#মেঘমেদুর_মন [২]
প্রভা আফরিন
রিমঝিমের ঘুম ভাঙল বেলা করে। জানালার শুভ্র পর্দার আবরণ ভেদ করে তখন সোনালি আলো হামাগুড়ি দিচ্ছে ঘরের সাদা মেঝেতে। রিমঝিম আলস্য ঝেড়ে বিছানা ত্যাগ করে। পেটের কাছে সুক্ষ্ম চিনচিনে ব্যথাটা আবারো অনুভব হয়। মাসের নির্দিষ্ট দিনের এই ব্যথাটা এবার যেন মাত্রা ছাড়া হয়ে গেছে। মধ্য রাতে আর একাকী চন্দ্রবিলাস হয়ে ওঠেনি ওর। বিপরীতে দাঁতে দাঁত চিপে বালিসে মুখ ডুবিয়ে কেঁদেছে। সারাটি রাত যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। একবার ইচ্ছে হয় খালাকে ডাকে। পরমুহূর্তে নিজেকে নিবারণ করেছে। কী দরকার মানুষটাকে ব্যতিব্যস্ত করার! একটা পেইনকিলার খেয়ে অপেক্ষা করে গেছে দেহের অস্থিরতা কমার। শেষরাতে চোখটা লেগে এসেছিল। মেলল এখন। রিমঝিম একেবারে গোসল সেড়ে বাইরে এলো। ওকে দেখে তাহমিনা বললেন,
“ঘুম হলো! কতবার দরজা ধাক্কা দিলাম। সাড়া নেই। জ্বর ফিরে আসেনি তো!”
রিমঝিমের শুকনো মুখ দেখে তাহমিনা চিন্তিত ভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন। হাতের উলটোপিঠ স্পর্শ করেন কপালে। গত এক সপ্তাহ ধরেই ঠান্ডা জ্বরে কাহিল মেয়েটি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। তাহমিনা হাত সরালেন। দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক। রিমঝিম নিচু গলায় মিনমিন করে বলল,
“পেট ব্যথায় ঘুমাতে পারিনি সারা রাত।”
কথাটা শুনে তাহমিনার কপালের ভাজ শিথিল হয়। বলেন,
“আজ আর ভার্সিটি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। খেয়ে-দেয়ে বিশ্রাম কর। গরম পানি করে দেব?”
রিমঝিম সম্মতি দিয়ে মাথা নাড়ে। সে এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বয়স সবে উনিশ। মাঝারি উচ্চতার গোলগাল মুখশ্রী। উজ্জ্বল বাদামী ত্বকে মেয়েটিকে সুশ্রী বলা যায় প্রথম দর্শনেই। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আলমগীর সাহেবের চিন্তার শেষ নেই। তিনকূলে নিকটাত্মীয় তেমন নেই উনাদের৷ যারাও আছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক শুধু স্বার্থের। আজ তিনি মা’রা গেল কাল মেয়েটির কী হবে এই নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। উহু, ভাবনার একটা অন্ত আছে। তা হচ্ছে বিয়ে। উনার প্রয়োজন মেয়ের অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন সুযোগ্য পাত্র। যদিও আলমগীর সাহেবের ইচ্ছে নেই এত জলদি মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার। তবুও যদি মিলে যায় হাতছাড়া করবেন না।
আলমগীর সাহেব আজ বাড়িতেই আছেন। মেয়ের সঙ্গে নাশতা করবেন বলে এখনো ভারী কিছু পেটে পড়েনি, শুধু চা ছাড়া। এ বাড়ির একটা নিয়ম তারা পালন করে। তা হলো সকাল ও রাতের খাবারটা একত্রে বসে খাওয়া। খেতে খেতেই বিয়ের কথা উঠল। আলমগীর সাহেব আফসোস করে বললেন,
“একটি সন্তান নেওয়া কখনোই উচিত না। বিশেষ করে যদি হয় মেয়ে। মানুষের উচিত তিনটে-চারটে করে সন্তান নেওয়া। নয়তো এই আমার মতো বুড়ো বয়সে আফসোস করতে হবে।”
বাবার এহেন আফসোস রিমঝিম ভ্রুকুটি করে। বলে,
“আমার আর ভাইবোন নেই বলে তোমার আফসোস হচ্ছে?”
“হচ্ছেই তো। তুই আজ বাদে কাল বিয়ে করে চলে গেলে আমি পড়ে থাকব একা। এটা আফসোসের না। তারচেয়েও বেশি আমার রাগ হচ্ছে এই কন্যা বিদায় রীতির ওপর। ছোটো থেকে পেলেপুষে একটা মেয়েকে বড়ো করলাম, আদর যত্ন দিয়ে তাকে আগলে রাখলাম। এখন নাকি তাকে বিয়ে দিয়ে পরের ঘরে দিয়ে দিতে হবে। কেন? বিয়ের পর বাপের বাড়ি থাকলে সমস্যাটা কই? যার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই থাকবে।”
তাহমিনা হেসে বললেন,
“মেয়েটার বিয়ে হলে আমিও তো একা পড়ে যাব। আপনি বরং ময়নাকে বিয়ে দিয়ে ঘর-জামাই আনুন, দুলাভাই। মেয়ে আপনার চোখের সামনেই থাকবে।”
“হুম, এটা করা যায়।”
রিমঝিম মুখ কুচকে ফেলে। বলে,
“যে ছেলে ঘর জামাই থাকতে চাইবে আমি তাকে বিয়ে করব না। তারচেয়ে তোমাদের যেহেতু এতই আফসোস তোমরা কেন বিয়ে করলে না?”
আলমগীর সাহেব থতমত খেয়ে গেলেন। তাহমিনা চোখ পাকিয়ে তাকান। চল্লিশ বছর বয়সের এই নারীর জীবনের ষোলোটি বছর কেটে গেল এ বাড়িতে। রিমঝিমের তিন বছর থাকতে তার মা মা’রা যায়। তার এক বছর আগেই তাহমিনা বিধবা হয়। স্বামীহীন, নিঃসন্তান নারীটি আর দ্বিতীয় বিবাহের কথা ভাবলেন না মা ম’রা মেয়েটিকে পেয়ে। বোনের মৃ’ত্যুর পর চলে এলেন এই শূন্য সংসারে। খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরলেন।
খালার চোখ পাকানোতে রিমঝিম দমে গেল না। নিজের মতো বলে চলল,
“তোমরা দুজনই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে ফেলেছো। অতীত আঁকড়ে না থেকে যদি বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা ভাবতে তাহলে বৃদ্ধ বয়সে একা হয়ে যেতে না। একে অপরের পাশে থাকতে পারতে।”
রিমঝিম বিয়ে ও ঘরজামাইয়ের কথা শুনে ক্ষেপেছে। বাবার থেকে দূরে যাবে না বলে কোনো আত্মমর্যাদাহীন পুরুষকে সে গ্রহণ করবে না। দরকার পড়লে বিয়েই করবে না। মেজাজ খারাপ করে তাই যা মুখে এলো ভাবনা চিন্তা ছাড়াই বলে দিয়ে উঠে চলে গেল। আলমগীর সাহেব হতাশ চোখে মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকালেন। এরপর তাহমিনার মুখের দিকে চেয়ে বিব্রত স্বরে বললেন,
“তুমি কিছু মনে কোরো না, তাহমিনা। জানোই তো কেমন পাগল মেয়ে।”
তাহমিনা বুঝলেন অস্বস্তি। ভরসা দিয়ে বললেন,
“আপনি ভাববেন না, দুলাভাই। এই মেয়ের নাড়ি-নক্ষত্র আমার জানা।”
________________
কল্লোল বাড়ি ফিরেছে দুপুর আড়াইটে নাগাদ। ঢাকা শহরের জ্যামের মধ্যে পড়ে সময় যেন নষ্ট না হয় তাই সকালে না খেয়ে বেরিয়ে গেছিল ও। ভেবেছিল দোকান থেকে কিছু কিনে খাবে। কিন্তু পরীক্ষার চাপে খিদের কথাটা বেমালুম ভুলে গেছে। পরীক্ষা দিয়ে বের হতেই পেট চনমন করে খিদে জানান দিয়েছে। আলমগীর সাহেবের বাড়ি ফিরতেই রিমঝিম দরজা খুলে দিল। এতক্ষণে যেন খেয়াল হলো বাড়িতে আরেকজন মানুষ এসে উঠেছে গতকাল, এমন ভঙ্গিতে বলল,
“আরে আপনি! পরীক্ষা কেমন হলো?”
“ভালো হয়েছে।”
“টিকে যাবেন?”
“সেটা ভাগ্য ও সময়ই বলবে।”
“চাকরিটা হলে থাকবেন কোথায়? শুনলাম শহরে আত্মীয় কেউ নেই।”
ঘরে ঢুকতে গিয়ে কল্লোল থেমে গেল। তার মনে হলো রিমঝিম ভাবছে চাকরি হয়ে গেলে এ বাড়ি থেকেই করবে। মুখভঙ্গি গম্ভীর হলো ওর। পুরোপুরি পেছনে না ফিরে শুধু ঘাড় বাঁকিয়ে বলল,
“চিন্তা করবেন না। আপনাদের বাড়িতে থাকব না।”
তাহমিনা কল্লোলকে খেতে দিয়েছেন। খাওয়ার মাঝে গল্পে গল্পে জানছেন গ্রামের চেনা মানুষগুলোর কথা। কল্লোলও দেখা গেল খুব সহজেই মিশে গেছে মানুষটার সঙ্গে। তাহমিনা ডালের বাটি এগিয়ে দিয়ে বললেন,
“কিছু দিন থাকছ তো আমাদের এখানে?”
রিমঝিম খাবার টেবিল বরাবর বসার ঘরের সোফায় বসে আছে। সেদিকে একপলক তাকিয়ে কল্লোল বলল,
“যদি টিকে যাই তাহলে ভাইবার ডাক পাব। দেরি না হলে কয়েকটা দিন থাকতে হবে। দেরি হলে এখন বাড়ি চলে যাব। এরপর আবার আসব।”
তাহমিনার মন ভার হয়ে আসে। বলেন,
“অনেকদিন গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় না। যদিও সেখানে কেউ নেই। তবুও শৈশব, কৈশোর কাটিয়েছি। মায়া হয়।”
“চলুন না, আন্টি। আমাদের বাড়িতে বেড়িয়ে আসবেন কিছুদিন। মা-বাবা আপনাদের কথা খুব বলেন। তাই দেখুন না সংকোচ ছাড়াই আমাকে এখানে পাঠিয়ে দিলেন। আপনারাও তেমন সংকোচ ছাড়াই আমাদের বাড়িতে থাকবেন।”
তাহমিনা হেসে বললেন,
“দেখি, যাব সময় করে। এই ইটের দেয়াল ঘেরা শহরে থেকে তেতো হয়ে গেলাম। গ্রামের শুদ্ধতা পাই না অনেকদিন।”
রিমঝিম সব কথাই শুনেছে এতক্ষণ যাবত। খালার যাওয়ার কথা শুনে রাগ হলো। ছুটে এসে অভিমানী স্বরে বলল,
“হ্যাঁ হ্যাঁ, সবাই চলে যাও। সকালে কী বলতে কী বলেছি তাতে একদম গায়ে ফোসকা পড়ে গেছে তোমার!”
তাহমিনা হতভম্ব হয়ে গেলেন। কপাল চাপড়ে বললেন,
“আরে সে জন্য না।”
“কী জন্য না? আমি বুঝি না মনে করেছো? এখন তো মনে হচ্ছে সকালে ঠিকই বলেছি। তুমি যদি আমার মা হতে তাহলে কক্ষনো যাওয়ার নাম নিতে না। আমাদের সঙ্গে থেকে তেতো হতে না।”
রিমঝিম কল্লোলের দিকে ফিরে বলল,
“আর আপনি, খবরদার আমার খালাকে ফুসলাবেন না।”
কল্লোল হা হয়ে গেছে। এই মান-অভিমানের কিছুই তার বোধগম্য হলো না। রিমঝিম চলে গেলে তাহমিনা বিব্রত মুখে বললেন,
“মেয়েটা যা জেদি হয়েছে না। নিজের কথার ওপর কারো কথাই শোনে না। তবে মনটা একদম সরল। তুমি কিছু মনে কোরো না।”
কল্লোল মুচকি হেসে মাথা নেড়ে বলল,
“বুঝতে পারছি, আপনাকে খুব ভালোবাসে।”
“এখন যাই। মেয়ের ভুল ভাঙিয়ে আসি। নয়তো কেঁদে ভাসিয়ে বাবার কাছে আমার নামে নালিশ দেবে। এই জিনিসটা আবার ভালো পারে।”
______________
জন্মদায়িনী মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক কতটা গভীর হয় জানে না রিমঝিম। তাহমিনার সঙ্গে তার সম্পর্কটা খালা-বোনজি নামান্তর হলেও আত্মার সম্পর্কটা তার ঊর্ধ্বে। মুখে খালা উচ্চারণ করলেও সেই শব্দে তার কখনো মা ডাকার আফসোস নেই। সেই তিন বছর বয়সে মা’রা যাওয়া মায়ের কোনো স্মৃতিও রিমঝিমের মনে নেই। সুতরাং ওর কাছে খালা শব্দটাই মায়ের অনুরূপ। একটা শব্দ তো আর ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হতে পারে না। বরং অন্তরের উপলব্ধিই শব্দে পরিণত হয়। ঠিক তেমনই রিমঝিমের অন্তরের মা উপলব্ধিই মুখ নিসৃত খালা শব্দটা। একটু আগে যখন তিনি গ্রামে যাওয়ার কথা বলছিলেন, রিমঝিমের মনে হলো সকালের বলা কথার জন্যই হয়তো খালা তার ওপর রাগ করে বলেছে। ভারী দুঃখ হলো মনে। এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো সম্পর্ক শুধু আত্মার হলে চলে না। একটা সামাজিক জোরও প্রয়োজন সেটাকে আটকে রাখার জন্য।
তাহমিনা এসে দেখলেন অভিমানী মেয়ে বিছানায় গড়াগড়ি করছে। উনাকে দেখে উলটো করে শুয়ে মুখ ঢেকে ফেলল। তাহমিনা মুচকি হেসে ওর সিথানের কাছে বসে মাথায় বিলি কেটে বললেন,
“যৌবন থাকতে ছেড়ে গেলাম না আর এখন তো তিনকূলে কেউ নেই এই অভাগী মানুষকে দেখার। এখন চলে যাব? বরং তোরা তাড়িয়ে দিলেও একটু ঠাঁই পাওয়ার জন্য দরজায় দাঁড়িয়ে থাকব।”
খরতপ্ততায় আর্দ্রতা হারিয়ে মাটি যেমন ফেটে যায়, রিমঝিমের মন এখন ঠিক তেমনই ছিল। খালার কথা, একটু আদুরে ছোঁয়া যেন বৃষ্টি হয়ে নেমে সিক্ত করল ওকে। তড়িৎ খালার কোলে মুখ ডুবিয়ে কড়া সুরে বলল,
“কে দরজায় দাঁড় করাবে তোমায়? কার এত বড়ো সাহস? এই বাড়ি তোমারও। নিজের জোরে থাকবে। কোথাও যেতে দেব না।”
“আত্মা ফেলে শরীর কতদূর যাবে শুনি? তুই যে আমার আত্মা। সোনার ময়না আমার।”
“তাহলে গ্রামে-টামে যাওয়া চলবে না আমাকে একা ফেলে।”
“আহা! বেড়াতে যাব বলেছি। তোকে আমার লেজুর বানিয়ে নিয়ে যাব সঙ্গে। কখনো তো দেখিসনি বাবা-মায়ের পৈত্রিক ভিটে।”
সন্ধ্যাবেলা আলমগীর সাহেব বাড়ি ফিরতেই গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার কথাটা কানে তুললেন তাহমিনা। আলমগীর সাহেব দোনোমোনা করলেন।
“বাড়ির অবস্থা তো ভেঙেচুরে গেছে বোধহয় এতদিনে। মেয়েকে নিয়ে গিয়ে অন্যের বাড়ি উঠব? তাছাড়া…”
আলমগীর সাহেব থেমে গেলেন। তাহমিনা যেন চট করে বিষয়টা ধরে ফেললেন। বললেন,
“দুলাভাই, অনেক বছর তো হয়েছে। মেয়ে বিয়ে দেব দুদিন বাদে। বাদ দিন না মানুষের কথা। তারচেয়ে এবার গিয়ে বরং গ্রামের বাড়িটা মেরামত করে কাজে লাগাবেন। জমি ফেলে রেখে কোনো ফায়দা তো নেই।”
আলমগীর সাহেব মনের খচখচানিটা হজম করে কথাটা মেনে নিলেন। অতঃএব নির্ধারিত হলো কল্লোলের সঙ্গে উনারা তিনজনও গ্রামের বাড়ি যাবেন। সিদ্ধান্ত শুনে বাবা-খালার মতো উৎফুল্ল হতে পারে না রিমঝিম। যে গ্রাম সে দেখেনি তার প্রতি কোনো উৎকণ্ঠা ওর নেই।
রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার সময় পানি নিতে এসে কল্লোলের সঙ্গে ওর দেখা হলো পুনরায়। কল্লোল নিজ বাহুতে থা’প্পড় মে’রে চুলকাতে চুলকাতে বলল,
“ভীষণ মশা এখানে। কয়েল বা অতিরিক্ত মশারি নেই? কাল রাতে মশার কা’মড়ে ভালো ঘুম হয়নি।”
রিমঝিম মশা মা’রার স্প্রে এনে কল্লোলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“আপনার গ্রামে বুঝি মশা নেই?”
কল্লোল মুচকি হেসে বলল,
“আছে, আরো অনেক কিছুই আছে। গেলেই দেখতে পাবেন।”
চলবে…