#ভালোবাসার_লুকোচুরি
#লেখনী_আলো_ইসলাম
“সূচনা পর্ব”
–” রুমের মধ্যে তুমুলবেগে পায়চারি করছে রুহি। চিন্তায় মাথা ফেটে যাচ্ছে তার। সাথে চোখ মুখে চিন্তার ছাপ। ডান হাতের একটা আঙ্গুল মুখে দিয়ে নখ কামড়াতে কামড়াতে পায়চারি করছে রুহি। কি করবে সে এখন সেটাই ভাবছে।
– উফফ কি যে করি এখন। কেন যে ডেয়ার পুরণ করতে গেলাম আমি তখন। সত্যি রে রুহি দিন দিন তুমি যে এতো ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস। লে এবার বোঝ কেমন লাগে। আজ ওই ডেভিলের হাতে তোর জান কবজ হবে আর কি করার। বড়বাবা বড়মার জন্য তো বাবা মায়ের হাত থেকে বেঁচে গেছি কিন্তু এই ডেভিলের হাত থেকে কে রক্ষা করবে। নিশ্চয় আজ আমাকে কেটে কুচি কুচি করে নদীতে ফেলবে আবার নিজেও আস্ত গিলে খেতে পারে। তাকে দিয়ে বিশ্বাস নাই। আল্লাহ উপায় বলে দাও প্লিজ মনে মনে বলে রুহি।
– একটু পর রুহির মুখে হাসি ফুটে। পার্সটা হাতে নিয়ে বলে আমাকে পালাতে হবে এখন। হ্যাঁ এটাই বেটার অপশন। এই ডেভিলটা আসার আগে আমি পালায় বাবা বলে রুহি রুমের দরজা খুলে সবে একটা পা বাইরে রেখেছে তখনই কেউ একজন ঝড়ের বেগে এসে রুহির হাত টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। আর তাতে রুহি ঘাবড়ে সামনে তাকিয়ে যাকে দেখে চোখ কপালে উঠে যায়। ভয়ে গলা শুকিয়ে আসে। শুকনো ঢোক গিলতে থাকে ঘনঘন।
– আজ তুই শেষ রুহি। এই ডেভিলটা নিশ্চয় তোকে আস্ত গিলে খাবে। তোর আর বিয়ে করা হলো না বর মুখ তো দূরে থাক তুই আর বাচ্চাকাচ্চার মুখও দেখতে পারবি না রে রুহি। ধুর কি সব ভাবছি আমি এই সব। আগে নিজে তো বাঁচি পরে ওদের কথা মনে মনে বলে রুহি।
– আগুনের ফুলকির ন্যায় চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে রোহান রুহির দিকে। রাগে ফেটে পড়ছে যেনো রোহান। রুহির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে আছে দেয়ালের সাথে আর তাতে ভীষণ জ্বালা করছে রুহির হাত। রুহি একবার তার হাতের দিকে আরেকবার রোহানের দিকে তাকায়। রোহানের চোখ দেখে রুহির আত্না কেঁপে উঠে। কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে আমাকে ছেড়ে দাও ভাইয়া। আমি ভুল করে ফেলেছি। আমি এমন আর কখনো করবো না প্রমিস। আমার লাগছে ভাইয়া প্লিজ ছাড়ো।
–” রুহির কথায় রোহান আরো শক্ত করে চেপে ধরে রুহির হাত। আর তাতে চোখ বন্ধ করে সহ্য করার চেষ্টা করে রুহি। চোখ দিয়ে এবার দরদরিয়ে পানি পড়তে থাকে। তাই দেখে রোহান রেগে চিৎকার করে বলে স্টপ ক্রাই ইডিয়ট। রোহানের এমন রাগমিশ্রিত কথায় চমকে উঠে রুহি। কান্না থেমে যায় তার সাথে সাথে। ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে রোহানের দিকে।
– তোর এই নেকা কান্না দেখে তোর বড়মা বড়বাবা ভুলে যেতে পারে কিন্তু এই রোহান শেখ নয়। তাই একদম আমার সামনে নেকা কান্না করতে আসবি না। এর পরিমাণ একটু ভালো হবে না বুঝেছিস চিৎকার করে বলে রোহান।
– রোহানের প্রতিটি কথায় রুহি কেঁপে কেঁপে উঠে।
– তুই ওই ভদ্রলোককে কি বলেছিস? তুই উনার ছেলেকে ভালোবাসিস। উনার ছেলেকে না পেলে সুইসাইড করবি তাই তো? রোহানের কথায় রুহি দ্রুত গতিতে মাথা ঝাকিয়ে না বলে।
– আরো কি যেনো বলেছিস তুই একটু ভাবান্তর হয়ে বলে রোহান। ও ইয়েস তোদের সম্পর্ক তোর পরিবার মেনে নিচ্ছে না। তোর বাড়িতে যে একটা রাক্ষস ডেভিল আছে সে তোর বিয়েতে কাটি করেছে তাই না? তার জন্য তুই সুইসাইড করবি?
– রুহি ঢোক গিলে আবারও মাথা নাড়িয়ে না বলে।
–” মরার খুব সখ না তোর। ওকে ফাইন তোর ইচ্ছে আমি পুরণ করবো চল বলে রোহান রুহির গলা চেপে ধরে। রোহানের এমন কাজে রুহি চমকে উঠে ছটফট করতে থাকে। রোহানের আজ ভীষণ রাগ হচ্ছে রুহির উপর। রুহি যে দুষ্টু প্রকৃতির এটা সবাই জানে। কিন্তু তার দুস্টামি দিন দিন এতো পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে যে রোহানের পক্ষে সহ্য করা জাস্ট ইম্পসিবল হয়ে উঠেছে। আর আজ যে কাজ করেছে রুহি তাতে রোহানের রাগ কিছুতেই কমছে না।
– রুহির গলা শক্ত করে চেপে ধরায় রুহি ছটফট করতে থাকে। রোহানের হাত থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু রোহানের সাথে পেরে উঠা কি আর রুহির কাম্য।.
– এমন সময় দৌড়ে আসেন রোহানের মা আমিনা বেগম। রোহানের এমন কাজ দেখে ঘাবড়ে গিয়ে হাত ছাড়িয়ে নেয় রুহির গলা থেকে। রোহান রাগে ফোসফাস করতে থাকে। আর রুহি ছাড়া পেয়ে কাঁশতে থাকে গলা ধরে। আর একটু হলে প্রাণটাই উড়ে যেতো তার।
– এই সব কি হচ্ছে রোহান। তুমি মেয়েটার সাথে একি করতে যাচ্ছিলে। বাচ্চা মেয়ে ভুল করে ফেলেছে তাই বলে তুমি এমন করবে ওর সাথে রুহিকে বুকে আগলে নিয়ে বলে কথাগুলো আমিনা বেগম। রুহি আমিনা বেগমের বুকে মাথা রেখে কান্না করতে থাকে।
– তুমি এর মধ্যে একদম আসবে না মা। আজ তোমাদের আশকারা পেয়ে ওর এই অবস্থা। দিন দিন তামাশার পাত্র বানিয়ে ফেলছে আমাদের সবার সামনে। ও যথেষ্ট বড় হয়েছে সব কিছু খুব ভালো করে বুঝে ও। ওর যখন এতই বিয়ে করার সখ তো আমাদের বলতে পারতো। আমরা ওর বিয়ের ব্যবস্থা করতাম। লাজ সরম ভুলে ও রাস্তা রাস্তা বিয়ের কথা বলে বেরাচ্ছে ছিহ।
– আমি কি সত্যি সত্যি বিয়ের কথা বলেছি নাকি। জানো বড়মা ওই অনি আমাকে ডেয়ার দিয়ে বলেছি এমনটা করতে। আমি তো সেটাই করেছি। ওই ভদ্রলোক যে সত্যি সত্যি চলে আসবে আমি কি সেটা জানি নাকি কান্না করতে করতে বলে রুহি।
— তুই যা এখান থেকে রোহান। একটা ভুল করে ফেলেছে মেয়েটা আমি দেখছি। তাছাড়া উনারা তো চলে গেছে সমস্যা কি। তুই আর ওকে বকাবকি করিসনা বাবা।
– মায়ের কথায় রোহান রেগে বলে ওকে বলে দিও মা নেক্সট টাইম এমন কিছু করার আগে আজকের দিনটার কথা মনে করে যেনো। এরপর যদি এমন কিছু করে তাহলে ওর জন্য আরো কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে বলে গটগটিয়ে চলে যায় রোহান।
— রোহানকে চলে যেতে দেখে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে রুহি। এতখন তার উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেলো যেনো।
– তুই কেন এমন করিস বলতো মা। তুই খুব ভালো করে জানিস রোহান এইসব একদম পছন্দ করে না তারপরও তুই দুষ্টামি করিস। আজ কিন্তু অনেক রেগে ছিলো আমার ছেলেটা তোর উপর ৷ যদি আমি না আসতাম তাহলে কি হতো। আমিনা বেগমের কথায় রুহি ফুপিয়ে কেঁদে উঠে।
-“সত্যি আজ সে টাটা বাই বাই বলে উপরে চলে যেতো আর একটু হলে। একটু মায়া দয়া নাই ডেভিলটার। সব সময় বকাবকি করা মনে মনে বলে রুহি।
–“আচ্ছা যা তুই ফ্রেস হয়ে নিচে আয় আমি খাবার দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু বলে আমিনা বেগম চলে যায়।
– রুহি আয়নার সমান গিয়ে গলা দেখে একবার আর একবার হাত দেখে। শক্ত করে হাত চেপে ধরার ফলে হাতে আআঙ্গুলের ছাপ বসে আছে। গলায়ও সেম অবস্থা। রুহির হাত আর গলা ভীষণ জ্বালা করছে। রুহির ভীষণ কান্না পাচ্ছে এবার। একটু ভুল না হয় করেছে তাই বলে এমন করবে। এমন অমানষিক নির্যাতন করবে ওই ডেভিলটা। জিবনে বউ পাবি না দেখিস তুই একা একা বকা দিতে থাকে রুহি রোহানকে। তারপর ওয়াশরুমে যায় ফ্রেস হতে।
– রোহান কেনো রুহির উপর এতো ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলো আসুন জেনে নিই।
–” রুহি তার ফ্রেন্ডদের সাথে বাজি ধরেছিলো। রুহির ফ্রেন্ড অনিতা একটা আংকেলকে দেখিয়ে বলেছিলো তাকে গিয়ে বলতে যে রুহি তার ছেলেকে ভালোবাসে তার ছেলেকে না পেলে সুইসাইড করবে ব্যাচ এইটুকু বলে চলে আসতে হবে রুহিকে। রুহি অনিতার কথায় সে আংকেলে কাছে যায়।
– হঠাৎ রুহিকে সামনে আসতে দেখে ভদ্রলোক চমকে উঠে। রুহি অসহায় ফেস করে ভদ্রলোকের হাত ধরে বলে আংকেল আমাকে বাঁচান প্লিজ। রুহির এমন কথায় ভদ্রলোক অবাক হয়ে বলে কি হয়েছে মা তোমার। তুমি এমন করছো কেনো।
– রুহি এবার কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে আংকেল আমি আপনার ছেলেকে ভীষণ ভালোবাসি। আপনার ছেলেও আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক আমার পরিবার মেনে নিচ্ছে না কিছুতে। আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিবে বলছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না আংকেল। তাই বাধ্য হয়ে আমি আপনার কাছে এসেছি৷ আপনি পারেন একমাত্র আমাকে সাহায্য করতে আংকেল। আপনার ছেলেকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আমি কিন্তু সুইসাইড করবো আপনার ছেলেকে না পেলে হু। নেকা কান্না করে বলে রুহি ভদ্রলোককে।
– রুহির এমন আজব কথায় ভদ্রলোক পড়ে যায় বিপাকে। ব্যস্ত হয়ে বলে ছিছি মা এই সব বলতে নেই। তোমার মতো এমন লক্ষী একটা মেয়ে আমার পুত্রবধূ হবে এটা তো অনেক আনন্দের ব্যাপার। আমি কালই যাবো তোমার বাড়িতে আমার ছেলের সাথে তোমার বিয়ের কথা বলতে। ভদ্রলোকের কথায় রুহি চমকে উঠে ভাবে এই বেটা কি সত্যি সত্যি আমার বাড়ি যাবে নাকি। তাহলে তো বিপদ। ওই ডেভিল যদি কোনো ভাবে জানতে পারে আমি রাস্তাঘাটে এই সব করে বেরাচ্ছি তাহলে আমাকে আস্ত গিলে খাবে৷ এখান থেকে কেটে পড়তে হবে আমাকে। ভাগ রুহি ভাগ মনে মনে বলে রুহি কিন্তু মুখে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে ভদ্রলোকের সামনে।
– তুমি কোনো চিন্তা করো না মা। আমি সব ব্যবস্থা করবো৷ তুমি কিন্তু উল্টো পালটা কোনো চিন্তা করবা না। আমি আছি তো মামনী। ভদ্রলোকের কথায় রুহি বিরক্ত নিয়ে তাকায়।
– ধন্যবাদ আংকেল আমি জানতাম আপনি কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন। আপনি সত্যি অনেক ভালো আংকেল লোকটার গাল টেনে বলে রুহি। রুহির কাজে একের পর এক অবাক হয় ভদ্রলোক।
– আচ্ছা আমি তাহলে এখন আসি আংকেল বলে আর এক মুহূর্ত দাঁড়ায় না রুহি। লোকটাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে যায় সেখান থেকে। দূর থেকে রুহির কান্ড দেখে রুহির ফ্রেন্ডরা হেসে গড়াগড়ি খায়। রুহি ওদের সামনে গিয়ে টানা শ্বাস নিয়ে বলে উফফ কি যে প্যারা একটা। বাই দ্যা ফুসকা এবার আমার ট্রিট দে।
– অবশ্যই দেবো । তবে রুহি একটা কথা ভাবুক হয়ে বলে অনিতা। অনিতার কথায় রুহি জিজ্ঞাসু চোখে অনিতার দিকে তাকায়। ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে কি?
– তুই যে ভদ্রলোককে তোর আর তার ছেলের রিলেশনের কথা বলে আসলি এবার যদি ওই ভদ্রলোক সত্যি তোর বাড়ি চলে যায় তাহলে কি করবি। তোকে তো রোহান ভাইয়া একটা জ্যান্ত পুতে রাখবে রে। অনিকার কথায় রুহি ভয় পায় ঠিকই কিন্তু সেটা প্রকাশ করে না।
– আরে ধুর আমি কি ভয় পায় নাকি কাউকে। তাছাড়া উনি আমার বাড়ি চিনবে কি করে আমি তো উনাকে আমার বাড়ির এড্রেসই বলিনি ভাব নিয়ে বলে রুহি। রুহির কথায় পায়েল বলে তুই সত্যি পারিসও রে রুহি। আচ্ছা চল এবার রেস্টুরেন্টে যায় আমরা। বাজি অনুযায়ী ট্রিট দিবে অনিতা আজ আমাদের। তারপর হাসতে হাসতে চলে যায় ওরা।
–” পরেরদিন সকালে জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে থাকে রুহির মা রাজিয়া বেগম। কন্ঠে তার রাগের প্রকোপ। এই রুহি দরজা খোল তাড়াতাড়ি। সকাল সকাল এতো জোরে দরজা ধাক্কাতে দেখে ঘুম ঘুম চোখে বিরক্ত নিয়ে তাকায় রুহি।
– উফফ কি শুরু করেছো মা সকাল সকাল৷ একটু ঘুমাতে দাও তো আরাম করে। আজ তো কলেজ ছুটি আছে। আজ অন্তত একটু ঘুমাতে দাও প্লিজ বলে আবার চাদর টেনে নেয় রুহি।
— তোর ঘুম আমি ছুটাচ্ছি। তুই তাড়াতাড়ি উঠে ড্রয়িং রুমে আসবি। সবাই অপেক্ষা করছে তোর জন্য। যদি লেট করিস তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি বলে রাজিয়া বেগম চলে যায়। রুহি মায়ের কথায় ভ্রু কুচকে ভাবে হঠাৎ কি হলো এদের সকাল সকাল । আমাকে ড্রয়িং রুমে ডেকে পাঠালো কেনো। ধুর কত সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম সব নষ্ট করে দিলো বলে আড়মোড়া ভেঙে উঠে পড়ে রুহি। ওড়নাটা টেনে মাথায় দিয়ে রুম থেকে বের হয়। ঢুলুঢুলু চোখে নিচে নামে রুহি। আর তিনটা সিড়ি বেয়ে গেলে ড্রয়িংরুম পাবে রুহি। এমন সময় সামনে তাকিয়ে যা দেখে তাতে রুহির ঘুম উবে যায়। চোখ কপালে উঠে যায়। দুইহাত দিয়ে বারবার চোখ ডলা দিতে থাকে। হাই হাই স্বপ্ন নাকি সত্যি দেখছি আমি। এই ভদ্রলোক এখানে কি করছে। পালা রুহি পালা বলে রুহি আবার উপরে উঠতে যায় তখনই রোহান হুংকার ছেড়ে বলে আর একপা সামনে বাড়ালে খুব খারাপ হয়ে যাবে রুহি। রোহানের এমন হুমকিতে থেমে যায় রুহি। না যেতে পারে সামনে আর না যেতে পারে পিছে।
–“” ড্রয়িং রুমে সবাই উপস্থিত আছে। রোহান রাগী লুকে বসে আছে একটা সোফায়। দৃষ্টি তার নিচের দিকে। কিন্তু সে যে রেগে আছে ভীষণ এটা রুহি বেশ বুঝতে পেরেছে।
– রুহি নিচে নেমে আসো। রোহানের বাবা রায়হান শেখ বলেন কথাটা। বড়বাবার কথায় রুহি মেকি হাসি ঝুলিয়ে নিচে নেমে আসে। সকাল সকাল আজ এমন একটা ঝটকা খাবে রুহি ভাবতেই পারিনি। ভদ্রলোক রুহিকে দেখে মুচকি হাসে তাই দেখে রুহির ভীষণ রাগ হয়।
–” শালা টাকলু ঠিক আমার বাড়ি চলে এসেছে। আল্লাহ এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও এই সব ভাবতে ভাবতে সবার সামনে এসে দাঁড়ায় রুহি মাথা নিচু করে।
– রুহিমা তুমি এই ভদ্রলোককে কি বলেছো নরম স্বরে জিজ্ঞেস করে রায়হান শেখ। রায়হান শেখের কথার কোনো উত্তর দেয় না রুহি। তাই দেখে রুহির বাবা রাশেদ শেখ রাগী কন্ঠে বলে তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হচ্ছে রুহি। বাবার এমন রুক্ষ কন্ঠে কেঁপে উঠে রুহি।
– রুহি মামনী তুমি বলো সবাইকে। তুমি আমার ছেলেকে ভালোবাসো। আমার ছেলের সাথে বিয়ে করতে চাও তোমার পরিবারের কেউ বিশ্বাস করছে না আমার কথা। ভদ্রলোকের কথায় রুহি বিড়বিড় করে বলে সত্যি হলে তবেই না বিশ্বাস করবে।
– কি বিড়বিড় করছিস তুই। উনি যা বলছেন তা কি সত্যি হুংকার দিয়ে বলে রোহান। রোহানের কথায় চোখ বন্ধ করে ফেলে ভয়ে রুহি। হাত পা কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে যায় তার।
– চলবে….