#মাইনাসে_মাইনাসে_প্লাস (পর্ব ১০)
নুসরাত জাহান লিজা
নেহালের নিজের ঘরে আসতে ইদানিং খুব অস্বস্তি হয়। আগের মতো একলা কিছু মুহূর্ত সে মাঝেমধ্যে কাটাতে চায়, কিন্তু সম্ভব হয় না। কারণ ঘরটা এখন আর ওর একার নেই। ভাগাভাগি হয়ে গেছে এমন একজনের সাথে যে এই ঘরে এসে পড়েছে নিতান্ত অনিচ্ছায়, বাধ্য হয়ে।
যখন নেহাল ঘরে ঢুকল তখন লিলি ঘরময় পায়চারি করছিল। চিন্তাক্লিষ্ট মুখটা বড্ড মলিন দেখাচ্ছিল। নেহাল গলা খাঁকারি দিতে সে ঘুরে তাকায়।
“আপনার আজ নিশ্চয়ই আনন্দ হচ্ছে!”
“কেন?” লিলির কথা বুঝতে না পেরে নেহাল প্রশ্ন করল।
“আমাকে সকলের সামনে অপদস্ত করলেন, নিজের মা’য়ের সাথেও বাজে ব্যবহার করলেন। কী প্রমাণ করতে চাইছেন আমি বুঝি না ভেবেছেন?”
“কী বুঝলেন?” নেহাল বিরস গলায় প্রশ্ন করল। ওর মনে তেতো ভাব বেড়ে গেল।
“যা করতে চাইছেন, সেটাই বুঝেছি। সবাইকে বোঝাতে চান আপনি কত অসহায় আর আমি কত বেয়াদব। ইনোসেন্ট মুখ করে ঘুরে বেড়ান, ওদিকে সব ঝাল উগড়ে দেন। এমন দ্বিমুখিতা আমার খুব অপছন্দ। আপনি একটা হি”পো”ক্রে”ট।”
নেহাল চাইলেও আর নিজেকে আটকে রাখতে পারল না। বাইরের মানুষের কাছে সত্যি লুকানো যায়, কিন্তু যারা তার কাছের মানুষ, পুরো পৃথিবী, তাদের কাছে মিথ্যে বলাই তো বড় হি”পো”ক্রে”সি। এসব নেহাল পারে না।
“আপনার মাথা ঠিক নেই। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে কথা বলুন, মাথা বেশি গরম থাকলে মাথায় বরফ দিয়ে বসে এরপর ভাবুন।”
“আমাকে আপনি আপনি করে বলে কী বোঝাতে চাইছেন? আমি আপনার কাছাকাছি বয়সী? আপনি বললেই বয়সের এই ব্যবধান ঘুচে যাবে?”
বয়স নিয়ে যখন লিলি কথা তোলে, তখন নেহালের অসহায় লাগে। নিজেকে অপাংক্তেয় মনে হয়। নিজের উপরে রাগ হয় কেন যেন। অপরাধবোধের কালো ধোঁয়ায় মনের ভেতরটা ছেঁয়ে যায়। তবুও নিজেকে, নিজের মেজাজকে ধরে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে করতে বলল,
“আমি যদি তুমি করে বলতাম, তখন সেটাও ঝগড়ার কারণ হত। তখন বলতেন, বয়স বেশি হলেই অনুমতি ছাড়া একজন মেয়েকে তুমি করে কেন বললাম! আমি ডানে গেলে আপনি বলবেন, বামে যাইনি কেন আর বামে গেলে বলবেন ডানের কথা। আসলে খোঁচানোটাই আপনার উদ্দেশ্য। আমি যা করি তার উল্টোটা তখন আপনার ভালো লাগে।”
নেহাল কথা শেষ করে আর এক মুহূর্ত দাঁড়ায় না। দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার ঘুরে তাকিয়ে বলল,
“মায়ের সাথে আমার কী হয়েছে না হয়েছে, সেটার জবাব আমি এখন আপনাকে দেব না।”
কথাটা শেষ করেই নেহাল ছাদে উঠে আসে। আকাশে আজ তারার মেলা। চারদিকে জোছনা বান ডেকেছে। নেহালের মনেই খালি ঘুঁটঘুঁটে অমাবস্যা। মনের সেই ঘোর অন্ধকার বাইরের ঝলমলে জোছনালোককে যেন ম্লান করে দিচ্ছে ক্রমশ। চোখ বুজে দাঁড়িয়ে রইল নিঃসঙ্গ নেহাল।
***
লিলি এখনো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঘরের একেবারে মাঝখানে। সে ভাবতে পারেনি নেহাল এভাবে উত্তর দেবে। সেদিন রাতের পরে ভেবেছিল একবার নিজের ভুল স্বীকার করবে কিনা! কিন্তু সেটা পারেনি অনভ্যস্ততায়। আজ সকালের খাবার টেবিলে যে কান্ডটা হলো, তারপর মনে হলো এই ছেলেকে লিলি যা বলেছিল তাতে কোনো ভুল নেই। বেয়াড়া ছেলেদের সাথে এভাবেই কথা বলা উচিত৷
তার উপর বন্ধুদের কাছ থেকে যখন শুনল সে বদলে যাচ্ছে, তখন দিশেহারাবোধ করল। বদলে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া। কতকিছু করার বাকি, কত কী দেখার বাকি! নিজেকে আবিষ্কার করা হয়নি কোনোদিন। বন্ধুরা তো এখনো আগের মতো উদ্দাম ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা খুশি করছে৷ সে-ই কেবল একটা বাক্সে বন্দী হয়ে আছে। একটা শক্ত খোলসের আবরণে সে ঢেকে যাচ্ছে ক্রমশ।
লিলির সমস্ত মন জুড়ে একটা বি দ্রো হে র অ”ন”ল দানা বাঁধল। সেটা যেন দা”বা”ন”ল হয়ে ওকে পো”ড়া”চ্ছি”ল, তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। ওর মনে হচ্ছিল সে একা কেন পু”ড়”বে, যার জন্য সে এসবের সাথে জড়িয়ে গেছে তাকেও জ্বা”লি”য়ে দেবে ওর মনে জ্ব”লে উঠা সেই দা’বা’ন”লে। সেই ভাবনা থেকেই নেহালকে সে আ ক্র ম ণ করে বসেছিল। প্রতি আ ক্র ম ণে র জন্য কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই।
লিলির মোবাইল কতক্ষণ থেকে বাজছে, তাতেও ওর সম্বিত ফিরল না। বেশ কয়েকবার বাজার পরে সে সচকিত হলো। এবার এগিয়ে এসে টেবিল থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখল ‘আম্মু’।
সে কল কেটে দিল। এরপর বাথরুমে ঢুকে চোখে মুখে পানি দিল। মাথাও ভেজালো। ভালো লাগছে না, কিচ্ছু ভালো লাগছে না!
***
তৌহিদা অনেকক্ষণ থেকে লিলিকে কল করে না পেয়ে নেহালকে কল করলেন। মেয়েকে তার বড্ড দেখতে ইচ্ছে করছিল। একবার বুকে চেপে ধরলে হয়তো নিজেকে শান্ত করতে পারতেন। এখন রাত হয়ে গেছে, সেটা সম্ভব নয় বলে অন্তত কথাটুকু বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে কল ধরছে না।
তার মন আশঙ্কায় টলে উঠল। লিলিকে তিনি যত ভালো করে চেনেন, আর কেউ তো চেনে না। সে এমনিতে খুবই সহজ সরল, কিন্তু যখন একবার মাথায় কোনো জেদ চেপে যায় তখন সে ভয়াবহ আচরণ করে। নাওয়া খাওয়া পর্যন্ত ছেড়ে দেয়, নিজের উপরে, যার উপর রাগ তার উপরে যতক্ষণ পর্যন্ত শোধ না তুলতে পারে সে ক্ষান্ত হয় না। তিনি নিজের মেয়েকে সবসময় সমঝে চলতেন সেজন্য। আজ কিছু হয়নি তো ও-ই বাসায়!
রোমেনা তো কিছু বললেন না, তার সাথে দুপুরে কথা হয়েছে। বন্ধুটিকে তিনি চেনেন, তৌহিদা কষ্ট পায়, এমন কিছু ঘটলেও তার কানে তুলবে না। তাই বাধ্য হয়ে নেহালকে কল করা। যদি জানা যায়।
“হ্যালো, আন্টি?”
“এখনো আন্টি ডাকবে?”
নেহাল ও-প্রান্ত চুপ করে আছে। তিনি বুঝতে পারেন দুটোতে কাছাকাছি না এলে তাদের সম্পর্কও এগুবে না। তাই তিনি এসবে না গিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
“কেমন আছো বাবা?”
“ভালো। আপনি ভালো আছেন?”
“হ্যাঁ, আছি। মেয়েটাকে নিয়েই চিন্তা। ও কি তোমার আশেপাশে আছে? আসলে ওকে কল দিলাম, কেটে দিল।”
নেহালের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ কানে আসতে তৌহিদার মনে হলো, তিনি বোধহয় ভুল-ই করেছেন।
“আন্টি, আমি ছাদে। লিলি ঘরে আছে। ওকে দেব?”
“না বাবা, তোমার সাথে একটু কথা বলি। মেয়েটা এখন কেমন আছে? মানে ওর…”
“আপনি কী জানতে চান, বুঝতে পেরেছি। বিয়ে নিয়ে ওর হয়তো অন্যকোনো ফ্যান্টাসি ছিল। স্বপ্ন ছিল। আমার সাথে ওর বয়সের ব্যবধান অনেক। সেটা ওর মানতে কষ্ট হচ্ছে। আপনি চিন্তা করবেন না আন্টি। সময়ের সাথে সাথে হয়তো সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।”
তিনি বুঝতে পারলেন সমস্যাটা গুরুতর। ছটফটে সদ্য উড়তে শেখা পাখিকে হুট করে খাঁচায় আটকানোর চেষ্টা করলে পাখি কতটা বিগড়ে যেতে পারে, তিনি জানেন।
“বাবা, আমার মেয়েটা ছেলেমানুষ। অনেকটা জেদি, ভীষণ অভিমানী। কিন্তু, ওর একটা জিনিস ভীষণ সুন্দর। কাউকে ভালোবাসলে জীবন দিতে দ্বিধা করবে না। আমি সেই ভালোবাসা অনুভব করতে পারি। দোয়া করি, তুমিও সে-ই ভালোবাসাটুকু পাও। ওর কোনো আচরণে কষ্ট পেলে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি।”
“ছি ছি, আন্টি৷ এভাবে বলবেন না, প্লিজ।”
“তোমাকে একটা অনুরোধ করি, হয়তো স্বার্থপরের মতো মনে হতে পারে তোমার কাছে। কিন্তু মা তো। লিলি যাই করুক, ওকে একটু বোঝার চেষ্টা করো, বুঝিয়ে নিও। রাগ পড়ে গেলেই ওর নিজেরই অনুশোচনা হবে নিজের কাজের জন্য। তখন পর্যন্ত ওকে একটু সামলে রেখো।”
একরাশ দ্বিধা নিয়ে কথাগুলো বললেন তৌহিদা। তার নানান চিন্তা হয় সবসময়। তিনি না থাকলে মেয়েটা কী করবে! মন সারাক্ষণ আশঙ্কায় টলোমলো হয়ে যায়। ইদানিং দুঃস্বপ্ন দেখেন, মনে হয় হয়তো তিনি আর বেশিদিন নেই। অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তার ফলে এসব ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায় হয়তো, কিন্তু যদি সত্যি হয়! মেয়ের জীবন গুছিয়ে না দিয়ে তিনি ওপারে গেলে লিলিটা ভীষণ একা হয়ে যাবে।
“আন্টি, বিয়েটা তো হয়েই গেছে। এটা তো কোনো ঠুনকো বিষয় নয়। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
নেহালের কথায় তিনি খানিকটা ভরসা পেলেন৷ কথা শেষ করে লিলির ঘরে এসে ওর ব্যবহার্য জিনিসপত্র হাতড়ে হাতড়ে দেখলেন৷ ওইতো সবুজ রঙের জামাটা। এটা তিনি নিজের হাতে বানিয়ে দিয়েছিলেন। লিলি এত খুশি হয়েছিল জামাটা পেয়ে। পরপর তিনদিন সে এটা পরেছিল।
ড্রয়ার খুলে একটা ভাঙা পুতুল পেলেন। ছোট্ট লিলির খুব প্রিয় ছিল পুতুলটা। ওর বাবা এনে দিয়েছিল। তারপর তো..
মেয়েটা এটা ভেঙে গেলেও হাতছাড়া করেনি। পুরোনো এ্যালবাম খুলে তিনজনের একটা ছবিতে এসে থামলেন। মানুষটা খুব সুন্দর করে হাসত। তার ভালোবাসার সময়টা বড্ড অল্প ছিল। তাই বোধহয় মানুষটা তাকে এত ভালোবেসেছিল। লিলি তখন বছর দুয়েকের। আধো আধো বুলিতে কথা বলত। খিলখিল করে হাসত। এই ছবিতেও হাতে একটা খেলনা নিয়ে কী সুন্দর করে হাসছে ছোট্ট লিলি। ঠিক যেন জলপদ্ম! লিলির নামটা ওর বাবারই দেয়া।
এই ছবিটা দেখে তিনি যেন সময়ের চাকা ঘুরিয়ে ফিরে গেলেন ফেলে আসা সময়টায়। যখন তিনি পরিপূর্ণ ছিলেন ভালোবাসায়!
***
“আপু, তুমি আজই চলে যাচ্ছ? আর কয়েকটা দিন থেকে যাও না?”
নওরীনের বিছানায় বসে মিষ্টি করে আবদার করল লিলি।
“সে কী! থাকলাম তো অনেকদিন। তাছাড়া খুব বেশি দূরে তো নয়! আমি মন চাইলেই হুটহাট চলে আসি।”
“তোমাকে খুব মিস করব।”
“তাহলে তুইও চলে যাবি যখন ইচ্ছে হয়। একা বা নেহালের সাথে।”
লিলি এটা সেটা হাতে হাতে নওরীনকে গুছিয়ে দিল। দু’জনের জমে গেছে ভীষণ। ওর কোনো ভাইবোন নেই। নওরীন এত প্রাণখোলা মানুষ। বড় বোনের মতো সস্নেহে কথা বলে। পরশুর খাবার টেবিলের ঘটনা নিয়ে ওকে একটা কথাও কেউ বলেনি। যেন কিছুই হয়নি, এমনভাবেই সবাই ওর সাথে কথা বলেছে। লিলির মনে হয়, এই বাসার সবাই ভীষণ ভালো, কেবল একজন ছাড়া, নেহাল!
“ছাদে যাবি? মা আচার বানিয়েছে। ছাদে রোদে দেয়া আছে। চল নিয়ে আসি।”
নওরীনের আহ্বানে লিলি সাড়া দিল। ছাদে এসে দেখল রোদ তেমন নেই।
“লিলি, তুই বাড়িতে বসে আছিস কেন? তোর ক্লাস নেই?”
“আছে।” হাসি মুছে গেল মুখ থেকে।
“তাহলে যাচ্ছিস না যে?”
“এমনি।” গেলে দেখা যাবে অনেকেই নানান কথা শোনাবে। নেহালের বয়স নিয়ে ওকে ফোড়ন কাটবে, সেজন্য যাচ্ছে না।
“তুই আগে যেভাবে ছিলি, সেভাবেই সময় কাটাবি। তোর বা তোর আশেপাশের মানুষের যদি সমস্যা না হয়, তাহলে কে কী বললো তাতে কান দেবার কিছু নেই। বুঝলি?”
লিলি উত্তর দিল মাথা উপর-নিচে দুলিয়ে। পাশের ছাদে একজন মেয়ে একটা ফুটফুটে শিশুকে নিয়ে এসেছে। শিশুটি পুরো ছাদময় দৌঁড়ঝাপ করে খেলছে। মেয়েটিও তার সাথে সাথে হাসছে৷ লিলির মায়ের কথা মনে পড়ল। মা ওর সাথে এভাবেই খেলতেন। কিন্তু নওরীনের মুখ ম্লান হলো সহসাই।
লিলি সেটা খেয়াল করল না। সে ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে সেদিক তাকিয়ে বলল,
“কী সুন্দর না দৃশ্যটা! ইশ! আপু, তোমার বেবি নিয়ে কিন্তু আমি এভাবে খেলতে চাই।”
“সবার সবকিছু পাওয়ার সৌভাগ্য হয় না লিলি। তুই আসিস, আমি গেলাম।”
নওরীনের গলায় কী যেন এক বিষাদ মাখা ছিল, লিলি চকিতে ঘুরে চাইল সেদিকে। নওরীন চোখ মুছতে মুছতে ততক্ষণে সিঁড়ি বেয়ে দুদ্দাড় নেমে যাচ্ছে।
লিলি হতচকিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারল না। নওরীনের কথাটাকে আত্মস্থ করে বুঝতে পারল সে না জেনেই কতটা কষ্ট দিয়ে ফেলেছে একজনকে। সে জানলে কোনোদিন এভাবে বলত না।
যাকে লিলি পছন্দ করে না তার সাথে পৈশাচিক আচরণ করতে দ্বিধা করে না, কিন্তু পছন্দের মানুষের জন্য সে সর্বদা নিবেদিত। তার জন্য নওরীন এতটা দুঃখ পেল এটা ওকে গভীরভাবে স্পর্শ করল।
কয়েকফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল দুই চোখ বেয়ে। লিলির অসম্ভব খারাপ লাগছে। একটা ছোট্ট কথা, কিন্তু একজন নিঃসন্তান মা’কে সেই কথা কতটা মর্মপীড়া দিতে পারে সেটা সে যেন উপলব্ধি করল! খানিক বাদে সে-ও ছুটল নওরীনের পথ অনুসরণ করে। অজান্তেই যে ভুলটা করে ফেলেছে, এর প্রায়শ্চিত্ত লিলি কী করে করবে সে জানে না!
……..
(ক্রমশ)