ভ্রান্তির অগোচরে {দ্বিতীয় পর্ব}
ঊম্মে হাবিবা জাহান
★★★
ফজরের নামাজ পড়ে রুবি কুরআন পড়তে বসে। এটা তার রোজকার রুটিন।আজও ব্যতিক্রম হলো না।কিছুক্ষণ পর রোকেয়া তার ঘরে আসে।মায়ের আসা টের পেয়ে।আল্লাহু গফুরুর রহিম টেনে পড়ে আয়াতটি শেষ করে কুরআন বন্ধ করলো।
–‘আম্মা কিছু বলবা?
–‘হু বলতেই আসছি।আজকেও কি ভার্সিটিতে যাবি নাকি?প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা না করেই তিনি আবার বলেন,থাক আজকে যাস না কিছু মেহমান আসবে।
–‘ঠিকাছে যাবো না।কারা আসবে আম্মা? রেসমি খালার তো আসার কথা ছিল।তুমি না বললে কি জানি সমস্যা সেজন্য আসবে না এবছর। সমস্যা কি তাহলে মিটেছে?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
–‘না রেসমি না, কি মিটবো? ওর মাইয়া এক পোলার লগে ভাগছে। মানলেই মিটা যায়।কিন্তু রেসমি যে জেদি ওর মতো দাপটি মহিলা এত তাড়াতাড়ি মানলে তো!যাকগে তোকে যা বলি শোন।সেদিন যে মহিলা আসছিল তারাই আবার আসবে ছেলেসহ তোকে দেখতে।নাজমার পরিচিত শুনছি ছেলের নাকি বিশাল ব্যবসা।একটা মাত্র ছেলে। আগে গ্রামেই থাকতো এখন শহরে থাকে সবাই।আল্লাহ আল্লাহ করে যদি ঠিক হয়ে যায় আমি মাজারে গিয়ে মোরগ দিয়ে আসবো।
–‘ আস্তাগফিরুল্লাহ! আম্মা এসব কি বলো তুমি?
যদি ঠিক হয়েই যায় তবে মাজারে কেন যাবা?কেবলই বললা যে আল্লাহ আল্লাহ করে যদি ঠিক হয়ে যায়! যদি আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করে সব ঠিক করে দেন তবে তুমি মাজারে কেন যাবা?মাজারে যে শুয়ে আছে সেও আল্লাহর এক বান্দা আম্মা।আল্লাহ তায়ালা কে খুশি করতে চাইলে তার ইবাদাত করো। কেন সেই প্রচলিত ভ্রান্ত মতবিশ্বাসের বাইরে আসছো না আম্মা? সত্যটা বুঝে দেখ, এসব শিরক। তুমি আল্লাহ তায়ালা কে খুশি করতে নফল নামাজ, রোজা,দান-সদকা করতে পারো।প্লিজ আম্মা এরপর আর এই ধরনের কথা বলবা না।
–‘ আচ্ছা গেলাম না মাজারে,খুশি! তুই তৈরি থাকিস। দুপুরে তারা চলে আসবে কত কাজ বাকি আমি উঠি।তুইও একটু আয় সাহায্য কর।
–‘ আম্মা একটু শুনো।
–‘ হু বল কি বলবি? তাড়াতাড়ি কাজ আছে আমার এখন মোটেও আহ্লাদ করার সময় নাই।
–‘ আম্মা তোমরা যা বলবা আমি তাই করবো কিন্তু আমার শুধু একটা চাওয়া ছেলে যেন দ্বীনদার হয়।
–‘সীমার বাতাস যে পায়ছে রুবির। সেটা আগেই বুঝতে পারছি আমি।এমন সুপাত্র আমি এই মেয়ের বোকামির জন্য নষ্ট করবো? পাগল নাকি আমি!হুহ।মনে মনে বলেন রোকেয়া। মুখে বলল, আসুক আগে দেখি এখনই তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না।
–‘রুবি মায়ের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকলো।সে বুঝতে পারছে তার মা বিষয়টা ক্লিয়ার করতে চাচ্ছে না।তারা খুব সামাজিকতা রক্ষায় তৎপর। সচেতন থাকে যাতে সমাজে কেউ তাদের ছোট না করতে পারে, ছোট না হতে হয়।অথচ, যে মহান সত্তা তাদের অঢেল নিয়ামত দান করেছেন তার ক্ষেত্রে কি চরমভাবে উদাসীন অপারগ। লোক দেখানো বিষয়টা তাদের বাড়িতে খুব চলে।সীমা আপুর কি ধৈর্য্য, আল্লাহ আমাকেও তৌফিক দান করুন।
★
সবুজ লং সেলোয়ার সুট পরেছে রুবি। লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে নিজের ঘরে। মনটা খুব খারাপ তার সে চাইনি এত মানুষের সামনে যেতে কিন্তু নিজের পরিবারের কেউ সেটা মানতে চাইনা। অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেও লাভ কিছুই হচ্ছে না।ছেলে,ছেলের মা, মামা, এবং বন্ধু এসেছে।যেদিন থেকে দ্বীনের পথে হাটতে শুরু করেছে পারিপার্শ্বিক অবস্থারা যেন তার জন্য একেকটা পরিক্ষাস্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে।কান্নায় চোখ ভেঙে আসতে চাইছে। এদিকে চাচী তাগাদা দিয়েই যাচ্ছে যাওয়ার জন্য। রুবি মনে মনে দোয়া করতে লাগলো,হে আমার রব! আপনার মনোনীত দ্বীনের পথে এসেছি বলে আজ কেউ-ই আমার পাশে নেই,কেউ-ই শুনছে না আমার কথা।কিন্তু আপনি বলেছেন,
“মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব “।
আপনার উপর ভরসা করেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি আপনি আমার পথটা সহজ করে দিন রাহীমু।
–‘নাজমা ঘরে আসলেন, রুবি তোর হইছে… মা।
–‘ রুবি ছোট করে বলল,হ্যা চাচী। কিন্তু আমি যাবো না এতো লোকের মাঝে। তুমি পাত্রকে আমার ঘরে নিয়ে আসো।
–‘ নামজা বেগম রোকেয়ার দিকে আশ্চর্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে, ভাবি মেয়ে কি কয়?তারা অত বড় ঘরের মানুষ। বড় ঘরের ছেলেকে না কি আসতে কমু। না বাপু এতসব প্যাচাল করতে আমি পারবো না।আর রুবি সব ধর্ম কর্ম তুই একাই জানিস নাকি?দেখাদেখি জায়েজ আছে। একদিন দেখলেই কি তোর ইজ্জত সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে?বাইরের তো কেউ নেই পাত্র, তার মামা আর বন্ধু, সব আপন মানুষ।
ভাবি মেয়েকে বুঝান, বাড়ি বয়ে এনে এখন নাক কাটাবো নাকি! বেশ ব্যঙ্গ করে বললেন নামজা।
–‘ এই রুবি তুই এমন করছিস কেন মা?একদিনেরই তো ব্যাপার কিছু হইবো না।তোর বাবার একটা সম্মান আছে না। লোকে শুনলে কি বলবো?
–‘হায় আফসোস আম্মা! জীবনের এতগুলো লগ্ন অতিবাহিত করলে তোমরা শুধু এই লোকজনকে মূল্যায়ন করে,অথচ মহান সেই রব যে অজস্র নিয়ামত দিয়েছে আমাদেরকে তাকেই মূল্যায়ন করনি!আল্লাহর হুকুম-আহকাম গুলো জেনে নাওনি মানার চেষ্টা করনি।আর কবে বুঝবে আম্মা?রুবির গলাটা আটকে আসতে চাইলো কান্না পাচ্ছে তার খুব! বাবা -মা যে একদমই বুঝতে চাই না,চক্ষু যুগলে সামাজিকতা রঙিন চশমা পরে আছে।সত্যিকার অর্থে যা ভ্রান্তি! ভ্রান্তির অগোচরে তলিয়ে আছে রুবির দুনিয়ার সবচেয়ে মুল্যবান নিয়ামত মা-বাবা।
-‘রোকেয়া মেয়ের অবস্থা দেখে কিছুক্ষণ গম্ভীরমুখে বসে রইলেন।নামজা তাদের মা-মেয়ের ঢং দেখে মনে খুব বিরক্ত হলেন।তারা কিছু না বললে নাজমার সম্মান একেবারে যাবে।নাজমার বড়বোনের ননদ আনোয়ারা বেগম। বেশ নাম-ডাক করা ব্যবসা আছে শহরে। স্বামী দুই-বছর আগে স্টোক করে মারা গেছেন।একমাত্র ছেলে তার লেখাপড়া করে এখন ব্যবসা দেখাশুনা করেন।নিজের মেয়ে থাকলে নামজা দিয়েই দিতো।রুবিকে সে ভীষণ ভালোবাসে বলেই তো এতো ভালো সমন্ধটি এনেছেন সেখানে এই মেয়ে আবার কি ঢং জুড়ে দিচ্ছে।এবার তো মনে হচ্ছে উল্টো অপদস্ত হতে হবে।
অতিথিদের রুম থেকে নাজমার ডাক পরলো।
আনোয়ারা বেগম বললেন, রুবিকে একটু তাড়াতাড়ি দেখাতে তার ছেলের যে বন্ধুটি এসেছিল তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেছে।তাই সে চলে গেছে। একটু তাড়াতাড়ি দেখাদেখির পাট চুকিয়ে তারাও যেতে চান। নাজমা হাসিমুখে রুবিকে নিয়ে আসছি বলে প্রস্থান করলেন।
–‘ রুবি মা আর ক্যাচাল করিস না। উঠ দেখি ছেলের বন্ধু চলে গেছে। এবার তো তোর আপত্তি নেই। চল মা।
–‘রোকেয়া চমকে গিয়ে বলে চলে গেছে কেন?
–‘ তার বাপ নাকি অসুস্থ হয়ে পরছে।
–‘ হায় হায় হুট করে কি হইলো?
–‘ আম্মা হায় হায় না করে ইন্না-লিল্লাহ পড়।কথায় কথায় এত হায়-হুতাশ করা মোটেই ভালো কাজ না।মুমিনগণ কখনো হতাশ হন না।
–‘ নাজমা রুবিকে উঠিয়ে নিল,হইছে চল এখন।
–‘ রুবি ওড়নাটা ঠিকঠাক করে নিল সাথে পড়ে নিলো আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর শুক্রিয়ায় হৃদয় ভরে উঠলো তার। আল্লাহর মহিমায় তার এগিয়ে যাওয়া পথটা সহজ হয়েছে।
★
–‘আসসালামু ওয়ালাইকুম… বলে প্রবেশ করলো রুবি।
–‘ উপস্থিত কেউ একজন ভারিস্বরে সালামের উত্তর দিলেন।রুবির বুকটা কেঁপে উঠে সেই ভারি স্বরের দমকে।আনোয়ারা এগিয়ে এসে কুশলাদি জানতে চাইলেন।রুবি তার মিষ্টি মিহি স্বরে আস্তে আস্তে জবাব দিল।
–” আহনাফ তোর কিছু কওনের থাকলে ক বাপ।আনোয়ারা তার ছেলেকে বললেন।
–‘আহনাফ একটু কেশে নিল।মামার দিকে তাকালো, মামা বুঝতে পারলো সে একটু আলাদাভাবে কথা বলতে চাইছে।সম্পর্কে মামা ভাগ্নে হলেও তাদের মধ্যে বেশ আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান।
–‘মামুনুর রহমান (আনোয়ারার ভাই)বোনকে একান্তে বললেন, আপা আহনাফ আর মেয়েটাকে একটু একা কথা বলতে দেওয়া উচিত। তাহলে ওরা সহজে বলতে পারবে। মেয়েটাও একদম সংকুচিত হয়ে আছে।তুমি বরং বলে দেখ।
–‘ আনোয়ারা বেগম নাজমাকে বললে তারা রাজি হয়ে যায়।
দক্ষিণের বারান্দার সামনে হাসনাহেনা আর বেলি ফুলের গাছ। হাসনাহেনারা এখনো কুলি রাতে তারা তাদের মাতালকরা গন্ধ ছড়িয়ে দিবে।তবে এই প্রথম বিকেলের মিহি বাতাসে হালকা করে দুলে দুলে সবুজ পাতার খোপেখোপে সাদা বেলিফুল গুলো মোহনীয় করে তুলছে বাতাসের গন্ধ!
–‘ আহনাফ গলা খাকারি দিয়ে কথা শুরু করলো।আপনার রেজাল্ট তো শুনলাম ভালো ছিল।আপনি তো পাব্লিক ভার্সিটিতে চান্সও পেয়েছিলেন তবে তা বাদ দিয়ে এখানেই জেলা পর্যায়ের এই ভার্সিটিতে কেন ভর্তি হলেন?আই মিন পাব্লিক হলে বেশি বেনিফিট হতো না?কোন প্রব্লেম ছিল নাকি?
–‘মাথা নিচু রেখে আস্তে করে জানতে চাইলো রুবি, কোনো প্রব্লেম বলতে?
–‘রুবির জবাব পেয়ে পরিবেশটা যেন সহজ হয়ে উঠে আহনাফের জন্য।বাসা থেকে বা এনি আদার কজ!
–‘না।এটাকে আমি মনে করি তকদীরে ছিল না।(ইন্টারে ভালো রেজাল্ট করার পর নানান পাব্লিক ভার্সিটিতে ভর্তি পরিক্ষা দিয়েছিল সে।ঢাকায় চান্সও পেয়েছিল। জিনিসপত্র প্যাকিং করা, ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল পরেরদিন সকালে নাজিম খানের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু রুবাইয়াতে সেদিন রাতেই এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়।বাড়ির এমন অবস্থায় আর যাওয়া হয়নি ঢাকা, পড়া হলো না স্বপ্নের সেই ক্যাম্পাসে।) মনে মনে আওরেনিল রুবি তার ফেলে আসা কিছু স্মৃতি!
–‘ সহজ করে বললেই পারেন,ইচ্ছে ছিল না। আপনার ইচ্ছাটাকে তকদীর বলছেন কেন?আপনারা কথায় কথায় নিজের ইচ্ছে, অনিচ্ছা,না পারা দুর্বলতাগুলোকে ভাগ্য বলে চালিয়ে নেন।আসলে এসব হচ্ছে সুবিধাবাদী যুক্তি। এজন্য বেশি মুন্সিগিরি আমার সহ্য হয়না।রুবি চুপ করে রইলো কিছুই বলল না, এত তার পুরো বিপরীত ধাচের মানুষ(মনে মনে আওরাল)।আহনাফ আবার বলল,আচ্ছা এখন যদি আমি আপনাকে ইচ্ছে করে একটা চড় মারি তবে সেটাকে কি আপনি আপনার তকদীর বলে মেনে নিবেন? তখন তো ঠিকই বলবেন যে আমি ইচ্ছে করে মেরেছি।
–‘রুবির ভ্রু কুঁচকে গেল।কিছুটা সময় ভেবে সে বলল,ধুরন আমাকে মারার জন্য হাত উঠানোর সময় হুট করে আপনার হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে টের পেলেন, হাজার চেষ্টা করেও আর হাত উঠাতে পারছেন না।এখন আপনার হুট করে হাত অবশ হয়ে যাওয়াকে কি বলবেন?তকদীর নাকি অন্যকিছু?
–‘কি আশ্চর্য! আমার হাত অবশ কেন হবে?
–‘একজন স্ট্রোক করা পেসেন্ট নিশ্চয় আগে থেকে অবগত থাকে না যে সে আজ স্ট্রোক করবে।একজন প্যারালাইজড পেসেন্ট কি আগে থেকেই জানতো সে একদিন হুট করে প্যারালাইজড হবে।আমার এক রিলেটিভের কথায় বলি, ভোরের বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরেছিল কিন্তু ঘন্টা খানেক পর সে আর উঠতে পারেনি,প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল।ঘন্টা খানেক আগের সুস্থ সবল মানুষটা যে শুয়ে পরেছিল সে কি ভেবেছিল সে আর স্বাভাবিকভাবে উঠতে পারবে না।অসুখ-বিসুখ,রোগ-বালাই, বিপদ-আপদ, মৃত্যু ইত্যাদি কখন কিভাবে আমাদের সামনে হাজির হবে আমরা কেউ-ই জানি না।আর আপনার হাত অবশ হওয়ার কথাটা তো একটা উদাহরণ দিয়েছি মাত্র।যদি হয় তো কি বলবেন?
–‘ আহনাফের মুখে আর কোনো কথা জুগালো না।সে চুপ করে রইলো ভ্রু দুটো কুচকে এক করে নিয়েছে সে।একটা মেয়ের কাছে অপদস্ত হতে হলো তাকে। ছিঃ ছিঃ আহনাফ!
–‘ বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করলেন বড়রা।আনোয়ারা বেগম বিনয়ী ও স্নেহশীলভাবে
রুবির মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন।তার আচরণে প্রকাশিত হচ্ছে রুবিকে তার খুব পছন্দ হয়েছে।নাজমাও খুব খুশিতে ডগমগ অবস্থা।
★
কিছুদিন পর নাজমা চাচী মিষ্টি নিয়ে রুবিদের বাড়ি আসলো। ভাবি ভাবি ডেকে বাড়িতে বাজার বসিয়ে ফেলছে। রোকেয়ার মুখে মিষ্টি পুরে দিয়ে বললেন,ভাবি আমাদের রুবির তো কপাল খুলে গেল।আনোয়ারা আপা সকালে ফোন দিয়ে বলল,রুবিকে নাকি তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বউ করে বাড়ি তুলতে চায়।
রোকেয়াকে গম্ভীরমুখে দেখে নাজমার কন্ঠস্বর নিরুত্তাপ হলো ক্ষীণ আওয়াজে জিজ্ঞেস করলো, কি হইছে ভাবি?ছেলে কি পছন্দ হয়নাই? তারপর খুব গর্বিত হয়ে দৃঢ়ভাবে বললেন,এমন পাত্র আর এমন সমন্ধ কিন্তু খুব কপাল কইরা পাওন লাগে। এমন সমন্ধ ঠুকা মানে লক্ষীর ঘটী ঠুকা।
–‘ না নাজমা ছেলে তো ভালো সমন্ধটাও ভালো।তবে…
বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
চলবে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/