#মীরার সংসার
#তিথি সরকার
#পর্ব-৭
১৩.
এলার্মের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে বিছানায় উঠে বসলো রোহন।যদিও এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কম্বলের ওম ত্যাগ করতে মন চায় না। তবে কিছু পেতে হলে তো কিছু ছাড়তেই হবে।সময় এখন রাত তিনটার কাছাকাছি। পাশেই মীরা তার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুমের রাজ্যে রয়েছে।মীরার ঘুমটাও ভাঙাতে মন চাইছে না তার।তবুও, উঠতে তো হবেই।প্রথমে রোহন মৃদুস্বরে ডাকলো,
“মীরা,উঠো।এখুনি আমাদের রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। ”
কিন্তু এই কথা মীরার কর্ণগোচর হলো না মনে হয়। কেননা,মীরার কোনো হেলদোল নেই। রোহন বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে এবার একটু জোরে বললো,
“এই যে আমি কিন্তু উঠে গেছি।পরে কিন্তু আমায় দোষ দিতে পারবে না যে তোমায় ডাকিনি আমি। ”
মীরা এক লাফে উঠে বসলো এবার।যা দেখে রোহনের ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটে উঠলো। মীরার চোখ জরিয়ে যাচ্ছে ঘুমে।চোখ বুজেই কোনোমতে বললো,
“এখুনি বেরুতে হবে?মাত্রই তো ঘুমোলাম।”
রোহন কাছে এসে মীরার এলোমেলো চুলোগুলোকে হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে বললো,
“পরে এসে ঘুমিও।এখন চলো তো বাবা!এই সানরাইজ মিস করলে কিন্তু তোমার দার্জিলিং ট্যুরটাই বৃথা।”
রোহন আর মীরা রেডি হয়ে বাইরে এসে দেখলো হোটেলের সামনেই তাদের সেই ট্যাক্সি ড্রাইভার দাঁড়িয়ে। ড্রাইভারটি বোধহয় বাঙালি। তিনি এক গাল হেঁসে বললেন,
“দাদা, এখুনি আমি আপনায় ফোন করতাম।জলদি উঠে আসুন। ”
ট্যাক্সিতে আরও একটি কাপল রয়েছে।এতো রাতেও চারপাশে মানুষের ভীড়।রাস্তায় সারি সারি জীপের বহর। চারপাশে এতো গাড়ি আর কোলাহলে অবাক হয় মীরা।এতোগুলো মানুষের একটাই গন্তব্য,টাইগার হিল!
বাইরে হাড় হিম করা ঠান্ডা! তবে এই ঠান্ডাকে তোয়াক্কা না করেই সবাই বেরিয়ে পরেছে।রোহন ভালো করে মোটা একটা শাল জড়িয়ে দেয় মীরার গায়ে।যদিও তাদের সবারই জ্যাকেট,টুপি, হাত মোজা,পা মোজা পরা রয়েছে, তবুও মনে হচ্ছে শীত যেনো কামড়ে ধরছে সারা শরীর।
তাদের ট্যাক্সি ছুটে চলেছে পাহাড়ি অন্ধকার রাস্তা ধরে। দুপাশে পাইন গাছের সারি।জঙ্গলের মতো জায়গা গুলোতে কুয়াশায় চারিপাশ আরও ভীতিকর হয়ে রয়েছে।
টাইগার হিল জায়গাটি দার্জিলিং শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফুট।সূর্যোদয়ের সময় নিচু উচ্চতায় সূর্যকে দেখতে পাওয়ার আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখরগুলি আলোকিত হয়ে ওঠে।যা টাইগার হিল থেকে খুব স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যায়। তছাড়াও এখান থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে দক্ষিণে কার্শিয়াং শহর এবং কিছু দূরে দক্ষিণেই তিস্তা নদী, মহানন্দা নদ, বালাসোন নদ ও মেচি নদীকে সর্পিল পথে এঁকে বেঁকে চলতে দেখা যায়। চোলা পর্বতমালার পিছনে অবস্থিত তিব্বতের চুমল রি পর্বতটিকেও টাইগার হিল থেকে দেখা যায়।
ওখানে পৌঁছে অনেক অনেক গাড়ির পেছনে তাদের গাড়ি পার্ক করা হলো।ঘড়িতে সময় তখন চারটা ত্রিশ।রোহন শক্ত করে মীরার হাত ধরে সামনে এগুতে লাগলো।প্রায় দশ/বারো মিনিটের মতো পাহাড়ি আঁকাবাকা হাটা পথ পেরিয়ে তারপর সেই মূল জায়গা যেখান থেকে কিনা ভোরের সূর্যোদয় দেখা যায়।ওখানে পৌঁছাতে গিয়ে মীরার রীতিমতো হাঁপ ধরে যায়,যেহেতু জায়গাটা অনেকটা উঁচু।
তারা সেখানে পৌঁছে দেখলো অজস্র মানুষের ভীড়ে যেনো পা ফেলার জায়গা অব্দি নেই।কোলাহলে পূর্ণ পুরো জায়গা।হাজারো মানুষের পশ্চাৎদেশ ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পরলো না তাদের। কিন্তু রোহন মীরাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে সামনে মানুষের ভীড় ঠেলে এগিয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু সবার মুখ থেকেই আফসোস সূচক বাণী বেরিয়ে আসছে।পুরো টাইগার হিল যেনো হাহাকার করে উঠলো।সামনে তাকিয়ে দেখা গেলো পুরো আকাশ কুয়াশায় মোড়ানো।চোখের সামনে দুহাত দূরের জিনিসও দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না।তবে কি আজ আর সূর্যোদয় দেখা হবে না!
