে না জানিয়ে কাজটা করা কি ঠিক হবে?
তীব্র কিছু বলার আগেই তিহান কেবিনে ঢুকে ফোড়ন কেটে বলল,
—বুঝলে বড় বাবা তোমার ছেলে অনেক বুদ্ধিমান।বউ এর পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ আছে কিনা সেটা জানতে ফেক ভর্তি ফরম বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো।
তিহান এর কথা শুনে ফরিদ খান তিহান দিকে তাকিয়ে আগ্রহ নিয়ে বলল,
—তারপর?
তিহান,তীব্রর পাশে চেয়ার টেনে বসে বলল,
—তারপর আবার কি?ভাবি তো ভাইয়াকে জমের মত ভয় পায়।আসলে ভয় পাবারই কথা যা ব্যবহার করে ভাবির সাথে।সারাক্ষন শুধু ধমকায়।আমার ভাবি বেচারিও না দেখেই বিনা বাক্যে সাইন করে দিয়েছে।যখন জানতে চেয়েছে এটা কিসের পেপার তখন তোমার ছেলে কি বলেছে জানো?
ফরিদ খান কপালে ভাজ ফেলে তীব্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
—কি বলেছে ও?
তিহান আফসোসের সুরে বলল,
—আর বলো না বড় বাবা!বলেছে এটা ডিভোর্স পেপার।তাতেই তো আমার ইনোসেন্ট ভাবি কান্না কাটি করে অর্ধেক হয়ে গেছে।
তিহানের কথা শেষ হতে না হতেই ফরিদ খান গম্ভীর গলায় বলল,
—তীব্র!তিহান যা বলছে সব কি সত্যি?
তীব্র, তিহানের দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলল,
—আসলে বাবা…..।
তীব্রর কথার মাঝেই ফরিদ খান গর্জে উঠে বলল,
—তোমায় দ্বারা এটা আশা করি নি তীব্র।বিয়ের মত একটা পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে এসব মজা ঠিক না।বিয়েটা কোন পুতুল খেলা না।ইচ্ছে হলে খেলবে তো ইচ্ছে হলে দূরে ছুড়ে ফেলবে।
তীব্র,তিহান কে চোখ দিয়ে শাষিয়ে নিচু আওয়াজে বলল,
—সরি বাবা আর এমন হবে না।
ফরিদ খান পাশে রাখা পানি ভর্তি গ্লাসের উপর থেকে ঢাকনা সরিয়ে গ্লাস হাতে তুলে নিল।ঢকঢক করে পানি পান করে গলা ভিজিয়ে বড় করে নিশ্বাস ফেলে নিজেকে কিছুটা শান্ত করে নিয়ে বলল,
—যার জন্য ডেকেছিলাম,কয়েক মাস পরেই বউ মার ফাইনাল পরিক্ষা।আমার মতে এই কয় মাসের জন্য ভার্সিটি চেঞ্জ না করাই বেটার।কেমন স্বামী হয়েছে তুমি যে শক্রর ভয়ে নিজের স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখবে।ভয় কে জয় করতে শিখ।নিজে বউ মাকে আসস্থ দেও তুমি তাকে সেফ রাখবে।বউ মায়ের মনে নিজের জন্য সেই বিশ্বাস ভরসার স্থান তৈরি কর।তাছাড়া এমন তো নয় ভার্সিটিতে প্রতিদিনই যেতে হবে।যে দুদিন যাবে তুমি সাথে করে নিয়ে যাবে আবার নিয়ে আসবে।তিহানের বউ আর বউ মাকে এক সাথে ভালো কোন টিউশন রেখে দাও।তাহলেই তো হয়।মনে রাখবে শক্রর ভয়ে লুকিয়ে থাকার মাঝে কোন কল্যান নেই।ভয় কে জয় করে বাচতে পারাটাই বড় বাচা।আমার যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটা আমি জানালাম।বাকিটা তোমার ইচ্ছে।
___________
মদ খেয়ে মাতাল হয়ে এলোমেলো পা ফেলে রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে হাটছে ফাহাদ।প্রতিদিন নিজের লোকদের জন্য ভালো করে নেশা করতে না পারার কারনে আজ তাদের না জানিয়ে একাই বের হয়েছে সে।ফাহাদ এলোমেলো পা ফেলছে আর বিরবির করে বলছে,
—পাখি!আমার রাই পাখি!কোথায় ঊড়ে গেলে তুমি?একবার শুধু একবার আমার কাছে ধরা দাও।দেখবে এবার আর তোমায় কষ্ট দিবো না।খুব যতনে মনের খাচায় বন্দি করে রাখবো।যাতে ঊড়ে যেতে না পারো।তুমি কেন আমার ভালোবাসা বুঝলে না পাখি?কেন বুঝলে না।আমি যে পারছিনা পাখি তোমায় না দেখে তোমার কথা না শুনে থাকতে।আমার যে ভীষন কষ্ট হচ্ছে।তোমার কি একটুও আমার প্রতি মায়া হয় না?একবারো কি আমার কথা মনে পরে না?চলে আসো পাখি প্লিজ চলে আসো।একবার এসে দেখে যাও তোমার বিরহে আমি কেমন তিলে তিলে মরছি।তোমা….।
ফাহাদ আর কিছু বলার আগেই পিছন থেকে একটা গাড়ি এসে ফাহাদকে ধাক্কা দিয়েই ছুটে চলে গেলো।নির্জন রাতে রাস্তায় পরে রইল ফাহাদ এর নিথর দেহ।
#চলবে,