ভিলেনি ভালোবাসা পর্ব-১০+১১

0
919

#ভিলেনি_ভালোবাসা
পার্টঃ ১০
লেখিকাঃ #তিথি_সরকার

তুলির বাবা নীরবের বাবাকে কল দিলো এবং বললো বন্ধু নীরব আর তুলির বিয়েটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেললে ভালো হয় তোর কি মত।
নীরবের বাবা ফোনের ওপাশ থেকে বললো এতো খুশির খবর বন্ধু। আমি নিজেই এই ব্যাপারে কিছু দিনের মধ্যে তোর সাথে কথা বলতাম। আচ্ছা তুই তো চেয়েছিলি তুলি মায়ের পড়াশুনা শেষ হলে বিয়ে দিতে তাহলে এতো তাড়াতাড়ি দিবি যে?
তুলির বাবা বললো শুভ কাজে দেরি করার দরকার নেই আর তাছাড়া ওরা তো এখন একে অপরকে চিনে আর বয়স ও হয়েছে দুজনের তাই ভাবলাম তারাতারি কাজ টা সেরে ফেলি।

এদিকে তুলি তুহিন এর বোনদের কাছে শুনেছে তিয়াশ এখন বিয়ে করবে না কারণ সে অন্য কাউকে ভালোবাসে।তাই নীলিমা আপুকে বিয়ে করতে পারবে না।
তুলি তখন জিজ্ঞেস করেছিলো কাকে ভালোবাসে কিছু জানো তোমরা?
তুহিন এর ছোট বোন বললো আমরা জানি না। তবে হতে পারে ভাইয়া তার ক্লাসমেট দের মধ্যে কাউকে ভালোবাসে।এই টুকু বলেই ওরা ওদের ঘরে চলে যায়।

তুলি মনে মনে ভাবছে তার মানে ভাইয়ার ফোনের ওয়াল পেপারে যার ছবি দেখেছি সেটি সেই মেয়েটি যাকে ভাইয়া ভালোবাসে। আর আমি বোকার মত ভেবেছি ওটা আমার ছবি। আমি ওই বাড়িতেই ঠিক ছিলাম এই বাড়িতে কেনো যে আসতে গেলাম ভালো লাগে না।


বিকেলে এক সাথে বসে নীরবের বাবার সাথে কথা বলছে তুলির বাবা।
নীরবের বাবা বললো তাহলে আর দেরি কেনো দুদিন পরেই নাহয় বিয়েটা দিয়ে দেই তুই যেহেতু আয়োজন করে দিতে চাইছিস না বিয়েটা পরে নাহয় অনুষ্ঠান করা যাবে।
তুলির বাবা বললো ঠিক আছে আমি তুলির মায়ের সাথে কথা বলে নেই।
রাতে এসে তুলির মায়ের সাথে সব কথা খুলে বললো তুলির বাবা সাথে তিয়াশের কথাও বললো।
তুলির আম্মু সব শুনে বললো না না মেজো ভাবি কখনোই তুলি কে মেনে নিবে না তুমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছো তাই সঠিক।
তারপর তারা একসাথে তুলির ঘরে গেলো। তুলির আব্বু তুলি কে বললো আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি। তোমার এখন বিয়ের বয়স হয়েছে তুমি কি রাজি তুলি?
তুলি কিছু বলার আগে তুলির আম্মু বলে উঠলো রাজি কেনো হবে না বিয়ে হলেও ও তো আমাদের কাছেও থাকবে আর এখন শুধু বিয়ে টা করিয়ে রাখবো পরে তুলির পরীক্ষা শেষ হলে অনুষ্ঠান হবে।
তুলির সোজা উত্তর আমি এখন কোনো বিয়ে করতে পারবো না আব্বু।
তুলির আম্মু বললো তুই কি কাউকে ভালোবাসিস তুলি? এরকম হলে তো আমাকে বলতি।
তুলির বাবা বললো তুমি কি সত্যিই বিয়েটা করতে চাও না?
তুলির আম্মু তুলির দিকে চেয়ে আছে করুন ভাবে আর ভাবছে তুলি কি তিয়াশ কে ভালোবাসে? এরকম হলে তো তিয়াশের মা ওকে মেরেই ফেলবে। মেজো ভাবি পারে না এমন কোনো কাজ নেই। এসব ভাবতেই তার মাঝে ভয়ে কাজ করতে শুরু করলো।
তুলির বাবা বললো আমার অনেক টাকার ঋণ আছে আর কোম্পানি ও বেশির ভাগ নীরবের বাবার নামে হয়ে যাবে ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে। তোমার সাথে নিরবের বিয়ে হলে টাকা টা ধীরে সুস্থে শোধ করতে পারবো।
কথাটা সত্যি নাকি মিথ্যা তা তুলির মা ও বুঝতে পারলো না।
তুলি তাও রাজি হতে চাইলো না তখনি তুলির আম্মু তার মাথায় তুলির হাত রেখে বললো তুই এই বিয়ে না করলে আমার মরা মুখ দেখবি।
যদিও তুলি এইসব বিশ্বাস করে না তাও মায়ের ক্ষতির কথা শুনে রাজি হয়ে গেলো বিয়েতে। তুলির বাবা তুলির মাথায় হাত বুলিয়ে বললো দেখিস কখনো অসুখী হবি না। নীরব তোকে অনেক ভালোবাসে।
তুলির বাবা মা খুশি মনে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।

তুলি ভাবছে তার মানে নীরব ভাইয়া আগে থেকেই এসব ব্যাপারে জানতো তার জন্যই আমার পিছে পিছে ঘুরতো।

তুলির বাবা তার বড় ভাই দের বললো তুহিন এর বাবাকে ফোন করে অনুমতি নিয়ে নিলো কারণ তিনি দেশের বাইরে আছেন ব্যবসার কাজে। তাদের সম্মতি জানা হলে তুলির দাদীর কাছে যায়।
মিসেস আমেনা (দাদী) রাজি না আবার কেনো রাজি না তাও তিনি বলছেন না। তিনি বিড়বিড়য়ে বললেন এর জন্য তোরা যা করছিস তা ঠিক করছিস না। ও এই বিয়ে হতেই দিবে না।
তুলির বাবা বললো মা তুমি কি কিছু বলছো?
মিসেস আমেনা বললেন যা ভালো বুঝো করো আমার এ ব্যাপারে কিছুই বলার নেই।

তুলির বাবা সব কিছু ঠিক করছে বিয়ের জন্য। নীরব দের ও বলা হয়ে গেছে। বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হবে তাই নীরবরা আর ওদের খুব কাছের আত্মীয় স্বজন আর তুলি দের বাসার লোক থাকবে।

রাতে তিয়াশ অনেক রাত করে বাড়ি ফিরলো। আর এসেই সোজা তুলির ঘরে চলে গেলো। তুলি তখন ঘুমাচ্ছিলো। তুলির ঘরে এসেই তুলির পাশে বসে তুলি কে দেখছিলো চাদের আলোয়। আর মনে মনে বলছে আর কিছুদিন পরেই তোকে একবারের জন্য আমার করে নিবো তখন আর তোকে হারানোর কোনো ভয় থাকবে না আমার বলেই তুলির কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো তিয়াশ।
তিয়াশ তুলির পায়ে নূপুড় পরানোর জন্য পা ধরে নূপুর টা পড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
তখনি তুলির ঘুম ভেঙে যায় আর উঠেই সামনে থাকা তিয়াশের গালে চড় মেরে দেয়।

চড় খেয়ে রাগে তুলির গাল চেপে ধরে তিয়াশ আর রাগী গলায় বলে উঠে তোর সাহস হলো কি করে আমার গায়ে হাত তোলার?
তুলি এতক্ষণে বুঝে গেছে এটা তিয়াশ তাই তুলি নিজেকে ছড়ানোর চেষ্টা করে বললো ছাড়ুন আমার লাগছে।

আমি ধরলেই লাগে কই নীরব যখন ধরে তখন লাগে না? বলেই তিয়াশ তুলি কে ছেড়ে দিলো।
ছাড়া পেয়ে তুলি বললো অসভ্যের মত কথা বলা বন্ধ করুন। আপনি এতো রাতে একটা একা মেয়ের ঘরে কি করছেন? একা অন্ধকার ঘরে আপনি একটা মেয়ের ঘরে কেন এসেছেন বলেন।

তিয়াশ দাঁতে দাঁত চেপে বললো তুই যা ভাবছিস তা করতেই এসেছিলাম বুঝেছিস তোর মতো মেয়ের সাথে ওগুলোই করা যায় তাছাড়া কিছুই না কারো ঘরের বউ হওয়ার যোগ্য না তুই। কথাটা বলার সাথে সাথেই তুলি আরো একটি চড় বসিয়ে দিলো তিয়াশের গালে।

তুলি রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললো এখনি এই ঘর থেকে বেরিয়ে যান নইলে আমি চিৎকার করে সবাইকে ডাকবো তা আপনার জন্য সম্মানিত হবে বলে আমার মনে হয় না।
তিয়াশ ও রেগে বেরিয়ে গেলো। আর নিজের ঘরে গিয়ে জোরে দরজা লাগিয়ে দিলো।

চোখ দিয়ে তুলির অনবরত পানি পড়ছে। নিজের রাগ কমানোর জন্য হাতে নখ বসিয়ে দিলো। এটা তুলির ছোটবেলার অভ্যাস।


বিয়ের আগের দিন অফিসের কাজে বড় কাকার কাছে তিয়াশের যেতে হবে তাই তিয়াশ কে বিয়ের ব্যাপারে কেউ কিছু জানায় ও নি। তুলির আব্বু বলেছে তিয়াশ আসলে নাহয় বলা যাবে তাতে আর এমন কি। তাই কেউ কিছু বললো না এতে তুলির বাবা মা মনে মনে খুশি হলো।
রাতের ফ্লাইটের জন্য তিয়াশ চলে গেলো তুলির সাথে রাগ করে দেখাও করলো না।

চলবে…

#ভিলেনি_ভালোবাসা
পার্টঃ ১১
লেখিকাঃ #তিথি_সরকার

আজ সকালে তুলির বিয়ে। বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হলেও আতিথীয়তায় কোনো কমতি রাখবেন না তুলির বাবা। তাই আজকে অনেক পদের রান্না করা হয়েছে বাড়িতে তুলির বিয়ের উপলক্ষে।

তুলি কে বউয়ের সাজে সাজানো হয়েছে। লাল বেনারসি শাড়ি মাথায় আলাদা লাল ওরনা গা ভর্তি গহণা আর হালকা মেকআপ কারণ তুলি বেশি সাজ পছন্দ করে না। এতেই তুলি কে অসাধারণ পরির মতো লাগছে।


নীরব দের বাসার সবাই চলে এসেছে। নীলা এসেই সোজা তুলির সাথে দেখা করতে চলে গেছে।
নীলা তুলির ঘরে গিয়ে দেখে তুলি বিছানায় বসে কি যেনো ভাবছে।
কিরে কি এত ভাবছিস?
তুলি বললো কিছু না আয় বোস।
তুই আমার ভাইয়ের বউ হবি ভাবতেই কেমন যেনো খুশি খুশি লাগছে তুলি কে জড়িয়ে ধরে বললো নীলা কথাটা।
তখনি তুহিনের বোনেরা তুলির ঘরে আসে তুলি কে নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ওরা এসেই বললো পুরো পুতুলের মতো লাগছে তোমাকে।
তুলি হালকা হেসে ওদের বললো তুহিন ভাইয়া কোথায়?
ওদের মধ্যে একজন বললো ভাইয়া তো বাসায় নেই সে তো তিয়াশ ভাইয়ার সাথে আছে। বাবা ডেকেছে তাই।
নিচের থেকে আবার ডাক আসলে সবাই মিলে তুলি কে নিচে নিয়ে যায়।