মন খারাপ হয়ে গেলো মীরার।আর তার সাথে রোহনেরও। যদিও সে একবার এই সূর্যোদয় উপভোগ করেছে কিন্তু মীরার জন্য তার খারাপ লাগছে।তবুও সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলো।যদি সূর্য দেব একটু কৃপা করেন।
রোহন মীরাকে নিয়ে একটু পাশ কেটে দাঁড়ালো। ঠিক পাঁচ মিনিটের মাথায় পুরো আকাশে একটা সূক্ষ্ম সোনালী রেখা ছড়িয়ে গেলো।সবার মাঝে গুঞ্জন শোনা গেলো। সবাই হৈ হৈ করে উঠলো।বরাত তাহলে সবার এতোটাও মন্দ নয়।একজন আরেক জনকে ঠ্যালা,ধাক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো।প্রায় সবার হাতেই মোবাইল ফোন। এযেন এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো। কে,কার আগে এই দৃশ্য মুঠোফোনে বন্দী করবে।
আস্তে আস্তে পুরো আকাশে ছড়িয়ে গেলো সোনালী আভা।কেউ যেনো গোটা আকাশে আগুনের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিয়েছে।কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছন থেকে ধীরে ধীরে সূর্য বের হতে হতেই যেনো টুপ করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গেলো।সূর্যটাকে দেখে তখন ঠিক মনে হচ্ছিল অগ্নি গোলক।সূর্যের প্রথম কিরণ কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় লাগতেই যেনো শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপ বেড়ে গেলো বহুগুণ। আস্তে আস্তে সেই আলো ছুয়ে গেলো গোটা কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেখে মনে হচ্ছে যেনো কেউ কয়েক গ্যালন গলিত স্বর্ণ ঢেলে দিয়েছে বিশাল পাহাড়টির গায়ে।এই রুপ আসলে বর্ণনাতীত।এই রুপ শুধু দর্শন করেই চক্ষু সার্থক করতে হয়।
কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পেছনে রেখে যে-যার মতো পোট্রেট তুলে নিচ্ছে, ফিরে গিয়ে দেখাবে এবং পোস্ট করে লাইক কুড়োবে বলেই। সে এক তুলকালাম কান্ড বেধে গেলো চারিপাশে।অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে টাইগার হিল থেকে মাত্র ৩০ রুপিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা, হিমালয়, সিকিম, নেপাল সীমান্ত ও অন্যান্য পাহাড় দেখতে।
মীরার মুখ থেকে ঘুমু ঘুমু রেশ এখনও কেটে যায়নি।সূর্যের আলোয় যখন মীরার গোলাকার মুখটা যেনো আরও কমনীয় লাগছে।মীরার উত্তাল করা হাসি যেনো রোহনের এক টুকরো সুখ।এই রাঙা আলোয় মীরার মুখখানা দেখে তার মনে হলো,এই রুপ রোজ সকালে না দেখতে পেলে সে হয়তো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মরেই যাবে।
সূর্য দেখা দেবার আগের মুহূর্ত ভোলার নয়, সবাই তাকিয়ে আছে আর অপেক্ষা করছে।সূর্য যখন অলৌকিক ভাবে উঁকি দিল, সেই সময়ের মানুষের অভিব্যক্তির বর্ণনা দেবার ভাষা সত্যিই অজানা! টাইগার হিলে সূর্যোদয়ের বর্ণণা অনেক পড়া হয়েছে অনেক গল্প উপন্যাসে। এবার নিজেই তা প্রত্যক্ষ করে যেনো হতবিহ্বল হয়ে গেলো মীরা।ওরা আসলেই সৌভাগ্যবান যে, এমন স্পষ্ট সূর্যোদয় দেখতে পেয়েছে এতো কুয়াশার মাঝেও।।মীরা বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে আছে সেদিকে।তার চোখে মুখে খুশি ঝিলিক দিচ্ছে। এতো কাছে থেকে এমন অপরুপ দৃশ্য তার আগে দেখা হয়নি।এতো কাছ থেকে সূর্যোদয় দেখতে পেয়ে সূর্য প্রণাম করতে ভুললো না মীরা।পূর্ব দিকে হাত জোর করে মনে মন জপে নিলো সূর্য প্রণাম মন্ত্র,
“ওঁ জবা কুসুম সংকাশং…..
মীরা রীতিমতো রোহনকে জাপটে ধরে উচ্ছ্বসিত গলায় বলে,
” থ্যাংক ইউ,থ্যাংক ইউ,থ্যাংক ইউ ভ্যারি মাচ!ও মাই গড! এত্তো সুন্দর কেনো?”
রোহন হেসে ফেললো।বললো,
“কারণ তুমি যে দেখছো,তাই।”
মীরা রোহনের হাতে মৃদু একটা চড় দিয়ে বলে,
“ইশশ, যা তা একদম!”
টাইগার হিলে ভোর থেকেই ফ্লাক্সে করে চা-কফি বিক্রি করে অনেকেই।এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় তো এমন গনগনে গরম কফিই তো চাই।রোহন বিশ রুপি করে দু কাপ কফি নিয়ে নিলো।এই ঠান্ডায় গরম কফির কাপে চুমুক। আহা!যেনো অমৃত!রোহন তার আর মীরার একটা সেল্ফি তুলে নিলো।হাজার হোক,প্রথম একসাথে বেড়াতে আসা বলে কথা!
নিচে নেমে এসে ট্যাক্সি খুঁজে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না তাদের। সামনেই ছিলো।সাথে আসা কাপলটির সাথে গাড়িতেই পরিচয় সেড়ে নিয়েছিলে তারা।শুভদীপ আর জুন এসেছে কোচবিহার থেকে। এটা তাদেরও বিয়ের পর প্রথম ঘুরতে আসা। তারা আসতেই শুভদীপ বললো,
“আরে দাদা,এতো ভয় পেয়েছিলাম, কুয়াশা থাকায়।ভেবেছিলাম বউকে নিয়ে টাইগার হিল আসাটাই বুঝি বৃথা হয়ে গেলো!”
রোহন সম্মতি জানিয়ে বললো,
“তা আর বলতে!”
১৪.
সকাল দশটার দিকে একটা হোটেলে ব্রেকফাস্ট সেড়ে রোহন আর মীরা হাঁটতে শুরু করলো ‘মহাকাল মন্দিরের উদ্দেশ্যে,যা কি চক বাজার থেকে খুব একটা দূরে নয়।
দার্জিলিং এ বসবাসকারীদের মধ্যে বেশীর ভাগই হিন্দু। এরপরই আসে বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসীদের সংখ্যা। অন্যান্য ধর্মের লোকজনও বেশ কিছু আছে এখানে। নেপাল থেকে আসা লোকজনের মধ্যে হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মের মানুষই আছে। তিব্বতীরা সকলেই বৌদ্ধ।
তাই দার্জিলিংএ বৌদ্ধ গুম্ফার পাশাপাশি হিন্দু মন্দিরও রয়েছে। এর মধ্যে প্রাচীনতার দিক থেকে মহাকাল মন্দির আর সিংহা দেবীর মন্দিরের কথা বলা যায়।এটি দার্জিলিং এর অন্যতম একটা দর্শনীয় স্থান ও অনেক পূণ্যার্থীদের জন্য তীর্থস্থান হিসেবে গন্য।
দার্জিলিং ম্যালের চৌরাস্তা পেরিয়ে দুটো রাস্তা,নেহেরু রোড আর ভানুভক্ত রোড একটা গাছপালায় ঘেরা পাহাড়কে আবেষ্টন করে দুদিকে চলে গেছে। ওই পাহাড়টাই বিখ্যাত অবজারভেটারী হিল।
ডানদিকের রাস্তাটা পাহাড়টা ঘিরে চলে গেছে দূরে। পাশে অসংখ্য দোকান। এটাই মহাকাল মার্কেট। ডানপাশে খাদ। এই খাদের ওপারে পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে দার্জিলিং শহরের বাড়ী ঘরের সুন্দর দৃশ্য।
দোকানগুলোর পাশ দিয়ে কিছুটা গিয়ে রাস্তার বাঁ পাশে কয়েক ধাপ সিঁড়ি উঠে একটা চড়াই রাস্তা। এই চড়াই আঁকাবাঁকা হয়ে উঠে গেছে পাহাড়টার মাথায়।
এটাই মহাকাল মন্দিরের রাস্তা। যদিও চড়াইটা অনেকটাই উঁচু। তা হলেও দশ পনেরো মিনিটেই পৌঁছনো যায় উপরে। রাস্তার দুপাশে ঘন সবুজ উঁচু উঁচু গাছ পাহাড়টাকে সাজিয়ে রেখেছে।রাস্তার দু ধারে নানা রঙের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ লাগানো।এটা দার্জিলিং এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মহাকাল মন্দিরের পরিসরে ঢোকার আগে সাঁই বাবা, গণেশ প্রভৃতি মন্দির। এই মন্দির গুলো পেরিয়ে আরও বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি উঠে ডানদিকে কালী মন্দির। তারপরই সিংহবাহিনী ষড়ভুজা দুর্গা মন্দির। আরও একটু উঁচুতে উঠলেই সামনে তোরণ।মীরা যাওয়ার সময় সব মন্দিরের সামনে একবার করে মাথা ঠুকে যাচ্ছিলো। তোরণের ডানদিকে ড্রাগনের মূর্তি। পাশে আর এক মন্দির। তোরণ পেরোলে সামনে মহাকাল মন্দির। মাঝারি মাপের প্রাঙ্গণে মন্দির। মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে কালো পাথরের শিব লিঙ্গ। তার নীচে তিনটি সোনার আবরণে ঢাকা ছোট আকারের শিব লিঙ্গ। মন্দিরের একপাশে বৌদ্ধ চোরতেন।
এই লিঙ্গ স্বয়ম্ভূ(মানে যা কিনা নিজেই সৃষ্টি হয়েছে) লিঙ্গ। শিবলিঙ্গের নীচে তিনটি লিঙ্গ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর।
মীরা চারিদিকে ভালো করে নজর দেয়।মন্দিরটির সৌন্দর্য এক কথায় অনবদ্য। মীরা জিজ্ঞেস করে রোহনকে,
“মন্দিরটা অনেক পুরোনো, তাই না?
” তা তো বটেই।আমি যতদূর শুনেছি, 1765 সালে এই অবজারভেটারী হিলে বৌদ্ধ গুম্ফা তৈরী করেন বৌদ্ধ লামা দোর্জে রিনজিং।
1782 খ্রীষ্টাব্দে সেই লামা দোর্জে রিনজিং (Dorje Rinzing) এই স্বয়ম্ভূ লিঙ্গ দেখতে পান। তিনিই এই মহাকাল মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ”
জানালো রোহন।
মহাকাল অর্থাৎ শিব। লিঙ্গের মাথার উপরে ডানদিকে সোনার ছোট গণেশ মূর্তি। পাশেই ছোট বুদ্ধ মূর্তি ও আরও বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে এই তিন লিঙ্গের উপরে বাঁ পাশে। একই সঙ্গে হিন্দু পুরোহিত ও বৌদ্ধ লামা দুপাশে বসে পূজা করছেন।
রোহন আরও বললো,
“দোর্জে লিং নামের এই গোম্ফা থেকেই শহরের নাম হয় দোর্জেলিং, পরে ইংরেজরা একে দার্জিলিং নাম দেয়।
1815 সালে নেপাল দার্জিলিং আক্রমণ করলে গোর্খারা এই গুম্ফাতে লুটপাট চালায়। গোম্ফা ধ্বংস হয়।
পরে এটি নীচে ভুটিয়া বস্তিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ”
মীরা শুধু শুনে যাচ্ছে রোহনের কথা। তার কথা বলতে মন চাইছে না।
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এই Observatory Hill এর উপর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সমেত অন্য তুষারশৃঙ্গ গুলো দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরের চাতাল থেকে স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেলো তারা। সেটার দিকে তাকিয়ে মীরার মনে হলো।
“ইশশ,এখানেই থেকে যেতে পারলে মন্দ হতো না! ”
মন্দিরে পূজা করতে এসেছে অনেকেই। পাথরের মেঝের উপরে এই মন্দির।মীরা, রোহন ভক্তিভরে মন্দিরে প্রণাম করে।মনে লাভ
মন্দির থেকে বেরিয়ে তারা একটা লোকাল ট্যাক্সি নিয়ে চলে যায় বাতাসিয়া লুপ ও ঘুম স্টেশনের উদ্দেশ্যে।
চলবে…