ভৈবর নদীর পাড় পর্ব-০৭

0
83

#ভৈবর_নদীর_পাড়
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৭

পানির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ছলছল শব্দ। একে পানির শব্দ না বলে বয়ে চলা স্রোতের শব্দ বললে খানিকটা মানানসই মনে হয়। সবুজ ঘাসের ওপর পা ছড়িয়ে বসে আছি। চোখ তুললেই নদী দেখা যায়। কেমন যেন শীত শীত করছে। একটা হিম হাওয়া শরীরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ঘাসের ওপর হলদেটে চাদর বিছানো। চাদরের ওপর নানান পদের খাবার সাজিয়ে রাখা। মা বললেন, “কিছু মুখে দিচ্ছিস না কেন? খিদে পায়নি বুঝি?”

অবাক চোখে মা’য়ের দিকে তাকালাম। ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে মা’কে। পরনে সবুজ শাড়ি, গা ভর্তি গহনা, পায়ে আলতা দেওয়া। বিস্মিত গলায় বললাম, “তুমি এখানে?”

“পা”গ”ল ছেলে আমার! মা তোর কাছে আসতে পারে না বুঝি?”

“ঠিক তা নয়। বাবা কোথায় মা?”

“কোথায় আবার? তোর বাবা মাছ ধরতে গেছে। লোকটা এমন মেছো স্বভাবের কি বলবো! তুই কিছু একটা মুখে দে। অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে আছিস।”

হাত বাড়িয়ে একটা পুলিপিঠে নিলাম। মুখে দিতে যাব এমন সময় কেউ একজন খুব জোরে মুখের ওপর পানি ছিটিয়ে দিলো। চোখ খুললো শক্ত তক্তা জাতীয় বেঞ্চের ওপর। এতক্ষণ কি তবে স্বপ্ন দেখছিলাম? মাথার কাছে দু’জন লোক বসে আছে। একজনের বয়স অল্প। ক্লিন সেভ, মাথায় ঢেউ খেলানো চুল। অন্য মানুষটা অতিরিক্ত রকমের ফর্সা। বয়সের কারণে তার শরীরে থলথল ভাব চলে এসেছে। ডান হাতে কাঁচের একটা গ্লাস ধরে আছে। গ্লাসের মধ্যে স্বচ্ছ পানি। পোশাক দেখলে মনে হয় এরা পুলিশ কনস্টেবল। বয়স্ক লোকটা বলল, ” মতিন, ছেলেটার জ্ঞান আসছে। স্যারকে খবর দে। তাড়াতাড়ি যা।”

মতিন ছেলেটা এক প্রকার দৌড়ে চলে গেল। বেঞ্চের ওপর উঠে বসলাম। আশেপাশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আমি এই মুহুর্তে থা’নায় আছি। দাদির খু”নের ব্যাপারে আমায় এখানে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফুফা ফুফু নিশ্চয়ই আমার বি’রু’দ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। দেওয়াও উচিত। আমি সরে গেলে ওদের লাভই লাভ। শেষবার জ্ঞান হারিয়ে কাঁদার ওপর শুয়ে পড়েছিলাম। এখনও গায়ে কাঁদা লেগে আছে। বিশ্রী ব্যাপার। শুনেছি অজ্ঞান হবার পর মানুষ সবকিছু ভুলে যায়। জ্ঞান ফিরলে খানিকক্ষণ কাউকে চিনতে পারে না। কিন্তু আমার বেলায় এমনটা হচ্ছে না। আমি সবকিছু স্পষ্ট বুঝতে পারছি। আশ্চর্য! মতিন ছেলেটা দ্রুতই ফিরে এলো। তার সাথে মধ্যে বয়সী এক যুবক। লোকটা এই থানায় দারোগা মনে হয়। শক্ত-পোক্ত চেহারা, মুখের মধ্যে কাঠিন্য ভাব আছে। তাকে দেখলে রুক্ষ ধরনের মানুষ মনে হয়। অথচ তিনি অস্বাভাবিক কোমল গলায় বললেন, “বাবু, তোমার জ্ঞান ফিরেছে?”

ডান পাশে মাথা কাত করলাম। দারোগা সাহেব আগের চেয়েও কোমল গলায় বললেন, “তুমি কি কিছু মনে করতে পারছ?”

“হ্যাঁ, পারছি।”

“তোমার মাথায় কি ব্যাথা করছে?”

“সামান্য!”

“সমস্যা নেই। ডাক্তার সাহেব ইনজেকশন দিয়ে গেছে। সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে।”

“আচ্ছা।”

“কি নাম তোমার?”

“জ্বি, আমার নাম ফয়সাল।”

“পড়াশোনা করো নিশ্চয়ই?”

“হ্যাঁ, আমি স্কুলে পড়ি।”

“তুমি কি জানো তোমার ওপর খু”নের দায় পড়েছে?”

“জ্বি না, আমি জানি না। তবে অনুমান করতে পারছি।”

দারোগা সাহেব চোখ-মুখে কাঠিন্যে ভাব এনে বললেন, “এই বয়সে এসব করা একদম উচিত নয়। যাইহোক মতিন ওকে নিয়ে এসো। অনেকক্ষণ ধরে ওর ফুফু ফুফা বসে আছে। তাদের সাথে কথা বলতে হবে।”

মতিন মাথা নাড়লো। আমার হাত নিয়ে নিয়ে যেতে যেতে বলল, “ভাইটু এবার গেলে।”

দারোগা সাহেব নিজের চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনের মাঝারি ধরনের একটা টেবিল। টেবিলে ওপর দু-কাপ চা। একটা পিরিচে কয়েকটা সিংগাড়া রাখা। ফুফা বললেন, “অনেকক্ষণ আমাদের বসিয়ে রেখেছেন। এবার কাজের কথা বলুন।”

দারোগা সাহেব ভারী গলায় বললেন, “কাজ আছে বিধায় বসিয়ে রেখেছি৷ খুচরো আলাপ করার জন্য বসিয়ে রাখিনি। যাইহোক এবার পুরো ঘটনা খুলে বলুন।”

ফুফু বলল, “আপনাকে তো সবকিছু বলা হয়েছে। আবারও জানতে চাইছেন কেন?”

দারোগা সাহেব বললেন, ” সেটা তো আমাকে বলেছেন। অ”প’রা’ধীর সামনে একবার বলুন। সে-ও শুনুক।”

ফুফু চোখ ছোট করে দারোগা সাহেবের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি বললাম, “ফুফু, দাদি ঠিক আছে তো?”

ফুফু খেঁকিয়ে উঠলো। কর্কশ গলায় বলল, “খুব ঠিক আছে। মে” রে ধরে এখন না’ট’ক করা হচ্ছে। দারোগা সাহেব এই ছেলেকে ফাঁ”সিতে ঝুলানোর ব্যবস্থা করেন। ওর জন্য আমি এতিম হয়ে গেলাম।”

দারোগা সাহেব হাসলেন। গলার সুর পাল্টে বললেন, “এতো তাড়া কিসের? আগে খোঁজ খবর হোক। তদন্ত করে দেখি। পো’স্ট’ম’র্টে’ম রিপোর্ট আসুক। তারপর না হয় এসব দেখা যাবে।”

ফুফু মিইয়ে গেল। ফুফা বললেন, “আমি নিজের চোখে দেখেছি- ফয়সাল আম্মাকে ছু” রি দিয়ে আ’ঘা’ত করছে।”

“তখন আপনি কি করছিলেন? ভিডিও করছিলেন নিশ্চয়ই? এতেই আপনার দুই তরফের লাভ।”

“কিসব বলছেন আপনি? এখানে আমার লাভ লসের কি আছে?”

“কিছু না। বাদ দেন। ফয়সাল, তুমি বলো পুরো ঘটনা কি হয়েছিল? শেষবার তোমার দাদিকে কোথায় দেখেছ?”

জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললাম,” সকালবেলা খাবার টেবিলে দাদির সাথে দেখা হয়েছিল। তারপর আর দেখা হয়নি।”

ফুফু বলল, “মিথ্যা কথা বলবি না। স্কুলের কিসব কাজ আছে- সেজন্য তুই মা’য়ের সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলি।”

“না ফুফু, আমি মিথ্যা বলছি না। তোমরা মিথ্যা কথা বলছ।”

“আমরা সবাই মিথ্যা বলছি আর তুই একা সত্যি বলছিস? মিথ্যেবাদীর জন্ম মিথ্যেবাদী!”

দারোগা সাহেব বললেন, “আহা! কি শুরু করেছেন? এটা থানা। এখানে কেউ জোর গলায় কথা বলে না। ফয়সাল তুমি বলো।”

“সকালের পর দাদির সাথে দেখা হয়নি। আজ সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। তুলি আন্টিকে দেখতে আসার কথা চলছিল। কিন্তু ওরা শেষ পর্যন্ত এলো না। ফুফার সাথে দুপুরে খেতে বসলাম। এরপর দু’জনে মিলে মাছ ধরতে গেলাম। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি একটা লা” শ কাঁদার ভেতর উপুড় হয়ে পড়ে আছে। আমি গিয়ে লা”শটা ঘোরালাম। দাদি ছিলো। ছু”রি ঢোকানো। ফুফা আমাকে সেই ছু”রি টেনে বের করতে বললেন। উনার কথামতো ছু”রি বের করার সময় দেখি ফুফার আমার ভিডিও করছেন।”

“ব্যাস এতটুকুই?”

মাথা নাড়লাম। দারোগা সাহেব ফুফার দিকে ইশারা করে বললেন, “নেন এবার আপনি বলুন।”

“আসলে আজ আমার ছোটবোনকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসার কথা ছিল। সে কারণে অফিস যাওয়া হয়নি। বাড়িতে ছিলাম। ফয়সাল বলল- ওর স্কুলে কিসব কাজ আছে। আমাদের একজনকে সাথে যেতে হবে। ব্যস্ততার মাঝে আমাদের কারো সময় ছিল না বিধায় আম্মা ওর সাথে স্কুলে যেতে চাইলেন। ওরা দু’জন বের হয়ে গেল।”

“কয়টা নাগাদ বের হয়ে গেছিল?”

“এই ধরুন দশটা এগারোটা। সঠিক বলতে পারছি না।”

“আচ্ছা। তারপর বলুন।”

“দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর যখন পাত্রপক্ষের কেউ এলো না -তখন মনে হলো ওরা কেউ আসবে না। মেজাজটা বিগড়ে গেল। এমনিতেই অফিস থেকে ছুটি দিতে চায় না। নানান কাজের চাপ। এর মধ্যে বিনা কারণে একটা দিন নষ্ট হলো। খুব বেশি রাগ হচ্ছিল। ভাবলাম খাওয়া-দাওয়া সেরে একটু মাছ ধরতে যাই। এতে খানিকটা স্বস্তি মিললেও মিলতে পারে।”

“এরপর আপনি মাছ ধরতে গেলেন?”

“হ্যাঁ। জাল নিয়ে ভৈরবের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লাম। ভাবিনি এমন কিছু দেখতে হবে। হঠাৎই খেয়াল করলাম ফয়সাল আম্মাকে ছু” রি দিয়ে স্টেপ করছে।”

দারোগা সাহেব হাসলেন। ফুফার ইংরেজি শুনেই হাসলেন মনে হয়। সরল গলায় বললেন, “ফয়সাল যখন আপনার শাশুড়িকে আ’ঘা’ত করছিল তখন আপনি কি করছিলেন?”

“দৌড়ে ওদের কাছে গেলাম। আমায় দেখে ফয়সাল অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। কি করব কি করব ভাবতে ভাবতে আপনাদের কল দিলাম। তারপরের ঘটনা তো জানেনই।”

“অনেকদিন ধরে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করছেন নাকি?”

ফুফা তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, “মানে? কি বলতে চান আপনি?”

“কিছু বলতে চাইছি না। আপনাদের দু পক্ষের কথার মিল নেই। অবশ্য এটা স্বাভাবিক। অপরাধী আর বিবাদী পক্ষের কথা কখনও এক হয় না। যাইহোক এখন কি করতে চাইছেন?”

ফুফু বলল, “কি করতে চাইছি মানে? আমরা চাই মা’য়ের খু” নির যোগ্য শা’স্তি হোক।”

“আমরাও তাই চাই। যাইহোক এই মুহুর্ত কি করতে পারি তাই বলেন।”

“কি করবেন মানে? এটা তো আপনাদের কাজ। আপনারা ভালো বুঝবেন।”

দারোগা সাহেবের কুঁচকে থাকা ভ্রু মসলিন হয়ে গেল। তিনি স্বাভাবিক গলায় বললেন, “এই মুহুর্তে ফয়সালকে থা’নায় রাখা হবে। আপনাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তবে এই শহরের বাইরে যেতে পারবেন না।”

ফুফা ফুফু দু-জনে একসাথে মাথা নাড়ালো। যেন তারা এটাই চাইছিল। দারোগা সাহেব বললেন, “আচ্ছা একটা কথা। কেন এই খু” নটা হয়েছে বলতে পারেন?”

ফুফু কিছু বলতে চাচ্ছিল। ফুফা তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ” না। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।”

দারোগা সাহেব মাথা নাড়লেন। শান্ত গলায় বললেন, “আপনারা এখন আসতে পারেন।”

ফুফুরা চলে গেল। যাওয়ার সময় একবার আমার দিকে তাকালো। ভয়হীন শান্ত চোখ!

বিনাদোষ জে’লের মধ্যে বসে থাকার চেয়ে আনন্দের কিছুই হতে পারে না। শুধু হাসি পায়। তাচ্ছিল্যের হাসি! দারোগা সাহেব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে চা খাচ্ছেন। মতিন ছেলেটা আমার দিকে সরে এসে বলল, “ঘটনা একটু খুলে বলো তো।”

“কি ঘটনা?”

“এই যে নিজের দাদিকে মা” র”লে কেন? শুনলাম দাদি ছাড়া তোমার আর কেউ ছিল না।”

“আমি দাদিকে মা”রি”নি।”

“কোন অপরাধীই তার দোষ স্বীকার করে না।”

“করে। রজনী নিজের দো’ষ স্বীকার করে নিয়েছিল।”

“রজনী কে?”

“রূপার আংটি উপন্যাসের একটা চরিত্র।”

মতিন উঁচু গলায় হাসলো। হাসতে হাসতে বলল, “দাদাভাই এসব চরিত্র গল্প উপন্যাসে পাওয়া যায়। হা হা।”

ছেলেটা অতিরিক্ত রকমের উৎসাহী। সেই সাথে কথায় পটু একজন মানুষ। হালকা ফুর্তি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
“একটা কথা জিজ্ঞেস করব?”

মতিন ভ্রু কুঁচকে বলল, “কি কথা জানতে চাও?”

“আমি জ্ঞান হারানোর পর কি কি হয়েছে?”

“ডিয়ার ব্রাদার! তুমি জ্ঞান হারানোর পর কি হয়েছে সে কথা আমি কিভাবে বলব? তবে হ্যাঁ কিছু কথা তোমায় বলতেই পারি।”

“কি কথা?”

“তোমার ফুফা লোকটা বেশ অসুবিধার। চূড়ান্ত হিসাব করে কথা বলে।”

“জানি।”

“যাইহোক। তুমি যা শুনতে চাইছিলে। থানায় বসে সিগারেটে সুখটান দেবো এমন এ সময় একটা কল আসলো। ভৈবর নদীর পাড়ে লা” শ পাওয়া গেছে। খু”নিকেও হাতে নাতে ধরা হয়েছে। সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। দারোগা সাহেব তড়িঘড়ি গাড়ি বের করতে বললেন। কাঁদা ছিটিয়ে ভৈরব নদীর পাড়ে গিয়ে উপস্থিত হলাম।”

“কাঁদা ছিটিয়ে মানে?”

“আহা! ওটা হবে ধূলো উড়িয়ে। কিন্তু এই বর্ষায় ধূলো কোথায়? সব কাঁদা। তাই কাঁদা ছিটিয়ে বললাম।”

“আচ্ছা। তারপর?”

“তারপর গিয়ে দেখি তুমি আর একজন মহিলার লা” শ কাঁদার মধ্যে উল্টে পড়ে আছে। তোমায় ধরে গাড়িতে ওঠানো হলো। লা” শটা মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পো’স্ট’ম’র্টে’ম হবে।”

“মহিলাটা কি সত্যি মা” রা গেছে?”

“হ্যাঁ তাই তো মনে হচ্ছে। ওই যে লোকটা থানায় এলো না। তোমার ফুফা নাকি সে নাকি তোমায় খু” ন করতে দেখেছে। সবকিছু স্যারের কাছে বর্ণনা করেছে। আরো কিছু লোকজন ছিল। তাদের মধ্যে একজন খু”ন হতে দেখেছে। খু”নের সময় সে দৌড়ে আসছিল।”

“ভালো।”

“ভালো কি মন্দ জানি না। তবে তুমি চরম ফাঁ’সা ফেঁসেছ। কম করে হলেও চোদ্দ বছরের জে’ল হবে। ফাঁ”সি টাসিও হতে পারে।”

মতিনের কথায় উত্তর দিলাম না। দাদির মুখটা চোখের সামনে ভাসছে। ধীরে ধীরে সেই মুখ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বুকের ভেতর কেমন কেমন ব্যাথা করছে। শেষ পর্যন্ত এই দুনিয়ার বুকে একা হয়ে গেলাম। একদম একা!

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে