গল্প: ভালোবাসার শেষ পৃষ্ঠা
রাফি ও সারা একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। সারা হাসিখুশি, সবসময় মিষ্টি কিছু বলার জন্য পরিচিত ছিল। আর রাফি ছিল শান্ত স্বভাবের, কিছুটা লাজুক। রাফি সারার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করলেও কখনো প্রকাশ করতে পারেনি।
একদিন, এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে, রাফি সাহস করে সারাকে বলল,
“সারা, তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।”
সারা মিষ্টি হেসে বলল, “বলো রাফি, শুনছি।”
রাফি কাঁপা কণ্ঠে বলল, “আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”
সারা একটু চুপ থেকে বলল, “রাফি, ভালোবাসার জন্য সাহসের দরকার। তোমার সাহস আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু সময়ের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হতে পারে। আমরা বন্ধু হয়ে থাকি, সময় আমাদের উত্তর দেবে।”
এরপর দিনগুলো কেটে যেতে লাগল। রাফি ও সারা বন্ধু হিসেবে থেকে গেল। তবে রাফি কখনো হাল ছাড়েনি। তার ভালোবাসা সারার প্রতি আরও গভীর হলো।
দশ বছর পর, এক চায়ের আড্ডায় সারা হঠাৎ বলল,
“রাফি, মনে আছে, তুমি একদিন সাহস করে আমাকে কিছু বলেছিলে? আমি মনে মনে উত্তর রেখেছিলাম। আমি তখন থেকেই তোমাকে ভালোবেসেছি, শুধু সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম।”
রাফি হেসে বলল,
“ভালোবাসা অপেক্ষা করতে জানে, আর সময় তার সঠিক উত্তর দেয়।”
তাদের গল্পটা এখানেই শেষ হলো না। বরং, এটা হলো নতুন শুরুর সূচনা। ভালোবাসা যে সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হয়, এটাই তাদের গল্পের শিক্ষা।
শেষ।