মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০৩
লেখকঃ আবির খান
মেয়েটা কি যেন ভেবে অনেক কষ্টে উঠে প্রিতমের সাথে ওর বাসায় চলে যায়। প্রিতম বাসায় বেল দিতেই ওরা মা দরজা খুলে দেয়। প্রিতমের মা মেয়েটাকে দেখে আকাশ থেকে পড়ে আর বলে,
মাঃ ও কে প্রিতম??
প্রিতমঃ মা আগে ভিতরে আসতে তো দেও তারপর সব বলছি।
মাঃ ওহহ হ্যাঁ আয় আয়।
প্রিতম মেয়েটাকে নিয়ে ভিতরে গিয়ে সোফায় বসিয়ে দিয়ে একগ্লাস পানি এনে দেয়। মেয়েটা ডগডগ করে পানি খেয়ে ফেলে। প্রিতমের মা মেয়েটার পাশে বসে প্রিতমকে জিজ্ঞেস করে,
মাঃ তোর টিশার্ট ওর গায়ে!! কি হয়েছে বাবা ওর??
প্রিতমঃ বলছি…
এরপর প্রিতম ওর মাকে সব খুলে বলে। মেয়েটা অঝোরে কেঁদে দেয়। প্রিতমের মা মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দেয় আর বলে,
মাঃ থাক মামনি কান্না করে না। খুব ভালো করেছিস প্রিতম জানোয়ার গুলোর সাথে। ওদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। ফুলের মতো মেয়েটাকে নষ্ট করতে চাচ্ছিল। খুব ভালো করেছিস। মামনি তোমার কিচ্ছু হয়নি। আর একটুও কান্না করে না। আমি তোমার মায়ের মতোই। আর ভয় পেয়েও না।
মেয়েটা এখনো কান্না করছে। আসলে একটা মেয়ের কাছে এভাবে বিপদে পড়া কোন স্বাভাবিক বিষয় না। মেয়েটার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে তা শুধু ও নিজেই জানে। আমাদের পুরুষের কাম চাহিদা পূরণ হলেই হয়। সেটা যেভাবে হোক। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সে হয়ে উঠে একজন পশু একজন ধর্ষক। এসব পশুরা কখনো নারীদের সম্মান তো দূরের কথা ভালো নজরেই তাকায়ই না। এরা ৫ মাসের শিশুকে পর্যন্ত ছাড়ে না। এদের শাস্তি একটাই। মৃত্যু।
প্রিতম মাকে ইশারা করে ওর রুমে চলে যায়। ওর অনেক কাজ আছে। প্রিতম চলে গেলে ওর মা মেয়েটার চোখ মুছে দিয়ে বলে,
মাঃ আর কাঁদে না মামনি। তা তোমার নাম কি মিষ্টি মামনি??
মেয়েঃ মায়া।
মাঃ বাহ!! মায়া। একদম তোমার সাথে মিলে যায়। তোমার মুখখানা দেখলে অনেক মায়া হয়। তুমি একদম মায়াবী একটা মামনি।
মায়া অনেক লজ্জা পায়। কিন্তু একটু আগে যা হয়েছে তা বারবার ওকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে। প্রিতম এর মা বিষয়টা বুঝতে পেরে মায়াকে তার বুকের সাথে জড়িয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলে,
মাঃ মামনি আমরা মেয়ে, আমরা নারী। আমাদের সহ্য শক্তি পুরুষের থেকে অনেক বেশি। ১০ মাস ১০ দিন বসে আমরা একটা সন্তান জন্ম দি। যার কষ্ট কোন পুরুষ কোন দিন সহ্য করতে পারবে না। জীবনটা খুব অন্যরকম। কখনো রঙিন কখনো শুধু কালো। এসব ছোট খাটো বিষয় জীবনে ঘটবে। কিন্তু তোমাকে শক্ত হতে হবে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রাস্তায় কুকুর থাকবেই। একটা মারলে আরো দশটা হবে। কিন্তু আমাদের উচিৎ এই কুকুরগুলো থেকে বেঁচে চলা। কিন্তু আমরা যদি তা না করে এভাবে ভেঙে পরি তাহলে কি জীবন সামনে এগোবে বলো?? তুমি না একটা নারী?? তুমি ভেঙে পড়লে হবে?? যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হবে।
প্রিতমের মায়ের কথাগুলো মায়াকে অনেকটা সাহসী করে আর নিজের উপর আস্থা বাড়িয়ে দেয়। সাথে বেঁচে থাকার অর্থটাও বুঝিয়ে দেয়। মায়া মাথা তুলে বলে,
মায়াঃ আপনার মতো মায়ের কোল থেকেই এমন সন্তান হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা যেন সবাইকে আপনার মতো একটা মা আর এমন একটা ছেলে দেয়।
মাঃ আমিন। দিবে না কেন অবশ্যই দিবে। আর আমিও দোয়া করি, আল্লাহ যেন সব মাকে তোমার মতো একটা মায়াবতী মিষ্টি মেয়ে দেয়। আমারও একটা মেয়ে আছে। ঠিক তোমার মতো মিষ্টি।
মায়াঃ সত্যিই আপুটা অনেক লাকি হবে আপনাকে মা হিসেবে পেয়ে।
মাঃ হুম। মামনি তুমি কিছু খাবে?? মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু খাওনি।
মায়া মাথা নিচু করে চুপ করে বসে আছে। প্রিতমের মা বলে,
মাঃ আচ্ছা বুঝতে পেরেছি। চলো ফ্রেশ হয়ে কিছু খাবে। প্রিতমও খায়নি এখনো। তোমরা একসাথে খাবে আসো।
এরপর প্রিতমের মা মায়াকে নিয়ে তার রুমে চলে যায়। প্রিতমের মা মায়াকে এমন একটা শাড়ী বের করে দেয় যেটা মায়ার পরনে লাগবে। মায়াকে তিনি শাড়ীটা পরিয়েও দেন। মায়াকে শাড়ীতে যা লাগছে না একদম অপ্সরা।
প্রিতম কাজের টেনশনে রাতে খায় নি। এখন খেতে এসেছে। তার উপর এতো বড় একটা কাজ করেছে। প্রচুর রেগে আছে প্রিতম। এসব পশুদের কারণেই দেশের এই অবস্থা। খবরের পাতাগুলো পড়াই যায় না। ধর্ষণ আর ধর্ষণ খালি। প্রিতম চুপচাপ বসে আছে। হঠাৎই হালকা নীল রঙের একটা শাড়ী পরে মায়া প্রিতমের সামনে আসে ওর মায়ের সাথে। প্রিতমের প্রথম চোখ যায় মায়ার পায়ের দিকে। পা থেকে আস্তে আস্তে দেখতে দেখতে উপরে মায়ার মুখখানা দেখে প্রিতম যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। ঠিক এমন একটা মেয়েকেই যেন প্রিতম খুজছিল। মায়ার ভরা মুখ। চোখজোড়া একদম মুক্তার মতো। ঠোঁটের কোণায় ছোট কালো তিল আর ঘন কালো মেঘের মতো চুল। প্রিতম হা করে মায়াকে দেখছে। মায়া চুপ করে প্রিতমের মায়ের কাছে বসে। প্রিতম এখনো হা করে মায়াকে দেখছে। প্রিতমে মা বলে উঠে,
মাঃ এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকলে কিন্তু খোকা তোর মুখে মাছি ঢুকবে। মুখ বন্ধ কর। (মজা করে)
প্রিতমের মা চাচ্ছে মায়াকে কম্ফোর্টেবল বোধ করাতে। যাতে মায়া একটু আগের কথা ভেবে আবার কষ্ট না পায়। প্রিতম ওর মায়ের কথা শুনে লজ্জা পায়। মায়া আড় চোখে প্রিতমকে একটু লজ্জাসিক্ত ভাবে দেখে নেয়। এরপর প্রিতমের মা দুজনকে খাবার বেরে দেয়। মায়া বলে উঠে,
মায়াঃ আন্টি আপনি খাবেন না??
মাঃ মামনি আমি আগেই খেয়েছি। তোমরা খাও। প্রিতম ওর নাম মায়া। ওর সাথে খুব মিল আছে তাইনা??
প্রিতম খেতে খেতে মায়াকে এক নজর দেখে বলে,
প্রিতমঃ মায়া। হুম।
মাঃ মামনি নিজের বাসার মতো করে খাও। কোন লজ্জা পেয়েও না। তুমি আমার মেয়ের মতোই।
মায়া একসময় খেতে খেতে কেঁদে দেয়। প্রিতমের মা বলে উঠে,
মাঃ দেখ আবার মেয়েটা কাঁদছে। আহা কেঁদো না।
মায়াঃ আপনি একদম আমার মায়ের মতো। আজ আপনারা না থাকলে আমি শেষ হয়ে যেতাম।
প্রিতমঃ ওদের পাপের শাস্তি আল্লাহ আমার হাতেই লিখে রেখেছিল। আপনি শুধু উছিলা মাত্র। আর কষ্ট পাবেন না। কিছুই হয়নি। আর যা হয়েছে একটা খারাপ স্বপ্ন ভেবে ভুলে যান।
মাঃ হ্যাঁ প্রিতম ঠিক বলেছে। মামনি আর কেঁদো নাতো। এখন খাও।
এরপর সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে যায়। প্রিতম ওর রুমে চলে যায়। আর মায়াকে নিয়ে প্রিতমের মা তার রুমে চলে যায়। প্রিতমের মা মায়াকে নিয়ে তার বিছানায় শুয়ে পড়ে। আর মায়াকে বলে,
মাঃ মামনি তোমার বাসায় কে কে আছে??
মায়াঃ আব্বু, আম্মু আর একটা ছোট ভাই। আব্বু কলেজের শিক্ষক আর মা বাসায় থাকে। আর ছোট ভাই ক্লাস ৯ পড়ে। এরা সবার আমার গ্রামে থাকে।
মাঃ ওও। তুমি এখানে একা থাকো??
মায়াঃ আমি এখানে একটা হোস্টেলে থেকে ভার্সিটিতে পড়ি। এবছরই নতুন ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। ঢাকার কিছুই চিনিনা। কিছু বুঝিও না।
মাঃ শোনো মামনি, এই শহরটা খুব খারাপ। কখনো রাতে একা বের হবে না। যদি একান্ত প্রয়োজন হয় কাউকে সাথে নিয়ে বের হবে।
মায়াঃ জি আন্টি। সত্যিই আপনারা অনেক ভালো। নাহলে কে এতো সাহায্য করে।
মাঃ আমার ছেলেটা ঠিক ওর বাবার মতো। জানো ওর বাবার সাথে আমার কীভাবে পরিচয় হয়েছিল??
মায়াঃ কীভাবে??
মাঃ বলছি, আমাকে একদিন কিছু বখাটে ছেলে রাস্তায় খারাপ ব্যবহার করছিল। ওর বাবা এসে ছেলেগুলোকে এমন মারা মারে যে ছেলেগুলো মনে হয় ৬ মাসেও বিছানা থেকে উঠতে পেরেছে কিনা সন্দেহ। ওর বাবার সাহসীকতা দেখে আমি সেদিনই তার প্রেমে পড়ে যাই। কিন্তু বলতে পারিনা। লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে দেখতে যেতেম। একদিন ধরাও খাই। ব্যাস…
মায়াঃ ব্যাস কি??(অবাক হয়ে)
মাঃ পরের দিন পুরো পরিবার নিয়ে আমার বাসায় হামলা দিয়ে আমাকে নিয়ে যায়। হাহা।
মায়ায় মায়ের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ। সাথে প্রিতমের মাও। মায়া আস্তে করে বলে,
মায়াঃ আন্টি আঙ্কেল কই উনাকে দেখছিনা যে??
প্রিতমের মা আস্তে করে বলেন,
মাঃ নেই। শহীদ হয়েছেন।
মায়াঃ ওহহ…সরি সরি আন্টি আমি বুঝতে পারিনি।
মাঃ না না সমস্যা নেই।
এরপর মায়া আর প্রিতমের মা অনেক কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু অন্যদিকে প্রিতমের চোখে ঘুম নেই। প্রিতম কাল কোথায় যাবে তা হিসাব করে বের করে। ওর বাকি টিম মেম্বারদের কল করে বলে,
প্রিতমঃ কাল আমরা সালাম রোডের ওখানে থাকবো। তোরা সকাল সকাল আগেই চলে যাস। আমি পরে আসবো। সারাদিন ওখানেই থাকবো।
সবাইঃ আচ্ছা।
এরপর প্রিতম সব গুছিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। ঠিক চোখটা বন্ধ করার সাথে সাথেই মায়ার মায়াবী মুখখানা ওর সামনে ভেসে উঠে। কিন্তু মায়ার সাথে আজ যা হলো তা ভেবেই প্রিতমের অনেক রাগ হয়। রাগটাকে গিলে ফেলে মিশনের কথা ভাবতে ভাবতে প্রিতম ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে,
মাঃ প্রিতম, ওকে একটু দিয়ে আয় বাবা।
প্রিতমঃ আচ্ছা মা। আসুন।
মায়াঃ আন্টি, আপনারা অনেক করেছেন। সত্যি আপনাদের মতো ভালো মানুষ আর হয়না। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।
মাঃ ধুর বোকা। ধন্যবাদ কীসের। তোমার যখন ইচ্ছা হবে তুমি চলে এসো। আমি সারাদিন বাসায় একাই থাকি। তুমি আসলে আমার আরো ভালো লাগবে।
মায়াঃ আচ্ছা। আসি আন্টি।
মাঃ সাবধানে থাকবে মামনি।
এরপর প্রিতম এর সাথে মায়া নিচে নেমে আসে। প্রিতম ওর দামী বাইকটা বের করে বলে,
প্রিতমঃ উঠুন আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আসি।
মায়া লজ্জাসিক্ত হয়ে বাইকে বসে। প্রিতম একটা হাসি দিয়ে একটানে মায়ার হোস্টেলের সামনে চলে যায়। মায়া বাইক থেকে নেমে বলে,
মায়াঃ আপনাকে কোটি বার ধন্যবাদ দিলেও কম হবে। তাও মন থেকে বলছি আপনি আমাকে বাচিঁয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিতম ওর মানিব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে দিয়ে বলে,
প্রিতমঃ এখানে আমার নাম্বার আছে। যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে ফোন দিবেন।
মায়া অবাক হয়ে কার্ডটা নেয়৷ আর বলে,
মায়াঃ আচ্ছা।
প্রিতম একটা মুচকি হাসি দিয়ে একটানে আবার বাসার দিকে চলে আসে। প্রিতম গেলেই,
লিমাঃ মায়া!!!! কিরে রাতে তুই কই ছিলি?? আর ওই হ্যান্ডসাম ছেলেটা কে ছিল??
মায়াঃ উপরে চল সব বলছি।
লিমাঃ আচ্ছা। আর তুই এত্তো সুন্দর শাড়ী পরে আছিস কেন??
মায়াঃ চল সব বলছি।
এরপর হোস্টেলে গিয়ে মায়া লিমাকে সব খুলে বলে। লিমা মায়ার একদম বেস্ট ফ্রেন্ড। লিমা মায়ার কথা শুনে ওর গায়ে যেন কাটা দিয়ে যাচ্ছে। লিমা বলে,
লিমাঃ দোস্ত আল্লাহ তোকে বাচিঁয়েছে রে। ঠিক সময়ে ছেলেটা না গেলে তো তোর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত। সত্যিই তোর ভাগ্যটা অনেক ভালো।
মায়াঃ আসলেই দোস্ত। আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া। তিনি আমাকে বাঁচিয়েছেন। কিন্তু জানিস সবার ভাগ্যটা না আমার মতো নারে। সবাইতো আর উনার মতো কাউকে পায়না যে এসে বাঁচাবে। আমি আল্লাহর কাছে শুধু এটাই দোয়া করি সবাই যেন ওনার মতো একজনকে পায়।
লিমাঃ আমিন।
অন্যদিকে,
প্রিতম মায়াকে পৌঁছে দিয়ে সোজা বাসায় এসে ফ্রেশ হয়। হয়েই বাকিদের ফোন দেয়।
প্রিতমঃ তোরা সবাই কোথায়??
বাকিরাঃ দোস্ত আমরা স্পটে পৌঁছে গিয়েছি। এখানে তেমন কেউ নেই। আমরা চার জন চার পয়েন্টে আছি। পুরো এলাকা আমাদের আন্ডারে।
প্রিতমঃ ওকে তোরা থাক আমি আইপ্যাড নিয়ে আসছি।
বাকিরাঃ ওকে।
প্রিতম এরপর রেডি হয়ে নাস্তা করে মাকে বিদায় দিয়ে বাইক নিয়ে বাইরে বের হয়ে টান দিয়ে কিছু দূর সামনে আসতেই দাঁড়িয়ে যায়। দেখে মায়া দাঁড়িয়ে আছে।
প্রিতমঃ আপনি একা দাঁড়িয়ে আছেন??
মায়া ইতস্তত হয়ে বলে,
মায়াঃ আসলে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। একটু লাইব্রেরিতে যেতে হবে। কিছু নোট করবো। কিন্তু কোন রিকশাই পাচ্ছি না।
প্রিতমঃ আসুন আমি দিয়ে আসি।
মায়াঃ আরে না না। আপনি খুবই ব্যস্ত মানুষ। আমার জন্য আপনার লেট হবে। আপনি যান আমি রিকশা পেয়ে যাবো নে।
প্রিতম মুখটা শক্ত করে একটু গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
প্রিতমঃ উঠুন বলছি।
মায়া ভয় পেয়ে দ্রুত বাইকে উঠে বসে। প্রিতম মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
প্রিতমঃ আমাকে শক্ত করে ধরে বসুন। আর বলুন কোথায় যাবেন।
মায়াঃ মিরা রোডের কাছেই। ওখানে একটা বেশ বড় লাইব্রেরি আছে।
প্রিতম অবাক হয়ে আস্তে করে বলে,
প্রিতমঃ মিরা রোড!!!
মায়াঃ জি।
প্রিতমঃ আচ্ছা চলুন।
প্রিতম মায়াকে নিয়ে মিরা রোডের দিকে যায়। আর ওর বাকি টিম মেম্বার’রা সবাই সালাম রোডে অপেক্ষা করছে। কি হবে সামনে ভাবতে থাকুন।
চলবে??
সবার ভালো সাড়া চাই। তাহলে বাকি অংশ দেওয়া হবে৷