মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০৫

0
1019

মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০৫
লেখকঃ আবির খান

মায়া এভাবে প্রিতমকে বকা দিতে দিতে হঠাৎই ওর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে। মায়া ম্যাসেজটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে যায়। মায়া দেখে প্রিতমের ম্যাসেজ। ম্যাসেজ এ লেখা ছিল,

– “নিচে আসুন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি।”

মায়ারও খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো প্রিতমকে একটু দেখবে। কিন্তু সেই ইচ্ছাটা প্রকাশ করতে পারছিল না। তবে অজান্তেই ওর ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে গেল। মায়া চুপিচুপি আস্তে করে নিচে নেমে এসে দেখে সত্যিই প্রিতম দাঁড়িয়ে আছে। মায়া প্রিতম এর কাছে গিয়ে বলে,

মায়াঃ হঠাৎ এসময়??

প্রিতমঃ এমনিই। চলুন একটু হাঁটি।

মায়াঃ আচ্ছা।

মায়া আর প্রিতম পাশাপাশি হাঁটছে। মায়া স্পষ্ট বুঝতে পারছে প্রিতম ওর দিকে তাকিয়ে হাঁটছে। মায়া প্রিতমের দিকে তাকাতেই প্রিতম অন্য দিকে তাকাচ্ছে। ব্যাপারটা খুব ভালো লাগছে মায়ার। ওর খুব ইচ্ছা হচ্ছে প্রিতমের হাতটা ধরে দু একপা হাঁটতে। মায়া বার বার প্রিতমের হাতের দিকে তাকাচ্ছে আর ইতস্তত হচ্ছে। প্রিতম বিষয়টা বুঝতে পারে। তাই আর কিছু না ভেবেই ও মায়ার আঙুলে আঙুল ঢুকিয়ে হাতটা শক্ত করে ধরে হাঁটতে থাকে। মায়ার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। ওর মনে হচ্ছে এটা কোন স্বপ্ন। মায়া একবার প্রিতমের দিকে আর একবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে। আজ ওর চেয়ে বেশি কেউ খুশী নয়। ওরা দুজন হাঁটতে হাঁটতে একটা জায়গায় এসে থামে। জায়গাটা খুব সুন্দর। একটা বেঞ্চ পাতা। উপরে ল্যাম্পপোস্ট। সামনে বাচ্চাদের ছোট একটা খেলার মাঠ। ঠান্ডা বাতাস। মায়া মিষ্টি একটা ঘ্রাণ পাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে সবকিছু ওর কাছে।

প্রিতমঃ বসুন এখানে।

মায়া প্রিতমের কথা মতো বেঞ্চে বসে। মায়া কল্পনাও করেনি এরপর ওর সাথে কি হতে চলছে। মায়া বসলে প্রিতম আস্তে করে ঠিক ওর সামনে এসে দাঁড়ায়। মায়া মাথা তুলে প্রিতমের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রিতম একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঠিক মায়ার সামনে ঘাসের উপর দুই হাটুতে ভর দিয়ে বসে মায়ার হাত দুটো ধরে ওর দুহাত দিয়ে। প্রিতম মায়ার চোখে চোখ রাখে।

মায়ার কেমন জানি লাগছে। হৃদস্পন্দন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মায়ার মনে হচ্ছে ও এখনই বেহুশ হয়ে যাবে। মায়া দেখে প্রিতমের চোখ দুটো কি যেন বলতে চাচ্ছে। মায়া শুধু পাথর হয়ে আছে। একদম জমে গিয়েছে প্রিতমের স্পর্শে। এবার প্রিতম বলে,

প্রিতমঃ আমি কোন সিনেমার নায়ক না যে অনেক কিছু করে তোমাকে খুশী করবো। আমি বাস্তববাদি। আমি জানি তোমার মনে আমায় নিয়ে কি চলে। এই দুই এক দিনেই তুমি কেমন তা আমি সব জেনে ফেলেছি। তোমাকে অপছন্দ করার কোন প্রশ্নই উঠে না। বরং সেদিন যে শাড়ী পরেছিলে ঠিক সেদিন রাত থেকেই তোমাকে শুধু আমার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি এত কিছু বলতে পারবো না। শুধু একটা কথা বলতে চাই,

“আমাকে বিয়ে করবে?? আমার এই সংগ্রামী জীবনের অংশ হবে মায়া??”

একটা ডায়মন্ডের আংটি দিয়ে প্রিতম কথাগুলো বলে মায়াকে। মায়ার চোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরছে। কেন ঝরছে তা ও নিজেও জানে না। যেই পুরুষজাতি একদিন ওকে নষ্ট করতে চাচ্ছিলো, আজ সেই পুরুষজাতির একজনই এর জীবনের কষ্টগুলোকে মুছে দিয়ে অনেক গুলো ভালোবাসা দিতে চায়। ওর জীবনের সঙ্গী হতে চায়। এরকম একজন বীর পুরুষকে না বলার কোন প্রশ্নই নেই।

মায়া কাঁদতে কাঁদতে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে আর ওর আঙুলটা এগিয়ে দেয়। প্রিতম সেই মনকাড়া হাসিটা দিয়ে মায়াকে রিংটা পরিয়ে দেয়। মায়া অনেক কেঁদে দেয় খুশীতে। ওর মতো সামান্য মেয়েকে কেউ এতোটা আপন করে নিবে ও কখনো ভাবেনি। প্রিতম মায়ার পাশে বসে মায়াকে ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। আর বলে,

প্রিতমঃ তোমার ধারে কাছে আর কেউ আসতে পারবে না। এখন থেকে তুমি শুধু আমার। আর কারো সাহস নেই আমার প্রাণের দিকে নজর দিবে। আর যে দিবে আর চোখ আমি উপড়ে ফেলবো।

মায়াও প্রিতমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। প্রিতম মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

প্রিতমঃ এই মিশনটা শেষ হওয়া মাত্রই তোমাকে বিয়ে করবো। আমার মাও রাজি। সেতো শুনে খুব খুশী। কাল মায়ের সাথে একবার দেখা করো।

মায়ার মনে হচ্ছে ওর ঝুড়িতে কেউ অনেকগুলো খুশী একসাথে দিয়ে গেল। মায়া মাথা তুলে প্রিতমকে বলে,

মায়াঃ সত্যি আল্লাহ যেন আপনাকে কখনো আমার কাছ থেকে দূর না করে। আপনার মতো একজনকে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আপনাকে কখনো হারাতে চাইনা।

প্রিতমঃ তোমাকে একা রেখে কোথাও যাবো না। আমি চলে গেলে তোমাকে দেখবে কে?? হুম৷

মায়াঃ আমিও যাবো না।

এরপর প্রিতম মায়াকে ওর হোস্টেলে পৌঁছে দেয়। মায়া ভিতরে ঢুকতে নিলে প্রিতম বলে,

প্রিতমঃ মায়া…

মায়া ঘুরে তাকায় আর প্রিতমের কাছে যায়।

মায়াঃ জি??

প্রিতম মায়াকে ওর একদম কাছে এনে ওর কপালে গভীর একটা চুমু দিয়ে বলে,

প্রিতমঃ বউটাকে ভালোবাসি।

মায়া কেৃদে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে বলে,

মায়াঃ আমিও অনেক অনেক ভালোবাসি।

প্রিতমঃ যাও এখন গিয়ে ঘুম দেও। কাল আমার অনেক বড় একটা মিশন আছে। দোয়া কইর। জানি না কি হবে কাল। তাই মনের কথাটুকু বলে দিলাম।

প্রিতমের এই কথা শুনা মাত্রই মায়ার বুকে ছেত করে উঠে। মায়া অস্থির হয়ে বলে,

মায়াঃ কি বললেন!! আপনার কিছু হবে নাতো??(অস্থির হয়ে)

