ভেনম পর্ব-০৫

0
116

#গল্প২২৮

#ভেনম (পর্ব ৫)

১.
মুরাদের মোবাইল কল লিস্ট আর মেসেজের রিপোর্ট এসেছে। বেশিরভাগ মেসেজ অফিসের, বন্ধুদের আর ফারিয়ার। রাহাত মুরাদকে পাঠানো ফারিয়ার মেসেজগুলো ভালো করে দেখে। দেখতে দেখতে ভ্রু কুঁচকে ওঠে। গত ছয়মাসের বেশিরভাগ মেসেজই এমন – আমি মরে যাব কিংবা এই সংসার করব না। মেয়েটা তো দেখি সত্যিই মারাত্মক সন্দেহপ্রবণ ছিল। এদিকে মুরাদের পাঠানো মেসেজগুলোতে এমন কিছু ছিল না যাতে ফারিয়াকে বাজে কিছু লেখা ছিল। উলটো বুঝিয়ে বলার মতো কিছু মেসেজ। সব দেখে মনে হয় মুরাদ চেষ্টা করেছিল ফারিয়াকে ভালো করে তুলতে। মুরাদের দিক থেকে কোনো ত্রুটি ছিল না।

তাহলে মেয়েটারই কি সমস্যা ছিল? একটা মেয়ে কখন এমন করে? নিশ্চয়ই ওই মুরাদের কোনো গোপন সম্পর্ক ছিল যেটা হয়তো ফারিয়া জেনে ফেলেছিল। আর সেজন্যই এমন সন্দেহ করত সবসময়।

কথাটা মনে হতেই এবার ও মুরাদের কল রিপোর্ট ভালো করে দেখে। বেশিরভাগ কল অফিস কলিগ, বন্ধু, আর ফারিয়া, পিংকি। বাইরের মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে তাবাসসুম নামে একটা মেয়ের সঙ্গে। খোঁজ নিয়ে জেনেছে মেয়েটা ওর অফিসের কলিগ। এই মেয়েটার নাম ফারিয়ার পাঠানো মেসেজে কয়েকবার করে এসেছে। এর সঙ্গে একটু কথা বলা দরকার।

রাহাত এবার হাফিজকে ডাকে, ‘হাফিজ, মুরাদের কলিগ তাবাসসুমকে কাল আসতে বলো তো। আমি একটু কথা বলব।’

হাফিজ কপাল কুঁচকে বলে, ‘স্যার, এই কেস তো ক্লোজ। পরিস্কার আত্মহত্যা। শুধু শুধু সময় নষ্ট করে লাভ কী?’

রাহাত চিন্তিত গলায় বলে, ‘একটা খুঁতখুঁত রয়ে গেছে মনের মধ্যে। পুরো কেসটায় ফারিয়াকেই এক তরফাভাবে দোষী মনে হচ্ছে। কোথাও যেন কোনো খুঁত নেই। এমনটা হবার কথা না। মেয়েটা কেন শুধু শুধু মুরাদকে সন্দেহ করত? আর এই সন্দেহ থেকেই মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। সেক্ষেত্রে মুরাদ যদি সত্যিই কোনো সন্দেহ করার মতো কাজ করে থাকে তাহলে ওর বিচার হওয়া দরকার। আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে।’

হাফিজ এবার বুঝদার ভঙ্গিতে বলে, ‘এবার বুঝেছি স্যার। আমি তাবাসসুম নামের ওই মেয়েটাকে থানায় আসার জন্য বলে দিচ্ছি।’

পরদিন সকালেই তাবাসসুম চলে আসে। রাহাত সবে সকালের প্রথম চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিল। ওকে দেখে বসতে বলে। একজন কাউকে চা দিতে বলে।

তাবাসসুম বসে। রাহাত খেয়াল করে দেখে, মেয়েটা সুন্দর। চুলগুলো বাদামী, টিকালো নাক, চোখ দুটো হরিণের মতো টানা টানা, কাজল দেওয়া। চোখমুখে একটা আত্মবিশ্বাসের ছাপ। থানায় এলে মানুষ যেমন সংকুচিত হয়ে থাকে এই মেয়েটা তেমন না।

চা আসে। রাহাত একটু হেসে বলে, ‘চা নিন। আপনিই তো তাবাসসুম?’

তাবাসসুম চা নিতে নিতে বলে, ‘হ্যাঁ অফিসার, আমি মুরাদের বন্ধু এবং কলিগ, তাবাসসুম। আমরা একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে একই কোম্পানিতে অনেকদিন চাকরি করছি৷ বলুন আপনাকে কী সাহায্য করতে পারি?’

এই তথ্যটা রাহাতের জানা ছিল না তাবাসসুম আর মুরাদ একই ইউনিভার্সিটিতে পড়েছে। ও আগ্রহের গলায় বলে, ‘সেক্ষেত্রে আপনিই সবচেয়ে সঠিক মানুষ যিনি মুরাদ সম্পর্কে ঠিকঠাক খবরটা বলতে পারবেন।’

তাবাসসুম চায়ের কাপ রেখে তির্যক গলায় বলে, ‘ঠিকঠাক খবর বলতে আপনি আসলে কী জানতে চান?’

রাহাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে, ‘মুরাদের কি অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল?’

তাবাসসুম গম্ভীরমুখে বলে, ‘আমার জানামতে এমন কিছুই ছিল না ওর। খালাতো বোনকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল। সুখেই ছিল। কিন্তু গত এক বছর ধরে ওর বউ কারণ ছাড়াই সন্দেহ করত। সে কথা আমার সঙ্গে শেয়ারও করেছিল।’

রাহাত মাথা নাড়ে, ‘এগুলো আমি জানি। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া কেউ কাউকে সন্দেহ করে? আচ্ছা, আপনার সঙ্গে ওনার সম্পর্ক কেমন ছিল? ফারিয়া কিন্তু একাধিক মেসেজে আপনার নাম উল্লেখ করেছে।’

তাবাসসুমের চোখ জ্বলে ওঠে, কেটে কেটে বলে, ‘মুরাদ আমার ভালো বন্ধু। আপনি আমার আর ওর কল রিপোর্ট কিংবা মেসেজ চেক করে দেখতে পারেন। কোথাও একটা বেচাল কথা পাবেন না। অফিসার, আপনি এই কথা বলে আমাকে অসম্মান করলেন। আপনার আর কিছু জানার থাকলে বলতে পারেন, না হলে আমি এখন অফিস যাব।’

রাহাত মাথা নাড়ে, ‘আচ্ছা, আসুন। দরকার হলে আবার ডাকব।’

তাবাসসুম ভ্রুকুটি করে উঠে পড়ে। ও চলে যেতেই রাহাত উঠে দাঁড়ায়। পায়চারি করতে করতে ভাবে, আচ্ছা মুরাদ যদি এত ভালোই হবে তাহলে ফারিয়া এমন করল কেন? একেবারে সুইসাইড?নাহ, এই কেসে কোনো একটা ক্লু নজর এড়িয়ে যাচ্ছে।

ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রাহাতের মনে হয় ফারিয়াকে যে মনোচিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল উনি নিশ্চয়ই কোনো তথ্য দিতে পারবেন। বিশেষ করে ফারিয়ার এমন সন্দেহপ্রবণ আচরণের একটা ব্যাখ্যা ওনার কাছে পাওয়া যেতে পারে। কথাটা মনে হতেই সেদিনের সেই প্রেসক্রিপশনটা আনতে বলে হাফিজকে। ডাক্তার সাহেবের চেম্বার এড্রেসে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেয়।

২.
ডা. সুশান্ত জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সামনে বসা পুলিশ অফিসারের দিকে তাকিয়ে আছেন। গতকালই লোকটা ফোন করেছিল কোনো একজন রোগীর ব্যাপারে নাকি কথা বলবে। আজকাল কিছু হলেই তো মানুষ কোর্ট কাচারি করে। রোগীর কিছু হলেই ডাক্তারের দোষ।

রাহাত ফারিয়ার প্রেসক্রিপশনটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে, ‘স্যার, এই প্রেসক্রিপশনটা তো আপনার?’

সুশান্ত চোখ কুঁচকে প্রেসক্রিপশন দেখেন, তারপর মাথা নেড়ে অসহিষ্ণু গলায় বলে, ‘হ্যাঁ, আমারই। কেন কী হয়েছে?’

রাহাত স্বাভাবিক গলায় বলে, ‘এই মেয়েটা কিছুদিন আগে সুইসাইড করেছে। তার মাসখানেক আগে আপনার কাছে এসেছিল চিকিৎসার জন্য।’

সুশান্ত একটু চমকায়। মুখ থেকে আফসোসের শব্দ বের হয়। তারপর বলে, ‘খুবই দুঃখজনক।’

রাহাত মাথা নাড়ে, ‘হ্যাঁ, আসলেই। স্যার, ফারিয়ার মানসিক সমস্যাটা কী ছিল আসলে, বলা যাবে? আমি সুইসাইড কেসটা তদন্ত করছি।’

সুশান্ত ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘আমার কাছে তো অনেক রোগীই আসে। এর কথা আলাদা করে মনে নেই। প্রেসক্রিপশন দেখে মনে হচ্ছে একবারই এসেছিল। অসুবিধে নেই। আমার কাছে এই ধরনের রোগীদের সব তথ্য কম্পিউটারেই থাকে। আমি দেখে বলছি।’

সুশান্ত এবার ঘুরে পাশে ওর ডেস্কটপে একটা ফাইল খুলে। তারপর কিছুক্ষণ সার্চ করতেই ফারিয়ার ফাইলটা পেয়ে যায়। বের করে একটু পড়তেই এবার সব মনে পড়ে।

সুশান্ত রাহাতের দিকে ঘুরে বলে, ‘হ্যাঁ, মনে পড়েছে। মেয়েটা তার হাজব্যান্ডকে অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সন্দেহ করত। যদিও সরাসরি কোনো প্রমাণ সে পায়নি, কিন্তু করত। আর এই সন্দেহবাতিক স্বভাবটা ওসিডি এর মতো হয়ে গিয়েছিল। ঘুরেফিরে কোনো কারণ ছাড়াই সন্দেহ করত। আর এটা থেকে সে কিছুতেই বেরোতে পারছিল না। আমি কিছু কাউন্সেলিং করেছিলাম। মেয়েটার হাজব্যান্ড এর সাথেও কথা বলেছি।’

রাহাত এবার ঝুঁকে বলে, ‘স্যার, ওনার হাজব্যান্ডের কোনো সমস্যা ছিল? মানে উনি কি আসলেই কোনো অন্য কোনো সম্পর্কে ছিল?’

সুশান্ত বিরক্ত গলায় বলে, ‘দেখুন সেটা বার করা আমার কাজ না। আমি ফারিয়াকে এই সমস্যা থেকে বের করার জন্য চেষ্টা করছিলাম। ধরুন ওনার হাজব্যান্ড যদি সত্যি সত্যি কারো সঙ্গে জড়িয়েও থাকে তাহলে সেটার মোকাবিলা কেমন করে করবে তার জন্য পথ দেখানো। ওর নিজের উপর আত্মবিশ্বাসটা আগে ফিরিয়ে আনা জরুরি ছিল।’

রাহাত মাথা নাড়ে, তারপর একটু ভেবে বলে, ‘স্যার, ফারিয়ার মনের অবস্থাটা কি এতটাই খারাপ ছিল যে আপনার কাছে আসার এক মাসের মধ্যেই ও সুইসাইড করে ফেলল?’

সুশান্ত কপাল কুঁচকায়। চিন্তিত গলায় বলে, ‘ফারিয়ার কেস হিস্টোরি যতটুকু দেখলাম আর আমি যতখানি মনে করতে পারছি ফারিয়ার অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। কেন যেন মনে হয় এর মাঝে খারাপ কিছু একটা হয়েছে যেটা ওর অশান্ত মনকে আরও বেশি করে অশান্ত করে তুলেছিল।’

রাহাত তাকিয়ে থাকে। তার মানে ওর সন্দেহ কিছুটা হলেও সত্য। এই মুরাদকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। সুইসাইড করার আগে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ঘটেছে।

৩.
মুরাদ মনে মনে একটা অস্থিরতা অনুভব করছে। সেদিন তাবাসসুমকে নাকি এই পুলিশ অফিসার ডেকেছিল। ওর সঙ্গে কোনো গোপন সম্পর্ক আছে কিনা তাই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আজ আবার ওকে ডেকেছে। সকাল সকালই মুরাদ থানায় চলে এসেছে।

রাহাত ফারিয়ার কেস হিস্টোরি দেখছিল। সেদিন আসার সময় এটা ডাক্তার সুশান্ত সাহেবের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে এসেছিল।

মুখ তুলে তাকায়। আজ মুরাদকে চিন্তিত মনে হচ্ছে। সরাসরি তাকাচ্ছে না, বার বার চোখ সরিয়ে নিচ্ছে।

রাহাত গলাখাঁকারি দিয়ে বলে, ‘আচ্ছা মুরাদ সাহেব, আমাকে একটা সত্য কথা বলুন তো। আপনার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে আনার পরবর্তী এক মাসে বড়ো ধরনের কোনো ঝগড়া বা ঝামেলা হয়েছিল?’

মুরাদ মনে করার চেষ্টা করে। মাথা নেড়ে বলে, ‘না, তেমন কিছু হয়নি। মাঝে একবার ও ছাদ থেকে নাকি পড়ে যেতে নিয়েছিল। আর সেটা নিজের অসাবধানতার কারণে। যদিও বিল্ডিংয়ের লোকজন বলছিল ও নাকি সুইসাইড করতে নিয়েছিল।’

রাহাত ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘এখানেই আমার প্রশ্ন। আমি ডাক্তার সুশান্ত সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন ফারিয়ার মানসিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না যে সে আত্মহত্যা করবে। নিশ্চয়ই এমন কিছু হয়েছিল যেটা আপনি বলছেন না। ওই তাবাসসুম মেয়েটাকে নিয়ে কোনো ঝামেলা ছিল না তো?’

সেদিন তাবাসসুম ভীষণ মন খারাপ করেছিল। পুলিশ ওকে হেনস্তা করছে। ওর উপর মিথ্যে দোষ চাপাচ্ছে। তাতে করে যে ওর নিজের সংসারও টালমাটাল হয়ে যাবে৷

মুরাদ এবার উষ্ণ গলায় বলে, ‘অফিসার, আপনি আমার পেছনে না লেগে ফারিয়ার কল লিস্ট, মেসেজ চেক করুন। আমার কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। উলটো ফারিয়ারই ছিল।’

রাহাত এবার চমকে ওঠে। কী বলছে এসব লোকটা। গম্ভীরমুখে বলে, ‘আপনি এসব কী বলছেন?’

মুরাদ ম্লান হেসে বলে, ‘একটা সময় ফারিয়ার বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেগুলো নিয়ে খুব ঝামেলা হতো। অনেক ঝগড়াঝাটি হতো ওর সাথে। শেষ একটা সম্পর্কে ও এমন বেশি জড়িয়ে গেল যে আমাকে বাসা চেঞ্জ করতে হলো। এরপর অবশ্য ফারিয়া আর কারো সঙ্গে জড়ায়নি। কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি মন থেকে ফারিয়াকে আর কখনও মেনে নিতে পারিনি। নিজের মতো থাকতাম, আলাদা ঘুমোতাম। তখন ফারিয়া আমার কাছে নতুন করে ফিরে আসার চেষ্টা করত। আমি নিস্পৃহ থাকতাম। আমার এই নিস্পৃহতা দিনে দিনে ওকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলল। প্রথম প্রথম পাত্তা দিতাম না। কিন্তু দিন দিন এটা বাড়ছিল। তখন আমি সম্পর্ক ঠিক করার জন্য আবার একসাথে ঘুমাতে শুরু করলাম। কিন্তু ওর সঙ্গে শারীরিক ব্যাপারটায় আমি আর আগেরমতো সহজ হতে পারিনি। এটা নিয়ে ও প্রায়ই কথা শোনাত। আমি নাকি ওকে আগেরমতো আদর করি না। যার ফলে আবার সন্দেহ শুরু হলো। আমি চেষ্টা করেছি সব ঠিকঠাক করতে। কিন্তু পারিনি।’

কথাগুলো বলে মুরাদ মাথা নিচু করে বসে থাকে। আর রাহাত বিমূঢ় হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। মানুষের জীবনে কতশত ঘটনা থাকে। বাইরে থেকে দেখে সেসব গল্পের খোঁজ পাওয়া যায় না। উপর থেকে একটা মানুষ যতটা সুখী ভেতরে ভেতরে তার চেয়েও দ্বিগুণ বা তিনগুণ দুঃখী।

রাহাতের হঠাৎ একটা কথা মনে হয়, মুরাদের শাশুড়ি কিংবা মেয়ে এই কথাগুলো বলেনি। ইচ্ছে করেই নিজের মেয়ের দোষ লুকিয়েছে? নাকি মুরাদ মিথ্যে বলল? নাহ, ফারিয়ার আম্মার সঙ্গে আরেকবার বসতে হবে ব্যাপারটা জানার জন্য। এই কেসে এখন শুধু এটুকুই জানার আছে। ফারিয়া কেন সন্দেহ করত সেটা তো এখন পরিস্কার হয়ে গেল।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
০৯/০৭/২০২৪

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে