মাস্টার মাইন্ড কিলার পর্ব-০১

0
1590

গল্পঃ-#মাস্টার_মাইন্ড_কি_লা_র পর্বঃ-১
লিখাঃ- AL Mohammad Sourav

প্রতিদিন আমার স্ত্রীর সাথে টুকটাক ঝগড়াঝাঁটি হয় কিন্তু সেটা কখনো বড় কোনো আকার ধারণ করেনি। আজ এক কথা দুই কথা আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে ফেলি। শুধু হাত তোলে থেমে থাকিনি সাথে দুইটা লাথি মেরে বসি। আমার এমন ব্যবহারে আমার স্ত্রী একদম স্তব্ধ হয়ে যায়। সে আর কোনো কথা না বলে সোজা অন্য রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। আমিও তেমন আর কোনো কথা বলিনি তবে নিজের প্রতি অনেক বিরক্ত হয়ছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্য বেরুবো তখনি টি-টেবিলে তাকিয়ে দেখি একটা চিরকুট রাখা। যদিও এর আগে ঝগড়া হলে এমন চিরকুট সে লিখে এমন ভাবে টি-টেবিলের উপরে রাখে। তাই আমি এসব তোয়াক্কা না করেই অফিসে চলে এসেছি। কিছুক্ষণ পড় মা আমাকে ফোন করছে আমি কাজের চাপ তাই ফোন রিসিভ করিনি। তবে মনে কেমন খস খস করছে। এর আগে যতবার ঝগড়া হয়ছে সবসময় আমি নিজে থেকে ওকে সরি বলেছি কিন্তু আজ আর সেই কাজটা করিনি।

রাতে ঝগড়ার সময় অবশ্য মা আমাকে বাঁধা দিছে কিন্তু ওনার কোনো কথা আমি শুনিনি। সত্যি বলতে মায়ের জন্য আজ ও আমার সাথে এমনটা করতে পারে। আসকারা দিয়ে একদম মাথায় তোলে ফেলছি যার কারণে সবসময় মাথায় থাকতে চাই। আমি আমার মত করে কাজ করছি তখনি মোবাইলে টোন করে একটা শব্দ হয়। মানে হোয়াটসপে একটা মেসেজ আসে। মেসেজটা সিন করতেই আমার চোখ গুলো কপালে উঠে যাবার অবস্থা। নাহ তা কি করে সম্ভব? এমনটা তো কখনো হতে পারে না? আমি চোখে কেমন ঝাপসা দেখছি মাথাটা কেমন চক্কর দিচ্ছে। কোনো মতে নিজেকে কন্ট্রোল করে সাথে সাথে ফোন করেছি মা’কে। কিন্তু কেউ ফোন উঠাচ্ছে না দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে সোজা বাড়িতে গেলাম। বাড়ি ভর্তি মানুষজন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকে ঘরে যেতেই দেখি আমার স্ত্রীর নীলার দে!হ!টা জু!লে আছে ফ্যানের সাথে।

তাহলে হোয়াটসপে যে ছবি গুলো দেখলাম সেটা সত্য ছিলো। নীলা এমন ভাবে নিজে ফা!স লাগিয়ে আ!ত্ম!হ!ত্যা করার মত মেয়ে নয়? কিন্তু সামান্য একটা ছোট বিষয়ের জন্য নিজেকে শে!ষ করে দিবে? মনে মনে এসব চিন্তাভাবনা করছি ঠিক তখনি একজন পেছন থেকে বলে উঠলো। আরে মিস্টার আরমান আপনি এখানে? আমরা তো মনে করছি আপনি পালিয়ে গেছেন? কিন্তু না আপনি পালিয়ে যাননি তবে আপনার অভিনয় দেখে আমি নিজেই আপনার ফ্যান হয়ে গেছি। যদি নোবেল আমার হাতে থাকতো তাহলে আমি নিজে আপনাকে নোবেল দিয়ে পুরস্কৃত করতাম। পুলিশ অফিসার রাজিব হোসেন কথাটা বলে উঠছে।

মানে কি বলছেন অফিসার? আমি কেনো আমার স্ত্রীকে খু!ন করতে যাবো?
দেখুন কি বলছি সেটা থানায় গেলে বুঝতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত সব আলাতম বলছে আপনি খু!ন!টা করছের আপনার স্ত্রী নীলা’কে। কনস্টবল ওনাকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে চলো। আর লা!স!টা!কে নামিয়ে ডোম ঘরে পাঠিয়ে দেন।
অফিসার আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি কেনো আমার স্ত্রী’কে খু!ন করতে যাবো? ঠিক তখনি পুলিশ অফিসার রাজিব হোসেন একটা কাগজরের চিরকুট আমার হাতে দেয়।

চিরকুট দেখে আমি অবাক হয়ে যায়। আর বলি সামান্য এই চিরকুট প্রমাণ করে না আমি আমার স্ত্রী’কে খু!ন করেছি?
চিরকুটের যা লিখা আছে সেটা আপনার স্ত্রী হাতের লিখা। তারপরও কি বলবেন খু!ন!টা আপনি করেন নাই। আর এখানে লিখা আছে রাতে আপনার স্ত্রীর সাথে অনেক ঝগড়াঝাঁটি হয়ছে। এমনকি আপনি ওর শরীরে হাত পা দুইটা চালিয়েছেন।
হ্যা তারপরও বলবো খু!ন আমি করিনি। আমাদের মাঝে ঝগড়াঝাটি হয় কিন্তু তার জন্য আমি ওকে খু!ন করতে যাবো কেন? দেখুন অফিসার আমি নীলা’কে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমি কেনো আমার স্ত্রীকে খু!ন করতে যাবো? এমনও হতে পারে নীলা নিজেই আ!ত্ম!হ!ত্যা করেছে। কথাটা বলেই আরমান সাহেব একদম বোকা হয়ে গেছে। তখনি পুলিশ অফিসার একটা হাসি দিয়ে বলে আ!ত্ম!হ!ত্যা না খু!ন করা হয়ছে সেটা আদালত বুঝবে। কিন্তু আপনি কি করে জানলেন সে আ!ত্ম!হ!ত্যা করছে? এমনও হতে পারে আপনি ওকে খু!ন করে গলাই ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে জুলিয়ে রাখছেন? আমার কাছে আপতত আপনাকেই আসামি বলে মনে হচ্ছে। আপনি নিজেকে যতই সাধু বলে দাবি করেন আমি সেটা বিশ্বাস করবো না। এখন আপনাকে থানায় যেতে হবে আমাদের সাথে। কনস্টেবল ওনাকে এরেস্ট করে থানায় নিয়ে চলেন। আরমান’কে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে আর ওনার স্ত্রী নীলা’কে ডোম – ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হইছে পোসমর্টেমের রিপোর্টের জন্য।

কিছুক্ষণ পড়ে রাজিব হোসেন থানায় আসে তখনি ওনার মনে হলো। লা!শ নামাবার সময় আরমানের মা নীলার হাত থেকে কিছু একটা নিয়ে গেছে। ওনি উঠে সোজা গাড়ি নিয়ে আরমানের বাড়িতে আসে। কিন্তু যখনি ওনি বাড়িতে ঢুকে তখনি দেখে আরমানের মায়ের মৃ!ত দে!হ!টা পড়ে আছ ওনার বেডরুমে।

To be continue

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে