মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০৪
লেখকঃ আবির খান
প্রিতম মায়াকে নিয়ে মিরা রোডের দিকে যায়। আর ওর বাকি টিম মেম্বার’রা সবাই সালাম রোডে অপেক্ষা করছে। প্রিতম মায়াকে মিরা রোডের কাছে নামিয়ে দেয়। মায়া বাইক থেকে নেমে বলে,
মায়াঃ আপনি অনেক ভালো। থ্যাংকস আবার হেল্প করার জন্য।
প্রিতমঃ সাবধানে বাসায় যাবেন। আসি।
মায়াঃ আচ্ছা।
প্রিতম বাইক নিয়ে চলে গেলে মায়া লাইব্রেরিতে ঢুকতে ঢুকতে বলে,
মায়াঃ বেটা এমন কেন?? একটু কথাও বলে না ঠিক মতো। কপালটায় কেমন চিন্তার রেখা পড়ে গিয়েছে। একটু হাসি নেই মুখে। ভালো ভাবে একটু কথা বললে কি হয়!! হুহ।
অন্যদিকে প্রিতম বাইক নিয়ে একটু সামনে যেতেই হঠাৎ ওর ব্যাগে থাকা আইপ্যাডটা শব্দ আর ভাইভ্রেট করতে শুরু করে। প্রিতম দ্রুত ব্যাগ থেকে আইপ্যাডটা বের করে দেখে, জিপিএস অন হয়েছে। আর লোকেশন মিরা রোডের দেখাচ্ছে। প্রিতম অবাক হয়ে যায়। কারণ ও ভেবেছিল ওরা সালাম রোডে থাকবে। প্রিতম কি করবে এখন?? ওর বাকি টিম মেম্বার’রা সবাই সালাম রোডে। প্রিতম আর কিছু না ভেবে আইপ্যাডের লোকেশন ফলো করে যেতে থাকে একাই। যেতে যেতে একটা বড় অসম্পূর্ণ বিল্ডিং দেখতে পায়। প্রিতম বাইকটা আড়ালে পার্ক করে বাইক থেকে নেমে আইপ্যাড নিয়ে বিল্ডিংয়ের কাছে গিয়ে দেখে স্ট্রং সিগনাল দিচ্ছে। প্রিতম ওর পিস্তলটা লোড করে আস্তে আস্তে আশেপাশে তাকিয়ে এগোতে থাকে। কি আছে সামনে প্রিতম কিছুই জানে না। বিল্ডিংটা ১৫ তলা। দুইটা সিড়ি। প্রিতম ডান পাশের সিড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে সাবধানে উপরে উঠছে। কিন্তু কাউকেই দেখছে না।
প্রিতম ৫ তলায় উঠার সাথে সাথেই জিপিএস অফ হয়ে গেল। প্রিতম ৫ তলা থেকে দেখে একটা বড় সাদা গাড়ি দ্রুত চলে যাচ্ছে। তারমানে ওরা এবারও পারে নি। কিন্তু প্রিতমের অনেক রাগ হচ্ছে। একটুর জন্য ধরতে পারে নি ও।
প্রিতম নিচে এসে বাকিদের ফোন দিয়ে বলে,
প্রিতমঃ তোরা সবাই চলে যা। মিরা রোডে ছিল ওরা। একটুর জন্য ধরতে পারিনি।
সালমানঃ কি বলিস!! সিট!!
প্রিতমঃ যাক সমস্যা নেই। তবে আমার ধারণা ঠিক আছে। ওরা আমার টার্গেট করা জায়গা গুলোতেই যাচ্ছে।
সবাইঃ ওও..নেক্সট টাইম আর ভাগতে পারবে না দোস্ত।
প্রিতমঃ হুম। তোরা বাসায় চলে যা।
সবাইঃ ওকে।
প্রিতম ফোন রেখে আবার আরকে পয়েন্ট এর লোকদের ফোন দেয়।
প্রিতমঃ হ্যালো আপনাদের ওখান থেকে কি কোন বড় সাদা গাড়ি বের হয়েছে বা ঢুকেছে??
লোকঃ না স্যার। এখানে কোন গাড়ি আসে নি বড়।
প্রিতমঃ আচ্ছা বুঝেছি। আপনারা চোখ কান খোলা রাখুন।
লোকঃ জি স্যার।
প্রিতম ফোনটা রেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে কিছু ভাবে। তারপর সব কিছু গুছিয়ে বাইকটা নিয়ে আবার লাইব্রেরিতে চলে যায়। যেখানে মায়া আছে। প্রিতম বাইক রেখে ভিতরে ঢুকে দেখে মায়াও বের হবে। মায়া প্রিতমকে দেখে চমকে যায়। প্রিতম বাইরে গিয়ে দাঁড়ায়। মায়া দ্রুত চলে আসে। বাইরে এসে প্রিতমকে বলে,
মায়াঃ আপনি!! যান নি??
প্রিতমঃ হুম গিয়েছিলাম। কাজ শেষ। আপনার জন্য আজ অনেক উপকার হয়েছে। তাই ধন্যবাদ দিতে আসলাম।
মায়া প্রিতমের কথা শুনে অবাক হয় বটে কিন্তু কিছু বুঝতে পারে না। মায়া বলে,
মায়াঃ আমি আপনার আবার কি উপকার করলাম??
প্রিতমঃ আছে। এখন বলুন কোথাও যাবেন?? আই মিন ক্লাস আছে??
মায়াঃ না হোস্টেলে যাবো।
প্রিতমঃ আচ্ছা উঠুন বাইকে।
মায়া কি বলবে বুঝতে পারছে না। প্রিতমের মতো ছেলে যে ওকে এতোটা মূল্য দিবে ও স্বপ্নেও ভাবে নি। মায়া মনে মনে অনেক খুশী হয়। মায়া বাইকে উঠে বসলে প্রিতম বাইক চালিয়ে যেতে থাকে। অনেকটা সময় পর মায়া বুঝলো ওরা বাসার দিকে যাচ্ছে না। মায়া মনে মনে বলে,
মায়াঃ এটাতো বাসার রাস্তা না। তাহলে উনি আমাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?? নিয়ে যাক যেথায় খুশী। ওনার সাথে কোন ভয় নেই আমার।
এই ভেবে মনের অজান্তেই প্রিতমকে শক্ত ভাবে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মায়া। প্রিতম মায়ার এভাবে জড়িয়ে ধরতেই একটু নড়েচড়ে উঠে। এভাবে এতো মায়ার সাথে ওকে আগে কেউ জড়িয়ে ধরে নি। মায়া কিছুক্ষন পর বুঝতে পারে ও আবেগের বসে লজ্জাজনক কাজ করে ফেলেছে। মায়া ঠাস করে প্রিতমকে ছেড়ে দেয়। প্রিতম বাইক স্লো করে বলে,
প্রিতমঃ ধরে বসুন। নাহলে পড়ে যাবেন।
মায়া লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ লজ্জা নিয়েই এবার খুব সাবধানে প্রিতমকে ধরে মায়া। এরপর অনেক দূর গিয়ে প্রিতম বাইক থামায়। মায়া তাকিয়ে দেখে একটা জায়গা। এখানে অনেক গাছ পালা অনেক ধরনের ফুলের বাগান আছে। শহরে যে এরকম একটা প্লেস আছে মায়া কল্পনাও করে নি। মায়া আর প্রিতম নামে। মায়া বলে উঠে,
মায়াঃ জায়গাটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমরা এখানে কেন??
প্রিতমঃ এটা একটা ক্যাফে। আমার পছন্দের একটা ক্যাফে৷ আমার ফ্রেন্ডের। মাঝে মাঝে আসি এখানে। চলুন ভিতরে যাই।
মায়াঃ ওও..জি চলুন।
প্রিতম মায়াকে নিয়ে ভিতরে যায়। অনেক গুলো টেবিল। প্রতি টেবিলেই কাপল আছে। সবাই সবার ভালোবাসার সাথে। খোলামেলা পরিবেশ আর প্রকৃতির ছোঁয়া। সবার মনেই ভালোবাসা জাগায়। মায়া দেখে প্রিতম ওকে নিয়ে সবাইকে পাস করে ভিতরে একটা জায়গায় নিয়ে গেল। বেশ সুন্দর একটা জায়গা। বাইরের থেকে ভিতরের এই জায়গাটাই সবচেয়ে বেশি সুন্দর। মায়া শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখছে।
প্রিতমঃ বসুন।
মায়া বসে। আর প্রিতমকে প্রশ্ন করে,
মায়াঃ এখানে কেউ আসে না কেন??
হঠাৎ পিছন থেকে,
নিলয়ঃ কারণ ভাবি এটা শুধু প্রিতমের জন্য। এখানে অন্যকারো বসার সুযোগ নেই।
প্রিতমঃ আরে নিলয়। কেমন আছিস দোস্ত??
নিলয়কে জড়িয়ে ধরে বলল প্রিতম।
নিলয়ঃ খুব ভালো দোস্ত। কিন্তু তুই খুব খারাপ।
প্রিতমঃ আহহা। কেন??
নিলয়ঃ তুই এত্তো সুন্দর ভাবিটাকে বিয়ে করেছিস অথচ আমাকে দাওয়াত পর্যন্ত দিস নি।
নিলয়ের কথা শুনে মায়া লজ্জা পাবে না অবাক হবে কি করবে বুঝতেই পারছে না। প্রিতম মায়ার দিকে তাকিয়ে দেখে মায়া সেই লজ্জা পাচ্ছে আর বোকা হয়ে গিয়েছে। প্রিতমের মনে একটু মজা করার ইচ্ছা হয়। তাই প্রিতম বলে,
প্রিতমঃ আর বলিস না ভাই। মা’টা জোর করে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। কাউকেই বলিনি। জানিসই তো আমি কি করি।
একটু আগে নিলয়ের কথা শুনে যতটুকু অবাক না হয়েছে তার চেয়ে হাজার গুন অবাক বা সক হয়েছে মায়া প্রিতমের কথায়। মায়া প্রিতমের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে দেখে প্রিতম মুচকি হাসছে। হঠাৎই প্রিতম মায়াকে একটা চোখ টিপ দেয়। মায়ার লজ্জায় আর কেমন জানি একটা মনে হচ্ছে। ওর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত একগ্লাস পানি খেয়ে একটু শান্ত হয়।
নিলয়ঃ আচ্ছা বুঝছি। এবার বস৷ তোর পছন্দের খাবারের অর্ডার আমি দিয়ে এসেছি। তোকে গেইট দিয়ে ঢুকতে দেখতেই তোদের জন্য অর্ডার করে দিয়েছি।
প্রিতমঃ বাহ। এই না হলি বন্ধু।
নিলয়ঃ তুই থাম ভাবির সাথে একটু কথা বলে নেই। তা ভাবি আপনার নাম কি??
মায়া যে কি বলবে বুঝতে পারছে না। ওর মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে যে, প্রিতম সত্যিটা বললো না কেন?? মায়া প্রিতমের দিকে তাকিয়ে দেখে এখনো সেই বাকা হাসিটা দিচ্ছে। মায়া আস্তে করে বলে,
মায়াঃ জি মায়া।
নিলয়ঃ বাহ খুব সুন্দর নাম। জানেন ভাবি, আপনার এই স্বামীটা খুব ভালো। আজ আমি যদি আমার পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পারি তা শুধু এই বন্ধুটার জন্য৷ এইযে দেখছেন ক্যাফেটা এটা সম্পূর্ণ ওর টাকায় বানিয়েছি। এই গাছপালা ফুলের বাগান সব ওরই বুদ্ধি। ওরই সব কিনে দেওয়া। আজ ও না থাকলে আমাকে আমার বাবা-মাকে নিয়ে পথে বসতে হতো।
মায়া রীতিমতো আজ অবাকের উপর অবাকই হচ্ছে। একটা মানুষ যে এতোটা ভালো হতে পারে মায়ার জানা ছিল না। মায়া প্রিতমের দিকে অাবার তাকায়। প্রিতম অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। মায়া যেন মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রিতমকে দেখে। প্রিতম নিলয়কে বলে উঠে,
প্রিতমঃ দোস্ত রাখতো। তোকে এগুলো বলতে না করেছিনা??
নিলয়ঃ আরে রাখতো। জানেন ভাবি, আমার এই ক্যাফেতে প্রিতম শুধু ওর সবচেয়ে প্রিয় এবং কাছের মানুষগুলোর সাথে আসে। আপনিও কিন্তু ওর এখন প্রিয় একজন বুঝলেন।
মায়া প্রিতমের দিকে তাকায়। প্রতিনিয়ত শুধু অবাকই হচ্ছে। প্রিতম ওকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছে। ভাবতেই মায়ার কেমন জানি লাগছে।
মায়াঃ জি ভাইয়া বুঝেছি।
নিলয়ঃ শুনেন ভাবি, আপনার জন্য স্পেশাল খাবার আনতে বলেছি। ওই তো নিয়ে এসেছে। দোস্ত তোরা খাওয়া দাওয়া কর। আমি পড়ে আসছি।
প্রিতমঃ আরে তুইও বস। আমাদের সাথে খা।
নিলয়ঃ না না দোস্ত৷ আমার ওদিকে কাজ আছে। তোরা ইঞ্জয় কর। আমি কাবাব মে হাড্ডি হইতে চাইনা। হাহা।
নিলয় চলে গেলে প্রিতম মায়াকে খাবার বেরে দেয়। মায়া শুধু আড় চোখে প্রিতমকে মুগ্ধ হয়ে দেখছে আর ওর প্রতি ভালো লাগাটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।
প্রিতমঃ রাগ করলেন?? ওকে সত্যিটা বলিনি বলে??
মায়াঃ না না। বুঝতে পেরেছি। আপনি মজা করছিলেন।
প্রিতমঃ আসলে দেখতে চেয়েছিলাম ও কি বলে আপনাকে নিয়ে।
মায়াঃ হুম। আপনি খুব ভালো একটা মানুষ। সবাইকে সাহায্য করেন। সবার পাশে দাঁড়ান।
প্রিতমঃ কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করাটাতো আমাদের একজন মানুষ হিসেবে কতব্য তাইনা??
মায়াঃ হ্যাঁ। তবে আপনি সবার থেকে অনেক আলাদা। সব মেয়ের স্বপ্ন আপনার মতো কাউকে তার জীবন সঙ্গী হিসেবে পাওয়া।
কথাটা বলেই মায়া জিহবায় কামড় দেয়। ইসস, বলতে বলতে ও কি বলে ফেলল। লজ্জায় মায়ার মাথা কাটা যাচ্ছে। প্রিতম বলে,
প্রিতমঃ সে সুযোগ আর হলো কই। কেউতো আজ আবধি পছন্দই করলো না। নিন শুরু করুন। (মজা করে)
মায়া আর কিছু বললই না লজ্জায়। লজ্জামাখা মুখখানা নিয়ে খাওয়া শুরু করে। সাথে প্রিতমও। খাওয়া দাওয়া শেষ করে মায়া বলে,
মায়াঃ একটা প্রশ্ন করতে পারি কিছু মনে না করলে??
প্রিতমঃ জি করুন।
মায়াঃ আমাকে এখানে নিয়ে এলেন যে??