নিচে নেমে দেখে নীরব নীরবের বাবা মা সবাই বসে আছে বসার ঘরে। এমনকি নীলিমা রাও আছে। আরো অনেকে আছে কিন্তু তাদের কাউকেই তুলি চিনে না। পাশে তাকিয়ে দেখে সাদা পাঞ্জাবী পরা দাড়ি ওয়লা একজন খাতায় কি যেনো লিখছেন। তুলির বুঝতে অসুবিধা হলো না যে উনিই কাজী। যিনি আজ তুলি আর নীরবের বিয়ে পড়াবেন। তুলির ভিতর থেকে ছোটো একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।

তুলি কে দেখে নীরব হা হয়ে রয়েছে। তুলির থেকে চোখ ই যেনো সরছে না নীরবের। নীরব মনে মনে বললো আজ থেকে তুমি চিরদিনের জন্য আমার হয়ে যাবে তুলি তখন আর তোমাকে আমার থেকে কেউ চাইলেও আলাদা করতে পারবে না।
এসব ভাবতে ভাবতেই তুলির মা তুলি কে নিয়ে নীরবের পাশে বসালো।
নীরবের বাবা বললো আগে খাতা কলমে বিয়ে টা হয়ে যাক তারপর কবুল বলে হবে কি বলো বন্ধু।
তুলির বাবা ও বললো হুম ঠিক আছে।
তখনি কাজী সাহেব বললেন তাহলে বিয়ের কাজ শুরু করা যাক এই বলেই নীরবের দিকে খাতা টা আর কলম টা এগিয়ে দিলেন।
নীরব তুলির দিকে এক পলক চেয়ে খাতায় সই করে দিলো।
এবার তুলির পালা।
তুলি সই করার জন্য কলম নিয়ে কিছু একটা ভাবছে ভাবতে ভাবতেই চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো তুলির গাল বেয়ে।
তুলির মা ইশারা করতেই তুলি ও সই করার জন্য খাতায় কলম ঠেকালো তখনি গুলির আওয়াজে থমকে গেলো তুলি।
তুলি পাশে তাকাতেই দেখে নীরব এর হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে। তুলি ভয়ে মুখে হাত দিয়ে রয়েছে। সারা শরীর ভয়ে ঠান্ডা হয়ে গেছে তুলির। ভয়ে হাত পা কাপাকাপি অবস্থা তুলির।

সবাই সামনে তাকাতেই দেখে তিয়াশ দাড়িয়ে আছে পিস্তল হাতে নিয়ে আর তার পিছে কালো পোশাক পরিহিত অনেক গুলো লোক যাদের দেখতে বডিগার্ড দের মত লাগছে। আর তিয়াশ এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে যেনো কিছুই হয়নি এখানে।
ভয়ে কারো মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।

তিয়াশ তুলির কাছে এসে একটু ঝুঁকে বললো বিয়ে করার খুব শখ হয়েছে তোমার তাই না জান। কথাটা খুবি নরম গলায় বললো যাতে তুলি আরো বেশি ভয় পেয়ে গেলো কারণ তুলির কাছে এটা বড় কোনো ঝড় আসার পূর্বাভাস মনে হচ্ছে।

তিয়াশের বাবা তেড়ে এসে তিয়াশ কে বললেন এসব কি তিয়াশ? তুমি রাজনীতি করতে করতে এতোটা নিচে নেমে গেছো যে একটা নিরপরাধ ছেলেকে গুলি মারতে তোমার একটুও হাত কাপলো না। আর এসব করলেই বা কেনো উত্তর দাও আমায় রেগে গিয়ে বললেন তিয়াশের বাবা।

তোমরা আমায় না জানিয়ে আমার তুলির বিয়ে দিয়ে দিবে আর আমি জেনেও চুপ করে থাকবো ভাবলে কি করে। আর কেনো এসব করছি তা তো ছোটো কাকা খুব ভালো করেই জানে। বলেই রাগী চোখ নিয়ে তুলির বাবার দিকে তাকায় তিয়াশ। তুলির বাবা কিছু না বলে মাথা নিচু করে নেয়।
কথার মাঝেই নীরবের মা বলে উঠলো সব কিছু পরে হবে আগে আমার ছেলেটাকে হাসপাতালে নিয়ে চলো কান্না করতে করতে বললো নীরবের মা কথাটা।
নীরব ও বলে উঠলো আমি তুলি কে না বিয়ে করে যাবো না এখান থেকে।
তিয়াশ রেগে আবার পিস্তল নীরবের দিকে ধরে রাগী গলায় বললো খুব মরার শখ হয়েছে দেখি।

তুলি রেগে গিয়ে বললো নীরব কে মারতে হলে আগে আমাকে মারুন আর আজ বিয়ে করতে হলে আমি নীরব কেই করবো।
তিয়াশ চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ সামলানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করে বললো তুলি আমার রাগ আরো বাড়িয়ে দিস না।
আমি বলেছি যখন নীরব কে বিয়ে করবো তো নিরব কই করবো বলেই সই করতে নেয় আর তখনি তিয়াশ তুলি কে উঠিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঠাস করে চড় মেরে দেয় তুলির গালে। তুলি তাল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়।

তিয়াশ তুলি কে টেনে তুলে বললো বেশি লেগেছে? দেখি দেখি। তিয়াশ পুরোই পাগলের মতো করছে।
তুলির ঠোঁট কেটে গিয়ে রক্ত পড়ছে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে তা আবার তিয়াশ মুছে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। আর বলছে আমায় রাগাও কেনো বলোতো কত কষ্ট পাচ্ছো এখন। জানো আমি তোমার বিয়ের কথা শুনে কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
তুলি তিয়াশের দিকে ভয় ভয় চোখে তাকিয়ে দেখলো তিয়াশের চোখ অনেক লাল হয়ে রয়েছে।

তখনি তুলির আব্বু তুলি কে তিয়াশের থেকে ছাড়িয়ে বললো বাবা এমন পাগলামি করো না ওদের বিয়েটা হয়ে যেতে দাও। কথাটা যেনো আগুনে ঘি ঢালার মতো লাগলো তিয়াশের কাছে।
তিয়াশ রেগে চেঁচিয়ে বলে উঠলো তুমি কি জানতে না আমি তুলি কে ভালোবাসি বল জানতে না তাও কেনো ওর বিয়ে অন্যকারো সাথে দিতে চাইলে?

তুলির রাতের কথা মনে পড়ে যায় তখন তুলি বলে উঠলো আমি নিজে রাজি হয়েছি এই বিয়েতে আর আমি নিজেই এই বিয়ে করতে চেয়েছি তাতে আপনার কি।

তিয়াশ তুলি কে বললো সত্যি বলেছিস?
তুলি ও নির্দ্বিধায় বললো হে আমি সত্যিই বলছি।
তিয়াশ তুলি কে ধরে আসতে আসতে বললো এটা যদি সত্যি হয় তাহলে এতদিন তুই আমার ভালোবাসা দেখেছিস এবার থেকে আমার অন্য রূপ টাও দেখবি যাতে শুধুই তোর জন্য সর্বনাশ থাকবে বলেই তুলি কে টেনে নিয়ে কাজী সাহেবের কাছে গিয়ে বললো বিয়ে পড়ানো শুরু করুন তবে নীরব আর তুলির না বিয়েটা হবে তুলি আর তিয়াশের।
তিয়াশের মা অনেক বাধা দেওয়ার পরেও বিয়েটা এক প্রকার জোর করেই করলো তিয়াশ তুলি কে।
কারণ তিয়াশ বাড়ির সবার মাথায় বন্দুক তাক করেছিলো যার মানে হলো এই যে তুলি তিয়াশ কে বিয়ে না করলে সবাইকে ও মেরে ফেলবে তাই বাধ্য হয়েই বিয়েটা করতে হয় তুলি কে।
তুলি মনে মনে ভাবছে এরপর কি কি হতে চলেছে ওর জীবনে। তিয়াশ ভাইয়া যা রেগে আছে আমাকে এতো সহজে ছাড়বে না।
এদিকে তিয়াশ মনে মনে বলছে আমার ভালোবাসা টা বুঝলি না নীরবকে ভালোবাসলি ওর কিছু হলে তোর কষ্ট হয় তাই না। তাহলে তাই হোক তোর লাইফ এখন থেকে নরক করে ছাড়বো দেখে নিস।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে