ভালোবাসার রুপান্তর
মিঠু কেবলি গেছে দেশে। গিয়ে একদিনও হয়নি, আজ সকালে উঠে দেখি ইয়া বিশাল এক ফিচারের লিঙ্ক পাঠিয়ে দিয়েছে। সাথে মেসেজ—
— তোমার লেখার সাবজেক্ট হতে পারে।
পড়লাম। বিদেশকে স্বপ্নের দেশ মনে করে এলে কীভাবে স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে তার সত্য ঘটনা।
তবে এনিয়ে গল্প আমি চার বছর আগে লিখেছিলাম। সেটাও আংশিকভাবে সত্য ঘটনার ওপরেই লেখা।
ভালোবাসার রূপান্তর
নিজের ডেস্কে বসে নিবিস্টমনে কাজ করছিল দিয়া। ফোনটা বেজে উঠতে বিরক্ত চোখে তাকালো। আজকের মধ্যে রিসার্চ প্রপোজালটার অধিকাংশ কাজ তার শেষ করতে হবে। এখন আবার কে জ্বালাতে এল রে বাবা! দেখে রুদ্রর কল। ধরবে না ধরবে না করেও ফোন উঠিয়ে নিয়ে বলে
– হ্যালো, রুদ্র?
-দিয়া?
-হ্যাঁ, আমি ছাড়া আর কে হবে, আমাকেই যখন ফোন করেছ। কী বলবে তাড়াতাড়ি বল, আজ খুব ব্যস্ত আছি।
কন্ঠের অসহিষ্ণুতা ঢাকতে পারে না দিয়া।
-তোমার সাথে দেখা হওয়া আজ খুব জরুরী, দিয়া।
-আজকে অসম্ভব, রুদ্র। পাঁচটা পর্যন্ত অফিস সেরেই আমি রিনিকে নিয়ে দৌড় দিব ওর পিয়ানো টিচারের কাছে। তারপরে বাসায় ফিরে ডিনারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু বলতে কিছু নাই ফ্রিজে।
-দিয়া, তোমার সাথে দেখা আজ হতেই হবে।
এবারে একটু কঠোর হয় দিয়া।
বলে- রুদ্র, তোমাকে আমার স্কেজুলটা তো জানালাম। এর মধ্যে আমি কখন তোমার সাথে দেখা করবার সময় বের করতে পারব, বলতো?
তারপর একটু থেমে বলে- কী এমন জরুরী ব্যপার? রিনিকে নিয়ে কিছু?
-না, রিনিকে নিয়ে না। ফোনে বলা যাবে না, সামনাসামনি বলতে হবে।
-তাহলে আজ হচ্ছে না, রুদ্র। কাল হলেও হতে পারে।
-না, আজই। আজই দেখা করতে হবে। অবুঝের মত পীড়াপীড়ি করতে থাকে রুদ্র।
অবিকল সেই ইউনিভার্সিটির রুদ্র। গোয়ার, একরোখা, খামখেয়ালী, সর্বোপরি স্বার্থপর। খালি নিজেরটা বোঝে। অন্যের সুবিধা অসুবিধার প্রতি বিন্দুমাত্র দৃষ্টি নাই।
কড়া একটা জবাব দিতে গিয়েও পারে না দিয়া। কোন এক অজানা কারণে সে এখনো রুদ্রর এসব অবুঝ জবরদস্তিকে এককথায় নাকচ করে দিতে পারে না। কোথায় যেন বেঁধে যায়। কেন পারে না সেটা খুব বেশি তলিয়ে দেখবার সাহস তার নাই।
একটা লম্বা শ্বাস নেয় দিয়া- আচ্ছা, আমি দেখছি রেহান আজ রিনিকে পিয়ানো টিচারের কাছে নিয়ে যেতে পারবে কিনা। যদি পারে তবে তোমাকে আমি কল দিয়ে জানাচ্ছি।
-আচ্ছা, দিয়া। ফোন কেটে দিল রুদ্র।
-আচ্ছা দিয়া! মনে মনে আগুন হয়ে ভেংচে ওঠে দিয়া। সবাই তাদের কাজকর্ম চুলায় দিয়ে তেনার সুবিধামত চলবে আর তিনি কৃপা করে তা গ্রহণ করবেন। কিছু মানুষের কখনো পরিবর্তন হবে না- ভাবতে ভাবতে দিয়া রেহানের সাথে কথা বলে রিনির দ্বায়িত্ব রেহানের উপর ন্যস্ত করে। রিনিকে পিয়ানো টিচারের কাছে নিয়ে যেতে হলে রেহানকে আগেভাগে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ে অনেকটা ড্রাইভ করতে হবে। কিন্তু রেহান আপত্তি জানায় না। এমনকি জানতেও চায়না দিয়া কি নিয়ে হঠাৎ এত ব্যস্ত যে তাদের স্বাভাবিক রুটিনের এদিকসেদিক করছে। কাজ করতে করতে রেহানের প্রতি মনটা দ্রব হয়ে গেল দিয়ার। দিয়া সত্যি খুব ভাগ্যবতী যে রেহানের মত একজন ভদ্র আর উদারমনা স্বামী সে পেয়েছে। রেহান দিয়াকে তার নিজের মতো থাকতে দেয়, কখনো আকারণে জোর করে তার উপরে কিছু চাপাতে যায় না। আর রিনির ব্যপারে দায়িত্ব নিতে তো সে এতটুকু পিছু হটে না।
নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়িটা পার্ক করে রুদ্রর খোঁজে এদিক সেদিক হাঁটতে থাকে দিয়া। অনেকদিন বাদে এখানে আসা হল। সামারের শেষ, শরৎকাল আসবার আগে দিয়ে গাছগুলি যেন দুহাতে অজস্র ফুল ফুটিয়েছে। একটু দূরে স্প্ল্যাশ প্যাডের পানিতে বাচ্চারা হইচই করে ভিজছে। দুচারটে কাঠবিড়ালীকে এদিকসেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রুদ্র কই? রুদ্র কি বরাবরের মত আজও লেট লতিফ হবে? জীবনে তো একবারও সময়মত কোথাও পৌঁছুতে পারল না সে। ইউনিভার্সিটিতে তার সহপাঠী ছিল রুদ্র। সুদর্শন, কথাবার্তায় চৌকশ, অশান্ত, খামখেয়ালী, ক্যারিশমাটিক রুদ্র। জীবনটা ছিল যার হাতের মুঠোয়। দিয়া একেবারে পতঙ্গের মত তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল সেই প্রথমদিন থেকেই। সেই দূর্বার আকর্ষণে তার সবকিছু ভেসে গেছিল। ইউনিভার্সিটি জীবনের কথা মনে করলে শুধু রুদ্রর কথাই সে মনে করতে পারে, বাকি সবকিছুর স্মৃতি ঝাপসা ঝাপসা। কারণ সে আর কোনোকিছুর দিকে মন দেয়ার অবকাশ পায়নি, তার মনপ্রাণ জুড়ে ছিল শুধু রুদ্র। রুদ্রর দিক থেকে হয়ত সমান পরিমাণ পাগলামী ছিলনা কিন্তু সেও দিয়াকে ভালবাসতো। ঝোঁকের মাথায় চলতো বটে তবে দিয়ার প্রতি একনিষ্ঠ ছিল। মাঝেমাঝে অবশ্য খ্যাপার মত উধাও হয়ে যেত কিন্তু ফিরে এসে দিয়ার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতো। দিয়ার দিক থেকে মাফ না করবার প্রশ্নই উঠত না। সে তখন প্রেমে অন্ধ, রুদ্র ছাড়া কিছুই বোঝে না।
বাবামার চোখে কিছুদিনের মধ্যে দিয়ার দিশেহারা ভাব ধরা পড়ে যেতে দেরী হয়না। মেয়ের অবস্থা দেখে তারা বুঝে যান যে একে আর যাই হোক অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়া চলবে না। একটা কেলেংকারি হয়ে যাবে তাহলে। ভাগ্যক্রমে রুদ্রর পরিবারের সাথে দিয়ার পরিবারের সামাজিক অবস্থান কাছাকাছি হওয়াতে দুপক্ষের জোরালোভাবে আপত্তি করবার মত কিছু ছিল না। যারজন্য ইউনিভার্সিটির পাট চুকতে না চুকতে বিয়ের কথাটা ওঠে। ঐ সময় দিয়া যেন একটা স্বপ্নের মধ্যে বাস করছিল। বিয়ের পরের দুইতিনটা বছর তরতর করে কেটে গেল। রুদ্রর প্রতি দিয়ার অন্ধ ভালবাসা কিছুমাত্র কমল তো নাই বরং দিনেদিনে যেন বেড়ে চলল। সে যেন রুপকথার রাজকন্যা যে তার প্রিন্স চার্মিংকে পেয়েছে। রুদ্রর সমস্ত আদর-আব্দার-অত্যাচার-ছেলেমানুষী দিয়া হাসিমুখে মেনে নিত।
প্রথম ধাক্কাটা খেল দিয়া যখন তারা দুজনেই বিদেশে পাড়ি জমালো। আত্মীয় বন্ধু পরিবর্জিত বিদেশের কঠিন জীবনে মানিয়ে নিতে গিয়ে দুজনে হিমশিম খেতে থাকে।
সকলে পরামর্শ দিল- স্কুলে যাও। তোমাদের দেশী ডিগ্রী, দেশী কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এখানে সুবিধা করতে পারবে না। একটা কানাডিয়ান ডিগ্রী নিয়ে যাও। দেখবে সুযোগের দরজা খুলে যাবে তোমাদের কাছে।
কথাটা যুক্তিযুক্ত মনে হল তাদের কাছে। সরকার থেকেও ঋণের সুযোগসুবিধা রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। টিউশন ফি’র জন্য তো বটেই, থাকা খাওয়া বাবদ খরচের জন্যও। কাজেই এইটাই সবচাইতে সহজ উপায়। মুশকিল হল সময়কাল নিয়ে। তারা কানাডায় এসে পৌঁছেছে জানুয়ারীর প্রচন্ড শীতে আর নতুন সেমেস্টার শুরু হবে সেই সেপ্টেম্বারে। এতগুলো মাসের সংস্থান তাহলে কী করে হবে? বসে খেলে রাজার ভান্ডারও ফুরায়, তাই চাকরীবাকরীর একটা ব্যবস্থা করতে হবে এই মনোভাব নিয়ে দুজনেই চাকরী করবে বলে মনস্থির করে। দিয়া সেসময় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আসবার ঠিক আগে দিয়ে সে জানতে পেরেছিল ব্যাপারটা। ঠিক এই সময়ে নতুন অতিথির আগমন হয়ত পুরোপুরিভাবে কাম্য নয় কিন্তু তারপরও দুজনে খুশীতে বিভোর। নতুন দেশে নতুন আগন্তুকের সমাগম হবে এই স্বপ্ন দেখত দুজনে, বিশেষ করে দিয়া।
বিদেশ বিভূঁই এ আত্মীয়পরিজনহীন দিয়া আর রুদ্র যাদের কাছ থেকে সাহায্য, উপদেশ আর পরামর্শ নিচ্ছিল, তারা প্রত্যেকে একই কথা তাদেরকে বলে—এই মুহূর্তে নিজের ইগো এক কলসীতে ভরে লেক ওন্টারিওতে ফেলে দিয়ে আসো। দেশে তুমি কী ছিলে, তোমার কত বড় ডিগ্রী আছে, কত ভাল চাকরী করতে, বাবা কত বড়লোক ছিল সেসব ভুলে যাও। প্রথম কয়েক বছর সবাইকে কষ্ট করতে হয়। নিজের যোগ্যতার ধারেকাছেও না এমন চাকরী করতে হবে- কারণ মাসশেষে সংসার খরচের ব্যবস্থা তো করতে হবেই। তারজন্য অড জব সবচাইতে সহজ রাস্তা। চোখ কান বুজে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাই করে যাও। সেপ্টেম্বারে তো স্কুলই শুরু হয়ে যাবে।
আর সেখান থেকে শুরু হল সমস্যা। পরামর্শ হিসেবে কথাগুলি যতটা অকাট্য লেগেছিল, কাজের ক্ষেত্রে দেখা গেল সে মতে চলা ততোটা কঠিন। বিশেষ করে রুদ্রর কাছে। দিয়ার কাছে অবশ্য অতটা না। তার কথা যা করতে হবে, তা করতে হবে। এনিয়ে এত ভেবে লাভ নাই। তাই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সে যতদিন সম্ভব কাজ করে গেছে। কিন্তু রুদ্র পুরো ব্যপারটাকে খুব খারাপভাবে নিল। সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। তার ভালো ডিগ্রী ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ভালো চাকরি করত সে- আর এখন সে কিনা অন্যের স্যান্ডউইচ বানিয়ে দেবে? কাজশেষে দোকান ঝাড়ু দেবে? দুইদিনেই ইস্তফা দিয়ে বসল সে। এরপর পরিচিত কারও মাধ্যমে টেলিমার্কেটিং শুরু করল। সেখানেও দুইদিনের বেশি টিকতে পারল না। কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে সেই ফুর্তিবাজ, ক্যারিশম্যাটিক রুদ্র খুব তাড়াতাড়ি পরিণত হল এক বদমেজাজী, হতাশাগ্রস্ত রুদ্রে। দিয়া তাকে বহু বুঝিয়েছে। কিন্তু সে নিজেই তখন প্রেগন্যান্সীর শেষ পর্যায়ে। কষ্ট করে কাজে যেতে হয় আর বাসায় ফিরে এসে শোনে রুদ্র ফের চাকরী ছেড়ে দিয়েছে।
কিছুদিনের মধ্যে দুজনের ঘনঘন ঝগড়া বেধে যেতে লাগল। এইটা অভাবনীয় ব্যপার, তাদের মধ্যে ঝগড়া কখনো ছিল না। মানঅভিমান ছিল কিন্তু দিয়াই সবসময় আগ বাড়িয়ে রুদ্রর মান ভাঙ্গিয়েছে। কিন্তু এখন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সারাদিন কাজ করে ফেরবার পর যখন শোনে যে রুদ্র ফের চাকরী ছেড়ে দিয়েছে, তখন যেন মন থেকে আর ইচ্ছা করে না।
তারপরও ভালো খারাপ মিলিয়ে চলছিল। ভালো সময়ে দিয়া রুদ্রকে বোঝাবার চেষ্টা করত। রুদ্র মেনে নিত কিন্তু কয়দিন পর আবার যে কে সেই। এর মাঝে জন্ম নিল তাদের সন্তান রিনি। রিনির জন্মের সাথে সাথে পরিস্থিতি যেন আরো হাতের বাইরে চলে গেল। একটা বাচ্চা যে কতটা সময় নেয়, কতটা শ্রম, কত নির্ঘুম রাত যে তার পিছে ব্যয় করতে হয় এ ব্যপারে দিয়া অথবা রুদ্র কারোরই ধারণা ছিল না। দিয়া তবুও সহজাতবোধে জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছিল, না পেরে তো তার উপায় নাই। কিন্তু আজীবন দায়িত্ব নিতে না চাওয়া, স্বার্থপর রুদ্রর ব্যবহার দেখে তার চোখ ধীরে ধীরে খুলে যেতে লাগল। রুদ্রকে সে যেন নতুনভাবে দেখল, আর দেখে চমকে উঠল। এই রুদ্রকে তো সে চেনে না। দুজনের মাঝে সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকত, রুদ্র বেশিরভাগ সময় কাটাতে লাগল বাড়ির বাইরে। দিয়ার তো আর সে সুযোগ নাই। তাকে একাহাতে মেয়ের দেখভালের জন্য বাড়িতে থাকতে হত। একনিমেষের জন্য তার ছুটি মিলত না।
এক গভীর রাতে রুদ্র বাড়ি ফিরতে দুজনের মধ্যে লেগে গেল তুমুল ঝগড়া। রাগের মাথায় রুদ্র দিয়াকে এক চড় মেরে বসলে দিয়া টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়ে টেবিলের কোণে মাথায় চোট খেল। ঘটনার আকস্মিকতায় দুজনেই হতভম্ব। যা ঘটেছে তা দুজেনের একজনও বিশ্বাস করতে না পেরে একজন আরেকজনের দিকে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। পরমুহূর্তে রুদ্র দরজা খুলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। আর দিয়া কাঠ হয়ে সেখানেই সকাল অবধি বসে থাকে। এতদিনে তার চোখ থেকে রঙ্গীন চশমা সম্পুর্ণরূপে খসে পড়ল। রুদ্রকে তার আসলরূপে দেখতে পেল দিয়া- ইমম্যাচিউর, ইগোসর্বস্ব, স্বার্থপর। ওর এইদিকটা তার কখনো চোখে পড়েনি। সে বিভোর হয়ে ছিল সুদর্শন রুদ্রর আমুদে, ক্যারিশম্যাটিক দিক নিয়ে।
দুইদিন ঘরে ফিরল না রুদ্র। তৃতীয়দিনের দিন ফিরে পুরনো অভ্যাসমত দিয়ার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চাইতে গেল। কিন্তু এই কদিনে দিয়ার আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে। কেমন ঠান্ডা আর নিস্পৃহ হয়ে রুদ্রর পুরনো নাটক সে দেখতে থাকে। রুদ্র প্রতিবার অন্যায় করত, ফিরে এসে মাফ চাইত আর দিয়াও মুখিয়ে থাকত তাকে ক্ষমা করে দেবার জন্য। কিন্তু সেটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের কথা, বিয়ের প্রথমদিককার কথা। সেসময় যে অপরিণত ব্যবহার প্রশ্রয় দেয়া গেছে, আজ এই কঠিন সময়েও তা মেনে নিতে হবে? উপরন্ত আছে গায়ে হাত তোলা। যদিও দিয়া সেটাকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেনা। তার রুদ্র অপরিণত হতে পারে, অবিবেচক হতে পারে কিন্তু এতটা ছোটলোক সে কখনোই না। স্বপ্নভঙ্গ হবারও তো একটা সীমাপরিসীমা আছে। দিয়ার মনটাই যেন মরে গেল। রুদ্রকে মনে হচ্ছে অপরিচিত, অনাত্মীয় কেউ। এই অচেনা লোকের সাথে দিয়া একবাড়িতে থাকবে কেমন করে?
(আগামী পর্বে সমাপ্য)