প্রিতমঃ আমার উপকার করেছেন তাই একটা ট্রিট দিলাম।
মায়াঃ তাহলে আমাকেও যে আপনাকে ট্রিট দিতে হয়। আপনিও তো আমার সবচেয়ে বড় উপকার করেছেন।
প্রিতমঃ চলুন উঠি।
প্রিতম উঠে হাঁটা শুরু করে। মায়াও উঠে প্রিতমের পিছনে যেতে যেতে মনে মনে বলে,
মায়াঃ লোকটা এমন কেন?? শয়তানের হাড্ডি একটা। ঠিক মতো কথাই বলে না। বুঝলাম না শুধু আমাকেই এখানে আনলো কেন?? আমি কি তার প্রিয় কেউ?? নিলয় ভাইয়া তো বলল। উফফ বুঝি না কিছু।
এরপর মায়াকে নিয়ে প্রিতম ওর হোস্টেলের সামনে চলে যায়। মায়া বাইক থেকে নামতেই প্রিতম ডাক দিয়ে বলে,
প্রিতমঃ আপনার ফোনটা দিন।
মায়া ওর ফোনটা বের করে প্রিতমকে দেয়। প্রিতম মায়ার ফোন নিয়ে কি যেন করলো। তারপর ওকে দিয়ে বলল,
প্রিতমঃ আমার নাম্বার সেইফ করে দিয়েছি। যেকোন প্রকার প্রয়োজনে কল করবেন। যখন খুশী তখন।
মায়া মাথা নাড়িয়ে আচ্ছা বলে। এরপর প্রিতম ওর বাসার দিকে চলে যায়। মায়ার খুব খুশী খুশী লাগছে। এরকম একটা মানুষ ওর সাথে আছে। ভাবতেই নিজেকে এই শহরের রাণী মনে হচ্ছে মায়ার। মায়াও হাসি মুখে হোস্টেলের ভিতরে চলে যায়।
রাত ১০ টা,
প্রিতম কালকের কথা ভাবছে। কালকে কোথায় ওরা যেতে পারে। প্রিতম এবার একটা আইডিয়া করে। প্রিতম ওর টিম মেম্বারদের ফোন দেয়।
প্রিতমঃ কালকে একটা কাজ করবো।
সবাইঃ কি দোস্ত??
প্রিতমঃ কালকে আমরা ৫ জন, প্রতিজনের সাথে আরো ৫ করে থাকবে। মানে মোট ২৫ জন মিলে ৫ জায়গায় থাকব। কালকে যেভাবে হোক ওদের ধরতেই হবে। কি বলিস তোরা??
সবাইঃ হ্যাঁ দোস্ত এটাও ভালো হবে।
প্রিতমঃ আমি ডিপার্টমেন্টে বলে দিয়েছি। কে কোন জায়গায় থাকবি আমি ম্যাসেজ করে দিব।
সবাইঃ আচ্ছা।
প্রিতমঃ ওকে তাহলে সকালে দেখা হচ্ছে।
সবাইঃ ওকে।
প্রিতম ফোন রেখে সব কিছু গুছিয়ে নেয়। এখন ঘড়িতে ১০.৫৬ মিনিট। প্রিতম ভাবছে মায়াকে কল দিবে কিনা। আবার ভাবছে ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা। প্রিতম আর না ভেবে কল দিয়েই দেয়। রিং হওয়ার সাথে সাথেই মায়া কল রিসিভ করে।
মায়াঃ হ্যালো।
প্রিতমঃ হাই। আপনি কি আমার কলের অপেক্ষায় ছিলেন নাকি?? রিং হওয়ার সাথে সাথেই রিসিভ!!
মায়াঃ না মানে..ফোনটা হাতেই ছিল।
প্রিতমঃ হুম বুঝেছি। খেয়েছেন রাতে??
মায়াঃ হ্যাঁ। আপনি??
প্রিতমঃ না পড়ে খাবো।
মায়াঃ কিহহ!! আপনি না ঠিক মতো খাবার দাবার খাননা। এটা কিন্তু ঠিক না। (অভিমানী কণ্ঠে)
প্রিতমঃ আচ্ছা খাবো। তা ঘুমাবেন না??
মায়াঃ হুমম। একটু পরই। (আস্তে করে।)
প্রিতমঃ আচ্ছা রাখি। পড়ে কথা হবে।
প্রিতম ঠাস করেই ফোনটা রেখে দেয়।
মায়াঃ হ্যালো হ্যালো… একি উনি ফোন রেখে দিল!! এটা কোন কথা?? এত্তোক্ষন যাবৎ উনার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম আর বেটা কথা না বলেই রেখে দিল। বজ্জাত পাজি কুত্তা বিড়াল পঁচা।
মায়া এভাবে প্রিতমকে বকা দিতে দিতে হঠাৎ ওর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে। মায়া ম্যাসেজটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে যায়।
চলবে??
কেমন লেগেছে আজকের অংশ জানাবেন কিন্তু। আর সবার ভালো সাড়া চাই।