প্রিতমঃ তোমার আর মায়ের দোয়া সাথে থাকলে আমার কিচ্ছু হবে না।

মায়া প্রিতমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

মায়াঃ আপনার কিচ্ছু হবে। কিচ্ছু না।

প্রিতমঃ হুম যাও। আল্লাহ চাইলে সামনে দেখা হবে৷

মায়া কান্নাই করছে শুধু। প্রিতমকে যেতেই দিতে চাচ্ছে না। কেন জানি মায়ার মনে হচ্ছে আর প্রিতমের সাথে ওর দেখা হবে না। প্রিতম মায়াকে অনেক বুঝিয়ে উপরে পাঠিয়ে দেয়।

প্রিতম জানে কালকের মিশনটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ কাল কোন ভাবেই বাঁচার সুযোগ নেই শত্রু পক্ষের। প্রিতম বাসায় ফিরে রায়হান সাহেবকে সবটা জানায়। সাথে আরো কিছু লোক নেয়।

পরদিন সকাল ৫ টা। ফজরের নামাজটা পড়ে প্রিতম সব কিছু নিয়ে রেডি হয়। প্রিতমের মা বাইরে সোফায় বসে চিন্তা করছে ছেলের জন্য। আজ তারও কেন জানি অনেক চিন্তা হচ্ছে। প্রিতম রেডি হয়ে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওদের বেইসে চলে যায়। সেখানে সবাই আছে।

বেইসে,

প্রিতমঃ আজ আমাদের অনেক বড় একটা মিশন। শুধু একটা না দুটো।

সবাইঃ মানে??

প্রিতমঃ আমরা প্রথমে হার্ডডিস্কটা রেস্কিউ করব। তারপর যার কাছে হার্ডডিস্ক ছিল তাকে ধরে যেভাবে হোক ওর বসের আস্থানার ঠিকানা জেনে নিয়ে সেখানে গিয়ে অ্যাটাক করে সবগুলোকে শেষ করে দিব। সবাই এখান থেকে স্পেশাল ব্লুটুথ আর জিপিএস নিয়ে নিন। আমাদের চিফ এবং তার টিম আমাদের লোকেশন খেয়াল রাখবে৷ যাতে আমাদের প্রয়োজনে আরো লোক পাঠাতে পারে। আপনারা সবাই একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, যে মেইন তাকে মারবেন না। তার ঠিক পা বরাবর গুলি করবেন। আর আমিতো আছি। সবাই সবার আর্মস লোড করে নিন। আজ চরম একটা মিশন হবে। গুড লাক সবাইকে।

সবাইঃ ইয়েস স্যার।

কোলাহল বাড়ার আগেই সবাই ৫ জায়গায় চলে যায়। প্রতি ৫ জায়গায় ৫ জন করে বিভিন্ন পয়েন্টে লুকিয়ে পড়ে। প্রিতম আইপ্যাড নিয়ে বসে আছে। বাকিরা এদিক ওদিক খেয়াল রাখছে। হঠাৎই প্রিতমের ফোনটা বেজে উঠে। প্রিতম দেখে মায়া কল করেছে। ও কল রিসিভ করে।

মায়াঃ হ্যালো। আপনি কোথায়?? ঠিক আছেনতো?? আমি মায়ের কাছে আছি।

প্রিতমঃ হুম ঠিক আছি। চিন্তা করো না। মাকেও চিন্তা করতে না করো। ভালো করেছ মায়ের কাছে এসেছ। মায়ের খেয়াল রাখো। আর দোয়া করো এখন রাখি।

মায়াঃ হ্যালো হ্যালো…

মাঃ কিরে কি বলল??(চিন্তিত কণ্ঠে)

মায়াঃ বলল চিন্তা করতে না সব ঠিক আছে। মা আপনি চিন্তা কইরেন না। আল্লাহ ভরসা।

মাঃ হুম.. কিন্তু চিন্তাতো এসে পড়ে। একটা মাত্র ছেলে। আল্লাহ তুমি রক্ষা করো।

সবাই চুপচাপ বসে আছে। প্রিতম চা খাচ্ছিলো। হঠাৎই জিপিএস অন হয়। প্রিতম চায়ের কাপটা রেখে দেখে ও যে জায়গায় আছে ঠিক সেই জায়গায়টাই জিপিএস এ দেখাচ্ছে। প্রিতম সবাইকে বলছে,

প্রিতমঃ বি এলার্ট। জিপিএস অন হয়েছে। সবাই হীরু মিয়া রোডে আসুন। বাকিরা আমার সাথে।

এরপর প্রিতম একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করেই ওর সাথে বাকি ৪ জনকে নিয়ে জিপিএস ফলো করে একটা বিল্ডিংয়ে ঢুকে। বিল্ডিংয়ের দুই তলার একটা রুম থেকেই স্ট্রং সিগনাল আসছে। প্রিতম আর একমূহুর্ত সময় না দাঁড়িয়েই জোড়ে লাফি মেরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, ৭ জন মিলে লেপটপে হার্ডডিস্ককে ক্র‍্যাক করার চেষ্টা করছে। প্রিতমদের দেখে যারা মারতে এগিয়ে আসছিল প্রিতম সাথে সাথেই তাদের হেড সট করে ৩ জনকে মেরে ফেলে। বাকিদের ধরে ফেলে। প্রিতম সেই কাঙ্ক্ষিত হার্ডডিস্কটা হাতে পায়। সেটা ওর ব্যাগে ভরে এবার বাকি ৪ জনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে টর্চার শুরু করে।

প্রিতমঃ বল তোদের বস কোথায়??

শত্রুরাঃ বলমু না।

প্রিতমঃ বলবি না। দাঁড়া।

প্রিতম ওর পিস্তল দিয়ে ঠাস ঠাস করে একটার দুই পায়ে মারে। সে ব্যাথায় কান্না শুরু করে।

প্রিতমঃ বল এবার বলবি??

শত্রুরাঃ না মইরা গেলেও বলমু না।

প্রিতমঃ ঠিক আছে তাইলে মর।

প্রিতম একটাকে ঠাস করে গুলি করে মেরে ফেলে। যেটার পায়ে গুলি লেগেছিল ও দ্রুত বলে,

শত্রুঃ ভাই কইতাছি কইতাছি।

প্রিতমঃ হুম বল।

এরপর ওরা ওদের বসের নাম ঠিকানা সব বলে। প্রিতম ওদের লেপটপ, ফোন আর যাবতীয় সব নিয়ে ঠাস ঠাস করে বাকি দুইটাকে মেরে সবাইকে নিয়ে রওনা দেয় বসকে ধরতে।

প্রিতমঃ যে খারাপ পথে চলে তার কোন মাফ নেই। তোদের জন্যই দেশের ক্ষতি হয়।

প্রিতম বসের কাছে যাওয়ার আগে যে লেপটপ মোবাইল পেয়েছে তা থেকে বসের নাম্বার নিয়ে ট্রেক করে। সঠিক জায়গার নাম পেয়ে প্রিতম প্ল্যান করে সবাইকে নিয়ে।

প্রিতমঃ আমরা মোট ৫০ জন আছি। প্রতি ১০ জন ৪ দিক থেকে ঢুকবে। বাকি ১০ জন বাইরে লুকিয়ে থাকবে। একটা শত্রুও যেন বাঁচতে না পারে। আর বাকিরা বিভিন্ন পয়েন্টে এই বোমাগুলো ফিট করে দিবেন। প্রয়োজনে তা ব্লাস্ট করবেন। যত শত্রুই সামনে আসুক হার মানবেন না কেউ। বেস্ট অফ লাক সবাইকে।

সবাইঃ ইয়েস স্যার।

প্রিতমঃ সালমান, শামিম, রবিন আর নিরব তোরা সবাইকে লিড দিবি।

সবাইঃ ওকে দোস্ত।

প্রিতমঃ তাহলে চলুন সবাই।

প্রিতম বাকিদের নিয়ে রওনা হয় বসের আস্থানায়।

অন্যদিকে,

– বস কেউতো ফোন ধরতাছে না। খালি কেটে দেয় সবাই।

– মানে কি!! কি কস?? ওরা ফোন কাটবো ক্যা?? কি হইছে ওগো?? তুই লোক পাঠাইছোছ??

– জি বস।

হঠাৎই খবরির ফোন বেজে উঠে।

– হ্যালো??

– ভাই এখানেতো আমাদের সব লোকরে মাইরা ফেলছে।

– কিহহ??? তুই তাড়াতাড়ি চইলা আয়।

– কিরে কি হইছে??(বস)

– বস আমগো লোকগোতো মাইরা হার্ডডিস্ক নিয়া গেসে৷ এখন??

– কিহহ!!!

হঠাৎই বসের রুমে একজন দৌঁড়ে এসে বলে,

– বস আমগো তো চার দিক থিকা অনেক আর্মি ঘিরা ফালাইছে। গোলাগুলি শুরু হয়ে গেছে।

– শালারা সব মরবো আজকে। ওরা কোথায় আইসে জানে না। সব গুলারে মার। একটাও যেন না বাঁচে। তোরাও যা। হাহা। আমার কাছে কেউ আইতে পারবি না। আমার গ্যাং এত্তো ছোট না। তোগো মতো ১০০ টারে মারার ক্ষমতা আমার আছে।

প্রিতম পুরো ব্যাটেলিয়ন নিয়ে অ্যাটাক করে। সামনে আগাচ্ছে আর ঠাস ঠাস করে একেকটা পড়ে যাচ্ছে গুলি খেয়ে। প্রচুর গোলাগুলি হচ্ছে। একের পর এক শত্রু আসছেই। হঠাৎই খবর পায় প্রিতম, ওর কয়েকজন লোক গুলি খেয়েছে। প্রিতম যেমন ভেবে চেয়েছিল ঠিক তেমনটা হচ্ছে না। পরিস্থিতি খুব খারাপ হচ্ছে ধীরে ধীরে। প্রিতম আর না পেরে পর পর দুটো গ্রেনেড মারে। বাকিরাও সমানে গোলাগুলি করছে।

অন্যদিকে,

মাঃ মায়া, মনটা কেমন জানি করছে। অস্থির লাগছে খুব। প্রিতম ঠিক আছে তো?? ওরে ফোন দেও। ও ঠিক আছে তো??

মায়াঃ মা আপনি শান্ত হন। আল্লাহ ভরসা। আচ্ছা অামি ফোন দিচ্ছি।

মায়া কয়েকবার প্রিতমকে ফোন দিলেও প্রিতম ফোন ধরছে না। মায়ারও খুব টেনশন হচ্ছে। হাত-পা কেমন লেগে আসছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে চিন্তায়। প্রিতমের মা কেমন জানি করছে। মায়া কোনভাবেই তাকে শান্ত করতে পারছে না।

এদিকে প্রিতমের বাকি টিম মেম্বার’রা শত্রুদের উপর জান প্রাণ দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। প্রিতমের কাছে আরো আর্মি পাঠানো হয়েছে। প্রিতম গুলি করতে করতে হঠাৎ ওর ম্যাগাজিন শেষ হয়ে যায়। আর সাথে সাথেই পিছন থেকে তিনটা গুলি এসে প্রিতমের গায়ে লাগে। আর প্রিতম ঠাস করে নিচে পড়ে যায়।

সালমানঃ প্রিতম….

শামিমঃ দোস্ত….

বাকিরাঃ স্যার…

প্রিতম নিথর হয়ে পড়ে আছে।

চলবে??

প্রিতম কি আর সূর্যের আলো দেখবে?? ও কি আবার দেখতে পারবে ওর ভালোবাসার দুটি মানুষকে?? কি হবে প্রিতমের??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে