#গল্পের_নাম_মনের_অন্তরালে
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ৬
প্রলয় বললো,
~একদম চুপ,চিল্লাচ্ছো কেন?কেউ শুনলে কী ভাববে?
নয়না কিছু না বলে শুধু উমম উমম করতে লাগলো প্রলয় তাতে বিরক্ত হয়ে বললো,
~উমম উমম করছো কেন?
নয়না চোখের ইশারায় প্রলয়কে দেখালো তার হাত নয়নার মুখ চেপে ধরে আছে।প্রলয় বুঝতে পেরে সাথে সাথে নয়নাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাড়ালো।নয়না ছাড়া পেতেই ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে শুরু করলো প্রলয় বললো,
~আমার শার্টের অবস্থা কী করেছো?
নয়না শুকনো ঢোক গিলে বললো,
~বেশ করেছি।আপনার মতো খারাপ মানুষদের সাথে তাই হওয়া উচিত।
প্রলয় এবার রেগে গিয়ে নয়নাকে আবার দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বললো,
~এই যে পিচ্চি একদম চুপ থাকবে বয়সে তোমার আমি অনেক বড়।বুঝতে পেরেছো?
নয়না বললো,
~তা জানি আপনি একজন বয়স্ক লোক সেই হিসেবে সম্মান করাই উচিত।বুড়ো সাহেব
নয়না কথা শেষ করে ধাক্কা মেরে প্রলয়কে দূরে সরিয়ে দিলো তারপর সেখান থেকে চলে আসতে নিবে তখনই নয়নার গালে সজ্জোরে একটি থাপ্পড় পরে।নয়না গালে হাত দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে মাহিন দাড়িয়ে আছে।চোখ দিয়ে তার আগুন ঝড়ছে প্রলয় পুরো ঘটনায় অবাক হয়ে গেলো নয়নার চোখ দিয়ে অশ্রু জড়ছে সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। মাহিন নয়নাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
~এসব কী চলছে?এই দেখার বাকি ছিল বাবার মানসম্মানের কথা ভাবলিনা একজন পরপুরুষের সাথে ছি ছি তুই আমার বোন ভাবতেও লজ্জা লাগছে।
প্রলয় এবার মুখ খুললো সে বললো,
~মাহিন তুমি ভুল বুঝছো আমাদের মাঝে এমন কিছুই হয়নি।
মাহিন বললো,
~আপনাকে কথা বলতে বলেছি আপনি হলেন বাইরের মানুষ আমার আর আমার বোনের মধ্যে কথা বলতে আসবেন না।
প্রলয় বললো,
~কথা বলতাম না কিন্তু ঘটনাটা আমার জন্য ঘটেছে তাই
প্রলয়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই নয়না দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায় মাহিন প্রলয়কে বললো,
~আমার বোনের থেকে দূরে থাকবেন।
মাহিন এতটুকু বলে চলে গেলো প্রলয় সেখানে দাড়িয়ে রইলো নয়নার জন্য খারাপ লাগছে।তাই প্রলয় ভাবলো সে নয়নার কাছে যাবে তার সাথে কথা বলবে ছোট মানুষ কোনো ভুল না করে ফেলে প্রলয় নয়নাকে খুজতে চলে গেলো।
প্রহেলী আমেনা সিকদার আর জামিলা সিকদারের সাথে শুয়েছে ফারিহা আর নয়না অন্যরুমে আছে।আমেনা সিকদার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আর বলছেন,
~সংসারটাকে আগলে রাখবি সব জিনিস দেখে শুনে করবি।শাশুড়ি মায়ের প্রতিটি কথা মেনে চলবি রুমানা আপা খুবই ভালো মানুষ তোকে নিজের মেয়ের মতোই রাখবে।
জামিলা সিকদার বললেন,
~আর শোন যখনি তোর আমাদের কথা মনে পরবে চলে আসবি আমাদের কাছে।
প্রহেলী মনোযোগ দিয়ে সব কথা শুনলো তারপর বললো,
~মা,আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমেনা সিকদার বললেন,
~কী সিদ্ধান্ত?
প্রহেলী বললো,
~আমি সম্পত্তির একভাগ নয়না,একভাগ মাহিন আর একভাগ তোমার আর দাদীর নামে করে দিয়েছি।
প্রহেলীর কথা শুনে তারা আকাশ থেকে পরলো জামিলা সিকদার বললেন,
~এই মেয়ে কী বলে আমেনা?কী করছিস তুই এটা প্রহেলী?
প্রহেলী বললো,
~দাদী চিন্তা করো না দোকানটা আমার নামেই আছে তোমার ছেলে যদি পল্টিমারে তাই একাজটা করেছি।
জামিলা সিকদার বললেন,
~এই খবর আর কে জানে?
প্রহেলী মুচকি হেসে বললো,
~পরশ জানে।আর কালকে আমি সবাইকে জানাবো।
আমেনা সিকদার বললেন,
~আমার কিছুর প্রয়োজন নেই তুই সেটা মারিয়ার নামে করে দে।
প্রহেলী বললো,
~বেশি বুঝবেনা তুমি আর তোমরা আমার সাথে এবাসায় থাকবে।
আমেনা সিকদার আর জামিলা সিকদার অবাক হয়ে গেলেন প্রহেলী আলতো হেসে বললো,
~আমি সেখানে থাকবো না তাহলপ তোমাদের খেয়াল কে রাখবে?তাই পরশ আর আন্টি আমাকে এটা করতে বলেছেন।
আমেনা সিকদার বললেন,
~মেয়ের বাসায় মা থাকে নাকি?
প্রহেলী বললো,
~ছেলের বাসায় তো থাকে তাই না?
আমেনা সিকদার বললেন,
~বোঝার চেষ্টা কর।
তখনই প্রহেলীর ফোন বেজে উঠে প্রহেলী বিছানা ছেড়ে উঠে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে পরশের ফোন +ম্যাসেজ।প্রহেলী ম্যাসেজ অন করতেই তাতে লেখা উঠলো,
~ছাদে আসো।
প্রহেলী মোবাইলটা রেখে বললো,
~মা দাদী আমি আসছি।
বলেই সে রুম থেকে বের হয়ে সোজা ছাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
__________________
নয়না বারান্দায় দাড়িয়ে কাঁদছে সে জানেনা এই রুমের বারান্দাটা কার সে খালি পেয়েছে তাই ঢুকে পরেছে।প্রলয় সব জায়গায় নয়নাকে খুজে অবশেষে নিজের রুমে চলে আসে।শার্টটা খুলে ফ্লোরে রাখতেই কান্নার শব্দ শুনতে পায় প্রলয় ভ্রুকুচকে বারান্দার দিকে গিয়ে দেখলো নয়না হাঁটু গেড়ে বসে কাঁদছে। প্রলয়ের অনেক খারাপ লাগলো মেয়েটা হয়তো একটু বেশিই কষ্ট পেয়েছে।প্রলয় ধীর পায়ে নয়নার সামনে বসে পরলো নিজের পাশে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে মুখ তুলে তাকাতেই প্রলয়কে দেখতে।প্রলয়ের নজর পরলো নয়নার গালের উপর বেচারির গালটা লাল হয়ে আছে।মাহিনের উপর এখন রাগ লাগছে এভাবে কাউকে মারে কেউ।প্রলয় হাত বাড়িয়ে নয়নার গালটা ছুঁতে যাবে নয়না দূরে সরে যায় প্রলয় বুঝতে পারলো নয়না হয়তো রাগ করেছে।প্রলয় বললো,
~বরফ দিলে ঠিল হয়ে যাবে।তুমি এখানে বসো আমি বরফ নিয়ে আসছি।
প্রলয় উঠতে যাবে তখনই নয়না বললো,
~জুতা মেরে গরুদান করতে হবে না।
প্রলয় নয়নার দিকে তাকিয়ে বললো,
~কী বললে?
নয়না অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রলয়ের দিকে তাকালো প্রলয় কিছুসময়ের জন্য সেই নয়নে হারিয়ে গেলো কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে ঠান্ডা কন্ঠে বললো,
~আমি গরুদান করছিনা বরফ দান করছি।
নয়না বসা থেকে উঠে বললো,
~আপনার জন্য আমার মেহেদী খারাপ হয়েছে আবার ভাইয়ের কাছে থাপ্পড়ও খেতে হলো।আপনি আসলেই বেয়াদব লোক।
প্রলয় নিজেকে ঠান্ডা রেখে বললো,
~নয়না বরফ লাগিয়ে নিও এখন আমার রুম থেকে বের হয়ে যাও।
নয়না বললো,
~আমার তো বয়ে গেছে আপনার রুমে থাকবো।
বলেই সে বারান্দা থেকে চলে গেলো রুমের দরজার কাছে এসে প্রলয়কে ভেংচি কেটে সে চলে গেলো।
প্রলয় আপনমনে একটু হেসে কার্বাড থেকে শার্ট নিয়ে
ওয়াশরুমে চলে গেলো লম্বা শাওয়ার নেওয়ার জন্য।
প্রহলী ছাদে পৌছে পরশকে দেখতে না পেয়ে এদিক-সেদিক তাকে খুঁজতে শুরু করে।হঠাৎ সে তার কোমড়ে কারো শীতল স্পর্শ অনুভব করতে পারে।পরশ প্রহেলীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে
প্রহেলী কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,
~কী হয়েছে এতো রাতে ছাদে ডাকলেন কেন?
পরশ প্রহেলী ঘাড়ে মুখ গুজে বললো,
~তোমাকে ছাদ থেকে ফেলে দিবো তাই।
প্রহেলী হালকা হেসে বললো,
~তাই তাহলে অপেক্ষা কীসের ফেলে দিন।
পরশ প্রহেলীকে বললো,
~সত্যি ফেলে দিবো।
প্রহেলী বললো,
~আপনার সাহস নেই আমাকে মৃত্যু শয্যায় আপনি দেখতে পারবেন না।
পরশ হালকা হেসে বললো,
~এটা একদম সত্য কথা।তোমার হাতের মেহেদী দেখি।
পরশ প্রহেলীকে ছেড়ে দিয়ে তার হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে মেহেদী রাঙ্গা হাত দেখতে ব্যস্ত।
প্রহেলী বললো,
~এতো মনোযোগ সহকারে কী দেখছেন?
পরশ বললো,
~তোমার হাতে নিজের নাম।
প্রহেলী বললো,
~এতে এতো দেখার কী আছে?
পরশ প্রহেলীর দুটো নিজ বুকে রেখে বললো,
~তুমি বুঝবেনা প্রিয় তোমার হাতের রেখায় নিজ নাম দেখার জন্য আমি কতকাল অপেক্ষা করেছি।
প্রহেলী লজ্জায় মাথা নিচু করে বললো,
~এখন ছাড়ুন মায়ের কাছে যাবো।
পরশ প্রহেলীর হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
~আজকের রাতটা তোমার কালকের রাতটা হবে আমাদের।
প্রহেলী বললো,
~কে বলেছে কালকে রাতে আমি আপনার সাথে থাকবো আমি তো রুমানা আন্টির সাথে থাকবো।আন্টির অনেক শখ ছিল সে তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবেন।
পরশ অসহায় ভাবে বললো,
~কালকেই কী সব শখ পূরন করতে হবে?
প্রহেলী বললো,
~অবশ্যই।
পরশ বললো,
~তাই না দাড়াও দেখাচ্ছি তোমাকে।
পরশ প্রহেলীর পিছে দৌড়াতে লাগলো প্রহেলী পরশ থেকে বাঁচার জন্য ভো দৌড় দিলো।
___________________
সকাল থেকেই সবাই নানান কাজে ব্যস্ত বর এবং বউকে হলুদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো।পরশ কোনো মতেই তার শরীরে হলুদ দিতে দিবে না কিন্তু রুমানা তালুকদার আর আমেনা সিকদারের কথায় বাধ্য হয়ে সে হলুদ দিতে প্রস্তুত হয়েছে।প্রহেলীকে সবাই হলুদ মাখিয়ে চলে যায় পরশের কাছে পরশ একটা লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে বসে আছে যা দেখে প্রলয় বললো,
~বিয়ের আগেই তোর বস্ত্রহরণ হয়ে গেলো।
পরশ কটমট করে প্রলয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
~শালা একদিন তোরও সময় আসবে।
প্রলয় হো হো করে হাসতে লাগলো তার হাসি দেখে নয়না মুখ বেকিয়ে বললো,
~গাধার মতো হাসছে কেন এই লোক?
পরশ নয়নার কথা শুনে উচ্চ স্বরে হেসে বললো,
~প্রলয় তোর ইজ্জত শেষ।
প্রলয় নয়নার দিকে তাকালো নয়না শুকনো ঢোক গিলে ফারিহার পিছনে লুকিয়ে পরলো।পরশকে হলুদ লাগানোর পর সে ওয়াশরুমে চলে গেলো শাওয়ার নিতে।
প্রলয় Garden area তে দাড়িয়ে সব কাজ দেখছে হঠাৎ প্রলয়ের চোখ যায় শাড়ি পরিহিত নয়নার ওপর স্টেজটা সেই ডেকোরেট করছে।কিন্তু নয়নার সাথে একটা ছেলেকে দেখে প্রলয়ের ভ্রুটা কুচকে যায়।তখনই ফারিহা হাতে ফুলের ঝুড়ি নিয়ে যাচ্ছিল প্রলয় তাকে ডেকে উঠলো,
~ফারিহা
ফারিহা প্রলয়ের কাছে গিয়ে বললো,
~জ্বী ভাইয়া বলুন।
প্রলয় বললো,
~নয়নার সাথে সেই ছেলেটা কে?
ফারিহা স্টেজের দিকে তাকিয়ে দেখে নয়না একটা ছেলের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে আর হাসছে।ফারিহা আলতো হেসে বললো,
~সায়েম ভাই তো নয়নার চাচাতো ভাই।আসলে একটু আগেই তারা এসেছে বিয়ে এটেন্ড করতে।
প্রলয় বললো,
~প্রহেলীর বড় না ছোট?
ফারিহা বললো,
~প্রহেলীর ৪ বছরের বড়।
প্রলয় হেসে বললো,
~যাও তুমি তোমার কাজে চলে যাও।
ফারিহা বেচারি কিছু বুঝতে না পেরে নিজ কাজে চলে যায়।প্রলয় পকেটে হাত গুজে বললো,
~সায়েম।
প্রহেলীকে সবাই ঘিরে রেখেছে তার চাচী আসার পর থেকে তো বাসাটা পুরো জমজমাট হয়ে আছে।আপন চাচা-চাচী না হয়েও প্রহেলীকে তারা অনেক আদর করে।প্রহেলীর চাচী রাবেয়া সিকদার বললেন,
~বিয়েটা এতো তাড়াতাড়ি কেন হচ্ছে?একটু আয়োজন করবো অনুষ্ঠান হবে মেয়েকে এভাবে সাদা-মাটা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছো আমেনা বুবু।
আমেনা সিকদার বললেন,
~কী করি বল সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
রাবেয়া সিকদার বললেন,
~মহারাণী কোথায়?
রাবেয়া সিকদার বলতে দেরি মারিয়া সিকদার সেখানে হাজির হয়ে বললো,
~আমার কথা বলছিলে বুঝি?
রাবেয়া সিকদার বললেন,
~ওরে হাজির হলো আমাদের গরীবের মহারাণী তা তোমার বাপ-মা আসবে তো বিয়েতে নাকি পালিয়ে বাড়াচ্ছে পুলিশের ভয়ে।বলছি কী চুরির কেসটা কী এখনো চলছে?
মারিয়া সিকদার রেগে বললেন,
~দেখেছো আমেনা আপা কী বলছে ভাবি?তুৃমি চুপ করে আছো কেন?
আমেনা সিকদার বললেন,
~দুজনই চুপ থাকো এতো কথা ভালো লাগছেনা।
রাবেয়া সিকদার বললেন,
~এসব ছাড়ো তো বুবু তোমার জন্য একটা শাড়ি এনেছি দেখো তো কেমন হয়েছে?
মারিয়া সিকদার বললেন,
~ওইসব কমদামি শাড়ি আপা পরে না।তুমিই রেখে দেও
রাবেয়া সিকদার বললেন,
~তাহলে তুমি পরো তোমারতো অভ্যাস আছে কমদামি শাড়ি পরার।তোমার বিয়ের দিন তো ছেড়া একটা শাড়ি পরে শশুড়বাড়ি এসেছিলে।
মারিয়া সিকদার আর কোনো কথা না বলে রুম থেকে চলে যায়।রাবেয়া সিকদার তা দেখে হো হো করে হেসে উঠলো আমেনা সিকদার বললেন,
~তুমি কেন এমন করো?
রাবেয়া সিকদার বললেন,
~মজা লাগে।
____________________
প্রহেলীর সামনে বিয়েতে পরার সব জিনিস সাজিয়ে রাখা হয়েছে।পরশ সব কিছু কিনে নিয়ে এসেছে প্রহেলী লাল শাড়িটা হাতে নিলো তারপর শরীরে জড়িয়ে নিয়ে দেখতে লাগলো।ফারিহা আর নয়না রুমের ভিতর প্রবেশ করলো প্রহেলী তাদের দেখে বললো,
~একটুপর পার্লারের লোক চলে আসবে তোরা সব জিনিস তৈরি করে রাখ।
ফারিহা বললো,
~পরশ ভাইয়ের পছন্দ অনেক সুন্দর শাড়িটা তো একদম জোস।
নয়না বললো,
~একদম ঠিক বলেছো আপু।আমি আমার শাড়িটা মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসি।
নয়না রুম থেকে বের হয়ে শাড়ি আনতে চলে গেলো।
কিছুক্ষন পার্লারের লোকজন এসে পরলো প্রহেলী রেডি হতে শুরু করলো। প্রলয় সায়েমের সাথে দাড়িয়ে আছে প্রলয় সিগারেট ফুকছে সায়েম তা দেখে বললো,
~আরেকটা সিগারেট হবে?
প্রলয় বললো,
~সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আপনার হবু বউ এসে এই ডায়লগটা মারবে আপনাকে।
সায়েম বললো,
~আমার হবু বউ?
প্রলয় মুখ দিয়ে ধোয়া ছেড়ে বললো,
~কেন নয়না আপনার হবু বউ না যেভাবে আপনারা কথা বলছিলেন মনে হচ্ছিল আপনাদের বিয়ে।
সায়েম হেসে বললো,
~কী যে বলেন?নয়না তো এখনও ছোট।
প্রলয় বললো,
~ওহহ।
পরশকে রেডি করতে ব্যস্ত প্রলয় একটুপর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে।পরশ রেডি হয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে বললো,
~পার্ফেক্ট।
প্রলয় বললো,
~যদি এসব নাটক শেষ হয়ে থাকে তাহলে চল।
পরশ স্টেজে এসে বসার পরপরই ফারিহা আর নয়না প্রহেলীকে নিয়ে আসে।প্রহেলীকে বধু রুপে দেখে পরশ একনজরে তার দিকে তাকিয়ে আছে পরশ একটা ঘোরের মধ্যে আছে আর প্রলয় সে তো নয়নাকে দেখতে ব্যস্ত সবার নজর সেটা এড়িয়ে গেলেও মাহিনের নজর তা ঠিক ধরে ফেলেছে।
চলবে
(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)