#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৭ [ লুকোচুরি মান অভিমানের ]
আঁধারের চাদর হটিয়ে আগমন হতে চলেছে দিবার। শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছাচ্ছে আযানের সুমধুর ধ্বনি। বিছানার ডান প্রান্তে একদম গুটিসুটি মে’রে শায়িত মেয়েটি। যার কর্ণ এবং মস্তিষ্কে আযানের ধ্বনি ধীরলয়ে প্রবেশ করে চলেছে। বিগত দিনসমূহের অভ্যাসবশত নিদ্রা ভঙ্গ হলো। অক্ষিপল্লব মেলে তাকালো মেয়েটি। আরামের লো ভে বিছানায় আরেকটু সেঁটে গেল। মাথায় টেনে নিলো এলোমেলো ওড়নার একাংশ। সমাপ্ত হলো আযান। আস্তে ধীরে উঠে বসলো মেয়েটি। আশেপাশে দৃষ্টি পড়তেই চমকালো! এটি তো তাদের কক্ষ নয়। গেস্ট রুম অর্থাৎ অতিথিদের জন্য সজ্জিত কক্ষ। সহসা স্মরণে এলো গতরাতের অপ্রত্যাশিত মুহুর্তটুকু। ঘুমের উছিলায় সে নৈশভোজ অবধি করেনি। একপ্রকার পালিয়ে পালিয়ে থেকেছে। অতঃপর সকলে নিজস্ব কক্ষে ঘুমাতে গেলে সে ঠাঁই নিয়েছিল এ কক্ষে। নিজের মতো করে দুঃখ নিবারণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। সফল হয়েছে কি!
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানা ত্যাগ করে উঠে দাঁড়ালো হৃদি। ওড়নাটি পড়ে রইলো বালিশের পাশে। ওযু করে ওয়াশরুম হতে বেরিয়ে এলো মেয়েটি। মাথায় ভালোমতো জড়িয়ে নিলো ওড়না। মেঝেতে বিছিয়ে নিলো সেথায় রাখা একটি জায়নামাজ। আদায় করলো ফজরের সালাত। মহান রবের আনুগত্য স্বীকার করে দু হাত তুলে মোনাজাত ধরলো। চুপিচুপি রব’কে জানালো কত কি।
কক্ষের বদ্ধ জানালার ধারে এসে দাঁড়ালো হৃদি। দু হাতে খুলে ফেলল জানালার পাল্লা। হিমেল হাওয়া এসে আদর মাখা স্পর্শ করে গেল চোখেমুখে, দেহে। নয়ন জোড়া বন্ধ করে পবনের সে শীতল পরশ অনুভব করতে লাগলো মেয়েটি। চোখেমুখে তৃপ্তির ছোঁয়া। কিয়ৎক্ষণ বাদে চোখ মেলে তাকালো। উপভোগ করতে লাগলো বাহিরের দৃশ্য। এভাবেই পেরিয়ে গেল অগণ্য মুহূর্ত। একসময় মেয়েটির দৃষ্টি নিম্নে ধাবিত হলো। এ জানালা হতে বাড়ির সম্মুখ ভাগ মোটামুটি দৃশ্যমান। দেখা মিলছে এক শুভ্র পোশাকধারী সুঠামদেহী মানবের। বাড়িতে প্রবেশ করছে সে। জামায়াতে সালাত আদায় করে ফিরছে বুঝি। তাকে দেখামাত্র ই অভিমানিনীর অভিমান উপচে পড়তে লাগলো। দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে নিলো হৃদি। পৃষ্ঠদেশ ঠেকলো জানালার গ্রিলে। দেখবে না সে। তাকাবে না এ নি-ষ্ঠুর মানবের পানে। ছলছল করে উঠলো দু নয়ন। মনের ভেতরকার অবস্থা অনুধাবন করা মুশকিল।
.
টেবিলের ওপর সকালের আহারের আয়োজন করে চলেছেন মালিহা। সঙ্গিনী একজন পরিচারিকা। দু’জনে মিলে আহারের ব্যবস্থা করে ফেললেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সেথায় উপস্থিত হলো পরিবারের সদস্যরা। বসলো নিজ নিজ চেয়ারে। অনুপস্থিত শুধুমাত্র হৃ’হাম। ইনায়া মা’কে সেটাই জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল। তখনই দেখা মিললো সাহেবের। পরিপাটি রূপে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলো মানুষটি। ডাইনিংয়ে এসে শান্ত স্বরে মা’কে জানালো,
” পার্টি অফিসে যেতে হবে। দরকার আছে। আসছি। আসসালামু আলাইকুম। ”
” কিন্তু খাবারটা খেয়ে.. ”
আর বলা হলো না মালিহার। ইরহাম বড় বড় কদম ফেলে ততক্ষণে প্রস্থান করেছে। একসময় চলে গেল দৃষ্টি সীমার বাহিরে। তখনই উপস্থিত হলো হৃদি। বসলো এক চেয়ার টেনে। এজাজ সাহেব পুত্রের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেন।
” পার্টি পার্টি। কি পাচ্ছে এসব করে? ওর মতো ব্রাইট স্টুডেন্ট কিনা শেষমেষ এসব করে বেড়াচ্ছে? কোথায় আমার অফিসে বসবে। দেশ-বিদেশে নাম কামাবে। তা নয়। ওনার মাথায় দেশসেবার ভূত চেপেছে। বলি দেশসেবা করার অন্য কোনো উপায় নেই? রাজনীতি ই একমাত্র পথ? ”
মালিহা নম্র স্বরে বললেন,
” ও ব্যবসায় কখনোই আগ্রহ দেখায়নি। বরাবরই পরোপকারী স্বভাবের। নিজেকে ভুলে অন্যের উপকারী ভাবনায় মশগুল হয়ে থাকে। তুমি তো জানোই রাজনীতি ওর পেশা নয়। স্বপ্ন পূরণের পথ। ”
” হাঁ তাই তো। দাও আরো লাই দাও। এই রাজনীতি রাজনীতি করেই একদিন ডুববে। দেখে নিয়ো। ”
প্রচণ্ড হতাশ এজাজ সাহেব। তখনই কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলেন রাজেদা খানম।
” শকুনের দোয়ায় গরু ম*রে না। মাথা গরম না কইরা খা। পেটে খিদা। ”
এজাজ সাহেব ক্রু দ্ধ চোখে একপলক তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলেন। এসবের ভিড়ে নীরব দর্শক হৃদি ও ইনায়া। কিচ্ছুটি বললো না তারা। নীরবতাকেই বেছে নিলো।
.
কাঠের তৈরি এক মোটা চেয়ারে বসে ইরহাম। বিপরীত দিকের চেয়ারে বসে সাহিল। মধ্যখানে টেবিল। টেবিলে কনুই ঠেকে মানুষটির। ডান তর্জনী ও মধ্যমা ছুঁয়ে ওষ্ঠাধর। মনোযোগ বিপরীতে বসে থাকা সাহিলের কথায়।
” ভাই নেতা সাহেব কিন্তু থেমে নাই। প্রতি ঘন্টায় কূটকৌশল ভেবে চলেছে। কিভাবে আপনার মতো এক তরুণকে হারানো যায় এই ভেবেই ওনার বিপি হাই। মানুষটা কিন্তু সুবিধার না। আপনি দয়া করে সাবধানে পা ফেলবেন। ”
ইরহামের অধরকোলে বক্র রেখা ফুটে উঠলো।
” নির্বাচনের আগেই বিপি হাই! ভালো লক্ষণ নয় কিন্তু সাহিল। ওনার মতো একজন প্রবীণ তুখোড় রাজনীতিবিদ আমার মতো দুদিনের তরুণকে হারানোর জন্য এত ব্যস্ত! আ’ম ইমপ্রেসড্। ”
সাহিল এহেন মন্তব্যে মজা পেল না। বরং আশঙ্কা প্রকাশ করলো।
” ভাই ওনারে হেয় করে দেখবেন না। বুড়ো হলে হবে কি? শিরায় শিরায় শ*য়তানি। বি-পজ্জনক লোক। সে আপনাকে এত সহজে ছেড়ে দেবে মনে করেন? ”
” আমি কিছু মনে করছি না। বরং অপেক্ষায় আছি। দেখি কি থেকে কি হয়। ”
ইরহামের কাছ থেকে আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না পেয়ে হতাশ সাহিল। সে আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল তখনই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো ইরহাম। হালকা অবিন্যস্ত চুলে হাত বুলিয়ে বললো,
” আজ একটা হাইস্কুলে প্রচার অভিযান আছে না? ”
সাহিল ত্বরিত উঠে দাঁড়ালো। ইতিবাচক সম্মতি পোষণ করে বললো,
” জ্বি ভাই। ”
” আজগর সাহেবকে ছেড়ে ওটায় ফোকাস করো। কাজে দেবে। ”
আর দাঁড়ালো না ইরহাম। কক্ষটি হতে বেরিয়ে গেল। পিছুপিছু এলো বিভ্রান্ত সাহিল।
•
মৃদু অন্ধকারে আচ্ছন্ন কক্ষটি। অগ্নিশর্মা এক মাঝবয়সী পুরুষের রো’ষের মুখোমুখি এক নারী। পুরুষটির দু চোখে অবর্ণনীয় ক্রো-ধের ছড়াছড়ি। সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা নারীর উন্মুক্ত কেশের একাংশ মুঠোবন্দী তার হাতে। সে কেশ দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ করে হিসহিসিয়ে পুরুষটি বলতে লাগলো,
” মা**গি! আমার ওপর গলাবা’জি করিস কোন সাহসে? আমি তোর বাপেরটা খাই না পড়ি? কতবড় দুঃসাহস! তুই আমারে পা’ল্টি দেয়ার কথা ভাবিস? জ্যা!ন্ত পুঁ’তে রাখবো বলে রাখলাম। ”
নারীটি হাতজোড় করে মিনতি করে চলেছে।
” বিশ্বাস করো। আ আমি কিছু করিনি। ও ই তোমার.. ”
” চুউপ। একদম চুপ। মুখে মুখে তর্ক করবি না। মুখ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবো। ”
বলে এক জোরালো ধাক্কা। বিছানায় ছিটকে পড়লো নারীটি। ব্যথা পেল থুতনি, হাতের কনুইয়ে। মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো। যা অগ্ৰাহ্য করে পুরুষটি তার পানে আঙ্গুল তাক করে শাসিয়ে গেল,
” দ্বিতীয়বার যেন এটা না হয়। মনে রাখিস। নইলে… ”
ক্রন্দনে লিপ্ত স্ত্রীকে ফেলে কক্ষ হতে বেরিয়ে গেল মানুষটি। পেছনে রয়ে গেল দুঃখিনী নারী। স্বামীর আর কত পৈ`শাচিক রূপ দেখতে হবে তাকে! আর কত!
•
আদিত্য’র কিরণে আলোকিত ধরণী। লিভিংরুমে সোফায় বসে হৃদি। কোলের ওপর আদুরে পকিমন। তার সঙ্গে দুষ্টু মিষ্টি স্বরে কত কি বলে চলছে মেয়েটা। তুলতুলে নরম গায়ে বুলিয়ে দিচ্ছে হাত। অভিব্যক্তি একদম স্বাভাবিক। ভেতরে কি চলছে বোঝা দুষ্কর। ঠিক তখনই পুরুষালি ভারিক্কি কণ্ঠস্বর এসে শ্রবণেন্দ্রিয়ে ধাক্কা খেল। যারপরানাই অবাক হলো হৃদি! এসময়ে সে! কোথা হতে? হৃদি ত্বরিত তাকালো বাড়ির প্রবেশদ্বারে। হলো বিহ্বল!
কৃষ্ণবর্ণ ট্রাকসুট পড়নে মানুষটির। বুকের বাঁ পাশে ছোট করে শুভ্র রঙে অ্যাডিডাস এর লোগো। ট্রাক জ্যাকেট এবং জগারের দু পার্শ্বে সফেদ থ্রি স্ট্রাইপ তাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। জ্যাকেটের জিপ বন্ধ বক্ষ অবধি। দু স্লিভ গুটিয়ে কনুইয়ে তুলে রাখা। দৃশ্যমান লোমশ পুরুষালি দু হাতের অংশবিশেষ। বাঁ হাতে স্মার্ট ওয়াচ। সুঠামদেহে বেশ মানানসই এমন অবতার। মানুষটির মুখশ্রী, গলদেশে বিন্দু বিন্দু স্বেদজলের অস্তিত্ব। লালচে রূপ ধারণ করেছে গৌর বর্ণের মুখশ্রী। চোখে নেই চশমা। কর্ণে ঠেকানো স্মার্টফোন। অভিমানী কন্যা এক মুহুর্তের জন্য অভিমান ভুলে হয়েছিল বিমুগ্ধ! তার চোখেমুখে প্রকাশ পাচ্ছিল মুগ্ধতা! সহসা ইরহামের কণ্ঠে ঘোর কেটে গেল। নিজের বোকামির ওপর ধি’ক্কার জানিয়ে সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো হৃদি। ততক্ষণে আলাপণে লিপ্ত মানুষটি শ্লথ গতিতে কদম ফেলে অভ্যন্তরে উপস্থিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই চোখাচোখি হলো দু’জনার। হৃদি দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। অগত্যা পকিমনকে কোলে নিয়ে পা বাড়ালো বাড়ির বাহিরে। পকিমন তখন তারস্বরে ডেকে চলেছে ইরহামের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এহেন আচরণে ভ্রু কুঁচকে হৃদির গমন পথে তাকালো মানুষটি। কর্ণে তখনো ঠেকে মোবাইলটি। সেকেন্ড কয়েক ভাবতেই কুঞ্চিত ভ্রু সোজা হলো। বোধগম্য হলো প্রকৃত বিষয়টি। অন্তরে কি একটু হলেও কাঁপন ধরলো!
.
বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতর নারী। নিদারুণ যন্ত্রণায় যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে রগ। কক্ষ আঁধার বানিয়ে শুয়ে তিনি। দেহে জড়ানো পাতলা কাঁথা। ওনার শিয়রে বসে হৃদি। আলতো করে হাত বুলিয়ে চলেছে কেশের ভাঁজে ভাঁজে। এতে কিছুটা আরাম মিলছে যন্ত্রণা হতে। নিদ্রায় বুঁজে আসছে আঁখি যুগল।
গতরাত হতে অসহনীয় মাথা ব্যথায় জর্জরিত মালিহা। সকাল হতে বিশ্রাম নিচ্ছেন নিজ কক্ষে। কক্ষ হতে বের হওয়ার মতো মনোবল কিংবা শক্তি কোনোটাই নেই। হৃদি ওনার ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ঘরেই নিয়ে এসেছে। দু’জনে মিলে একসাথে সেরেছে ভোজন। পেলব অপটু হাতে শাশুড়ি মায়ের মাথায় ম্যাসাজ করে দিয়েছে মেয়েটি। খাইয়ে দিয়েছে ওষুধ। পুত্রবধূর সেবায় সহজেই ওনার চোখে ঘুম ধরা দিলো। ওনাকে ঘুম পাড়িয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল হৃদি। আস্তে করে নেমে এলো বিছানা হতে। মায়ের শরীরে ভালোমতো কাঁথা জড়িয়ে ললাটে চুম্বন করলো। অতঃপর নিঃশব্দে বেরিয়ে এলো কক্ষ হতে। ভিড়িয়ে দিলো দ্বার। ঠিক তখনই দেখা মিললো উৎকণ্ঠিত ননদের। মেয়েটা সবেমাত্র কোচিং সেরে ফিরেছে। ফিরেই বাহিরের পোশাক নিয়ে ছুটে এসেছে মায়ের খোঁজে। ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা, ক্লান্ত শরীর। তবুও। মায়ের প্রতি সন্তানের কি দারুণ এক ভালোবাসা! মুগ্ধকর টান! হৃদি মুচকি হেসে ইনায়ার বাঁ কপোল টিপে দিলো।
” মা ঠিক আছে নন্দিনী। ডোন্ট ওয়ারি। আমি আছি না? সব যন্ত্রণা ফুরুৎ। ”
ইতিবাচক জবাব পেয়ে একটু শান্ত হলো ইনায়া।
” সত্যি বলছো ভাবি? আম্মুর অসুবিধা হচ্ছে না তো? ওষুধ খেয়েছে? ”
” হাঁ গো হাঁ। খেয়েছে। ”
” যাক। এবার আল্লাহ্ ঠিক যন্ত্রণা কমিয়ে দেবে। তাই না? ” শিশুসুলভ আচরণ করছে মেয়েটা।
” হুম। মা একদম ফটাফট ঠিক হয়ে যাবে। এবার রুমে চলো তো। ফ্রেশ হয়ে নেবে। কেমন ঘর্মাক্ত ভূ’তনী লাগছে তোমাকে। ইশ্! চলো চলো। ”
হৃদি ওর হাত ধরে এগোতে লাগলো ইনায়ার কক্ষের উদ্দেশ্যে। ইনায়াও বাধ্য মেয়ের মতো সাথে চললো।
•
তমসায় আবৃত ধরিত্রী। হেডবোর্ডে লম্বালম্বিভাবে রাখা বালিশ। তাতে হেলান দিয়ে বসে ইরহাম। দু পা ক্রস আকৃতি করে রাখা। উরুর ওপর ল্যাপটপ। রিমলেস চশমার আড়ালে থাকা নভোনীল আঁখি যুগল নিবদ্ধ যান্ত্রিক পর্দায়। কর্মব্যস্ত মানুষটি সহসা অবচেতন মনে বলে উঠলো..
চলবে.