#মুক্তির_স্বাদ
লেখনীতে ঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
#পর্বঃ৪
মেয়ের ভাঙা কণ্ঠ শুনে কেঁপে উঠে মায়ের কোমল হৃদয়খানি। মুহুর্তেই উনার সমস্ত উচ্ছাসেরা মুখ থেকে বিলীন হয়ে কালো মেঘ ঘিরে ধরেছে। পরমুহূর্তেই আঁচলে মুখ গুঁজে কেঁদে উঠলেন তিনি। উনি আগেই ঠাহর করছিলো, তার মেয়েটা ও বাড়িতে ভালো নেই। এর আগে মেয়েটাও কখনো প্রকাশ করেনি সেকথা। কখনো জিজ্ঞেস করলে এক গাল হেসে বলতো, “আমি ভালো আছি মা। চিন্তা করো না আমার জন্য।”
সেই মেয়েটা আজ নিজ মুখেই, স্বামীর ঘর ছাড়তে চাইছে। কতোটা না কষ্ট সহ্য করছে তার বাচ্চা মেয়েটা! কি করবে মা? মেয়েকে নিয়ে আসবে নিজের কাছে?
সে-কি সম্ভব! নিরুপায় তারা। ঘরে অবিবাহিত আরো একটা মেয়ে তার, তারমধ্যে নিজে অসুস্থ। এরিমধ্যে তার বিবাহিত অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটা এনে, কি করে সব সামলাবে? তার স্বামীর কি সেই সমার্থ আছে? এই অভিশপ্ত গরীব জীবনে সৃষ্টিকর্তা কেন যে এতো অশান্তি দেন! মেয়েটার জন্য মন পু’ড়’ছে তার। মন চাইলেও বুকের মাঝে সে ইচ্ছে চেপে মুখে বললো,
“আমি তোরে আইনা কোথায় রাখুম মা? তোর বাপের আয়-রোজগারে কথা তো তুই জানোস। নুন আনতে পান্তা ফুরায়! ঘরে তোর ছোট্ট বোইনডা আবিয়াওা। তুই একটু মানাইয়া নে মা। উনারা যা বলে, একটু সহ্য কর। আম্মা! তুই দেহিস, একদিন তুই ঠিকই সুখী হইবি। তোর মায়ে তোরে প্রাণ ভইরা দোয়া কইরা দিলো। তুই একটু মানাইয়া নে মা! পাগলামি করিস না।”
মায়ের কথা শুনে হঠাৎ করে হাসলো শিখা। সে কি হাসি! চোখে জল, মুখে খিলখিল করা হাসি! মনে-মনে বার কয়েক আওড়ালো,
” যেকোনো সমস্যার একটাই কি সমাধান? মানিয়ে নেও নয়তো মেনে নেও! মেয়েদের জীবন কি এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ?”
উওর মিলাতে পারছে না শিখার ছোট্ট মস্তিষ্কে। পুনরায় মস্তিষ্কে জাগ্রত হলো, সুখ নাম শব্দটি!
তবে, সুখী কি হবে সে! মা যে বললো, তা কি আদৌও সম্ভব? ব্যাঙ্গ করে আবারো হাসলো শিখা।
নিজের হাসি থামিয়ে তাচ্ছিল্য করে বললো,
” সংসারে সুখী হওয়ার জন্য দরকার একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী। সেই সঙ্গী কি আমাকে দিয়েছো তোমরা মা?”
মেয়ের প্রশ্নের জবাব নেই মায়ের! আঁচলে মুখ লুকিয়ে নিঃশব্দে কেঁদে উঠলেন মা। শিখা মায়ের জবাবের অপেক্ষা না করে ফের বললো,
“আমি মানিয়ে নিবো নিজেকে মা। আর কখনো তোমাদের কিচ্ছুটি বলবো না, বাড়িতেও আসতে চাইবো না। এইতো মানিয়ে নিতে নিতেই একদিন হঠাৎ করেই দেখবে, তোমার মেয়ের জীবন প্রদীপ ফুরিয়ে গেছে।”
“এমন কথা বলিস না মা। আমি যে নিরুপায়!”
এরিমধ্য মনিরুল আসলো, স্ত্রীকে মুঠোফোন হাতে নিয়ে কান্না করতে দেখে, হকচকিয়ে গেলেন তিনি। ততক্ষণাৎ তড়িৎ কণ্ঠে শুধালো,
“কি হইছে তোমার? এভাবে কানতেছো কেন? কোনো সমস্যা, কে কল করছিলো?”
বাবার কণ্ঠ শুনে চট করে লাইন কেটে দিলো শিখা। মা নির্বাক হয়ে কাঁদছে। কিয়াৎ ক্ষণ সময় নিয়ে নিজেকে দ্রুত সামলে নিলো উনি। খুব সূক্ষ্ণ ভাবে স্বামীর থেকে বিষয়টি এড়িয়ে গেলো। কেননা, বাবা মেয়ের এরূপ কথা শুনলে ভেঙে পড়বে। অনুশোচনার ভুক্তভোগী হয়ে, গুমরে যাবে ভেতরে! বড় কন্যাকে যে খুব শখ করে বিয়ে দিয়েছে, বড় বাড়িতে। এই মানুষটাকে কি কাঁদানো ঠিক হবে? একদমই না! তপ্ত দীর্ঘশ্বাসে ভারি হলো মায়ের বুক।
.
.
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে তবুও না খেয়ে নিজের রুমে চোখ দু’টো বন্ধ করে সুয়ে আছে শিখা। তারই একপাশে সুয়ে আযান, মাএই পেটপুরে খেয়ে সুখের ঢেঁকুর তুলছে লোকটা। তার পাশে যে অসুস্থ বউটা না খেয়ে আছে, তাতে কোনো হেলদোল নেই তার।
শিখা আজ কেন পাঁচদিনও যদি নিজ ইচ্ছেয় না খেয়ে থাকে, এতে অবশ্য এ বাড়িতে কারো কিছু যায় আসে না। চঞ্চল সেই মেয়েটা নিজেকে রোবটের মতো চালাচ্ছে আজকাল।
মায়ের কথা মতো, মনের অভিমান গুলো খুউব গোপনে মনিকোঠায় ঠায় লুকিয়ে সব অন্যায় মেনে নিলো মেয়েটা। এইতো কিছুক্ষণ আগেই রান্না সহ যাবতীয় কাজ সেরে রুমে এসেছে শিখা। অসুস্থ শরীরে এতো খাটুনির ফলে শরীরটা ভীষণ দুর্বল লাগছে, পেটে ক্ষুধাও লাগছে। তবুও এই খাবার খেতে ইচ্ছে করছে না তার। চারপাশে খাবারের গন্ধ মৌ-মৌ করছে, বাড়িতে সবাই ঘটা করে খেয়েছে খানিকক্ষণ হলো। অথচ কেউ একবার তার খোঁজ নেয়নি। যেখানে স্বয়ং স্বামীই দ্বায়িত্বহীন সেখানে অন্য সদস্যের থেকে আশা রাখাও বিলাসিতা বৈকি!
একবার খেতে গিয়েও ফিরে এসেছে সে, এই খাবার আজ গলা দিয়ে নামবে না তার।
আজ যদি তার বাবা’রও ষোল কণা পূর্ণ থাকতো, হয়তো এই বাড়িতে সবার চোখের মনি হতো শিখা। চাপা কষ্টে চোখের কার্ণিশ বেয়ে অজান্তেই গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুকণারা। হুঁশ ফিরলো মেয়েটার, তড়িঘড়ি করে হাতের উল্টো পিঠে মুছে নিলো সেই জল। একবুক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চাইলো পাশে সুয়ে থাকা স্বামীর মুখোপানে। লোকটা এখন আরামসে ঘুমাচ্ছে। ভাগ্য করে একটা পুরুষ জুটেছে তার কপালে। হেয়ালি করে হাসলো শিখা, ছলছল চোখে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ নিয়ে বলে উঠলো,
“সন্তান হিসেবে তুমি জাতির আদর্শ, এমন সন্তান প্রতিটি মায়ের হোক।
স্বামী হিসেবে তুমি রি’ক্ত’শূ’ন্য, এমন স্বামী কোনো মেয়ের না হোক।”
আযান কি শুনলো সে কথা? বুঝা গেলো না। এরিমধ্যে শ্বশুর মশাই “আসহাব” ডাকলো শিখাকে,
“বউমা! এদিকে একবার এসো তো মা।”
বাড়িতে আসলে একমাত্র এই ব্যক্তিই তার একটুআধটু খোঁজ-খবর নেয়। শিখা একমুহূর্ত দেরি করলো না , নিজেকে পরিপাটি করে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো।
.
.
গর্ভকালীন সময়টা খুব ভালো ভাবেই কেটেছে আশার। তাকে দিনরাত সেবা দিয়ে গেছেন শিখা। ননদের জামা-কাপড় ধুয়ে দেওয়া সহ বাচ্চার জন্য কাঁথা অবধি সেলাই করতে হয়েছে তার।
আজ নরমালেই ছেলে বাবুর মা হয়েছে আশা। বাড়িতে নতুন মেহমানের আগমনে আনন্দের শেষ নেই কারো। ননদরা সবাই এসেছে, বাড়িতে ঘরভর্তি মেহমান। রেহেনা বেগম আনন্দে আত্মহারা! পুরো পাড়ায় মিষ্টি বিলিয়েছে সে। অসুস্থ মেয়েকে ভালো মন্দ খাওয়াতে ব্যস্ত মা।
কিন্তু অভাগা শিখা মেয়েটার এক মিনিটের জন্য নিস্তার নেই।
বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা ননদ আসার ফলে সেই থেকে শুরু হলো তার দিন-রাত বাড়তি শরীর খাটুনি।
তারমধ্যে মেয়েটা নিজেও অসুস্থ। তবুও কেউ তার প্রতি একটু বিনয়ী হয়নি। তাকে সাহায্য করতে কখনো এগিয়ে আসেনি রেহেনা বেগম। উল্টো কোথাও কোনো কাজের ভুল করলে কথা শুনিয়েছেন।
মাএই ননদের গর্ভকালীন সময়ের র’ক্ত’মা’খা কাপড় গুলো ধুয়ে পুকুর পাড়ে ধাপ করে বসে পড়েলো মেয়েটা। তার মাথা ঘুরছে, আঁ’ট শি’ট গন্ধে গা ঘুলিয়ে আসছে। মুহূর্তেই হরহর করে বমি করে দিলো শিখা। শরীরে এতটুকু শক্তি নেই আজ, কোমড়টায় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হচ্ছে।
তাকে সাহায্য করার কেউ নেই, কোনোমতে দুর্বল দেহটা সচল করে টলতে টলতে রুমে গেলো শিখা।
এবার একবার ডক্টরের কাছে যাওয়া উচিৎ, এর আগে একবার কেউ সে কথা মনেও করেনি। আযান অফিসে এখন। কি করবে শিখা?
নিজের শরীরের সাথে না পেরে কল দিলো স্বামীর কাছে। ভয়ে ভয়ে বললো,
“শুনুন? আমার শরীরটা ভীষণ খারাপ লাগছে, মাথাটা বড্ড ঘুরছে। বলছিলাম কি, আমাকে একটু ডক্টরের কাছে নিয়ে চলুন। এতো যন্ত্রণা আর সহ্য করতে করতে পারছি না। ”
আযান বিরক্তিকর কণ্ঠে বলে উঠলো,
“এই অসময়ে এজন্যই ফোন দিয়েছো তুমি? আমি অফিসে কাজ করতে আসি, ঘুরতে আসি না শিখা।”
“আমি কখন বললাম, আপনি ঘুরতে যান। আসলে, আজকে একটু বেশিই কষ্ট হচ্ছে। আপনি একবার ছুটি নিয়ে আসুন না, প্লিজ!”
“আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং রয়েছে এখন, একদম সময় নেই হাতে। তোমার সমস্যা তুমি বুঝে নেও শিখা। আমিতো আর তোমাকে এতো দ্রুত বাচ্চা নিতে বলিনি। আমাকে জ্বালাবে না একদম, কাজ করতে দেও।”
“আচ্ছা, বাচ্চাটা কি আমার একার, আপনার কোনো দায়িত্ব নেই? আপনি এতো পাষাণ কেনো আযান! আমাকে একটু ভালোবাসলে আপনার কি খুব ক্ষতি হয়? কেন আমার প্রতি আপনার এতো অনাচার?”
কয়েক সেকেন্ড পেরোল ওপাশে নিশ্চুপ, নিঃশব্দ। শিখা অধৈর্য হয়ে বলে উঠলো,” কি হলো কথা বলছেন যে? হ্যালো!”
তবুও সাড়া নেই। শিখা ফোন হাতে নিয়ে দেখলো, লাইন কেটে গিয়েছে ইতোমধ্যে। আবারও কল করলো মেয়েটা। কিন্তু ফোনটা এবার বন্ধ বলছে। এই সময়টাতেও লোকটা ফোন বন্ধ করে রাখলো? হায়রে পুরুষ!
স্বামীর এমন আচরণে বিষিয়ে উঠলো কিশোরী মেয়েটার মন। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো, দায়িত্বহীন পুরুষটাকে আর কখনো কিছু বলবে না সে। জেদ চাপলো তার অষ্টাদশী মনে, একাই ডক্টরের কাছে যাবে সে।
কিন্তু, টাকা? পরমুহূর্তে শ্বশুরের রুমে গেলো শিখা। বউমা’কে দেখে সৌজন্য মূলক কিঞ্চিৎ হাসলো আসহাব। পরক্ষণে, মেয়েটার মলিন মুখ পর্যবেক্ষণ করে কোমল কণ্ঠে বললেন,
“কিছু বলবে বউমা? তোমার মুখটা এতো শুকনো লাগছে কেন, কি হয়েছে তোমার?”
লজ্জায় জড়সড় হয়ে দাঁড়ালো শিখা। এসব সিক্রেট কথা কি শ্বশুরকে বলা যায়? বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে আজ শ্বশুর কাছে টাকার জন্য হাত পাততেও কেমন জানি লাগছে তার। তবুও নিজেকে ধাতস্ত করে মিহি কণ্ঠে শুধালো,
“বাবা আমাকে কিছু টাকা দিবেন? আমি আজকে একটু ডক্টরের কাছে যাবো, শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।”
“সে নায় দিলাম। কিন্তু, তুমি একা যেতে পারবে মা? এক কাজ করো, আযানকে ফোন করে আসতে বলো।”
শ্বশুরের কথা শুনে তপ্ত শ্বাস ছাড়লো শিখা। খানিকটা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো,
“আপনার ছেলের কি আর আমার জন্য সময় আছে বাবা। ব্যস্ত মানুষ কিনা! আপনি যদি টাকাটা দিতেন, তাহলে আমি একাই খুব করে যেতে পারবো।”
কথা বাড়ালো না আসহাব। তার ছেলে যে একটা মেরুদণ্ডহীন, সে ভালো করেই জানে বাবা। ভাবছে হয়তো বউ পেলে বদলে যাবে ছেলেটা। কিন্তু, আযান আর বদলালো না। মা’কে আশকারা দিয়ে মাথায় তুলেছে, এখন তাকেও পরোয়া করে না রেহেনা বেগম। এই পারিবারিক নিত্য অশান্তির জন্য নিজেই বাড়ি ছেড়ে শহরে থাকছে সে। সেখানে, শহরের দোকান গুলো দেখাশোনা করে। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসলে দুই-চারটা দিন থেকে চলে যায়। সংসারের অশান্তি পোহাতে পোহাতে চরম বিরক্ত মানুষটা। তাইতো, এই সংসার নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই আজকাল। পারিবারিক কোলাহল থেকে নিজেকে আড়াল করেছে দিনদিন, দূরে থেকে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। এইতো শান্তি!
পরমুহূর্তে, আসহাব আশপাশ তাকিয়ে মানিব্যাগ থেকে হাজার দশেক টাকা শিখার হাতে গুঁজে দিলো। শিখা এতগুলো টাকা দেখে অবাক হয়ে বললো,
“এতো টাকা? এতটা লাগবে না বাবা। আপনি বরং আমাকে দু’হাজারের মতো দিন। তাতেই দিব্যি হয়ে যাবে আমার।”
“সবটা নিজের কাছে রেখে দেও বউমা। যতটুকু লাগে প্রয়োজন খরচ করো, বাকি কিছু থাকলে ভালো-মন্দ যা খেতে ইচ্ছে করে নিজে কিনে খেও। আমিতো আর সবসময় বাড়িতে থাকছি না।”
তবুও নিতে চায়নি শিখা, এক প্রকার জোর করেই হাতে গুঁজে দিলো আসহাব।
শিখা কাউকে কিছু না জানিয়ে একাই বেরিয়ে পড়লো বাসা থেকে। ডক্টরের চেম্বারে এসে পড়ে গেলো বিপাকে। ডক্টর যখন জানলো, শিখা প্রেগনেন্ট। উনি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,
“তুমি নিজেই তো বাচ্চা, বয়স কতো তোমার?তোমার সাথে কেউ আসেনি, একা এসেছো তুমি?”
সতেরো বছরী কিশোরী মেয়েটা নিজ মুখে, নিজের গ’র্ভ’ধা’র’ণে’র কথা বলতে লজ্জায় ম’রে যাচ্ছে। এমন লজ্জা ইহজন্মে পায়নি শিখা। তবুও ভে’ঙে পড়া যাবে না। বয়স যাই হোক, সে একজন হবু মা! মায়েদের এতটুকুতে ভেঙে পড়তে নেই। মা হওয়া কি আর এতোটা সহজ?
নড়েচড়ে বসলো শিখা। গুটিকয়েক লম্বা শ্বাস ছেড়ে, শক্ত কণ্ঠে ডক্টর’কে বললো,
“নাম শিখা,বয়স সতেরো চলছে। ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য হাসবেন্ড বা অন্যরা সাথে আসতে পারেনি, বাধ্য হয়ে একাই এসেছি। আপনার যা জানার প্রয়োজন হয়, আমাকেই জিজ্ঞেস করুণ।”
চলবে…….